Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 20 February 2021

মাতৃভাষা দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলী


 আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে, বাংলার বীর সন্তান, যারা আমার মাতৃভাষার মর্যাদার জন্য নিজের প্রাণ বলি দিয়েে ছিলেন। তাদের কে আমার পক্ষ থেকে এই ব্লগের মাধ্যমে সশ্রদ্ধ প্রনাম / সালাম জানাই। কারণ আমি বাঙালি বাংলা ভাষায় কথা বলি। ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে বাঙালি জাতির অবদান কেউ না মনে রাখলেও কত গুলো কুচক্রি রাজনৈতিক নেতা এবং  তৎকালীন ইংরেজ শাসক মনে রেখে ছিল। ভুলতে পারেনি বিনয় - বাদল - দীনেশ এবং ভগৎ সিং, সুখদেও - রাজগুরুর সাথে বটুকেশ্বরদত্ত ও সেদিন ছিলেন, যে দিন তৎকালীন দিল্লির পার্ললামেন্টে ভারত কে আরও অনেক কয়েক বছর শাসন করার জন্য একটি কালা আইন পাশ করার সময় বোমার আওয়াজ আর সাথে সেই বিখ্যাত শ্লোগান ইনক্লাব জিন্দাবাদ ধ্বনি তে মুখরিত হয়েছিল, তৎকালীন দিল্লির  ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। আর বাঙালি কে জব্দ করতে ইংরেজের সাথে প্রতি নিয়ত ষঢ়যন্ত্রের করে যেত যে সব নেতা, তারা স্বাধীনতার ঘোষণার সময় বাঙালি জাতির মেরুদন্ড ভাঙতে বাংলা ভাগ অপরিহার্য মনে করেছিল। কারণ ১৯০৫ সালে পারেনি, তখন আমার সোনার বাংলায় বাংলা  মায়ের হাজার হাজার সোনার ছেলে প্রতিবাদ করে ছিলেন। সেই সময়ও ছিল ধর্মের উস্কানি, আর ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৭ ভারত ভাগের সময় ও ছিল ধর্মের উস্কানি।কারণ ইংরেজ এবং দিল্লিরনেতারা জানত বাঙালি তথা বাংলা যদি এক থাকে তাহলে একদিন গোটা ভারত বাঙালির দখলে চলে যাবে। ধর্ম  পেরেছে আমাদের মধ্যে বিভাজন করতে, বাংলা ভাগ হয়েেছ, কিন্তু ভাষা আমাদের আলাদা করতে পারে নি। সে কারণেই ওপার বাংলার মানুষের দুঃখ কষ্টে এপার বাংলায় আন্দোলন শুরু হয়, আবার এপারের মানুষের দুঃখ কষ্টে ওপার বাংলায় আন্দোলন শুরু হয়। মাঝে আছে কাঁটাতারের বেড়া কিন্তু মিলিয়ে দিয়েছে আমাদের ভাষা। ১৯৫২ সালে ওপার বাংলায় নিজের মাতৃভাষার মর্যাদার দাবিতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন চলছিল, পাক বাহিনীর চাপিয়ে দেওয়া উর্দু ভাষা কে বাতিলের দাবিতে, হঠাৎ পাক বাহিনীর গুলিতে ঝাঁঝড়াা করে দিয়েছিল বরকত, জব্বার, রফিক, ও শফিউর বুক, সালাম তোমাদের শত শত সালাম, মাতৃভাষার মান রক্ষা করতে তোমাদের প্রাণ দান, পরবর্তীতে যা স্বাধীন বাংলাদেশের জণ্ম দিয়েছিল। দুর্ভাগা বাঙালি এখনো সেই ধর্মের নামে মানুষ খুন করে সম্পত্তি দখল করার জন্য, থাক না কাঁটাতারের বেড়া ভাষা আমাদের মিলিয়ে রাখবে চিরকাল, একদিন এই কুচক্রি দের জাল ছিঁঁড়ে বেড়িয়ে আসব আমরা, ধর্মের নামে কেউ আমাদের মাঝে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আটকে রাখতে পারবে না। ধর্ম থাকবে মন্দিরে মসজিদে আমরা মানুষ হব। বলব না আমি বাঙালি তুমি মুসলমান, বা তুমি বাঙালি আমি মুসলমান। আসবেই সে দিন, সেই জন্যই এপার বাংলার মানুষ ও গেয়ে ওঠেন আব্দুল গফ্ফর খানের লেখা সেই বিখ্যাত গন সঙ্গীত, " আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি / আমি কি ভুলিতে পারি।" 

সকলে ভালো থাকবেন, লেখার ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা করে দেবেন, আপনাদের মত আমি লিখতে পারি না, সেই জন্যই আমার পাঠক কম। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...