Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 31 October 2021

বাংলাদেশ ও ভারত সরকার সব সমান।


 বাংলাদেশের সরকার কি করছে, যারা লুট পাট করল এবং আগুন লাগিয়ে দিল, তাদের সম্পর্কে যারা, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, বেছে বেছে সেই সব হিন্দু তথা সনাতন ধর্মের মানুষ কে গ্রেফতার করেছে। বাংলাদেশের সরকারের বক্তব্য এরা নাকি সন্ত্রাসে মদত দিয়েছে বা ইন্ধন দিয়েছে। ভাবুন একবার ভাবতে শিখুন, যে সব দল ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে তারা কখনো আলাদা হতে পারে না। কেবল দেশ এবং স্থান কাল আলাদা। ভারত সরকার এই রকম অনেক সাংবাদিক এবং লেখক কে আটক করে রেখেছে যারা বিনা বিচারে জেল হাজতে আছে। কয়েক জন তো খুন হয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেখুন কেউ যদি সমালোচনা করে এবং কোন রকম সত্যি খবর বা বিরোধীতা করে ব্যস তার আর রক্ষা নাই, কত গণ্ডা কেস তার নামে দেওয়া হবে তার ঠিক নেই। অর্থাৎ এই সব ধর্মীয় মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, চোর কে চোর বলা যাবে না, মিথ্যাবাদী কে মিথ্যাবাদী বলা যাবে না, খুনি কে খুনি বলা যাবে না। ধর্মের নামে যারা ব্যবসা করে খাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। আসল এবং আধুনিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করে রেখে প্রতি নিয়ত ধর্মের নামে কু শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে যার কোন বাস্তব অস্তিত্ব নেই সে সব নিয়ে প্রচার এবং ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে লড়াই লাগিয়ে নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে, সে স্থান কাল, দেশ আলাদা হতে পারে কিন্তু তার চরিত্র এবং কাজ কর্ম সব এক। আর এই সব মৌলবাদীরা যখন সরকারের মদতে চলে তখন তো কথাই নেই। বিপদ বাড়ে তথাকথিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। যেমন অতি সম্প্রতি গুজরাতের 

একটি ঘটনা এক দলিত দম্পতি কে মন্দিরে প্রবেশে বাধা এবং অমানবিক ভাবে মারা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন, এত একটা ঘটনার কথা এখানে বললাম এরকম হাজারো ঘটনা ঘটে চলেছে এই উপমহাদেশে। ধর্মের নামে অত্যাচার এবং মানুষ খুন এটা এক শ্রেণীর মানুষের পেশা হয়ে গেছে। মানুষের প্রয়োজন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, তার ব্যবস্থা সরকারের করে না, কিন্তু এই মৌলবাদী ধর্মীয় সন্ত্রাস কে দিব্যি মদত দিয়ে চলে যাচ্ছে। এই উপমহাদেশে শান্তি ফেরানোর খুব কঠিন কারণ একটা ধর্মের নামে অশিক্ষিত করে রাখা এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি কে বজায় রেখে নেতাদের কার্যসিদ্ধি এবং ধর্মের নামে ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা আয় এ যতখন না যাবে ততখন এই উপমহাদেশে শান্তি আসবে না। অর্থাৎ মানুষ যতখন না বুঝবে ধর্ম মন্দিরে, মসজিদ, গীর্জায় ভালো থাকবে তাকে বাইরে না আনা ভালো, ধর্মীয় শিক্ষা বন্ধ হয়ে, সঠিক বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা শুরু করা হবে, ততদিন এই উপমহাদেশে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা বৃথা। 

চল ছিল পেট্রলিং স্পেশাল হলো লোকাল ট্রেন।

 

ছবিটি অনুলেখনের নিজস্ব । আগের লক ডাউন অর্থাৎ ২০২০ সালের লক ডাউন বাদ দিলে, দ্বিতীয় লক ডাউনের এই ছ মাস পেট্রলিং স্পেশাল চলল প্রথম প্রথম সাধারণ মানুষের জন্য ছিল না। তার পর কিছু জায়গায় বিক্ষোভ অবরোধ করে পাবলিকের জন্য বরাদ্দ করা হলো। সে খুবই অপ্রতুল, বিশেষ করে তারকেশ্বর লাইনে, এই তারকেশ্বর লাইনের প্যাসেঞ্জার খুব ভালো এবং ভদ্র এরা ঝুটঝামেলায় যেতে চান না। আর এই কারণেই এই লাইন এই ছ মাস রেল তার খুশি মত ট্রেন চালাল যখন খুশি বন্ধ করে দেওয়া যখন খুশি ছাড়া এসব ছিলই, আর এখন হাওড়া ডিভিশনের পূর্ব রেলের এই শাখায় তথা কথিত এই লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হলো আজ থেকে কটি ট্রেন অতিরিক্ত দেওয়া হলো। যা ঐ পেট্রলিং স্পেশাল চলছিল তাই আছে মাত্র পাঁচ থেকে সাত টি ট্রেন বাড়তি দেওয়া হয়েছে। ট্রেনের সময়ের মধ্যে ব্যবধান এক ঘন্টা, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই এক ঘন্টা পর পর ট্রেন আসবে আর ওদিকে ব্যাণ্ডেল সেখানে কুড়ি মিনিট অন্তর অন্তর ট্রেন পাওয়া যাবে। আমার মনে হয় রেল চায় তারকেশ্বর শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিতে। দারুণ সুন্দর একটা ব্যবস্থা এক দিকে বলা হচ্ছে, বিনা প্রয়োজনে ট্রেনে ব্যবহার করবেন না। ভীড় এড়িয়ে যেতে আর ট্রেন যাবে এক ঘন্টা পর পর বা কখনো সেটা এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময়ের ব্যবধানে। জানা নেই হয় তো তারকেশ্বর লাইনে প্যাসেঞ্জার কম ব্যাণ্ডেল লাইনে বেশি সে কারণেই কুড়ি মিনিট পর পর ট্রেন, কি কিউট না রেলের ব্যবস্থা। আসলে এই তারকেশ্বর লাইনের প্যাসেঞ্জার খুব ভদ্র এবং শান্ত এ লাইনে কোন দিন কোন আন্দোলন হয় না। এটা যদি শিয়ালদহ শাখার ক্যানিং, বনগাঁ, বজবজ, ইত্যাদি শাখার হতো তাহলে রেল বুঝতে পারত চাপ কাকে বলে। আর এই কারণেই তারকেশ্বর শাখা নিয়ে রেলের কোন মাথাব্যথা নেই, ট্রেন চলাচল করুক না করুক,রেল বন্ধ করে দিতে পারলে বাঁচে। সময় সারণি দিলাম, প্রথম ব্যাণ্ডেল সময় সারণি। BDc 

তারকেশ্বর সময় সারণি।

তফাৎ টা নিজেরাই দেখে নিন। 

Friday, 29 October 2021

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড শিক্ষক দের বেতন কাটার এক পরিকল্পনা!


 স্বাস্থ্ সাথী কার্ড নিয়ে দীর্ঘ দিন নানা প্রচার করা হচ্ছে, প্রচারের ঠেলায় সারা দেশের মানুষ জানাচ্ছে কি না কি হচ্ছে। কেবল আমাদের রাজ্যের নয়, দিল্লির সরকারের আয়ূষমান ভারত বলে একটি প্রকল্প আছে। 

এই আয়ূষমান ভারত এর যে স্বাস্থ্য কার্ড এটি এই রাজ্যে সে ভাবে শুরু করতে দেওয়া হয়নি। অল্প বিস্তর মানুষের আছে, কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী রাজ্যের এই প্রকল্পের কার্ড গত বছর দুয়ারে সরকার করে দেওয়ার চেষ্টা কিন্তু দুর্ভাগ্য আবেদন করার পরেও অনেকেই পায় নি। আবার যদি বা পেয়েও চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম সেটা গ্রহণ করতে চাইছে না কারণ যে পরিমাণ খরচ সে পরিমান টাকা সরকার দেয় না। এই নিয়ে বর্তমান একটি বেসরকারি হাসপাতাল সরকারের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করেছে। 

এবার আসল কথায় আসা যাক পশ্চিমবঙ্গ সরকার বর্তমানে একটি আদেশে করেছেন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড অবশ্যই লাগবে। অর্থাৎ যে পরিবারের এই কার্ড নেই তারা আর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারবেন না। রাজ্যের বেশিরভাগ শিক্ষক এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করেন নি বা নেননি, কারণ একটাই তাদের বেতন থেকে পাঁচ শ টাকা কেটে নেওয়া হবে। অর্থাৎ বছরে ছ হাজার টাকা তিনি কম বেতন পাবেন। সরকার যখন এই প্রকল্পের সুচনা করেন তখন থেকেই একটা চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে করে শিক্ষকরা এই কার্ড ব্যবহার করে তাহলে তাদের মেডিক্যাল এ্যলাউন্স ঐ পাঁচশ টাকা বেতন কম দেওয়ার, অর্থাৎ যে কোন ভাবেই হোক বেতন কেটে নাও বা শিক্ষক দের বঞ্চিত করা যায় তার চেষ্টা। দারুণ অদ্ভুত সরকার একে ডিএ নেই বাজারে জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। আর এই ডি এ বঞ্চনার জন্যে সাধারণ মানুষের হাতে টাকার যোগান নেই। করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনেক ছোট খাটো কোম্পানি শ্রমিক ছাঁটাই করে দিয়েছে। ঘরে ঘরে বেকার একটা কাজের জন্য ছুটে বেড়াচ্ছে। টাকা নেই মানুষ হাতে, বেড়েছে ভিক্ষারি, বেড়েছে চুরি, এই কয়দিনের মধ্যেই হরিপাল থানা এলাকার বলতে গেলে থানার নাকের ডগার সব এলাকায় দোকান ও বাড়ি মিলিয়ে মোট ষোল জায়গায় চুরি হয়েছে। এক জায়গায় একজন ধরা পড়েছে। তাতেও বন্ধ হয়ে যায় নি চুরি, কারণ একটাই ঐ অভাব, এটা  সত্তর থেকে আশি দশক পর্যন্ত সব থেকে বেশি দেখেছি। যাহোক বর্তমান সরকারের লক্ষ্য একটাই যে কোন ভাবে বেতন কমিয়ে মানুষ ভিক্ষারি বানিয়ে ছেড়ে দাও। দেখুন সব রকম সরকারি নিয়োগ বন্ধ, কারণ বেতন দিতে হবে। দাদা দিদি সব একই পথের পথিক, কেউ বেকার যুবক যুবতীদের চাকরি দিতে চায় না। কেবল ঐ এই প্রকল্প চালু করা হলো, এই পাঁচ শ টাকা হাজার টাকা দিলাম, আবার গালভরা নাম আছে। কে পেল না পেল দেখার দরকার নেই আমার ভাই ভাইপো ভাইঝি দের পেট ভরে গেল, এবং আমার কাছে 25% এলো ওতেই হবে। 

Thursday, 28 October 2021

শিক্ষাকে বেসরকারি করার ব্যাপারে আরেকটা ধাপ এগিয়ে যাওয়া।

screenshot নেওয়া ছবি । জাতীয় স্তরে শিক্ষার মান উন্নয়নের সমীক্ষা করা হচ্ছে। যখন বিদ্যালয় খোলা নেই, সরকারি যে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে আজ প্রায় দু বছর হয়ে গেলো খোলার জন্য কোন পরিকল্পনা নেই। শিক্ষা কে শিকেয় তুলে শিক্ষা নিয়ে শিক্ষক আর ছাত্র দের উৎকর্ষ সমীক্ষা। কী দারুণ একটা ব্যাপার হচ্ছে, সরকার জানে সরকারি বিদ্যালয়ের সেই পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায় নি যে অন লাইন পঠন পাঠন চালানো যায় বা যে টুকু আছে তা দিয়েও শিশুর কাছে শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা যায় নি। কারণ শিক্ষক (এই রাজ্যের শাসক দলের শিক্ষক শিক্ষিকা গন এখনও চায় না বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক। ) দের একটা অংশ চায় না এই ভাবে চলছে চলুক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ সে নিয়ে যেমন শাসকের কোন উচ্চ বাচ্য নেই, বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে, সেই কারণেই এবং শিক্ষা কে বেসরকারি করনের জন্য, যে দেখ যত লেখা পড়া হচ্ছে সব বেসরকারি বিদ্যালয়ে ।আর এই কারণেই এই সমীক্ষা যত বিদ্যালয় কে সমীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে তার বেশিরভাগই বেসরকারি বিদ্যালয়। যেমন বিবেকানন্দ এ্যাকাডেমি, বিবেকানন্দ শিশু শিক্ষা নিকেতন, শতভিষা পাবলিক স্কুল। এ রকম বহু বিদ্যালয়ের নাম আছে, যাদের উপর সমীক্ষা করা হবে সেই তালিকায়। অনেকেই বলবেন উল্টো টা হতে পারে, যে এই বেসরকারি বিদ্যালয়ে ঠিক মত পড়ানোর হয় কিনা সেটা জানতে এই সমীক্ষায় ওদের অন্তর্ভুক্তি বেশি। ভবিষ্যতে অনুমতি নাও মিলতে পারে তার জন্য এই ব্যবস্থা করা, সেটা হবে না কারণ সরকার যদি মনে করেন যে এই সব ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ইংলিশ মিডিয়ায় নামক বাংরেজি বিদ্যযালয় গুলো বন্ধ করে দিতে তাহলে অনেক আগেই দিল্লি সরকারের মত বিদ্যালয় গুলিতে সর্বশিক্ষার মাধ্যম কম্পিউটার, প্রজেক্টের, আরো অন্যান্য সুবিধা এবং শিক্ষার সিলেবাস কে বা পঠন পাঠন আরও সহজ করে ভিডিও গ্রাফ তৈরি করে দেওয়া যাতে করে প্রজেক্টেরের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রী শিক্ষা নিতে পারে। দিল্লির সরকার যেভাবে করেছে, ওখানে বেসরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্র কমতে শুরু করেছে। আমাদের রাজ্যের সরকারের ইচ্ছা নেই, আর কাদের নিয়ে এসব ভাববে ঐ 75% আর 25%.আর কত গুলো ল্যাম্পপোষ্ট নিয়ে এতো এক নায়ক তন্ত্র একমেব অদ্বিতীয়ম কি কিউট তাই না। কেবল ঘুষ নাও আর চাকরি দাও, আর এই ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া ছেলে মেয়েরা এরা এসে কোন রকম যদিও ক্লাসে গেল মোবাইল ফোনে ব্যস্ত যত ফোন ঐ সময়ের জন্য আসবে বা আরো কিছু আর পড়ানোর কি সুন্দর একটা ছেলে যে সব ঠিক করে তাকে বলে দেওয়া তুই সব দেখে দে আর পড়ানোর দায়িত্ব তার নিজে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত। কোন চিন্তা নেই, কারণ একটাই শাসক দলের ঝাণ্ডা নিয়ে মিছিল করলেই সব কিছু ঠিক আছে।আসলে যত অশিক্ষিতের সংখ্যা বাড়বে তত ভালো কারণ মদ মাংস খাওয়ার টাকা পেলে তারা সব কিছু করতে পারবে এবং এতে সুবিধা আছে নেতাদের। বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেল। 

Sunday, 24 October 2021

বাংলার হুজুর আলেম দের কথা হলো আমার ধর্ম ঠিক বাকি সব খারাপ।


 ছবিটি ফেসবুক থেকে screenshot নেওয়া এবং বাংলাদেশের চ্যানেল ৭১ এর। আসলে এখানে হুজুর বা আলেম কালেমরা যে প্রতি নিয়ত অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছড়িয়ে যাচ্ছে সেটা দেখানো হয়েছিল। কেবল এক জন না প্রায় গোটা বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশি এই ধর্মের কারবারি ওয়াজ করার সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে কি ভাবে উত্তেজনা ছড়ায় সেটা আমরাও বিভিন্ন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছি। আশ্চর্য লাগে, ঐ সকল ধর্মান্ধ বা ধর্ম ব্যবসায়ী ঐ ওয়াজ করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে আর পর ধর্মের মানুষের ধর্ম খারাপ এবং তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে পারেন এসব প্রচার করে। এসব করে বাঙালি জাতি টা কে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে, আসলে আমার সব ভালো অপরের সব খারাপ। আর কি অপর ধর্মের মানুষ কাফের, অথচ সেই অপর ধর্মের মানুষ তথা বৈজ্ঞানিক এর তৈরি মোবাইল, মাইক, লাইট তথা আলো এবং পরার পোশাক পর্যন্ত ব্যবহার করে। অনেকেই বলবেন কেন পোশাক বাংলাদেশে তৈরি হয়। হ্যাঁ ঠিক বাংলাদেশে তৈরি কিন্তু ঐ পোশাক তৈরির যন্ত্র বা মেশিন কোন ইসলাম ধর্মের বিজ্ঞানী তৈরি করেছে। একটা বিষয় দেখাতে পারা যাবে না যা কোন ইসলাম ধর্মের বিজ্ঞানী দ্বারা তৈরি ভারতের আছে কারণ তিনি রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। কারণ তিনি আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করে ছিলেন ঐ রকম হুজুরের পাল্লায় পড়লে কখনো হতেন না। এই হুজুর আলেম কালেম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পশ্চিমবঙ্গে কলকাতায় চলে আসে আধুনিক চিকিৎসার জন্য। আর ফিরে গিয়ে হিন্দু দের গালাগালি দেয় তাদের বাড়িতে হামলা চালায় এরা এত অকৃতজ্ঞ এদের মানুষ বললে পশুরা লজ্জা পাবে। এই যে দুর্গা পুজো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে এই সব ধর্মান্ধ মানুষ এর পেছনে, এখন দেখুন এরা এই রকম এরা জানে অত্যাচার করে এদের তাড়াতে না পারলে নিজের যৌনতার জন্য পঁচিশ টা বিয়ে করে একশ থেকে দেড়শো ছেলে মেয়ে জণ্ম দিয়ে লোক সংখ্যা বাড়িয়েছি তারা থাকবে কোথায় খাবে কি? এদের তো কোন নাক লজ্জা নেই ঐ যৌনতার ব্যপারে তখন ওসব মান সম্মান নেই। পশ্চিমবঙ্গেও আছে এই রকম এলাকা কেবল লোক সংখ্যা বাড়িয়ে যাও আর মানুষের উপর অত্যাচার করে তাদের সম্পদ লুট করে নাও। ধর্মের দোহাই দিয়ে দারুণ ব্যাপার, কেবল যৌনতা আর জণ্ম দেওয়া, একজন বাবা হয় তো জানেই না সে কটি সন্তান জন্ম দিয়েছে। আর জণ্ম দিয়ে পালিয়ে আসে, বলবেন তাহলে বাংলাদেশে ডাক্তার বিজ্ঞান গবেষণা এসব হয় না। কে বলেছে হয় না, হয় আধুনিক চিকিৎসাও হয় কিন্তু একটু খোঁজ নিলে দেখা যাবে ঐ সকল মানুষ গুলো বেশিরভাগ ধর্মান্তরিত হিন্দু ধর্মের কারণ বাংলাদেশের ১০০ জন মুসলিম এর মধ্যে ৮০ জনের কোন না কোন পূর্ব পুরুষ হিন্দু বা অন্য কোনো ধর্মের ছিল। নিজ ধর্মের উচ্চ বর্ণের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ছিলেন অথবা জোর করে ধর্মের পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন ।এই সব ধর্মান্ধ মানুষ গুলোর ভাষণে কেবল আমার ধর্মের সব ভালো আর অপরের সব খারাপ। কথায় কথায় একটা কথা জাহান্নামে যেতে হবে না, কিম্বা জান্নাত এর কথা যতটা সম্ভব এই দুটি শব্দের বাংলা হলো নরক ও স্বর্গ। এমন বলবে মনে হবে নিজেরা কয়েক বার ঘুরে এসেছে জোর দিয়ে এবং গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলবে। মনে হবে পারলে এখুনি ছবি তুলে বা ভিডিও করে দেখিয়ে দিতে পারে। কেবল ক্যামেরা টা কাফের দের তৈরি করা বলে। টিভি ক্যামেরার সামনে অন্যান্য ধর্মের মানুষ সম্পর্কে যা নয় তাই বলছে জানেই না যে এই টেলিভিশন একজন খ্রীষ্টান ( জন লগি বিয়ার্ড) আবিষ্কার করে ছিলেন। আর সেই জাতি কে গালি দিচ্ছে, যে ভারত থেকে ভাগ হয়ে আজ বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্ত ছাড়া অন্য দেশের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন না সেই দেশ এবং ভারতের সাহায্যে স্বাধীনতা পেয়ে ভুলে গেছে এরা এত অকৃতজ্ঞ। ঐ যে আমার ধর্মের সব কিছু ভালো অপরের টা খারাপ। আর আছ চিল চিৎকার অশিক্ষিত তো সেই কারণেই এই অবস্থা সরকার এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারে না কারণ গোটা দেশ টায় এরা ছেয়ে আছে এবং এদের কথায় অশিক্ষিত অসভ্যের দল নিজের জীবন বিপন্ন করে লড়াই করতে নেমে পরবে। আর দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে লুট করা হবে। বাংলাদেশের সরকার আজ বলে নয় প্রায় স্বাধীনতার পর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই সব উগ্র ধর্মান্ধ দের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয় নি। অর্থাৎ বাংলাদেশ নামেই স্বাধীনতা বাস্তবে সঠিক শিক্ষা হয় নি। আর সঠিক শিক্ষা পেতে দেয় নি এই সব ধর্মান্ধ মানুষ কারণ মানুষ যদি সঠিক শিক্ষা পায় তাহলে এদের ধর্ম ব্যবসা আর থাকবে না। পশ্চিমবঙ্গে এবং পূর্ব বঙ্গে একই অবস্থা মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আরও নীচে মক্তব এগুলোর বেশিরভাগে শেখানো হচ্ছে আরবী, কোরান হাদিস, এগুলো শিখলেও পাশাপাশি যদি যে দেশে বাস করে তার ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান আর ও কিছু বিষয় না থাকে তাহলে সে তো বলবেই ও বাঙালি আর আমি মুসলমান এই বিভেদ বা বিভাজন সৃষ্টি করে দিচ্ছে এই ধর্মীয় শিক্ষা। যদিও বাম আমলে পশ্চিমবঙ্গে কিছু কিছু মাদ্রাসা শিক্ষায় আধুনিক শিক্ষার ব্যাবস্থা করা হয়েছে, কিন্তু গ্রামে গঞ্জে এখনও আছে ঐ ধরনের শিক্ষা এবং এগুলো মসজিদ দ্বারা পরিচালিত হয়। যদি বাংলাদেশ কে পাল্টাতে চান তবে আগে ধর্মের গোঁড়ামি থেকে বেড়িয়ে আসুন, এবং বন্ধ করে আধুনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করুন আর মেয়েদের সমান মর্যাদা দিন। তারা কেবল সন্তান জন্ম দেবার মেশিন নয় বা যৌনতা মেটানোর যন্ত্র নয়। জণ্ম নিয়ন্ত্রণ করুন না হলে এমন একটা দিন আসবে সব কৃষি জমি বসত ভিটে হয়ে যাবে দেশ মরুভূমিতে পরিণত হয়ে যাবে। সৌদি আরব যেখানে এই ধর্মের উৎপত্তি তারা এখন সনাতন ধর্মের এবং খ্রীষ্টান দের ধর্ম গ্রন্থ এবং শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চাইছে। আর আপনারা সেই ১৪০০ বছর আগে পরে থাকতে চাইছেন। আফগানিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে সব অস্ত্র বা বিমান দিয়ে গেছে একটাও নিজেরা তৈরি করতে পারেবে না। এমনকি গোলা বারুদ তাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনতে হবে। কেন দিয়ে গেছে যে আমার থেকে অস্ত্র তো কিনতেই হবে, আর নিজেরা মারামারি করে মরবে। এক দিন এটাই আসবে কত টাকা আছে যে অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনবেন, তৈরি করা শিখতে হবে না হলে ঐ তলোয়ার বা শোর্ড নিয়ে মিসাইলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে যাবেন। জানেন তো মিসাইল কি, আপনার দেশে যেতে হবে না পাশের যে কোন জায়গা থেকে নিশানা করে কেবল মাত্র একটা সুইচ টিপে দেওয়া। এই ধর্মান্ধ গোরু থুরি গুরুর দল জানেন না বিজ্ঞান কি না করতে পারে। ঠাণ্ডা থাকুন কেবল আমার টা ভালো বাকি সব খারাপ এই ধারণা থেকে বেড়িয়ে আসুন। 

Saturday, 23 October 2021

রাজ্যের চাকরি শেষ নেই, বেকার ছেলে মেয়ে খুঁজে পাওয়া ভার।

 


 পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলা চুক্তির ভিত্তিতে খাদ্য দফতরে চাকরি দেবে। তবুও তো কাজ দেবে, এর পরেও চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন কেন? আত্মহত্যা সমাধানের পথ নয়। পথ হচ্ছে এই সিস্টেম এর বিরুদ্ধে লড়াই আন্দোলন করা হতাশা গ্রাস করে জানি কিন্তু আত্মহত্যা সমাধান নয়। কখনো কোন অবস্থাতেই আত্মহত্যা করা উচিত নয়। আত্মহত্যা মানে এই অব্যবস্থা কে মেনে নেওয়া। এটা কখনই চলতে পারে না, আজ না হয় কাল এই দূর্বিসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি আসবে।
ছবিটি ফেসবুক থেকে screenshot করে নেওয়া। আমি জানি বেকার ছেলে মেয়ে দের যন্ত্রণা, হতাশা এলে বেশি করে বন্ধু বান্ধবের সাথে মেশ নিজের কষ্টের কথা তাদের সাথে ভাগ করে নাও তবুও আত্মহত্যা নয়। মন কে অন্য দিকে নিয়ে যাও, আমি জানি চাকরি তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি নেই অনেকেই অনশন করছেন, এবং নানা ভাবে আন্দোলন করেছে কোর্টে কেস করেও চাকরি হয় নি। এ সরকার কোর্টের রায় মানে না। আর এই সরকার কোন দিন কাউকে ঘুষ ছাড়া চাকরি দেবে না। সে শিক্ষক থেকে শুরু করে, আই সি ডি এসের কর্মী এমন কি আশা কর্মী হতে হলেও ঘুষ দিতে হবে। যার ঘুষ দেওয়ার ক্ষমতা নেই সে কোন দিন কোন সরকারী চাকরী পাবে না। আর বেসরকারি তার অবস্থা খুব খারাপ, কারন কম্পিউটার বা তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে পড়া শোনা করা ছেলে মেয়ে গুলো চলে যাচ্ছে অন্য রাজ্যে এই রাজ্যের সরকার উইপ্রো, ইনফোসিস কে জায়গা দেয় নি। অটো মোবাইল সে বাদ দাও টাটা চলে যাবার পর আর কোন বড়ো শিল্প এখানে আসেনি, উল্টো হয়েছে হিন্দ মোটর বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সরকার একটা কাজ করছে, অনেক শ্রী আর ভাণ্ডার দিচ্ছে জিনিস পত্রের দাম কত কমিয়ে দিয়েছে। 2008 সাল থেকে কম দামে সব জিনিস পত্র কেনা যাচ্ছে। চাকরি সে তো কথাই নেই, কেন্দ্রীয় সরকারের বছরে 2 কোটি x 7 বছর = 14 কোটি আর রাজ্যের 2 লক্ষ x 11 বছর = 2 2 লক্ষ এখন পর্যন্ত মোট 14 কোটি 22 লক্ষ ছেলে মেয়ে চাকরি পেয়েছে। আবার মাঝে মাঝে এই রকম আছে, চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ কত চাকরি। লক্ষী ভাণ্ডারে পাঁচ শ টাকা। এখন এই রাজ্যে বেকার থাকার কথা নয়, একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করতে হবে। একশ দিনের কাজ, পঞ্চায়েত প্রধান এর পাশে থেকে একটু বুদ্ধি লাগানো ব্যস আর যায় কোথায়। জিনিস পত্র সে তো জলের দাম মাসে মাত্র পাঁচ শ টাকা খরচ করে সব কেনা যাবে। আরে এই কারণেই মি ডে মিলের রাঁধুনী দের বেতন 1500 টাকা দু জনের টাকা এলে দলের সদস্যরা সবাই ভাগ করে নেয়। তিন জন হলে 1000 টাকা আর ছ জন হলে 500 টাকা। এতেই এত বছর চলে গেছে এখন এতো জিনিস পত্র জলের দাম এতে চলবে না। তাই বলছি আত্মহত্যা কোনো পথ নয়, হতাশ হয়ে এই কাজ টি করো না, জীবন একটাই লড়াই করে বেঁচে থাকা ছাড়া উপায় নেই। কারণ যে দিকে তাকিয়ে দেখি কেবল মিষ্টি খাবার টাকা কেবল তোয়ালে মুড়ে নিতে হবে এই 

Phone pe মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ অতিরিক্ত চার্জ কাটা শুরু।


 অন লাইন টাকা লেন দেন, থেকে শুরু করে, মোবাইল রিচার্জ, বিদ্যুৎ বিল, যাবতীয় কাজ অনেকেই এই ফোন পে দিয়ে করে থাকেন। এছাড়াও আরো অনেক আছে, যেমন pay tm  গুগুল পে, এর মধ্যে ফোন পে হচ্ছে ওয়াল মার্টের সংস্থা যখন প্রথম শুরু করে তখন একমাত্র পে টি এম আগে করে এবং টাকা পাঠাতে কিছু চার্জ কাটতে শুরু করে কিন্তু এই ফোন পে সম্পূর্ণ ফ্রি তে শুরু করে। ভারতে ২০০৯ সালে অন লাইন টাকা লেন দেন করার জন্য এ্যাপ আসে মোবি ক্যুইক তার পর ২০১০ সালের ডিসেম্বরে পে টি এম এবং ২০১৫ সালে আসে এই ফোন পে। প্রথম যে দুই সংস্থার নাম বললাম তাদের তখন বাজারে নাম নেই এবং যারা ব্যবহার করত অন লাইন টাকা লেন দেন করতে একটা চার্জ কাটত। আর এর ঠিক পরে অর্থাৎ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এসে হাজির ফোন পে একদম ফ্রি এবং সব সংস্থা কে টেক্কা দিয়ে অন লাইন টাকা লেন দেন যারা করেন তাদের অধিকাংশই এই ফোন পে ব্যবহার করা শুরু করতে আরম্ভ করে দিলেন। ঠিক ছ বছর পর শুরু করে দিল চার্জ কাটা। এখন কেবল মোবাইল রিচার্জ করতে কাটা হচ্ছে চার্জ, ৫০ - ১০০ টাকার মধ্যে হলে ১ টাকা এবং ১০০ উর্ধ্বে হলে ২ টাকা অতিরিক্ত কাটা হচ্ছে। এর পর সব কিছুতেই শুরু হবে। কারণ বেসরকারি কোন কিছুই ফ্রি নয়।

এটি রশিদের একটি অংশ দু টাকা জি এস টির একটি অংশ হিসেবে কাটি হচ্ছে। আজ দেপ টাই বিক্রি করে দিচ্ছে আদানি আম্বানি আর কর্পোরেট সংস্থার কাছে এমনকি প্রতিরক্ষা মানে অস্ত্র তৈরির কারখানা পর্যন্ত, প্রথম প্রথম খুব ভালো তার পর বুঝিয়ে দেবে কত ভালো। যেমন জিও ফোন প্রথম ফ্রি তে সিম কার্ড ৪৯ টাকা রিচার্জ এখন ঐ ৪৯ টাকা রিচার্জ ১৪৯ টাকা হয়ে গেছে এবং দিন সংখ্যা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে, মাত্র ২৪ দিন। অতিরিক্ত ৫০ টাকা দিলে হবে ২৮ দিন। ৯৯ টাকা এখন ৩৯৯ টাকা ২৮ দিন। যেখানে ডেটা অর্থাৎ ইন্টারনেট ছিল আন লিমিটেড সেটা হয়েছে ১ জি বি আবার সংস্থার অনুযায়ী দিনের এবং ডেটার হের ফের আছে। বেসরকারি প্রথম প্রথম খুব ভালো তারপর শুরু করে তাদের শোষণ। দাদা আর দিদি মিলে দেশ এবং রাজ্য বিক্রি করুক ঐ পাঁচ শ টাকা দিলেই তো হবে কারণ জিনিস পত্রের দাম এত কম যে মানুষ কোন টা ছেড়ে কোন টা কিনবে ঠিক করতে পারছে না। 

যে ধর্ম মানুষ কে শান্তিতে থাকতে দেয় না, তাকে ধর্ম বলে কি?

 এখানে কত গুলো অন লাইন সংবাদ পত্র থেকে নেওয়া screenshot দিলাম , বেশি কিছু লিখছি না। কেবল ছবি গুলো দেখে নিন ভাবুন এই এক বিংশ শতকে দাঁড়িয়েও ধর্মের নামে কি না করা যায়।


এটা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ঘটনা মসজিদে আগুন। অবশ্যই বাংলাদেশের ঘটনার পর এটা ঘটেছে। 


এটা ভারতের আসাম রাজ্যের ঘটনা, যা বাংলাদেশের ঘটনার পর ঘটেছে। সৌভাগ্য বশত আসাম ও ত্রিপুরা দুই রাজ্যের ক্ষমতায় বি জে পি সরকার। 



বাংলাদেশে এত অত্যাচার করে তার একটাই কারণ বিচার নেই এবং কোন শাস্তি নেই বলে। একদম বর্তমান ভারতের পরিস্থিতি, দেখছেন শাহরুখ খানের ছেলে ড্রাগ না গাঁজা খেয়েছে না সাথে রেখে ছিল বলে তার জেল আর আদানিরা গোডাউন থেকে তিন হাজার কিলো গ্রাম হেরোইন পাওয়া গেছে কেউ গ্রেফতার হয়নি, আজব দেশ আজব আইন! 


বাংলাদেশের আরেকটা ঘটনা দেখুন, আর এটাই ইসলাম ধর্মের আসল কাজ অন্য ধর্মের মানুষের সম্পত্তি দখল করে নাও। যেমন করে হোক, ছলে বলে কৌশলে না হলে এমন অত্যাচার কর সহ্য করতে না পেরে ভারতে চলে আসে। আরেকটা ঘটনা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে অর্থাৎ রোহিঙ্গা মুসলমান দের কীর্তি ক্যাম্পেই গুলির লড়াই। 


এছাড়া জমি দখল করার জন্য মারামারি করছে। 


এটা অপার বাংলার ছবি, এদৃশ্য এপার বাংলাতেও আছে। এছাড়া আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলাদেশ সরকার যতই চাক ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হবে। কিন্তু ঐ দেশের ধর্মের হুজুররা চান না। খবরটির ছবি দিলাম। 


বাংলাদেশের সরকার যতই চেষ্টা করুক দেশ হবে ধর্ম নিরপেক্ষ ধর্মান্ধ ব্যক্তি বা ধর্মের ব্যবসায়ী গন কিছুতেই করতে দেব না, কারণ একটা তাহলে ওদের ব্যবসা মার খাবে। আসলে শিক্ষার অভাব, রাষ্ট্রের আবার ধর্ম কী এই শিক্ষা ওদের নেই। কেবল ধর্মের শিক্ষা সত্যিই যদি শিক্ষা থাকত তাহলে বুঝতে পারত রাষ্ট্রের ধর্ম হয় না। 



Friday, 22 October 2021

Secular & atheist যার বাংলা ধর্মনিরপেক্ষ ও নাস্তিক।

 অনেকেই আছেন বিষয়টি গুলিয়ে ফেলেছেন, সেকুলার ( secular) আমার যতদূর জানা এই ইংরেজি শব্দটির বাংলা ধর্মনিরপেক্ষ, অর্থাৎ যিনি সব ধর্ম কে সম্মান করেন। সকল ধর্মের মানুষকে শ্রদ্ধা করেন, তিনি সেকুলার। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র অর্থাৎ যে খানে সব ধর্ম সমান অধিকার আছে ধর্ম পালন করার কেউ কেউ কোন ভাবে বাধার সৃষ্টি করবে না। কিন্তু অনেক মানুষ আছেন, ভাববেন সেকুলার হল নাস্তিক যারা ঠাকুর দেবতা কিছু মানে না। অর্থাৎ atheist এর বাংলা নাস্তিক বা নাস্তিক ইংরেজি atheist ভুলে যান। অনেকেই ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, তোরা তো সেকুলার বা অমুক পাটি বা রাজনৈতিক দল সেকুলার এবং সেকুলার হল তারা নাস্তিক অর্থাৎ ঠাকুর দেবতা মানে না। ভুলেই যান ধর্ম নিরপেক্ষতা আর নাস্তিকতা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। যারা নাস্তিক তারা ভুলেও ঠাকুর বা দেবতার ধার দিয়ে যায় না। তাদের যুক্তি দিয়ে তারা বেড়িয়ে আসে, বিজ্ঞান কখনো বিশ্বাস করে না ঠাকুর দেবতা আছে। দেবতা একটি পাথর বা মূর্তি মাত্র, আর এক দল আছে যারা ধর্ম মানে কিন্তু কঠোর ভাবে নয়। আর কিছু আছে ধর্মান্ধ এরা ধর্ম ছাড়া আর কিছু জানেন না, তাদের কাছে স্বর্গ মর্ত্য আছে এবং স্বর্গে দেবতা থাকে। কিন্তু আদৌ তারা স্বর্গ চোখে দেখে নি, মৃত্যুর পর সত্যি যমদূত তাদের যমালয়ে নিয়ে যায় কি না চোখে দেখেনি কিন্তু বিশ্বাস করে। আবার অনেকেই আছেন পরজণ্মে বিশ্বাস করে, অর্থাৎ মৃত্যুর পর আবার তার আত্মা পুনরায় জণ্ম গ্রহণ করে। অর্থাৎ আত্মার মৃত্যু নেই, যদি তাই হতো তাহলে ভারতের লোক সংখ্যা তেত্রিশ কোটি থেকে বেড়ে একশ তেত্রিশ কোটি হলো কি করে? ছাড়ুন অনেক গোরু ছাগল মানুষ রূপে জণ্ম নিচ্ছে সে জন্য বেড়ে যাচ্ছে। আসলে সেকুলার হলো ধর্ম নিরপেক্ষতা, একটা রাষ্ট্রের বা এলাকার দায়িত্ব যাতে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে এবং তার ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ভাবে পালন করতে পারে তার ব্যবস্থাপনা করা। যেটা বর্তমান বাংলাদেশে নেই, এবং কিছু ধর্মান্ধ মানুষ কিছুতেই অপর ধর্ম কে মেনে নিতে পারে না, আবার প্রতিনিয়ত অশান্তি ছড়িয়ে চলে যাতে দাঙ্গা লাগিয়ে লুঠপাট করা যায়। এই রকম উগ্র ধর্মান্ধ সব ধর্মের কিছু কিছু আছে, আর কিছু মানুষ এদের ব্যবহার করে নিজের ব্যবসা অর্থাৎ ধর্মের ব্যবসা বাড়াতে থাকে। যেমন ধর্মীয় জলসা, কীর্তনিয়া, শ্রীচৈতন্য বা গৌরাঙ্গ হরিনাম বিলিয়ে মানুষ কে এক সূত্রে বাঁধতে চেয়ে ছিলেন। এখন তাঁর সেই নাম কীর্তন করে কীর্তনিয়ারা হাজার হাজার টাকা আয় করে। যে যত বেশি টাকা নেয় তিনি তত ভালো গায়ক বা কীর্তনিয়া। এই ভাবে ধর্মীয় সভা বা জলসাও তাই অর্থাৎ ধর্ম তাদের কাছে ব্যবসা। সে কারণেই এক ধর্ম অন্য ধর্মের কত বড় এবং কোনো কোনো ধর্মের মানুষ বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের এই রকম জলসা বা ধর্মীয় সভা থেকে, তারস্বরে চিৎকার করে অন্য ধর্মের মানুষ কে এবং তাদের ধর্ম সম্পর্কে খারাপ কথা প্রচার করা হয়। এই কয়েক দিন আগে বাংলাদেশের এক হুজুর না আলেম বলছিলেন মূর্তি ভাঙ্গা আমার কাজ মূর্তি আমি ভাঙব, বা হিন্দু ধর্মের মানুষ কাফের তাদের সম্পদ লুট করলে দোজাক অর্থাৎ নরকে যেতে হবে না। এসব কথা হামেশাই বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সভা থেকে জোর দিয়ে বলতে শোনা যায়। অর্থাৎ এদের কাজ লুট করা এবং মানুষে মানুষে লড়াই লাগিয়ে দেওয়া। এক কথায় এরাই ধর্মান্ধ ব্যক্তি। এদের দৌড় ঐ মসজিদ পর্যন্ত, আধুনিক শিক্ষার ধারে কাছে নেই এরা। এদের থেকে মনে হয় সেকুলার মানুষ অনেক ভালো কারণ তিনি যেমন সকল ধর্মের মানুষ কে সণ্মান দেন সেই রকম সকল মানুষ কে খুব তাড়াতাড়ি আপন করে নিতে পারেন। এটাই ধর্ম নিরপেক্ষতা বা সেকুলারাজিম secularism. তাই secular আর atheist অর্থাৎ ধর্ম নিরপেক্ষতা আর নাস্তিকতা সম্পূর্ণ আলাদা দুটি বিষয়। 

বাম আমলের থেকে এখন পশ্চিমবঙ্গরে জিনিস পত্রের দাম কম।

 পশ্চিমবঙ্গ বাম আমলের থেকে প্রায় প্রতিটি জিনিস পত্রের দাম, 30% শতাংশ কমে গেছে, মানুষের আয় আকাশ ছোঁয়া কলকারখানার শেষ নেই, প্রতিটি ঘরে ঘরে একজন করে চাকরি করে। বেতন এতো বেশি খরচ করতে পারে না, কারণ জিনিস পত্রের দাম নেই বললেই চলে। কারণ 2008 সালে যে মোটা চাল তার দাম ছিল 7 টাকা এখন সেটা কমে 28 টাকা, ভাল চালের দাম ছিল 9 টাকা এখন কমে 36 টাকা। সর্ষের তেলে 1 লিটার বা কেজি ছিল, 60 টাকা এখন সেটা কমে 210 টাকা। আটা 5 টাকা এখন কমে 26 টাকা। একদম জিনিসের দাম বাড়ছে না। সে কারণেই মানুষ এত টাকা বেতন নিয়ে করবে কি? সরকারি কর্মীদের বেতন এত বেড়ে গেছে কল্পনা করা যায় না। শিক্ষক মশাই দের বেতন আকাশ ছোঁয়া, টাকা রাখার জায়গা নেই, 10 বছরের থেকে 13 বছর কম সময়ে পে কমিশন দিয়েছে এত দিয়েছে রাখতে পারছে না, বছরে চারবার ডি এ পেয়ে আসছে আরে আগে বাম সরকার এসব ভাবতেই পারত না। সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা বন্ধ করে রেখে ছিল এখন পারলে প্রতি মাসে একবার করে দিয়ে দিচ্ছে। রাইটার্স বা মহাকরণে ভাঙচুরের প্রশ্নই ওঠে না। আন্দোলন আবার কি,বেতনের জন্য আন্দোলন সে আবার কি জিনিস। জিনিস পত্রের দাম কত কমে গেছে ভাবা যাবে। মানুষ খুব খুশি, পাঁচ শ টাকা মাসে কাউকে বছরে দিচ্ছে বলে, বোঝানো যাবে না। বেকার সমস্যা নেই, কেবল চাকরি না পেয়ে হতাশা থেকে আত্মহত্যা করছে তাই। চাকরি ডেকে ডেকে দিচ্ছে, ঐ একটু মন্ত্রী আর পাড়ার বড় সর্দার টাকা মিষ্টি খাবে বলে নেয়, 10 লাখ টাকা লাগে ওটা সকলেই আনন্দ সহকারে দিয়ে দিচ্ছে মিষ্টি খেতে। কিন্তু আমার দলের কর্মীরা চোর নয়।আরে জিনিস পত্রের দাম কম যাতে হয়ে যায় বাম আমলের থেকে সেই জন্যই তো ক্ষমতায় আমাকে এনেছে না, আর ২০০৮ সালের থেকে জিনিস পত্রের দাম না কমাতে পারলে খাব কি? 


দেখছেন না ২রা জুন ২০০৮ সালে জিনিস পত্রের দাম এত ছিল আমি খেতে পেতাম না। এখন ২০০৮ সালের থেকে দাম কমিয়ে কেবল আমি খাচ্ছি না, রাজ্যের জনগণের কত উপকার হয়েছে বলে বোঝাতে পারব না। সেই কারণেই পাঁচশ টাকা মাসে দিলে সংসার খরচ চলে যাচ্ছে। কারণ ৩১৫ টাকার গ্যাস কমে ৯৪৫ টাকা হয়ে গেছে। ৩৫ টাকার পেট্রোল কমে ১০৬ টাকা হয়ে গেছে। আর ৭ টাকা কেজি আলু কমে ১৮ /২৫ কোন কোন সময়ে ৫০ টাকা হয়ে যাচ্ছে। যাহোক এবার দাদার ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে জিনিস পত্রের দাম কত কমাল দেখি কারণ তিনিও বলেছিলেন নাঙ্গাই কম করেঙ্গে। তাহলে কত কম করল দেখা যাক। 


কম হল কি হলো না, বছরে কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে ২ কোটি বেকারের চাকরি আর রাজ্যের সরকারের ২ লক্ষ চাকরি মোট দু কোটি দু লক্ষ করে চাকরি, ২কোটি x ৭ = ১৪ কোটি আর রাজ্যের ২ লক্ষ x ১১ বছর = ২২ লক্ষ। আর কি চাই আবার আগামী তে ভোট এলে দাদা আর দিদি ছাড়া কাউকে ভোট দেওয়া যায়। 



নিত্য নারায়ণ শিলায় পুজার নিয়ম ও মন্ত্র ।


 এখানে বলে রাখি আমি পণ্ডিত নই, কিন্তু বিভিন্ন বই থেকে পড়ে যেটা জেনেছি সেটা এখানে লিখব। পণ্ডিত গন যদি পড়েন নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন। প্রতিটি পুজারি পুরোহিত বা ব্রাহ্মণ বাড়িতে এই শিলা আছে, এই শিলায় নিত্য সেবা দেওয়া এবং তুলসি পাতা দেওয়া হয়। অনেকেই এটি কে নারায়ণ শিলা বা শালগ্রাম শিলা বলে থাকেন। কোন কোন ব্রাহ্মণ বাড়িতে একের অধিক শিলা আছে, কারণ বলে থাকেন বাড়ির বাইরে পুজো করতে নিয়ে যেতে হবে সে কারণেই এতো গুলো শিলা। তবে আমি যতদূর জানি দুই বা তার অধিক এই শিলা রাখতে নেই, ফাটা শিলাও রাখতে নেই। শিলা পুজোর সময় যা সহজে করা যায় সেই টুকু এখানে লিখব। কারণ অনেকেই আছেন কাজে যাবার আগে এবং সন্ধ্যা বেলায় এসে এই শিলা কে সেবা দেন। সকালের সেবা দেওয়ার সময় কম পান সেই কারণেই আমি যতদূর জানি সেটাই এখানে লিখছি।এখানে বলে রাখি ব্রাহ্মণ ছাড়া এই শিলা পুজোর কারও অধিকার নেই। মহিলারা এই শিলা পর্শ্ব করবে না। বিঃ দ্রঃ :- শিলায় পুজার আগে সিংহাসন থেকে নামিয়ে একটি তামার পাত্রে রাখুন নীচে একটি তুলসী পত্র অবশ্যই দেবেন। সেটা আগের দিনের তুলসী পত্র হতে পারে। আর ঘি ও মধু শিলায় মাখিয়ে নিন । 

তুলসি ফুল তুলে নিন, নারায়ণ পুজোর জন্য সাদা টগর এবং সাদা কুন্দ ফুল হলে ভালো হয়।

তুলসি পাতা তোলার মন্ত্র :- তুলসি পত্রং সদা ত্বং কেশব প্রিয়। তুলসি পত্র ছিন্ন স্মসি স্বাহা। ( সব থেকে কম দুটি তুলসি পত্র তুলে নেবেন।)

এবার যা যা করতে হবে। ১) আচমন ২) বিষ্ণু স্মরণ ৩) সংক্ষেপে পঞ্চ দেবতা কে দান। ৪) ধ্যান ৫) স্নান করানো ৬) গাত্র মোছানো ৭) তুলসি দান ৮) আবরণ ও সাথি দেবতা কে ফুল দেওয়া। ৯) নারায়ণ কে পঞ্চ উপাচার দেওয়া। ১০) প্রণাম মন্ত্র ১১) ক্ষমা প্রার্থনা। এর পর ঘরে লক্ষী মূর্তি থাকে তাহলে তার পুজো একই ভাবে কেবল স্নান ও গাত্র মোছানো বাদ দিয়ে। আর যদি মূর্তি নাও থাকে তাহলেও লক্ষী কে নিবেদন করে দেওয়া।

আচমন :- কোশা থেকে কুশি করে গঙ্গা জল মাশ কলাই ডুবতে পারে এতটুকু ডান হাতের তালুতে নিয়ে, তিন বারের বলুন ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ।

বিষ্ণু স্মরণ :- ওঁ তদ্বোবিষ্ণু পরম পদং সদা পশ্যন্তি সুরয় দ্বিবীব চক্ষু রতাতম। ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ।

সংক্ষেপে পঞ্চ দেবতার পুজো :- এতে গন্ধেদিবেভ্য বং এতেস্মৈ পঞ্চ দেবগনভ্য নমঃ । এষো গন্ধ পঞ্চ দেবগনভ্য নমঃ ।এতৎ পুষ্প পঞ্চ দেবগনভ্য নমঃ ।এষো ধূপ পঞ্চ দেবগনভ্য নমঃ ।এষো দীপ পঞ্চ দেবগনভ্য নমঃ । এতৎ অক্ষত নৈবেদ্যম পঞ্চ দেবগনভ্য নমঃ ।

ধ্যান :- ওঁ ধেয় সদা সবিত্র মণ্ডল মধ্যবর্তী নারায়ণ। সরজিসান সন্নিবেষ্ট  কেয়ূরবান কনক কুণ্ডলবান। কিরীটিহারি হিরণ্ময় বপু ধৃত শঙ্খ চক্র।

স্নান :- জল শঙ্খের জলে কম করে তিন বার সবচেয়ে বেশি পাঁচ বার বা সাত বার। তার আগে পানি শঙ্খের জলে তীর্থ আহ্বান করে নিন।

তীর্থ আহ্বান মন্ত্র :- ওঁ গঙ্গোদা সরতিশ্চ সর্বা সমুদ্রাশ্চ সংরসি চ ।আয়ন্তু অয়ম দূরিত ক্ষয় কারক। ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব্য গোদাবরী সরস্বতী নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলোস্মিন সন্নিধিং কুরু ।

এবার স্নান মন্ত্র :- ওঁ সহস্র পুরুষ সহস্র শীর্ষ সহস্র পাত ত্বয়া বৃত্তা পৃথ্বী । অত্রাতিষ্ঠত শাল্গমঃ ইদং স্নানীয়োদকং ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নমঃ ।

এই মন্ত্রে তিন বার পাঁচ বার স্নান করাতে হবে 

গাত্র মার্জন :- ইদম গাত্র মার্জনাথায় ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নমঃ । ওঁ নারায়ণ ধীমহী বিষ্ণবে প্রচোদয়াৎ ওঁ ।

এবার একটা তুলসি পত্র নিয়ে মসৃণ দিকটা চন্দন লাগিয়ে নিয়ে দিতে হবে। এবং এই মন্ত্রে দিতে হবে। ইদং তুলসী পত্রং ওঁ নমঃ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নমঃ । এবার সিংহাসনে রাখুন ঘন্টা বাজাতে বাজাতে দ্বিতীয় তুলসী পত্র টি একই ভাবে একই মন্ত্র বলে উপরে দিন। এবার নিম্ন লিখিত মন্ত্রে একটি করে ফুল দিন।

এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ নারদাদি পার্শ্ব দেবভ্য নমঃ ।

এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ইন্দ্রাদি দশদিকপালভ্য নমঃ ।

এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মৎস্যাদি দশ অবতারভ্য নমঃ। 

এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ গরুর বাহনায় নমঃ। 

এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ শঙ্খায় নমঃ ।

এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ চক্রায় নমঃ ।

এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ গদায় নমঃ ।

এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পদ্মায় নমঃ ।

এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ বাস্তু পুরুষায় নমঃ ।

এষো গন্ধ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নমঃ ।

এতৎ পুষ্পম ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নমঃ ।

এষো ধূপ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নমঃ ।

এষো দীপ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নমঃ ।

এষো অক্ষত নৈবেদ্যম মিষ্টান্ন ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নমঃ ।

(আতপ চাল দিয়ে নৈবেদ্য সাজিয়ে রাখবেন এখানে কেবল আতপ চাল ও বাতাস বা সন্দেশ দিতে পারেন।)

এবার প্রণাম মন্ত্র :- ওঁ নমহ ব্রহ্মণ দেবায় গো ব্রাহ্মণায় হিতায়চ জগৎ ধৃতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নারায়ণ নমহস্তুতে ।

ক্ষমা প্রার্থনা :- ওঁ যৎ ক্ষরং মাত্রা হীনচ , যদভবতে। পূর্ণ ভবতু তৎ প্রাসাদৎ সুরেশ্বর ।ওঁক্ষমস।

এবার লক্ষীর পুজো করতে হবে কারণ বাড়িতে পুজো করছেন। নারায়ণ কে পুজোর পর লক্ষী পুজো অবশ্যই করা কর্তব্য। 

লক্ষীর ধ্যান :- ওঁ পাশাক্ষ মালিকাম্বজ শৃন্নি ভৃয্যমৌ সৌময় ।পদ্মা সংস্থানং ধ্যায়েচ শ্রীয়ং ত্রৈলক্য মাতরম ।গৌরবর্ণং সুরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কার ভুষিতাম ।রৌক্মপদ্ম ব্যাগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু ।

এষো গন্ধ, পুষ্প, ধূপ, দীপ নৈবেদ্যম ওঁ পেচকায়ৈ নমঃ ।একটি ফুল পেচকের উদ্দেশ্য দেবেন।

এষো গন্ধ ওঁ শ্রীং লক্ষী দেবৈ নমঃ।

এতৎ পুষ্পম ওঁ শ্রীং লক্ষী দেবৈ নমঃ ।

এষো ধূপ ওঁ শ্রীং লক্ষী দেবৈ নমঃ ।

এষো দীপ ওঁ শ্রীং লক্ষী দেবৈ নমঃ ।

এতৎ অক্ষত নৈবেদ্যম ওঁ শ্রীং লক্ষী দেবৈ নমঃ । 

এবার প্রণাম মন্ত্র :- ওঁ বিশ্ব রূপ ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে ।সর্বত্র পাহিমাং দেবী মহিলক্ষমী নমহস্তুতে।

ক্ষমা প্রার্থনা :- ওঁ গুজ্জাতি গুজ্জ গোপত্রী ত্বং গৃহনস্মাৎ কৃতং জপম,  সর্বসিদ্ধি ভবর্তু মে দেবী তৎ প্রাসাদৎ সুরেশ্বরী।


Thursday, 21 October 2021

পশ্চিমবঙ্গে, মূর্তি ভাঙা ও মন্দিরে গোমাংস রাখা শুরু হয়েছে।


 

কি দাদা ভাবছেন এটা বাংলাদেশ না এটা পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা তবে এখানে কোন মুসলমান কিছু করেন না। তারা তাদের ধর্ম পালন করেন নিষ্ঠার সাথে হিন্দু বাঙালি ও তাদের ধর্ম পালন করে আসছে যুগ যুগ ধরে গণ্ডগোল বাধে না। অনেক সময় ঈদ এবং পূজো একসাথে পরেছে কোন অসুবিধা বা গণ্ডগোল বাধে নি। তাহলে করছে কারা দাদা আর এস এস আছে না, বাম আমলে গোটা রাজ্যে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টা প্রশিক্ষণ শিবির বা কেন্দ্র এখন হয়েছে কয়েক হাজার। এর বেশিরভাগ সদস্য হনুমান ভক্ত বা বজরংবলী ভক্ত, আগে কেবল কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় হনুমান মন্দির ছিল এখন পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সর্বত্র পাওয়া যাবে। আরেকটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখুন এরা বাঙালির এই যে সারা বছর নানা ধরনের পুজো বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান এটা ঠিক মেনে নিতে পারে না। এদের লক্ষ্য হচ্ছে যে কোন ভাবে বাঙালি জাতি টাকে ধ্বংস করে বাংলার এই অংশটা কে পূর্ব বিহার তৈরি করা, সেই কারণেই যেন তেন প্রকারে অশান্তি লাগানোর চেষ্টা, এরা খুব প্রশিক্ষিত এরা হিন্দু পাড়ায় মুসলিম সেজে গণ্ডগোল লাগায় আর মুসলিম পাড়ায় হিন্দু, এরা মন্দিরে গো মাংস রাখে আর মসজিদে গিয়ে শুয়োরের-মাংস এসব করে কারণ একটাই যে কোন ভাবে দাঙ্গা লাগানো এদের লক্ষ্য। আবার শান্তিপুরে ভোট আছে ওখানে তো এরকম ঘটনা ঘটাবে তবে যেভাবে ছবিটি আছে ওখানে দুর্গা পুজো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। আর লক্ষীপূজো যদি বুধবার মানে 20/10 /21 বৃহস্পতিবার 21/10 /21 ওখানে ঘট ও অন্যান্য জিনিস থাকার কথা এবং আমার তো মনে হয় ওটা দুর্গা প্রতিমার সাথে বিসর্জন করা লক্ষী তুলে এনে ওখানে বসিয়ে ছবি তোলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন, আবার উপ নির্বাচন ও শাসক দলের জয় নিশ্চিত কারণ এক দু নম্বরি বিহারি পি কে আছে, নকল অফিসার, ইভিএম পাল্টে যেমন করে হোক জিতিয়ে তবে ছাড়বে এই লোক টা ভারতীয় গনতন্ত্র কে টাকার বিনিময়ে শেষ করে দিল। কোটি কোটি টাকা নেয় আর যতরকম ভাবে পদ্ধতি তে কারচুপি করা যায় সব ব্যবহার করে। ই ভি এমে ভোট ও দিদির জয় নিশ্চিত কেউ কিছু করতে পারবে না। এখন যে সব এলাকায় ভোট মিটে গিয়েছে একবার কান পেতে শুনে নিন একটা কথা শুনতে পাবেন আমরা ভোট দিলাম না জিতল কি করে? 

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডি এ সেত ডুমুরের ফুল।

 

রাজ্য সরকারের ডি এ সে ডুমুরের ফুল।

বাজার দর বৃদ্ধির সাথে সাথে ডি এ অর্থাৎ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয় সরকারি কর্মীদের। কিন্তু বর্তমানে রাজ্যের সরকার সরকারি কর্মীদের ডি এ কেন্দ্রীয় সরকারের হারে তো দূরের কথা সাধারণ ভাবেও দেন না। সব রকম শ্রী ভাণ্ডার সব ঘোষণা করা হয়, কিন্তু ডি এ নয়। জানি না এ কেমন অর্থনীতি বিদ, মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া একটা মাধ্যম এই ডি এ কারণ সরকারি কর্মীরা বেতন টি বাজারে খরচ করেন তাতে সাধারণ মানুষের কাছে টাকা বা অর্থ পৌঁছে যায়। কিন্তু এই সরকার মনে করেন, পুজো কমিটি, ক্লাব, কন্যা শ্রী, যুবশ্রী, রূপশ্রী, ধর্ষণ শ্রী, বিধবা ভাতা, পুরোহিত ভাতা, লক্ষী ভাণ্ডার ইত্যাদির মাধ্যমে বছরের একবার পাঁচ শ, হাজার এবং বছরে একবার ক্লাব গুলো কে এক লক্ষ কোন সময় পাঁচ লক্ষ টাকা এবং পূজো কমিটি গুলো কে বছরে একবার পঁচিশ বা পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে কীভাবে রাজ্যের মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে দিচ্ছে, জানা নেই, এই ভাবে যে কোন রাজ্যের অর্থনীতি সচল থাকে সেটা অর্থনীতি বিদ না হলেও বোঝা যায়। কারণ বাজারে গিয়ে দেখা যায় জিনিস পত্রের দাম এত মানুষ জিনিস পত্র ক্রয় করতে পারছে না। দোকান বাজার গুলো সব ফাঁকা, এত বড়ো পুজো গেল কাপড়ের দোকান থেকে অন্যান্য সব দোকান দার সারাদিন খুলে বসেই ছিল যদি একটা খরিদার আসে। কিন্তু না সে ভাবে বিক্রি নেই কারণ মানুষের কাছে টাকা নেই, তবে টাকা আছে এক শ্রেণির দলীয় নেতা মন্ত্রী কাছে। আর এই সব ভাতা, শ্রী, ভাণ্ডার ও দান ঐ সব নেতা মন্ত্রী দের আরও অসৎ করে তুলেছে। এবারে একটা পূজো কমিটি লোক বাড়ি বাড়ি ঘুরে চাঁদা তুলেছিলেন, কম করে পাঁচশ সর্বোচ্চ দশ হাজার অথচ তারা সরকারি পঞ্চাশ হাজার টাকা পেয়েছে। যখনই জিজ্ঞেস করা হল ঐ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে কি হবে? সোজাসুজি উত্তর বেড়াতে যাওয়া হবে, কারণ টাকাটা ঐ শর্তে এক নেতা করে দিয়েছে। আমি তো অর্থনীতি বিদ নই তবুও বুঝি সরকারি কর্মীদের ডি এ না হলে, সাধারণ মানুষের হাতে টাকা আসবে না। এই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার এতো তাড়াতাড়ি ডি এ ঘোষণা করেন। আর এই রাজ্য সরকারের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি বিদ আরও ভালো বুঝেছেন সেই কারণেই গত 2011 সালে ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি কেন্দ্রীয় সরকারের ডি এ ঘোষণার সাথে সাথে ডি এ দেওয়া হবে। দারুন প্রতিশ্রুতি পুরোন বকেয়া 56% ও আর মিলল না। আর এখন 2019 পে কমিশন হওয়ার পর থেকে গত বছর 1 লা জানুয়ারি থেকে 3% ডি এ দিয়েছে আর এখন কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে ফারাক  28% আঠাশ শতাংশ। ভারতের অন্যান্য রাজ্য সরকার তারা কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডি এ বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। কেবল এই রাজ্যে টাকার অভাব অথচ টাকা বিলিয়ে দেওয়ার সময়ে টাকার অভাব নেই। আবার উনি নাকি কথা দিয়ে কথা রাখেন, তাহলে 2011 সালের ক্ষমতা আসার আগে কথা বা প্রতিশ্রুতি আর রাখেন নি। যদিও পৃথিবীর সেরা মিথ্যাবাদী, মিথ্যে কথা বলার জন্য যদি নোবেল পুরস্কার থাকত তবে আমাদের দেশে দুটি পুরষ্কার একেবারে বাঁধা ছিল। একটা দিল্লির আরেকটা আমাদের রাজ্যের। 

কিছু বিশেষ প্রশ্ন ও উত্তর।


 

প্রশ্ন উত্তর

১) ডহর বাবুর বাড়ির লোক কে আছেন? প্রশ্নটির কে করেছেন? ডহর বাবুর বাড়ির কাউকে খুঁজে পাওয়া গেছে, কেউ যদি খুঁজে দেন পুরস্কার দেওয়া হবে।
২) রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার আনতে গিয়ে কীটস ও সেস্কপিয়রের সাথে দেখা করে ছিলেন তথ্য টি কে দিয়েছেন?
৩) রাজা রামমোহন রায় পশ্চিম বঙ্গ বিধানসভায় সতী দাহ বিল পাশ করিয়ে ছিলেন। কে বলেছেন?
৪) বীরভূমের মাটি উৎসব শুরু করতে গিয়ে কে কাকে বলে ছিলেন যে থাব্বরে গাল লাল করে দেব?
৫) মাটি উৎসব, জল উৎসব, খাদ্য মেলা, কন্যাশ্রী বদলে বাংলায় দিদির ভাই রা কী উৎসব শুরু করে ছিল, এবং এই বিষয়ে বাংলা কে এক নম্বর করল?
৬)কলকাতা বইমেলায় ঢোকার মুখে কে পুলিশ কর্মী কে বলল চাবকে পিঠের চামরা তুলে নেব?
৭)2013 সালে 'সারদা' কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর কে বলে ছিল যে 'যা গেছে তা গেছে ও নিয়ে দুঃখ করে লাভ নেই'?
৮)'শরীর থাকলে জ্বর জ্বালা যেমন হবে, তেমনই ধর্ষণ ও শরীর থাকলে হবে' এটি কার উক্তি?
৯)'বড়ো শিল্প না হয়েছে তো কী হবে, চপ ভাজা, মুড়ি ভাজা, ঘুঁটে শিল্পও শিল্প' উক্তি টি কার?
১০)   সি বিআই নোবেল চোর ধরতে না পারলে বলুক আমি সিআইডি দিয়ে নোবেল চোর ধরে দেব। কে বলেছেন?
১১)আমি কলকাতা কে লন্ডন আর দার্জিলিং কে সুইজারল্যান্ড বানাবো। কে বলেছেন?
১২)আমার সাথে চালাকি করে লাভ নেই। আমি গুন্ডা কন্ট্রোল করি। কার উক্তি?

১৩) আমার দলের কেউ চোর নয়? তাহলে সারদা নারদায় জেল হাজতে কাটাল কারা? 

মহাপুরুষের দের বানী ।

 ভারতের আদি যুগ থেকে যে সব মহান ব্যক্তি জন্ম গ্রহণ করেছেন, ভারতের মানুষের ভালো চেয়েছেন। তারা কিছু কথা বলেছেন বা উপদেশ দিয়েছেন সকলের ভালোর জন্য।আবার এরকম আছে যা কোন সময় কোন মহাপুরুষ হয়তো বলেছেন যা কেউ জানে না সেই প্রচলিত কথা গুলো আজ আমার কাছে অন্তত বানী বলে মনে হচ্ছে। এখন গুলো অনেকে মুখে বলেন, মেনে চলেন না। আমি এই বানী গুলো বিভিন্ন বই পত্র পত্রিকা থেকে এবং বিভিন্ন জায়গায় দেওয়াল লিখন থেকে সংগ্রহ করেছি। যদি কিছু মানুষও পড়েন অনেক আমরা এসব ভুলতে বসেছি।

প্রচলিত বানী।
১)সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।
২)ঈশ্বর মানব জাতি সৃষ্টি করিয়াছেন, ধর্ম নয়, ধর্ম মানবের সৃষ্টি।
৩)সকল জীবকে ভালোবাসো, ভালোবাসা বা বন্ধুত্ব শ্রেষ্ঠ ধর্ম।
৪)সদা সত্য কথা বলবে, সৎ পথে চলবে। তাতে বাধা আসবে কিন্তু ফল ভাল হবে।
৫)কেউ আঘাত করলে তাকে আঘাত করিও না পারলে ভালোবেসো।
৬)তোমার মন থেকে পাপ দূর কর, দেখবে সমাজ থেকেও পাপ দূরে যাবে।
৭)অপরের ক্ষতি বা অনিষ্ট করিও না, তাহলে নিজের ক্ষতি বা অনিষ্ট হইবে।
৮)অপর কে দুঃখ কষ্ট দেওয়া মহাপাপ।
৯)মানবের মাঝে দেবতার বাস তাকে অপমান করিও না।
১০)অপরের দুঃখে বা বিপদে আনন্দ নিওনা।
১১)তুমি পাপ করলে বা খারাপ কাজ করলে তার দায় তোমার, কেউ তার ভাগ নেবে না।
১২)সকলের বাঁচার অধিকার আছে। সে অধিকার অপরকে দিতে হবে।
১৩)তুমি তোমার কাজ টুকু করিয়া যাও তাহাতেই সকলের মঙ্গল।
১৪)অপরের দোষ ত্রুটি দেখিও না, নিজের দোষ ত্রুটি দেখিও।
১৫) পরের সম্পদ বা ধন নিজের বলিয়া করিও না। তাহলে বিপদে পড়িবে।
১৬)তোমার ব্যবহার ই তোমার পরিচয়।
১৭) কেউ কটু কথা বললে তাকে কটু কথা বলিও না।
১৮)সংসারের বা সমাজের নিয়ম হচ্ছে, মানিয়ে নেওয়া, যে মানিয়ে নিতে পারে সে বাঁচে।
১৯)কর্মের বিকল্প নাই, সুতরাং যে যার মতো কর্ম করে যাও
২০) অপরের কর্মে বাধা দিওনা, তাহলে তোমার কর্মে বাধা আসিবে।
২১)অপরকে সন্মান দিলে, নিজের সন্মান বজায় থাকে।
২২)তোমার জিনিস অপরে নষ্ট করলে, যেমন তোমার কষ্ট হয়। সে রকম অপরের জিনিস নষ্ট করলে তাহার কষ্ট হয়।
২৩)ভুল মানুষ কে শিক্ষা দেয় কারণ ভুল করতে করতে মানুষ শিক্ষা লাভ করে।
২৪)নিজের দোষ বা অপরাধ অপরের উপর বা অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া মহাপাপ।
২৫)আমাদের নিজের বলে কিছু নেই, যা নিজের বলছ ভেবে দেখো তা অপরের তৈরি।
২৬)কারণে অকারণে অপরের সাথে তুলনা করিও না, তোমার যা আছে সেটাই ভালো।
২৭)উচ্চ ধনী ব্যক্তির সাথে তুলনা করিও না, নিম্ন আয়ের লোকের দিকে দেখো, তাহার থেকে তুমি ভালো আছ কিনা।
২৮)তোমার অনেক বুদ্ধি বা জ্ঞান বেশি, অপরের তা নেই। এই অহংকার করিও না।
২৯)মানবতাই পরম ধর্ম।
৩০)অশিক্ষার থেকে কুশিক্ষা ভীষণ খারাপ।
৩১)ভালোবাসায় সব সব হয়। হিংসা শুধু ক্ষতি করে।
৩২)গরীব হয়ে জন্মানো পাপ নয়, গরীব হয়ে মারা যাওয়াটা পাপ।
৩৩)যা আছে তা রক্ষা করে রাখ, সন্তুষ্ট থাকতে হবে। অপরের দেখে বেশি লোভ কর না।
৩৪)ধৈর্য্য ধরে থাক সুফল পাবে।
৩৫)রক্তের সম্পর্ক বড়ো নয়, ভালোবাসার সম্পর্ক বড়ো।
৩৬)পরের উপকার করা ভালো তবে নিজের ক্ষমতার ভেতরে থেকে। উপকারের প্রতিদান চেয় না।
৩৭ )সকলের উপকার করো না, আগে দেখ সে উপকার নেবার যোগ্য কিনা।
৩৮)কোনো ব্যক্তিকে অসন্মান করিও না, তাহলে নিজে সন্মান পাবে না।
৩৯)চরিত্র ঠিক রাখতে হবে না হলে পরে পস্তাতে হবে।
৪০)বনের বাঘ যেমন বন আর মাংসের কথা ভোলে না। সে রকম চরিত্র হীন রা কোনো দিন নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না।
৪১)দান কর কিন্তু অপাত্রে না।
৪২)মনুষ্যত্ব, বিবেক, চরিত্র ঠিক থাকলে নিশ্চয়ই লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।
৪৩)অসহায় দূর্বল মানুষকে সাহায্য কর, ঈশ্বর তোমার সাথে থাকবেন।
88)কেউ তোমাকে খারাপ বলছে, তুমি নজর দিওনা, নিজের কর্মে এগিয়ে যাও।
৪৫)আদিম যুগে মানুষ অসহায় ছিল, সে তার বুদ্ধি ও আর শ্রম দিয়ে আজকের পৃথীবী তৈরী করেছে। তাই কর্ম করে যাও। উন্নতি হবে।
৪৬)কখনো পিছনে ফিরিয়ে দেখিও না, অতীত কে মনে রেখো, অতীতের ভুল শুধরে কাজ করে যাও।
৪৭)কেউ কেউ কাজের সমালোচনা করেন, করুক তুমি বিরক্তি বোধ করিও না।
৪৮)প্রত্যেকের মধ্যে ভালো মন্দ দুটি গুন আছে। ভেতর থেকে ভালোটি কে বার করে আনো।

রামকৃষ্ণের অমৃত বানী ।
১) যত মত তত পথ।কালী খ্রীষ্ট আল্লাহ সব এক
যত মত তত পথ। কাল কোন ভেদা ভেদ নেই ।
২) শিব জ্ঞানে জীব সেবা করো , তাতেই মুক্তি।
৩) সবেরি ভালো মন্দ থাকে মন্দ টা বাদ দিয়ে ভালো টা নিতে হয় ।
৪) টাকা মাটি মাটি টাকা।৫)পাপ কে ঘৃণা করো পাপী কে নয়। ৬) পাঁকেই তো পদ্ম ফুল ফোটে, সেই ফুলেই মায়ের পূজা হয়। কয় তাতে কি পাঁক লেগে থাকে। ৭) পিতা মাতার ছবি দেখে যেমন পিতা মাতা কে মনে পড়ে। সেরকম দেবতার ছবি দেখে তাকে মনে পড়ে। 
     ৮)মানুষের মন যেমন চঞ্চল দেবতাও চঞ্চল, দেবতা বা ঈশ্বর কে অনুভব করতে হলে মন কে স্থির করতে হবে। 

মহাপুরুষের দের বানী ।

 

মহাপুরুষ দের বানী ( বিবেকানন্দ ও অন্যান্য।) 


ভারতের বিবেক যার জীবনী না পড়লে যার সম্পর্কে না জানালে জীবন টা ব্যর্থ। শিক্ষা দীক্ষা সব যেন নিরস অসাড় বলে মনে হয়। সেই মহান পুরুষ কেবল মাত্র ভারতের নয় গোটা বিশ্বের মানুষের বিবেক। ধর্ম ধর্মে হানা হানি বন্ধের জন্য ১৮৯৩ খ্রীষ্টাব্দের ১১ ই সেপ্টেম্বর শিকাগো মহা ধর্ম সন্মেলনে ভাষন দিয়ে ছিলেন। আজ থেকে একশ পঁচিশ বছর আগে, যে কথা তিনি ধর্ম সন্মেলনে বলেছিলেন আজও প্রাসঙ্গিক ।কোন ধর্ম ছোট নয়, হিন্দু ধর্ম প্রথম থেকেই পর ধর্ম সহিষ্ণু, যুগে যুগে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ কে আশ্রয় দিয়ে এসেছে। এরকম একজন মহাপুরুষের প্রতি টি কথাই আমার বানী বলে মনে হয়। সেই মহান পুরুষের বলা বেশ কিছু বিখ্যাত কথা যা চির সত্য সে গুলো লিখব। ব্যাখ্যা আপনারা করে নেবেন কেমন। ১)অজ্ঞতা বশতই আমরা পরস্পর কে ঘৃণা করি। ২)অজ্ঞান  অসাম্য ও বাসনা -- এই তিন টি মানব জাতির দুঃখের কারণ ৩)অনন্ত ধৈর্য্য ধরিয়া থাকো, সিদ্ধি তোমার করতলে ।৫)আমরা পাঁচ মিনিটের জন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষুধা নিবৃত্ত করিতে পারি , কিন্তু সে আবার ক্ষুধার্ত হইবে।
৬)আমরা মানুষ কে যাহা কিছু সুখ দিতে পারি, ক্ষনস্থায়ী 
৭)আদর্শ সন্ন্যাসী হওয়া অপেক্ষা আদর্শ গৃহী হওয়া কঠিন।
৮)মানুষ কে পাপী বলাই এক মহা পাপ।
৯)যখন পদ্ম ফোটে, তখন ভ্রমর নিজে নিজেই মধু খুঁজিতে আসে। এই রূপে যখন তোমার হৃদ - পদ্ম ফুটিবে তখন শত শত তোমার নিকট শিক্ষা লইতে আসিবে।
১০)প্রথমে চরিত্র গঠন কর---এই টিই তোমার প্রথম কর্তব্য।
১১)সকলের উচিত, হুকুম করার আগে হুকুম তামিল করতে শেখা।
১৩)যিনি অর্থ যশ বা অন্য কোনো অভিসন্ধি ব্যতীত কর্ম করেন, তিনিই সর্বাপেক্ষা ভালো কর্ম করেন।
১৪)যিনি নিজে পাপী, তিনি কেবল অপরকে পাপী দেখিয়া থাকেন।
১৫) সর্বদা কর্ম কর, কিন্তু দাসের মতো কর্ম করিও না। ১৬) আমরাই আমাদের দুর্দশা অবনতি ও দুঃখ কষ্টের জন্য দায়ী।
১৭) আমরা তিন জন এক সঙ্গে মিলিত হলেই পরস্পর কে ঘৃণা করিয় থাকি, ঈর্ষা বা হিংসা করিয়া থাকি।
১৮)সত্য কখনও পক্ষপাতী হতে পারে না।
20)সৎসঙ্গে বাস করো অথবা নিঃসঙ্গ হও।
২১) যে কোন কিছু বিশ্বাস করে না, সে দেখলেও বিশ্বাস করে না।
২২)যাহা শরীর মনকে দুর্বল করে, তাহাই পাপ। এই দুর্বলতা পরিত্যাগ কর। 
২৩)মানুষ কে অধ্যায়ন কর, মানুষই জীবন্ত কাব্য। 
২৪)সত্য কে সত্যের দ্বারা বিচার করতে হবে, অন্য কিছু দ্বারা নয়। 
২৫)যেখানে স্ত্রী লোক বা নারী দের মর্যাদা নেই, যেখানে স্ত্রী লোক বা নারীরা অত্যাচারিত, সে সংসার বা দেশের উন্নতির কখনো আশা নেই। 
২৬)চিত্ত শুদ্ধি ও মৌনতা থেকেই কথার ভেতর জোর আসে। 
২৭)যত দিন না আমার হৃদয় রূপ শাস্ত্র খুলছে, ততদিন শাস্ত্র পাঠ বৃথা। 
২৮)যখনই সুখ ভোগ করিবে, তারপরেই দুঃখ আসবেই আসবে। 
২৯)তোমার ভেতরে যে দোষ গুলি আছে সব দূর করে ফেলো, তাহলেই তুমি আর বাইরের দোষ দেখতে পাবে না। 
৩০)সমগ্র বিশ্বই পাগল -- কেহ ধনের বা টাকা পয়সার জন্য, কেহ সুখের জন্য, কেহ বা নামের জন্য, কেহ বা অন্য কিছুর জন্য। সেই ধন্য, যে ঈশ্বরের জন্য পাগল। 
৩১)যে অপর কে স্বাধীনতা দিতে চায় না, অপরের অধিকার খর্ব করে। সে কি স্বয়ং স্বাধীনতা বা অধিকার পাবার যোগ্য? 

দুর্গা পুজো মন্ত্র ও নিয়ম ( সপ্তমী পুজার মন্ত্র)

 



সপ্তমীতে বিল্ব বৃক্ষের পূজা করে নিতে হবে। বিল্ব বৃক্ষের পূজা :-- ১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪)স্বত্ত্বি সূক্ত ৫)সাক্ষ্য মন্ত্র ।(এদিন পুরোহিত বরণ হবে না) ৬) সংকল্প ৭) সংকল্প সুক্ত ৮) পঞ্চ গব্য শোধন ৯) কয়েকটি মন্ত্রে অধিবাস ১০)সামান্য অর্ঘ্য স্থাপন 
১১) দ্বার পূজা ১২) বিঘ্ন অপসারণ১৩) আসন শুদ্ধি ১৪) গুরু পংত্তি ১৫) পুষ্প শুদ্ধি ১৬) প্রানায়াম ১৭)সংক্ষেপে ভূত শুদ্ধি। ১৮)কর ন্যাস ১৯)অঙ্গ ন্যাস 
২০)ব্যাপকন্যাস ২১)ঋষ্যাদিন্যাস ২২)ধ্যান ২৩)মানস পূজা। ২৪)বিশেষ অর্ঘ্য স্থাপন। ২৫)আহ্বান ২৬)পঞ্চ দেবতার পূজা ২৭)প্রধান পূজা ।২৮)বিল্ব শাখা ছেদন ২৯)প্রণাম ।
এবার নব পত্রিকা বন্ধন ঘাটে গিয়ে তীর্থ আহ্বান করে স্নান করিয়ে আনা। এবং মণ্ডপের বাহিরে বড়ো গামলায় বসিয়ে নবপত্রিকা বসিয়ে স্নান, ও পরে গামলা থেকে তুলে শুদ্ধ চৌকি বা পিঁড়েতে বসিয়ে, মহাস্নান সামনে একটা শুদ্ধ গামলা থাকবে। তারপর সপ্তমী পূজো শুরু হবে।১) আচমন ২)স্বত্ত্বি বাচন ৩) স্বত্ত্বি সূক্ত ৪)সাক্ষ্য মন্ত্র ৫)সংকল্প ৬)সংকল্প সুক্ত (পঞ্চ গব্য আগে শোধন করা আছে) ৭)কয়েকটি মন্ত্রে অধিবাস ৮)সামান্য অর্ঘ্য স্থাপন  ৯) দ্বার পূজা ১০) বিঘ্ন অপসারণ ১১) মাস ভক্ত বলি ।১২) আসন শুদ্ধি ।১৩)গুরু পংত্তি স্মরণ ১৪)পুষ্প শুদ্ধি ১৫)প্রাণায়াম ১৬)কর শুদ্ধি ১৭)সংক্ষেপে ভূত শুদ্ধি ১৮) মাতৃকা ন্যাস ১৯) অন্তর মাতৃকা ন্যাস ২০)বাহ্য মাতৃকা ন্যাস ২১)সংহার মাতৃকা ন্যাস ।২২)পীঠ ন্যাস ২৩)কর ন্যাস ২৪)অঙ্গ ন্যাস ২৫)ব্যাপকন্যাস ২৬)ঋষ্যাদিন্যাস ২৭)ধ্যান ২৮)মানস পূজা ২৯)বিশেষ অর্ঘ্য স্থাপন ৩০)পীঠ পূজা ৩১) ঘট স্থাপন ৩৩)কাণ্ড রোপন ৩৪)সূত্র বেষ্টন ৩৫)বেদি শোধন ৩৬)আহ্বান ৩৭)চক্ষু দান ৩৮) প্রাণ প্রতিষ্ঠা ৩৯)পঞ্চ দেবতার পূজা ৪০)প্রধান পূজা ৪১)পুষ্পঞ্জলী ৪২)প্রণাম ৪৩)আরতি 
দেখুন ষষ্ঠী পূজার মন্ত্র যখন লিখেছিলাম তখন আচমন থেকে প্রধান পূজা পর্যন্ত মন্ত্র লেখা আছে। তবে এখানে পঞ্চ উপাচারে করতে পারেন। পঞ্চ উপাচার হল ১)গন্ধ ২)পুষ্প ৩)ধূপ ৪)দীপ ৫)নৈবেদ্য 
এখানে আমি কেবল বিল্ব শাখা ছেদন আর প্রণাম মন্ত্র বলব। বিল্ব শাখা ছেদন মন্ত্র :--ওঁ বিল্ব বৃক্ষ মহাভাগে সদা ত্বং মহাদেব প্রিয়। শাখা ছেদ ভবং কার্য্যে ক্ষেত্রে ত্ব ন প্রভ। দেবৈতয়ি গৃহীত তব শাখাঞ্চ পূজ্যে দূর্গতি বিশ্রুতি ।ছিন্দ্রি ছিন্দ্রি ফট ফট স্বাহা ।বায়ু ও নৈঋত কোন বাদে বিল্ব শাখা কাটতে হবে। কলা বৌ বা নব পত্রিকা বেঁধে নিয়ে। প্রণাম করতে হবে।
 
প্রণাম মন্ত্র :--- ওঁ পুত্রানুধনবৃদ্ধার্থং নেষ্যামি চণ্ডিকালয়ম ।বিল্ব শাখা সমাশ্রিত লক্ষী রাজ্যং প্রযচ্ছ মে। আগচ্ছ দেবী চণ্ডিকে সর্বকল্যাণ হেতবে। পূজা গৃহান সুমুখি নমহস্তুতে শঙ্কর প্রিয়ে। ( এবার নব পত্রিকা নিয়ে ঘাটে গিয়ে তীর্থ আহ্বান করে স্নান  করতে হবে) 
তীর্থ আহ্বান :-- ওঁ গঙ্গোদে সরংসি চ সমুদ্র শ্চ সরিতে। ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলহোস্মিন সন্নিদ্ধিং কুরু ।( স্নান করিয়ে আনার পর মণ্ডপের বাইরে একটি নতুন বড়ো গামলায় রেখে প্রথমে আহ্বান পরে। পঞ্চ উপাচারে পূজা তার পর সংকল্প করে নিয়ে বাইরের স্নান করাতে হবে।)  
আহ্বান মন্ত্র :-- "ওঁ নব পত্রিকা বাসিনী দুর্গায়ৈ ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম মম পূজাং গৃহান ভব ।(পঞ উপাচারে পূজা করে নেবেন।) সংকল্প :-- ওঁ বিষ্ণুরোম তৎসদ্য অদ্য আশ্বিন মাসে শুক্ল পক্ষে কন্যা রাশিস্থে ভাস্করে সপ্তমান্তিতিথৌ সাণ্ডিল্য গোত্রস্য অমুক দেব শর্ম্মন অমুক গোত্র অমুক নাম্নে সপ্তজণ্মার্জিত পাপ ক্ষয়ার্থ শ্রী শ্রী ভগবতী নব দুর্গে 
স্নানপিয়ষ্য/(অপরের হলে) স্নাপিয়ষ্যামি। ( নব পত্রিকায় তেল হলুদ মাখানো মন্ত্র) মন্ত্র :--ওঁ শ্রায়ন্তু ইব সূর্য বিশ্বেদিন্দ্রেস ভক্ষত ।বসুনি জাত জনিমান্যজসা প্রতিভাগং ন দধীম। ওঁ নানা রূপ ধরে দেবী দিব্যবস্ত্রাবগুন্ঠিতা তবানুলেপনমাত্র তক্ষাঘাত বিনশ্যন্তি ।( এবা নব পত্রিকা স্নান করাতে হবে ।) 
                                       
কদলীতরু স্নান মন্ত্র :-কদলীতরু সংস্থাসি বিষ্ণুর্বক্ষস্থলাশ্রযয়ে ।নমহস্তুতে নব পত্রিকে ত্বং নমহস্তুতে চণ্ডনায়িকে । 
কচ্চী তরু ( কচু) মন্ত্র :--ওঁ কচ্চী ত্বং স্থাবরাস্থাসি সদা সর্বসিদ্ধি দায়িনী। দুর্গা রূপেন সর্বত্র স্নানেন বিজয়ং কুরু।
 হরিদ্রা :--ওঁ হরিদ্রে হররূপসি সদা ত্বং শঙ্কর প্রিয়ে। রূদ্ররূপাসি দেবী ত্বং সর্বশান্তি প্রযচ্ছ মে ।
জয়ন্তী :--ওঁ জয়ন্তী জয়রূপসি জগতং জয় কারিনী ।স্নানপীয়ামীহ দেবী ত্বং জয়ং দেহি গৃহে মম। শ্রীফল ( বিল্ব) ওঁঁ শ্রীফল শ্রনিকেতনসি সদা বিজয় বর্ধনে। দেহি মে হিতকামাশ্চ প্রসন্ন ভব সর্বদা। 
দাড়িম্ব :-- ওঁ দাড়িম্বঘবিনাশায় ক্ষুন্নাশয় সদা ভুবি ।নির্ম্মিতা ফলকামায় প্রসাদী ভব হরপ্রিয়ে । 
অশোক :--ওঁ স্থির ভব সদা দুর্গে অশোকে শোকহারিনি ।ময়া ত্বং পূজিতা দুর্গে স্থির ভব ভবপ্রিয়ে। 
মান ( মানকচু) :--ওঁ মান মান্যেষু বৃক্ষেষু মাননীয় সুরাসুরৈ ।স্নানপীয়ামীহ মহাদেবী মানং দেহী নমহস্তুতে । 
ধান্য (ধানগাছ) :--ওঁ লক্ষী ত্বং ধান্যরূপাসি প্রাণিনাং প্রাণ দায়িনী। স্থিরাত্যন্তং হি ন ভূত্বা কামপ্রদা ভব। 
মহাস্নান :-- প্রথম নবপত্রিকা গামলা থেকে তুলে, একটি বিচিত্র পিঁড়ি বা চৌকির উপর রেখে সামনে একটি গামলা রেখে তাতে আয়না বসাতে হবে। আয়না এমন ভাবে বসাতে হবে, তার উপর যেন সহস্র ধারা বসানো যায়। আয়না বাবার আগে তাতে তেল হলুদ আমলকি চূর্ণ মাখাতে হবে।

আয়নায় তেল হলুদ মাখানো মন্ত্র :-- ওঁ তৈল যদ্রুক্ষাদোষঘ্ন ওঁ তৈলং যচ্চাদ্রকং স্মৃতম ।তেন ত্বাং স্নাপয়ামদ্য প্রসীদ ভব ভুবনেশ্বরী ।ওঁ হরিদ্রে কৃমিদোষঘ্ন শোভনা চ সুশীতলা ।
অতস্ত্বাং ত্রিজগদ্ধাত্রী লেপ্যয়ামি যথেচ্ছয়া ।ওঁ আমল্যকনায় দেবী কেশং সংশোধয়ামি তে। প্রসীদং দেবী দুর্গে সর্ব কল্যাণ কারিনী।
মহাস্নান মন্ত্র :-- ওঁ আত্রেয়ী ভারতী গঙ্গা যমুনা চ সরস্বতী। সরযূ গর্ণ্ডকী পূণ্যা শ্বেতগঙ্গা চ কৌশিকি। ভগবতী পাতালে চ স্বর্গে মন্দাকীনি স্তথা। সর্বে সুমনস্য ভূত্তে ভৃঙ্গারৈ স্নাপয়ন্তুতা ।সুরাস্তামভিষিঞ্চুন্তু ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর। বাসুদেব জগন্নাথ স্তথা সংকর্ষণ প্রভু। প্রদ্যুম্নশ্চনিরূদ্ধশ্চ ভবন্তু বিজয় বৈ সদা। আখণ্ডলোর্হগ্নি যম বৈ নৈঋত স্তুতা। বরুণা পবনাশ্চ ধনাধক্ষ্য তথা শিব। ব্রহ্মণা সহিত শেষ দিকপাল পান্তু তে সদা। ওঁ কীর্তি লক্ষী ধির্তী মেধা পুষ্টি শ্রদ্ধা ক্ষমা মতি। বুর্দ্ধি লজ্জা বপু কান্তি শান্তি তুষ্টি চ মাতর। এতস্তামভিষিঞ্চন্তু ধর্মপত্না সুসংযতা ।আদিত্যশ্চন্দ্রমা বুধসীকর্তাজা ।গ্রহস্তামভিষিঞ্চন্তু রাহু কেতুশ্চ তর্পিতা। ঋষয় মুনয় গাব দেবমাতর এব চ । দেবপত্না ধ্রুব নাগা দৈতদানবাস্পরা গনা। অস্ত্রানি সর্ব শস্ত্রানি রাজনি বাহনানি চ । ঔষধানি কালস্য বায়বাস্য চ। সাগর সরিতা শৈল্য তীর্থানি জলদা নদা । দেব গন্ধর্ব যক্ষ রাক্ষস পন্নগা। এতেস্তাম ভিষিঞ্চন্তু ধর্ম কামার্থ সিদ্ধয়ে । ওঁ সিন্ধু ভৈরব শোন্যদা যে নদা ভূবি সংস্থিতা। সর্বে সুমনস্য ভূত্তে ভৃঙ্গারৈ স্নাপয়ন্তুতা। ওঁ তক্ষকদাশ্চ যে নাগা পাতাল বাসীনি। সর্বে সুমনস্য ভূত্তে ভৃঙ্গারৈ স্নাপয়ন্তুতা। ওঁ দুর্গে চণ্ডে চণডেশ্বরী বাহারি কার্ত্তীকা। হর সিদ্ধা কালী ইন্দ্রাণী বৈষ্ণবী তথা। ভদ্রকালী বিশালাক্ষী ভৈরবী তথা সর্ব রূপনি। এতে সর্বাশ্চ যোগিন্য স্নাপয়ন্তুতা। শঙ্খ জলে :- ওঁ সর্বেষামধিপ ঈশান নাম নামতো। শূলপানি মহাদেব ভৃঙ্গারৈ স্নাপয়ন্তুতিতাম। গঙ্গা জলে :-- ওঁ মন্দাকিন্যস্তু যদ্ববারি সর্বপাপঘ্ন শুভম।
স্বর্গ স্রোতন্তু বৈষ্ণব স্নান তেন ত। গরম জলে :-- ওঁ পরম পবিত্রমুষ্ণু বহ্ণি জ্যোতি সমন্বিত। জীবন সর্ব পাপাঘ্ন বারি ভৃঙ্গারৈ স্নাপয়ন্তুতিতাম। গন্ধদ্বোক :-- ওঁ গন্ধাঢ্য শোভনং সুশীতলং মনোহরং ।সর্ব পাপহরং বারি ভৃঙ্গারৈ স্নাপয়ন্তুতিতাম ।শুদ্ধ জলে :-- ওঁ যা আপ হি ষ্ঠা ময়া ভু স্তা ন ঊর্জ্জে দধাতন মহারণায় চক্ষসে ।ওঁ য বো শিবতম রসস্তস্য ভাজয়তেহ নঃ । উশতীরিব মাতর । স্তমা অরং গমাম বো যস্য ক্ষরায় জিম্বথ। আপ জনয়থা চ নঃ। ওঁ শন্নোদেবীরভীষ্টয়ে শন্নো ভবন্তু পীতয়ে । শং যোরভি স্রবন্তু ন। মধু :-- ওঁ মধুবাতা ঋতয়তে, মধু ক্ষরন্তি সিন্ধব। মাধর্ব্বীন সন্তোষধী ওঁ মধু নক্তোমুতসে মধু মৎ পার্থিবং রজ। ওঁ মধু দৌড়স্তূ নপীত। ওঁ মধুমান্নো বনোস্পতে অস্তু সূর্য ।মাধবী গার্ব্ব ভবন্তু ন। কুশদোক :-- ওঁ দেবস্য ত্বা সবিতু প্রসবেহর্শ্বিনো পুঞ্চ হস্ত ভ্যমাদদে ।ফুলদোক :-- ওঁ আশ্বিনৈ ভৈষজন্য ব্রহ্মবর্চাসায়া ভিষিঞ্চিয়ামি ।ওঁ সরস্বতৈ ভৈষজন্যবীর্য্যায়ান্নাদ্যয়া ভিষিঞ্চিয়ামি ।ওঁ ইন্দ্রায়ান বলয়ে শ্বিয়ৈ যশসেহ ভিষিঞ্চিয়ামি ।স্বর্ণদোক :-- ওঁ পৃথিবীং স্বর্ণ রূপেন দেবতিষ্ঠন্তি বৈ সদা ।সর্ব পাপ বিনাশার্থং স্নাপিয়ষ্যামি মহেশ্বরী ।রজতোদক :--

Wednesday, 20 October 2021

অদূর ভবিষ্যতে বাঙালি হিন্দু বাংলায় ইতিহাস হয়ে যাবে।

অনেকেই আছেন যারা বলবেন আপনি ধর্মীয় উস্কানি কানি দিচ্ছেন বা সাম্প্রদায়িকতা কে উস্কানি  দিচ্ছেন। আপনার বা আপনাদের মনে হতে পারে কিন্তু এই কথাটা ভেবে দেখুন তো, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান সহ আরও কয়েকটি দেশে সনাতন ধর্মের মানুষ নিরঙ্কুশ ছিল। আস্তে আস্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আজ বাঙালির সেই অবস্থা এসে দাঁড়িয়েছে। কেন বলছি একটু ইতিহাস জেনে নিন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব ছিল তা সত্ত্বেও সনাতন ধর্মের মানুষ বেশি ছিল। সেই সময় সনাতন ধর্মের মধ্যেই প্রবল বর্ণ বিদ্বেষ ছিল। আর এই সুযোগটা কে হাতিয়ার করে বাঙালি কে পরাধীনতার নাগপাশে বন্দি করে ছিলেন। ইখতিয়ার উদ্দিন মহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি বা বখতিয়ার খলজি ১২০৩ থেকে ১২০৬ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে তিনি সমগ্র বাংলাদেশ দখল করে নিয়েছিলেন। শুরু হলো ইসলামের শাসন, তা সত্ত্বেও নিজের অস্তিত্ব নিয়ে ঠিঁকে ছিল সনাতন ধর্মের মানুষ। তার পর যখন বনিক ইংরেজ এদের হাত থেকে সুকৌশলে বাংলার শাসন ভার গ্রহণ করলেন, তখন তারা সেই ধর্মের নামে বিভাজন আর সনাতন ধর্মের গোঁড়ামি কাজে লাগিয়ে দেশ শাসন করতে লাগল শুরু হলো মিশনারি শিক্ষা এবং এই মিশনারি দের একটা বড় কাজ ছিল ধর্ম পরিবর্তন করা । অনেকেই তখন খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহণ করে ছিলেন এমনকি বিখ্যাত কবি মধুসূদন দত্ত এ ধর্ম গ্রহণ করে ছিলেন ।এভাবে ইংরেজ শাসক কী করত উচ্চ বর্ণের হিন্দু দের তাদের দপ্তরে চাকরি দিতে আরম্ভ করে দিলেন। যাতে করে বিভাজন আরও পষ্ট হয়ে গেল। ইংরেজ শাসনের মধ্যেই হিন্দি বিশেষ করে মারোয়ারি সম্প্রদায়ের মানুষ, ধর্ম পরিবর্তন জন্য না কিছু করলেও নিজের কালচার এবং অর্থনৈতিক ভাবে বাঙালি কে খাটো করার ষড়যন্ত্র করতে থাকল, ইংরেজের পাশাপাশি। গান্ধী নামক লোকটা কে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ইংরেজ রা ডেকে এনে কংগ্রেসের অর্থাৎ অক্টোভিয়ান হিউম এর তৈরি করা একটা সভায় যোগ দিতে বললেন কারণ ওখানে বাঙালি আধিপত্য খর্ব করতে হবে। তিনি কী করলেন, বাঙালির প্রতি টি আন্দোলন কে কি করে বন্ধ করা যায় তার ব্যবস্থাপনা করে দিতে লাগলেন, একটা উদাহরণ দিই। অসহযোগ আন্দোলন যেটা বঙ্গ ভঙ্গ আন্দোলনের পরবর্তী কালে বাংলা থেকে শুরু হয়েছিল। ব্রিটিশ সরকার ভীষণ দমন পীড়ন চালাছিল, এই সময়ে চৌরিচোরা থানায় আগুন ওনার সহ্য হলো না আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলেন। আর যাতে তার স্বজাতি ( মারোয়ারি) বিনা বাধায় ব্রিটিশদের সাথে ব্যবসা করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে বার বার ইংরেজের সাথে গোল টেবিল বৈঠক করতেন।
আর আজ সেই হিন্দি সাম্রাজ্য বাদের একটা অংশ সেই গুজরাতি গোষ্ঠীর হাতে দেশ, কি হচ্ছে গোটা দেশে চলছে হিন্দি আগ্রাসন বিশেষ করে বাঙালি জাতি কে সমূলে ধ্বংস করতে তৈরি হয়েছে। দেখছেন না আসামে ১৪ লক্ষ হিন্দু বাঙালি আজ ডিটেশন ক্যাম্পে মৃত্যুর দিন গুনছে। কারণ এদের কে বাংলাদেশী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, অথচ এরা কথায় কথায় কি বলছে আমরা হিন্দু দের নাগরিকত্ব দেব। কীভাবে, না বছরের পর বছর ডিটেনশন ক্যাম্পের দুর্বিসহ জীবন কাটিয়ে বেঁচে থাকলে তবে। অথচ দেখুন এই বাংলা ভাগ করেছিলেন কারা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী সহ আরও কত জন বাঙালি এবং তখন কার দিল্লির তথাকথিত দেশ বরেণ্য নেতা গান্ধী নেহেরু আর অবশ্যই ইংরেজ শাসক। কিসের ভিত্তিতে না ধর্মের নামে, সেই ১৯৪৬ বা ১৯৪৭ সালে গোটা বাংলার পুর্ব বঙ্গে বাঙালি হিন্দু ছিলেন ৪৫% আর পশ্চিমবঙ্গে ৫৫% হিন্দু বাঙালি, এবার হিসেবে দেখুন এক দল উগ্র ইসলাম ধর্মের মানুষ তাদের তাদের কীভাবে অত্যাচার করেছে সম্পদ লুট করে নিজের করেছে সেই বাহান্ন শতাংশ হিন্দু এবং বাংলা দেশ থেকে ঐ সময় থেকে ৮% শতাংশ হিন্দু চলে এসেছে। যাদের পরিচয় বাঙালি নয় বাঙাল বলে। এটাও হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী দের একটা সুক্ষ্ম চাল যাতে কিছুতেই বাঙালি জাতি এক হতে না পারে, আগেই বর্ণ ভেদ ছিল, চাঁড়াল, মুচি মেথর, বাগদী, শুদ্র নমশুদ্র হাজারো ভাগ আরেকটা ভাগ শুরু করে দেওয়া হল বাঙাল ও ঘটি। আর ও দিকে তথাকথিত ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার সময় ওখানে হিন্দু বাঙালি ছিল ৩১% শতাংশ এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ৭% শতাংশ থেকে ৮% শতাংশে। বেশ কিছু ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, আর বেশ কিছু কে জোর করে ধর্মের পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হয়েছে ।অনেকেই বাঁচার তাগিদে ধর্ম পরিবর্তন করে নিয়েছেন। আগেই বলেছি খলজির আক্রমণের অর্থাৎ মুসলিম শাসকদের আগ্রাসনে এবং উচ্চ বর্ণের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ আর ইংরেজ আমলে কৌশলে খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহণ। আর হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী দের চক্রান্ত ও ধর্মের নামে দেশ ভাগের মধ্যে দিয়ে ইসলাম ধর্মের মানুষের লুটতরাজ আর ধর্মের পরিবর্তন করতে বাধ্য করা এবং দেশ ছাড়তে বাধ্য করা। এসব কারণে এমন একটা দিন আসবে তখন ঐ আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, আরও কয়েকটি দেশের মত ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে বাঙালি হিন্দু বা বাঙালি সনাতন ধর্মের মানুষ ছিল, আজ তারা অতীত। অনেকেই বলবেন আপনি ধর্মীয় উস্কানি দিচ্ছেন, এখানে বলি এই কথাটা বলতে বলতে বা শুনতে শুনতে আজ দেওয়ালে এসে পিঠ ঠেকে গেছে। কারণ আরেক দল কয়েক যুগ ধরে ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ খুন করে যাচ্ছে বাংলাদেশে মুসলিম শাসকদের সময় ছিল, ইংরেজ শাসনের সময়েও ছিল এখন তো আরও বেশি হয়েছে কারণ ঐ দেশের শাসকের মদতে অশান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দেখুন একটা পনেরো বছরের ছেলে ফেসবুকে কি স্ট্যাটাস দিয়ে ছিল তার জন্য তথাকথিত শান্তির ধর্মের লোকজন রংপুর জেলার জেলে বস্তিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। যারা আগুন দিল তাদের একজন কেও গ্রেফতার করে নি। ফেসবুক থেকে নেওয়া screenshot দিলাম।

তাহলে কি বলবেন সরকারের মদত নেই খুব মদত আছে, কারণ এখনো যে টুকু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পদ আছে তা লুট করতে হবে। আর সামনে ভোট আছে সে কারণেই ওখানের তথা বাংলাদেশের শাসক একটু দরদ দেখাচ্ছে।অতবড় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে লড়াই করে তাদের তাড়িয়ে এই বাঙালি আর এই অশিক্ষিত যারা মিসাইলের বিরুদ্ধে শোর্ড নিয়ে লড়াই করে তাদের কিছু করতে পারি না কারণ কি? যুগ যুগ ধরে এই অত্যাচার সহ্য করার আমাদের একতা হীনতা যেটা স্বাধীনতার আগে থেকেই চেষ্টা করে ইংরেজ এবং হিন্দি বলয় সফল আসুন সমগ্র বাঙালি এক হয়ে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করি। যেমন ১৯৪৬ সালের দাঙ্গা কলকাতায় তিন দিন পর গোপাল পাঁঠা (মুখার্জী) সকল কে একত্রিত করে এদের উচিত শিক্ষা দিয়ে ছিল তবে ওদের মত মা বোনের উপর অত্যাচার করে নি। ছিঃ ছিঃ এটা নাকি শান্তির ধর্ম এটা নাকি ইসলাম যুগের পর যুগ একটা জাতি কে ধ্বংস করতে উদ্যত আসুন এক জোট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ইংরেজ আমলের গোপন সভা সমিতি মনে আছে যুগান্তর অনুশীলন, আরও কত কি সেই রকম গড়ে তোলার চেষ্টা করুন, একজন অনন্ত মাষ্টার দা দরকার এই সময় কিম্বা প্রীতিলতা, কিম্বা গনেশ ঘোষ কিম্বা কল্পনা দত্ত। কারণ এই সব ধর্মান্ধ মানুষ কোন দিন নিজেকে পরিবর্তন করবে না। আবারও বলছি এখনও ঘুরে না দাঁড়ালে অদূর ভবিষ্যতে বাঙালি হিন্দু জাতি কেবল ইতিহাস হয়ে যাবে। 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...