Anulekhon.blogspot.com

Friday, 29 March 2019

আজকের অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় খবর, সবেতেই ভরসা তিনি।

ছবি টি অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় থেকে নেওয়া।আজ 29/3/19 অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় খবরটি পড়লাম, সবেতেই ভরসা তিনি এত লোক গেল এতো বলল তবু অনশনে অনঢ় থাকল আর তিনি গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেন, আর কমিটির সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থা করে দিলেন ২৯ দিনের অনশন তুলে নিল। মানুষ নাকি এখনও তার উপর ভরসা রাখেন, একদম ঠিক কথা বলেছেন। আনন্দ বাজার পত্রিকায় এই লেখা না বেড়লে আমি অবাক হতাম। ২০১২ না ২০১৬ থেকে তালিকা ভুক্ত হয়ে আজ ২০১৯ সালে এসে চাকরি পাওয়ার জন্য অনশন করতে হচ্ছে। আনন্দ বাজার পত্রিকার সাংবাদিকদের কাছে আমার প্রশ্ন এত বছর ধরে উনি এবিষয়ে একটাও প্রতিশ্রুতি দেন নি, না সে গুলো আপনাদের মনে নেই, যখন প্রেস ক্লাবের সামনে ২৯ দিন ধরে এই অনশন চলল, এক সন্তান সম্ভবা মায়ের গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে গেল, তখন আপনাদের কাগজের অন লাইন বা অফ লাইন একটা কথাও লেখা হলো না, আর এখন উনি গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেন আর আলোচনার ব্যবস্থা করলেন। আপনারা দেখলেন জনগণ এখনো ভরসা করে, আপনি ঠিক বলেছেন উনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উনার
উপর ভরসা করতে হবে, অনেক ভরসা করে মানুষ পরিবর্তন করে দিয়েছেন। উনি বলেছিলেন আমি ক্ষমতায় এসে বাম আমলে চোর গুলো কে ধরে জেলে ভরব, ৪২ টা কমিশন গঠন করা হয়েছিল। একটাও রিপোর্ট প্রকাশ করেন নি, আর একজন চোরকেও জেলে ভরতে পারেন নি, উল্টে ওনার দলের নেতা মন্ত্রী সাংসদ জেলে গেছে,উনি বলেছিলেন প্রতি বছর  লক্ষ বেকারের চাকরি করে দেবেন, উল্টে এস এস সি পরীক্ষা কবে হয়েছে, আপনাদের কাছে নিশ্চয়ই তথ্য আছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের নিয়োগ সে তো টেট পরীক্ষার পাশ করে নি বা টেট দেয় নি এরকম অনেক ছেলে চাকরি পেয়েছে ।আবার টেট পরীক্ষার প্রশ্ন বাসের পিছন জানালা দিয়ে বাইরে পড়তে পড়তে গেছে। আমি চাই বেকার ছেলে মেয়েরা যে ভাবে হোক চাকরি পাক, তাই বলে আট লাখ দশ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি, আমি জানি আপনারা এসব কথা লিখবেন না। সবশেষে আমার একটা প্রশ্ন আছে আপনাদের কাছে, আমাকে আপনার অন লাইন কাগজের মাধ্যমে একটা তথ্য দিন, কবে কবে চাকরির দাবি তে অনশন করতে হয়েছে, এই পশ্চিমবঙ্গে। ওনার প্রতিশ্রুতি তার তো শেষ নেই, আমি আশ্চর্য হয়ে যাই আপনাদের সাংবাদিকতা দেখে। এর আগেও উনি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিছু কিছু রক্ষা করেছেন। সেই জন্যই যারা উনার উপর ভরসা করে মা বোন বলে সম্বোধন করতেন, প্রাণ খুলে ভরসা করতেন তাদের পরিনতি কি নিশ্চয়ই আপনি জানেন । যিনি এক সময় মা বলতেন তিনি এখন বিজেপি তে, আরেক জনের মেয়র পদ গেছে, একজন দার্জিলিং এ ঢুকতে পারে না। আর বোন বলা কিষেণ জী আর ছত্রধরের পরিনতি আপনারা জানেন। 

Thursday, 28 March 2019

দুর্গা পূজার মন্ত্র ও নিয়ম ।( ষষ্ঠীর দিনের পূজা)


আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ করে আমার এই লেখা। যদি ভুল ত্রুটি থাকে পণ্ডিত গণ নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন।
দুর্গা পূজার শুরু অনেকে শুরু করেন প্রতিপদ থেকে করেন, তবে সাধারণত সর্বত্র এই পূজা শুরু হয় ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যা(বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গা পুজো) থেকে, কেউ কেউ আবার ষষ্ঠীর পারন ধরে পূজা করেন । যখনই হোক ষষ্ঠীর পূজার মন্ত্র নিয়ম আমার মতে এ রকম। পূজার নিয়ম শুদ্ধ আসনে বসে সান্ধ্য ক্রীড়া সমাপন করে নিয়ে করতে হবে। পদ্ধতি :- ১) আচমন ২) বিষ্ণু স্মরণ ৩) স্বত্ত্বি বাচন ৪)স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ( পুরোহিত বরণ) ৭) সংকল্প ৮) সংকল্প সুক্ত ৯)পঞ্চ গব্য শোধন ১০) অধিবাস ১১) সামান্য অর্ঘ্য ১২) দ্বার পূজা - ১৩)বিঘ্ন অপসারণ ১৪) মাস ভক্ত বলি ১৫) আসন শুদ্ধি ১৬)কর শুদ্ধি ও পুষ্প শুদ্ধি ১৭) সংক্ষেপে ভূত শুদ্ধি ১৮) মাতৃকা ন্যাস ১৯)কর ন্যাস ২০) অঙ্গ ন্যাস ২১)অন্তর মাতৃকা ন্যাস ২২) বাহ্য মাতৃকা ন্যাস ২৩) সংহার মাতৃকা ন্যাস ২৪)প্রাণায়াম ২৫) পীঠ ন্যাস ২৬) কর ন্যাস ২৭) অঙ্গ ন্যাস ২৮)ব্যাপকন্যাস ২৯) ঋষ্যাদি ন্যাস ৩০) ধ্যান ৩১)মানস পূজা ৩২) বিশেষ অর্ঘ্য স্থাপন ৩৩) পীঠ পূজা ৩৪) ঘট স্থাপন ৩৫) কাণ্ড রোপন ৩৬) সূত্র বেষ্টণ ৩৭) বেদি শোধন ৩৮) বিতান শোধন ৩৯) আহ্বান ৪০) পঞ্চ দেবতার পূজা ৪১)কয়েকটি দেবতার পূজা ৪২) প্রধান পূজা ৪৩) পূষ্পাঞ্জলী ৪৪) প্রণাম ।
মন্ত্র :- ১) আচমন :- ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ২) বিষ্ণু স্মরণ :- ওঁ তদ্বোবিষ্ণু পরমপদং সদা পশ্যন্তি সুরয় দ্বিবীব চক্ষুরতাতম।ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ।ওঁ অপবিত্র পবিত্র বা সর্বাবস্থাং গতহোপিবা যৎস্মরেৎ পূণডরীকাক্ষং স্ব বাহ্য অভ্যান্তর শুচি মাধব মাধব বাচি মাধব মাধব হৃদি সর্ব কার্যে সুমাধবম  ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু । ৩) স্বত্ত্বি বাচন :- ওঁ কর্ত্তব্যহোস্মিন অদ্য আশ্বিন মাসে শুক্ল ষষ্ঠান্তিতিথৌ বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গা পূজা কর্মানি, ওঁ পূণ্যাহম ভব্রন্তু ব্রুবন্তু, ওঁ পূণ্যাহম ভব্রন্তু ব্রুবন্তু ওঁ পূণ্যাহম ওঁ পূণ্যাহম ওঁ পূণ্যাহম ।ওঁ কর্ত্তব্যহোস্মিন অদ্য আশ্বিন মাসে শুক্ল ষষ্ঠান্তিতিথৌ, বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গা পূজা কর্মানি, ওঁ স্বত্ত্বি ভব্রন্তু ব্রুবন্তু, ওঁ স্বত্ত্বি ভব্রন্তু ব্রুবন্তু, ওঁ স্বত্ত্বি ভব্রন্তু ব্রুবন্তু, ওঁ স্বত্ত্বি ওঁ স্বত্ত্বি ওঁ স্বত্ত্বি ।ওঁ কর্ত্তব্যহোস্মিন অদ্য আশ্বিন মাসে শুক্ল ষষ্ঠান্তিতিথৌ, বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গা পুজা কর্ম্মানি, ওঁ ঋদ্ধিং ভব্রন্তু ব্রুবন্তু, ওঁ ঋদ্ধিং ভব্রন্তু ব্রুবন্তু, ওঁ ঋদ্ধতাম, ওঁ ঋদ্ধতাম, ওঁ ঋদ্ধতাম।
৪) স্বত্ত্বি সূক্ত :- ওঁ সূর্য সোম রাজনং বরুণাগ্নিম্বারভামহে, আদিত্যং বিষ্ণুং ব্রহ্মাঞ্চ বৃহস্পতিম ।ওঁ স্বত্ত্বি ওঁ স্বত্ত্বি ওঁ স্বত্ত্বি  স্বত্ত্বি ন ইন্দ্র বৃদ্ধশ্রবা স্বত্ত্বি ন পুষ্যাবিশ্ববেদা স্বত্ত্বি নর্ত্রক্ষ্য অরিষ্ঠোনমি স্বত্ত্বি ন বৃহস্পতিবার দধাতু ওঁ স্বত্ত্বি ওঁ স্বত্ত্বি ওঁ স্বত্ত্বি ।
৫) সাক্ষ্য মন্ত্র :- ওঁ সোমং যমং কালং সন্ধ্যা ভূতানহক্ষপা ।পবনদিকপতি ভূমিরাকশং খচরামরা ব্রাহ্মণ শাসনমাস্তায় কল্পধিহম।
৬)বরণ :- পুরোহিত বরণ ( যদি কোন গৃহস্থের বাড়িতে পূজা হয় তবে বরণ করতে হবে। )
৭) সংকল্প :- ওঁ বিষ্ণুরোম তৎসদ্য অদ্য আশ্বিন মাসে শুক্ল পক্ষে কন্যা রাশিস্থে ভাস্করে ষষ্ঠান্তিতিথি বারভ্য নবমী তিথি যাবৎ (পুজোকের গোত্র) গোত্রস্য (পুজোকের নাম) দেব শর্ম্মণ (তন্ত্র ধারকের ) গোত্র (তন্ত্র ধারকের নাম) দেব শর্ম্মণ  মৎ সংকল্পকিত ( যজমানের) অমুক গোত্র (যজমানের ) অমুক নাম্নে চতুবর্গসিদ্ধি কামার্থ ষষ্ঠাং সায়াহ্ণে বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গা পুজা কর্ম্মানি করিষ্যামি ।
৮) সংকল্প সুক্ত :- ওঁ যজ্জাগ্রত দূরমুদৈতি দৈবং তথৈবৈতি দূরঙ্গম জ্যোতিষাং জ্যোতিরেকং তণ্মে নম শিব সংকল্প মস্তু ।ওঁ সংকল্পিতেহস্মিন সিদ্ধিরস্তু।ওঁ অয়মারম্ভ শুভায় ভবতু ।
৯) পঞ্চ গব্য শোধন :- ( পাঁচটি বস্তুতে পাঁচ রকম মন্ত্র আছে, কিন্তু অনেক পাঁচটি বস্তু মিশিয়ে গায়ত্রী পাঠ করে শুদ্ধ করে নেন।)
১০) অধিবাস :- মন্ত্রে :-(অধিবাস ষষ্ঠী পূজার পরে করতে হবে।)
১১)সামান্য অর্ঘ্য স্থাপন :- আসনের দক্ষিণ দিকে ত্রিকোন মণ্ডল এঁকে পুষ্প দিয়ে পুজা করতে হবে। মন্ত্র :- এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আধার শক্তয়ে নম: । এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ কুর্ম্মায় নম : ।এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নম :। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ পৃথিব্যৈ নম :। " ওঁ ফট" মন্ত্রে কোশা মণ্ডলের উপর রেখে " ওঁ হ্রীং" মন্ত্রে জল পূর্ণ করে কোশার উপর দিকে এই তিনটি মন্ত্রে ফুল দিয়ে পূজা করতে হবে। ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মানে নম। ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মানে নম ।ওঁ মং বহ্ণি মণ্ডলায় দশ কলাত্মানে নম। এবার জলে হাত দিয়ে অঙ্কুশ মুদ্রায় জল শুদ্ধি, ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতী নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলহোস্মিন সন্নিদ্ধিং কুরু ।
১২)দ্বার পূজা :- ওঁ ফট দ্বার দেশ জল ছিটিয়ে আহবান করতে হবে। ওঁ দ্বার দেবতা গন ইহগচ্ছ ইহগচ্ছ ইহতিষ্ট ইহতিষ্ট ইহসন্নিরুদ্ধস্ব ইহসন্নিরূধম অত্রাধিষ্ঠানং করু মম পূজাং গৃহান ভব । এষো গন্ধ ওঁ দ্বার দেবগন ভ্য নম।এতৎ পুষ্পম ওঁ দ্বার দেবগন ভ্য নম ।এষো ধূপ ওঁ দ্বার দেবগন ভ্য নম ।এষো দীপ ওঁ দ্বার দেবগন ভ্য নম ।এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ দ্বার দেবগন ভ্য নম ।( এতো গেল সংক্ষেপে দ্বার পুজো)
যদি সব টা করতে চান তবে প্রতিটি দ্বার দেবতা কে ঐ পাঁচ রকম উৎসর্গ করতে হবে। দ্বার দেবগন :- ওঁ গাং গনেশায় নম, ওঁ মহালক্ষ্মীয়ৈ নম, ওঁ মাতৃকা সরস্বতৈ নম, ওঁ ক্ষেত্রপালৈ নম, ওঁ অস্ত্রায় নম, এই পাঁচ জন কে ঐ পাঁচ রকম মন্ত্রে পঁচিশ বার)
১৩) বিঘ্ন অপসারণ :- ওঁ ফট মন্ত্রে তুড়ি ও বাম পায়ের গোরালি দিয়ে ভুমিতে আঘাত করতে হবে ।
১৪) মাস ভক্ত বলি :- (মাটির খুরি, বা কলা পাতা বা কাঁঠাল পাতা দধি, আতপ চাল, ফুল ফল ) বং এতেস্মৈ মাসভক্ত বলয়ে নম । ( তিন বার) জলের ছিটা দিতে হবে।) ভুত দ্বয়ের আহ্বান :- ওঁ ভুতাদ্বয় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ অত্র অধিষ্ঠান করত মম পূজা গৃহ্নিত। এবার একটা ফুল বেল পাতা দূর্বা নিয়ে এতে গন্ধ পুষ্প বিল্বপত্র এত অধিপতয়ে দেবায় শ্রীবিষ্ণবে নমঃ ।এতৎ সম্প্রদানেভ্য ভুতা দ্বয় নমঃ । এবার হাত জোর করে বলতে হবে। ওঁ ভুত পেত পিশ্চাস যে বসন্ত্র ভুতলে তে গৃহন্ত ময়া দত্ত বলিরেষ প্রসাধিতা। পুজিতা গন্ধ পুষ্প দৈবির্লি তর্পিতুস্তা দেশস্মাৎ বিনিস্মৃৎ পুজাং পশ্যন্তু মৎকৃতাম । কুশি করে জল নিয়ে ওর উপর দিতে হবে ওঁ ভুত দ্বয় ক্ষমধমঃ । এবার আতপ চাল বা সাদা সরিষা নিয়ে ছড়াতে ছড়াতে ওঁ অপসর্পন্তু তে ভুতা প্রেতা ভুত নাম বিরোধন দুর্গাপুজা করমমহ। বেতালাশ্চ পিশ্চাস রাক্ষসাশ্চ সরীসৃপা অপসর্পন্তু তে সর্বে চণ্ডি কাস্ত্রেন তাড়িতা ।
১৫) আসন শুদ্ধি :- পুরোহিত যে আসনে বসে পুজো করবেন তার নীচে নিজের সামনে গঙ্গা জল দিয়ে একটি চৌ কোন এবং তার ভিতরে একটা ত্রিকোন মণ্ডল এঁকে সেখানে ফুল দিয়ে পুজো করতে হবে। মন্ত্র :- ওঁ হ্রীং আধার শক্তয়ে কমলাসনয়ে নমঃ । ওঁ হ্রীং কুর্ম্মায় কমলাসনয়ে নমঃ । ওঁ হ্রীং অনন্তায় কমলাসনয়ে নমঃ ।ওঁ হ্রীং পৃথিবৈ কমলাসনয়ে নমঃ ।
এবার আসন পর্শ্ব করে :- ওঁ অস্য আসন উপবেসন মন্ত্রস্য মেরুপৃষ্ঠ ঋষি সুতলুং ছন্দ কুর্ম্ম দেবতা অসন উপবেসনে বিনিয়োগ। ওঁ ত্বয়া ধৃতা লোকা দেবী ত্বং বিষ্ণু না ধৃতা ত্বঞ্চ ধারয় মাং নিত্যং পবিত্রং কুরুচাসনম । এবার গুরু পঙতি পাঠ :- হাত জোর করে বাঁ দিকে :- গুরুভ্য নমঃ, পরম গুরুভ্য নমঃ। পরাপর গুরুভ্য নম, পরমেষ্ঠী গুরুভ্য নম। ডান দিকে :- ওঁ গাং গনেশায় নমঃ । সণ্মুখে :- ওঁ শ্রী শ্রী ভগবতী বিল্ব শাখা বসিনী দুর্গায়ৈ নমঃ। উর্দ্ধে :- ব্রহ্মণে নমঃ । পশ্চাতে :- ওঁ ক্ষেত্র পালায় নমঃ। 
১৬) পুষ্প শুদ্ধি :- নাচার মুদ্রায় (বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ ও মধ্যমা দিয়ে ) ফুল পর্শ্ব করে :- ওঁ পুষ্পকেতু রাজা হর্তে শতেয় সম্যক হুং। পুষ্পে পুষ্পে সুপুষ্পে মহাপুষ্পে পুষ্প চয়াবকীর্ণে চ হুং ফট স্বাহা ।
কর শুদ্ধি :একটি রক্ত পুষ্প বা লাল ফুল বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ এবং বাকি অঙ্গুলির অগ্র ভাগ দিয়ে "ওঁ হেঁসৌ" বলে ঈশান কোনে ছুঁড়ে দিতে হবে। 
১৭) সংক্ষেপে ভুত শুদ্ধি : - কুশ ত্রিপত্র দিয়ে জল ছিটে দিয়ে নিজের চারিদিকে বহ্নি মণ্ডল কল্পনা করে নিতে হবে। এবার এই চারটি মন্ত্র পড়লে সংক্ষেপে ভুত শুদ্ধি হবে। (১) ওঁ মুলা শৃঙ্গারঠ চ্ছির সুষমন্না পথেন জীবং শিবং পরম শিব পদে যোযয়ামি স্বাহা ।(২) ওঁ যং সংকোচং শরীরং দহ দহ স্বাহা ।(৩) ওঁ রং লিঙ্গং শরীরং শোষয় শোষয় স্বাহা । (৪) ওঁ পরম শিব পদে সুষমন্না পথেন মূলশৃঙ্গাঠ মূল্য সোল্লস প্রজ্বল প্রজ্বল জ্বল জ্বল স্বাহা ।
  আমার জ্ঞান সীমিত তবুও বলছি এই ন্যাস গুলো সব করতে হয় যেখানে ঘট বসানো হবে সেই মণ্ডলের উপর ঘটের এবং ডাবের উপর যে মানুষের মুর্তি আঁকতে হয় ঐ মূর্তি শুকনো সিন্দুর দিয়ে ঐ সর্বতো ভদ্র মণ্ডল বা অষ্ট দল পদ্ম অঙ্কিত মণ্ডলের উপর এঁকে সেখানে ন্যাসে উল্লেখিত  (ঐ মূর্তির) বিভিন্ন জায়গা পর্শ্ব করে ন্যাস করতে হয়, এতে ঐ স্থান টি পবিত্র হয় বা পীঠ স্থানে পরিণত হয়। অনেকেই আছেন কাজের সুবিধার জন্য গিয়েই কাদার তাল নিয়ে ঘট বসিয়ে দিয়ে পুজো শুরু করেন। আমার জানা জ্ঞান সীমিত সেখান থেকে এটি বললাম কোন পণ্ডিত যদি পড়েন তাহলে নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন। 
১৮) মাতৃকা ন্যাস :- ওঁ অস্য মাতৃকা মন্ত্রস্য ব্রহ্ম ঋষি গায়ত্রী ছন্দ, মাতৃকা সরস্বতী হলো দেবতা বীজানি স্বর শক্তয়ে মাতৃকা ন্যাসে বিনিয়োগঃ ।
ওঁ ব্রহ্মণে ঋষয়ে নমঃ।(শির) ওঁ গায়ত্রী ছন্দসে নমঃ ( হৃদয়) ওঁ স্বরেভ্য শক্তেভ্য নমঃ ( মুখে) ওঁ হলেভ্য বীজেভ্য নমঃ ( মূলাধারে) ওঁ অবক্ত ক্লীকায় নমঃ(  সর্বাঙ্গে) 
দুর্গা পুজোয় এখানে একবার করন্যাস ও অঙ্গ ন্যাস করতে হবে। এই কর ন্যাস ও অঙ্গ ন্যাস সংক্ষেপে এভাবে বলা চলে। আং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নম, ঈং তর্জনীভ্যাং স্বাহা ইত্যাদি 

১৯) কর ন্যাস :- ওঁ অং কং খং গং ঘং ঙং আং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ । ওঁ ইং চং ছং জং ঝং ঞং ঈং তর্জনীভ্যাং স্বাহা । ওঁ উং টং ঠং ডং ঢং ণং ঊং মধ্যমাভ্যাং বষট ।ওঁ এং তং থং দং ধং নং ঐং অনামিকাভ্যাং হুং। ওং পং ফং বং ভং মং ঔং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট । ওঁ অং যং রং লং বং শং সং হং ক্ষং অঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম অস্ত্রায় ফট ।
২০) অঙ্গ ন্যাস :- ওঁ অং কং খং গং ঘং ঙং আং হৃদয়ায় নমঃ । ওঁ ইং চং ছং জং ঝং ঞং ঈং শিরসে স্বাহা ।ওঁ উং টং ঠং ডং ঢং ণং ঊং শিখায় বষট ।ওঁ এং তং থং দং ধং নং ঐং কবচায় হুং। ওঁ ওং পং ফং বং ভং মং ঔং নেত্রায় বৌষট । ওঁ অং যং রং লং বং ষং শং সং হং ক্ষং অঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম অস্ত্রায় ফট । 
২১) অন্তর মাতৃকান্যাস :- ধ্যান :- ওঁ আঁধারে লিঙ্গ নাভৌ হৃদয়ে সরসিজে তালুমূলে ললাটে দৈপত্রে ষোঢ়শাঢ়ে দ্বিদশ দশদলে দ্বাদশার্থে চতুস্কে বালমধ্যে বাসান্তে ড-ফ ক-ঠ সহিতে কণ্ঠদেশে স্মরণাং হং - ক্ষং তথার্থ যুক্তং সকল দলগত বর্ণ রূপং নমামি। অং আং ইং ঈং উং ঊং এং ঐং ওং ঔং অং অঃ ইতি কণ্ঠে। কং খং গং ঘং চং ছং জং ঝং ঞং টং ঠং ইতি হৃদয়ে। ডং ঢং ণং তং থং দং ধং নং পং ফং ইতি নাভৌ বং ভং মং যং রং লং ইতি লিঙ্গমূলে বং ষং শং সং ইতি মূলাধারে হং ক্ষং ইতি ভ্রূ মধ্যে। 
২২) বাহ্য মাতৃকান্যাস :- ধ্যান :- ওঁ পঞ্চাশলি পির্ভিবি ভক্ত মোক্ষদা পন্নমধ্য বক্ষ স্থলাং ভাস্ব মৌলি চন্দ্র শ কলা মাপীন তুঙ্গে স্তানীম। মুদ্রা মোক্ষ গুনং সুধাঢ্য কলসং বিদ্যাঞ্চ হস্তা অম্বুজ বিবর্ণ ভাং বিশদ প্রভাং ত্রিনয়নাং বাগ দেবতা মাশ্রয়ে। অং নমঃ ( ললাটে) আং নমঃ (মুখবৃত্তে) ইং ঈং নমঃ ( চক্ষু) উং ঊং নমঃ ( কর্ণ) ঋং ঋং নমঃ ( নাসা) ৯ং ৯ং নমঃ ( গণ্ড ) এং নমঃ ( ওষ্ঠ) ঐং নমঃ ( অধর) ওং নমঃ ( ঊর্ধ্ব দন্ত পঙতি) ঔং নমঃ ( অধঃ দন্ত পঙতি) অং নমঃ ( মস্তক) অঃ নমঃ ( মুখে ) কং নমঃ ( দক্ষিণ বাহু মূলে) খং নমঃ ( কর্পূরে অর্থাৎ কনুই ) গং নমঃ ( মনি বন্ধে) ঘং নমঃ (অঙ্গুলি মূলে) ঙং নমঃ ( অঙ্গুলি অগ্রে) চং নমঃ ( বাম বাহু মূলে) ছং নমঃ ( কর্পূরে) জং নমঃ ( মনি বন্ধে) ঝং নমঃ ( অঙ্গুলি মূলে) ঞং নমঃ ( অঙ্গুলি অগ্রে) টং নমঃ (বাম পদ মূলে) ঠং নমঃ ( জানুনি) ডং নমঃ ( গুল্ফে অর্থাৎ গোড়ালি ) ঢং নমঃ ( অঙ্গুলি মূলে) ণং নমঃ ( অঙ্গুলি অগ্রে ) তং নমঃ ( ডান পদ মূলে) থং নমঃ ( জানুনি) দং নমঃ ( গুল্ফে) ধং নমঃ ( অঙ্গুলি মূলে) নং নমঃ ( অঙ্গুলি অগ্রে) পং নমঃ (দক্ষিণ পার্শ্বে) ফং নমঃ ( বাম পার্শ্বে) বং নমঃ (পৃষ্ঠ ) ভং নমঃ ( নাভৌ ) মং নমঃ ( উদর) যং নমঃ ( হৃদি) রং নমঃ ( দক্ষিণ স্কন্ধে) লং নমঃ ( কোকুদি অর্থাৎ বগল) বং নমঃ ( বাম স্কন্ধে) ষং নমঃ ( হৃদয়াদি দক্ষিণ বাহু) শং নমঃ ( হৃদয়াদি বাম বাহু) সং নমঃ ( হৃদয়াদি দক্ষিণ পাদে ) হং নমঃ ( হৃদয়াদি বাম পাদে) লং নমঃ ( হৃদয় দুযারে) ক্ষং নমঃ ( হৃদয় মুখে) 
২৩) সংহার মাতৃকা ন্যাস :- ওঁ অক্ষস্র জং হরিণপোত মৃদঙ্গ টঙ্ক বিদ্যাং করৈর বিরতং দধতীং অর্দ্ধেন্দু মৌলি মরুণা রবীন্দ্রবাসনাং বর্ণেশ্বরীং প্রণমত স্তনভার নম্রাং ।
ক্ষং নমঃ ( হৃদয় মুখে) লং নমঃ ( হৃদয় দুযারে) হং নমঃ (হৃদয়াদি বাম পাদ) সং নমঃ ( হৃদয়াদি দক্ষিণ পাদ) শং নমঃ ( হৃদয়াদি বাম বাহু) ষং নমঃ ( হৃদয়াদি দক্ষিণ বাহু) বং নমঃ ( বাম স্কন্ধে) লং নমঃ ( কোকুদি) রং নমঃ ( দক্ষিণ স্কন্ধে) যং নমঃ ( হৃদি) মং নমঃ ( উদর) ভং নমঃ ( নাভৌ) বং নমঃ ( পৃষ্ঠ ) ফং নমঃ ( বাম পার্শ্বে ) পং নমঃ ( দক্ষিণ পার্শ্বে ) নং নমঃ ( বাম পদ অঙ্গুলি অগ্রে) ধং নমঃ ( বাম পদ অঙ্গুলি মূলে ) দং নমঃ (বাম পদ গুল্ফে ) থং নমঃ ( বাম পদ জানুনি) তং নমঃ ( বাম পদ মূলে) ণং নমঃ ( দক্ষিণ পদ অঙ্গুলি অগ্রে) ঢং নমঃ ( ছদক্ষিণ পদ অঙ্গুলি মূলে) ডং নমঃ ( দক্ষিণ পদ গুল্ফে অর্থাৎ গোড়ালি তে) ঠং নমঃ ( জানু) টং নমঃ ( দক্ষিণ পদ শুরু তে) ঞং নমঃ ( বাম হস্তের অঙ্গুলি অগ্রে) ঝং নমঃ ( বাম হস্তের অঙ্গুলি মূলে) জং নমঃ ( বাম হস্তের মনি বন্ধে) ছং নমঃ ( বাম হস্তের কনুই) চং নমঃ ( বামবাহু মূল ) ঙং নমঃ ( দক্ষিণ হস্তের অঙ্গুলি অগ্রে) ঘং নমঃ ( দক্ষিণ হস্তের অঙ্গুলি মূলে) গং নমঃ ( দক্ষিণ হস্তের মনি বন্ধ) খং নমঃ ( দক্ষিণ হস্তের কর্পূরে) কং নমঃ ( দক্ষিণ বাহু মূলে) অঃ নমঃ ( মুখে) অং নমঃ ( মস্তকে) ঔং নমঃ ( অধঃ দন্ত পঙতি) ওং নমঃ ( ঊর্ধ্ব দন্ত পঙতি) ঐং নমঃ ( অধর) এং নমঃ ( ওষ্ঠ) ৯ং ৯ং নমঃ (গণ্ড) ঋং ঋং নমঃ ( নাসা) উং ঊং নমঃ ( কর্ণ) ইং ঈং নমঃ ( চক্ষু) আং নমঃ ( মুখ বৃত্ত) অং নমঃ ( লালাটে) 
২৪) প্রাণায়াম :- ওঁ হ্রীং এই বীজ মন্ত্র প্রাণায়াম করতে হবে। চৌঁষট্টি বার করতে হবে অশক্তের পক্ষে আট বার বার ষোল বার, করলেও চলে,। 
২৫) পীঠ ন্যাস :- এতখন যেখানে এই ন্যাস সেই অঙ্কিত সর্বতোভদ্র মণ্ডল বা অষ্টদল পদ্ম আঁকা স্থান যেখানে ঘট বসাতে হবে ঐ স্থানে এই পিঠ ন্যাস, করতে হবে। একটি রক্ত পুষ্প বা শিউলি ফুল নিয়ে ঐ মণ্ডলের উপর অঙ্কিত মূর্তির  বিভিন্ন অংশ পর্শ্ব করে মন্ত্র বলতে হবে। 
ওঁ আধার শক্তেয় নমঃ ।ওঁ কুর্ম্মায় নমঃ ।ওঁ অনন্তায় নমঃ ।ওঁ পৃথিবৈ নমঃ । ওঁ ক্ষীরসমুদ্রায় নমঃ ।ওঁ শ্বেতদ্বীপায় নমঃ। ওঁ কল্প বৃক্ষায় নমঃ ।ওঁ মনি মণ্ডপায় নমঃ । ওঁ মনিবেদিকায় নমঃ ।ওঁ রত্ন সিংহসনায় নমঃ। ( দক্ষিণ স্কন্ধে) ওঁ ধর্মায় নমঃ । (বাম স্কন্ধে) ওঁ জ্ঞানায় নমঃ ( দক্ষিণ পার্শ্বে) ওঁ বৈরাগ্যায় নমঃ ( বাম পার্শ্বে) ওঁ ঐশ্বর্যায় নমঃ (দক্ষিণ উরুমূলে) ওঁ অধর্মায় নমঃ ( বাম উরু মূলে) ওঁ অজ্ঞানায় নমঃ (দক্ষিণ বাহু মূলে) ।ওঁ অবৈরাগ্যায় নমঃ ( বাম বাহু মূলে) ওঁ অনা ঐশ্বর্যায় নমঃ ( নাভৌ) ওঁ অনন্তায় নমঃ, ওঁ পদ্মায় নমঃ, ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মানে নমঃ, ওঁ ঊং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মানে নমঃ । ওঁ মং বহ্নি মণ্ডলায় দশ কলাত্মানে নমঃ।  সং সত্ত্বায় নমঃ, রং রজসে নমঃ, তং তমসে নমঃ, আং আত্মেন নমঃ। অং অন্তর আত্মেন নমঃ। পং পরম আত্মনে নমঃ। হ্রীং জ্ঞান আত্মনে নমঃ। (হৃৎ পদ্মে ) আং প্রভায়ৈ নমঃ ।ঈং মায়ায়ৈ নমঃ। উং জয়ায়ৈ নমঃ । এং সুক্ষ্মায়ৈ নমঃ।ঐং বিশুদ্ধায়ৈ নমঃ । ওঁ নন্দিনৈ নমঃ ।ঔং সুপ্রভায়ৈ নমঃ ।অং বিজায়ৈ নমঃ । অঃ সর্ব সিদ্ধিদায়ৈ নমঃ । (মধ্যে) ওঁ বজ্র দ্রংষ্টাধুয়ায় মহা সিংহায় হুং ফট নমঃ । (তদুপরি) 
২৬) কর ন্যাস :- ওঁ হ্রাং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ । ওঁ হ্রীং তর্জনি ভ্যাং স্বাহা । ওঁ হ্রূং মধ্যমা ভ্যাং বষট । ওঁ হ্রৈং অনামিকা ভ্যাং হুং। ওঁ হ্রৌং কনিষ্ঠা ভ্যাং বৌষট । ওঁ হ্রঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম অস্ত্রায় ফট । 
২৭) অঙ্গ ন্যাস :- ওঁ হ্রাং হৃদয়ায় নমঃ । ওঁ হ্রীং শিরসে স্বাহা । ওঁ হ্রূং শিখায় বষট । ওঁ হ্রৈং কবচায় হুং । ওঁ হ্রৌং নেত্রায় বৌষট । ওঁ হ্রঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যাম অস্ত্রায় ফট ।
২৮) ব্যাপক ন্যাস :- আগে নিজ বক্ষের কাছে দুই হাত জোর করে এবার দুই বাহু প্রসারিত করতে করতে ওঁ হ্রীং মন্ত্র সব থেকে কম তিন বার করতে হবে। 
২৯) ঋষ্যাদি ন্যাস :- ওঁ শ্রী শ্রী ভগবতী দুর্গা মন্ত্রস্য নারদঋষি গায়ত্রী ছন্দ, কালিকা পূরান অন্তর্ভুক্ত বার্ষিক শরৎ কালীন দুর্গা মহাপুজা পুজক কর্ম করিষ্যামি । ওঁ নারদা ঋষয়ে নমঃ । ওঁ গায়ত্রী ছন্দসে নমঃ ।ওঁ শ্রী শ্রী ভগবতী দুর্গা দেবৈ নমঃ ।
৩০) ধ্যান : - ওঁ জটাজুটো সমাযুক্ত মর্দেন্দুকৃত শেখরাম ।লোচন ত্রয় সংযুক্তাং পূর্ণেন্দু সদৃশ ননাম। অতসী পুষ্প বর্ণাভ্যাং সুপ্রতিষ্ঠাং সুলোচনাম । নব যৌবন সম্পান্নাং সর্ব আভরণ ভুষিতাম । সুচারু দশনাং তদ্বদ পৃন্নোত পয়ধরম। মৃনালত্রয় সংস্পর্শ দশ বাহু সমন্বিতাম। ত্রিশূল দক্ষিণে পানৌ খড়্গং চক্রং ক্রমাদ্বধ। খেটক, পূর্ণ চাপঞ্চ পাশাঙ্কুশ মেব চ । ঘন্টাং বা পরশু বাপি বামেত সন্নিবেশয়েত। অধঃস্তাম্মহিষং তদ্বোদ্বিব শিরস্কং  প্রদর্শয়েৎ । শিরচ্ছেদভবং তদ্বদ্দানবং খড়্গ পানিনীম । হৃদি শূলেন নির্ভিন্নং নির্যদন্ত বিভুষিতম ।রক্তারক্তি কৃতজ্ঞশ্চ রক্ত বিস্ফোরিত ক্ষণম। বেষ্ঠিত নাগপাশনম ভ্রুকুটি ভীষাননম। স্ব পাশ বাম হস্তেন ধৃত কেশঞ্চ দুর্গায়া। ব্রম রুধির ব্রক্তং চ দেব্যা সিংহ প্রদর্শয়েৎ। দেবাস্তু দক্ষিণ পাদং সমং সিংহ উপরিস্থিতম। কিঞ্চি দুদ্দর্ধং বামাঙ্গুষ্ঠ মহিষপরি । শত্রু ক্ষয়করনীং দেবি দৈত্য দানব দর্পাহাম। প্রসন্ন বদং দেবী সর্বকাম ফল প্রদাম। স্তুয়মানঞ্চ তদরূপ মমরৈ সন্নিবেশয়েত ।  উগ্রচণ্ডা প্রচণ্ডা চ চণ্ডাগ্রা চণ্ডনায়িকা ।চণ্ডা চণ্ডারূপাতি চণ্ডিকা ।আভি শক্তি ভীরিষ্ঠা ভি সতত পরিবেষ্ঠয়েৎ ।চিন্তেয় জগতং ধাত্রীং ধর্ম কামার্থ মোক্ষদাম ।
৩১) মানস পুজা :- মনে মনে নিজেকে গন্ধ, পুষ্প, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য রূপে মায়ের চরণে নিবেদন করা। 
৩২) বিশেষ অর্ঘ্য স্থাপন :- ( মাটিতে ত্রিকোন মণ্ডল এঁকে তার উপর ত্রিপাদিকা বসিয়ে পুজো করতে হবে।) মন্ত্র :- এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আধার শক্তয়ে নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ কুর্ম্মায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পৃথ্বীবৈ নমঃ । ( এবার জল শঙ্খ ঐ ত্রিপাদিকার উপর রেখে বিলোম মাতৃকান্যাস করতে হবে।) ক্ষং, হং, লং, সং, শং, ষং,বং লং, রং যং মং ভং বং ফং পং নং ধং দং থং তং ণং ঢং ডং ঠং টং ঞং ঝং জং ছং চং ঙং  ঘং গং খং কং অং অঃ ঔং ওং ঐং এং ৯ং ৯ং ঋং ঋং ঊং উং ঈং ইং আং অং। ( জল পূর্ণ করে জলে অঙ্কুশ মুদ্রায় মন্ত্র পাঠ করে দেবেন।) মন্ত্র :- ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব্য গোদাবরি নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলহোস্মিন সন্নিন্ধিং কুরু । ( এবার জল শঙ্খের উপর অর্ঘ্য রেখে, ফুল দিয়ে পুজো করতে হবে এবং শেষ ঐ জলের একটু কোশা কুশি তে নিতে হবে।) মন্ত্র :- এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মনে নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মনে নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মং বহ্ণি মণ্ডলায় দশ কলাত্মনে নমঃ। 
৩৩) বেদী শোধন :- ওঁ বেদ্যা বেদী সমপ্যতে যুপেন যুপ আপ্যায়তং প্রনেতর্হগ্নিনা না। 
৩৪) বিতান শোধন :- ঊর্ধ্ব ন উতয়ে দেবতা সবিতা, সঙ্গত বাজস্য। 
৩৫) পীঠ পুজা :- ( ঘট বসানোর স্থান টিকে পুজো করতে হবে। অর্থাৎ দেবীর সামনে অষ্ট দল পদ্ম আঁকা স্থানে) মন্ত্র :- বং এতেস্মৈ মণ্ডলায় নমঃ । আহ্বান :- ওঁ পীঠ দেবতা গন ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।
এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আধার শক্তয়ে নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ কুর্ম্মায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পৃথ্বীবৈ নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ক্ষীরা সমুদ্রায় নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ শ্বেতদীপায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ কল্প বৃক্ষায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মনিবেদিকায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মনি মণ্ডপায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ রত্ন সিংহাসনায় নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ধর্ম্মায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ জ্ঞানায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ বৈরাগ্যায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ঐশ্বর্যায়ৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অধর্মায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অজ্ঞানায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অবৈরাগ্যায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনাশ্বৈর্যায়ৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অং অর্ক মণ্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মনে নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ উং সোম মণ্ডলায় ষোঢ়শ কলাত্মনে নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ মং বহ্ণি মণ্ডলায় দশ কলাত্মনে নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অনন্তায় নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পদ্মায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ সং সত্ত্বায় নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ রং রজসে নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ তং তমসে নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আং আত্মনে নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অং অন্তর আত্মেন নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ পং পরম আত্মেন নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ হ্রীং জ্ঞান আত্মেন নমঃ। এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ঈং মায়ায়ৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ আং প্রভায়ৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ উং জয়ায়ৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ এং সুক্ষ্মায়ৈ নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ঐং বিশুদ্ধায়ৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ওং নন্দিনৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ ঔং সুপ্রভায়ৈ নমঃ ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অং বিজয়ায়ৈ নমঃ।এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ অঃ সর্ব্ব সিদ্ধিদায়ৈ নমঃ । এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ বজ্র নখাদ্রষ্টায়ুধায় মহাসিংহায় হুং ফট নমঃ ।
৩৬) ঘট স্থাপন :- কাদা মাটির তাল নিয়ে, মন্ত্র :- ওঁ মহীত্রান বরস্তু দুক্ষং মিত্র সার্যমন। দূরা ধর্ষ বরুণস্য। ধান বা পঞ্চ শষ্য ছড়িয়ে দিতে দিতে মন্ত্র :- ওঁ ধানবন্ত করমনিভ মপূ পবনত মূকথিনম ।ইন্দ্র প্রাতুতযস্য ন। কলস বা ঘট নিয়ে কাদার তালের মধ্যে বসাতে বসাতে, মন্ত্র :- ওঁ আবিসন কলসং সুত বিশ্ব অর্ষন ধীয়তে । ইন্দুরিন্দ্রিয়ায় ধীয়তে । জল দিতে দিতে মন্ত্র :- ওঁ আ ন মিত্র বরুণা ঘৃতৈগব্যুতি মুক্ষত, মধ্যবা রজংসি সক্রতু। পঞ্চ পল্লব দেওয়ার মন্ত্র :- ওঁ অয়া মুর্জাবত বৃক্ষং উর্জীব ফলানি ভব পণং বনস্পতে নূত্ত্বা নূত্ত্বা চ সুয়তাং রয়ি । ডাব বা ফল দিয়ে মন্ত্র :- ওঁ ইন্দ্র নরনেমেধিতা হব্যং যৎপর্যা যুনজতে ধীয়স্তে শূর নৃশংসতা শ্রবচা কাম আ গোমতি ব্রজে ভজা ত্বং । সিন্দুর স্পর্শ করে :- ওঁ পতন্মুক্ষং হিরণ্যপাব পশমপশু গৃভনতে । বস্ত্র বা গামছা দিয়ে বা স্পর্শ করে :- ওঁ যুবা সুবাসা পরিবিত আগতা স উ শেয়ান ভাবতি জায়মান তবয় কবয়া উন্নয়তি সাধ্যে মনসা দেবয়ন্ত । ফুল দিয়ে :- পবন মান বশ্নুরশ্মি ভির্ভজসাতম দধস্তোত্রে সুবীর্যম ।  স্থির করণ :- স্থাং স্থিং স্থির ভব, প্রণেতস্মসি স্থার্ত হরীনাম। স্থাং স্থিং স্থির ভব । সর্ব তীর্থোদ্ভবং বারি সর্ব দেব সমন্বিতে ইমং ঘট সম্যারূহ্য তিষ্ঠ দেবি গনৈ সহ।
কাণ্ড রোপন :- ওঁ কাণ্ডাৎ কাণ্ডাৎ প্রহরোন্তি পুরুষ পুরুষোপরি ।এবেন দূর্বেন প্রতেনু সহস্রেন শতেন চ ।
সূত্র বেষ্ঠন :- ওঁ সুত্রাং পৃথিবীং দ্যামনেহসং সুশর্মান সুপ্রনীতীং ।সরিত্রামনাগম মা রুহেমা সস্ত্রয়ে ।
বেদি শোধন :- ( পঞ্চ গব্য ছিটিয়ে) বেদ্যা বেদী সমপ্যতে যুপেন যুপ আপ্যায়তং প্রনেতর্হগ্নিনা ।
বিতান I'll :উপরে যে চাঁদোয়া থাকে সেটা কে শোধন করা। ঊর্দ্ধ ঊ ষু ণ উতয়ে তিষ্ঠা দেবো ন সবিতা। ঊর্দ্ধ বাজস্য সবিতা যথাঞ্জভির্বাঘদ্ভিহ্বমহে। 
ধ্যান করে আহ্বান করতে হবে। এই ধ্যান হবে বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গার।
ধ্যান :- ওঁ চতুর্ভুজং বিল্ব বৃক্ষং রজতাভং বৃষস্থিতম । নানালঙ্কার সংযুক্তাং জটা মণ্ডল ধারিনীম। বরাভয় করং দেবং খড়্গ খটাঙ্গ ধারিনীম। ব্যাঘ্র চর্ম্বারধরং শশী মৌলি ত্রিলোচনাম। এর পর আহ্বান করতে হবে ।
আহ্বান :- ওঁ ভূর্বস্ব ভগবতী বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গা দেবৈ ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত । ওঁ দেবেশি ভক্তি সুলভে পরিবার সমন্বিতে যাবৎ পূজিয়াস্মি তাবৎ সুস্থিরাভব ।
( যেহেতু বিল্ব শাখায় পুজা সে কারণেই চক্ষুদান হবে না, তবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনেকে ঘটে করে দেন। এখানে প্রাণ প্রতিষ্ঠাও হবে না।) এবার পঞ্চ দেবতার পূজা করতে হবে। 
গনেশ পুজো :- ওঁ খর্ব্বং স্থুল তনুং গজেন্দ্র বদং লম্বোদরং ।প্রসন্দম মদ গন্ধ লুব্ধ মধূপ ব্যালল গণ্ডোস্থলম। দন্তা ঘাত বিদারি তারি রুধরৈ সিন্দুর শোভাকরম। বন্দে শৈল্য সূতা সুতং গনপতিং সিদ্ধি প্রদং কামদম ।
আহ্বান :- ওঁ ভুর্বস্ব স্বর্ণ গনপতে ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।
পুজো :- ( পঞ্চ উপাচার) গন্ধ :- ( চন্দন, অগরু, এর মধ্যে একটি) সংক্ষেপে এই মন্ত্রে :- এষো গন্ধ ওঁ গাং গনেশায় নমঃ । পুষ্প :- এতৎ পুষ্পম ওঁ গাং গনেশায় নমঃ । ধূপ :- এষো ধূপ ওঁ গাং গনেশায় নমঃ । দীপ :- এষো দীপ ওঁ গাং গনেশায় নমঃ । নৈবিদ্য :- এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ গাং গনেশায় নমঃ ।
প্রণাম :- ওঁ এক দন্তং লম্বোদরং গজাননম। বিঘ্ন নাশ করং দেবং হেরম্বং প্রণমমহম । অথবা :- ওঁ দেবেন্দ্র মৌলি মন্দার মকারন্দ কণারূণা। বিঘ্ন হরন্তু দেব হেরম্বং চরণাম্বুজ রেণব ।
সূর্য পুজা :- ধ্যান ( প্রতিটি ধ্যান কুর্ম্ম মুদ্রায় করতে হবে।) ওঁ রক্তাম্বুজা শনম শেষ গুনারকৈ সিন্ধু ভানুং। সমস্তা জগৎ মধিপ ভজামি পদ্ম দয় ভয় বরাণ দধাতং ।করাব্জৈ মাণিক্য মৌলি মরুরাঙ্গ রুচিম ত্রিনেত্রাম।
আহ্বান :- ওঁ শ্রী সূর্যায় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।
এষো গন্ধ ওঁ শ্রী সূর্যায় নমঃ । এতৎ পুষ্প ওঁ শ্রী সূর্যায় নমঃ । এতৎ ধূপ ওঁ শ্রী সূর্যায় নম । এষো দীপ ওঁ শ্রী সূর্যায় নম । এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ শ্রী সূর্যায় নম । 
প্রণাম :- ওঁ জবা কুসুমং সঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম, ধন্বতারিং সর্ব পাপঘ্নম। প্রণতস্মিস্থাতর দিবাকরম ।
বিষ্ণু পুজা :- ওঁ ধ্যায়ো সদা সবিত্র মণ্ডল মধ্যবর্তী নারায়ণ সরসিজাসন সন্নিবেসষ্ঠিত। কেয়ূরবান কণক কুণ্ডলবান কিরীটি হারি হিরণ্ময় বপু ধৃত শঙ্খ চক্র। 
আহ্বান :- ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো ।
এষো গন্ধ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম । এতৎ পুষ্প ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম । এষো ধূপ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম । এষো দীপ ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম । এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ নারায়ণ শ্রী বিষ্ণবে নম ।
প্রণাম :- ওঁ নমহ ব্রহ্মণ দেবায় গো ব্রহ্মণ হিতায়চ জগতধৃতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দয় নম নমহ ।
শিব পুজা :- ওঁ ধ্যায়ে নিত্যং মহেশং রজতগিরি নিভং চারু চন্দ্র বতং সং রত্ন কল্পো উজ্জ্বলাঙ্গ পরুশু মৃগ বরা ভীতি হস্তম প্রসন্নম ।পদ্মাসীং সমস্তাৎ স্তুতম মরগৈনক ব্যাঘ্র কৃত্তি বসনাং বিশ্ব দ্যাং বিশ্ব বীজং নিখিল ভয় হরং পঞ্চ ব্রক্তং ত্রিনেত্রাম ।
আহ্বান :- ওঁ নম শিবায় ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।
এষো গন্ধ ওঁ নম শিবায় নম । এতৎ পুষ্প ওঁ নম শিবায় নম । এষো ধূপ ওঁ নম শিবায় নম । এষো দীপ ওঁ নম শিবায় নম ।এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ নম শিবায় নম ।
প্রণাম :- ওঁ নম শিবায় শান্তায় কারণ ত্রয় হেতবে। নিবেদয়ামি চাত্মামাং ত্বং গতি পরমেশ্বর ।
জয় দুর্গা পুজো :- ওঁ কালার্ভাভ্যাং কটারক্ষৈরি কুলোভয়দ্যাং মৌলি বধেন্দুরেখাং ।শঙ্খ চক্র কৃপাণ ত্রিশিখ মপি করৈরূধ্ব হন্তীং ত্রিনেত্রাম । সিংহ স্কন্ধাধিরূরাং ত্রিভুবন মখিলাং তেজস পূরোয়ন্তিং ।ধ্যয়ে দুর্গাং জয়াখ্যাং ত্রিদশ পরিবৃতাং, সেবিতাং সিদ্ধি কামৈ। 
আহ্বান :- ওঁ হ্রীং জয় দুর্গায়ৈ ইহাগচ্ছ ইহাগচ্ছ ইহতিষ্ঠ ইহতিষ্ঠ ইহসন্নিরুধ্যত্ত ইহসন্নিরুধ্যম অত্রাধিষ্ঠান করুত মম পুজো গৃহ্নীত ।
এষো গন্ধ ওঁ হ্রীং জয় দুর্গায়ৈ নম । এতৎ পুষ্প ওঁ হ্রীং ওঁ জয় দুর্গায়ৈ নম । এষো ধূপ ওঁ হ্রীং জয় দুর্গায়ৈ নম ।এষো দীপ ওঁ হ্রীং জয় দুর্গায়ৈ নম । এতৎ নৈবেদ্যম ওঁ হ্রীং জয় দুর্গায়ৈ নম ।
প্রণাম :- ওঁ সর্ব মঙ্গল মঙ্গলে শিবে সর্বাত সাধিকে। স্মরণে ত্রম্ব্যকে গৌরি নারায়ণী নমহস্তুতে ।
এবার ধ্যান করে প্রধান পুজা :- কুর্ম্ম মুদ্রায় ফুল নিয়ে বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গার ধ্যান :- ওঁ চতুর্ভুজং বিল্ব বৃক্ষং রজতাভং বৃষস্থিতম । নানালঙ্কারসংযুক্তাং জটা মণ্ডল ধারিনীম। বরাভয় করং দেবং খড়্গ খটাঙ্গ ধারীণিম । ব্যাঘ্র চর্মাম্বরধরং শশী মৌলি ত্রিলোচনম। 
এবার পঞ্চ বা দশম উপাচারে বা ষোঢ়শ উপাচারে পুজা করতে হবে ।
পঞ্চ উপাচারে ১) গন্ধ ২) পুষ্প ৩) ধূপ ৪) দীপ ৫) নৈবেদ্য, দশম উপাচার ১) রজতাসন ২) পাদ্য ৩) অর্ঘ্য ৪) স্নানীয় ৫) বস্ত্র ৬) গন্ধ ৭) পুষ্প ৮) ধূপ ৯) দীপ ১০) নৈবেদ্য ।
ষোল উপাচার ১) রজতাসন ২) স্বাগত ৩) পাদ্য ৪) অর্ঘ্য ৫) মধুপর্ক ৬) আচমনীয় ৭) পুন আচমনীয় ৮) স্নানীয় ৯) বস্ত্র ১০) অলঙ্কার ( শাঁখা, নোয়া, কড়) ১১) গন্ধ ১২) পুষ্প ১৩) ধূপ ১৪) দীপ ১৫) নৈবেদ্য ১৬) পুষ্প মাল্য বা তাম্বুল ( পান সুপারি) এখানে এগুলো আগে সম্প্রদান করে নিতে হবে। মন্ত্র :- বং এতেস্মৈ রজতাসনায় নম। ( তিন বার কুশ ত্রিপত্র দিয়ে জলের ছিটা) একটি ফুল আসনের উপর দিয়ে, এত অধিপতয়ে দেবায় শ্রী বিষ্ণবে নম ।এতৎ সম্প্রদানায় ওঁ বিল্ব শাখা বাসিনি দুর্গায়ৈ নম। এতৎ রজতাসনায় ওঁ বিল্ব শাখা বাসিনী দুর্গায়ৈ নম। এই ভাবে প্রতিটি জিনিস বা দ্রব্য নিবেদন করতে হবে। 

এখানে একটি কথা বলি এর পর অধিবাস করতে হবে। যদি কেউ পঞ্চমিতে কল্পরাম্ভ করেন তিনি ষষ্ঠীর সকালে দুর্গা ষষ্ঠীর পুজো করে সন্ধ্যায় অধিবাস করবেন। সব এক কেবল স্বত্তি বাচনে বলতে হবে অধিবাস কর্মানি, আর সংকল্প তে বলতে হবে অধিবাস কর্মানি করিষ্যামি ।
আর যিনি ষষ্ঠীর দিন অধিবাস করবেন তিনি সংক্ষেপে করতে পারেন। অনেন প্রসস্তি পাত্রেন অস্য হ্রীং দুর্গায়ৈ নম ।কারণ ষষ্ঠীর দিন সন্ধ্যায় পুজার শেষে দুর্গা প্রতিমা সহ বাকি দেব দেবীর হাতে মঙ্গল সূত্র বেঁধে আসবেন। অনেন মঙ্গল সূত্রং এই মন্ত্রে সংক্ষেপে করবেন। বরণডালার প্রতিটি দ্রব্যের আলাদা মন্ত্র আছে সে গুলো বলে অধিবাস করতে অনেক সময় লাগবে। ঐ দিন সন্ধ্যায় নব পত্রিকা বেঁধে রেখে আসুন কেবল জোরা বেল টি বাঁধবেন না ওটা পরের দিন সকালে বেঁধে দিন। পারলে দুর্গা প্রতিমা এবং গনেশের সামনে ঘটে বসানোর জায়গায় পঞ্চ গুঁড়ি দিয়ে অষ্টদল পদ্মাসন এঁকে রেখে আসুন।পরিষ্কার কিছু চাপা দিয়ে রেখে আসবেন। আরতি করে ষষ্ঠির পুজো বা বিল্ব বৃক্ষের পুজো শেষ করুন। আরতি যেভাবে করতে হয়। প্রথম পঞ্চ প্রদীপ, ঘটের চার পাশে অর্থাৎ দেবির পা কল্পনা করে ওখানে চার বার মুখ মণ্ডলে চার বার আর সমগ্র অর্থাৎ মুখ মণ্ডল থেকে পা পর্যন্ত তিন বার মোট এগারো বার ঘোরাতে হবে। এর পর কর্পূর দানি একই ভাবে এগারো বার। এবার বিশেষ অর্ঘ্যের শঙ্খ জল একই ভাবে ঘোরাতে হবে। কারণ দুই অগ্নি দিয়ে আরতি করেছেন জায়গাটি উত্তপ্ত হয়ে গেছে সে কারণেই শঙ্খ জল দিতে হবে। এবং এর পর নতুন গামছা দিয়ে মোছাতে হবে একই ভাবে। এর পর ধূপ নিয়ে একই ভাবে এগারো বার ঘোরাতে হবে। এবার দর্পণ একই ভাবে এগারো বার ঘোরাতে হবে। এর পর চামর একই ভাবে এগারো বার ঘোরাতে হবে। যদি চামর না পান তাহলে ফুল নিয়ে করবেন। দেখুন মোট সাত টি জিনিস দিয়ে আরতি করতে হবে কেউ কেউ নয় টি বা এগারো টি নিয়ে আরতি করে থাকেন। আরতি দ্রব্য পর পর নাম গুলো সাতটি ১) পঞ্চ প্রদীপ ২) কর্পূর দানি । ৩) বিশেষ অর্ঘ্যের শঙ্খ জল ৪) গামছা ৫) ধূপ ৬) দর্পণ ৭) চামর বা ফুল। কেউ কেউ উল্টো করে থাকেন, নয় টি হল ১) পঞ্চ প্রদীপ ২) কর্পূর দানি ৩) শঙ্খ জল ৪) গামছা ৫) ধূপ ৬) ফুল ৭) শ্রী ৮) দর্পণ ৯) চামর ।
এগারো টি দর্পণের আগে, বরণ ডালা, আর পাখা তার পর চামর নিয়ে করবেন। তবে একটা বিষয় প্রতি টি দ্রব্য এগারো বার নিয়ম অনুযায়ী ঘোরাতে যদি ৫ মিনিট করে সময় লাগে তাহলে কতক্ষণ হয় তাহলে ভেবে দেখুন কতক্ষণ সময় লাগবে। ষষ্ঠীর পুজো শেষ এই ব্লগে সপ্তমী পুজার নিয়ম ও মন্ত্র দেওয়া হয়েছে। 
সপ্তমীর পুজোর নিয়ম ও মন্ত্র লেখা আছে। সপ্তমীর পুজো বলে সার্চ করতে হবে। 


 

Tuesday, 26 March 2019

এক যে ছিল চোরের দেশ।

ছবি টি দুষ্প্রাপ্য, অনেকে দিনের, ছবি দেওয়া অভ্যাস হয়ে গেছে তাই এই ছবি টি দিলাম। অনেক দিন আগে আমার কাছে হোয়াটস এ্যাপে পাঠিয়ে ছিল আমার এক বন্ধু। এতো ছবির বিষয়ে গেল। এবার আসল কথায় আসি। চোরে দের রাজ্যে রাজা, উজির, মন্ত্রী সান্ত্রী, সিপাই, সকলে চোর ,কেউ যদি বলে আমি চোর হব না চুরি করব না। তাকে যে ভাবে হোক চোর বানান হবে। নিদেনপক্ষে ছিঁচকে চোর বা পকেটে মার, চোর হতেই হবে না হলে জুটবে মার আর কঠিন শাস্তি, তবে এই দেশে একটা নিয়ম আছে, চুরি করে একা ভোগ করতে পারবে না, ভাগ করে নিতে হবে। খুব ভাল না, চুরি শেখানোর জন্য এই দেশে অনেক বিদ্যালয় আছে, যেখানে কীভাবে চুরি করতে হবে শেখানো হয়। পকেট কাটা, সিঁধেল চোরের জন্য সিঁধ কাটার কৌশল, ছিঁচকে চুরির করার কায়দা কী করে পাঁচিল টপকে ঢুকে ঘরে তালা ভেঙে চুরি করতে হবে, সব হাতে কলমে শেখানোর ব্যবস্থা আছে। ডাকাতির জন্য আলাদা করে পড়াশোনা করতে হবে, গুলি বন্দুক চালনা, শিখতে হবে, আরো অনেক কায়দা । এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওস্তাদ বলে, সব যাতে ভালো ভাবে শিখতে পারে তার জন্য বাটপার দের দেশ থেকে বিদ্যালয় গুলো চালাতে পয়সা আসে, পোশাকের টাকা, খাওয়ানোর টাকা আসে। চোরের রাজা যেহেতু পরিচালক তাই চুরি এখানে হবেই। সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে চাষিদের ফসল, থেকে শুরু করে জুতো পর্যন্ত সব চুরি হয়। বেশিরভাগ বাবা মা চোরের বিদ্যালয়ে পাঠায় চুরি শেখাতে, রাজার কাছে নালিশ করতে গেলে রাজা এদের কিছু বলে না। সিপাই আসে কিন্তু ঐ নাম কাওস্তে । বাটপার এদের উপর বাটপারি করে বটে তবে অনেক টা ফেরত দেয়। বাটপার পোশাকের টাকা দিলো এমন প্রশিক্ষিত চোর কে পোশাক দেওয়ার দ্বায়িত্ব দেয় বলার কথা নয়। সেখানে চুরি সবাই কে পোশাক দেয় না, দেওয়ার দু মাস পরে ছিঁড়ে ফর্দাফাঁই । আর খাবার খেতে দেওয়া সে তো আর বলার নয়। খাওয়ানোর জন্য চাল দেয় বাটপার যদি তিন মাসের চাল দেয় চোরের সিপাই দেয় অর্ধেক, বাকি অর্ধেক খোলা বাজারে বিক্রি করে পয়সা আসে ওটা না করলে চলে, চোরের রাজ্যে ।খাওয়ার টাকা বাটপার দের রাজা যদি এক সাথে ছ মাসের টাকা দেয় একশো জনের দিলে, বিদ্যালয়ে পৌঁছয় আশি জনের, আবার দেখে কী করে না দিয়ে টাকা চুরি করা যায়। অনেক ফন্দি ফিকির করে বিদ্যালয় গুলোতে টাকা না দিয়ে, বছরে কয়েক লক্ষ টাকা গায়েব মানে চুরি, কারণ চোরের ছেলে মেয়েদের হাতে কলমে বিদ্যাটা শেখানো হয়। চুরি করতে পাঠিয়ে, তখন ছুটি থাকে, সেখানে টাকা বেঁচে গেল ব্যাস চোরে দের কী আনন্দ ঐ দিন বা মাসের টাকা বাদ আরাম করে চুরির টাকা ভাগ হয়ে গেল। কষ্ট করে চুরি বিদ্যা শিখছে তারা যদি একটু ভালো মন্দ না খেতে পায় কী করে চুরি করবে। আবার শেখানোর জন্য ওস্তাদ দের প্রশিক্ষণ শিবির হয় সেখানে যে ভাবে শেখানো হয় ওস্তাদরা এসে চেষ্টা করে শেখাতে, কিন্তু ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার। ঐ সব ভুল ভাল পদ্ধতি বড়ো বড়ো চোরে রা বানায় যা গ্রামের দিকে চলে না। কে বোঝাতে যাবে কারণ ওর জন্য বাটপারের দেশ থেকে টাকা আসে সেটা তো কিছু হলেও খরচ করতে হবে তাই না। বাটপাররা দের মোটে বোঝান যাবে না, তবু চোরের দলের একটু হলেও দয়া মায়া আছে। অনেক সময় বললে লজ্জার খাতিরে কাজ করে দেয়, চুরি করা মাল কিছু টা হলেও ফেরত দেয়। 

Monday, 25 March 2019

দিদি কুকুর বলে ঠিক করেছে, আমরা একেই ভোট দেব।

ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট ও নজরবন্দী নিউজ পোর্টালে বেড়িয়ে ছিল ।ছবি টি তে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রের শিক্ষকের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।  শিক্ষকের মর্যাদা বর্তমানে এই রাজ্যে নেই, একদল হবু শিক্ষক আমরণ অনশন করছে, আরো কিছু শিক্ষক বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ অনশন করছে, (ssk, Msk) এরা অনশন শুরু করেছেন,কম্পিউটার শিক্ষরা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, পার্শ্ব শিক্ষকরা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে বেতন দশ হাজার করেছে, তারাও লড়াই আন্দোলন করে চলেছে।প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকরা উস্থি নামক একটি নতুন সংগঠন করে পি আর টি স্কেলের দাবি তে আন্দোলন শুরু করেছে, তারা দিল্লি পর্যন্ত গেছে। সরকার আবার তাদের কিছু নেতা কে ৩০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে বদলি করে দিচ্ছে। সর্বশিক্ষা অভিযান মিশনের কর্মীদের বেতন কম তারা আন্দোলন করছে। এমনি সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে কেস আছে আবার আন্দোলন ও আছে। ডিএ পে কমিশন নিয়ে আলোচনা না করে সরকারি আন্দোলন ভাঙার জন্য সরকার তাদের কেউ দূরে বদলি করে দিয়েছে। সরকার ছ মাস আগে ডিএ ঘোষণা করেন সেটা কে পাঁচ বার ছ বার বলেন। এমন ভাবে বললেন সাধারণ মানুষ ভাবে, এত দিচ্ছে তারপরও আন্দোলন, ডিএ পে কমিশন নিয়ে আন্দোলন করলে বা দাবী করলে, বলছেন ঘেউ ঘেউ করবেন না। অনেক দিচ্ছি, এবার আমার প্রশ্ন এই সরকারী কর্মীদের মধ্যে পুলিশ পরে তাদের হাব ভাব দেখে মনে হচ্ছে না, যারা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী সচিব পর্যায়ের তাদের কথা বাদ দিন, আমাদের মধ্যে এমন অনেক কর্মী ও শিক্ষক আছেন, যারা এই সরকার কে পারলে এখনই দিল্লি পাঠিয়ে দেয়, এদের মধ্যে অনেকে উস্থি তে আছেন,আবার অন্য শিক্ষক সংগঠনেও আছেন। তাদের এমন একটা মন ভাব ডিএ দিক আর না দিক পে কমিশন দিক আর না দিক, ডিএ এর কথা বলা হলে ঘেউ ঘেউ করতে বারণ করেন, তাও সই তবুও এদের ক্ষমতায় আনতেই হবে। আজ আমার দুই সহ কর্মী হঠাৎ করে জিজ্ঞেস করে পোস্টাল ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চায় । আমি কোনো উত্তর দিই না, আমার এক সহকর্মী তৃণমূল নেতার মেয়ে বলে ওঠে আমাকে দেবে, ভাবুন ভোটের গোপনীয়তা নেই। একজনের ব্যালট আরেক জন চেয়ে নিচ্ছে। তবে আমি জানি ঐ সহকর্মী ওদের কে ভোট দেবেন। ডিএ কী কাল থেকে যদি বলেন তোমার বেতন অর্দ্ধেক করে দেব তাও, এরা দিদির সঙ্গে আছে, তাহলে দেখা যাবে যতই দিদি বলুন ঘেউ ঘেউ করবেন না, অর্থাৎ কুকুর বলুক এরা হচ্ছে সত্যিই কারের ঐ জাত। তাহলে আমার মতে দিদি কুকুর বলে ঠিক করেছে। এদের আদর করে বলেছে। 

Sunday, 24 March 2019

পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন দল ভোট পাওয়ার যোগ্য, আপনার ভাবনা চিন্তা কি?


প্রথম আমরা আসি সি পি আই এম এর কথায়। সি পি আই এম দীর্ঘ ৩৪ বছর এই রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল। যদিও লোক সভার ভোট, কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের জন্য ভোট। সি পি আই এম সারা দেশে প্রার্থী দেয় ১০০ থেকে ১৫০ এর মধ্যে,যদি ধরে নিই এর মধ্যে পঞ্চাশ টি আসন পায় যা দিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠন করা যায় না। আবার দেখা যায় যে খানে সি পি আই এম কৃষক ও আন্দোলন করে সেখানে প্রার্থী নেই। যেমন নাসিক থেকে যে কৃষক আন্দোলন হলো দেখা যাবে ওখানে প্রার্থী নেই। এই হিন্দি বলয়ে একটা কথা আছে, "লড়লেনে কে লিয়ে লাল ঝাণ্ডা, ভোট দেনে কে লিয়ে তেরঙ্গা। যেমন ধরুন যে নেতা দিল্লি তে থাকেন, তিনি নিশ্চয়ই সেখানের ভোটার এবার সেখানে কোনো বাম প্রার্থী দেয়নি, তাহলে ভোট দিলেন কাকে? কেন কংগ্রেস কে, সেই জন্য সর্বদা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে বলে। যা হোক ওসব ছাড়ুন, আমরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বর্তমানে কাকে ভোট দেওয়া উচিত, সি পি আই এম যদিও সারা দেশে প্রার্থী দেয়, টি এম সি দেয় না। আবার বিজেপি সর্ব ভারতীয় দল, এক সময়ে লোক সভায় দুটো আসন পেয়ে ছিল সারা দেশে, সেই দল যখন সারা দেশে সব আসনে প্রার্থী দিল তার পরে আর দেখতে হয় নি। কারণ মানুষ কংগ্রেসের বিকল্প খুঁজে পেল, এটা বেশি দিনের কথা নয়। এ রাজ্যে দেখা যাচ্ছে বিজেপি তৃণমূল একটি দল, কে যে তৃণমূল আর কে বিজেপি বোঝা যাচ্ছে না। আর কংগ্রেস জাতীয় দল হলেও এর নেতারা একবার তৃণমূল একবার কংগ্রেস এই করে দল বদলে ফেলছে। আমি ভোট দিলাম আমার নীতি আর্দশ কে সে আরেক টায় গিয়ে নাম লেখাল, আমার ভোটের আর দাম থাকল না। আর বর্তমান শাসক দলের লোক নেতা মন্ত্রী সারদা রোজভ্যালীর এম পি এস গ্রিনারি আরও কত সব চিটফাণ্ডের টাকা বাটপারি করে বসে আছে, নারদা দেখা যাচ্ছে তারা ঘুস নিচ্ছে, আমাদের এখানে এক ছোট নেতা তোলা তুলে দুর্গা পুর এক্সপ্রেস ওয়ের পাশের ছোট ছোট কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য করল। এ আমার চোখে দেখা, আর এখন যেখানেই বাড়ি করতে যাও সিন্ডিকেট আছে, মাল যদি বেশি দামে নাও তো ভালো না সব থেকে কম পঁচিশ হাজার টাকা দিতে হবে। এটা গ্রামের সিন্ডিকেটের রেট, এতো তৃণমূলের কথা, এই তৃণমূলের যে সব নেতা সি বি আই এর ডাক পেয়েছেন, তারা জেলে যাবার কথা তারা বিজেপি তে।
এদের পর বাকী থাকে সি পি আই এম বা বামফ্রন্ট, এখানে চোর ঘুষ খোর নেই বললেই চলে কারণ এরা এখন ক্ষমতায় নেই, কিন্তু মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য বামফ্রন্ট প্রার্থীরা দু একজন ছাড়া বাকি সব মানুষের বক্তব্য হলো নেতাদের বয়স বেশি, আর এরা সেই আগের মতই আছে, নিজেদের পাল্টাতে পারে নি। কোন কম বয়সী কে উঠতে দেয় না, এ বিষয়ে একটি অভিজ্ঞতা এই দলের এক নেতা অনেক দিন আগে বলছেন, উপযাচক হয়ে এসেছে, তার মানে এরা নেতা বানানোর জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে, আবার কিছু দিন আগে তিনি বলেন যেমন চলছে চলতে দাও। আবার তাকে গন সংগঠন থেকে বাদ দেওয়ার জন্য কত পরিকল্পনা, এটার কারণ আমার মনে হলো নেতার থেকে তার জন সংযোগ অর্থাৎ নেতার কথায় সে যদি না বলেছে,তার পিছনে তার সম্পর্কে নানা ধরনের ভালো মন্দ কথা প্রচার করা হবে। অন্য সকল সদস্যের কাছে কীভাবে ছোট করা যায় তার পরিকল্পনা, শেষ পর্যন্ত নিজে অপমানিত হতে হবে বুঝতে পারে না। কারণ এই সব জেলাস দের মান অপমান বোধ কম, যা হোক এসব কথা আলোচ্য বিষয় নয়। মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন যদি দেখা যায় এই লোক সভা ভোটে বামফ্রন্ট ভালো আসন পেল, বা পেল না, কিন্তু যদি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই সব সত্তর ঊর্ধ্বে নেতারা চোখ রাঙাবে একটা কাজ নিয়ে বললে আগের মতো বছরের পর বছর ঘোরাবে, বিপদের সময় পাশে পাওয়া যাবে না। সামনে এসে দাঁড়াবে না,উল্টে কাজ যাতে না হয় তার ব্যবস্থা পাকা করে দেবে। সেই কারণেই মানুষ এদের সরিয়েছে, চোর নয় জানলেও এই সব নেতা দের কারণে আগামী লোকসভা বা বিধান সভা নির্বাচনে জেতা বা বামেদের ফিরে আসা মুশকিল, তাই নেতা বদলাতে হবে বা নেতাদের মনোভাব বদল করতে না পারলে বামফ্রন্টের এ রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরে আসা মুস্কিল। 

Sunday, 17 March 2019

রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রী রা এত মিথ্যে কথা বলে কেন?

ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া।আজ আমি বা আমরা অনেকে দেখছি বা শুনছি, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এমন কিছু কথা বলে দিচ্ছেন, যা নিয়ে সারা দিন, কেন বেশ কিছু ধরে আলোচনা করে। যেমন উনি উত্তর বঙ্গের হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধন করতে গিয়ে বলে এলেন, ১৯১২ সালে তিনি ওটির শিলান্যাস করেছিলেন। আবার তিনি একটি বই লিখেছেন উপলব্ধি তার সাথে তিনি যা করেছেন কিছু মিলছে না। আসলে তিনি একা নন, বিশ্বের প্রায় সকল দেশের বড়ো বড়ো নেতা মন্ত্রী রা প্রতি মুহূর্তে এটা করে থাকেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দেখুন তিনিও কম মিথ্যে বলেন না। আমাদের দেশের মিডিয়া গুলো যদি এদের সঙ্গে না থাকত তাহলে আমরাও জানতে পারতাম প্রতি মুহূর্তে কত গুলি মিথ্যে কথা বলছেন। যেমন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট মিথ্যে কথা বললে ওখান কার মিডিয়া হিসেবে রাখে, আমাদের দেশে রাজনৈতিক দল বা ক্ষমতাসীন দল, সব সময় মিডিয়া কে টাকা দিয়ে বগল দাবা করে রাখে, প্রতি নিয়ত প্রচারের আলোয় থাকার জন্য। সাধারণ মানুষ সরকারের বা দেশের কি ঘটেছে, কোনও ঘটনার পর কী করা হলো বা সরকারের দোষ ত্যাগ নিয়ে আলোচনা করতে পারে না, ভয়ে না হলে নির্বাচনের আগেই প্রচার করে কে কতটা আসনে জয় লাভ করবে। আমার আলোচ্য বিষয় ওটা নয়, তাহলে এরা কেন এতো এরকম বলেন, সবাই মিলে ভাবছেন, এরা কিছু জানে না, বোকা, না হলে অশিক্ষিত মোটেও তা নয়, আসলে এরা সবাই খুব চালাক সাধারণ মানুষ যাতে এদের খারাপ কাজ গুলো নিয়ে না আলোচনা না করে বা ভাবে এরা বোকা বলে ঐ কাজ গুলো করেছে, সেই জন্য এই সব কথা বলা লেখা প্রকাশ করা করে যায়, আমরা যেমন রাস্তার কোনো মাতাল কিছু বললে কি বলি ও মাতাল তাই করে ফেলেছে। একজন লেখাপড়া জানা ভদ্র লোক করলে কি বলি, আপনি শিক্ষিত হয়ে এ কাজ করলেন। আমাদের বা সাধারণ মানুষ যাতে করে সর্বদা ব্যস্ত থাকে, এদের এই সব আ কথা কু কথা নিয়ে,নিজেদের দাবি বা অভাব অভিযোগ ভুলে থাকতে পারে তার জন্য এটা এক ধরনের খোড়াক। আমাদের রাজ্যের এস এস সি পরীক্ষা পাশ করে ঘুষ দিতে না পেরে চাকরি হয়নি, তারা আজ অনশন করছে, একজনের গর্ভস্থ শিশু নষ্ট হয়ে গেছে,আরো অনেক আন্দোলন হচ্ছে, সে কথা কোথায় প্রচার কেবল মাত্র নিজেদের মধ্যে ফেসবুক ও হোয়াটস এ্যাপে বন্দী। এই জন্য বলছি এরা এগুলো বলে এরা অতিব চালাক তাই এগুলো বলে,এদের সাথে যারা থাকে বা যে লোক এদের ভাষণ লিখে দেন, তারা কি লেখা পড়া জানে না, মনে হয় মোটেও না সব ঠিক থাকে এরা ইচ্ছা কৃত এগুলো করে থাকে। 

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।

আমি কেন্দ্রীয় বাহিনী বা সেনা বাহিনীর জওয়ান দের ভীষণ শ্রদ্ধা করি, কারণ তারা শত কষ্ট সহ্য করেও আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে গত 2014 ও 2016 সালে সেই ভূমিকায় দেখা যায় নি। সব ছাপ্পা ভোট হয়ে যাবার পর, বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছিল, কিন্তু 2009 ও 2011 সালে ভোট শুরুর প্রথম থেকে ভীষণ ভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে ছিল। আমরা যারা ভোট কর্মী খুব নিশ্চিন্তে কাজ করতে পেরে ছিলাম। 2014 ও 2016 তে সর্বত্র কিছু কিছু গোলমাল হয়েছিল। আমার অনেক বন্ধু রা অনেক জায়গায় ভোট নিতে গিয়ে ছিল, তারা সবাই মিলে বলছিল। শাসক দলের লোক কীভাবে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিল, আর কেন্দ্রীয় বাহিনী দাঁড়িয়ে দেখছিল। অফিসার রা কিছু বললে সেরকম কী না বলে বাইরে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। আমি 2014 সালের ঘটনা বলি,একটি কুড়ি বাইশ বছরের ছেলে দুটি ভোট দিয়ে গেছে, আবার এক জন কে সাথে এনেছে সে দিব্যি চোখে দেখতে পায়, আমি বলার পর সে বলল আমরা ৩৪ বছর ধরে ভোট দিতে পারিনি, আমি বললাম তোমার বয়স 20 বছর তুমি কী ভাবে চৌঁত্রিশ বছর ধরে ভোট দিতে পার নি? সে ঘাবরে গিয়ে বলে ঐ হলো, তার সাথে এজেন্ট রা যোগ দেয়, শেষ পর্যন্ত সে ঐ লোকের ভোট এবং আরও কয়েক জনের ভোট দিয়ে ছিল।
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট দিয়ে প্রহসন শুরু,কিছুতেই পঞ্চায়েত ভোট করবেন না, শেষে পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কেস করে কেসে জিতে ভোট করে ছিল। সেই সময় থেকেই বোঝা গিয়ে ছিল,রাজ্যের শাসক দল কতটা গনতন্ত্র প্রিয়।সেই ২০১৩ সাল থেকে শাসক দলের নেতা মন্ত্রী কর্মীরা বিভিন্ন সময়ে এমন সব কথা বলতে আরম্ভ করেন, সে সব শুনে বিরোধী দলের অফিস ভাঙচুর কর্মীদের মারধর, একজন তো বলেই বসলেন, এসব করতে পুলিশ যদি বাধা দেয় তবে পুলিশ কে বোম মারবে। নেতার কথায় সত্যি সত্যি অমিতাভ চক্রবর্তী না কী নামে এক পুলিশ অফিসার কে বোমা মেরে মেরে ফেলা হয়েছিল। যে মায়ের কোল খালি হলো তাতে নেতার কী হলো ? তিনি তো দেহরক্ষীর ঘেরা টোপে থাকেন, আর যে নেতার কথায় ঐ কাজ টা করল ধর সে শাসক দলের লোক হলে সাত খুন মাফ।
তাই গত ২০১৩ পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০১৪ বিধান সভা, ও ২০১৬ সালে লোক সভা ভোট ও গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে না দেওয়া প্রার্থী দিতে না দেওয়া মানুষ খুন করা উন্নয়ন অস্ত্র হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল । তাই এই নির্বাচন নিয়ে সমস্ত মানুষ কৌতুহলী কতটা ছাপ্পা এড়িয়ে একটা মানুষ খুন না করে ভোট হবে তো ! 

Monday, 11 March 2019

বাংলায় এমন সুদিন এসেছে চাকরির জন্য অনশন করতে হচ্ছে।

ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া ।গত কয়েকদিন ধরে ssc পাশ করা চাকরি প্রার্থীদের অনশন চলছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, অনেক মা তাদের বাচ্ছা দের নিয়ে অনশন করছে, 2012 সালে চাকরির পরীক্ষা দিয়ে ও তালিকা ভুক্ত হয়েও চাকরি হয় না। এ রাজ্যে ঘুষ না দিলে  চাকরি হয় না । যে রাজ্যে পাঁচ হাজার টাকার চাকরি (ICDS) পেতে হলে ঘুষ দিতে হয়। সেখানে সুস্থ ভাবে চাকরির পরীক্ষা দিয়ে চাকরি ভাবা  যায় ।এ রাজ্যে কাগজের বিজ্ঞাপনে চাকরি আছে, চাকরির পরীক্ষা নেওয়ার নামে প্রহসন আছে, কেবল ঘুষ না দিলে চাকরি নেই। সেই জন্যই আজ চাকরি না পেয়ে কোলের বাচ্ছা নিয়ে অনশন করতে হচ্ছে, বা গর্ভবতী অবস্থায় অনশন করতে হচ্ছে, এতো আর পর্দার আড়ালে অনশন নয়, তাই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আজ টিভি নিউজে দেখলাম, এক মায়ের গর্ভপাত হয়ে গেছে, যা গোটা পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা সত্যিই উন্নয়নের ফোয়ারা ছুটছে, সত্যিই আমরা সেই বাঙালি জাতি যারা গোটা দেশ কে মানবতার বানী শিখিয়েছে। কোথায় গেলেন মানবতার পূজারিরা, আমি জানি না কবে বাঙালি এই অমানবিকতা থেকে মুক্তি পাবে। বাঙালি আজ বিবেক, মনুষ্যত্ব বিকিয়ে দিয়েছে, পাঁচ শ টাকা বা পাঁচ দশ হাজার টাকা পাবার লোভে, আর এক দল মো সাহেব তৈরি হয়েছে, কাট মানি খাওয়ার জন্য।কাট মানির ভাগ দিলেই চলবে। কোথায় সেই বাঙালি জাতি? যারা স্বাধীনতার লড়াই করে ছিল । প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে গেছে,আমরা কত নির্লজ্জ হতে পারি এটা তার একটা দৃষ্টান্ত। যদি সৎ সাহস থাকে আসুন আগামী দিনে একে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে আসি বঙ্গোপসাগরে। যত রকম ভাবে বাঙালি কে ছোট করা যায় সেটাই হচ্ছে, সাহিত্যে, চুরিতে, স্বাধীনতার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে যত সরকার এসেছে এ রকম সরকার কোন দিন আসেনি। চৌঁত্রিশ বছর বাম সরকার ছিল, 41 না 42 টা কমিশন গঠন করেও আট বছরেও একজন নেতা মন্ত্রী কেও জেলে ভরতে পারে নি। তাই বলছি এই লোক সভা ভোট আসছে, এই সরকার কে বুঝিয়ে দিন বাঙালি এখনো বিবেক হীন হয়ে যায় নি।

Wednesday, 6 March 2019

দেশে মাফিয়া আর দূস্কৃতি দের কাছে যে পরিমাণ অস্ত্র আছে, তা পুলিশের কাছে নেই।

স্বাধীনতার সত্তর বছর পরেও দেশ স্বাধীন হবার পরও সাধারণ মানুষের দুঃখের শেষ নেই। ইংরেজ আমলে ব্রিটিশ সরকার ভারত বাসী দের কুকুর বিড়াল ভাবত পান থেকে চুন খসলে গুলি করে মেরে দিত, পিটিয়ে মেরে দিত। সত্তর বছর হলো ব্রিটিশ ভারত ছেড়ে চলে গেছে কিন্তু আজও আমরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মরছি কথায় কথায় রাজনৈতিক নেতা তথা তোলাবাজ ঘুষখোর দের কথায় একে অপরের সাথে মারামারি করছে, আর মশা মারার মতো মানুষ খুন করছে।  এতো অস্ত্র এলো কোথা থেকে ইতিহাসে আমরা পড়েছি ভারতের নবাব বাদশা সুলতানরা কিছু কর্মকার বা কারিগর কে দিয়ে অস্ত্র তৈরি  করাতো তারাই আজ বংশ পরম্পরায় অস্ত্র তৈরি করে দিচ্ছে । সেই অস্ত্র আজ দূস্কৃতি থেকে মাফিয়া প্রত্যেকের হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ।  মদ আর ভাগারের মাংস খেয়ে মশা মারার মতো মানুষ খুন করছে। আর এখন পশ্চিমবঙ্গের আনাচে কানাচে মদের দোকান, এতো এতো দূস্কৃতি বা মাফিয়া তোলা বাজ বেড়েছে তা বলে বোঝানো যাবে না। এর সাথে আছে ঊর্দিধারি তোলা বাজ, রেলের ঊর্দিধারি তোলা বাজরা আরও সাংঘাতিক রেল যাত্রীদের নিরাপত্তা থেকে তোলা তুলতে বেশি পারদর্শী। দু তিন বছর চাকরি করার পর বাড়ি গাড়ি অবধারিত, এ রাজ্যে আরেক ধরনের তোলা বাজ আছে এখন দশ হাজার টাকা বেতন কিন্তু এক একজন বিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা মাসে তোলা তুলে ইনকাম করে। তবে এটাও ঠিক এই সব ঊর্দিধারি দের সবার হাতে অস্ত্র নেই। অবাক করার বিষয় তাই না, কিন্তু মাফিয়া দূস্কৃতি তোলা বাজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা উন্নয়ন এদের প্রত্যেকের হাতে কিছু না কিছু অস্ত্র আছে, এরা বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দল বদলে নেয় জেল জরিমানার হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য। মানুষ খুন এদের কাছে জল ভাত, আর এদের উপর ভর করে অনেক নেতা মন্ত্রী নিজের আখের গোছায়। নিজের দলের লোক জন কে খুন, যা এখন বিভিন্ন পাড়ার মোড়ে মোড়ে ঘটে চলেছে। ছাত্র খুন, শিক্ষক হেনস্থা,   পঞ্চায়েত ভোট নিতে যাওয়া সেই শিক্ষক মশায় যিনি নৃশংস ভাবে খুন হয়ে ছিলেন। খুনের ঘটনা লিখলে এই পরিসরে শেষ হবে না। প্রতিটি প্রাণ মূল্যবান সেই অমূল্য প্রাণ কে যারা অকালে কেড়ে নেয় তারা আর যাই হোক মানুষ নয়। এখন গোটা রাজ্যে তথা দেশে এতো বেড়েছে যে, বলে কাজ নেই, এর কারণ পুলিশ  প্রশাসনের ঢিলেমি, আর বিচার ব্যবস্থার গাফিলতি ।বিচারের নামে প্রহশন তৈরি করা, তারিখের পর তারিখ দেওয়া আর জামিন ব্যবস্থা। আমি ইতিহাস পড়ে যেটুকু জেনেছি ব্রিটিশ আমলে তৎক্ষণাৎ বিচার হতো এবং শাস্তি হতো এখন হয় না। বিশ বছর মামলা চলার পর শাস্তি ঘোষণা করা হয়। প্রকৃত অপরাধী ধরে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হতো, তবে আজ কথায় কথায় মানুষ খুন অনেক টাই বন্ধ করা যেত। তবে পুলিশ তো নিধিরাম সর্দার, কীভাবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে?

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন আর দূস্কৃতি রাজ।

আমাদের রাজ্যের নির্বাচন, ভোটের আগে দূস্কৃতি দের জেলে ভরার পালা, কিন্তু প্রশ্ন এই রাজ্যের আসলে যারা দূস্কৃতি তারা থেকে যাবে জেলের বাইরে, খুব কম দূস্কৃতি ধরা পড়বে। যারা ধরা পড়বে তারা বিভিন্ন দলের কর্মী সমর্থক কারণ আমাদের রাজ্যের প্রায় প্রতিটি শাসক দল সর্বদা এরকম রাজনৈতিক নীতি নিয়ে চলে। যত রকম কেস আছে শ্লীলতাহানি, ডাকাতি, চুরি, খুন সব ধরনের মামলা আছে বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে, কারণ এই রাজ্যে কোনো অপরাধ ঘটলে, শাসক দল বলে, বিরোধী দল করেছে, আর বিরোধী দল বলছেন শাসকের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, মামলা বা কেস ডায়েরি পুলিশ সেই ভাবে সাজাচ্ছে, যে লোক ঘটনার কথা ঘুনাক্ষরে জানে না। তার নামে কেস বা মামলা রুজু হচ্ছে, এরকম করে আসল অপরাধী জেলের বাইরে থেকে যাচ্ছে, তারা যখন যে শাসক সেই দলে নাম লেখাচ্ছে, আসল অপরাধীরা ভোটের সময় মদ মাংস খেয়ে দিব্যি হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে, মানুষ খুন করছে, পুলিশ কে মারছে, এই আজ অন লাইন নিউজ পোর্টালে (DNA বাংলা) বেড়িয়ে ছিল এক জন তৃণমূল যুব কর্মী কে বোমা মেরে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে,হতভাগ্য মায়ের কোল খালি হলো। আমার মনে এতখন কোনো না কোনো বিরোধী দলের নেতাদের নামে কেস হয়েছে। আর আসল অপরাধী ঠিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলায় এই সমস্যা আজ থেকে নয়, দীর্ঘ দিনের এরকম সমস্যার জন্য তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার কে মানুষ পাল্টে বর্তমান সরকার কে নিয়ে এসে ছিলেন । সেই tradition সমানে চলছে।

Tuesday, 5 March 2019

পথ বা রেল দূর্ঘটনা আর উদ্ধার কারী স্থানীয় মানুষ।

ছবি টি অন লাইন আনন্দ বাজার পত্রিকায় থেকে নেওয়া।আমার শোনা ও দেখা কিছু দূর্ঘটনার সময় সাধারণ মানুষের উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে, দূর্ঘটনায় আহত মানুষ দের একটু সাহায্য করেন। কারণ দূর্ঘটনা স্থলে পুলিশ বা উদ্ধার কারী দল, সর্বদা দেরী করে পৌঁছায়, কিন্তু আমি জানি কিছু স্থানীয় বাসিন্দা আছেন, যারা উদ্ধারের নামে লুট চালায়। আগেই মৃত মানুষ গুলোর পকেট ফাঁকা করে, যে যেমন ভাবে পারে, তাই অনেক সময় মৃত মানুষের পরিচয় জানা যায় না। গুরুতর জখম ব্যক্তিদের সেবা দেওয়ার নামেও এই নোংরামি করে।অনেক দিন আগের একটা দূর্ঘটনার কথা চাঁপাডাঙ্গা পিয়সারার মাঝে ঘটে ছিল। দূর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তির কাছে পাঁচ শ টাকার নোট ভর্তি ব্যাগ ছিল, তিনি আহত মাথা থেকে রক্ত পাত হচ্ছে, তার ঐ টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে যাচ্ছে, একদল স্থানীয় উদ্ধার কারী, এরকম আরো অনেক ঘটনা চোখে পড়ে, তবে এটাও ঠিক সবাই যে এ কাজ করে না, এই সব উদ্ধার কারী অনেক ভালো মানুষ আছেন, যারা সত্যিকারের মানুষের সেবা করার জন্য বা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান, তাদের সেবা করেন। আহত ব্যক্তি দের সেবা করেন, ঠিকানা জেনে বাড়িতে খবর দেওয়ার ব্যবস্থা করেন, সেই সকল ভালো মানুষ দের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে, যেমন ফারাক্কার কাছে ভোর রাতে শীতের সময় অনেক মানুষ তাদের জীবন বিপন্ন করে অপর অনেক মানুষ কে বাঁচিয়ে ছিলেন। আমি কাগজে পড়ে জেনেছি তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, যা ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়, তাই যারা এসব করে তাদের জন্যে ভালো মানুষ যারা সত্যিকার মানুষের দুঃখে বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই সব মানুষদের অনেকে বিশ্বাস করতে পারে না। সমাজে সকল মানুষ খারাপ হয়ে যায়নি, তাহলে সমাজ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যেত। 

Monday, 4 March 2019

ভারতের রাজনৈতিক দল ও সাম্প্রদায়িকতা।

ছবি টি ডেইলি হান্ট থেকে নেওয়া। আমাদের দেশ স্বাধীনতার মুখ দেখে ছিল, ধর্মের নামে দেশ ভাগ করে, তাতে ক্ষতি গ্রস্ত হয়ে ছিল, বাঙালি হিন্দু জাতির লোক জন  আর পাঞ্জাবের অধিবাসীদের। এই ধর্মের নামে দেশ ভাগের হোতা কারা তৎকালীন কংগ্রেসের নেতারা, নির্লজ্জের মতো তখন কার উদ্বাস্তু দের এখন পর্যন্ত পুনর্বাসন দেওয়া হয় নি। আর সেই রকম একটা মহা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানো দলের সাথে, ভোট সমঝোতা করছে সি পি আই এম, কারণ বিজেপি নাকি সাম্প্রদায়িক, বিজেপি কী করতে চাইছে এক দেশ এক আইন সেখানে কোনো ধর্মীয় আইন থাকবেন না। উত্তরের কোনো রাজ্যের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধার আইন থাকবে না, কারণ তারা দেশের অন্য জনগণের করের টাকায় ভর্তুকি প্রাপ্ত জিনিস পত্র খাবে পড়বে আর সেনা বাহিনী আর পর্যটকদের পাথর ছুঁড়বে, এ জিনিস চলতে পারে না। আজ নিচু স্তরের অনেক বাম সমর্থক বিজেপি দিকে ঝুঁকে পড়েছে,  কারণ নেতা দের এই দ্বিচারিতা, এক দিকে স্বাধীনতার সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানো দল, যারা সংরক্ষণের নামে দেশে আরও সম্প্রদায়ে ভাগ করে দিয়েছে। যেখানে সংরক্ষণ হওয়া উচিত ছিল অর্থ বা আয়ের ভিত্তিতে।
আমরা দেখে ছিলাম সিঙ্গুর থেকে রাজ ভবন অভিযান যে মিছিল হয়েছিল, সেটা ঐতিহাসিক মিছিল, আবার গত 3/2/2019 বামেদের বিগ্রেডে জনসভায় তিল ধারণের জায়গা ছিল না। উপরের ছবি টি তার একটি, দেবলীনা হেমব্রম বক্তব্য রাখছেন, ছবি টি তে দেখা যাচ্ছে। আমি অনেকে বলতে শুনেছি আরেকটা বিগ্রেড মাঠ লাগবে এর পরও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট, গত বিধানসভা নির্বাচনে জোটের ফলে বামেদের ভোট কমেছে, কি জানি রাজ্যের বাম নেতারা কী বুঝেছেন। 

Saturday, 2 March 2019

শিক্ষক ও হবু শিক্ষকদের অনশন।

ছবি টি oneindia অন লাইন নিউজ পোর্টালে বেড়িয়ে ছিল ।এরা ssk msk as এর শিক্ষক বেতন বাড়ানোর দাবি নিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। কেউ কেউ অনশন শুরু করেছেন, আরেক দল মেয়ো রোডের ধারে অনশন শুরু করেছেন, অনেকে দিন হলো ssc পরীক্ষা দিয়ে প্যানেলে নাম আছে  চাকরি হচ্ছে না। সামনে লোক সভা ভোট ঘোষণার আগে দু সরকার বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছে, আবেদন করলেই চাকরি হবে ।2012 সালে ssc দিয়ে এখনো পর্যন্ত চাকরি হলো না। যারা এদের মধ্যে ঘুষ দিতে পেরেছে তাদের দু একজনের চাকরি অবশ্য হয়েছে ।বিজ্ঞাপনে কাগজের পাতা ভরে যাচ্ছে, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেও এরকম অনেক এবং অসংখ্য বিজ্ঞাপন আমরা দেখেছি। গত 2006 থেকে 2008 সাল পর্যন্ত যে ভাবে একটা বড়ো কারখানা তৈরি হতে দেয়নি।সিঙ্গুরের ঐ ঘটনার পর থেকে পশ্চিমবঙ্গের আর কোনো কারখানা হয়নি। উল্টে হিন্দমোটর বন্ধ হয়ে গেছে, অনেক বড়ো বড়ো প্রতিশ্রুতি, কিন্তু সব ফাঁকা, এখন তোলা আর ঘুষের কারখানা চলছে, যে যত পারো লুটে নাও, বামেদের আমলের শেষের দিকে এই রকম শুরু হয়েছিল, তা এখনও চলছে, আরো বেশী করে, তখন শতাংশ কম ছিল, এখন অনেক বেড়েছে, মনে পরে 2016 বিধানসভা নির্বাচনের আগে তারকেশ্বরে, হুগলি জেলার অফিসার দের নিয়ে সরকারি সভায় মাননীয়া কী বলে ছিলেন " অত কাট মানি খেলে হবে, তার সাথে ধমক দিয়ে সিঙ্গুরের একজন কে বলে ছিলেন, কামার কুণ্ডু রেল সেতু এখনো পর্যন্ত হলো না কেন? আমি কোনো কথা শুনব না, এক বছরের মধ্যে ঐ সেতু তৈরি করতে হবে, আজ তিন বছর হয়ে গেল এখনো হয় নি, তবে হয়নি খুব ভালো, হলে তো আবার ভেঙে পড়ার ভয়, কখন কার ঘাড়ে পরে তার ঠিক নেই, আর এখন এই রাজ্যের সাধারণ মানুষের কোনো দাম নেই, তারা মরলে নেতা মন্ত্রীরা হাত তালি দেয় ।সাধারণ মানুষের দুঃখের কথা কেউ শোনে না, এখন তো আবার নেতা মন্ত্রী বিধায়ক সকলেই অকালে মরছে, কি যে রাজনীতি এলো দেশে বুঝতে পারছি না। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারত সেটাও সে পারবে না, বেতন বাড়ানোর জন্য আর চাকরি পাবার জন্য আন্দোলন, ২০০০ টাকা বেতন বাড়িয়ে দেয় না, তা না হলে হাঁস মুরগি ছাগল গোরু থালা দেবেন কী করে? আর বিদ্যালয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নে টাকা নেই, কিন্তু কাগজ পুরোণ লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে চিঠি ছাপিয়ে বিলি খাল বিল নদী উৎসব, বিদেশের অনুকরণে দুর্গা পূজার কার্ণিভাল মাটি উৎসব, নিজের বেতন এক টাকার বদলে 90000 টাকা বিধায়ক ও মন্ত্রী দের বেতন কয়েক গুণ বৃদ্ধি, আমায় সবাই মাপ করে দেবেন, এসব না লেখা ভালো নয় কারণ টাকা তো আমার নয়, আর জনগণের ও নয়, ওই টাকা সরকারের টাকা সরকার যা খুশি তাই করতে পারে, তাই তোমরা যতই ধরণা দাও আর আন্দোলন করতে শুরু কর আমি হয় ত ঘোষণা করতে পারি, সামনে লোক সভা নির্বাচন হবে, আমার টাকা আমি দোব কি না, আমার ব্যপার। আগেই বলেছি এরাজ্যে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হলে নেতা মন্ত্রীরা হাত তালি দেয়, আবার যার মাথায় অক্সিজেন কম যায় সে তো সরাসরি বোম মারতে বলছে, আমি ঐ সব অনশন কারি যুবক যুবতী দের বলছি, দেখ তোমরা না খেয়ে অনশন করো না, তা হলে ঐ ছাব্বিশ দিনের রেকর্ড ভাঙতে পারবে না। সবাই ভালো থাকুন আর সামনে লোক সভা নির্বাচন, তাই আমি এসব আন্দোলন বরদাস্ত করছি না হলে, দেখিয়ে দিতাম কেমন করে আন্দোলন করতে হয়। আর কেউ দুঃখ করো না ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন আমি পশ্চিমবঙ্গের ৪২ লোকসভা আসনে জিতব, প্রধানমন্ত্রী হয়ে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে যত রকম কর্মী আছে অমিত কে দিয়ে সবার বেতন কমিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব, সব পশ্চিমবঙ্গের সমান করে দোব চিন্তার কী আছে আর কটা দিন, সব রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সমান হয়ে যাবে । 

Bajaj finserv ও আমি ।

আমি গত 21/1/19 তারিখে সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত বুড়াশান্তি এলাকার santra communications থেকে bajaj finserv with mobikwik এর মাধ্যমে একটি oppo ফোন কিনেছিলাম। তার পর গত 7/2/2019 তারিখে আমার কাছে SMS এল আমার signature mismatch হয়েছে।
আমি গত 7/2/2019 তারিখে উক্ত দোকানে গিয়ে পুনরায় কাগজ পত্র দিয়ে আসি, ব্যাঙ্ক থেকে signature verification করিয়ে, তার পর গত 20/2/2019 থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি আমাকে ফোন করতে থাকে বলে আপনার signature mismatch আছে, আপনার বাড়িতে আমাদের লোক যাবে সব কাগজপত্র নিয়ে আসতে, আমি সব ঘটনা বলার পর আমায় জানায়, আপনি সব কাগজপত্র ঐ দোকানে আবার জমা দিলে, ঠিক আছে কোন চিন্তা নেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আমার জানা ছিল না bajaj finserv একটা চিটিংবাজ সংস্থা, অন লাইনে অনেক নম্বর আছে, কোনো টায় লেখা আছে 24×7 কোনো টায় লেখা কেবল misscall দিন, একটি number এ misscall দেবার পর দিন সকালে অন্য একটি number থেকে আমাকে ফোন করে সব শোনার পর বলেন আপনি ভুল জায়গায় misscall দিয়েছেন। অথচ আমি number টি অন লাইন থেকেই পেয়ে ছিলাম। আরেকটা কথা না বলে পারছি না, আমার email id bfl এ ভুল আছে, (মোবিক্যুইকে ঠিক আছে) দেখাচ্ছে অন লাইন ঠিক করা যাবে, কিন্তু আমি তিন দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করেও পাল্টাতে পারছি না। এর মধ্যে আমি ও আমাকে যে ঐ দোকানে নিয়ে গিয়ে bajaj finserv ও মোবিক্যুইকের মাধ্যমে ফোন কিনতে বলেন, সেও দোকান দার কে ফোন করে বলে সব ঠিক আছে, আপনার কোনো সমস্যা হবে না। তারিখ টা ছিল 23/2/2019 তার আগের দিন ও আমি ফোন করে ছিলাম। আমাকেও একই কথা বলেন, এর পর গত 1/3/2019 bajaj finserv থেকে আমাকে আবার SMS করে জানান হয়, আপনার signature mismatch আছে, আগামী 2/3/2019 আপনার প্রথম কিস্তি কাটা হচ্ছে না। আপনাকে একমাস সময় দেওয়া হলো, আপনি আবার কাগজ পত্র জমা দেবেন বা আপনার সাথে আমাদের লোক বাড়িতে গিয়ে দেখা করে নিয়ে আসবে। 
আজ 2/3/2019 হরিপাল থেকে ট্রেনে যাবার সময় এর আগে আমি যাকে কাগজ পত্র দ্বিতীয় বার দিয়ে ছিলাম, তার সাথে দেখা হলে তাকে বিষয় টা বললাম সে আমাকে আরও দু জনের কথা বলে যাদের নাকি এই সমস্যা গত বছর অক্টোবর থেকে, সে একটি নম্বর দিয়ে আগামী রবিবার (3/3/2019) সকাল দশটার পর ফোন করতে বলেন। যে নম্বর টি দিয়েছে সেটি ঐ দোকান দারের যাকে গত 22/2/2019 তারিখে ফোন করার পর বলে ছিল আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন কি হলো না আপনা কে আমি ফোন করে জানাব, আজ পর্যন্ত আমি তার কাছ থেকে ফোন পেলাম না। 
 আমি এখন বুঝতে পারছি অপরের কথায় আমি bajaj finserv ও mobikwik এর মত মহান চিটিংবাজ সংস্থা থেকে finance এ মোবাইল ফোন কিনেছিলাম। আমি বুঝতে পারছি না কী করে এই মহান চিটিংবাজ সংস্থার থেকে কীভাবে মুক্তি পেতে পারি। আমি জানি আমি এসব লিখছি, যারা পড়েছেন তারা এই চিটিংবাজ সংস্থার দূরে থাকুন। 



পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...