Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 20 October 2021

অদূর ভবিষ্যতে বাঙালি হিন্দু বাংলায় ইতিহাস হয়ে যাবে।

অনেকেই আছেন যারা বলবেন আপনি ধর্মীয় উস্কানি কানি দিচ্ছেন বা সাম্প্রদায়িকতা কে উস্কানি  দিচ্ছেন। আপনার বা আপনাদের মনে হতে পারে কিন্তু এই কথাটা ভেবে দেখুন তো, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান সহ আরও কয়েকটি দেশে সনাতন ধর্মের মানুষ নিরঙ্কুশ ছিল। আস্তে আস্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আজ বাঙালির সেই অবস্থা এসে দাঁড়িয়েছে। কেন বলছি একটু ইতিহাস জেনে নিন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব ছিল তা সত্ত্বেও সনাতন ধর্মের মানুষ বেশি ছিল। সেই সময় সনাতন ধর্মের মধ্যেই প্রবল বর্ণ বিদ্বেষ ছিল। আর এই সুযোগটা কে হাতিয়ার করে বাঙালি কে পরাধীনতার নাগপাশে বন্দি করে ছিলেন। ইখতিয়ার উদ্দিন মহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি বা বখতিয়ার খলজি ১২০৩ থেকে ১২০৬ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে তিনি সমগ্র বাংলাদেশ দখল করে নিয়েছিলেন। শুরু হলো ইসলামের শাসন, তা সত্ত্বেও নিজের অস্তিত্ব নিয়ে ঠিঁকে ছিল সনাতন ধর্মের মানুষ। তার পর যখন বনিক ইংরেজ এদের হাত থেকে সুকৌশলে বাংলার শাসন ভার গ্রহণ করলেন, তখন তারা সেই ধর্মের নামে বিভাজন আর সনাতন ধর্মের গোঁড়ামি কাজে লাগিয়ে দেশ শাসন করতে লাগল শুরু হলো মিশনারি শিক্ষা এবং এই মিশনারি দের একটা বড় কাজ ছিল ধর্ম পরিবর্তন করা । অনেকেই তখন খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহণ করে ছিলেন এমনকি বিখ্যাত কবি মধুসূদন দত্ত এ ধর্ম গ্রহণ করে ছিলেন ।এভাবে ইংরেজ শাসক কী করত উচ্চ বর্ণের হিন্দু দের তাদের দপ্তরে চাকরি দিতে আরম্ভ করে দিলেন। যাতে করে বিভাজন আরও পষ্ট হয়ে গেল। ইংরেজ শাসনের মধ্যেই হিন্দি বিশেষ করে মারোয়ারি সম্প্রদায়ের মানুষ, ধর্ম পরিবর্তন জন্য না কিছু করলেও নিজের কালচার এবং অর্থনৈতিক ভাবে বাঙালি কে খাটো করার ষড়যন্ত্র করতে থাকল, ইংরেজের পাশাপাশি। গান্ধী নামক লোকটা কে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ইংরেজ রা ডেকে এনে কংগ্রেসের অর্থাৎ অক্টোভিয়ান হিউম এর তৈরি করা একটা সভায় যোগ দিতে বললেন কারণ ওখানে বাঙালি আধিপত্য খর্ব করতে হবে। তিনি কী করলেন, বাঙালির প্রতি টি আন্দোলন কে কি করে বন্ধ করা যায় তার ব্যবস্থাপনা করে দিতে লাগলেন, একটা উদাহরণ দিই। অসহযোগ আন্দোলন যেটা বঙ্গ ভঙ্গ আন্দোলনের পরবর্তী কালে বাংলা থেকে শুরু হয়েছিল। ব্রিটিশ সরকার ভীষণ দমন পীড়ন চালাছিল, এই সময়ে চৌরিচোরা থানায় আগুন ওনার সহ্য হলো না আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলেন। আর যাতে তার স্বজাতি ( মারোয়ারি) বিনা বাধায় ব্রিটিশদের সাথে ব্যবসা করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে বার বার ইংরেজের সাথে গোল টেবিল বৈঠক করতেন।
আর আজ সেই হিন্দি সাম্রাজ্য বাদের একটা অংশ সেই গুজরাতি গোষ্ঠীর হাতে দেশ, কি হচ্ছে গোটা দেশে চলছে হিন্দি আগ্রাসন বিশেষ করে বাঙালি জাতি কে সমূলে ধ্বংস করতে তৈরি হয়েছে। দেখছেন না আসামে ১৪ লক্ষ হিন্দু বাঙালি আজ ডিটেশন ক্যাম্পে মৃত্যুর দিন গুনছে। কারণ এদের কে বাংলাদেশী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, অথচ এরা কথায় কথায় কি বলছে আমরা হিন্দু দের নাগরিকত্ব দেব। কীভাবে, না বছরের পর বছর ডিটেনশন ক্যাম্পের দুর্বিসহ জীবন কাটিয়ে বেঁচে থাকলে তবে। অথচ দেখুন এই বাংলা ভাগ করেছিলেন কারা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী সহ আরও কত জন বাঙালি এবং তখন কার দিল্লির তথাকথিত দেশ বরেণ্য নেতা গান্ধী নেহেরু আর অবশ্যই ইংরেজ শাসক। কিসের ভিত্তিতে না ধর্মের নামে, সেই ১৯৪৬ বা ১৯৪৭ সালে গোটা বাংলার পুর্ব বঙ্গে বাঙালি হিন্দু ছিলেন ৪৫% আর পশ্চিমবঙ্গে ৫৫% হিন্দু বাঙালি, এবার হিসেবে দেখুন এক দল উগ্র ইসলাম ধর্মের মানুষ তাদের তাদের কীভাবে অত্যাচার করেছে সম্পদ লুট করে নিজের করেছে সেই বাহান্ন শতাংশ হিন্দু এবং বাংলা দেশ থেকে ঐ সময় থেকে ৮% শতাংশ হিন্দু চলে এসেছে। যাদের পরিচয় বাঙালি নয় বাঙাল বলে। এটাও হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী দের একটা সুক্ষ্ম চাল যাতে কিছুতেই বাঙালি জাতি এক হতে না পারে, আগেই বর্ণ ভেদ ছিল, চাঁড়াল, মুচি মেথর, বাগদী, শুদ্র নমশুদ্র হাজারো ভাগ আরেকটা ভাগ শুরু করে দেওয়া হল বাঙাল ও ঘটি। আর ও দিকে তথাকথিত ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার সময় ওখানে হিন্দু বাঙালি ছিল ৩১% শতাংশ এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ৭% শতাংশ থেকে ৮% শতাংশে। বেশ কিছু ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, আর বেশ কিছু কে জোর করে ধর্মের পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হয়েছে ।অনেকেই বাঁচার তাগিদে ধর্ম পরিবর্তন করে নিয়েছেন। আগেই বলেছি খলজির আক্রমণের অর্থাৎ মুসলিম শাসকদের আগ্রাসনে এবং উচ্চ বর্ণের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ আর ইংরেজ আমলে কৌশলে খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহণ। আর হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী দের চক্রান্ত ও ধর্মের নামে দেশ ভাগের মধ্যে দিয়ে ইসলাম ধর্মের মানুষের লুটতরাজ আর ধর্মের পরিবর্তন করতে বাধ্য করা এবং দেশ ছাড়তে বাধ্য করা। এসব কারণে এমন একটা দিন আসবে তখন ঐ আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, আরও কয়েকটি দেশের মত ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে বাঙালি হিন্দু বা বাঙালি সনাতন ধর্মের মানুষ ছিল, আজ তারা অতীত। অনেকেই বলবেন আপনি ধর্মীয় উস্কানি দিচ্ছেন, এখানে বলি এই কথাটা বলতে বলতে বা শুনতে শুনতে আজ দেওয়ালে এসে পিঠ ঠেকে গেছে। কারণ আরেক দল কয়েক যুগ ধরে ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ খুন করে যাচ্ছে বাংলাদেশে মুসলিম শাসকদের সময় ছিল, ইংরেজ শাসনের সময়েও ছিল এখন তো আরও বেশি হয়েছে কারণ ঐ দেশের শাসকের মদতে অশান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দেখুন একটা পনেরো বছরের ছেলে ফেসবুকে কি স্ট্যাটাস দিয়ে ছিল তার জন্য তথাকথিত শান্তির ধর্মের লোকজন রংপুর জেলার জেলে বস্তিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। যারা আগুন দিল তাদের একজন কেও গ্রেফতার করে নি। ফেসবুক থেকে নেওয়া screenshot দিলাম।

তাহলে কি বলবেন সরকারের মদত নেই খুব মদত আছে, কারণ এখনো যে টুকু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পদ আছে তা লুট করতে হবে। আর সামনে ভোট আছে সে কারণেই ওখানের তথা বাংলাদেশের শাসক একটু দরদ দেখাচ্ছে।অতবড় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে লড়াই করে তাদের তাড়িয়ে এই বাঙালি আর এই অশিক্ষিত যারা মিসাইলের বিরুদ্ধে শোর্ড নিয়ে লড়াই করে তাদের কিছু করতে পারি না কারণ কি? যুগ যুগ ধরে এই অত্যাচার সহ্য করার আমাদের একতা হীনতা যেটা স্বাধীনতার আগে থেকেই চেষ্টা করে ইংরেজ এবং হিন্দি বলয় সফল আসুন সমগ্র বাঙালি এক হয়ে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করি। যেমন ১৯৪৬ সালের দাঙ্গা কলকাতায় তিন দিন পর গোপাল পাঁঠা (মুখার্জী) সকল কে একত্রিত করে এদের উচিত শিক্ষা দিয়ে ছিল তবে ওদের মত মা বোনের উপর অত্যাচার করে নি। ছিঃ ছিঃ এটা নাকি শান্তির ধর্ম এটা নাকি ইসলাম যুগের পর যুগ একটা জাতি কে ধ্বংস করতে উদ্যত আসুন এক জোট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ইংরেজ আমলের গোপন সভা সমিতি মনে আছে যুগান্তর অনুশীলন, আরও কত কি সেই রকম গড়ে তোলার চেষ্টা করুন, একজন অনন্ত মাষ্টার দা দরকার এই সময় কিম্বা প্রীতিলতা, কিম্বা গনেশ ঘোষ কিম্বা কল্পনা দত্ত। কারণ এই সব ধর্মান্ধ মানুষ কোন দিন নিজেকে পরিবর্তন করবে না। আবারও বলছি এখনও ঘুরে না দাঁড়ালে অদূর ভবিষ্যতে বাঙালি হিন্দু জাতি কেবল ইতিহাস হয়ে যাবে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...