Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 20 August 2020

সরকার যেমন তার ওয়েবসাইট ঠিক তেমন। ( school banglar shiksha. Com)

আজকে আমাদের বাংলা তথা ভারতের মধ্য রাতে, বাংলার শিক্ষক দের কীভাবে প্রতি নিয়ত নাজেহাল হতে হচ্ছে সেই নিয়ে একটু লিখব। তবে লেখার মধ্যে ছবি থাকবে অনেক গুলো, একে তো ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার, অর্থাৎ বিদ্যালয়ের বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার নেই, নেট তো দূরের কথা কম্পিউটার কেনার টাকা সে আর যোগার হয় না, কিন্তু পোশাক দেওয়ার নামে যাতে লুটে খাওয়া যায় তার জন্য দুটি পোশাক দিতে 600 টাকা দেওয়া যায়। আর পোশাক দেওয়ার সাথে সাথে দু মাস পর ছিঁড়ে চলে যায়, এই হল সরকার লুটে খাওয়ার সরকার। বাদ যাক ওসব কথা, এখন এই রাতে যে কথা লিখতে বসেছি, আজ বেশ কদিন আগে গত 9/8/2020 একটি সরকারি আদেশ হোয়টস এ্যপ গ্রুপে আসে। স্কুল বাংলার শিক্ষা ডট কম সাইট খুলে সেখানে বিদ্যালয়ের ওয়েব পেজ তৈরি করতে হবে। যদিও ওখানে ভুল আছে বলা হয়েছে ওয়েব সাইট খুলতে হবে আসলে আমি যতটুকু জানি এই রকম ক্ষেত্রে এই গুলো কে ওয়েব পেজ বলে। আদেশ নামার ছবি দিলাম।

সেই শুরু করে আজ পর্যন্ত কেবল বিদ্যালয়ের পাসওয়ার্ড তৈরি করা গেছে, কোন দিন ভোরে উঠে কোন দিন রাত জেগে । ও আগে একটু এই সাইট নিয়ে বলা দরকার, লিখতে মানে সার্চ করতে লিখতে হবে স্কুল বাংলার শিক্ষা ডট কম, আর তার পর আসবে সবার প্রথমে যে সাইট গুলোর ছবি দিলাম ওটি এবার বাংলার শিক্ষা স্কুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বলে যেটা আছে ওই সাইট খুলে কাজ করতে হবে। আমি আগেই একবার লিখেছিলাম যে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা বিভাগের ওয়েব সাইট এবং ওয়েব পেজ, শিক্ষা এ্যাপের ছড়াছড়ি কোনটা যে কী কাজে লাগে তার ঠিক নেই অথচ শিক্ষা ডিপার্টমেন্টের আদেশ পেতে ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের ওয়েব সাইট খুলতে হবে কী অদ্ভুত সুন্দর তাই না। এই কদিনের চেষ্টায় যেখানে পৌঁছে স্কুলের পাসওয়ার্ড তৈরি করেছে, ছবি দিলাম।

যাহোক দুটি ছবি দিলাম নীচের টি আগে আসবে পাসওয়ার্ড তৈরি করার জন্য। অনেকে চেষ্টার পর যখন পাসওয়ার্ড তৈরি করা হয়ে যাবে তার পর বাংলার শিক্ষা আসবে এবার এস এম এস লগ ইন করতে হবে। আবার স্কুলের জন্য তৈরি পাসওয়ার্ড দিয়ে খুলতে হবে। 
এর পর থেকেই ভবিষ্যৎ অন্ধকার আর খোলা যদি বা ভাগ্য ভালো হয়। তবে নির্দিষ্ট জায়গায় খুলে কাজ করতে হবে ব্যানার ঠিক করে দিতে হবে লেখা আছে 300 kBর বেশি ছবি দেওয়া যাবে না। একবার দেওয়া হলে হোল কিনা দেখার উপায় নেই। সার্ভিস প্রোভাইডার এতো ভালো কাজ করে না বলবার কথা নয়। দেখলাম সার্ভিস প্রোভাইডার হোল ওয়েবেল। যেমন সরকার তেমন তার সার্ভিস প্রোভাইডার রাত বারোটার পরেও সার্ভিস ঠিক ঠাক দিতে পারে না। এস এম এস লগইন করে, কি হল এই ছবি দেখুন এরকম একদিন না কয়েক দিন ধরেই হচ্ছে। 
এই সময় অন্য সার্ভিস প্রোভাইডারের সার্ভিস দেখে নিন। 
একদম উপরে লক্ষ্য করে দেখুন সময় আর নেট স্পিড দেখতে পাবেন। আর বিশেষ কিছু লিখলাম না, যেমন সরকার তেমন তার কাজ, কেবল শিক্ষক সহ কর্মী দের নাজেহাল করা। ও এটি শেষ করার আবার শেষ তারিখ ছিল 15 /8/2020 পর্যন্ত। চোর মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ দের কাছ থেকে এর থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় কি? আজ সকাল থেকে দুপুর 12 টা 40 পর্যন্ত  আবার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলাফল একই কোনো উন্নতি নেই। 
ছবি দিলাম। 
এই সার্ভিস প্রোভাইডারের অবস্থা আসলে সরকারি কাজ হচ্ছে হবে এই ভাবনা থেকেই এই ব্যবস্থা। 



No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...