Anulekhon.blogspot.com
Thursday, 28 October 2021
শিক্ষাকে বেসরকারি করার ব্যাপারে আরেকটা ধাপ এগিয়ে যাওয়া।
screenshot নেওয়া ছবি । জাতীয় স্তরে শিক্ষার মান উন্নয়নের সমীক্ষা করা হচ্ছে। যখন বিদ্যালয় খোলা নেই, সরকারি যে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে আজ প্রায় দু বছর হয়ে গেলো খোলার জন্য কোন পরিকল্পনা নেই। শিক্ষা কে শিকেয় তুলে শিক্ষা নিয়ে শিক্ষক আর ছাত্র দের উৎকর্ষ সমীক্ষা। কী দারুণ একটা ব্যাপার হচ্ছে, সরকার জানে সরকারি বিদ্যালয়ের সেই পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায় নি যে অন লাইন পঠন পাঠন চালানো যায় বা যে টুকু আছে তা দিয়েও শিশুর কাছে শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা যায় নি। কারণ শিক্ষক (এই রাজ্যের শাসক দলের শিক্ষক শিক্ষিকা গন এখনও চায় না বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক। ) দের একটা অংশ চায় না এই ভাবে চলছে চলুক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ সে নিয়ে যেমন শাসকের কোন উচ্চ বাচ্য নেই, বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে, সেই কারণেই এবং শিক্ষা কে বেসরকারি করনের জন্য, যে দেখ যত লেখা পড়া হচ্ছে সব বেসরকারি বিদ্যালয়ে ।আর এই কারণেই এই সমীক্ষা যত বিদ্যালয় কে সমীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে তার বেশিরভাগই বেসরকারি বিদ্যালয়। যেমন বিবেকানন্দ এ্যাকাডেমি, বিবেকানন্দ শিশু শিক্ষা নিকেতন, শতভিষা পাবলিক স্কুল। এ রকম বহু বিদ্যালয়ের নাম আছে, যাদের উপর সমীক্ষা করা হবে সেই তালিকায়। অনেকেই বলবেন উল্টো টা হতে পারে, যে এই বেসরকারি বিদ্যালয়ে ঠিক মত পড়ানোর হয় কিনা সেটা জানতে এই সমীক্ষায় ওদের অন্তর্ভুক্তি বেশি। ভবিষ্যতে অনুমতি নাও মিলতে পারে তার জন্য এই ব্যবস্থা করা, সেটা হবে না কারণ সরকার যদি মনে করেন যে এই সব ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ইংলিশ মিডিয়ায় নামক বাংরেজি বিদ্যযালয় গুলো বন্ধ করে দিতে তাহলে অনেক আগেই দিল্লি সরকারের মত বিদ্যালয় গুলিতে সর্বশিক্ষার মাধ্যম কম্পিউটার, প্রজেক্টের, আরো অন্যান্য সুবিধা এবং শিক্ষার সিলেবাস কে বা পঠন পাঠন আরও সহজ করে ভিডিও গ্রাফ তৈরি করে দেওয়া যাতে করে প্রজেক্টেরের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রী শিক্ষা নিতে পারে। দিল্লির সরকার যেভাবে করেছে, ওখানে বেসরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্র কমতে শুরু করেছে। আমাদের রাজ্যের সরকারের ইচ্ছা নেই, আর কাদের নিয়ে এসব ভাববে ঐ 75% আর 25%.আর কত গুলো ল্যাম্পপোষ্ট নিয়ে এতো এক নায়ক তন্ত্র একমেব অদ্বিতীয়ম কি কিউট তাই না। কেবল ঘুষ নাও আর চাকরি দাও, আর এই ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া ছেলে মেয়েরা এরা এসে কোন রকম যদিও ক্লাসে গেল মোবাইল ফোনে ব্যস্ত যত ফোন ঐ সময়ের জন্য আসবে বা আরো কিছু আর পড়ানোর কি সুন্দর একটা ছেলে যে সব ঠিক করে তাকে বলে দেওয়া তুই সব দেখে দে আর পড়ানোর দায়িত্ব তার নিজে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত। কোন চিন্তা নেই, কারণ একটাই শাসক দলের ঝাণ্ডা নিয়ে মিছিল করলেই সব কিছু ঠিক আছে।আসলে যত অশিক্ষিতের সংখ্যা বাড়বে তত ভালো কারণ মদ মাংস খাওয়ার টাকা পেলে তারা সব কিছু করতে পারবে এবং এতে সুবিধা আছে নেতাদের। বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেল।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment