আর আজ সেই হিন্দি সাম্রাজ্য বাদের একটা অংশ সেই গুজরাতি গোষ্ঠীর হাতে দেশ, কি হচ্ছে গোটা দেশে চলছে হিন্দি আগ্রাসন বিশেষ করে বাঙালি জাতি কে সমূলে ধ্বংস করতে তৈরি হয়েছে। দেখছেন না আসামে ১৪ লক্ষ হিন্দু বাঙালি আজ ডিটেশন ক্যাম্পে মৃত্যুর দিন গুনছে। কারণ এদের কে বাংলাদেশী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, অথচ এরা কথায় কথায় কি বলছে আমরা হিন্দু দের নাগরিকত্ব দেব। কীভাবে, না বছরের পর বছর ডিটেনশন ক্যাম্পের দুর্বিসহ জীবন কাটিয়ে বেঁচে থাকলে তবে। অথচ দেখুন এই বাংলা ভাগ করেছিলেন কারা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী সহ আরও কত জন বাঙালি এবং তখন কার দিল্লির তথাকথিত দেশ বরেণ্য নেতা গান্ধী নেহেরু আর অবশ্যই ইংরেজ শাসক। কিসের ভিত্তিতে না ধর্মের নামে, সেই ১৯৪৬ বা ১৯৪৭ সালে গোটা বাংলার পুর্ব বঙ্গে বাঙালি হিন্দু ছিলেন ৪৫% আর পশ্চিমবঙ্গে ৫৫% হিন্দু বাঙালি, এবার হিসেবে দেখুন এক দল উগ্র ইসলাম ধর্মের মানুষ তাদের তাদের কীভাবে অত্যাচার করেছে সম্পদ লুট করে নিজের করেছে সেই বাহান্ন শতাংশ হিন্দু এবং বাংলা দেশ থেকে ঐ সময় থেকে ৮% শতাংশ হিন্দু চলে এসেছে। যাদের পরিচয় বাঙালি নয় বাঙাল বলে। এটাও হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী দের একটা সুক্ষ্ম চাল যাতে কিছুতেই বাঙালি জাতি এক হতে না পারে, আগেই বর্ণ ভেদ ছিল, চাঁড়াল, মুচি মেথর, বাগদী, শুদ্র নমশুদ্র হাজারো ভাগ আরেকটা ভাগ শুরু করে দেওয়া হল বাঙাল ও ঘটি। আর ও দিকে তথাকথিত ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার সময় ওখানে হিন্দু বাঙালি ছিল ৩১% শতাংশ এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ৭% শতাংশ থেকে ৮% শতাংশে। বেশ কিছু ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, আর বেশ কিছু কে জোর করে ধর্মের পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হয়েছে ।অনেকেই বাঁচার তাগিদে ধর্ম পরিবর্তন করে নিয়েছেন। আগেই বলেছি খলজির আক্রমণের অর্থাৎ মুসলিম শাসকদের আগ্রাসনে এবং উচ্চ বর্ণের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ আর ইংরেজ আমলে কৌশলে খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহণ। আর হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী দের চক্রান্ত ও ধর্মের নামে দেশ ভাগের মধ্যে দিয়ে ইসলাম ধর্মের মানুষের লুটতরাজ আর ধর্মের পরিবর্তন করতে বাধ্য করা এবং দেশ ছাড়তে বাধ্য করা। এসব কারণে এমন একটা দিন আসবে তখন ঐ আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, আরও কয়েকটি দেশের মত ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে বাঙালি হিন্দু বা বাঙালি সনাতন ধর্মের মানুষ ছিল, আজ তারা অতীত। অনেকেই বলবেন আপনি ধর্মীয় উস্কানি দিচ্ছেন, এখানে বলি এই কথাটা বলতে বলতে বা শুনতে শুনতে আজ দেওয়ালে এসে পিঠ ঠেকে গেছে। কারণ আরেক দল কয়েক যুগ ধরে ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ খুন করে যাচ্ছে বাংলাদেশে মুসলিম শাসকদের সময় ছিল, ইংরেজ শাসনের সময়েও ছিল এখন তো আরও বেশি হয়েছে কারণ ঐ দেশের শাসকের মদতে অশান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দেখুন একটা পনেরো বছরের ছেলে ফেসবুকে কি স্ট্যাটাস দিয়ে ছিল তার জন্য তথাকথিত শান্তির ধর্মের লোকজন রংপুর জেলার জেলে বস্তিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। যারা আগুন দিল তাদের একজন কেও গ্রেফতার করে নি। ফেসবুক থেকে নেওয়া screenshot দিলাম।
তাহলে কি বলবেন সরকারের মদত নেই খুব মদত আছে, কারণ এখনো যে টুকু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পদ আছে তা লুট করতে হবে। আর সামনে ভোট আছে সে কারণেই ওখানের তথা বাংলাদেশের শাসক একটু দরদ দেখাচ্ছে।অতবড় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে লড়াই করে তাদের তাড়িয়ে এই বাঙালি আর এই অশিক্ষিত যারা মিসাইলের বিরুদ্ধে শোর্ড নিয়ে লড়াই করে তাদের কিছু করতে পারি না কারণ কি? যুগ যুগ ধরে এই অত্যাচার সহ্য করার আমাদের একতা হীনতা যেটা স্বাধীনতার আগে থেকেই চেষ্টা করে ইংরেজ এবং হিন্দি বলয় সফল আসুন সমগ্র বাঙালি এক হয়ে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করি। যেমন ১৯৪৬ সালের দাঙ্গা কলকাতায় তিন দিন পর গোপাল পাঁঠা (মুখার্জী) সকল কে একত্রিত করে এদের উচিত শিক্ষা দিয়ে ছিল তবে ওদের মত মা বোনের উপর অত্যাচার করে নি। ছিঃ ছিঃ এটা নাকি শান্তির ধর্ম এটা নাকি ইসলাম যুগের পর যুগ একটা জাতি কে ধ্বংস করতে উদ্যত আসুন এক জোট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ইংরেজ আমলের গোপন সভা সমিতি মনে আছে যুগান্তর অনুশীলন, আরও কত কি সেই রকম গড়ে তোলার চেষ্টা করুন, একজন অনন্ত মাষ্টার দা দরকার এই সময় কিম্বা প্রীতিলতা, কিম্বা গনেশ ঘোষ কিম্বা কল্পনা দত্ত। কারণ এই সব ধর্মান্ধ মানুষ কোন দিন নিজেকে পরিবর্তন করবে না। আবারও বলছি এখনও ঘুরে না দাঁড়ালে অদূর ভবিষ্যতে বাঙালি হিন্দু জাতি কেবল ইতিহাস হয়ে যাবে।
No comments:
Post a Comment