Anulekhon.blogspot.com

Friday, 31 May 2019

জয় শ্রী রাম কি নিষিদ্ধ?

জয় শ্রী রাম, বলা কি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে? কারণ আমি দেখছি গাড়িতে বাসে একজন আরেকজনকে বলছেন, জয় শ্রী রাম /জয় শ্রী কৃষ্ণ /জয় দুর্গা এ গুলো কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন এবং কবে থেকে? এই সব শব্দবন্ধ কি কোন রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কথা বা শ্লোগান হতে পারে, যদিও হয় তা বলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করবে কেন? কাল একটি অনলাইন খবরের ভিডিও ফুটেজ দেখলাম জয় শ্রী রাম বলার জন্য পুলিশ এক ব্যক্তি কে চড় মারছে। এ সব দেখে আমার ইতিহাসের সেই সব দিনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশ সরকার বন্দেমাতরম গান নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ছিল। বন্দেমাতরম ধ্বনি দিলে গ্রেফতার করা হতো, এবং নানা রকম শাস্তি দেওয়া হতো, সেই সময় যা হতো এখন তাই দেখছি, কথা বলার স্বাধীনতা নেই। জয় শ্রী রাম বলার জন্য গ্রেফতার যারা জয় শ্রী রাম বলছে, তারা অপরাধ করে ফেলেছে, অলিখিত ভাবে ঐ শব্দবন্ধ কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, কিম্বা আমাদের রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কথা টি সহ্য করতে পারছেন না, তাই এই শব্দবন্ধ পশ্চিমবঙ্গে বলা নিষেধ, তবে এটাও ঠিক স্থান কাল পাত্র দেখে বলতে হবে, এর আগেও মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী কে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিরোধী দল, তখন কী করে ছিল সেই সরকার জানা নেই। আসল তা নয় উনি বিরোধীতা সহ্য

করতে পারেন না। রাজ্যে বা দেশে কী এক দলীয় শাসন চলছে, উনি তো প্রধানমন্ত্রী কে তুই তোকারি করছেন। এভাবে ভাবে যদি উনি চলতে থাকেন, বা আচরণ করতে থাকেন জয় শ্রী রাম ধ্বনি সহ্য করতে না পেরে ঐ ভাবে ক্যামেরার সামনে আচরণ করতে থাকেন, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ বাসী হিসেবে আমরা হাসির খোরাক হয়ে যাচ্ছি। আমি অন্তত চাই না আমার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে পাগলা বলে সম্বোধন করুক, কিম্বা ওনাকে নিয়ে মজা করুক এটা আমি চাই না। এসব ঘটনার পর ট্রেন বাসে রাস্তায় সকলে, মজা করছে, মাননীয়ার কাছে আমার অনুরোধ করছি আপনি একটু সহ্য করুন, এটা গনতান্ত্রিক দেশ এখানে বিরোধী থাকবে, তারা আন্দোলন করবে, আর ভোটে হার জিত আছে এটা মেনে নিতে হবে। সি পি আই এম তথা বামফ্রন্ট তো সেই ২০০৯ সাল থেকে হারছে, এবারের নির্বাচনে তারা একটা আসন পায় নি, এই রাজ্যে, তাদের দেখুন, গঠন মুলক বিরোধিতা করতে শিখুন। ক্ষমতা সব সময় থাকে না, আপনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতা এসেছেন, তার উল্টো কাজ করছেন। কেউ বিরোধিতা করলে আপনার রাগ হচ্ছে। আপনি সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন বেকার যুবকদের চাকরির ব্যবস্থা করুন বার বার ভুল ভাল নোটিশ অন লাইনে দিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করবেন না। সরকারি কর্মীদের ডিএ দিন, পে কমিশন দিন ছুটি তারা চায় না। নির্বাচনের আগে আপনি যে সব নিয়োগের কথা বললেন, সে সব কোথায়? আর আপনার দলের নেতা কর্মীদের মানুষ কে ভয় দেখাতে বারণ করুন, আপনি যে ভাবে রাস্তা ঘাট তৈরি করেছেন, তাতে ভোট আপনার প্রাপ্য আপনি পাবেন। 

মুরগি চোর সন্দেহে মেরে ফাটিয়ে দেয়, আর জন গনের কোটি কোটি টাকা হজম করলে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দেয় ।

ছবি টি শিরোনামে ই আছে মুরগি চুরির অপবাদ দিয়ে বেধড়ক মার যুবক কে, বাবা মা বাঁচাতে গেলে তাদের কেও মারা হয়েছে। এই খবর টি পড়ে আমার একটা কথা মনে পড়ে গেল, "সত্যি সেলুকাস কী বিচিত্র এই দেশ।" আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি, চুরি করা নিশ্চয়ই দোষের কিন্তু চুরি করেছে কিনা তা না জেনে মার অর্থাৎ জোর করে চোর বানান। এই ঘটনা পড়ে আমার মনে হলো সত্যিই পশ্চিমবঙ্গের উন্নতি হয়েছে, চিটফাণ্ডের কোটি কোটি টাকা হজম করে ফেলে, তোয়ালের নীচে টাকা নিচ্ছে, দূরদর্শনে দেখাচ্ছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ জেল হাজতে ছিল। কেবল মাত্র রাজনৈতিক বড়ো নেতা তাই ভোটে দাঁড়িয়ে পড়ল এবং জিতেও গেল। আজ যারা মুরগি চোর অপবাদ দিয়ে, এক যুবক আর তার বাবা মা কে মার খেতে হলো। যারা এই চোর অপবাদ দিয়ে মারল, তারাই ঐ বড়ো ডাকাত দেরে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দিল। চিটফাণ্ডের কোটি কোটি টাকার বাটপার রা খেল লক্ষ লক্ষ মানুষ সর্বস্ব হারালো। এই নির্বাচনে ঐ চোর রা দিব্যি ভোটে নির্বাচিত হয়ে গেল। কেবল আমাদের রাজ্যে নয় গোটা ভারতে আজ দেখা যাচ্ছে, নব নির্বাচিত সাংসদের মধ্যে প্রায় দু শোর উপর সাংসদের নামে কোর্টে ফৌজদারি মামলা আছে, এদের মানুষ ভোট দিয়েছে, আর একটা ছেলে কে অপরাধ করল কিনা ঠিক নেই, কেবল সন্দেহ করে তাকে মারা হলো। এই যারা মুরগি চোর সন্দেহে যুবকে মারল তারাই ঐ সব ভোট প্রার্থী কে ভোট দিয়ে নেতা মন্ত্রী বানিয়ে দিয়েছে, তখন ভোট দিতে তাদের হাত কাঁপে নি। সত্যিই বিচিত্র বাঙালি জাতি, এক দিক দিয়ে ফাল গলে যাচ্ছে, আর একদিকে ছুঁচ গলতে না পারে তার ব্যবস্থা পাকা।



Thursday, 30 May 2019

পশ্চিমবঙ্গের নেতা দের দল বদল।

তৃণমূল দল টা পুরো নাম পাল্টে বিজেপি হয়ে যাবে ।আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। মুখ্যমন্ত্রী লোকসভা নির্বাচনের পরে অভিযোগ করেন, সি পি আই এম বিজেপি কে ভোট বিক্রি করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর এসব ফালতু কথার কোন দাম নেই, উনি যখন যা মনে আসে বলে দেন, তাহলে বলা যায় উনি বিধায়ক সাংসদ কাউন্সিলর বিক্রি করছেন। পশ্চিমবঙ্গের এই পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দল দায়ি, কারণ তেরো সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিঙ্গুর ব্লকের বারুইপাড়া পলতাগড় পঞ্চায়েত বামফ্রন্ট দখল করে ছিল, বামফ্রন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এমন ভয় দেখানো হচ্ছিল, যাতে তারা দল পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। যাকে ভয় দেখিয়ে দলে নিতে পারেনি, 2014 সালে লোক সভা নির্বাচনে আগে বামেদের প্রচার করতে দেয় নি। তাদের মারা হয়েছে, তারা যখন আমাদের নেতৃত্বের সঙ্গে থানায় গেছে, থানা নেতৃত্ব সহ এদের নামে কেস দিয়েছে। এসব সিঙ্গুর থানার ঘটনা, এসব সিঙ্গুরের বিধায়কের কথায় হয় নি, সিঙ্গুরে বাড়ি আরেক জন বিধায়কের কথায় হয়েছে। বিনা অপরাধে সিঙ্গুরের মহামায়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নামে কেস করে তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, কারণ তিনি নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সম্পাদক ছিলেন। প্রতিটি নির্বাচনের আগে বাম ভোটার দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া রেশন কার্ড করে না দেওয়া। পঞ্চায়েতের যে সব কাজ করে   না দেওয়া, এসব করে পঞ্চায়েত দখল নেওয়া, আমাদের উপর তলার নেতৃত্বের বিষয় গুলো গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য অর্থাৎ এই খেটে খাওয়া মানুষের পাশে এসে না দাঁড়ানোর জন্য আজ তারা বিজেপি কে ভোট দিয়েছে। তৃণমূলের এই অত্যাচার থেকে বাঁচতে বামেদের ভোট বিজেপি কে দিয়েছে, কারণ এখানে কাছাকাছি আর এস এস ক্যাম্প করেছে, অনেক যুব ছেলে  কে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, কিছু ঘটনা ঘটেছে তারা ছুটে আসছে।  আমি যা দেখছি, তাই লিখেছি গোটা তৃণমূল দলটি বিজেপি হয়ে যাবে, তাই যে সব বাম ভোটার তৃণমূলের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিজেপি কে ভোট দিয়েছে, তাদের কী হবে? গোটা তৃণমূল দল বিজেপি হয়ে গেলো দিদি বললেন আমি মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রী হব, না হলে ধর্ণায় বসব। দিদি আবার মুখ্যমন্ত্রী হলেন, মনে করুন এটা এমন সময় হলো যখন বিধান সভা হয়ে গেল, তার পর হলো, তাহলে যারা অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় বিজেপি কে ভোট দিলেন তখন কী হবে? কারণ যে হারে তৃণমূল থেকে বিজেপি তে যাচ্ছে, তাতে করে আমার মনে হচ্ছে, দিদি বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কারণ রাজনীতি তো কিছু বলা যায় না। অনেকেই বলবেন  সি পি আই এম থেকেও বিধায়ক বিজেপি তে যাচ্ছে, কথা তো ঠিক, আমার মনে হয় তারা আদর্শ হারিয়ে ফেলেছে, নীতি হীন হয়ে পড়েছে, তাই বিজেপি তে যাচ্ছে। ভোটার রা সি পি আই এম এর প্রতীকে ভোট দিয়ে ছিল ওনারা মানুষের সেই মর্যাদা রাখতে পারলেন না।

Wednesday, 29 May 2019

মারাঠা দের শিব সেনা থাকতে পারে, বাঙালি সেনা থাকলে দোষ কোথায়?

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকে এক টা কথা প্রচলিত ছিল। বাংলা বাঙালি আজ যা ভাবে ভারত বাসী তার পরে ভাবে, আমার উপরে শিরোনামে যা দেওয়া হয়েছে সেটা দেখে বুঝুন মহারাষ্ট্র আগে ভেবে কাজ করেও ফেলেছে, আমরা পরে ভাবছি, জানি না আছে কিনা, যদি থাকে তবে তারা সক্রিয় নয়। আমরা বাঙালি বলে একটা সংগঠন আছে, তারা মাঝে মাঝে বিভিন্ন প্রচার করে কিন্তু প্রতিনিয়ত তাদের প্রচার আন্দোলন নেই, অথচ বিভিন্ন সময়ে বাঙালি আক্রান্ত হচ্ছেন। একটা বিষয় যদি দেখা যায় শিব সেনা মারাঠা দের বিষয়ে প্রতি নিয়ত লড়াই করে। আমাদের রাজ্যের বাঙালি জাতি বাঙালির উপর অত্যাচার করে, এখনও তারা এক জাতি এটা ভাবতেই শেখে নি। যারা প্রকৃত বাঙালি তারা তাদের স্ব-জাতির উন্নতি দেখতে পারে না। বিপদে সাহায্য করা দূরের কথা উল্টে বিপদে ফেলে দিতে কুন্ঠাবোধ করে না। যারা অন্য কোন দেশ বা রাজ্য থেকে এই বাংলায় এসে বাংলায় বাস করছেন। বাংলা ভাষায় কথা বলছেন, তারা নিজেদের দের জাতি সত্বা বজায় রেখে চলে সে ধর্মের মাধ্যমে হোক আর যে কোন ভাবে হোক, তারা এক হয়ে একে অপরের সাথে মিলে মিশে বাস করে বিপদে সাহায্য করে, আমরা বাঙালি জাতি স্বাধীনতার পর থেকে প্রতি নিয়ত পিছিয়ে পড়ছি, অন্য রাজ্যে চাকরির পরীক্ষা দিতে গিয়ে বিতাড়িত হচ্ছি, আমাদের কে কেবল ভোট দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের রাজ্যের নেতা মন্ত্রী তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত, বাঙালি জাতি যত পিছিয়ে পড়ছে তাদের তত আনন্দ, বিশেষ ধর্মের মানুষ কে তোলাই এদের কাজ সে পরোক্ষ হোক আর প্রত্যক্ষ হোক। আপনি আমি কোনো কারণে এদের পাড়ার মধ্যে কোনো কাজে যান বলবে বাঙালি এসেছে, নিজে বাংলা ভাষায় কথা বলছে, বাংলায় বাস করছে, তবু তিনি বলেন বাঙালি এসেছে, অর্থাৎ হিন্দু এসেছে। এর থেকেও আমরা শিক্ষা নিই না, বাড়তে বাড়তে এখন এই রাজ্যের এরা আমাদের থেকে বেশি। আমি কেন আপনাদের ও জানা আছে, কলকাতার বা তার আস পাশে কত জন প্রকৃত বাঙালি আছে? বাংলা ভাষায় কথা বলে বলে বাঙালি এরকম ধরলে সবাই বাঙালি, কিন্তু প্রকৃত বাঙালিরা কত, একটু খেয়াল করে দেখুন শতাংশ বিচারে কুড়ি থেকে ত্রিশ জন, তাও হয় তো বস্তি এলাকা ধরে। বাঙালি ক্রমশ কলকাতা বা তার আশপাশের কয়েকটি জেলা ছেড়ে ক্রমশ পিছিয়ে আসছে, সংখ্যা কমছে, এখন এই রাজ্যে বাঙালি হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। কারণ তারা জণ্ম নিয়ন্ত্রণ মানে বা তাদের মানতে বাধ্য করা হয়, আর অন্য দিকে এক বিশেষ ধর্মের মানুষ ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে যত চাষের জমি বাস্তু বানিয়ে ফেলেছে। সরকারের কোন লক্ষ্য নেই, কারণ ভোট বড়ো বালাই, ওরা ধর্ম পালন করবে, ধর্মের দোহাই দিয়ে বংশ বিস্তার করতে দোষ নেই, পাঁচ থেকে পঁচিশ টা বিয়ে ত্রিশ চল্লিশ জন ছেলে মেয়ে খেতে পেল আর না পেল দুঃখ নেই। আমরা যদি আমাদের ধর্ম নিয়ে কিছু বলি বা করি মজার ব্যাপার তখন সরকার বা এই রাজ্যের কয়েকটি রাজনৈতিক দল রে রে করে পড়ে, সাম্প্রদায়িক কথা বলছিস। দেখবেন এই সব অবাঙালীরা একটা কথা বলে, বাঙালি কুঁড়ে জাত, কাজ করতে পারে না, কাজ করতে চায় না।  আমি জানি না সত্যিই কি বাঙালি জাতি কুঁড়ে কাজ করতে চায় না, নাকি এসব বলে নিজের রাজ্যের লোক এনে কাজ দেওয়ার ফন্দি, আরেক টা বিষয় লক্ষ্য করে দেখুন, এই সব অবাঙালী দের এই রাজ্যে সংগঠন আছে, রাজপুত ক্ষত্রিয় দের সংগঠন, আবার মাড়োয়ারি সোসাইটি, আরো অনেক সংঠন আছে, তাদের কোন বাধা নেই, কাজ করতে কেবল মাত্র বাঙালি জাতি যখন একত্রিত হয়ে একটি জাতি সত্বায় পরিনত হতে চাইছে, তখন অনেকেই বলতে শুরু করলেন, আবার বাঙালি বিহারী কেন, আমরা সকলে ভারতীয়। আমি মনে করি আমরা সবাই ভারতীয় সেটা কি কেবল বাঙালি জাতির জন্য প্রযোজ্য ভারতের অন্য কোন রাজ্য বাসীর জন্যে নয়! আমার মনে হয় না, তাহলে অন্য রাজ্যের মানুষ বাঙালি তাড়াতে উঠে পড়ে লাগত না। সেই জন্যই আমি চাই বাঙালি জাতির আলাদা ভাবে একটি সংগঠন যে খানে কেবল যে প্রকৃত অর্থে বাঙালি তিনি থাকবেন। আমরা বাঙালি বলে যে সংগঠন টি আছে, তাদের উচিত আরও বেশি করে প্রচার করা না হলে সংগঠন বাড়ে না। আসুন সকলে মিলে আমরা এক হই নিজেদের জাতি সত্বা কে বাঁচিয়ে রাখতে। 

"সতী দাহ" পায়েল রোহিতগীর মন্তব্য।

বেশ কয়েক দিন ধরেই নেট মিডিয়াতে দেখছি, পায়েল রোহিতগী নামে এক ভদ্র মহিলার সতী দাহ নিয়ে লিখেছেন, সেই লেখা নিয়ে খুব চর্চা হচ্ছে। ঐ লেখার সাথে তিনি রাজা রামমোহন রায় কে ব্রিটিশদের চামচা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন সতী দাহ প্রথা সঠিক ছিল, উনি ইতিহাস না জেনে মন্তব্য করেছেন। আবার বলছি আপনি ইতিহাস পড়ুন তখন কার হিন্দু সমাজে মেয়ে দের সাথে কী রকম আচরণ করা হতো, না জেনে মন্তব্য করা উচিত নয়। আপনি আজ যে ভাষায় লিখেছেন, ঐ ইংরেজি ভাষা তো দূর লেখা পড়া করার অধিকার ছিল না, বারো বছরের মধ্যে জাত কুল দেখে মেয়েদের বিয়ে দিতে হতো, ৯ হলে গৌরী দান, পর্দাসীন মেয়ে দের বাড়ির বাইরে যাওয়ার অধিকার ছিল না। তীর্থ স্নান করতে নিয়ে যাওয়া হতো ঢাকা পালকি করে, পালকি সহ জলে চুবিয়ে বা ডুবিয়ে তুলে আনা হতো, আর কুল রাখতে বিয়ে দেওয়া হতো নয় বছরের কন্যার সাথে ষাট থেকে আশি বছরের বৃদ্ধর সাথে, বৃদ্ধ মারা গেলে যত গুলো তিনি বিবাহ করতেন, এবং সেই বৌ দের মধ্যে যাদের হাতের কাছে পাওয়া যেত, তাদের জোর করে চিতায় তুলে দিয়ে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হতো। ভাববেন একটা ১২ থেকে তেরো বছরের মেয়ে, আশি বছরের স্বামীর মৃত্যুর জন্যে তাকেও জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হবে, এটা আপনার কাছে সু প্রথা। আপনি যে আজ লেখা পড়া শিখে টুইটারে ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন, মেয়েদের এই শিক্ষার অধিকার দেওয়ার জন্য সমাজের বিপরীতে গিয়ে লড়াই করে ছিলেন, সেই রকম এক জন মহান ব্যক্তি হলেন রাজা রামমোহন রায়। তিনি এক ঈশ্বর বাদ প্রচার করে ছিলেন, ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সমাজ ব্যবস্থা পাল্টাতে হলে সরকারের সাহায্য দরকার হয়, সেই জন্য তিনি ব্রিটিশ সরকারের সাহায্য নিয়ে ছিলেন, এরকম আরেক জন মহান বাঙালি যিনি মেয়েদের শিক্ষার জন্য নিজের সর্বস্ব দান করে দিয়ে ছিলেন। তিনি ঈশ্বর চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, দয়ার সাগর, বিদ্যাসাগর, আরেক সমাজ সংস্কারক স্বামী বিবেকানন্দ  ,তিনি বলেছিলেন, সমাজের দুটি ডানা নারী ও পুরুষ একটি ডানা অকেজো হলে পাখি যেমন উড়তে পারে না, সেই রকম সমাজের এই দুটি ডানার একটি অকেজো হলে সমাজ ব্যবস্থা কোনো দিন টিকে থাকতে পারে না। তৎকালীন সমাজ সংস্কারের অগ্রনী এই সব মহান ব্যক্তির সম্পর্কে না জেনে মন্তব্য করা উচিত হয়নি। মনে রাখতে হবে বাঙালি তথা গোটা ভারতের শিক্ষা সমাজ ব্যবস্থা ধর্মান্ধতা।হিন্দু দের মধ্যে ছোট জাত উঁচু জাত যা এখনও সমাজ ব্যবস্থা কে তথা হিন্দু জাতিকে পিছনে ঠেলে দিচ্ছে। এই কিছুদিন আগে মুম্বইয়ের একটি মেয়ে ডাক্তারি পড়ছিল, প্রতি নিয়ত তার দিদি রা নীচু জাত বলে খোঁটা দিত, সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। রোহিত ভেমুলা, একই রকম, ভাবে মারা গিয়েছেন। আর যদি বলেন, আমি বাঙালি সমাজ সংস্কারক রামমোহন রায় কে মানি না। তাহলে আপনার অভিভাবক কে বলুন, আপনার কুল রাখার জন্য আশি বছরের বৃদ্ধের সাথে বিয়ে দিতে, তিনি মারা গেলে - - - - -.।

Tuesday, 28 May 2019

রাজ্যে পালা বদলের পর থেকেই অরাজকতা চলছে।

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আপনার অবগতির জন্য বলছি, এই অরাজকতা রাজ্যে শুরু হয়েছে, সেই 2006 সাল থেকে মানুষ খুন ভিটে ছাড়া করা, আর এগুলো যাতে বন্ধ হয় রাজ্যে শান্তি ফেরে তার জন্য মানুষ সি পি আই এম তথা বামফ্রন্ট সরকার কে সরিয়ে আপনা কে ক্ষমতায় নিয়ে এসে ছিল। আপনি বলেছিলেন বদলা নয় বদল চাই, কিন্তু কথাটা উল্টে গেল, জানি না আপনার কোনো গোপন নির্দেশ ছিল কিনা, রাজ্যের গোলমালের সেই শুরু, আপনার মনে আছে কিনা জানি না, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মহাশয় বলে ছিলেন, অপরাধীর কোনো রং হয় না, এরা কোনো রাজনৈতিক দলের হতে পারে না, রং না দেখে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ঐ কথায় হামলা বাজের দল আপনার দলে নাম লিখিয়ে ছিল। আপনি বলেছিলেন আমি গুণ্ডা কন্ট্রোল করি, তখন ঐ হামলা বাজ রা হামলা করলে বলতেন সি পি আই এম এর হার্মাদ, এখন বিজেপি বলে টি এম সির জহ্লাদ, কারণ আপনি ক্ষমতায় আসার পরেই এরা দল পাল্ট আপনার দলে নাম লিখিয়েছে, কারণ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ঐ একটা কথায় তখন পুলিশ প্রশাসন অনেক ঐ রকম হামলা কারি কে ধরে ছিল। আপনি সবার মুখ্যমন্ত্রী এটা আপনি মানেন, যে আপনার দলকে ভোট দিয়েছে, বা দেয়নি আপনি সবার মুখ্যমন্ত্রী, আপনি এটা মানেন, তাহলে একবার খবর নিয়ে দেখুন রাজ্যের কত মানুষ এই সব হামলা বাজ দের তাণ্ডবে ঘর ছাড়া, কত মা সন্তান হারা, কত শিশু অনাথ জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছে।এবার আসি নির্বাচন প্রসঙ্গে, আপনি 2013 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আইনি যুদ্ধ করে নির্বাচন করলেন। আপনি জানতেন নির্বাচন শান্তি পূর্ণ হলে আপনার আসন বা দখলে থাকা পঞ্চায়েতের সংখ্যা কমে যাবে। অনেক কষ্টে নির্বাচন হলো, সে যে কী হলো আমরা দেখলাম। বিরোধী দের ঢুকতে বাধা মার খুন মিথ্যে কেস দেওয়া কিছুই বাকি রইল না। গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচন বেশ কিছু ঘটনা ঘটল আপনার অঙ্গুলি নির্দেশে নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আপনিও কোনো ব্যবস্থা নেন নি, আচ্ছা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমার জানতে ইচ্ছে করছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি, আপনি কোনো ব্যবস্থা নিয়ে ছিলেন, না মনে হয়। আরেক টি প্রশ্ন এই লোক সভা নির্বাচনে সময় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোর ছবি, ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ইউ টিউবে ছড়া ছড়ি, আপনি কটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন, ঐ রকম একটা ছবি তে ফেসবুকে আছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুই মহিলাকে দুজন পুরুষ চুলের মুটি ধরে মারছে, আপনি নিশ্চয়ই ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। আরেক টি কথা আপনি বলছেন অনেক উন্নয়ন করেছেন, তবুও মানুষ ভোট দেবে না কেন, ভোট দিত যদি উন্নয়নের নামে তোলা বাজি না হতো। আপনি চান রাজ্যের মানুষ শান্তিতে থাকুক , মনে হয় না, তাহলে মদ, চুল্লু, বিভিন্ন মাদক পাচারের বা বিক্রিতে এই রাজ্য  প্রথম হতো না। আপনি নিজে অর্থাৎ এই সরকার মদের দোকান খোলার অনুমতি দিচ্ছে, আর যে খানে চুল্লু তৈরি হয় সে সব ভাঙছে, একদম সঠিক কাজ, কিন্তু দিদি সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত পল্তাগড় আজব নগর বিরামনগর রামনগর এসব এলাকায় এখনও বহাল তবিয়তে মদ বা চুল্লু তৈরি হচ্ছে, আর মাদক পাচার করা হচ্ছে, জুয়া সাট্টা সব আছে, এদের একজন আবার পলতাগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটির সদস্য হয়ে ছিল। পুলিশ বা আবগারি পুলিশ ভাঙ্গার জন্য যাচ্ছে, তার আগেই গাড়ির চালক, সিভিক পুলিশ থানার যারা টাকা তোলা পুলিশ তারা ফোন করে জানিয়ে দিচ্ছে, স্কুলের পিছনে কী 'সাম বাড়' সে তো আপনার দলের সাপোর্টার তাই তার ছাড় আর বিরামনগরে ও ঐ রকম কয়েক জন যেই আপনার দলে তোলা দেয় তাদের সব ছাড়। বাম আমলে এগুলো ছিল এখনো আছে এ বন্ধ করা যাবে না। কারণ সর্ষের মধ্যেই ভূত, বিকল্প জীবিকা আছে, কারণ যে সব এলাকায় এসব হয় না, সে সব এলাকায় মানুষ কিছু করে না, এরা চির টা কাল ঐ এক যুক্তি দিয়ে কুর্ম্ম করে যাচ্ছে, তার কারণ অল্প সময়ের মধ্যে বেশি আয়। বামফ্রন্ট এদের ঘাঁটায় নি, আমি ভেবেছিলাম আপনি হয়তো এই ব্যবসা তুলে দেবেন, এদের অত্যাচারে অনেক ভালো শিক্ষিত মানুষ ঐ সব গ্রাম থেকে অন্যত্র চলে গেছে। আমি আশা করি আপনি রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, দেখবেন কোনো নির্দোষ যেন শাস্তি না পায়। আইনের শাসন ফিরিয়ে আনুন, এবং বিরোধী দের মর্যাদা দিন তারা তাদের রাজনৈতিক কাজ করুক, তারা আপনার উন্নয়নের দেখে নানা ভাগে বিভক্ত, আমি মনে করি আপনি আইনের শাসন ফিরিয়ে আনলেই, আপনি আবার ক্ষমতায় আসবেন, কারণ বিধান সভা এখনও প্রায় দু বছর পর।আমার মনে হয় এর আপনার যে সব নেতা মন্ত্রী খুব ভালো ভাষণ দেন, মারব কাটব ধরব করে বেড়ায় তাদের একটু থামতে বলুন।এরকম অনেক আছে তাদের মধ্যে কোচবিহারে একজন, কী সাম ঘোষ, মেদিনীপুরে একজন চব্বিশ পরগনার আর হুগলির, আর বীরভূমের আরও অনেক আছে, এদের থামতে বলুন, না হলে আপনার দল মুশকিল হচ্ছে, জিতে আসা।


Monday, 27 May 2019

বাঙালির সংকট, দিকে দিকে আক্রান্ত বাঙালি।

ছবি টি ডেইলি হান্ট নিউজ ওয়েব সাইট থেকে নেওয়া ।কেবল মাত্র আমাদের রাজ্যে নয় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালি জাতি আজ আক্রান্ত, এবং এই রাজ্যে গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে বাঙালি আক্রান্ত। কেউ বলেছেন বিজেপি শাসক দলের মার পিট, কেউ বলছেন শাসকের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব আবার আমি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখছি পড়ছি, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালি হিন্দু জাতির উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। আসাম, সাম্প্রতিক আন্দামানে আরো বিভিন্ন জায়গায় এই জাতি আজ আক্রান্ত, এমনকি সাম্প্রতিক এই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে, নদিয়ার ঝিটকেপোতা, সিঙ্গুরের বড়া ডায়মন্ড হারবার আর অতি সম্প্রতি বেগমপুর। যদিও দেশ স্বাধীন করা হয়েছে এই জাতি টা কে ধ্বংস করার জন্য, যাতে এই জাতি ভারতের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সেই জন্য বাংলা
পূর্ব পাকিস্তান পরে বাংলাদেশ সেখানে হিন্দু দের অব নমস্কার বলার মতো অবস্থায় নেই। অথচ এই বাংলাই এদের জণ্ম ভূমি, যারা বিদেশী শাসক আজ তাদের জোর বেশি, আমার যত দূর জানা আছে, বাংলাদেশে সব মুসলমান আরব থেকে আসেনি। অনেক হিন্দু কে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম করা হয়েছে, আবার অনেকে প্রাণের ভয়ে বা স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ভারত বর্ষে নানান ধর্মের জাতি ভারত শাসন করেছে, তারা ভারতীয় সভ্যতা কে মেনে নিতে পেরেছিল, একমাত্র এই ইসলাম ধর্মের শাসক দল বাদে, এদের মধ্যে অনেকে এখনো নিজেদের ভারতীয় বলে মনে করতে পারে না। তারা ভারতের সংবিধান মানে না, ভারতীয় আইন মানে না, মোটের উপর ভারতের সব কিছু মেনে নিতে এখনও এদের খুব কষ্ট। এই জাতি শুধু ভারতে না অন্য যে কোন দেশে বাস করুক না কেন তারা সেই দেশের সব কিছু ব্যবহার করবে কিন্তু তাদের আইন মানবে না। চীনে আছে সমস্যা চীন সরকার কিন্তু শক্ত হাতে আইন প্রয়োগ করে রেখেছে, কারণ সে দেশে ধর্ম বলে কিছু নেই, ওখানে আবার ধর্ম পালন কী? মায়ানমার রোহিঙ্গা দের সে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে, আবার তারা এমন একটা দেশে আশ্রয় নিয়েছে, সেই বাংলাদেশ পুরোপুরি না ধর্মের নামে চলছে, রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা অন্য ধর্মের ছিল তাদের জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা হয়েছে। মায়ানমার সরকার ইসলাম ধর্মের এই অত্যাচার আর ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার মেনে নিতে পারে নি, আর আরাকানে বৌদ্ধ ধর্মের লোকদের প্রতি এই রোহিঙ্গা মুসলমান দের উগ্রপন্থী কার্য কলাপ মেনে নিতে পারে নি, তাই তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে, শ্রীলঙ্কা সরকার সেখানে উগ্রপন্থী কাজ বেড়ে যেতেই, পদক্ষেপ করে ধর্ম প্রচারক দের বার করে দিয়েছেন। সেখানেও ইসলাম ধর্মের লোকজন বেশি, তাহলে দেখা যাচ্ছে এই ইসলাম ধর্ম বা মুসলমান আসলে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা আসলে একটা কৌশল ধর্মের মাধ্যমে দেশ দখল। আরেক দিকে হিন্দু ধর্মের লোক তাদের মধ্যে দলিত অর্থাৎ ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য শুদ্র খুঁজতে ব্যস্ত, এই সুযোগে অন্য ধর্ম হিন্দুদের নীচু জাত বলি যাদের তাদের কে বেশি বেশি ধর্মান্তরিত করে নিচ্ছে, হিন্দু দের উচ্চ বর্ণ দ্বারা অত্যাচারিত এই সব দলিত বা হরিজন রা আবার বর্ণ হিন্দু দের অত্যাচার করে যাচ্ছে,আর এই জন্যই হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে বিভিন্ন বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালি আজ অত্যাচারের শিকার। এই বাংলা অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গেও যদি তারা অত্যাচারিত হয় তবে যাবে কোথায়? তবে কি আবার দ্বিতীয় স্বাধীনতার জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে। 

Sunday, 26 May 2019

রাজ্যে বামেদের ফিরে আসতে হলে।

এই রাজ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট সরকার তৈরী করতে হলে, আমার মতে বামেদের নিজেদের অর্থাৎ দলের নেতাদের মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনতে হবে, সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে হবে। কোন রকম জড়তা অবিশ্বাস নিয়ে মিশলে হবে না। কারণ সাধারণ মানুষ কে বোকা ভেবে তাদের কে গুরুত্ব না দিয়ে সংসদীয় গনতন্ত্রে ভোটে জেতা যায় কি? বামফ্রন্ট যদি সংসদীয় গনতন্ত্রে বিশ্বাস করে, কারণ আমি দেখেছি আমাদের দেশে চীনের মত সমাজতন্ত্র আসবে না। চীন এখন কর্পোরেট সংস্থার দিকে ঝুঁকেছে, সে দেশে পুঁজি বিনিয়োগ হচ্ছে, সম্পূর্ণ পুঁজিবাদ না হলেও কিছুটা, আমাদের দেশে সংসদীয় গনতন্ত্রে বিশ্বাস করব আর কর্পোরেট সংস্থার সাহায্য না নিয়ে সরকার গঠন করতে পারব এখন আর সেটা সম্ভব নয়। আর কেন্দ্র সরকার সরকার গড়তে হলে সব লোকসভা আসনে প্রার্থী দিতে না পারলেও এমন ভাবে প্রার্থী দিতে হবে, যাতে বামেরা সংগরিষ্ঠতা পায়। 130 থেকে একশ চল্লিশ টি লোকসভা আসনে প্রার্থী দিয়ে কটা পেলেন, কারণ মানুষ জানে আপনারা সরকার গড়তে চান না, সেই কারণেই ভোট দেয় নি।হিন্দি বলয়ে একটা কথা আছে, লড়াই করার জন্য লাল ঝাণ্ডা, আর ভোট দেন কে লিয়ে তরঙ্গা, অর্থাৎ কংগ্রেস, এবার তারা কংগ্রেসের বদলে বিজেপি কে পেয়েছে, কারণ বিজেপি সরকার তৈরী করার মতো সব আসনে প্রার্থী দিয়েছে, বলবেন কর্পোরেট সংস্থা সাহায্য করেছে, ভারত বর্ষের রাজনীতি এরকম আর যদি ভোগাস করাতের নীতি মেনে চলেন, তিনি যেখানে বাস করেন বাম প্রার্থী নেই, তিনি কাকে ভোট দেন? আপনাদের সর্ব ভারতীয় নেতা তো, নাকি ভোট দেন না। আর সাধারণ মানুষের ভোট চাইলে সামাজিক আচার অনুষ্ঠান গুলো কে গুরুত্ব দিতে হবে, গরীব মধ্যবিত্ত মানুষ ঠাকুর দেবতায় বিশ্বাস করে, ও কেন পুজো করে ওকে দল থেকে বাদ দাও, কমরেড হয়ে কালী মন্দিরে পূজো দেওয়া ওকে আর কোন কাজে মিটিং মিছিলে বলো না, ও ব্রাহ্মণ পূজো করে, গায়ে পৈতে আছে, তাহলে ওকে দলে নেওয়া যাবে না। এই সব চিন্তা ভাবনা সেই মধ্যে যুগীয় বামেদের চিন্তা সেই বামপন্থা বা সমাজ তন্ত্র ভারত বর্ষের আসবে না, ইসলাম ধর্মের নামাজ যে পড়ে তাকেও মর্যাদা দিতে হবে, আমি জানি আপনারা অনেক দিন আগে আপনাদের দলের একজন হজ করতে গিয়ে ছিল তাকে বাধা দেননি, কিন্তু একজন কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে ছিল বলে তাকে সর্তক করে ছিলেন। আপনারা যদি সত্যি সংসদীয় গনতন্ত্রে বিশ্বাস করেন তবে এই সব ত্যাগ করে সমাজের সর্ব স্তরের মানুষের সাথে আগে মিশতে শিখুন, কারণ মিডিয়া থেকে আরম্ভ করে সকলে বলছে বামেদের ভোট পেয়ে বিজেপি এই রাজ্যে এতো গুলো আসন পেয়েছে, আপনারাও বুঝতে পারছেন। একটা উদাহরণ দিই হুগলি লোক সভা আসনে গতবারে বাম প্রার্থী ভোট পেয়ে ছিল চার লক্ষের বেশি, এবার পেয়েছে এক লক্ষ কত, তাহলে ঐ তিন লক্ষ ভোট কোথায় গেল, নিশ্চয়ই তৃণমূল কে দেয় নি। রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে হলে ভাবুন আর এই ক'বছরে নিজেদের পালটান।

Tuesday, 21 May 2019

পশ্চিম বঙ্গ আজ রণক্ষেত্র, এর জন্যে দায়ী কে?

2011 সালে পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকারের শেষ এবং বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পিছনে নিশ্চয়ই বর্তমান শাসক দলের আন্দোলন এবং সংবাদ মাধ্যমের হাত ছিল, আরেক জন ছিলেন, আমাদের প্রাক্তন বাঙালি রাষ্ট্রপতি তিনি ইউ পি এ সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার একদম সহ্য করতে পারেনি। তিনি দেখেছিলেন তৃণমূল ও কংগ্রেস যদি পশ্চিম বঙ্গে জোট করতে পারে, তবে বামফ্রন্ট সরকারের পতন অনিবার্য। কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব বর্তমান শাসক দলের শর্তে রাজি হচ্ছিল না কিছুতেই, তখন দিল্লি থেকে উনি এসে বর্তমান শাসক দলের সব শর্ত মেনে জোট তৈরি করে দিয়ে গেলেন। আর এখন উনি মন্তব্য করছেন বাম আমলেও এতো খারাপ অবস্থা ছিল না। আসলে তা এই সব পদধারি মানুষের সাথে মিশতে না পারা নেতারা এই রকম ভাবেন, আমি আজ যা বলছি বা করছি মানুষ কাল ভুলে যাবে। শেষ দফা ভোটের আগে উনি বিবৃতি দিয়ে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা বামফ্রন্ট আমলের থেকে খারাপ, উনি পক্ষান্তরে স্বীকার করে নেন বামফ্রন্ট সরকার ভালো ছিল। আপনি তাহলে কেন সেই সময় জোট সরকার গড়ার জন্য দিল্লি থেকে ছুটে এসেছিলেন। আজ বাংলার এই পরিস্থিতির জন্য আপনি অনেকাংশেই দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। উপরের ছবি টি দেখছেন নিশ্চয়ই, পশ্চিমবঙ্গের এই পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য আপনি এসে জোট করে ছিলেন! আমরা তখন শুনতাম বামফ্রন্ট সাধারণ মানুষ কে ভোট দিতে দেয় না। সাধারণ মানুষের এতো বড়ো গনতান্ত্রিক দেশে একটাই অধিকার একটা ভোট দেবার, সেই অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে, এরা যে দলের হোক এরা দুষ্কৃতী এদের জেলে থাকা উচিত, প্রশাসন কে ব্যবস্থা নিতে হবে কিন্তু না কোন ব্যবস্থা সরকার নেবেন না। মানুষ মরলে এই সরকারের নেতা মন্ত্রীদের আনন্দ হয়। বিরোধী হলে কথাই নেই, কেটে তার মাংস খেতে পারলে বাঁচে, এত উন্নয়ন তবুও সাধারণ ভোটার কে ভোট দিতে দিলে হবে না। সাধারণ ভোটার কে বিশ্বাস করতে পারছে না। আপনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে আক্রান্ত আমরা বলে একটা সংগঠন আপনার কাছে গিয়ে ছিল, আরো অনেক আপনাকে চিঠি দিয়ে ছিল দুঃখের বিষয় কোনো কাজ হয়নি। বাঙালি আর শিখ এই দুই জাতি ভারত বর্ষে যত মারা যাবে দিল্লির লোকজন ততঃ আনন্দ পায়। সেই কারণেই স্বাধীনতার সময় এই দুই রাজ্যে কে ভাগ করা হয়েছিল। এখনও চলছে, দিল্লি মানুষ খুব আনন্দ পাচ্ছে নিশ্চয়ই, বাংলাদেশে প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে চলল, আর এপার বাংলায় আসামে ত্রিপুরায় সেখানেও একই পরিস্থিতি, এপার বাংলায় শেষ করছে কারা বিহার উত্তর প্রদেশ থেকে আসা কত গুলো আসামী যারা গুণ্ডা গিরি তোলা তোলা বোমাবাজি ছাড়া আর কিছু জানে না। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সময়ের শাসক দল এদের মদতে ক্ষমতায় এসেছে, বর্তমান শাসক দল বেশি করে মদত নিচ্ছে, তবুও আমরা স্বাধীন ভারতের নাগরিক, ভোটের অধিকার নাই বা থাকল, অন্তত বেঁচে থাকার অধিকার টুকু থাক, সব শেষ আপনি আমার প্রণাম নেবেন, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।

Monday, 20 May 2019

বাংলায় দক্ষ যজ্ঞ শেষ হলো।

গত ১১/৪/১৯ থেকে শুরু হয়ে ১৯/৫/১৯ পর্যন্ত গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে শেষ হলো লোক সভা ভোট। অনেকে বলবেন গোটা পশ্চিম বঙ্গের সব জায়গায় গণ্ডগোল হয়েছে, আমিও জানি পশ্চিমবঙ্গের সব জায়গায় গণ্ডগোল হয়েছে এটা বলা যাবে না। আবার এটাও বলা যাবে না, একেবারে প্রথম থেকে শান্তিতে ভোট দিয়েছেন মানুষ, প্রথম দফায় দেখেছি গাড়ি ভাঙচুর বোমা বাজি মার ধোর ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে না দেওয়া। ছাপ্পা ভোট সাত দফার একটি দফাও বাধ ছিল না যে দফায় গণ্ডগোল হয় নি। মানুষ খুনও হয়েছে, সবেতেই গণ্ডগোলের মুলে শাসক দল, তারা এতো উন্নয়ন করেছে, তার ঠেলায় মানুষ তাদের ভোট দেবেন এই ভরসা না রেখে নিজের দলের লোক তথা খেটে খাওয়া মানুষ কে মদ মাংস খাইয়ে বোমা পিস্তল বন্দুক ধরিয়ে যুদ্ধে নামিয়ে দিয়েছে। গত কালকের ভাট পাড়ার বিধান সভার উপ নির্বাচন বুঝিয়ে দিয়েছে যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক আমরা আছি, বোমাবাজি করার জন্য যেন মনে হচ্ছে যুদ্ধ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে সত্যি একদিন যুদ্ধ হবে, এই বোমাবাজির মূল নায়কদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কারণ আমাদের মত অনেক মানুষ আছে যারা পশ্চিমবঙ্গ কে বিহার হতে দিতে রাজি নন, তাদের যুদ্ধ কারণ ঐ শয়তান যারা পশ্চিমবঙ্গের তথা বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে, আর এই সব কু কর্ম কারী দের যে সব রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রী মদত দিয়ে যাচ্ছে, তাদের শেষ পরিণতি ভীষণ খারাপ, কারণ মানুষের সব দিন সমান যায় না। তিনশ থেকে সাড়ে তিন শ বছরের মোঘল সাম্রাজ্য ও প্রায় দুশো বছরের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন ঘটে ছিল। আঠাশ বছরের কংগ্রেস ও ৩৪ বছরের বাম শাসন সরে গিয়ে ছিল, বর্তমান শাসক দল বামেদের শেষ দিকে অতি বাম ও অন্যান্য অশুভ শক্তি কে নিয়ে বামফ্রন্ট সরকারের শেষ দিকে অত্যাচার করে বলছিল বামেদের কাজ।সাধারণ মানুষ সেসব মিথ্যে কথা বিশ্বাস করে নিয়ে রাজ্যে যাতে শান্তি ফেরে তার জন্য এই মিথ্যে বাদি ডাকাত দল কে ক্ষমতায় এনেছে, এরা পুরোনো স্বভাব ছাড়তে পারছে না। আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম যখন সীমান্তে বা অন্য কোথাও আমাদের সেনাবাহিনী কোনো ভালো কাজ করে তখন আমরা গর্বিত বোধ করি, আর এই সেনাবাহিনীর জওয়ান যখন আমার পাড়ায় বা আমাদের রাজ্যে ভোট করাতে আসে তখন  আমরা রেগে গিয়ে যা খুশি তাই বলে দিই, তাদের অপমান করি প্রয়োজনে বোমা নিয়ে যুদ্ধ করি, যেমন কাল ভাট পাড়ায় দেখলাম, একজন জওয়ান আহত হলো বোমার আঘাতে, সত্যিই আমরা সেই বাঙালি আছি! আমরা ভোট টা কে উৎসব হিসেবে নিতে পারছি না, কারণ একটাই কিছু লোভী নেতা মন্ত্রী তারা আমাদের সুস্থ চিন্তা কে তার স্বার্থে বিপথে চালনা করে নিয়ে যাচ্ছে। যে নিত্য দিন মদ খায় মানুষ কে ঠকায় সারদা নারদা টাকা চুরি করে ভোটে দাঁড়ায় সেও জ্ঞান দেয়,  বাঙালি জাতি আর কত নীচে নামবে। আর যে জন সে তো হয় বিহার থেকে না হলে অন্য রাজ্যের বাসীন্দা, সে এই রাজ্যের সংস্কৃতি বোঝে না। মানুষ কে ঠকানো ভয় দেখানো তোলা তুলে এদের পেট চলে, আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কত রক্ত ঝড়বে, সে এখন থেকে বোঝা যাচ্ছে, বাংলায় আর মনে হয় শান্তি পূর্ণ নির্বাচন হবে না। পশ্চিমবঙ্গ  দশ বছর আগের বিহারে পরিনত হয়েছে। সব থেকে বড় কথা পশ্চিমবঙ্গের সরকার বা প্রশাসন চায় না এখানে শান্তি পূর্ণ নির্বাচন করতে, মানুষ মরলে তার আনন্দ হয়, না হলে হনুব্রত কে উৎসাহ দিয়ে আসে, দস্যু রাণী ফুলন দেবী মানুষ খুন করে এতো আনন্দ পায়, সেই কারণেই এই রাজ্যে মদ বন্ধ করবে না আর ভোটে অশান্তি বন্ধ হবে না। মদের এমন মহিমা মদ খেয়ে সেনা বাহিনীর জওয়ান  স্কুলের ছাদ থেকে পড়ে আহত হন। মদ খেয়ে গাল গলা ফুলে উঠেছে চোখ বড় বড় বেড়িয়ে আসছে সে ভোটে দাঁড়াচ্ছে, বাঙালির মান সম্মান কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। 

Thursday, 16 May 2019

আমি সর্বময় যা করব আমি যা বলব তার আবার বিরোধিতা কী আমি রাজ্যের মাথা।

উনি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী উনি যা করবেন, যা বলবেন সব ঠিক, তার আবার বিরোধিতা কেন? উনি বিরোধী রাজনীতি করে এসেছেন, সিঙ্গুর থেকে টাটা তাড়িয়ে বেকার ছেলে মেয়ে দের উপকার করেছেন। উনি সিঙ্গুর নিয়ে ঊনচল্লিশ বার বনধ করেছেন, তাতে কী তাই বলে উনি যা করছেন তার বিরোধিতা করতে হবে। বেকার ছেলে মেয়ে দের চাকরি দেবন বলে দেননি, সে তো উনি রেল মন্ত্রী থাকা কালীন ফর্ম বিলি করেও চাকরি দেননি ওসব হয়েই থাকে, তার জন্য বিরোধিতা উনি তো সব করে দিচ্ছেন, দু টাকা কিলো চাল মাথা পিছু মাসে দু কেজি, ভাই ভাইপোরা একটু চালাকি করে যার পাওয়ার কথা তাকে না দিলে উনি কি করেন। সবার রেশন কার্ড নেই, এটা বিরোধিতার কারণ, উনি রাস্তা তৈরি করছেন পাথর, সিমেন্ট, পিচ যদি গোরু খেয়ে নেয়, তাতে কার দোষ, উনার আমলে বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি দাম সাত টাকা হলেও বিরোধিতা করা যাবে না। ভাই ভাইপোরা তোলা তুলবে, কিছু বলা যাবে না। একমাত্র বিরোধিতা করার অধিকার উনার আছে, সাধারণ মানুষের কোনো অধিকার নেই, না আছে ভোট দেবার অধিকার না আছে বেঁচে থাকার অধিকার, যদি সুস্থ ভাবে বাঁচাতে চাইলে উনি একশো টা মিথ্যে কথা বলছেন, সেটা সত্য বলে মেনে নিয়ে, যত অন্যায় যত খারাপ কাজ সব সমর্থন করে যেতে হবে। উনার বিরোধিতা করা যাবে না, সেই জন্য বিরোধী দল কে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেব না। আমি একাই পশ্চিমবঙ্গের সাড়ে সর্বনাশ করে ছাড়ব, বেকার ছেলে মেয়ে চাকরি চাইতে পারবে না, চাকরি পেতে হলে ঘুষ দিতে হবে, না হলে অনশন করতে হবে। ঘুষ দিয়ে চাকরি হবে এমন গ্যারান্টি নেই, কারণ চাকরির পরীক্ষা হয় না, ডানলপ, দৈনিক বসুমতি, বার্ন স্ট্যান্ডার্ড ইত্যাদি অধিগ্রহণ করবেন বলেছিলেন, আজও হয় নি, উল্টে হিন্দ মোটর কারখানা বন্ধ, চট কল গুলো কী করে বাঁচবে তার চেষ্টা নেই, খালি ভোট এলে যুব সম্প্রদায় কে মদ মাংস খাওয়াও আর তারা মানুষ কে ভয় দেখিয়ে মেরে ভোটে জিতিয়ে দেবে। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে  দশদিনের কাজ হলে কুড়ি দিন লেখো। কাট মানি একা খেলে হবে না। কেউ প্রতিবাদ করলে হবে না সব মেনে নিয়ে চুপ চাপ থাকো তবে শান্তি আমি এক মেব অদ্বীতিয়ম। আমার বিরোধিতা আমি সহ্য করব না, উস্কানি মুলক বক্তব্য ছোট বড়ো সব ধরনের নেতা মন্ত্রীর গলায়, এতো লোক সভা ভোট উনি বিয়াল্লিশটা আসন জিতে প্রধানমন্ত্রী হবেন। উনার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী হবার বিয়াল্লিশটা আসন চাই, বিরোধীরা যদি বিরোধিতা করে তাহলে ওনার প্রধানমন্ত্রী হওয়া হবে না। লোক সভা ভোটে এই তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কী হবে ভাবুন, মোট কথা হলো এ রাজ্যে আমি সব বিরোধী দলের জায়গা নেই।

Wednesday, 15 May 2019

বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার জন্য বর্তমান শাসক দল ও দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।

আগামী কাল কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্যে অসভ্য বর্বর দল বিজেপি যেমন দায়ি, তেমন বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও দায়ি।বর্তমান শাসক দল বারবার বিজেপির সাথে জোট করে কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েছিল। এই শাসক দলের নেত্রী বিধান সভা ভাঙচুর করে ছিল, তিনি বিরোধী রাজনীতি করবেন কেউ বাধা দিতে পারবেন না, কেউ বাধা দেয়নি, সিঙ্গুরে মাচা বেঁধে কারখানা গুজরাতের সানন্দে পাঠানো সেই 21 দিনের জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বসে থাকা কেউ বাধা দেয়নি।উনি 2011 সালে ক্ষমতায় এসে বিরোধী দল কে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেব না। প্রতি পদক্ষেপে বাধা আগে ছিল সি পি আই এম তথা বামফ্রন্ট কে আটকানো এখন ভোটার কে ভোট দিতে না দেওয়া অর্থাৎ নিজের দলের মধ্যে গণ্ডগোল মানুষ কে বিশ্বাস না করা, বিজেপি তে কারা যারা তৃণমূল দলের থেকে সে ভাবে আর টাকা তুলতে পাচ্ছে না, ভাগ দিতে দিতে শেষ হয়ে যাচ্ছে, তারা গিয়ে ভিড় করছে, বিজেপি তে। দু দলের নেতা মন্ত্রী রা প্রতি নিয়ত মারব কাটব করে যাচ্ছে, কে বলছে নারকেল মুড়ি খাওয়াব। আজকের বাংলা জুড়ে অশান্তি আর বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর এ অপসংস্কৃতি তৃণমূল আমদানি করেছে এই বাংলায়। শাসক দলের লোক হলে ছাড়া পায় অন্যায় করে, বিরোধী অপরাধ করুক আর না করুন তার জেল, এই তো নীতি। দুর্নীতি লুটপাট মানুষ খুন বোমা বাজি গুলি পিটিয়ে হত্যা আরো কতকি, মোটের উপর বিরোধী দের জায়গা দিলে হবে না। আজ যা ঘটছে, সেখানে অমিত শাহ, বা বিজেপি কে কালো পতাকা দেখানোর জন্য বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে আর সন্ধ্যা পর্যন্ত কলেজ খোলা সেখানে ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাস হচ্ছিল, আমি জানি না। এই দুই রাজনৈতিক দল বাংলার তথা বাঙালি জাতির শিক্ষা দীক্ষার উপর আঘাত করছে। এদের বর্জন করে বুঝিয়ে দিতে হবে বাঙালি আজও মরে নি তারা প্রতিবাদ করতে জানে।

Sunday, 12 May 2019

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন সুস্থ সুন্দর করতে হলে যা করা দরকার।


ভোট দান মানুষের একটি গনতান্ত্রিক অধিকার, সেই অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারে না। মানুষ কাকে ভোট দেবে যেমন কেউ নির্দেশ দিতে পারে না। একজনের ভোট আরেক জন দিয়ে দেবেন এটাও কাম্য নয়। ভোট দান সুস্থ ভাবে করতে হলে, প্রশাসনের প্রথম থেকেই আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত ছিল। আজ ষষ্ঠ দফার ভোট, প্রথম দফা থেকে বিভিন্ন সময়ে রক্তের দাগ লাগছে, কোনো দল বাদ পড়ছে না। নেতা মন্ত্রী দের উস্কানি মূলক কথা, মার পিট দাঙ্গা করতে আরও উৎসাহিত করছে, এসব থেকে মুক্তি পেতে হলে, বুথের মধ্যে এজেন্ট দের মোবাইল নিয়ে কোন রকম উপস্থিতি চলবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী কে আরো সক্রিয় হতে হবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গণ্ডগোল করছে শাসক, যে শাসকের শান্তি বজায় রাখার কথা সেই শাসক দল অশান্তির জন্যে বেশি দায়ি, একটা কথা ভাবতে হবে, শাসক দলের নেতা কর্মীদের যে এই গণ্ডগোল তারা যাদের জন্য করছে, সামান্য কিছু টাকা পাওয়ার জন্য, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজের বরাত পাওয়ার জন্য বা সেখান থেকে কাট মানি খাবার জন্য, তোলাবাজি করার জন্য, এভাবে বেশি দিন চলে না। আমরা তাহলে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় কুমারের কথা ঠিক বলে ধরে নেব, রাজ্য টা দশ বছর আগের বিহার হয়ে গেছে, তাহলে   এই রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করতে হবে। আর এলাকার যারা ভোটের সময় গণ্ডগোল করে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। আর ভোট কেন্দ্রে অন্ধ খোঁড়া সাজা ভোটার দের আলাদা তালিকা থাকবে, তার বাইরে কেউ ঐ ভোট দিতে পারবেন না। ভোট দেওয়ার জন্য লাইন হবে পঞ্চাশ মিটার দূরে, আমি জানি প্রশাসন এসব ব্যবস্থা করবে না। জানি না আগামী সপ্তম দফা ভোট শান্তিতে হবে কিনা? এই মাত্র অন লাইন নিউজ পোর্টালে দেখলাম ভাঙরে সি পি আই এম কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে। আমি একটা কথা ভেবে পাচ্ছি না, মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বলছে সি পি আই এম কে নাকি দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে। দল টা উঠে গেছে, কিন্তু লক্ষ্য করছি, প্রথম দফা থেকে ষষ্ঠ দফা প্রতিটি দফায় মার খাচ্ছে এই উঠে যাওয়া দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে যে দল তাদের, আজও খবরে পড়লাম কাঁথির সি পি আই এম পার্টি প্রার্থী পরিতোষ পট্টনায়কের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের যে সব রাজনৈতিক দল এই অত্যাচারে মদত দিচ্ছে। তারা চিরকাল ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে, আমার মনে হয় না। আমি সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম পশ্চিমবঙ্গের ভোট হবে একটি লোক বা ভোটার আক্রান্ত হবে না। 

Thursday, 9 May 2019

বিশ্ব কবি কে আমার শত কোটি প্রণাম।

আজ কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মদিনে আমার পক্ষ থেকে জানাই অন্তরের প্রণাম। আমি বাঙালি আমি চাই আপনি আবার আমাদের মধ্যে ফিরে  আসুন, কারণ বাঙালি আজ বিপন্ন, খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আপনার মৃত্যুর ছ বছর পর দেশ স্বাধীন হয়েছে। খুব দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন বাংলা ভাগ করার জন্য যে উদ্যোগ নিয়ে ছিল, সেই বঙ্গ ভঙ্গ বন্ধ করতে আপনি রাস্তায় নেমে "বাংলার মাটি বাংলার বায়ু বাংলার ফল বাংলার জল এক হউক হে ভগবান "গান গেয়ে সকলের হাতে রাখি পড়িয়ে ছিলেন। আপনার সোনার বাংলা ভাগ হয়ে স্বাধীনতা এসেছে, কয়েক লক্ষ বাঙালি হিন্দু জাতি তাদের জণ্ম ভিটে মাটি ছেড়ে এপার বাংলায় চলে এসেছে।এপার বাংলায় তারা আজ বাঙাল জাতি, এখানে এসেও সুস্থ ভাবে বাঁচবে তার নিশ্চয়তা নেই। এপার বাংলার তথা কথিত শিক্ষিত মানুষ পর্যন্ত বাঙাল তাড়াতে উঠে পড়ে লাগে, কী দূর্দশা ঐ সব মানুষের কল্পনা করতে পারবে না। বাংলা ভাগ করে ছিল কারা তার মধ্যে ছিল আপনি যাকে মহান আত্মা বলে ছিলেন, সেই গান্ধী আর নেহরু নামক দেশদ্রোহী বাঙালি বিদ্বেষী, স্বাধীনতার পর থেকে যারা এখনো ভিটে মাটি ছেড়ে আসেনি তাদের উপর চলছে, দূর্বিসহ অত্যাচার বাঙালি হিন্দু জাতি আর যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে তার জন্য দেশ ভাগ সেটাতে তারা সফল। আপনার কালান্তর নামে একটি লেখা পড়ে ছিলাম, সেখানে একটা কথা ছিল, ভারত বর্ষে অনেক জাতি এসেছে তারা ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে মিলে গেছে, কিন্তু এই ইসলাম ধর্মের লোক তথা মুসলিম জাতি ধর্ম নামক একটা বেড়া দিয়ে রেখেছে তারা ভারতীয় হতে পারল না। নজরুলের কথায় জাতের নামে বজ্জাতি চলছে। বাংলার এই তথাকথিত মুসলমান সবাই প্রকৃত বা জণ্ম সূত্রে মুসলমান নয়, এদের কোন না কোন পূর্ব পুরুষ হিন্দু ছিলেন। আপনি যদি আর ছ টা বছর পর মারা যেতেন তবে আপনি মনে হয়, এসব দেখে সহ্য করতে পারতেন না। বাঙালি কে আবার স্বাধীনতার লড়াই শুরু করতে হবে, এই সব বজ্জাত দের বিরুদ্ধে, এপার বাংলায় বেশ কিছু মানবতা বাদী লোক আছে, তারা ভোটের জন্য ধর্ম নিরপেক্ষ সাজে, জাতি দাঙ্গা হয়তো করতে দেয় না, কিন্তু এমন ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে চলেছে এপার বাংলাও অচিরেই ওপার বাংলার মতো অবস্থা হবে। স্বাধীনতার সংগ্রামে বাংলা মায়ের দামাল ছেলে দল এখন আর নেই, সেই জন্য এই অবস্থা। আপনি চীনে গিয়ে ছিলেন, সেই চীন কিন্তু এই সব ধর্ম ( ইসলাম) পালন করতে দেয় না, তারা প্রতি মুহূর্তে নজর রাখে যাতে করে ধর্ম মাথা চারা না দেয়। এটাও ঠিক ধর্ম পালন এক রকম আর ধর্মান্ধতা আরেক রকম, ধর্মের নামে আরেক জনের সম্পদ লুট করা সেটা কেমন ধর্ম। বাংলাদেশ এখন যা রোজের ঘটনা, এখন নেটের যুগ খবর মূহুর্তে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সব মূর্খ ধর্মান্ধ মুসলমান গুলো জানেও না, যে বাংলা ভাষায় লেখা খবর অটোমেটিক ইংরেজি তে অনুবাদ করে পড়া যায়। বাঙালির দূর্দিনে আপনাদের মতো বেশ কিছু মানুষ কে আবার দরকার হয়ে পড়েছে, যারা আবার বাংলা কে স্বাধীনতার দ্বিতীয় লড়াই করতে উৎসাহিত করবে। আমার আবেদন যেখানে থাকুন আসুন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল সুকান্ত এদের অভাব সেই সঙ্গে অভাব বাংলা মায়ের দামাল ছেলে সুভাষচন্দ্র বোসের।তোমার লেখা " ওরা কাজ করে" এই শ্রমিকের আজ বড়ো দূর্দিন কেউ পাশে নেই। তোমাদের মতো মহাপুরুষের আজ বড়ো অভাব। বাঙালি আজ বড়ো অসহায় ।


Friday, 3 May 2019

প্রতিবাদে গর্জে উঠুক শিক্ষক সমাজ।


পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকার, সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার সলিল সমাধি চাইছেন। যাতে করে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে এবং তার জায়গায় বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা বেশি করে প্রসার ঘটবে। 
  আছে যা খুশি তাই সিলেবাস, প্রাক প্রাথমিকের ছেলেরা, কেজি ওয়ানে বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি যে সব বই পড়ত, আর এখানে কুড়ি পাতার কুটুম কাটাম আর মজারু। আগে ঐ বয়সে এই প্রাথমিকে ছেলে রা প্রথম শ্রেণীতে বাংলা অঙ্ক ইংরেজি পড়ত,  প্রথম আর দ্বিতীয় শ্রেণির আমার বই, সেখানে ভালো করে দেখলে দেখতে পাবেন, বাংলা অঙ্ক ইংরেজি শেখাবার মতো ধারাবাহিকতা নেই, শেখার মতো কিছু নেই, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ইংরেজি গ্রামের ছেলে মেয়ে রা নিজেরা একটা গল্পও পড়তে পারে না। আমার পরিবেশ ওটা একটা বই! এসব কারণে অনেক ছাত্র ছাত্রী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ছে, আর এই পরিস্থিতির জন্য গ্রামের অনেক সরকারি বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে বা বন্ধ হবার মুখে। এরকম পরিস্থিতিতে প্রতি বছর গরমে সময় নিয়ম করে ছুটি ঘোষণা করা, অদ্ভুত ভাবে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে আসবে, ছাত্র দের ছুটি, আমি জানি না কত জন অভিভাবক এবং কত জন শিক্ষক এই ব্যবস্থা মেনে নিচ্ছেন! আগষ্টের প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয় পর্ব মূল্যায়ন, শিক্ষকরা বই গুলো পড়াবেন কখন? আমি একজন শিক্ষক আমি এই অস্বাভাবিক ছুটি ঘোষণা মেনে নিতে পারছি না। আমি লক্ষ্য করেছি কিছু শিক্ষক প্রতিনিয়ত এই রকম ছুটি পেতে উৎসুক, তারা এই ৫৮ দিনের ছুটিতে বিদ্যালয়ে যাতে না আসতে হয় তার জন্য নেট ঘেঁটে সরকারি আদেশ খুঁজে যাচ্ছে। আমি চাই ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসুক যেমন সকালে বিদ্যালয় হচ্ছিল হোক, পড়াশোনা চালু থাক, আর যে সময়ে গরমের ছুটি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেই সময় গরমের ছুটি দেওয়া হোক, বিদ্যালয়ের মি ডে মিল সুস্থ ভাবে চলার ব্যবস্থা করা হোক, অনেক ছাত্র ছাত্রী বিদ্যালয়ে মি ডে মিল খায়, তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে না কি? যে সব শিক্ষক আমার সঙ্গে একমত তারা প্রতিবাদে এগিয়ে আসুন, শিক্ষা নিয়ে সরকারের এই খাম খেয়িলি পনা বন্ধ হোক। শিক্ষা ব্যবস্থা কে বাঁচাতে যারা আমার সাথে একমত তারা আসুন আমরা সকলে প্রতিবাদ করি। 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...