Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 28 February 2021

মানুষ কে বুথে যেতে দিন আর EVM কারচুপি বন্ধ করুন।


 গত কালের বিগ্রেড সমাবেশ, ছবি ডেইলি হান্ট নিউজ পোর্টাল থেকে নেওয়া। গত কাল ২৮/২ /২০২১ কলকাতায় বিগ্রেড ময়দানে বাম কংগ্রেস ও আই এস এফ এর জমায়েত। এই জমায়েত দেখে অনেকেই নানা মন্তব্য করতে শুরু করে দিয়েছেন, কেউ কেউ বলছেন জমায়েত হতে পারে কিন্তু ভোটের সময় মানুষ ভোট দেবে শাসক দল কে। আমার কথা হচ্ছে মানুষ কে একবার বুথে যেতে দিন, গত ২০১১ সালের পর থেকে মানুষ ভোট দিতে পারেন না। মানুষ কে ভয় দেখানো বন্ধ করে দিন, মদ   মাংস দিয়ে মানুষ খুন করতে না পাঠিয়ে ভোট দিতে দিন দেখুন শাসক দলের কত জন সমর্থন করে। আমি আপনাদের. চ্যালেঞ্জ করছি। আপনারা তো এতো উন্নয়ন করেছেন, আরও করবেন বলছেন তাতেও মানুষ কে ভোট দিতে দেন না কেন? কেন ভোটের সময় ভয় দেখাতে কেন বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী তিন দিনের জন্য আছে। এসব নাকি সি পি আই এম করত সে কারণেই মানুষ বদল করে দিয়ে ছিল। যে ভালো কিছু হবে? আপনার এবং আপনাদের নেত্রীর কথায় . সি পি আই এম চোর সেই কারণেই মানুষ পরিবর্তন করে দিয়েছেন, কিন্তু আমরা কি দেখছি জিতে আসার পর পরই শাসক দলের সাংসদ মন্ত্রী সব জেলে যাচ্ছে সারদা সহ বিভিন্ন চিটিংবাজ ফান্ডের টাকা বাটপারি করেছে। তার পর নারদায় ক্যামেরার সামনে টাকা নিচ্ছে। এসব মানুষ বাম আমলে দেখেনি দেখ নি চাকরির জন্য অনশন করতে, এই গত পরশু দিন টেট পাশ করা একটি ছেলে আত্মহত্যা করেছে এটা কেন হলো? বেতন বাড়ানো এবং সম কাজে সম বেতনের দাবিতে আদি গঙ্গার জলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে দেখেছেন। শিক্ষা মন্ত্রী বাড়িতে বিক্ষোভ দেখেনি, এখন দেখছে। সি পি আই এম এর সব খারাপ ছিল আপনারা ভালো করবেন বলে ক্ষমতায় এলেন কি করলেন নেতা মন্ত্রী কর্মীদের ব্যাঙ্কে টাকা বেড়েছে টালির চালা তিন তলা বাড়ি হয়ে গেছে। আপনারা সব ভালো কাজ করেছেন মানুষের বিপদে পাশে ছিলেন তবে আপনার নেত্রী সহ ছোট খাটো নেতা মন্ত্রী নিরাপত্তা লাগে কেন? এই ভোটে মানুষ কে বুথে যেতে দিন আর EVM এর দায়িত্ববে যারা থাকবে না তাদের বলছি ভাই ভোটের  আগে বা পরে ওর মেমরি কার্ড পরিবর্তন করে দিও না।  বাঙালি কে সুস্থ ভাবে বাঁচতে দাও। আমরা যেমন এই পশ্চিমবঙ্গ চাই না, আবার আসাম ত্রিপুরা বা উত্তর প্রদেশ হতে চাই না। দয়া করে যারা পাহাড়াা দেবেন তার সৎ থাকুন মানুষ দু হাত তুলে আশীর্বাদ করবে। আর মানুষ কে বুথে পৌঁঁছতে দিন ২০১১ সালের মতো পাল্টটে যাবে, পশ্চিমবঙ্গ। 

বাম কংগ্রেস ও আই এস এফ এর ঐতিহাসিক বিগ্রেড।


 আজ ২৮/২ /২০২১ বিগ্রেড ঐতিহাসিক জমায়েত, বাম সংযুক্ত. মোর্চার আজকের বিগ্রেড সমাবেশ বুঝিয়ে দিয়েছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ফল কী হতে চলেছে। যতই দালাল মিডিয়া আর আই টি সেল প্রচার করুন আগে রাম পরে বাম। আজকের সমাবেশ জানান দিয়েছে যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কী চাইছেন। বিগ্রেডের গর্জন পৌঁছে দিতে হবে সুদূর গ্রামের কোনায় কোনায় প্রতিটি বুথে প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে। বাঙালি চোর, মিথ্যাবাদী, ডাকাত দলের সরকার চায় না । মানুষ কে ভিক্ষারি বানিয়ে নিজে কোটি কোটি টাকার মালিক। বেকার যুবক যুবতী দের চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা ইনকাম। আর যারা টেট পাশ করে বসে আছে তাদের এবং এরকম লাখো লাখো বেকারের আওয়াজে মুখরিত আজকের বিগ্রেড, সব হারানো মানুষ গুলোর মুষ্ঠি বদ্ধ হাত এক হয় এই সমাবেশে, , গত বছরের মার্চ মাসে হঠাৎ চার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে দেশে লক ডাউন ঘোষণা করে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকের যারা কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফিরেছে । যাদের আমরা পরিযায়ী শ্রমিক নাম দিয়েছি, আসলে ওরা পরিযায়ী নয় এই দেশের মানুষ, এদের  সেই বিখ্যাত শ্লোগান দরকারে পাই, সরকারে চাই মুখরিত আজকের এই ঐতিহাসিক বিগ্রেড সমাবেশ। বাংলার খেটে খাওয়া সকল মানুষের উপস্থিতি বলছে আগামী দিনে বাংলা চটি পিসির হাত থেকে মুক্তি পাবে এবং দস্যু অর্থাৎ আরেক ডাকাত সর্দার কে বাংলায় ঢুকতে দিলে হবে। যারা বলছেন খেলা হবে তাদের বলছি নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরা টোপে থেকে মানুষ কে হুমকি না দিয়ে যদি সত্যি মানুষের উপকার করে থাকেন তাহলে সাহস করে মানুষ এর সাথে মিছিলে পা মেলান না হলে আগামী দিন খুব ভয়ঙ্কর। কেবল আপনার মত সমাজ বিরোধীর জন্যে। আজকের বিগ্রেড সেটাই জানান দিচ্ছে। 

Wednesday, 24 February 2021

ABPTA হুগলি জেলার পঞ্চদশ বার্ষিক সাধারণ সভার আহ্বান ২০২১ এ পরিবর্তন চাই।


 আজ ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ২১ কোন্ননগর, কানাইপুর, রঞ্জনা হলে, হুগলি জেলার পঞ্চদশ বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত জেলার নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির হুগলি জেলার কমিটি এবং পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত হন। উপস্থিত ছিলেন, নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সম্পাদক মোহন দাস পণ্ডিত, রাজ্যে কমিটির সদস্য দেবাশিস দত্ত উদ্বোবোনী বক্তব্য রাখেন তিনি আহ্বান জানান আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনে শিক্ষক দের সর্ববত্র ভাবে বাম কংগ্রেস গনতান্ত্রিক জোটের পক্ষে প্ররচা আন্দোলন করার জন্য। দ্বিধা দ্বন্দ্ব না রেখে কারণ রাজ্যে পরিবর্তন আসন্ন। সকলেই বুঝতে পারছি এ সরকার আর থাকবে না। একে সরিয়ে বাম গনতান্ত্রিক জোটের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে শিক্ষক দের বড়ো ভূমিকা পালন করতে হবে। আসুন সকলে মিলে প্রতিবাদে প্রতিরোধে মিছিলে মিছিলে নবীন প্রবীণ এর সংগ্রাম, বেকার যুবক যুবতী ছাত্র ছাত্রী সকল মিলে ওনার আহ্বানে এগিয়ে আসি এই চোর জোচ্চর সরকার কে চার্জশিট ধরিয়ে দিয়ে বিধায় দিই। 

বাম গনতান্ত্রিক জোটের মহামিছিলের জমায়েত।

 

আজ ২১/২/ ২০২১ আগামী ২৮ শে ফেব্রুয়ারির বিগ্রেড সমাবেশ কে সাামনে রেখে, মিছিলের আয়োজন। মিছিলে শুুরুর আগে কল্পনা সিনেমা হলের সামনে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান উপস্থিত নেতৃত্ব। তারপর পর এক মহামিছিল। সিঙ্গুর কল্পনা সিনেমা হলের সামনে থেকে শুুরু হয়ে, সিঙ্গুর জলাঘটা অর্থাৎ সিঙ্গুর  ১ নং পঞ্চায়েতের পাশ দিয়ে এক বিশাল মহামিছিল এগিয়ে যাাচ্ছে। রাস্তার দুপাশে মানুষ দাঁড়িয়ে দেখছেন। এই শ্লোগান মুখরিত মিছিল যেন তাদের মনের কথা বলেছেন। এটাই তাদের কথা, এই ব্লগ যখন লিখছি তখনও মিছিল শেষ হয় নি। বাংলা বাঁচাতে এই জোট কে মানুষ ক্ষমতায় চাই। আরেকটা ৭৭ সাল চাই, সকলে আমরা আরেকটা ৭৭ ফিরিয়ে আনতে আগামী ২৮ শে ফেব্রুয়ারি বিগ্রেড  যোগ দিই।

Tuesday, 23 February 2021

বাংলা চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী কে চায না।

 

ক্ষমতার কী লোভ আসলে ক্ষমতা নয় টাকার লোভ জনগণের ট্যাক্স এর টাকায় লুটে খাবার ফন্দি। আর মানুষ ও জনগণ কে ভিক্ষা করে রাখার ফন্দি, যেমন এই শিক্ষক নিয়োগ ইচ্ছা কৃত এমন ভাবে নোটিশ করা হচ্ছে বা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যাতে কোর্টে কেস করা যায়।   চাকরি দিয়ে চাকরি কেড়ে নেওয়া সরকার এই নজির ও তৈরি করে ফেলেছে এই সরকার। এটা সরকার চলছে, কেবল নেতা মন্ত্রী আর দালাল মিডিয়ার টাকা লুঠ চলছে। জনগণ একদম বোকা বনে যাচ্ছে, আমি জনগণের কাছে প্রশ্ন করতে চাই, আজ পর্যন্ত কতগুলো শ্রী চলছে বলতে পারেন। ধর্ষণ সে তো শরীরের জ্বর জ্বালা সেই কারণেই ধর্ষণ শ্রী দিয়ে শুরু হয়েছিল, আর কোথায় যুবশ্রী, কেন্দ্র সরকারের দল সে শুরু করেছে বেচা শ্রী ঋণ মুকুব শ্রী। আম পাবলিক ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে দেখুন শোধ করতে দেরি হলে, ভিটে মাটি চাটি করে দেবে আর সুদের সুদ তস্য সুদ আদায় করবে ব্যাঙ্ক গুলো আর ঐ সব শিল্প পতি শিল্প করার নামে কম সুদে বা প্রায় বিনা সুদে ঋণ পাবে নিয়ে নেতা দের এ্যাকাউন্টে দেবে আর কিছু দিন পর ঋণ মুকুব শ্রী পাবে, ব্যাস হয়ে গেল। জনগণের টাকা লুট, আর দিদির লুট সে তো সর্বত্র যে খানে সরকারের কাজ বা ঐ শ্রী দেওয়া থেকে রাস্তার সিভিক দের টাকা তোলার ভাগ সবেতেই দিদির ভাগ আছে। কিছু চোর আছে এই মহান দুটো চোর আর চরম মিথ্যাবাদী কে এখনও সমর্থন করে যাচ্ছে। ঐ ভোট এলেই ভিক্ষা দেওয়া ক্লাব গুলো কে মদ মাংস খাওয়ার টাকা দেওয়া সে মাচা ক্লাব হোক যে ক্লাব হোক।কেবল মদ মাংসের টাকা পাওয়ার জন্য এই হরিপালে দেখলাম একটা মাচা ক্লাব গজিয়ে উঠল সরকারি খাস জাগায় । বেকার ছেলে  কাজ না পাক যাতে আনন্দে থাকে তার জন্য দেদার ফুর্তির ব্যবস্থা কুড়ি টাকায় মদ, আর চাল চল্লিশ, পেট্রোল এর সেস ৩৫ টাকা ছাড় ১ টাকা অনেক টাকা ছেড়ে দিয়েছে রাজ্য ছিঃ ছিঃ এদের যারা সমর্থন করছে তারা মানুষ কিনা সন্দেহ আছে। আগা পাসতলা চোর, যারা সমর্থন করে তাদের মধ্যে যদি কেউ শিক্ষিত মানুষ থাকেন তাহলে আমার প্রশ্নের জবাব দিন। আপনার বাড়ির বেকার ছেলে সরকারি চাকরিতে যোগ দান করার দু দিন পর বলল তোমাকে আর কাল থেকে চাকরি করতে আসতে হবে না। আর কেবল আপনার ছেলেকে চাকরি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল। কেমন লাগবে বলুন? আজ বেশ কিছু ছেলে মেয়ের সাথে এটাই ঘটেছে। এরকম সরকার (দিদি ও মোদি) কে যারা সমর্থন করে তাদের মানুষ বললে মানুষ শব্দের অপমান করা হয়। 

বাতিল হয়ে গেল নিয়োগ।

আমরা আজব এক রাজ্যে বাস করছি, চাকরি তে যোগদান করার পর বাতিল হয়ে যায় নিয়োগ। গত ১৭ /২/২০২১ হুগলি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ থেকে নিয়োগ করা হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষক পদে, তাদের মধ্যে যারা উচ্চ প্রাথমিকের প্যারা টিচার বা পার্শ্ব শিক্ষক তাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। হুগলি জেলার এরকম ছ জন আছে, তার মধ্যে সিঙ্গুর চক্রের একজন আছেন। তিনি উচ্চ প্রাথমিকের প্যারা টিচার পদে রেজিগনেশন দিয়ে, গত শুক্রবার বর্তমান পদে অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষক পদে যোগ দেন। আজ একটা আদেশ আসে ওনার নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে কারণ উনি উচ্চ প্রাথমিকের প্যারা টিচার উনার নিয়োগ নাকি অবৈধ। আমার প্রশ্ন যখন নিয়োগ দেওয়া হয় তখন দেখা হলো না কেন? একজন চাকরি তে যোগদান করার পর চাকরি চলে গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগের ইতিহাসে নেই, অন্তত আমার জানা নেই। জানা নেই উনি আগের প্যারা টিচার পদ টি ফেরত পাবেন কি না? এখানে আরেকটা ব্যাপার ঘটল এমন একটা বিদ্যালয়ে উনি যোগদান করে ছিলেন সেখানে ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ৩৭৪ জন। ওনাকে নিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা হয়ে ছিল ৯ এখন ৮ জন। আর পাশেই সিঙ্গুর চক্রের আরেকটা বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ২৫৬ সেখানে নিয়োগ করা হয়েছে তিন জন। ২৪ জন আছে সেখানে তিন জন আবার নতুন একজন। ২৫৬ ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক সংখ্যা ১৪ জন হয়েছে। আমার জানা নেই কারা এগুলো ঠিক করে কীভাবে? আমার প্রশ্ন হচ্ছে নিয়োগের আগে দেখা হলো না কেন? যোগদান করার পর বাতিল, দোষ টা কার? ২০১৪  সাল থেকে চলে আসা এই বে নিয়োগ নিয়ে বেনিয়ম কি বন্ধ হবে না! 

Saturday, 20 February 2021

মাতৃভাষা দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলী


 আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে, বাংলার বীর সন্তান, যারা আমার মাতৃভাষার মর্যাদার জন্য নিজের প্রাণ বলি দিয়েে ছিলেন। তাদের কে আমার পক্ষ থেকে এই ব্লগের মাধ্যমে সশ্রদ্ধ প্রনাম / সালাম জানাই। কারণ আমি বাঙালি বাংলা ভাষায় কথা বলি। ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে বাঙালি জাতির অবদান কেউ না মনে রাখলেও কত গুলো কুচক্রি রাজনৈতিক নেতা এবং  তৎকালীন ইংরেজ শাসক মনে রেখে ছিল। ভুলতে পারেনি বিনয় - বাদল - দীনেশ এবং ভগৎ সিং, সুখদেও - রাজগুরুর সাথে বটুকেশ্বরদত্ত ও সেদিন ছিলেন, যে দিন তৎকালীন দিল্লির পার্ললামেন্টে ভারত কে আরও অনেক কয়েক বছর শাসন করার জন্য একটি কালা আইন পাশ করার সময় বোমার আওয়াজ আর সাথে সেই বিখ্যাত শ্লোগান ইনক্লাব জিন্দাবাদ ধ্বনি তে মুখরিত হয়েছিল, তৎকালীন দিল্লির  ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। আর বাঙালি কে জব্দ করতে ইংরেজের সাথে প্রতি নিয়ত ষঢ়যন্ত্রের করে যেত যে সব নেতা, তারা স্বাধীনতার ঘোষণার সময় বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভাঙতে বাংলা ভাগ অপরিহার্য মনে করেছিল। কারণ ১৯০৫ সালে পারেনি, তখন আমার সোনার বাংলায় বাংলা  মায়ের হাজার হাজার সোনার ছেলে প্রতিবাদ করে ছিলেন। সেই সময়ও ছিল ধর্মের উস্কানি, আর ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৭ ভারত ভাগের সময় ও ছিল ধর্মের উস্কানি।কারণ ইংরেজ এবং দিল্লিরনেতারা জানত বাঙালি তথা বাংলা যদি এক থাকে তাহলে একদিন গোটা ভারত বাঙালির দখলে চলে যাবে। ধর্ম  পেরেছে আমাদের মধ্যে বিভাজন করতে, বাংলা ভাগ হয়েেছ, কিন্তু ভাষা আমাদের আলাদা করতে পারে নি। সে কারণেই ওপার বাংলার মানুষের দুঃখ কষ্টে এপার বাংলায় আন্দোলন শুরু হয়, আবার এপারের মানুষের দুঃখ কষ্টে ওপার বাংলায় আন্দোলন শুরু হয়। মাঝে আছে কাঁটাতারের বেড়া কিন্তু মিলিয়ে দিয়েছে আমাদের ভাষা। ১৯৫২ সালে ওপার বাংলায় নিজের মাতৃভাষার মর্যাদার দাবিতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন চলছিল, পাক বাহিনীর চাপিয়ে দেওয়া উর্দু ভাষা কে বাতিলের দাবিতে, হঠাৎ পাক বাহিনীর গুলিতে ঝাঁঝড়াা করে দিয়েছিল বরকত, জব্বার, রফিক, ও শফিউর বুক, সালাম তোমাদের শত শত সালাম, মাতৃভাষার মান রক্ষা করতে তোমাদের প্রাণ দান, পরবর্তীতে যা স্বাধীন বাংলাদেশের জণ্ম দিয়েছিল। দুর্ভাগা বাঙালি এখনো সেই ধর্মের নামে মানুষ খুন করে সম্পত্তি দখল করার জন্য, থাক না কাঁটাতারের বেড়া ভাষা আমাদের মিলিয়ে রাখবে চিরকাল, একদিন এই কুচক্রি দের জাল ছিঁঁড়ে বেড়িয়ে আসব আমরা, ধর্মের নামে কেউ আমাদের মাঝে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকে রাখতে পারবে না। ধর্ম থাকবে মন্দিরে মসজিদে আমরা মানুষ হব। বলব না আমি বাঙালি তুমি মুসলমান, বা তুমি বাঙালি আমি মুসলমান। আসবেই সে দিন, সেই জন্যই এপার বাংলার মানুষ ও গেয়ে ওঠেন আব্দুল গফ্ফর খানের লেখা সেই বিখ্যাত গন সঙ্গীত, " আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি / আমি কি ভুলিতে পারি।" 

সকলে ভালো থাকবেন, লেখার ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা করে দেবেন, আপনাদের মত আমি লিখতে পারি না, সেই জন্যই আমার পাঠক কম। 

Friday, 19 February 2021

"অনুলেখন" তিন বছর পূর্ণ করল।


 আজ থেকে দু বছর আগে, 2019 সালের  1 লা ফেব্রুয়ারি থেকে পথ চলা শুরু করে এই ব্লগ। প্রথম লেখা টি ছিল, পৃথিবীর সব থেকে বুদ্ধিমান প্রাণী। ' তার পর থেকে আজ পর্যন্ত ৬২৯ টি বিষয়ে লেখা আছে। সব থেকে যেটি বেশি পাঠক পড়েছেন সেটা হল, সরস্বতী পুজোর মন্ত্র ও নিয়ম। আর এছাড়া বেগুন দিবস ইত্যাদি। এখন চটুল ভিডিওর যুগ এসব লেখা অনেকেই আছেন দেখেন না। আবার এরকমও হয়েেছ কেবল শিরোনাম দেখে অনেকেই মন্তব্য করে দিয়েছেন। তবুও যে সকল পাঠক আমার এই ব্লগের অপক্ক লেখা পড়েছেন তাদের এই ব্লগের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাই। আগামী ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ দিবস বা মাতৃভাষা দিবস। আমার মাতৃভাষা বাংলা এই বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে এবং নিজের ভাষার জন্যে শহীদ হয়েছেন ওপার বাংলার কয়েক জন বাঙালি। আমার এই ব্লগের মাধ্যমে তাদের জানাই সশ্রদ্ধাঞ্জলী। সেই বিখ্যাত কবিতার লাইন টি আজকের দিনে সকলে স্মরণ করেন। " আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙা 21 শে ফেব্রুয়ারি /আমি কি ভুলিতে পারি।" আমার মাতৃভাষা বাংলা সে কারণে আমি গর্ব বোধ করি। যারা আমার ব্লগের লেখা. পড়েন সেই সব পাঠক কে আমার পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ নমস্কার জানাই। 

My fifty years.

 I heard a lot from my mother when I was young.  I heard from my mother that I was told at Singur Hospital that the last Wednesday of the month of Magh 1360 or 1371 in Bengal was neither morning nor night but I was born at 10:30.  Our house was a mud house in Paltagarh village under Singur police station, Petokhola camp, tin door.  We are four brothers and sisters, my sister grew up and then I became two brothers.  My father Sushil Kumar Bandyopadhyay was a resident of Nalchira in Gournadi upazila of present day Barisal sub division of Bangladesh.  At that time Nalchira belonged to Gournadi police station of Bakharganj. Now it is not known what the name is.  My father came to Bengal before India became independent and was a resident of Paltagarh village under Singur police station. He used to teach in Biramnagar Primary School.  My grandfather's name was Upendra Nath Bandyopadhyay.  My grandmother's name was Nanibala Devi.  I don't know how many more names there are in the documents that my father had.  Such as 1) Dhirendra Nath Mukherjee 2) Narendra Nath Bandyopadhyay 3) Bama Sundari Devi

 4) Gopal Chandra Mukherjee 5) Mukunda Chakraborty

 6) Durgapada Bhattacharya 6) Kshirodasundari Devi I do not know what relationship with them.  However, under the names of some of them, Thana - Gournadi Nalchira Sang - Kand Pasha is written.  I heard from my father that my uncle Dhirendra Nath Mukherjee was a lawyer in the criminal court.  Why am I writing so much?  If anyone reads my blog post, if any of my father's relatives live in Bangladesh, write a comment in the command box.  Why have I tried before to see if there is anyone in the father's relationship.  I just want to know why my father came to Bengal before the country became independent, and in almost zero money.  I say here that I am looking for property rights, but it is not.  It's just curiosity.

 I didn't talk about my father, but yes, no one can come into the world except my parents.  So my father said I will write again if needed.  Now I have to write a little about my mother, not because I didn't talk about my mother, because if it weren't for my mother, I wouldn't be here today.  My mother gave her life for me.  In the hands of one of my cousins.  Mother made us suffer a lot, we got mother in a different way.  He has fought every day of his life.  Happiness did not have to be enjoyed.  I can't forget those hard days of my mother.  What an inhuman sorrow it was to not eat day after day.  Dad used to work under his name, we didn't get to eat for half a day. Because then the teachers' salaries were low and irregular, another reason was my father's infamous vision, and another reason was the shopkeeper's cunning.  Knowing how much the salary was, he would pay up to 8 rupees for the goods, take the extra price again, and write it down in the loan book even if the goods did not come, thus showing the total cost of the salary within fifteen days.  We wouldn't let Dad go to the store when we grew up.  We would go and fetch whatever we needed every day.  At that time, even after spending the whole month on that salary, some money started to be left over.

 Our pain was relieved a little, but my mother still had to go to work in the factory.  Although the situation has improved since the 1980s.  His previous condition is indescribable, eating from a fan brought from the next house.  If I was fed at a public event in a remote place, holding Grandma's hand, I would leave even if she was on the train.  Mother used to bring clothes.  Sometimes he would buy it, buying winter clothes was unimaginable.  I sewed the torn sheets of the old bed and cut them evenly.  I didn't eat for half a day, I used to write on it, I used to write on it, I used to write on it, I used to write on it, I used to write on it, I used to write on it, I used to write on it.

 He was tortured by the people of the neighborhood. Even if one of them lost his needle, we stole it. We searched our broken house and there was vandalism.  There are some more things written about these, my words before, and the crisis of non-existence in two articles.  Maybe no one read.  I do not know if anyone will read in the future?  Yet I write I wrote many drama poems from a young age which is now a thing of the past.  Because I can't find all those written books now.  One question that comes to my mind for a long time is whether Bengal is a separate caste such as Hindu, Muslim, Sikh, if not, then why do they address it as educated people in Bengal and Bengali caste?  When I was in school, the headmaster of my school and many other teachers used to say Bengali caste.  I studied at Paltagarh Radharani Primary and Paltagarh High School.  I have still heard many well-educated people call themselves Bengalis.  That is why the question arises in my mind.

 Another question arises from my childhood, I think this question is not only mine but also the question of the people who came to Bengal from other parts of the world, like my father, who were empty-handed, risking their lives.  Who created this so-called Bengali caste?  The country became independent, the country was divided into three parts, Bengal and Punjab were divided.  Thousands of homes were gutted.  How many lives were lost, I think Gandhi and Nehru and Jinnah are responsible for this.  In their greed for power, they have divided the country.  They could not tolerate other Bengali leaders starting from Subhash Chandra Bose.  And to divide Bengal from this intense racial hatred and not to allow Subhash Chandra Bose to enter the country.  This did not stop the people from Upper Bengal who gave shelter.  Andaman and Dandakaranya but did not facilitate survival.  I hate the so-called big patriotic leaders who assert their power by breaking the unity of a nation in the name of love for power in the country.  As a result of their insidious decision, the families have broken up, the social relations have been lost and they have left the country after losing their uncle, grandfather, PC and aunt.  Again, many loved ones have died.  And then all those famous freedom fighters conspired with the English and went to jail and pretended to be freedom fighters.  He started to enjoy power by dividing the country.  In fact, they have created this new nation, the "Bengali nation".  And now they have to endure a lot of oppression.  They don't even have the right to marry girls in Bengal.  Although it happens, it is unknowingly.  Knowing really says if marriage is.  If a lot of information is not kept secret then the system of how to cheat the boy is ready.  Why so much talk because my father had to get married.  Jogmaya K, daughter of Khitish Chakraborty of Nadia district, who came to Bengal from Pabna district of Bangladesh.  There is one side to this, there is another side as well, for example, a person from Upper Bengal cannot be a Brahmin.  Again, if he comes to Bengal after losing everything like my father, he is a Brahmin but not a Brahmin.  I heard that he came from the other side and became a Brahmin by hanging his neck.  And the language of the mouth is Shala Bangal Bamun.  I don't know any of these people who have lived in the city.  He brought money from the other side, did they have to listen?  I don't know, but the people who have been torn apart, lost everything, lost relatives, have been insulted by the educated and uneducated people of Bengal.  Life has come to an end by suffering.  Only in the greed of the power or dock of those three leaders or in the greed of becoming the Prime Minister or Minister.  Bengali Hindus and Sikhs living in Punjab had to accept greed.  Yet they are oppressed.  We have been trying to occupy a small piece of land in the village of Paltagarh since the time of that father.  As I have written before, during my father's time I saw people measuring land with ropes to create unrest.  We had many kinds of fruit trees in our house.  These would have happened if those trees had fruits.  The fruits would be taken away and destroyed.  And the language of the mouth was to drive out the Bengalis.  It would have been fine if Amin had been brought and measured.  I heard Ozmi say one thing over and over again that it was not to donate to us, I heard from my father that the donation was made to reduce the cost of documentation.  Everyone might think you didn't say something very good, just looked back.  I used to say what we used to do.  I used to hire some of them in the hope of getting a handful of food.  If it was a little wrong and any pet in our house would go to the land or around the house, then there would be no need to start their campaign to drive out the Bengalis.  Many do not know my father's real name, he became.  Barisal Master, if anyone in the area would say well, then my identity is the son of Barisal Master.  Because my father came from Barisal district.

 My fifty years of life experience.  Because my personal life is a drama, maybe many don't like it.  But tell me what to do, I have written something about other things before.  No one seems to have read my blog.  I am writing everything from my personal opinion experience.  I have nothing to do with this sad word if anyone is looking for an opportunity.  Nobody likes it.  But everything is true, because from morning to night and from birth to death, politics controls people's lives. As I have seen, our family was attacked by a political party when the party in power showed its power.  As I wrote earlier, my father's salary was stopped in 1971, again from 1986 to 1988 for about two years.  But every day from 1986 to 1988 I reached the school myself.  The reason behind that is politics.  However there is much more to write.  However, I gave the following piece of old document which belongs to Gournadi police station of Nalchira village in Barisal, Bangladesh. To know the identity of my father or my family.  There is someone who knows that name.  Then I hope you will write on my Facebook.  I've written about it before, but it's not over yet.  Because as I said before, every event that happened in my life is memorable.  But there are good and bad people in the society.  Neighbors can not become neighbors.  But if it weren't for the good people, we wouldn't be alive. Anyway, I'm over fifty now.  So my fifty years in the title, I will share the happiness and sorrows of me and my family with everyone from the memory of these fifty years.  I have already written that sadly people look for opportunities.  Again, many rejoice in the sorrows of others.


 



 Again, I have heard such a thing that a burdened mind can be lightened, so today I will write about all the joys and sorrows of my life.  First I say that when I had a little bit of knowledge, I learned to understand, since then, scarcity and scarcity did not add food to the house every day.  I don't know why, but I heard my father's salary was not right.  Many grocery stores were empty-handed.  Salary was irregular but some shopkeepers were dishonest.  They used to know how much the salary was, they used to increase the price of the goods after giving the goods for fifteen or twenty days and keep all the money in the salary.  This is what we realized when we grew up, we started bringing goods from the grocery store.  We used to keep the book with us and write down the price every day.  It has changed since I started keeping it as it is.  However, if the salary was irregular, there would be chaos.  Now let's talk about my birth vit.  Janma Vite is a place surrounded by bamboo forest on both sides of the main road of Paltagarh village under Singur police station.  Here is our earthen wall, a room with a tin door with a tent to open the stomach. Various fruit and flower trees in the house.  The wall was not empty in all directions.  If it rained a little and the wind was strong, the stomach would be moved by the bamboo dog, then the rain water would not fall outside.  The wall filled with rat holes has at times collapsed.  However, there was another small shed-like kitchen next to the main house and its walls were more broken.  The wall of the big house had once collapsed.  I do not know why people were so angry with us!  My father came to Bengal two or three years before the country became independent.  And when India was divided and the country became independent, the Hindus in East Pakistan were being slaughtered.  I heard from Baba Thakumar that the most riotous was Noakhali Jessore Khulna Barisal Baba brought Thakuma from East Pakistan in April 1948.  There was a Bangladeshi tension in Grandmother's language.  We were Bengali children, how much more.  Educated masters used to say even mosquitoes.  If I listened to all that and thought then the residents of West Bengal are not Bengalis!  I have suffered from severe inferiority complex.  Now I wonder how much my father has endured, the oppression of the so-called educated and uneducated people of Bengal.  Many would think that this oppression is over now, no.  There are some people with such neighboring names and their descendants still come to occupy the land if given the opportunity.

Monday, 15 February 2021

খুনি পুলিশ মন্ত্রী যতখন না পদত্যাগ করছে দিকে দিকে আন্দোলন ছড়িয়ে দিন।

 নব্বান অভিযানে, পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম হন, আজ মৃত্যু কমরেড ফিরোদ মিদ্যার, ভাষা হারিয়ে ফেলেছি, জানি না এই মৃত্যুর শেষ কোথায়, এক মিথ্যাবাদী চরম দূর্নীতি গ্রস্থ চোর তোলাবাজ চিটিংবাজ সরকারের সাগরেদ পুলিশ, ঐ সব চোর মাফিয়া দের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। আর নিরস্ত্র জনতা নিজের অধিকারের দাবি নিয়ে গনতান্ত্রিক পদ্ধতি তে আন্দোলন করে তখন ঐ চোর চিটিংবাজের নির্দেশে লাঠি চালায়। আর কত প্রাণ নেবে জানা নেই এত টাকার লোভ কাট মানির তোলাবাজি চিটিংবাজি করে ঘুষ নিয়ে পেট ভরে গেল এরপর আর কত টাকা চাই। সাধারণ মানুষের এদের কাছে কোনো মূল্য নেই, গোরু ছাগল ভাবে ভিক্ষা বৃত্তি আর কুত্তা ভাবে এক মুঠো ভাত ছুঁড়ে দিয়ে, কিম্বা এক টুকরো রুটি ছুঁড়ে দিয়ে ভোট এই করে দিয়েছি, জনগণের ট্যাক্স এর টাকা জনগণ কে দিয়ে বলে আমি করে দিলাম। নিজের দলের নেতা কর্মী মন্ত্রী কোটি কোটি টাকার মালিক তার জবাব নেই। এমন বড় বড় কথা আর মিথ্যের ফোয়ারা ছুটছে বিধানসভা ভাঙচুর, পেট ভরে খেয়ে অনশন। মানুষ খুন সেটা জল ভাত কথা মিডিয়ার দৌলত্যে একটা একটা কথা এরা শিখে রেখেছে চৌঁত্রিশ এরকম অনেক হয়েছে। আরে তাই যদি হয়েছে সে কারণেই তো তুই বা তোরা পরিবর্তন করে ছিলি। এখন সে গুলো ঘটবে কেন আসলে তখন এই দলে এই চোর গুণ্ডা মস্তানের দল কাজ গুলো করত, মানুষের উপর বিশ্বাস করত না এখনও তাই করে এতো উন্নয়ন করছে বলছে, তবুও মানুষ কে বুথে গিয়ে ভোট দিতে দেয় না। পুলিশ পর্যন্ত এই দলের হয়ে ছাপ্পা ভোট দেয়। কারণ কোটি কোটি টাকা ঘুষ আর কাট মানির ভাগ যেটা বাম আমলে করতে পারে নি। পুলিশের একজন সিভিকের বেতন কত? কিন্তু ঠাট বাট দেখলে মনে হবে ঐ সিভিক কোন রাজ পুত্র টাকা আসে তোলা থেকে আর সেই টাকার ভাগ পুলিশের উপর মহল থেকে শুরু করে নেতা মন্ত্রী সবার ভাগ আছে। সেই কারণেই আজ পুলিশ এই শাসক দলের হয়ে কাজ করে। এই মৃত্যুতে সমবেদনা জানানোর ভাষা নেই, একটাই কথা যতখন পর্যন্ত না পুলিশ মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন ততখন আন্দোলন উত্তাল করে তুলতে হবে। ছাড়া যাবে না। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে অলিতে গলিতে আন্দোলন শুরু করতে হবে। পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। 

Friday, 12 February 2021

Corona but very intelligent.

 Corona but very intelligent) The state of West Bengal is going through all the big weird happenings, it looks like everything has been opened up after the lockdown. Only school and college are excluded. Because only one student from primary to upper primary will not be able to come everywhere. When a child or a student plays, goes to see a fair, goes to a relative's house or travels by bus or train. If you want to study private tuition, you don't have to. Corona said as soon as Skuku College opens, I will definitely catch the students. Bazar Ghat Mela Utsav Chiriyakhana, children's park excursions are all excluded, but will not be missed at all when it comes to school. Especially in primary school, I will go there first, excluding children everywhere, I don't think I will drop out of school. I don't do this. I told you that the school cannot be opened at all. Don't be cute or weird.

এ আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি।


 ইংরেজ আমলে পুলিশ এই ভাবে নির্যাতন করত আন্দোলন কারি বা বিপ্লবী বা স্বাধীনতা সংগ্রামী দের উপর। আর এই অত্যাচার দেখেছি গত লক ডাউনে, লক ডাউন শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাচ্চারদুধ বা বাবার ওষুধ কিনতে গিয়ে পুলিশের লাঠির ঘা খেয়ে মারা গেছে। আমি জানি না, স্বাধীন দেশে মানুষের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে কিনা নাকি এই রকম অসভ্য বর্বরের দল পুলিশের দ্বারা যে কোন কারণেই মার খেতে খেতে হবে। নিরস্ত্র মানুষ যারা নিজেদের দাবি নিয়ে গনতান্ত্রিক দেশে নিজের দাবি সরকারের সর্বোবোচ্চ স্তরে জানানো অন্যায় এই পুলিশের কাছে সব কিছু অন্যায়। এই পুলিশ টি কে পশু বললে বেশি সণ্মানকরা হবে। তবে এটাও ঠিক কর্মের ফল এক দিন না একদিন ভোগ করতে হবে। পাপ কাউকে     ছাড়ে না। ছিঃ পুলিশ ছিঃ, এরা চোর গুণ্ডা মাফিয়াা সে যদি এক বার ক্ষমতা দখল করে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর জনগণের এদের কাছে মানুষ নয়। কারণ আমার একটা অভিজ্ঞতা আছে, গত নভেম্বরে 25 / 11/2020 একটি ফোন হারিয়ে গিয়েছিল আমি হরিপাল থানায় মিসিং ডাইরি করতে গিয়ে নিজের জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে এসেছি। আলদা ফোন নম্বর নেওয়া হল খোঁজ খবর পেলে জানাবেন আজ পর্যন্ত কোন খোঁজ নিয়েেছ বলে মনে হচ্ছে না। কারণ পুলিশ বড়ো বড়ো চোর ডাকাতের সেবা করতে ব্যস্ত, সাধারণ মানুষের জন্য কেবল লাঠি লাথি, মিথ্যা মামলা আর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, এবং হুমকি। কি সুন্দর শাসন ব্যবস্থা তাই না! অবাক হবার কিছু নেই, পুলিশের উর্দি টা গায়ে উঠলেই নিজেকে সর্ব শক্তিমান মনে হয়। আর সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করার অধিকার জণ্মায়। আমার মনে হয় এদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে কীভাবে সাধারণ মানুষের সাথে দূর্ব্যবহার করতে হবে। আমি জানি না এদের বাড়িতে মা মেয়ে বৌ ছেলে মেয়েরা আছে না থাকে না। ছিঃ ছিঃ ছিঃ ছিঃ। তোরা মানুষ মানুষ নামের কলঙ্ক। 

Tuesday, 9 February 2021

করোনার সাথে কথা হয়েছে স্কুল কলেজ খুললেই ঢুকবে।


 পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য টি বড়ো অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটে যাচ্ছে, দেখতে দেখতে লকডাউন এর পর সব খুলে দেওয়া হয়েছে। কেবল স্কুল কলেজ বাদ। কারণ একটাই প্রাথমিক থেকে উচ্চ প্রাথমিক থেকে শুরু করে সর্বত্র ছাত্র ছাত্রী এলেই করোনা হবে। শিশু বা ঐ ছাত্র ছাত্রী খেলা করলে, মেলা দেখতে গেলে, ট্রেনে বাসে করে আত্মীয় বাড়ি বা বেড়াতে গেলে। প্রাইভেট টিউশন পড়তে গেলে করোনা হবে না। করোনা বলেছে স্কুকু কলেজ খুললেই আমি শিওর ছাত্র ছাত্রী দের ধরব। বাজার ঘাট মেলা উৎসব চিরিয়াখানা, শিশু পার্ক বেড়াবার জায়গা সব বাদ দিয়ে ছি, কিন্তু স্কুলে এলে মোটেই ছাড়া হবে না। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয় ওখানে আমি আগে যাব, একদম না সব জায়গায় শিশু দের বাদ দিয়ে ছি বলে, ভেব না স্কুলে আমি বাদ দোব। আমি করোনা এই আমি বলে দিলাম একদম স্কুল খোলা যাবে না। করোনা কি কিউট কি অদ্ভুত না। 

Friday, 5 February 2021

কে বড়ো চোর সেই তরজা চলছে।

 রাজ্যের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে দল বদল অর্থাৎ এক ফুলের থেকে আরেক ফুলে যাওয়ার হিড়িক পরে গেছে। যেই দল পরিবর্তন হল আর মনে পড়ে যাচ্ছে, কে কত বড় চোর কে কী করেছে বা করছে। কে বলছে এত দিন মধু খেয়ে এখন অন্য দলে, তার চুরির ফিরিস্তি দিচ্ছেন। আবার আরেক জন বলেছেন, কয়লা, বালি থেকে গরু সোনা পাচার সবেই হাত পাকিয়েছে। কে বলছে ৬২ জন কে চাকরি দিয়েছি, আবার কার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হতে চলেছে। আমার একটা কথা এতো দিন তাহলে মানুষ কে মিথ্যা কথা বলে ক্ষমতায় ছিলে। যখন তোমার সৎ বুদ্ধি জেগেছে মানুষের টাকা ফেরত দাও, আর সাধারণ মানুষের সাথে বেইমানি করে কোন দিন ভালো থাকা যায় না। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেন নি, ২০১১ সালের পর থেকে, কারণ আপনাদের মত সৎ ও ভদ্রলোক থাকার জন্য। নিজেই বলে দিচ্ছেন আপনি কত ভালো, আসলে আপনার ভালোর জন্য দল বদল, তবে আমাদের কাছে তথা সাধারণ মানুষের কাছে এটা একটাই দল কেবল নাম ও চিহ্ন টি আলাদা। একজন দেশ বেচে দিচ্ছে। একজন বাংলা বেচে দিচ্ছে, দুজনেই বেচারাম ভালো হলে সাধারণ মানুষকে ভিক্ষারি বানিয়ে দিত না। খুব ভালো আপনাদের মুখ থেকে সত্যি কথা বেড়িয়ে আসছে। আপনারা তো শিক্ষিত মানুষ, বলুন তো মানুষের সাথে বেইমানি করার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোথায় আছে? আপনারা এত ভালো কাজ করেছেন যে নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরতে হয়। আপনার বা আপনাদের মত নেতা একবারও ভাবছেন না, বাংলার মানুষের কথা, কেবল বেইমানি, ভোট নিয়ে বেইমানি, মনে করুন জনগণ আপনার বা আপনার দলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে একজন বিরোধী দলের নেতা কে জয়ী করল, তিনি জিতে কী করলেন, যে দলের বিরুদ্ধে ভোট দিল জনগণ সেই দলে নাম লেখালেন। এটা জনগণের সাথে এক ধরনের বেইমানি নয় কি? 

নেতার বাড়ে নিরাপত্তা, জনগণের জন্য লাঠি।


অদ্ভুত সুন্দর আমার দেশ, ছোট খাটো চুরি ছিনতাই করলে ধরা হবে শাস্তি হবে, তখন পুলিশ প্রশাসন এবং কোর্ট এক হয়ে যাবে। আবার যদি মিথ্যা কেস হয়, তাহলে তো কথাই নেই, আর এখন মিথ্যার যুগে, আর দালাল মিডিয়ার দৌলত্যে কোনটা সত্যযি আর কোন টা মিথ্যযা জানা খুব দুস্কর হয়ে গেছে। তবে একটা বিষয় আমি লক্ষ্য করেছি, পুলিশ খুনে অভিযুক্ত, সারদার এবং বিভিন্ন চিটফাণ্ডেরকোটি কোটি টাকা যারা চুরি বাটপারি করল, কলকাতার রাস্তায় ত্রিফলা বাতি, আর ফ্লাই ওভার ভাঙার জন্য যারা. দায়ি তাদের পুলিশ পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়। বড়ো বড়ো তোলাবাজ চিটিংবাজ সিন্ডিকেট করে লুট করা। এসব করে যারা কোটি কোটি টাকা ইনকাম করল, আরা তারা যখন ক্ষমতায় এলো নেতা মন্ত্রী    হয়ে গেল। পুলিশ তাদের গ্রেফতার তো দূরের কথা তাদের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে দিল। আর যে জনগণ সর্বশ্রান্ত হয়ে গেল আত্মহত্যা পর্যন্ত করল, সেই জনগণ যদি মুরগি চুরি করে   ব্যাস আর যায় কোথায়? ঠিক করে, কারণ চুরি করা অন্যায়  কিন্তু সেটা কেবল সাধারণ মানুষের জন্য। বড়ো বড়ো নেতা মন্ত্রী মাফিয়াদের জন্য নয়। বেকার যুবক যুবতী থেকে শ্রমিক কর্মচারী তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করলেই নেমে পরে জলকামান, লাঠি নিয়েে, যা ইংরেজ আমলে পুলিশ করত, এসব দেখে দেখে ভাবি সত্যযি আমরা স্বাধীন হয়েছি তো! যে কোন সরকারী অফিসে যান বড় বড় অফিসার তার গেটে লাগিয়ে রেখেছে বিনা অনুমতি তে প্রবেশ নিষেধ। এই নিষেধ কাদের জন্য সাধারণ মানুষের জন্য, সে ঘন্টারপর ঘন্টা দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে যখন কাজ হয় না। আর অন্য দিকে ঘুষ খোর চোর নেতা    মন্ত্রীর অনুমতি লাগে না। এই তথা কথিত গুণ্ডা মাফিয়ানেতার দল বুক বাজিয়ে বলে দেয়। পুলিশ কে বোম মার সত্যি যখন বোম মেরে পুলিশ মারা হয়, তখন এই পুলিশ তাকে যার কথায় এসব হলো তাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত থাকে টিভি ক্যামেরার সামনে বলা কথা  ভয়েস টেষ্ট করতে পাঠায়। সত্যিই পুলিশ তোমার জবাব নেই, সাধারণ মানুষ থেকে চোর গুণ্ডা মাফিয়া নেতাদের নিরাপত্তা বেশি করে দরকার কারণ দেশ তো স্বাধীন হয়েেছ ওদের লুটে পুটে খাওয়ার জন্য। জনগণের জন্য যত আইন আছে জেল আছে ওদের জন্য নেই, কি সুন্দর ব্যবস্থা। সাধারণ মানুষ বিচার চাইতে কোর্টৈ যাবেন, হায়রে বিচার ব্যবস্থা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় " বিচারের বাণী আজ নিরবে নির্ভিতে কাঁদে।" জনগণের একটাই ভোট সেটা ও দিতে দেয় না, সেখানেও প্রযুক্তির কারচুপি টাকা দিয়ে ভোট লুট। যেমন করেই হোক এই সব চোর কাটমানি খোর মাফিয়া ক্ষমতা দখল করবেই। নেতা মন্ত্রী যদি দেশের জনগণের জন্য এতো কাজ করেন দেশ সেবা করেন তাহলে জনগণের সাথে মিশতে পারে না কেন? কেন কোটি কোটি টাকা খরচ করে নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরতে হয়। কেন নেতা দের A থেকে  Z ক্যাটাগরি নিরাপত্তা লাগে। ছিঃ ছিঃ পুলিশ এখন চোর গুণ্ডা মাফিয়া দের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে। 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...