আজকের অন লাইন খবর, মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের কোনো ( আমি নাম দিলাম না, নামটা ঐ খবরে আছে) একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকরা অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীদের অনুরোধে দশম শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ক্লাস শুরু করেছে। গত কাল, শুরু হয়েছে কাগজে কাগজেসাংসাংবাদিক দের আস্ফালন দিদির মুখের কথা অমান্য করা শাস্তি হচ্ছে। কেন মুখের কথা বলছি, কোন লিখিত আদেশ নেই, বিদ্যালয় গুলি ছুটি থাকবে। সেই মান্ধাতা আমলে অর্থাৎ মার্চ মাসে একটা আদেশ তথা অর্ডার ছিল, তার পর থেকে মুখের ঘোষণাই আদেশ। যাহোক শিক্ষকরা বিশেষ করে প্রধান শিক্ষক ভীষণ অন্যায় কাজ করে ফেলেছেন। ছাত্র দের, পড়ানো! মাধ্যমিক, ও তো পরীক্ষা দিতে পারলেই পাশ, ওর জন্য চিন্তা কি? আর এমনি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ ফেল নেই। প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি কি যে সিলেবাস, না আছে ভালো করে অঙ্ক, ইংরেজি যদি বা আছে গ্রামের ছেলে মেয়েদের দাঁত ফোটানো মুশকিল প্রাক প্রাথমিকের শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের জন্য কিছু পড়ানোর নেই মানে বাংলা অঙ্ক ইংরেজি নেই অথচ ওরাই বেসরকারি তে পড়লে সেখানে সব আছে। এই জন্য তো ব্যাঙের ছাতার মত বেসরকারি বিদ্যালয়ের রমরমা, আবার সোনায় সোহাগা জাতীয় শিক্ষা নীতি 2020 সরকারি বিদ্যালয় উঠে গেল বলে। কলকাতার ঠান্ডা ঘরে বসে শিক্ষা বিদ হয়ে গেছে অনেকেই, গ্রামের খেটে খাওয়া ঘরের ছেলে মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে যা খুশি তাই হচ্ছে। যাতে সরকারি ব্যবস্থা উঠে যায়, আর গরীব খেটে খাওয়া মানুষের ছেলে মেয়েরা অশিক্ষিত থাকে কারণ লেখা পড়া শিখে চাকরি চাই করবে। ওর থেকে বাবা এই ভাল। পড়ানোর পরিকাঠামো নেই অন লাইন ক্লাস, পরিকাঠামো নেই, অর্থাৎ ঘর নেই, শিক্ষক নিয়োগ নেই, প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণি চালু করতে হবে। শাসক দল ঘনিষ্ঠ এক দল শিক্ষক আছে যারা এই না পড়িয়ে কোন কাজ না করে বেতন নেওয়ার পক্ষে সামান্য MDM এর চাল আলু বিতরণে আসলে কষ্ট হচ্ছে, বলে ফেলছে, একটি বছর বসে বসে কি আরামে আছি। এরা বিদ্যালয় উঠে গেল যাক আমার বেতন যেন আসে ছাত্র না থাকলে খুব ভালো হয়। এরা কিন্তু সব শাসক দলের নেতা কর্মীদের ছেলে মেয়ে বা বাড়ির লোক জন। অন লাইন পড়ানোর জন্য যে পরিকল্পনা সেটা নেই, সর্বোপরি সকল অভিভাবকের স্মার্টফোন নেই, ল্যাপটপ নেই, আবার হয়তো ফোন আছে কিন্তু টাকা ভরা বা যে টা কে রিচার্জ করা বলে এই লকডাউনের বাজারে সব সময় সম্ভব হচ্ছে না। ঠিক মতো সবার আয় নেই, বা আয় কমে গেছে। এবার ঐ প্রত্যন্ত গ্রামে ছেলে মেয়েরা যাদের শেখার আগ্রহ আছে তাদের অভিভাবকরা ধরেন প্রধান শিক্ষক কে, আমার মনে হয় সেই কারণেই ঐ প্রধান শিক্ষক দশম শ্রেণির ক্লাস করতে রাজি হয়েছেন, একটা শ্রেণী ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা দেড়শ শিক্ষক হাজির পঁচিশ জন যদি ঘর বেশি থাকে 10 টা ঘরে বসানো হয় তবে 15 জন করে বসে। এতে অসুবিধা কোথায়? এই ভাবে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক প্রতিটি বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এখানে তো ফাঁকা করে বসানো হয়েছে। প্রতিদিন একটা করে শ্রেণির পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যে সব বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা কম সেখানে দুটি শ্রেণির। না ঐ দিদির মুখের কথা অমান্য করা, অফিসার গনও বলে দিচ্ছেন দেখছি ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেব। আর ঐ যে ঠান্ডা ঘরে বসে কলকাতার শিক্ষাবিদের দল, কীভাবে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা হবে এখনো ঠিক করে উঠতে পারেনি। সরকারের সব খোলা সব অফিস এমনকি শিক্ষক দের প্রতি মাসে প্রতি মাসে চাল আলু বিতরণে জন্য যেতে হচ্ছে। অবশ্যই সব শিক্ষক নয়, কারণ সরকারের নির্দিষ্ট কোন নির্দেশ নেই, শিক্ষকের উপস্থিতি চাই বিশেষ করে কাছাকাছি বাড়ি তাদের। যারা এড়িয়ে যাচ্ছে তাদের মধ্য বেশিরভাগ শাসক দলের ঘনিষ্ঠ নেতা কর্মীদের ছেলে মেয়ে বা বাড়ির লোক।
শিক্ষক মহাশয় বিদ্যালয় খুলে অন্যায় করেছেন, বসে বসে বেতন নেওয়া আর চাল আলু বিতরণে কাজ ব্যস আবার কি? দিদির নির্দেশ অমান্য করা এটা একদম উচিত কাজ হয়নি। সরকারের ইচ্ছা নেই পঠন পাঠন শুরু করার চিন্তাভাবনা নেই গ্রামের ছেলে মেয়েদের জন্যে, দেখছেন না সব খোলা কেবল বিদ্যালয় আর ট্রেন চললে করোনা হবে।
শিক্ষক মহাশয় বিদ্যালয় খুলে অন্যায় করেছেন, বসে বসে বেতন নেওয়া আর চাল আলু বিতরণে কাজ ব্যস আবার কি? দিদির নির্দেশ অমান্য করা এটা একদম উচিত কাজ হয়নি। সরকারের ইচ্ছা নেই পঠন পাঠন শুরু করার চিন্তাভাবনা নেই গ্রামের ছেলে মেয়েদের জন্যে, দেখছেন না সব খোলা কেবল বিদ্যালয় আর ট্রেন চললে করোনা হবে।
No comments:
Post a Comment