Anulekhon.blogspot.com

Monday, 31 August 2020

আজকের দিনে কাজী নজরুল ইসলাম।

কবি "আমার কৈফিয়ৎ" কবিতায় লিখেছেন বর্তমানের কবি আমি ভাই, ভবিষ্যতের নই নবী! কবি ও অকবি যাহা বল মুখ বুজে তাই সই সবই! " এই কবিতার শেষে দুটি লাইন," "অমর কাব্য তোমরা লিখিও, যারা আছ সুখে! পরোয়া করিনা, বাঁচি বা না-বাঁচি যুগের হুজুগ কেটে গেলে,"
কবি কাজী নজরুল ইসলাম নিজেই বলছেন আমাকে মনে রাখতে হবে না। বর্তমানে দেশের যা পরিস্থিতি সেটা নিয়ে আমি লিখব। বর্তমানে আমিও বলি দেশের অবস্থা দিন দিন যে দিকে যাচ্ছে, তাতে না খেতে পাওয়া মানুষের ঢল রাস্তায় নেমে এলো বলে। কাজ কর্ম হীন বেকার, কাজ চলে যাওয়া বেকার ছেলে মেয়েরা, এখন ও সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে চাকরির আশায়, কিন্তু সে আশায় জল ঢেলে দিচ্ছে সরকার নিজেই। এর জন্যে দায়ী কেবল মন্ত্রী নেতা নয় এর জন্যে দায়ী ঐ বড়ো বড়ো আমলা যারা মন্ত্রী দের বিভিন্ন হুকুম পালন করেন। আর যুক্তিও দিয়ে থাকেন, সরকারের কাজ দারিদ্র দূর করা সকল মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জীবন জীবিকা রক্ষা করা। আমরা দেখছি উল্টো টা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কে ভিক্ষুক বানিয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য করে তুলেছে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার। জীবন বিপন্ন জীবিকা আজ বিপন্ন সরকারের কোন হেল দোল নেই কেবল লুটে খাও আর বড়ো বড়ো শিল্প পতি দের কাছে দেশ বিক্রি করে দাও। দেশের সম্পদ সব তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ঐ মুষ্ঠিমেয় শিল্পপতি চাইলে সাধারণ মানুষ খেতে পাবে না হলে নয়। বণিক যখন শাসক হয় তখন কি হয় তা আমরা ইতিহাস থেকে জেনেছি, ইংরেজরাও এদেশে বানিজ্য করতে এসে ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে সেই ইংরেজ তথা ব্রিটিশ বণিক আমাদের শাসক হয়ে বসেছিল। বণিক এবং রাজার শোষনে সাধারণ মানুষের নাভিঃশ্বাস উঠেছিল, শুরু হয়েছিল 76 এর। সেই সময় কালের লেখা এই কবিতা আজও প্রাসঙ্গিক, এই কবিতারি শেষ কটি লাইন বা পঙতি আজও মনকে নাড়া দিয়ে যায়। "রক্ত ঝড়াতে পারিনা তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা। প্রার্থনা কর যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ কোটির মুখের গ্রাস। আমার এ রক্ত লেখায় লেখা হয় যেন তাদের সর্বনাশ।" বর্তমানে আমাদের দেশের পরিস্থিতি ও সেদিকে যাচ্ছে, গরীব আরও গরীব হচ্ছে, দেশের সমস্ত সম্পদ লুট করেছে এক দল বেনিয়া। এ বেশি দিন চলতে পারে না। সকলে মিলে প্রতিবাদে সামিল হতে হবে, কেবল বেনিয়া নয় এদের সাথে মিল মিশে লুট করেছে একদল চরম মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ নেতা মন্ত্রীরা। জনগণের জন্য কাজ করতে নির্বাচিত হয়ে এসেছে মিথ্যার ফুলঝুড়ি ফুটিয়ে বেড়ে চলেছে নিজেদের সম্পদ বিভিন্ন ভাবে লুট করে নিচ্ছে প্রতিদিন। এতো ভালো কাজ করে যে ভয়ে নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরে, চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি এক মাসের মধ্যে সারাই রাস্তা আবার যে কে সেই। রেশন কার্ড সমস্ত জনগণ মানে দশ কোটি মানুষ পেয়েছে অথচ আমার রেশন কার্ড নেই। আমার পরিবারের নেই, কারণ ঐ শাশক দলের হাফ নেতা, এখানেও ঐ কবিতার একটি পঙতি আছে, "প্রায় হাফ নেতা হয়ে উঠেছিস, ফুল নেতা হবি না তো এ দাঁও ফস্কালে ।" এদের দাপট দেখে কে, আর উপর তলা থেকে নির্দেশ একা খেলে হবে ভাগ করে খেতে হবে। এই একটা ঘটনা দেখুন মধ্যে প্রদেশের একটি ব্রিজ তৈ হয়ে ছিল এক মাস আগে আজ ছিল উদ্বোধন ভেঙে পড়েছে।
যেমন পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা তেমনি সারা দেশের অবস্থা লুটে খাও ভোটে নির্বাচিত হওয়া কোন ব্যাপার না চুরি চামারি মানুষ কে ভয় দেখিয়ে, মেশিনে কারচুপি করে যেমন করে হোক জিতে আসতে হবে ব্যাস তার পর দেখে জনগণ উচ্ছন্নে যাক আমার টাকা চাই কোটি কোটি টাকা, তোরা নীচু তলার নেতা ছিটে ফোঁটা ভাগ পাবি ঐ নিয়ে আমার জন্য ভোট জোগাড় করে দিবি আমি ক্ষমতায় এসে মানুষের নাভিঃশ্বাস তুলে দেব। এই হচ্ছে নেতা মন্ত্রী দের পরিকল্পনা আর এই কারণেই নিরাপত্তা নিয়ে ঘোরে, জানে চুরি বাটপারি মিথ্যা কথা বলে ক্ষমতা দখল করেছি জনগণ কে নাজেহাল করে তুলেছি, সেই কারণেই জনগণের কাছে যেতে ভয় পায়। আর কিছু লিখছি না, কবির ভাষায় বলি " দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়েছি তাই লিখিয়া যাই যাহা আসে মুখে। অমর কাব্য তোমরা লিখিও যাহারা আছও সুখে।" 

Friday, 28 August 2020

"ধর্ম" মানব সভ্যতার আশীর্বাদ না অভিশাপ।

আদীম সভ্যতা কীভাবে গড়ে উঠেছিল, ইতিহাসে তা আমরা অনেক পড়েছি। কোথাও বলা নেই, হিন্দু ধর্মের এত দেবদেবী কোথা থেকে এলেন? ইতিহাসের পাতায় পড়েছি গ্রীস, রোমান সভ্যতার মানুষও নানা দেবদেবীর পূজা করত, কেউ সমুদ্রের দেবতা, কেউ চাষাবাদের, কেউ যুদ্ধের, প্রতিটি বিষয়ে একজন করে দেব বা দেবী ছিলেন হিন্দু বা ঐ দুই সভ্যতার। আমার জানা পড়ার মধ্যে দিয়ে যতটুকু জানি মানুষ প্রকৃতির বিভিন্ন অতি প্রাকৃতিক ঘটনা, যেমন বন্যা, বাজ পড়া, ঝড়, দাবানল, বিষাক্ত প্রানীর কামড়ে মৃত্যু বিভিন্ন ধরনের রোগকে ভয় করত, আর এসবের হাত থেকে রক্ষা পেতে নানা দেবদেবীর পূজা করত। এখনও পর্যন্ত মানুষ সে সব করে আসছে। মানুষের ভালোর জন্য, মানুষের উপকারের জন্য ধর্মের আগমন বা দেবদেবীর পূজা ক্ষতি করার জন্য নয়। পাশাপাশি ঐ যুগেও মানুষ নিজের অজান্তেই বিজ্ঞানের নানা বিষয় আবিষ্কার করেছে। আগুন জ্বালতে শেখা, কৃষি কাজ শেখা, পাথরের অস্ত্রের পরিবর্তে ধাতুর অস্ত্র ব্যবহার করা, অর্থাৎ ধাতু আবিষ্কার, গুহা জীবন ছেড়ে ঘরবাড়ি তৈরি করা, পশুর চামরা, গাছের ছাল পাতা কে পরিত্যাগ করে সুতো তৈরি করে সেটা দিয়ে পোশাক তৈরি করে পরা। এসব কাজে ধর্ম কিছু সময় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল সেই, সেই কারণেই গ্যলেলিও, কোপারনিকাশ, ব্রুন, সক্রেটিস, আর কয়েক জন বিজ্ঞানের চিন্তা নায়ক কে ধর্মের কাছে হার মানতে হয়ে ছিল, কিন্তু বিজ্ঞান হেরে যায়নি বিজ্ঞান হেরে গেলে বা ঐ ধর্মের ভয়ে বিজ্ঞান চর্চা থেমে গেলে মানুষ আজ রকেট চেপে চাঁদের দেশে পাড়ি দিতে পারত না। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এত উন্নত হতো না। পক্স বা বসন্তের টিকা আবিষ্কার হতো না, মানুষ মারা যেত যক্ষায় কলেরায় আর শীতলা দেবির পুজো করে যেত বসন্ত ভালো করার জন্য। বর্তমানে আমরা কি কি দেখছি, এই সব আবিষ্কার বা বিজ্ঞান কে পাত্তা না দিয়ে একটা বিশেষ ধর্মের মানুষ যে ধর্ম টি ধর্মীয় উগ্রপন্থা ছাড়া আর কিছু জানে না। 1400 বছর আগে এই ধর্মের সুচনা অস্ত্রের ঝঙ্কানিতে। সেই অস্ত্র এখন ও ব্যবহার করে যাচ্ছে, এখন যে সব আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে সে গুলো সব অপর দেশের আবিষ্কার বা তৈরি নিজেরা কিছু করতে পারে না, কেবল ধর্মের নামে মানুষ খুন করা ছাড়া। এটি নাকি শান্তির ধর্ম, ভারতের বেশিরভাগ এই শান্তির ধর্মের লোকজন অবশ্যই বর্ণ হিন্দু দের অত্যাচারে ধর্ম পরিবর্তন করে নিয়েছে। কারণ মোঘল আমলের শেষ দিকে, ধর্মীয় বিভাজন প্রচণ্ড আকার ধারণ করে ছিল। এই সময় বণিক ইংরেজ ও ফরাসি দের প্রবেশ ঘটে ভারতের মাটিতে দূর্বল মোঘল রাজত্ব স্থানীয় সামন্ত রাজা নবাব দের রমরমার সুযোগ কাজে লাগাতে এক মূহুর্ত দেরি করে নি ধূর্ত ইংরেজ অচিরেই বণিক রূপী ইংরেজ শাসক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। নবাবি কর বা খাজনা আর ইংরেজ দের জুলুম কর বা খাজনা বাংলাদেশের বুকে নেমে আসে চরম দূর্দশা, আস্তে আস্তে গোটা ভারত দখল করে নেয় ইংরেজ শাসক, ভারতীয় ব্যবসা বানিজ্য ধ্বংস করে দেয় ইংরেজ শাসন শুরু করে বিলেতি দ্রব্যের বিক্রি বাটা আর শাসকের কর খাজনা, জমিদারি ব্যবস্থা জোরদার ব্যবস্থা কায়েম করে গোটা দেশে, শুরু করে দু তরফে অত্যাচার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন ভাবে বিচ্ছিন্ন আন্দোলন শুরু করে, সমান তালে চলে অত্যাচার। ইংরেজ সরকার বুঝতে পারে ভারত কে শাসন করতে এদের মধ্যে জাতি গত বিচ্ছেদ ঘটতা হবে, শুরু করে ধর্মের নামে মানুষে মানুষে নানা রকম বিভাজন, হিন্দু মুসলমান তো ছিলই, যেখানে মুসলিম বেশি সেখানে প্রচার করা হয় মন্দির ভেঙে মসজিদ হয়েছে, আর উল্টো টা হিন্দু এলাকায় মসজিদ হলে বলা হয় ওখানে মন্দির ছিল ভেঙে মসজিদ হয়েছে। বাবরি মসজিদের ইতিহাস পড়ুন দেখা যায় ইংরেজ আমলে এই মসজিদ নিয়ে হিন্দু মুসলিম লড়াই। এতো গেলো হিন্দু মুসলিম ভাগ, এবার সুকৌশলে হিন্দু ধর্মের উচ্চ বর্ণ কে ইংরেজ তার বিভিন্ন পদে বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ করতে থাকে। পিছিয়ে পরে তপশীল জাতির মানুষ, অর্থাৎ হিন্দু ধর্মের মধ্যেও কৌশলে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়। বর্তমানে দেখুন ঠিক এভাবেই স্বাধীন দেশের শাসক দেশ পরিচালনা করছে। জাতি ধর্ম নাগরিকত্বের প্রমাণ চাই নানান আইন। বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশের সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব সেনা জওয়ান দের মৃত্যু, এসব আপানার আমার দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য, এর আড়ালে কি হচ্ছে, দেশের সম্পদ রেল, খনিজ সম্পদ তেল, লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সব কয়েক জন শিল্পপতি কে বিক্রি করে দিচ্ছে। তারা এগুলো কিনছে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে, ঋণ শোধ করার দরকার নেই, কিছু দিন পর ঋণ মুকুব করে দেওয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা আর আমি আপনি ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে নানা অজুহাতে টাকা কেটে নিচ্ছে, কখনো বলছে এ্যাকাউন্টে 500 হাজার বা তার বেশি টাকা রাখতে হবে না হলে টাকা কাটা যাবে। কোন সাধারণ মানুষ ঋণ নিয়ে শোধ না করে যাবে কোথায় তার ভিটে মাটি বিক্রি করে আদায় করা হচ্ছে। আবার সাধারণ মানুষের 25 হাজার টাকা ঋণ পেতে হলে জুতোর শুকতলা খয়ে যায় আর এদের ক্ষেত্রে সব মাফ তাও কয়েক হাজার কোটি টাকা। রাষ্ট্র শক্তি ভুলিয়ে রাখতে চাইছে, ধর্ম নিয়ে, এত বড়ো একটা মহামারীর সময় যেন মনে হলো গরীব খেটে খাওয়া মানুষ গুলো মানুষ নয়। করোনা আসছে লকডাউন দেরিতে ঘোষণা, বিদেশ বিশেষ করে যেসব দেশে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে বেশি সেখান থেকে দেশের মানুষ কে বিনামূল্যে বিমানে করে ফেরত আনছে আরও যাতে করোনা ছড়িয়ে পড়ে তার ব্যবস্থাপনা পাকা করে তুলেছে এই, মানে কোন ব্যাপার না, ঘণ্টা, কাঁসর, থালা বাজাও একজন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ভাবা যায় মোমবাতি জ্বালাতে বলছেন। ফুল ছড়িয়ে আনন্দ করা হচ্ছে, রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে গোমুত্র বিলি করছে, কখনো বলছে পাঁপড় খেলে করোনা চলে যাবে আবার এর মধ্যে মন্দির, আর মূর্তি বসানো চলছে। ( রাম মন্দির, হনুমানের মূর্তি, রামের মূর্তি, শিবের মূর্তি, আগেই হয়েছে বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তি) এক দিকে বিজ্ঞানের অগ্রগতি নতুন নতুন আবিষ্কার আরেক দিকে ধর্ম এটা কে ধর্ম বলা যাবে যে ধর্ম বিজ্ঞান মানে না, মাদুলি তাবিজ জলপড়া, তেলপড়া, ফলপড়া, চালপড়া, ঝাড়ফুঁক ইত্যাদির মাধ্যমে রোগ ভালো করতে চায়। এসব প্রচার তারা করে এবং এগুলো সেই সব গরীব খেটে খাওয়া মানুষের জন্য যাদের টাকা পয়সা নেই, দিন আনে দিন খায় তাদের জন্য। এরকম মানুষ বেশি এসবে বিশ্বাস করে নেয়, তাকে যারা শোষণ করে তারা আড়ালে থেকে যায়। এসব পড়ে অনেকে ভাববেন আমি ধর্ম মানি না, কখনো না আমার ধর্ম বিশ্বাস অন্য রকম আমি ধর্মান্ধ নই। ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করি না, পূজ পাট সব থেকে বিরত থাকি না, কাউকে বিরত থাকতে বলিও না, মানুষের বিশ্বাস করি, অন্ধ ধর্ম বিশ্বাস করি না। ধর্মের নামে মানুষে মানুষে হানাহানি, ধর্মের নামে টাকা উপার্জন একদল মানুষের পেশা হয়ে গেছে। আজ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে শান্তির ধর্ম পালন করে মানুষ সত্য কি এটা শান্তির ধর্ম (ইসলাম ধর্ম ) কারণ পৃথিবীতে যত অপরাধ করে তার নব্বই শতাংশ মানুষ এই শান্তির ধর্মে (ইসলাম ) বিশ্বাস করে। যত উগ্রপন্থী বা জঙ্গি বা জেহাদি আছে তার 90 %এই ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে। এখন তো অন্যান্য ধর্মের মধ্যেও উগ্রপন্থা বেশি বেশি করে মাথা চারা দিচ্ছে। আমার কথা হলো, ধর্ম যদি মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেয়, আর মানুষ মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে, সে তো সভ্যতার শত্রু ধর্ম তো এসেছিল মানুষকে এক করা বা রক্ষা করার জন্য। আমার তো মনে হয় না, কোন ঈশ্বর, আল্লাহ, গড তার সৃষ্টির সর্ব শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ সে নিজের কর্তব্য পালন ভুলে একে অপরের সাথে লড়াই করে মরুক এটা চান না। আমার মনে হয় বর্তমানে ধর্ম মানুষের পাশে থাকার বদলে শত্রু হয়ে গেছে। আসুন সবাই মিলে ধর্ম কে বাড়িতে মন্দিরে মসজিদে গীর্জায় রেখে মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াই, এটাই এখন বড়ো ধর্ম। ধর্ম কে মানুষের শত্রু না করে,বন্ধু করি মানবতাই হোক ধর্ম। 

পথ তুমি কার? সাধারণ মানুষের জন্য !

আগেই জায়গাটি পরিচয় দিয়ে দিই, এটি হরিপাল স্টেশন থেকে থানায় যাবার রাস্তা, জায়গা টি সম্ভবত রেলওয়ের আওতা ভুক্ত। রেল গেট থেকে আর যে উঁচুতে পিচ দেখছেন ঐ পর্যন্ত পাকা রাস্তা তৈরি করেছে, সেটাও খানা খন্দে ভরা একটি নালার উপর কালভার্ট আছে এত সঙ্কীর্ন এবং বিপদজনক একদিন ঐ জায়গাটার ছবি তুলে দেখাব। এগুলো এরকম রাখার কারণ কি? রাজ্যের পঞ্চায়েত রেলের জায়গায় কিছু করবে না। রেল পঞ্চায়েতের জায়গায় কিছু করবে না। এই দুই এর মধ্যে জনগণ, রেল জনগণের জন্য নয় ওখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ, তাই সাধারণ মানুষ মরল কি বাঁচল দেখার দরকার নেই, যে ছবি টি দেখছেন যদি বৃষ্টির পর তুলে দিতে পারতাম দেখতে পেতেন কী হাল? এতো গেলো এই স্থানের বা জায়গার কথা এবার আসুন এক মাস ধরে কাজ করে দিন কুড়ি পঁচিশ আগে সারাই করা রাস্তার হাল দেখুন, তাও সব জায়গার ছবি তুলে দিতে পারলাম না। এগুলো সেই রেল গেট একটি নালিকুল চোদ্দ নম্বর রেলগেট যেখানে জণ্মভর উড়ালপুল তৈরি করা হচ্ছে,দেখুন ছবি।
এই রেল গেটের দুপাশে একই অবস্থা আর এখানে এক মাসের মত সময় নিয়ে বেশ কিছু শ্রমিক গত জুলাই মাসে রাস্তা মেরামতির করে মানে সরিয়ে দিয়ে ছিল। কুড়ি থেকে পঁচিশ দিন বাদে বড়ো বড়ো গর্ত না দেখলে বিশ্বাস করবেন না। আরেকটা ভীষণ ভালো রাস্তার ছবি দেবে সেই জায়গা বা রাস্তাটিও কুড়ি পঁচিশ দিন আগে সারাই করা হয়েছিল।
এটি কামারকুণ্ডু রেলগেটের এপার টা আর ওপারের মানে সিঙ্গুরের যাবার ছবি সে কল্পনা করতে পারবেন না। এখানেও রামায়ণ যুগ থেকে উড়ালপুল তৈরি করা হচ্ছে। আশ্চর্যের ব্যাপার এই দুই জায়গাতেই অর্থাৎ নালিকুল ও কামারকুণ্ডু রেল গেট রাস্তা সারা হয়ে
ছিল কুড়ি থেকে পঁচিশ দিন আগে। সে সব পিচ উঠে গিয়ে এখন মরণ ফাঁদ। আমার মনে হচ্ছে পিচের সাথে গুর বেশি দিয়েছিল ঐ জন্যে গরু আর কুকুরে চেটে খেয়ে ফেলেছে, পাথর সমেত, কি দূর্দশা দেখুন সাধারণ মানুষের কয়েক জন মানুষ রেলে চেপে যাবে, তার জন্য গেট পড়ে তখন দেখার মত অবস্থা। রেল তো সেই জন্যই দারুণ ব্যাপার সাধারণ মানুষ ও মরুক ক্ষতি নেই, এখন ক্ষমতা আর টাকা যেমন করে হোক চাই। টাকার গায়ে লেখা থাকে না চুরি করা না বাটপারি করা টাকা। মানুষ সে ভাল, আমরা লুটে খাই। 

Thursday, 20 August 2020

সরকার যেমন তার ওয়েবসাইট ঠিক তেমন। ( school banglar shiksha. Com)

আজকে আমাদের বাংলা তথা ভারতের মধ্য রাতে, বাংলার শিক্ষক দের কীভাবে প্রতি নিয়ত নাজেহাল হতে হচ্ছে সেই নিয়ে একটু লিখব। তবে লেখার মধ্যে ছবি থাকবে অনেক গুলো, একে তো ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার, অর্থাৎ বিদ্যালয়ের বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার নেই, নেট তো দূরের কথা কম্পিউটার কেনার টাকা সে আর যোগার হয় না, কিন্তু পোশাক দেওয়ার নামে যাতে লুটে খাওয়া যায় তার জন্য দুটি পোশাক দিতে 600 টাকা দেওয়া যায়। আর পোশাক দেওয়ার সাথে সাথে দু মাস পর ছিঁড়ে চলে যায়, এই হল সরকার লুটে খাওয়ার সরকার। বাদ যাক ওসব কথা, এখন এই রাতে যে কথা লিখতে বসেছি, আজ বেশ কদিন আগে গত 9/8/2020 একটি সরকারি আদেশ হোয়টস এ্যপ গ্রুপে আসে। স্কুল বাংলার শিক্ষা ডট কম সাইট খুলে সেখানে বিদ্যালয়ের ওয়েব পেজ তৈরি করতে হবে। যদিও ওখানে ভুল আছে বলা হয়েছে ওয়েব সাইট খুলতে হবে আসলে আমি যতটুকু জানি এই রকম ক্ষেত্রে এই গুলো কে ওয়েব পেজ বলে। আদেশ নামার ছবি দিলাম।

সেই শুরু করে আজ পর্যন্ত কেবল বিদ্যালয়ের পাসওয়ার্ড তৈরি করা গেছে, কোন দিন ভোরে উঠে কোন দিন রাত জেগে । ও আগে একটু এই সাইট নিয়ে বলা দরকার, লিখতে মানে সার্চ করতে লিখতে হবে স্কুল বাংলার শিক্ষা ডট কম, আর তার পর আসবে সবার প্রথমে যে সাইট গুলোর ছবি দিলাম ওটি এবার বাংলার শিক্ষা স্কুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বলে যেটা আছে ওই সাইট খুলে কাজ করতে হবে। আমি আগেই একবার লিখেছিলাম যে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা বিভাগের ওয়েব সাইট এবং ওয়েব পেজ, শিক্ষা এ্যাপের ছড়াছড়ি কোনটা যে কী কাজে লাগে তার ঠিক নেই অথচ শিক্ষা ডিপার্টমেন্টের আদেশ পেতে ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের ওয়েব সাইট খুলতে হবে কী অদ্ভুত সুন্দর তাই না। এই কদিনের চেষ্টায় যেখানে পৌঁছে স্কুলের পাসওয়ার্ড তৈরি করেছে, ছবি দিলাম।

যাহোক দুটি ছবি দিলাম নীচের টি আগে আসবে পাসওয়ার্ড তৈরি করার জন্য। অনেকে চেষ্টার পর যখন পাসওয়ার্ড তৈরি করা হয়ে যাবে তার পর বাংলার শিক্ষা আসবে এবার এস এম এস লগ ইন করতে হবে। আবার স্কুলের জন্য তৈরি পাসওয়ার্ড দিয়ে খুলতে হবে। 
এর পর থেকেই ভবিষ্যৎ অন্ধকার আর খোলা যদি বা ভাগ্য ভালো হয়। তবে নির্দিষ্ট জায়গায় খুলে কাজ করতে হবে ব্যানার ঠিক করে দিতে হবে লেখা আছে 300 kBর বেশি ছবি দেওয়া যাবে না। একবার দেওয়া হলে হোল কিনা দেখার উপায় নেই। সার্ভিস প্রোভাইডার এতো ভালো কাজ করে না বলবার কথা নয়। দেখলাম সার্ভিস প্রোভাইডার হোল ওয়েবেল। যেমন সরকার তেমন তার সার্ভিস প্রোভাইডার রাত বারোটার পরেও সার্ভিস ঠিক ঠাক দিতে পারে না। এস এম এস লগইন করে, কি হল এই ছবি দেখুন এরকম একদিন না কয়েক দিন ধরেই হচ্ছে। 
এই সময় অন্য সার্ভিস প্রোভাইডারের সার্ভিস দেখে নিন। 
একদম উপরে লক্ষ্য করে দেখুন সময় আর নেট স্পিড দেখতে পাবেন। আর বিশেষ কিছু লিখলাম না, যেমন সরকার তেমন তার কাজ, কেবল শিক্ষক সহ কর্মী দের নাজেহাল করা। ও এটি শেষ করার আবার শেষ তারিখ ছিল 15 /8/2020 পর্যন্ত। চোর মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ দের কাছ থেকে এর থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় কি? আজ সকাল থেকে দুপুর 12 টা 40 পর্যন্ত  আবার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলাফল একই কোনো উন্নতি নেই। 
ছবি দিলাম। 
এই সার্ভিস প্রোভাইডারের অবস্থা আসলে সরকারি কাজ হচ্ছে হবে এই ভাবনা থেকেই এই ব্যবস্থা। 



ভারতে তথা বাঙালির দের মধ্যে এরকম অর্থনীতি বিদ আছে।

ভারত তথা বাংলায় এতো বড়ো বড়ো অর্থনীতি বিদ বাংলা আছে বলেই বাংলার এই দূর্দিন। আমার তো মনে হয় অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার অমর্ত্য সেন ও বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় কে না দিয়ে এদের দিলে দেশের অনেক উন্নতি হয়ে, কত বড়ো অর্থনীতি বিদ, এরকম অর্থনীতি বিদ দের প্রায় সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়। জানা নেই কোন বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে এরা অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছে। আমি ও বড়ো অর্থনীতি বিদ নি, তবুও বলছি বাজারে যোগান ও চাহিদা বলে কথা আছে, আমার মনে হয় অর্থের ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য, বাজারে টাকার যোগান বা সঠিক ভাবে ভারসাম্য বজায় রাখতে সরকারি কর্মীদের বেতন অনেক টা সাহায্য করে। কারণ কোন সরকার সাধারণ মানুষ কে সরাসরি টাকা দেয় না, আর বাজারে টাকার যোগান না হলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে, যেটা বর্তমানে সারা ভারতে তো বটেই পশ্চিমবঙ্গে বেশি করে দেখা দিয়েছে। যে হারে মানুষের হাতে টাকার দরকার ক্রয় ক্ষমতা বারবার জন্যে বর্তমান সরকারের বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্য নেই। মূল্য বৃদ্ধি ভাতা বা ডি এ বন্ধ এই রাজ্যে, সামাজিক কাজে যারা যুক্ত তাদের মজুরি বৃদ্ধি হয় নি। আর সরকারি কর্মীরা বেতন পেয়ে ঘরে রেখে দেন না, তারা বাজারে খরচ করেন এবং সেই টাকা ঘুরে ফিরে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। অর্থনীতির এই সাধারণ ধারণার জন্য ডিগ্রি অর্জন করতে হবে আমার মনে হয় না। বাজারে যাতে অর্থ যোগান ঠিক থাকে সেই কারণেই কাজ হারানো খেটে খাওয়া মানুষের জন্য বামপন্থী দের দাবী সাড়ে সাত হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, আরেকটা দাবি করেছেন, নূন্যতম মাসিক বেতন 20000 টাকা করতে হবে। কৃষি কাজের সাথে যারা যুক্ত তাদের তাদের পেনশন চালু করা নূন্যতম পেনশন 6000 টাকা দিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সব অর্থনীতি বিদ দের বলব একবার H, S একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির বই টি পড়ে নিন। যদি একটু জ্ঞান অর্জন করতে পারেন, না সমাজের একটা বোঝা ছাড়া আপনি আর কিছু হতে পারবেন না। 

Tuesday, 18 August 2020

আরো তীব্র হোক প্রতিবাদ।

আরও তীব্র হোক প্রতিবাদ, নিন্দার ঝড় উঠুক চ্যানেল জি 5 এর বিরুদ্ধে। ওরা কেবল ক্ষুদিরাম কে অপমান করে নি করেছে গোটা বাঙালি জাতি কে? যে বাঙালি জাতি একদিন গোটা ভারত কে পথ দেখিয়েছে, শিক্ষার, তথা মুক্তির নিজের জীবন তুচ্ছ করে হাজার হাজার বাংলা মায়ের দামাল ছেলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ভারত মাতার শৃঙ্খল মোছনে। এক শ্রেণীর ব্রিটিশ সরকারের দালাল পা কুত্তার দল ক্ষমতায় এসে তাদের অপমান করছে। কোথায় সে বাঙালি, মুষ্ঠিমেয় কয়েকটি ছাত্র যুব না সমগ্র বাঙালি জাতির আজ এর প্রতিবাদ করা দরকার। এই অবাঙালি মালিকের দল ব্যবসা জানে ব্রিটিশদের পা চেটে ব্যবসা করে এসেছে, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা কে অপমান করবে এটা স্বাভাবিক। আমাদের ইতিহাস বই থেকে মুছে ফেলা হয়েছে এই সব মহান বিপ্লবী দের নাম। অনেক বাঙালি হলেও জানে না দুশো বছরের পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য কত মানুষ হাসতে হাসতে ফাঁসির দড়ি গলায় পড়েছে। বিচারের নামে প্রহসন করে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কিছু দিন আগে এই রকম একটা খবর পেয়ে পড়ে ছিলাম রবীন্দ্র ঠাকুর কে নিয়ে। উত্তর প্রদেশের কোন এক নেতা রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর কে সন্ত্রাস বাদী বলে ছিলেন। আসলে এরা বাংলা তথা বাঙালির ইতিহাস জানে না। জানতে চেষ্টাও করে না, বাংলার মাটিতে বাস করে বাংলা ভাষা জানে না। বাংলায় বাঙালির স্বাধীনতার ইতিহাস পড়ানোর ব্যবস্থা নেই তো গোটা দেশে, শাসকের মন যুগিয়ে চলা, মোটা টাকার বিনিময়ে চ্যানেল চালানো এদের কাজ। এদের কাছে নাথুরাম ভগবান, সুভাষ চন্দ্র বোস, ক্ষুদিরাম বোস, রাসবিহারী বোস, প্রফুল্ল চাকি বিনয়, বাদল, দীনেশ, মাষ্টার দা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, আর অজস্র মহান বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী হবে তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। সমস্ত বাঙালি জাতির তীব্র প্রতিবাদ গর্জে ওঠা উচিত। 

Wednesday, 12 August 2020

এত বড়ো সাহস, শিক্ষকের দিদির মুখের কথা অমান্য করে।

আজকের অন লাইন খবর, মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের কোনো ( আমি নাম দিলাম না, নামটা ঐ খবরে আছে) একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকরা অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীদের অনুরোধে দশম শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ক্লাস শুরু করেছে। গত কাল, শুরু হয়েছে কাগজে কাগজেসাংসাংবাদিক দের আস্ফালন দিদির মুখের কথা অমান্য করা শাস্তি হচ্ছে। কেন মুখের কথা বলছি, কোন লিখিত আদেশ নেই, বিদ্যালয় গুলি ছুটি থাকবে। সেই মান্ধাতা আমলে অর্থাৎ মার্চ মাসে একটা আদেশ তথা অর্ডার ছিল, তার পর থেকে মুখের ঘোষণাই আদেশ। যাহোক শিক্ষকরা বিশেষ করে প্রধান শিক্ষক ভীষণ অন্যায় কাজ করে ফেলেছেন। ছাত্র দের, পড়ানো!  মাধ্যমিক, ও তো পরীক্ষা দিতে পারলেই পাশ, ওর জন্য চিন্তা কি? আর এমনি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ ফেল নেই। প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি কি যে সিলেবাস, না আছে ভালো করে অঙ্ক, ইংরেজি যদি বা আছে গ্রামের ছেলে মেয়েদের দাঁত ফোটানো মুশকিল প্রাক প্রাথমিকের শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের জন্য কিছু পড়ানোর নেই মানে বাংলা অঙ্ক ইংরেজি নেই অথচ ওরাই বেসরকারি তে পড়লে সেখানে সব আছে। এই জন্য তো ব্যাঙের ছাতার মত বেসরকারি বিদ্যালয়ের রমরমা, আবার সোনায় সোহাগা জাতীয় শিক্ষা নীতি 2020 সরকারি বিদ্যালয় উঠে গেল বলে। কলকাতার ঠান্ডা ঘরে বসে শিক্ষা বিদ হয়ে গেছে অনেকেই, গ্রামের খেটে খাওয়া ঘরের ছেলে মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে যা খুশি তাই হচ্ছে। যাতে সরকারি ব্যবস্থা উঠে যায়, আর গরীব খেটে খাওয়া মানুষের ছেলে মেয়েরা অশিক্ষিত থাকে কারণ লেখা পড়া শিখে চাকরি চাই করবে। ওর থেকে বাবা এই ভাল। পড়ানোর পরিকাঠামো নেই অন লাইন ক্লাস, পরিকাঠামো নেই, অর্থাৎ ঘর নেই, শিক্ষক নিয়োগ নেই, প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণি চালু করতে হবে। শাসক দল ঘনিষ্ঠ এক দল শিক্ষক আছে যারা এই না পড়িয়ে কোন কাজ না করে বেতন নেওয়ার পক্ষে সামান্য MDM এর চাল আলু বিতরণে আসলে কষ্ট হচ্ছে, বলে ফেলছে, একটি বছর বসে বসে কি আরামে আছি। এরা বিদ্যালয় উঠে গেল যাক আমার বেতন যেন আসে ছাত্র না থাকলে খুব ভালো হয়। এরা কিন্তু সব শাসক দলের নেতা কর্মীদের ছেলে মেয়ে বা বাড়ির লোক জন। অন লাইন পড়ানোর জন্য যে পরিকল্পনা সেটা নেই, সর্বোপরি সকল অভিভাবকের স্মার্টফোন নেই, ল্যাপটপ নেই, আবার হয়তো ফোন আছে কিন্তু টাকা ভরা বা যে টা কে রিচার্জ করা বলে এই লকডাউনের বাজারে সব সময় সম্ভব হচ্ছে না। ঠিক মতো সবার আয় নেই, বা আয় কমে গেছে। এবার ঐ প্রত্যন্ত গ্রামে ছেলে মেয়েরা যাদের শেখার আগ্রহ আছে তাদের অভিভাবকরা ধরেন প্রধান শিক্ষক কে, আমার মনে হয় সেই কারণেই ঐ প্রধান শিক্ষক দশম শ্রেণির ক্লাস করতে রাজি হয়েছেন, একটা শ্রেণী ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা দেড়শ শিক্ষক হাজির পঁচিশ জন যদি ঘর বেশি থাকে 10 টা ঘরে বসানো হয় তবে 15 জন করে বসে। এতে অসুবিধা কোথায়? এই ভাবে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক প্রতিটি বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এখানে তো ফাঁকা করে বসানো হয়েছে। প্রতিদিন একটা করে শ্রেণির পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যে সব বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা কম সেখানে দুটি শ্রেণির। না ঐ দিদির মুখের কথা অমান্য করা, অফিসার গনও বলে দিচ্ছেন দেখছি ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেব। আর ঐ যে ঠান্ডা ঘরে বসে কলকাতার শিক্ষাবিদের দল, কীভাবে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা হবে এখনো ঠিক করে উঠতে পারেনি। সরকারের সব খোলা সব অফিস এমনকি শিক্ষক দের প্রতি মাসে প্রতি মাসে চাল আলু বিতরণে জন্য যেতে হচ্ছে। অবশ্যই সব শিক্ষক নয়, কারণ সরকারের নির্দিষ্ট কোন নির্দেশ নেই, শিক্ষকের উপস্থিতি চাই বিশেষ করে কাছাকাছি বাড়ি তাদের। যারা এড়িয়ে যাচ্ছে তাদের মধ্য বেশিরভাগ শাসক দলের ঘনিষ্ঠ নেতা কর্মীদের ছেলে মেয়ে বা বাড়ির লোক।
শিক্ষক মহাশয় বিদ্যালয় খুলে অন্যায় করেছেন, বসে বসে বেতন নেওয়া আর চাল আলু বিতরণে কাজ ব্যস আবার কি? দিদির নির্দেশ অমান্য করা এটা একদম উচিত কাজ হয়নি। সরকারের ইচ্ছা নেই পঠন পাঠন শুরু করার চিন্তাভাবনা নেই গ্রামের ছেলে মেয়েদের জন্যে, দেখছেন না সব খোলা কেবল বিদ্যালয় আর ট্রেন চললে করোনা হবে। 

করোনার টিকা আগে কাদের নেওয়া উচিত!

অন লাইন সংবাদ টি পড়ে আমার মনে হল, একটু লিখি এবিষয়ে। ভারতে আগে করোনার টিকা নেওয়া উচিত দেশের সাংসদ, মন্ত্রী, এবং প্রতিটি রাজ্যের এম এল এ ও মন্ত্রী দের, হ্যাঁ প্রধান মন্ত্রী সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে আগে এই টিকা নিয়ে জনগণ কে আশ্বস্ত করা উচিত। কারণ এই সব নেতা মন্ত্রী সব জনগণের সেবক, জনগণের সেবা করার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। কেবল মিথ্যা কথা বলে মানুষ কে বিভ্রান্ত করার জন্য ক্ষমতায় আসেনি সেটা প্রমাণ করতে হবে। তবে চলচ্চিত্রের মত নকল চিকিৎসা নয়, বাস্তবে টিকা নিচ্ছেন সেটা সংবাদ মাধ্যমে দেখাতে হবে, সংবাদ মাধ্যম গুলো তো এদের কেনা, এরা যে ভাবে মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে, মানুষ কে ঠকান, চুরি ছ্যাঁচরামি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন সেটা কিছুতেই দেখানো প্রয়োজন মনে করে না। আগে প্রধান সেবকের তারপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দের টিকা দিতেই হবে এরা না হলে কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলবে কারা। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলবে কারা,জনগণ যাতে বিপদে পড়ে সে রকম আইন তৈরি করবে কারা। তাই সবার আগে এদের টিকা দিতে হবে। 

Monday, 10 August 2020

আসুন সকলে মিলে স্মরণ করি, বাংলার অগ্নিশিশুকে।

আজ বাঙালি তথা ভারত বাসীর একটি দুঃখের দিন। বাংলা তথা ভারত মায়ের দামাল ছেলে, ক্ষুদিরাম বসুর আত্ম বলিদানের। আজকের দিনে মজফরপুর জেলে, তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ফিটন গাড়িতে বোমা মারার অপরাধে ফাঁসি দিয়ে ছিল। যাকে মারার জন্য ফিটন গাড়িতে বোমা হামলা, সেই অত্যাচারী পুলিশ অফিসার কিংসফোর্ড গাড়িতে ছিলেন না। ভুল বশত এক নীরিহ ইংরেজ পরিবার সেদিন মারা গিয়েছিল। একথা শুনে ক্ষুদিরাম বসু আফসোস করে ছিলেন, পরবর্তীতে 1908 সালের আজকের দিনে মজফরপুর জেলে তার ফাঁসি দেওয়া হয়। আরেক জন প্রফুল্ল চাকি ধরা না দিয়ে নিজের মাথায় নিজেই গুলি করে শহীদের মৃত্যু বরণ করেন। দূর্ভাগ্য আজকের দিনে বাঙালি এদের নীতি আদর্শ তথা বাংলার মানুষ কে যে স্বাধীনতা দিতে চেয়েছেন, সেটা আজ কিছু চোর ছ্যাঁচর মিথ্যাবাদী চিটিংবাজ দের দখলে। এই চোর ছ্যাঁচর মিথ্যাবাদী চিটিংবাজ ডাকাত বাটপারের দল একবার এ ফুল একবার ও ফুল করে বেড়াচ্ছে কোন ফুলে বেশি মধু খুঁজে বেড়াচ্ছে। কিছু সমর্থক আছে তারাও এই এ ফুল ও ফুল করে মধু খেয়ে বেড়াচ্ছে কর্মী মৌমাছির মত, যদি একটু মধু জোটে। আসুন আমরা সকলে শপথ গ্রহণ করি এই সব মহান বিপ্লবী দের আদর্শ কে প্রতিষ্ঠিত করতে, এই সব চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী বাটপারের দলকে বাংলা থেকে বিদায় দেব। 

আমার ব্লগের সমস্ত পাঠক কে শুভ জণ্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা।

আজ সারা ভারত জুড়ে পালিত হচ্ছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জণ্ম তিথি, তথা শুভ জণ্মাষ্টমী। কথিত আছে মামা কংসের কারাগারে মাতা দৈবকি, আজকের তিথিতে জণ্ম দিয়ে ছিলেন এই মহান পুরুষ কে।জণ্মের পরে কিছু অলৌকিক ঘটনা ঘটে, এবং দৈববানী হয়, পিতা বাসুদেব যমুনা নদী পার করে তাকে রেখে আসেন নন্দালয়ে। সেখান থেকে মেয়ে রূপী যোগমায়া কে নিয়ে আসেন কারাগারে। কংস যখন দৈবকির অষ্টম গর্ভের সন্তান যে নাকি তার সাক্ষাৎ মৃত্যু দূত হিসেবে জণ্ম গ্রহণ করেছে, তার বোন দৈবকির গর্ভে তাকে ধ্বংস করতে উদ্যোগী হন। পাষানের উপর নিক্ষেপ করেন, তখন যোগমায়া রূপী মেয়ে নিজ রূপ ধারণ করেন, এবং বলেন "তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে" বলে অদৃশ্য হয়ে যান। আমার যে টুকু জানা আছে, কংসের বোন দৈবকির বসুদেবের সাথে বিবাহের পর, কংস তাদের রথে করে রাখতে যাচ্ছিলেন বসুদেব গৃহে। পথ মাঝে দৈববানী হয়, দৈবকির গর্ভের অষ্টম সন্তান কংসকে ধ্বংস করবে বা হত্যা করতে ধরাধামে আসবেন। এই কথাটা শোনার পর কংস ওদের আর বসুদেবের বাড়িতে নিয়ে যাননি, ফিরিয়ে এনে কারাগারে বন্দি করে রাখেন। তিনি পরপর দৈবকির সাত সন্তান কে পাষানে আছড়ে মেরে ফেলেন। এরপর আসে সেই শুভক্ষণ, জণ্ম নেন দ্বাপরের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, আজকের এই তিথীতে। আজকের দিনটি সকলের শুভ হোক, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সকলের মঙ্গল করুন। সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি ঈশ্বরের কাছে। 

বাংলায় হিন্দু জাতির পতনের কারণ, উগ্র হিন্দুত্ব বাদ না খলজির তরোয়ালের যঙ্কানি!

বাংলা বা বঙ্গ দেশের শাসন ব্যবস্থা হিন্দু দের হাতে এসেছিল। সর্ব সম্মত ভাবে গোপাল পাল কে রাজা করার মাধ্যমে। এই পাল বংশের প্রথম রাজা গোপাল এর পর ধর্ম পাল, দেব পাল প্রমুখ, পাল রাজারা হিন্দু ধর্মের মানুষ হলেও পরে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করে এবং প্রচার করতে আরম্ভ করেন । আর এই বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার ঘটে ছিল, উগ্র হিন্দুত্ব বাদ থেকে মুক্তি পেতে, কারণ বৈদিক যুগের সময় কাজের ভিত্তিতে মানব সমাজ কে যে চারটি ভাগ করা হয়েছিল। আস্তে আস্তে সেটাই কঠিন ও কঠোর ভাবে জাতি ভেদ গড়ে তুলে ছিল, হিন্দু সমাজের জন্য। সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শুদ্র সম্প্রদায়ের মানুষ বাকি তিন বর্ণের মানুষ দ্বারা ভীষণ ভাবে অত্যাচারিত ও অপমানিত হতো, এর থেকে বাঁচতে তারা বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করতে শুরু করে। রাজাও তখন নিজের রাজ্য বাঁচাতে, বা হয়ত তিনি ক্ষত্রিয় ছিলেন না, সেই কারণেও হতে পারে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে ছিলেন। শুধু তাই না ঐ বৌদ্ধ ধর্ম যাতে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে যায় তার ব্যবস্থা করে ছিলেন। একটা বিষয় সেই সময় থেকেই ছিল, ধর্মের নামে সাধারণ মানুষ কে অতি সহজেই একজোট করা যায়, এখনও আছে ধর্মের নামে মানুষ কে এক জোট করা, কিন্তু আসল কারণ টা যদি খতিয়ে দেখা যায়, তবে দেখা যাবে উগ্র হিন্দুত্ব বাদ বা অন্য ভাবে বললে ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় দের অত্যাচার সেই সময়ে প্রবল ছিল। মুখ দেখা দেখি পর্যন্ত অনেক জায়গায় বন্ধ ছিল, দেবালয়ে প্রবেশ থেকে আরম্ভ করে একই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া, পোশাক পরা বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার সহ্য করতে হতো এই নিম্ন বর্ণের মানুষ দের। আবার দেখা যেত কঠিন আর কঠোর পরিশ্রমের কাজ এরাই করে দিত, তার সুখ ভোগ করত তথাকথিত উচ্চ বর্ণের মানুষ।অতীতে ধর্মের নামে বা ধর্ম দিয়ে মানুষ কে এক করা যেত, এক ধর্মের মানুষ তারা সর্বদা নিজের ধর্ম কে রক্ষা করতে এগিয়ে আসত। ব্যতিক্রম ছিল হিন্দু ধর্মের ঐ কঠিন জাতি ভেদ, এর পর এসেছে ইসলাম ধর্ম তথা কথিত ইসলাম কথার অর্থ নাকি শান্তি কিন্তু বাস্তবে অন্য রূপে দেখা যেতে লাগলো এই ধর্মের মানুষ কে, এই ধর্মের প্রসারের প্রথম থেকেই মানুষ খুন যেন জল ভাত, সে নিজের ধর্মের লোকজন হলেও ক্ষতি নেই। কারণ কারবালার মাঠে যে যুদ্ধ হয়ে ছিল সেখানে অন্য কোন ধর্মের মানুষ ছিলেন না।না ছিল হিন্দু না ছিল খ্রীষ্টান বা অন্য কোন ধর্মের মানুষ তাহলে যুদ্ধ কীসের? ইতিহাস থেকে যত দূর জানা যায় ক্ষমতা দখল কে কেন্দ্র করে এই লড়াই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। আবার এটাও ঠিক ইতিহাসের পাতায় আছে দুবার ক্রুসেড হয়ে ছিল, মানে ধর্ম যুদ্ধ হয়ে ছিল, ইসলাম আর খ্রীষ্টান দের মধ্যেও ধর্ম যুদ্ধ হয়ে ছিল। আমি জানি না কখনও হিন্দু ধর্মের মানুষ ধর্মের নামে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে ছিল কিনা? কেবল ধর্ম প্রচার করার জন্য যুদ্ধ কিন্তু ইসলামের নামে আমদানি করা হয়েছে। অথচ এই ধর্ম নাকি শান্তির ধর্ম। আমি কেন যে কেউ এই ধর্মের 1400 বছরের ইতিহাস পড়লে বুঝতে পারবেন এরা কতটা অমানবিক, ধর্মের নামে মানুষ খুন, লুটপাট দেশ দখল, অপর ধর্মের উপাসনা লয় ধ্বংস করা এদের কাজ, অপর ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার এদের নাকি অধিকার। আমার জানতে ইচ্ছে করে, ঈশ্বর, বা ভগবান, গড, আল্লাহ এরা মানব সৃষ্টি করে পৃথিবীতে পাঠান এরা কি বলেন দেখ তোকে এই ধর্মের মানব বা মানুষ করে পাঠাচ্ছি তুই অন্য ধর্মের উপর অত্যাচার করবি, তোর ধর্ম না মানলে তার বাঁচার অধিকার কেড়ে নিবি। ধর্মান্তরিত হলেও সন্দেহ করবি তার সম্পদ যতক্ষণ না দখল করতে পারবি ততক্ষণ অত্যাচার করে যাবি, অপরের সম্পদ দখল একমাত্র লক্ষ্য করে নিবি, আর মাদুলি, তাবিজ কবজ, জল পড়া, নলপড়া, হাত চালা ঝাড়ফুঁক করে যাবি বিজ্ঞান আবার কি? আধুনিক শিক্ষা কী যোল গণ্ডা বিয়ে করবি এক পাল ছেলে মেয়ে জণ্ম দিবি লোক সংখ্যা বাড়িয়ে যাবি, খেতে পাক আর না পাক না খেয়ে মারা যাক তবুও জণ্ম দেওয়া ছাড়বি না। এসব যে কোন দেশের সরকার ইচ্ছে করলে কয়েক দিনে বন্ধ করে দিতে পারে, কিন্তু করে না, কোন কোন দেশের সরকার প্রচ্ছন্ন মদত দেয়। আমার দেশের সরকার ও আজকাল এগুলো কে মদত দিয়ে যাচ্ছে, কুসংস্কার কে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে বা অশিক্ষা কু শিক্ষা চালু করতে পারলে এই সব রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রী দের খুব লাভ। নিজের সম্পদ বাড়িয়ে নেওয়া যাবে, মানুষ ধর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকবে প্রতিবাদ করবে না। চোর কে বাটপার কে বাটপার মিথ্যাবাদী কে মিথ্যাবাদী বলা যাবে না। ধর্মের আড়ালে নিজের অপকর্ম চাপা পড়ে যাবে, মানুষ কে বোকা বানান সহজ হবে। এই সব কারণে ধর্মের সাথে রাজনীতি কে জড়িয়ে দেওয়া। দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যে শোষিত নিপীড়িত হচ্ছে সেটা চাপা দেওয়া যাবে।  ধর্ম দিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করা এদের কাজ, একই ধর্মের মধ্যেও দূর্বল খেটে খাওয়া মানুষের উপর অত্যাচার করা, মানুষ এসব নিয়ে ব্যস্ত থাক আর রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা কোটি কোটি টাকা করুক, চুরি করে জালিয়াতি করে, আর এক দিকে দেশের সম্পদ ব্যক্তি মালিক দখল করুক বা বিদেশের হাতে বিক্রি হয়ে যাক দেশ, তাতেও ক্ষতি নেই। 

Saturday, 1 August 2020

বাঙালির কি অধপতন হল মন্দির আগে না মহামারীর চিকিৎসা আগে, সেটা বুঝতে পারে না।

আমরা বাঙালি, এক সময় গোটা বাংলা তথা বাঙালি জাতি ভারত বর্ষ কে শিখিয়েছে, জাতীয়তাবাদ, মানুষ হিসেবে জাতি হিসেবে ভারতের জনগণকে নিয়ে গেছে শীর্ষে। পরাধীনতা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে, এই বাংলার মানুষ। সে বঙ্গ ভঙ্গ আন্দোলন হোক আর সশস্ত্র সংগ্রাম হোক, সব কিছুতেই সেদিন বাংলা তথা বাঙালি জাতি সবার আগে। আর আজ সেই বাঙালি জাতির অধপতন, সত্যি মেনে নেওয়া যায়। আজ বর্তমান নেতা মন্ত্রী দের কল্যাণে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার, ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কল্যাণে সারা বিশ্বের মানুষ জানে বাঙালি চোরের জাতি, ঘুষখোরের জাতি, চরম মিথ্যাবাদী এক জাতি, এর আগে একটা বদনাম ছিল ভেত বাঙালি অলস কুড়ে, কাজ করতে চায় না। এখন উপরের সব গুন গুলো রপ্ত করে ফেলেছে বাঙালি, সত্যি কথা বলতে ভুলে গেছে, সততা এখন দুষ্প্রাপ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ব্রিটিশ ভারতে এরকম বাঙালির দল বা মানুষ জন ছিল, তারা ব্রিটিশদের গোলামি করে, অসৎ জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ বাবু হয়ে ছিল, কিন্তু এতটা অধঃপতন ভাবা যায় নি, এখন মিডিয়ায় সর্বদা ভেসে আসে, কু কাজ, চুরি করে কোটি কোটি টাকা আয়, তার জন্য নিজের আত্মীয় স্বজন এবং ছেলে মেয়ে দের বলি দিতেও মানে তাদের ভবিষ্যত ধ্বংস করে দিতেও পিছপা হয় না, এই বাঙালি। এদের কাছে রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, আরো যারা ছিলেন সকলে ভগবান, বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ বানী সব মুখস্থ এদের কাছে আমি আপনি তুচ্ছ, ঐ সব বানী বলা বা ব্যাখায়, কিন্তু বাস্তবে ঠিক উল্টো, এই অন্ধ ভক্তের দল বিবেকানন্দ কে তাদের মত করে নিয়েছে, তার বানী বলে তাকে নিয়ে আদিখ্যাতা দেখিয়ে, উৎসব করে সমাজের সামনে নিজে কে ভালো করে রাখা, আর যখন প্রয়োজন মানুষের পাশে থাকার তখন শত হাত দূর দিয়ে চলেন, যদি কেউ কিছু সমালোচনা করে তবে কীভাবে তার সর্বনাশ করবে সেই চেষ্টায় রত, কীভাবে মানুষের পিছনে লাগবে তার চিন্তা করে আর পেছনে যুক্তি ভাঁজে। কারণ এদের কুবুদ্ধির অভাব নেই, অপরের ভালো দেখতে পারে না। নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ করতে ওস্তাদ, এই জাতি। ধর্মের নামে দেশ ভাগের ইতিহাস সেখানে এই বাঙালি যুক্ত, কী হয়েছে বাঙালি হিন্দু জাতি তাদের ঐ পূর্ব পুরুষ দের পাপের ফল এখনও ভোগ করে চলেছে।। বাঙালি জাতি নিজের ধ্বংস আজ নিজেই ঢেকে আনছে। সঠিক পথ ভুলে বিপথে চালিত হচ্ছে, না হলে মানুষ রাস্তার উপর পড়ে ছটফট করছে পাশের মানুষ ভিডিও করতে ব্যাস্ত সাহায্য না করে। অর্থাৎ এমন দিন এসেছে, বা তৈরি করা হয়েছে কেউ কাউকে কোন ভাবে সাহায্য করতে চাইছে না। অথচ কথায় কথায় মহাপুরুষের বানী কপচাচ্ছে, বড় বড় জ্ঞানের বুলি বলে যাচ্ছে। কেউ কাউকে মানে না আমি বড়ো এবং আমিত্ব এই জাত কে গ্রাস করে ফেলেছে, কিছুতেই আমিত্ব ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারছে না। বাঙালি জাতি আজ শিক্ষা দীক্ষা বিসর্জন দিয়ে এই সব অপরাধ করে যাচ্ছে। আসুন আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করি আগামী দিনে এই পঙ্কিল আবর্ত থেকে বেড়িয়ে আসব। 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...