Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 11 June 2019

মানবতা যাদের কাছে, "ধর্ম" ।

আমি ফেসবুকে বা অন্য সোসাল মিডিয়াতে বেশ কিছু লোকের পোস্ট দেখছি, আর লেখা গুলো পড়ে মজা পাচ্ছি। আমি জানি না কজন এই মানবতা কে ধর্ম বলে পালন করতে চান। যারা চান দেখবেন একটা গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ তারা আর সেই গণ্ডী থেকে বেরোতে পারছেন না। দেখা যাবে কেবল হিন্দু ধর্মের কিছু লোক এবং ইসলাম ধর্মের যা উল্লেখ যোগ্য নয়, তারা এই মানবতা কে ধর্ম বলে প্রচার করে যাচ্ছে। এই রাজ্যে বেশির ভাগ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মন্ত্রী আর কিছু সাধারণ কর্মী, আর মানুষ মানবতার আমাদের ধর্ম বলে চিৎকার করে। আপনারা একেবারে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে বলুন মানবতা আপনার ধর্ম, আপনি যদি কোন মুসলিম এলাকায় যান তারা আপনাকে বলবে বাঙালি এসেছে, অথচ নিজে বাংলায় বাস করছে বাংলা ভাষায় কথা বলছে তবুও নিজেকে বাঙালি মনে করে না। তারা মনে করে তুমি বাঙালি আর তারা মুসলিম। কেউ কেউ বলেন আমি এদের জানি এরা ধর্মীয় গোঁড়ামি মানে না, সেটা সামান্যই, আবার বলবেন অমুক অমুক আমার বন্ধু, দেখবেন তারা আপনার মতো সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ছে। ভারতে তথা পশ্চিমবঙ্গে কী করে মানবতা এই ধর্ম প্রচার করবেন। দেশটা স্বাধীন হয়েছে, ধর্মের ভিত্তিতে, স্বাধীনতার সময় থেকে এখানে দু রকম শিক্ষা ব্যবস্থা, একটি ইসলাম ধর্মের আর অন্যটি সাধারণ সরকারি, আপনার এই সাধারণ সরকারি শিক্ষায় কতজন মুসলিম ছেলে মেয়ে পড়ে বলুন? হাতে গোনা কয়েকজন, আর পাশাপাশি ওদের শিক্ষা অর্থাৎ কোরান হাদিস আলিম কতজন পড়ে একবার খোঁজ নিয়ে দেখুন। একটা জাতি যারা কয়েক শ বছর ভারতের শাসক ছিল, একমাত্র এই মুসলিম জাতি ধর্মীয় বেড়া দিয়ে নিজেদের এমন একটা ভাব করে রেখেছে, তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এখনো নিজেকে ভারতীয় ভাবেন না, যদি তাই ভাবত তাহলে ধর্মের নামে দেশটা ভাগ হতো না। একবার স্বাধীনতা আন্দোলনের কথা ভাবুন, কটা মুসলিম যুবকের নাম বলুন যারা স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। হাতে গোনা কয়েক জন মুসলিম লীগ নামে দল তৈরি করে আন্দোলন করতে শুরু করেছিল, কেবল ক্ষমতা দখলের জন্য, কারণ তারাই ইংরেজ দের এই দেশে তথা বাংলার মাটিতে ক্ষমতা দখলে সাহায্য করে ছিল। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর একটা কথা এবিষয়ে লিখেছেন, যে অনেক জাতি ভারত শাসন করেছে, কিন্তু তারা ভারতীয় সভত্যা ও সংস্কৃতি কে আপন করে নিয়েছেন, কিন্তু এই একটি জাতি দীর্ঘ দিন ভারত শাসন করেও এদেশ কে আপন করে নিতে পারে নি। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের তথা ভারতের ষাট থেকে সত্তর  ভাগ মুসলিম জাতির মানুষের পূর্ব পুরুষ হিন্দু ছিলেন। ভারতের হিন্দু ধর্মের কঠোরতা জাতি ভেদ প্রথা যা এখনও অনেক রাজ্যে কঠোর ভাবে মেনে চলে, এই সব দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ ধর্ম পরিবর্তন করে কেউ বৌদ্ধ কেউ খ্রীষ্টান কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল, বা করছে। এদের কাছে মানবতা কি করে আশা করা যায়? কারণ এরা অমানবিকতার শিকার, আমাদের রাজ্যের এখনও ধর্মের নামে রাজনীতি হয়। ইসলাম ধর্মের মানুষ দের ব্যবহার করে অনেকে ভোটে জিতে আসে, কিন্তু আর কিছু করতে পারে না, কারণ এরা বেশির ভাগ ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত, তাদের কি করে চাকরি দেবে, তাই এদের জন্য বিভিন্ন রিলিফের ব্যবস্থা করে খান্ত হন। একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখুন, এরা ধর্মের নামে মানুষ খুন করতে পিছপা হয় না। পৃথিবীর যত উগ্রপন্থী বা জঙ্গী সংগঠন আছে, তার সিংহ ভাগ এই ধর্মের, এদের কাছে মানবিকতা আশা করা দূরাশা। যতদিন না, এদের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার আনা যাবে, বা এরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবে, তত দিন পর্যন্ত পৃথিবীর যুদ্ধ খুন খারাপি চলতেই থাকবে। এরা শোর্ড বল্লাম আর দু একটা আধুনিক বা পুরনো দিনের, অপর জাতির আবিস্কৃত বন্দুক কিনে নিয়ে যুদ্ধ করে, মানুষ খুন করে বেড়ায়, আর ঐ অস্ত্র নিয়ে আধুনিক মিসাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, কিন্তু আরেক জন এ পি জে আব্দুল কালাম তৈরি করার চেষ্টা করে না। এটাই ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের কাছে দুর্ভাগ্যের।


No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...