আমি জানি না আপনি আমার লেখা এই পাতাটি পড়বেন কি না? আপনি যদি পড়েন তবে আপনার ঐ প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারি, আপনার সাথে যারা বৈঠক করেছেন, আমি পড়লাম তারা বলেছে, ডিএ ও পে কমিশন পি আর টি স্কেল নেই, তাই ভোট কমেছে। আমি ওদের সাথে একমত ঐ গুলো মূল কারণ, কারণ আমারও দাবি ঐ গুলো, তাছাড়াও আরও কত গুলো বিষয় আছে, সে গুলো আপনার গোচরে এনেছেন কিনা জানি না। প্রথমে আসে মি ডে মিল নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের H. T. ও T. I. C. হয়রানির শেষ নেই, সিঙ্গুর ব্লকে বা বিধান সভায় হেরেছেন নিশ্চয়ই, হয়রানির উদাহরণ হিসেবে দিই, অনেক দিন আগে এই নিয়ে লিখেছিলাম, কিন্তু কোন ফল হয়নি। এবার মি ডে মিল নিয়ে সিঙ্গুরের শিক্ষকের হয়রানির হিসেবে আমার মনে হয় এসব রাজ্যের সর্বত্র, মনে করুন জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসের 78 দিনের চাল এলো এপ্রিল মে জুন মাসে জন্য। এবার এপ্রিল মে জুন খাওয়ানোর দিন 46 দিন, কত দিনের বাঁচাতে পারে? আর সবদিন সমান মানে 100 গ্রাম চাল লাগে না, তাহলে আরও কিছু বাঁচল, এবার ঐ বাঁচা চালে পোকা ধরে গেল, দোষ কার প্রধান শিক্ষকের, কারণ তিনি খাওয়ানি তাই চাল বেঁচে গেছে। তার সাথে আর একটা কথা শুনতে হবে, না খাইয়ে পয়সা খরচ করে দিলেন।এই কথাটার অর্থ নিশ্চয়ই বোঝেন, প্রধান শিক্ষক চোর। এই বিষয়ে আরেকটু লিখি এখন ছাত্র পিছু 4 টাকা 35 পয়সা দেওয়া হয়। 100 জন ছাত্র থাকলে 85 জনের, তাহলে কোনো বিদ্যালয়ে 100 জন ছাত্র ছাত্রী আছে, 85 জনের টাকা পেলে এক দিনের কত টাকা হয়। 85 x 4.35 = 369.75 =370 টাকা এবার একদিনের খরচ ধরা যাক একদিন বিদ্যালয়ে 75 ছাত্র ছাত্রী এসেছে, খাবে 60 জন, ঐ পোকা ধরা চাল গন্ধ ভাত খেতে চায় না, স্বাভাবিক ভাবে চাল 6 কিলোর পরিবর্তে 5কেজি নেওয়া হলো। পোকা পরিস্কার করতে গিয়ে 1 কেজি বাধ গেল। আগে বাম আমলে বাড়তি চাল ছাত্র দের দিয়ে দেওয়া যেত, আপনার মতো একজন মানুষ আছেন নির্দেশ দিয়েছেন আর কি করা যাবে। এবার ঐ দিনের খরচ 60 খেলে 9 কেজি আলু, যে কোন আনাজ 4 কেজি, পিঁয়াজ 2 কেজি, লঙ্কা 100 গ্রাম আদা 200 গ্রাম। সর্ষে তেল 500 গ্রাম অন্য মশলা ( জিরে, ফোড়ন, ইত্যাদি) জ্বালানি গ্যাস 60 গড়ে হলে একটা 14 কেজি গ্যাস 8 থেকে 10 দিন চলে। ডাল লাগবে 600 এবার হিসেবে করি 9 কেজি আলু 9x16=144 টাকা 4 কেজি আনাজ 35 টাকা কেজি দরে 140 টাকা 2 কেজি পিঁয়াজ 20 টাকা দরে 40 টাকা 100 গ্রাম কাঁচা লঙ্কা ও আদা মিলে 37 টাকা, স:তেল 500 গ্রাম 55 টাকা 600 গ্রাম (মুসুর) 54 টাকা জ্বালানি 10 দিন ধরে 80 টাকা। মোট 144+140 +40+37+55+54+80 =550 টাকা, আর খরচ করার কথা কত টাকা, 4.35 x60 =262 টাকা, এই যে বাড়তি টাকা খরচ দেখানো যাবে না। আর ডিমের দিনের হিসেবে করলে, যদি 80 জন খায়। ডিমের দাম 80x5=400 টাকা খরচ করতে পারা যাবে কত 80x4.35=348 টাকা এবার ঐ দিনের জ্বালানি আলু পিঁয়াজ মশলা তেল সব নিয়ে কত হতে পারে। যেই ছাত্র সংখ্যা দিয়ে গুণ করে মিলছে না তখন বলা হচ্ছে, আপনি কেন বেশি খরচ করেছেন? এবার শিক্ষকের কাজ কিভাবে কম করা যায় আনাজ পত্র কম তেল মশলা কম এনে মেলানো, কিন্তু বিদ্যালয়ের ছাত্র অনুযায়ী সে 370 টাকা সে খরচ করতে পারলে টাকাও বাঁচত না মোটাামুটি খাওয়ানো যেত। এবার ঐ হাজিরা আর খাওয়া ছাত্র হিসেবে করতে গিয়ে করে খাওয়াচ্ছে, ডাল, তরকারি একবারের বেশি দেওয়া যায় না, ডাল হচ্ছে কোথায় ও তো জল, সব আপনার দয়া আপনি বলেছেন যত জন খাবে গুন করে যেন মেলে এভাবে খারাপ খাইয়ে যেই টাকা বেঁঁচে গেল অমনি টাকা ব্যাঙ্ক একাউন্টে থেকে গেল, আর টাকা দেওয়া বন্ধ, শিক্ষক কী করেন ধার করে খাওয়াবেন না। কারণ সিঙ্গুর ব্লকে 2011 সালে তিন মাাসে টাকা দেয়নি। তাছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার তো ধার বাকি তেে দেয় না। ওখানে হিসেবে বাকি দেখানো বারণ, অথচ অগ্রীম টাকা দেেওয়া হবে না। আচ্ছা আপনার কাাছে আমার প্রশ্ন যে অফিসার কে এরকম নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন। তাারা অফিসের জন্য নিজের বেতন থেকে ক টাকা খরচ করে? আপনার নির্দেশে তো এসব হচ্ছে, এর পর আছে সর্ব শিক্ষা মিশনের প্রতি মাসে চার পাঁচ দফা কাগজ পূরণ, আচ্ছা আপনি বলুন সুপ্রীম কোর্ট রায় দিল আধার লাগবে না, তার পর সর্ব শিক্ষা কী করে আধার রেজিস্টার করতে বাধ্য করে? বছরের মধ্যে পঁচিশ বার বিভিন্ন ভাবে ছাত্র সংখ্যা আর তাদের বিভিন্ন কলম পুরণ করে দিতে হবে, এ দিয়ে কোন কাজ হয় না। যাক গে ওসব বাদ দিন সব থেকে সমস্যা গ্রামে গ্রামে আপনাদের গ্রাম সদস্য বা মুখ্যমন্ত্রীীরা, নতুন V.E.C. তৈরি হয়েছে, সর্ব শিক্ষার টাকা খরচ করতে হব, ঐ A/ C তে ওনার নাম ঢোকাতে হবে, এই কাজের জন্য যে কাগজ লাগে চেয়ে না পাওয়া, আবার সিঙ্গুর নন্দনের যিনি তিনি তো দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী, বাড়িতে আনতে গিয়ে অপমানিত তিনি লোক দিয়ে বলে পাঠালেন, আপনি কে যান যান এখন ওসব হবে না। আপনি যান ত আবার নির্লজ্জের মতো ফোনে করে বলা হলো। আজ পর্যন্ত ফোট সহ অন্যান্য কাগজ পত্র আর এলো না। তাহলে ঐ টাকা খরচ করে যখন পেমেন্ট করবে তখন কী হবে? সর্বশিক্ষা সেখানে দায়িত্ব যিনি তিনি আরেক জিনিস,এসব কাজে কিছু হলেই প্রধানশিক্ষক চোর, সত্যিই শিক্ষক আজ নেড়ে কুত্তার অধম, আপনি তাদের কাছে ভোট চাইছেন। আপনি কী ভাবছেন এসব কথা শিক্ষকেরা অভিভাবক দের মধ্যে প্রচার করে না বলে না, আরে সেই কারণেই সিঙ্গুর বিধান সভায় 12 হাজার ভোটে হেরে গেছন। এই পরিস্থিতির জন্য আপনি দায়ি, একটা জিও করুন যে সর্ব শিক্ষার A/C তে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকবে না, একজন অভিভাবক থাকবে, M. D. M এর টাকা ছাত্র ছাত্রীদের খাওয়ার জন্য খরচ করা যাবে,আর MDM এর টাকা SIS এর মাধ্যমে দিতে পারেন। আমি জানি আপনি আপনার ইচ্ছা থাকলেও পারবেন না।
সেই জন্য আগামী 2021 সালে কী ভাবে হারবেন তৈরী থাকুন। নমস্কার নেবেন ভালো থাকবেন।
সেই জন্য আগামী 2021 সালে কী ভাবে হারবেন তৈরী থাকুন। নমস্কার নেবেন ভালো থাকবেন।
No comments:
Post a Comment