Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 23 October 2021

রাজ্যের চাকরি শেষ নেই, বেকার ছেলে মেয়ে খুঁজে পাওয়া ভার।

 


 পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলা চুক্তির ভিত্তিতে খাদ্য দফতরে চাকরি দেবে। তবুও তো কাজ দেবে, এর পরেও চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন কেন? আত্মহত্যা সমাধানের পথ নয়। পথ হচ্ছে এই সিস্টেম এর বিরুদ্ধে লড়াই আন্দোলন করা হতাশা গ্রাস করে জানি কিন্তু আত্মহত্যা সমাধান নয়। কখনো কোন অবস্থাতেই আত্মহত্যা করা উচিত নয়। আত্মহত্যা মানে এই অব্যবস্থা কে মেনে নেওয়া। এটা কখনই চলতে পারে না, আজ না হয় কাল এই দূর্বিসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি আসবে।
ছবিটি ফেসবুক থেকে screenshot করে নেওয়া। আমি জানি বেকার ছেলে মেয়ে দের যন্ত্রণা, হতাশা এলে বেশি করে বন্ধু বান্ধবের সাথে মেশ নিজের কষ্টের কথা তাদের সাথে ভাগ করে নাও তবুও আত্মহত্যা নয়। মন কে অন্য দিকে নিয়ে যাও, আমি জানি চাকরি তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি নেই অনেকেই অনশন করছেন, এবং নানা ভাবে আন্দোলন করেছে কোর্টে কেস করেও চাকরি হয় নি। এ সরকার কোর্টের রায় মানে না। আর এই সরকার কোন দিন কাউকে ঘুষ ছাড়া চাকরি দেবে না। সে শিক্ষক থেকে শুরু করে, আই সি ডি এসের কর্মী এমন কি আশা কর্মী হতে হলেও ঘুষ দিতে হবে। যার ঘুষ দেওয়ার ক্ষমতা নেই সে কোন দিন কোন সরকারী চাকরী পাবে না। আর বেসরকারি তার অবস্থা খুব খারাপ, কারন কম্পিউটার বা তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে পড়া শোনা করা ছেলে মেয়ে গুলো চলে যাচ্ছে অন্য রাজ্যে এই রাজ্যের সরকার উইপ্রো, ইনফোসিস কে জায়গা দেয় নি। অটো মোবাইল সে বাদ দাও টাটা চলে যাবার পর আর কোন বড়ো শিল্প এখানে আসেনি, উল্টো হয়েছে হিন্দ মোটর বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সরকার একটা কাজ করছে, অনেক শ্রী আর ভাণ্ডার দিচ্ছে জিনিস পত্রের দাম কত কমিয়ে দিয়েছে। 2008 সাল থেকে কম দামে সব জিনিস পত্র কেনা যাচ্ছে। চাকরি সে তো কথাই নেই, কেন্দ্রীয় সরকারের বছরে 2 কোটি x 7 বছর = 14 কোটি আর রাজ্যের 2 লক্ষ x 11 বছর = 2 2 লক্ষ এখন পর্যন্ত মোট 14 কোটি 22 লক্ষ ছেলে মেয়ে চাকরি পেয়েছে। আবার মাঝে মাঝে এই রকম আছে, চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ কত চাকরি। লক্ষী ভাণ্ডারে পাঁচ শ টাকা। এখন এই রাজ্যে বেকার থাকার কথা নয়, একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করতে হবে। একশ দিনের কাজ, পঞ্চায়েত প্রধান এর পাশে থেকে একটু বুদ্ধি লাগানো ব্যস আর যায় কোথায়। জিনিস পত্র সে তো জলের দাম মাসে মাত্র পাঁচ শ টাকা খরচ করে সব কেনা যাবে। আরে এই কারণেই মি ডে মিলের রাঁধুনী দের বেতন 1500 টাকা দু জনের টাকা এলে দলের সদস্যরা সবাই ভাগ করে নেয়। তিন জন হলে 1000 টাকা আর ছ জন হলে 500 টাকা। এতেই এত বছর চলে গেছে এখন এতো জিনিস পত্র জলের দাম এতে চলবে না। তাই বলছি আত্মহত্যা কোনো পথ নয়, হতাশ হয়ে এই কাজ টি করো না, জীবন একটাই লড়াই করে বেঁচে থাকা ছাড়া উপায় নেই। কারণ যে দিকে তাকিয়ে দেখি কেবল মিষ্টি খাবার টাকা কেবল তোয়ালে মুড়ে নিতে হবে এই 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...