Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 31 October 2021

বাংলাদেশ ও ভারত সরকার সব সমান।


 বাংলাদেশের সরকার কি করছে, যারা লুট পাট করল এবং আগুন লাগিয়ে দিল, তাদের সম্পর্কে যারা, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, বেছে বেছে সেই সব হিন্দু তথা সনাতন ধর্মের মানুষ কে গ্রেফতার করেছে। বাংলাদেশের সরকারের বক্তব্য এরা নাকি সন্ত্রাসে মদত দিয়েছে বা ইন্ধন দিয়েছে। ভাবুন একবার ভাবতে শিখুন, যে সব দল ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে তারা কখনো আলাদা হতে পারে না। কেবল দেশ এবং স্থান কাল আলাদা। ভারত সরকার এই রকম অনেক সাংবাদিক এবং লেখক কে আটক করে রেখেছে যারা বিনা বিচারে জেল হাজতে আছে। কয়েক জন তো খুন হয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেখুন কেউ যদি সমালোচনা করে এবং কোন রকম সত্যি খবর বা বিরোধীতা করে ব্যস তার আর রক্ষা নাই, কত গণ্ডা কেস তার নামে দেওয়া হবে তার ঠিক নেই। অর্থাৎ এই সব ধর্মীয় মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না, চোর কে চোর বলা যাবে না, মিথ্যাবাদী কে মিথ্যাবাদী বলা যাবে না, খুনি কে খুনি বলা যাবে না। ধর্মের নামে যারা ব্যবসা করে খাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। আসল এবং আধুনিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করে রেখে প্রতি নিয়ত ধর্মের নামে কু শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে যার কোন বাস্তব অস্তিত্ব নেই সে সব নিয়ে প্রচার এবং ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে লড়াই লাগিয়ে নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে, সে স্থান কাল, দেশ আলাদা হতে পারে কিন্তু তার চরিত্র এবং কাজ কর্ম সব এক। আর এই সব মৌলবাদীরা যখন সরকারের মদতে চলে তখন তো কথাই নেই। বিপদ বাড়ে তথাকথিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। যেমন অতি সম্প্রতি গুজরাতের 

একটি ঘটনা এক দলিত দম্পতি কে মন্দিরে প্রবেশে বাধা এবং অমানবিক ভাবে মারা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন, এত একটা ঘটনার কথা এখানে বললাম এরকম হাজারো ঘটনা ঘটে চলেছে এই উপমহাদেশে। ধর্মের নামে অত্যাচার এবং মানুষ খুন এটা এক শ্রেণীর মানুষের পেশা হয়ে গেছে। মানুষের প্রয়োজন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, তার ব্যবস্থা সরকারের করে না, কিন্তু এই মৌলবাদী ধর্মীয় সন্ত্রাস কে দিব্যি মদত দিয়ে চলে যাচ্ছে। এই উপমহাদেশে শান্তি ফেরানোর খুব কঠিন কারণ একটা ধর্মের নামে অশিক্ষিত করে রাখা এবং ধর্মীয় গোঁড়ামি কে বজায় রেখে নেতাদের কার্যসিদ্ধি এবং ধর্মের নামে ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা আয় এ যতখন না যাবে ততখন এই উপমহাদেশে শান্তি আসবে না। অর্থাৎ মানুষ যতখন না বুঝবে ধর্ম মন্দিরে, মসজিদ, গীর্জায় ভালো থাকবে তাকে বাইরে না আনা ভালো, ধর্মীয় শিক্ষা বন্ধ হয়ে, সঠিক বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা শুরু করা হবে, ততদিন এই উপমহাদেশে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা বৃথা। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...