স্বাস্থ্ সাথী কার্ড নিয়ে দীর্ঘ দিন নানা প্রচার করা হচ্ছে, প্রচারের ঠেলায় সারা দেশের মানুষ জানাচ্ছে কি না কি হচ্ছে। কেবল আমাদের রাজ্যের নয়, দিল্লির সরকারের আয়ূষমান ভারত বলে একটি প্রকল্প আছে।
এই আয়ূষমান ভারত এর যে স্বাস্থ্য কার্ড এটি এই রাজ্যে সে ভাবে শুরু করতে দেওয়া হয়নি। অল্প বিস্তর মানুষের আছে, কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী রাজ্যের এই প্রকল্পের কার্ড গত বছর দুয়ারে সরকার করে দেওয়ার চেষ্টা কিন্তু দুর্ভাগ্য আবেদন করার পরেও অনেকেই পায় নি। আবার যদি বা পেয়েও চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম সেটা গ্রহণ করতে চাইছে না কারণ যে পরিমাণ খরচ সে পরিমান টাকা সরকার দেয় না। এই নিয়ে বর্তমান একটি বেসরকারি হাসপাতাল সরকারের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করেছে।
এবার আসল কথায় আসা যাক পশ্চিমবঙ্গ সরকার বর্তমানে একটি আদেশে করেছেন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড অবশ্যই লাগবে। অর্থাৎ যে পরিবারের এই কার্ড নেই তারা আর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারবেন না। রাজ্যের বেশিরভাগ শিক্ষক এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করেন নি বা নেননি, কারণ একটাই তাদের বেতন থেকে পাঁচ শ টাকা কেটে নেওয়া হবে। অর্থাৎ বছরে ছ হাজার টাকা তিনি কম বেতন পাবেন। সরকার যখন এই প্রকল্পের সুচনা করেন তখন থেকেই একটা চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে করে শিক্ষকরা এই কার্ড ব্যবহার করে তাহলে তাদের মেডিক্যাল এ্যলাউন্স ঐ পাঁচশ টাকা বেতন কম দেওয়ার, অর্থাৎ যে কোন ভাবেই হোক বেতন কেটে নাও বা শিক্ষক দের বঞ্চিত করা যায় তার চেষ্টা। দারুণ অদ্ভুত সরকার একে ডিএ নেই বাজারে জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। আর এই ডি এ বঞ্চনার জন্যে সাধারণ মানুষের হাতে টাকার যোগান নেই। করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনেক ছোট খাটো কোম্পানি শ্রমিক ছাঁটাই করে দিয়েছে। ঘরে ঘরে বেকার একটা কাজের জন্য ছুটে বেড়াচ্ছে। টাকা নেই মানুষ হাতে, বেড়েছে ভিক্ষারি, বেড়েছে চুরি, এই কয়দিনের মধ্যেই হরিপাল থানা এলাকার বলতে গেলে থানার নাকের ডগার সব এলাকায় দোকান ও বাড়ি মিলিয়ে মোট ষোল জায়গায় চুরি হয়েছে। এক জায়গায় একজন ধরা পড়েছে। তাতেও বন্ধ হয়ে যায় নি চুরি, কারণ একটাই ঐ অভাব, এটা সত্তর থেকে আশি দশক পর্যন্ত সব থেকে বেশি দেখেছি। যাহোক বর্তমান সরকারের লক্ষ্য একটাই যে কোন ভাবে বেতন কমিয়ে মানুষ ভিক্ষারি বানিয়ে ছেড়ে দাও। দেখুন সব রকম সরকারি নিয়োগ বন্ধ, কারণ বেতন দিতে হবে। দাদা দিদি সব একই পথের পথিক, কেউ বেকার যুবক যুবতীদের চাকরি দিতে চায় না। কেবল ঐ এই প্রকল্প চালু করা হলো, এই পাঁচ শ টাকা হাজার টাকা দিলাম, আবার গালভরা নাম আছে। কে পেল না পেল দেখার দরকার নেই আমার ভাই ভাইপো ভাইঝি দের পেট ভরে গেল, এবং আমার কাছে 25% এলো ওতেই হবে।
No comments:
Post a Comment