Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 21 October 2021

মহাপুরুষের দের বানী ।

 ভারতের আদি যুগ থেকে যে সব মহান ব্যক্তি জন্ম গ্রহণ করেছেন, ভারতের মানুষের ভালো চেয়েছেন। তারা কিছু কথা বলেছেন বা উপদেশ দিয়েছেন সকলের ভালোর জন্য।আবার এরকম আছে যা কোন সময় কোন মহাপুরুষ হয়তো বলেছেন যা কেউ জানে না সেই প্রচলিত কথা গুলো আজ আমার কাছে অন্তত বানী বলে মনে হচ্ছে। এখন গুলো অনেকে মুখে বলেন, মেনে চলেন না। আমি এই বানী গুলো বিভিন্ন বই পত্র পত্রিকা থেকে এবং বিভিন্ন জায়গায় দেওয়াল লিখন থেকে সংগ্রহ করেছি। যদি কিছু মানুষও পড়েন অনেক আমরা এসব ভুলতে বসেছি।

প্রচলিত বানী।
১)সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।
২)ঈশ্বর মানব জাতি সৃষ্টি করিয়াছেন, ধর্ম নয়, ধর্ম মানবের সৃষ্টি।
৩)সকল জীবকে ভালোবাসো, ভালোবাসা বা বন্ধুত্ব শ্রেষ্ঠ ধর্ম।
৪)সদা সত্য কথা বলবে, সৎ পথে চলবে। তাতে বাধা আসবে কিন্তু ফল ভাল হবে।
৫)কেউ আঘাত করলে তাকে আঘাত করিও না পারলে ভালোবেসো।
৬)তোমার মন থেকে পাপ দূর কর, দেখবে সমাজ থেকেও পাপ দূরে যাবে।
৭)অপরের ক্ষতি বা অনিষ্ট করিও না, তাহলে নিজের ক্ষতি বা অনিষ্ট হইবে।
৮)অপর কে দুঃখ কষ্ট দেওয়া মহাপাপ।
৯)মানবের মাঝে দেবতার বাস তাকে অপমান করিও না।
১০)অপরের দুঃখে বা বিপদে আনন্দ নিওনা।
১১)তুমি পাপ করলে বা খারাপ কাজ করলে তার দায় তোমার, কেউ তার ভাগ নেবে না।
১২)সকলের বাঁচার অধিকার আছে। সে অধিকার অপরকে দিতে হবে।
১৩)তুমি তোমার কাজ টুকু করিয়া যাও তাহাতেই সকলের মঙ্গল।
১৪)অপরের দোষ ত্রুটি দেখিও না, নিজের দোষ ত্রুটি দেখিও।
১৫) পরের সম্পদ বা ধন নিজের বলিয়া করিও না। তাহলে বিপদে পড়িবে।
১৬)তোমার ব্যবহার ই তোমার পরিচয়।
১৭) কেউ কটু কথা বললে তাকে কটু কথা বলিও না।
১৮)সংসারের বা সমাজের নিয়ম হচ্ছে, মানিয়ে নেওয়া, যে মানিয়ে নিতে পারে সে বাঁচে।
১৯)কর্মের বিকল্প নাই, সুতরাং যে যার মতো কর্ম করে যাও
২০) অপরের কর্মে বাধা দিওনা, তাহলে তোমার কর্মে বাধা আসিবে।
২১)অপরকে সন্মান দিলে, নিজের সন্মান বজায় থাকে।
২২)তোমার জিনিস অপরে নষ্ট করলে, যেমন তোমার কষ্ট হয়। সে রকম অপরের জিনিস নষ্ট করলে তাহার কষ্ট হয়।
২৩)ভুল মানুষ কে শিক্ষা দেয় কারণ ভুল করতে করতে মানুষ শিক্ষা লাভ করে।
২৪)নিজের দোষ বা অপরাধ অপরের উপর বা অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া মহাপাপ।
২৫)আমাদের নিজের বলে কিছু নেই, যা নিজের বলছ ভেবে দেখো তা অপরের তৈরি।
২৬)কারণে অকারণে অপরের সাথে তুলনা করিও না, তোমার যা আছে সেটাই ভালো।
২৭)উচ্চ ধনী ব্যক্তির সাথে তুলনা করিও না, নিম্ন আয়ের লোকের দিকে দেখো, তাহার থেকে তুমি ভালো আছ কিনা।
২৮)তোমার অনেক বুদ্ধি বা জ্ঞান বেশি, অপরের তা নেই। এই অহংকার করিও না।
২৯)মানবতাই পরম ধর্ম।
৩০)অশিক্ষার থেকে কুশিক্ষা ভীষণ খারাপ।
৩১)ভালোবাসায় সব সব হয়। হিংসা শুধু ক্ষতি করে।
৩২)গরীব হয়ে জন্মানো পাপ নয়, গরীব হয়ে মারা যাওয়াটা পাপ।
৩৩)যা আছে তা রক্ষা করে রাখ, সন্তুষ্ট থাকতে হবে। অপরের দেখে বেশি লোভ কর না।
৩৪)ধৈর্য্য ধরে থাক সুফল পাবে।
৩৫)রক্তের সম্পর্ক বড়ো নয়, ভালোবাসার সম্পর্ক বড়ো।
৩৬)পরের উপকার করা ভালো তবে নিজের ক্ষমতার ভেতরে থেকে। উপকারের প্রতিদান চেয় না।
৩৭ )সকলের উপকার করো না, আগে দেখ সে উপকার নেবার যোগ্য কিনা।
৩৮)কোনো ব্যক্তিকে অসন্মান করিও না, তাহলে নিজে সন্মান পাবে না।
৩৯)চরিত্র ঠিক রাখতে হবে না হলে পরে পস্তাতে হবে।
৪০)বনের বাঘ যেমন বন আর মাংসের কথা ভোলে না। সে রকম চরিত্র হীন রা কোনো দিন নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না।
৪১)দান কর কিন্তু অপাত্রে না।
৪২)মনুষ্যত্ব, বিবেক, চরিত্র ঠিক থাকলে নিশ্চয়ই লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।
৪৩)অসহায় দূর্বল মানুষকে সাহায্য কর, ঈশ্বর তোমার সাথে থাকবেন।
88)কেউ তোমাকে খারাপ বলছে, তুমি নজর দিওনা, নিজের কর্মে এগিয়ে যাও।
৪৫)আদিম যুগে মানুষ অসহায় ছিল, সে তার বুদ্ধি ও আর শ্রম দিয়ে আজকের পৃথীবী তৈরী করেছে। তাই কর্ম করে যাও। উন্নতি হবে।
৪৬)কখনো পিছনে ফিরিয়ে দেখিও না, অতীত কে মনে রেখো, অতীতের ভুল শুধরে কাজ করে যাও।
৪৭)কেউ কেউ কাজের সমালোচনা করেন, করুক তুমি বিরক্তি বোধ করিও না।
৪৮)প্রত্যেকের মধ্যে ভালো মন্দ দুটি গুন আছে। ভেতর থেকে ভালোটি কে বার করে আনো।

রামকৃষ্ণের অমৃত বানী ।
১) যত মত তত পথ।কালী খ্রীষ্ট আল্লাহ সব এক
যত মত তত পথ। কাল কোন ভেদা ভেদ নেই ।
২) শিব জ্ঞানে জীব সেবা করো , তাতেই মুক্তি।
৩) সবেরি ভালো মন্দ থাকে মন্দ টা বাদ দিয়ে ভালো টা নিতে হয় ।
৪) টাকা মাটি মাটি টাকা।৫)পাপ কে ঘৃণা করো পাপী কে নয়। ৬) পাঁকেই তো পদ্ম ফুল ফোটে, সেই ফুলেই মায়ের পূজা হয়। কয় তাতে কি পাঁক লেগে থাকে। ৭) পিতা মাতার ছবি দেখে যেমন পিতা মাতা কে মনে পড়ে। সেরকম দেবতার ছবি দেখে তাকে মনে পড়ে। 
     ৮)মানুষের মন যেমন চঞ্চল দেবতাও চঞ্চল, দেবতা বা ঈশ্বর কে অনুভব করতে হলে মন কে স্থির করতে হবে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...