Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 24 March 2019

পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন দল ভোট পাওয়ার যোগ্য, আপনার ভাবনা চিন্তা কি?


প্রথম আমরা আসি সি পি আই এম এর কথায়। সি পি আই এম দীর্ঘ ৩৪ বছর এই রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল। যদিও লোক সভার ভোট, কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের জন্য ভোট। সি পি আই এম সারা দেশে প্রার্থী দেয় ১০০ থেকে ১৫০ এর মধ্যে,যদি ধরে নিই এর মধ্যে পঞ্চাশ টি আসন পায় যা দিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠন করা যায় না। আবার দেখা যায় যে খানে সি পি আই এম কৃষক ও আন্দোলন করে সেখানে প্রার্থী নেই। যেমন নাসিক থেকে যে কৃষক আন্দোলন হলো দেখা যাবে ওখানে প্রার্থী নেই। এই হিন্দি বলয়ে একটা কথা আছে, "লড়লেনে কে লিয়ে লাল ঝাণ্ডা, ভোট দেনে কে লিয়ে তেরঙ্গা। যেমন ধরুন যে নেতা দিল্লি তে থাকেন, তিনি নিশ্চয়ই সেখানের ভোটার এবার সেখানে কোনো বাম প্রার্থী দেয়নি, তাহলে ভোট দিলেন কাকে? কেন কংগ্রেস কে, সেই জন্য সর্বদা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে বলে। যা হোক ওসব ছাড়ুন, আমরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বর্তমানে কাকে ভোট দেওয়া উচিত, সি পি আই এম যদিও সারা দেশে প্রার্থী দেয়, টি এম সি দেয় না। আবার বিজেপি সর্ব ভারতীয় দল, এক সময়ে লোক সভায় দুটো আসন পেয়ে ছিল সারা দেশে, সেই দল যখন সারা দেশে সব আসনে প্রার্থী দিল তার পরে আর দেখতে হয় নি। কারণ মানুষ কংগ্রেসের বিকল্প খুঁজে পেল, এটা বেশি দিনের কথা নয়। এ রাজ্যে দেখা যাচ্ছে বিজেপি তৃণমূল একটি দল, কে যে তৃণমূল আর কে বিজেপি বোঝা যাচ্ছে না। আর কংগ্রেস জাতীয় দল হলেও এর নেতারা একবার তৃণমূল একবার কংগ্রেস এই করে দল বদলে ফেলছে। আমি ভোট দিলাম আমার নীতি আর্দশ কে সে আরেক টায় গিয়ে নাম লেখাল, আমার ভোটের আর দাম থাকল না। আর বর্তমান শাসক দলের লোক নেতা মন্ত্রী সারদা রোজভ্যালীর এম পি এস গ্রিনারি আরও কত সব চিটফাণ্ডের টাকা বাটপারি করে বসে আছে, নারদা দেখা যাচ্ছে তারা ঘুস নিচ্ছে, আমাদের এখানে এক ছোট নেতা তোলা তুলে দুর্গা পুর এক্সপ্রেস ওয়ের পাশের ছোট ছোট কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য করল। এ আমার চোখে দেখা, আর এখন যেখানেই বাড়ি করতে যাও সিন্ডিকেট আছে, মাল যদি বেশি দামে নাও তো ভালো না সব থেকে কম পঁচিশ হাজার টাকা দিতে হবে। এটা গ্রামের সিন্ডিকেটের রেট, এতো তৃণমূলের কথা, এই তৃণমূলের যে সব নেতা সি বি আই এর ডাক পেয়েছেন, তারা জেলে যাবার কথা তারা বিজেপি তে।
এদের পর বাকী থাকে সি পি আই এম বা বামফ্রন্ট, এখানে চোর ঘুষ খোর নেই বললেই চলে কারণ এরা এখন ক্ষমতায় নেই, কিন্তু মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য বামফ্রন্ট প্রার্থীরা দু একজন ছাড়া বাকি সব মানুষের বক্তব্য হলো নেতাদের বয়স বেশি, আর এরা সেই আগের মতই আছে, নিজেদের পাল্টাতে পারে নি। কোন কম বয়সী কে উঠতে দেয় না, এ বিষয়ে একটি অভিজ্ঞতা এই দলের এক নেতা অনেক দিন আগে বলছেন, উপযাচক হয়ে এসেছে, তার মানে এরা নেতা বানানোর জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে, আবার কিছু দিন আগে তিনি বলেন যেমন চলছে চলতে দাও। আবার তাকে গন সংগঠন থেকে বাদ দেওয়ার জন্য কত পরিকল্পনা, এটার কারণ আমার মনে হলো নেতার থেকে তার জন সংযোগ অর্থাৎ নেতার কথায় সে যদি না বলেছে,তার পিছনে তার সম্পর্কে নানা ধরনের ভালো মন্দ কথা প্রচার করা হবে। অন্য সকল সদস্যের কাছে কীভাবে ছোট করা যায় তার পরিকল্পনা, শেষ পর্যন্ত নিজে অপমানিত হতে হবে বুঝতে পারে না। কারণ এই সব জেলাস দের মান অপমান বোধ কম, যা হোক এসব কথা আলোচ্য বিষয় নয়। মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন যদি দেখা যায় এই লোক সভা ভোটে বামফ্রন্ট ভালো আসন পেল, বা পেল না, কিন্তু যদি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে, তাহলে এই সব সত্তর ঊর্ধ্বে নেতারা চোখ রাঙাবে একটা কাজ নিয়ে বললে আগের মতো বছরের পর বছর ঘোরাবে, বিপদের সময় পাশে পাওয়া যাবে না। সামনে এসে দাঁড়াবে না,উল্টে কাজ যাতে না হয় তার ব্যবস্থা পাকা করে দেবে। সেই কারণেই মানুষ এদের সরিয়েছে, চোর নয় জানলেও এই সব নেতা দের কারণে আগামী লোকসভা বা বিধান সভা নির্বাচনে জেতা বা বামেদের ফিরে আসা মুশকিল, তাই নেতা বদলাতে হবে বা নেতাদের মনোভাব বদল করতে না পারলে বামফ্রন্টের এ রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরে আসা মুস্কিল। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...