Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 25 June 2019

আজ সকাল থেকে একটা খবর ঘুরেছে অনলাইনে পুজোর আগে পে কমিশন

আজ সকাল থেকে অনলাইনে একটি খবর ঘুরেছে যে সরকারি কর্মীদের বেতন কমিশন দেওয়া হবে পুজোর আগে। প্রায় সব অন লাইন সংবাদদাতা যেন কতটা আগ্রহ নিয়ে এই সংবাদ লিখেছেন। সংবাদদাতারা উল্লেখ করেছেন না তারা সংবাদ টি কোথায় পেলেন, আসলে গত ১৩/৬/১৯ তারিখে অভিরূপ সরকার কে ডেকে মুখ্যমন্ত্রী কি নির্দেশ দিয়েছেন। সেই গোপন কথা কেউ জানে না, কারণ তখন এই সংবাদ মাধ্যম গুলো লিখেছিল, আগামী ১লা জুলাই থেকে বেতন কমিশন চালু হবে। যদিও কোন বছরের জুলাই সেটা বলেনি। সেখানে ও বিভ্রান্তি ছিল, বলা ছিল জুনে জমা পড়বে আর জুলাই থেকে পাবেন সরকারি কর্মীরা, কিন্তু কোন সালের জুন মাসে সেটা ছিল না। সেদিন ঐ সব খবরে বলা ছিল ২২ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি হবে, আজ যে খবর কে বলল উল্লেখ না করে অনলাইনে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেখানে ১৪%বাড়বে বলা হচ্ছে।
এই বেতন কমিশন নিয়ে যে নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে, গত পাঁচ বারের বেতন কমিশন নিয়ে এতো নাটক হয় নি। আমার যতদূর জানা আছে প্রথম পে কমিশন নিয়ে এরকম একটা নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল। সেই বেতন কমিশন দিনের আলো দেখেনি। সেই এই রাজ্যের কর্মীরা সপ্তম জায়গায় ষষ্ঠ বেতন কমিশন পান, বামফ্রন্ট সরকার পঞ্চম বেতন কমিশন দিলেও, কেন্দ্রীয় ষষ্ঠ কমিশনের সমান বেতন কাঠামো দিয়ে ছিল। আর সেই পঞ্চম বেতন কমিশন লাগু হয়েছিল গত ২০০৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে এবং ২০০৬ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে নোশনাল ফিক্সশেন ছিল। ২০০৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৯ সালের মার্চ পর্যন্ত এরিয়া দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন কাঠামো পে ব্যণ্ড ও গ্রেড পে তে ভাগ করে বেতন কাঠামোর যতটা সম্ভব কমিয়ে এনে মূল বেতন কে ১.৮৬ দিয়ে গুণ করে, মূল বেতন ঠিক করে গ্রেড পে যোগ করে বেসিক তৈরি করা হয়েছিল। আমি এখন এই পে কমিশন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। আমার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কাছে একটা প্রশ্ন আপনি এই বিভ্রান্তি দূর করুন। আপনি গত ১৩/৬/১৯ তারিখে বেতন কমিশনার কে কী বলে ছিলেন? আমি এও জানি আপনি সরকারি কর্মীদের বিশ্বাস করতে পারেন না, অথচ সব সরকারি কাজ তারা করে দেয়, দেখুন আপনি বাচ্ছা দের জুতো দিলেন সেই জুতো দিয়ে পিটুনি খেল শিক্ষক। আবার SHG পোশাক দেবে, তার জন্য শিক্ষকদের কপালে কি আছে জানি না। আর কোনও কথা লিখছি না, আপনি বিভ্রান্তি দূর করুন সঠিক ভাবে বলুন আদৌ আপনি বেতন কমিশন বা ডিএ দেবেন কিনা? আপনি ছাড়া আর কেউ নেই, যে জানে আদৌ বেতন কমিশন দিনের আলো দেখবে কি না! আবার শিক্ষকের আশা আপনি তাদের পি আর টি স্কেল দেবেন। যদি এই লেখা টি পড়েন, তবে আশা করি আপনি সঠিক ব্যবস্থা নেবেন বিভ্রান্তি দূর করে দেবেন।

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...