আমি কেন্দ্রীয় বাহিনী বা সেনা বাহিনীর জওয়ান দের ভীষণ শ্রদ্ধা করি, কারণ তারা শত কষ্ট সহ্য করেও আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে গত 2014 ও 2016 সালে সেই ভূমিকায় দেখা যায় নি। সব ছাপ্পা ভোট হয়ে যাবার পর, বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছিল, কিন্তু 2009 ও 2011 সালে ভোট শুরুর প্রথম থেকে ভীষণ ভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে ছিল। আমরা যারা ভোট কর্মী খুব নিশ্চিন্তে কাজ করতে পেরে ছিলাম। 2014 ও 2016 তে সর্বত্র কিছু কিছু গোলমাল হয়েছিল। আমার অনেক বন্ধু রা অনেক জায়গায় ভোট নিতে গিয়ে ছিল, তারা সবাই মিলে বলছিল। শাসক দলের লোক কীভাবে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিল, আর কেন্দ্রীয় বাহিনী দাঁড়িয়ে দেখছিল। অফিসার রা কিছু বললে সেরকম কী না বলে বাইরে গিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। আমি 2014 সালের ঘটনা বলি,একটি কুড়ি বাইশ বছরের ছেলে দুটি ভোট দিয়ে গেছে, আবার এক জন কে সাথে এনেছে সে দিব্যি চোখে দেখতে পায়, আমি বলার পর সে বলল আমরা ৩৪ বছর ধরে ভোট দিতে পারিনি, আমি বললাম তোমার বয়স 20 বছর তুমি কী ভাবে চৌঁত্রিশ বছর ধরে ভোট দিতে পার নি? সে ঘাবরে গিয়ে বলে ঐ হলো, তার সাথে এজেন্ট রা যোগ দেয়, শেষ পর্যন্ত সে ঐ লোকের ভোট এবং আরও কয়েক জনের ভোট দিয়ে ছিল।
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট দিয়ে প্রহসন শুরু,কিছুতেই পঞ্চায়েত ভোট করবেন না, শেষে পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কেস করে কেসে জিতে ভোট করে ছিল। সেই সময় থেকেই বোঝা গিয়ে ছিল,রাজ্যের শাসক দল কতটা গনতন্ত্র প্রিয়।সেই ২০১৩ সাল থেকে শাসক দলের নেতা মন্ত্রী কর্মীরা বিভিন্ন সময়ে এমন সব কথা বলতে আরম্ভ করেন, সে সব শুনে বিরোধী দলের অফিস ভাঙচুর কর্মীদের মারধর, একজন তো বলেই বসলেন, এসব করতে পুলিশ যদি বাধা দেয় তবে পুলিশ কে বোম মারবে। নেতার কথায় সত্যি সত্যি অমিতাভ চক্রবর্তী না কী নামে এক পুলিশ অফিসার কে বোমা মেরে মেরে ফেলা হয়েছিল। যে মায়ের কোল খালি হলো তাতে নেতার কী হলো ? তিনি তো দেহরক্ষীর ঘেরা টোপে থাকেন, আর যে নেতার কথায় ঐ কাজ টা করল ধর সে শাসক দলের লোক হলে সাত খুন মাফ।
তাই গত ২০১৩ পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০১৪ বিধান সভা, ও ২০১৬ সালে লোক সভা ভোট ও গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে না দেওয়া প্রার্থী দিতে না দেওয়া মানুষ খুন করা উন্নয়ন অস্ত্র হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল । তাই এই নির্বাচন নিয়ে সমস্ত মানুষ কৌতুহলী কতটা ছাপ্পা এড়িয়ে একটা মানুষ খুন না করে ভোট হবে তো !
২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট দিয়ে প্রহসন শুরু,কিছুতেই পঞ্চায়েত ভোট করবেন না, শেষে পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কেস করে কেসে জিতে ভোট করে ছিল। সেই সময় থেকেই বোঝা গিয়ে ছিল,রাজ্যের শাসক দল কতটা গনতন্ত্র প্রিয়।সেই ২০১৩ সাল থেকে শাসক দলের নেতা মন্ত্রী কর্মীরা বিভিন্ন সময়ে এমন সব কথা বলতে আরম্ভ করেন, সে সব শুনে বিরোধী দলের অফিস ভাঙচুর কর্মীদের মারধর, একজন তো বলেই বসলেন, এসব করতে পুলিশ যদি বাধা দেয় তবে পুলিশ কে বোম মারবে। নেতার কথায় সত্যি সত্যি অমিতাভ চক্রবর্তী না কী নামে এক পুলিশ অফিসার কে বোমা মেরে মেরে ফেলা হয়েছিল। যে মায়ের কোল খালি হলো তাতে নেতার কী হলো ? তিনি তো দেহরক্ষীর ঘেরা টোপে থাকেন, আর যে নেতার কথায় ঐ কাজ টা করল ধর সে শাসক দলের লোক হলে সাত খুন মাফ।
তাই গত ২০১৩ পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০১৪ বিধান সভা, ও ২০১৬ সালে লোক সভা ভোট ও গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে না দেওয়া প্রার্থী দিতে না দেওয়া মানুষ খুন করা উন্নয়ন অস্ত্র হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল । তাই এই নির্বাচন নিয়ে সমস্ত মানুষ কৌতুহলী কতটা ছাপ্পা এড়িয়ে একটা মানুষ খুন না করে ভোট হবে তো !
No comments:
Post a Comment