Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 20 August 2020

ভারতে তথা বাঙালির দের মধ্যে এরকম অর্থনীতি বিদ আছে।

ভারত তথা বাংলায় এতো বড়ো বড়ো অর্থনীতি বিদ বাংলা আছে বলেই বাংলার এই দূর্দিন। আমার তো মনে হয় অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার অমর্ত্য সেন ও বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় কে না দিয়ে এদের দিলে দেশের অনেক উন্নতি হয়ে, কত বড়ো অর্থনীতি বিদ, এরকম অর্থনীতি বিদ দের প্রায় সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়। জানা নেই কোন বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে এরা অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছে। আমি ও বড়ো অর্থনীতি বিদ নি, তবুও বলছি বাজারে যোগান ও চাহিদা বলে কথা আছে, আমার মনে হয় অর্থের ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য, বাজারে টাকার যোগান বা সঠিক ভাবে ভারসাম্য বজায় রাখতে সরকারি কর্মীদের বেতন অনেক টা সাহায্য করে। কারণ কোন সরকার সাধারণ মানুষ কে সরাসরি টাকা দেয় না, আর বাজারে টাকার যোগান না হলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে, যেটা বর্তমানে সারা ভারতে তো বটেই পশ্চিমবঙ্গে বেশি করে দেখা দিয়েছে। যে হারে মানুষের হাতে টাকার দরকার ক্রয় ক্ষমতা বারবার জন্যে বর্তমান সরকারের বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্য নেই। মূল্য বৃদ্ধি ভাতা বা ডি এ বন্ধ এই রাজ্যে, সামাজিক কাজে যারা যুক্ত তাদের মজুরি বৃদ্ধি হয় নি। আর সরকারি কর্মীরা বেতন পেয়ে ঘরে রেখে দেন না, তারা বাজারে খরচ করেন এবং সেই টাকা ঘুরে ফিরে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। অর্থনীতির এই সাধারণ ধারণার জন্য ডিগ্রি অর্জন করতে হবে আমার মনে হয় না। বাজারে যাতে অর্থ যোগান ঠিক থাকে সেই কারণেই কাজ হারানো খেটে খাওয়া মানুষের জন্য বামপন্থী দের দাবী সাড়ে সাত হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, আরেকটা দাবি করেছেন, নূন্যতম মাসিক বেতন 20000 টাকা করতে হবে। কৃষি কাজের সাথে যারা যুক্ত তাদের তাদের পেনশন চালু করা নূন্যতম পেনশন 6000 টাকা দিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সব অর্থনীতি বিদ দের বলব একবার H, S একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির বই টি পড়ে নিন। যদি একটু জ্ঞান অর্জন করতে পারেন, না সমাজের একটা বোঝা ছাড়া আপনি আর কিছু হতে পারবেন না। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...