Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 21 October 2021

মহাপুরুষের দের বানী ।

 

মহাপুরুষ দের বানী ( বিবেকানন্দ ও অন্যান্য।) 


ভারতের বিবেক যার জীবনী না পড়লে যার সম্পর্কে না জানালে জীবন টা ব্যর্থ। শিক্ষা দীক্ষা সব যেন নিরস অসাড় বলে মনে হয়। সেই মহান পুরুষ কেবল মাত্র ভারতের নয় গোটা বিশ্বের মানুষের বিবেক। ধর্ম ধর্মে হানা হানি বন্ধের জন্য ১৮৯৩ খ্রীষ্টাব্দের ১১ ই সেপ্টেম্বর শিকাগো মহা ধর্ম সন্মেলনে ভাষন দিয়ে ছিলেন। আজ থেকে একশ পঁচিশ বছর আগে, যে কথা তিনি ধর্ম সন্মেলনে বলেছিলেন আজও প্রাসঙ্গিক ।কোন ধর্ম ছোট নয়, হিন্দু ধর্ম প্রথম থেকেই পর ধর্ম সহিষ্ণু, যুগে যুগে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ কে আশ্রয় দিয়ে এসেছে। এরকম একজন মহাপুরুষের প্রতি টি কথাই আমার বানী বলে মনে হয়। সেই মহান পুরুষের বলা বেশ কিছু বিখ্যাত কথা যা চির সত্য সে গুলো লিখব। ব্যাখ্যা আপনারা করে নেবেন কেমন। ১)অজ্ঞতা বশতই আমরা পরস্পর কে ঘৃণা করি। ২)অজ্ঞান  অসাম্য ও বাসনা -- এই তিন টি মানব জাতির দুঃখের কারণ ৩)অনন্ত ধৈর্য্য ধরিয়া থাকো, সিদ্ধি তোমার করতলে ।৫)আমরা পাঁচ মিনিটের জন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষুধা নিবৃত্ত করিতে পারি , কিন্তু সে আবার ক্ষুধার্ত হইবে।
৬)আমরা মানুষ কে যাহা কিছু সুখ দিতে পারি, ক্ষনস্থায়ী 
৭)আদর্শ সন্ন্যাসী হওয়া অপেক্ষা আদর্শ গৃহী হওয়া কঠিন।
৮)মানুষ কে পাপী বলাই এক মহা পাপ।
৯)যখন পদ্ম ফোটে, তখন ভ্রমর নিজে নিজেই মধু খুঁজিতে আসে। এই রূপে যখন তোমার হৃদ - পদ্ম ফুটিবে তখন শত শত তোমার নিকট শিক্ষা লইতে আসিবে।
১০)প্রথমে চরিত্র গঠন কর---এই টিই তোমার প্রথম কর্তব্য।
১১)সকলের উচিত, হুকুম করার আগে হুকুম তামিল করতে শেখা।
১৩)যিনি অর্থ যশ বা অন্য কোনো অভিসন্ধি ব্যতীত কর্ম করেন, তিনিই সর্বাপেক্ষা ভালো কর্ম করেন।
১৪)যিনি নিজে পাপী, তিনি কেবল অপরকে পাপী দেখিয়া থাকেন।
১৫) সর্বদা কর্ম কর, কিন্তু দাসের মতো কর্ম করিও না। ১৬) আমরাই আমাদের দুর্দশা অবনতি ও দুঃখ কষ্টের জন্য দায়ী।
১৭) আমরা তিন জন এক সঙ্গে মিলিত হলেই পরস্পর কে ঘৃণা করিয় থাকি, ঈর্ষা বা হিংসা করিয়া থাকি।
১৮)সত্য কখনও পক্ষপাতী হতে পারে না।
20)সৎসঙ্গে বাস করো অথবা নিঃসঙ্গ হও।
২১) যে কোন কিছু বিশ্বাস করে না, সে দেখলেও বিশ্বাস করে না।
২২)যাহা শরীর মনকে দুর্বল করে, তাহাই পাপ। এই দুর্বলতা পরিত্যাগ কর। 
২৩)মানুষ কে অধ্যায়ন কর, মানুষই জীবন্ত কাব্য। 
২৪)সত্য কে সত্যের দ্বারা বিচার করতে হবে, অন্য কিছু দ্বারা নয়। 
২৫)যেখানে স্ত্রী লোক বা নারী দের মর্যাদা নেই, যেখানে স্ত্রী লোক বা নারীরা অত্যাচারিত, সে সংসার বা দেশের উন্নতির কখনো আশা নেই। 
২৬)চিত্ত শুদ্ধি ও মৌনতা থেকেই কথার ভেতর জোর আসে। 
২৭)যত দিন না আমার হৃদয় রূপ শাস্ত্র খুলছে, ততদিন শাস্ত্র পাঠ বৃথা। 
২৮)যখনই সুখ ভোগ করিবে, তারপরেই দুঃখ আসবেই আসবে। 
২৯)তোমার ভেতরে যে দোষ গুলি আছে সব দূর করে ফেলো, তাহলেই তুমি আর বাইরের দোষ দেখতে পাবে না। 
৩০)সমগ্র বিশ্বই পাগল -- কেহ ধনের বা টাকা পয়সার জন্য, কেহ সুখের জন্য, কেহ বা নামের জন্য, কেহ বা অন্য কিছুর জন্য। সেই ধন্য, যে ঈশ্বরের জন্য পাগল। 
৩১)যে অপর কে স্বাধীনতা দিতে চায় না, অপরের অধিকার খর্ব করে। সে কি স্বয়ং স্বাধীনতা বা অধিকার পাবার যোগ্য? 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...