এই রাজ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট সরকার তৈরী করতে হলে, আমার মতে বামেদের নিজেদের অর্থাৎ দলের নেতাদের মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনতে হবে, সাধারণ মানুষের সাথে মিশতে হবে। কোন রকম জড়তা অবিশ্বাস নিয়ে মিশলে হবে না। কারণ সাধারণ মানুষ কে বোকা ভেবে তাদের কে গুরুত্ব না দিয়ে সংসদীয় গনতন্ত্রে ভোটে জেতা যায় কি? বামফ্রন্ট যদি সংসদীয় গনতন্ত্রে বিশ্বাস করে, কারণ আমি দেখেছি আমাদের দেশে চীনের মত সমাজতন্ত্র আসবে না। চীন এখন কর্পোরেট সংস্থার দিকে ঝুঁকেছে, সে দেশে পুঁজি বিনিয়োগ হচ্ছে, সম্পূর্ণ পুঁজিবাদ না হলেও কিছুটা, আমাদের দেশে সংসদীয় গনতন্ত্রে বিশ্বাস করব আর কর্পোরেট সংস্থার সাহায্য না নিয়ে সরকার গঠন করতে পারব এখন আর সেটা সম্ভব নয়। আর কেন্দ্র সরকার সরকার গড়তে হলে সব লোকসভা আসনে প্রার্থী দিতে না পারলেও এমন ভাবে প্রার্থী দিতে হবে, যাতে বামেরা সংগরিষ্ঠতা পায়। 130 থেকে একশ চল্লিশ টি লোকসভা আসনে প্রার্থী দিয়ে কটা পেলেন, কারণ মানুষ জানে আপনারা সরকার গড়তে চান না, সেই কারণেই ভোট দেয় নি।হিন্দি বলয়ে একটা কথা আছে, লড়াই করার জন্য লাল ঝাণ্ডা, আর ভোট দেন কে লিয়ে তরঙ্গা, অর্থাৎ কংগ্রেস, এবার তারা কংগ্রেসের বদলে বিজেপি কে পেয়েছে, কারণ বিজেপি সরকার তৈরী করার মতো সব আসনে প্রার্থী দিয়েছে, বলবেন কর্পোরেট সংস্থা সাহায্য করেছে, ভারত বর্ষের রাজনীতি এরকম আর যদি ভোগাস করাতের নীতি মেনে চলেন, তিনি যেখানে বাস করেন বাম প্রার্থী নেই, তিনি কাকে ভোট দেন? আপনাদের সর্ব ভারতীয় নেতা তো, নাকি ভোট দেন না। আর সাধারণ মানুষের ভোট চাইলে সামাজিক আচার অনুষ্ঠান গুলো কে গুরুত্ব দিতে হবে, গরীব মধ্যবিত্ত মানুষ ঠাকুর দেবতায় বিশ্বাস করে, ও কেন পুজো করে ওকে দল থেকে বাদ দাও, কমরেড হয়ে কালী মন্দিরে পূজো দেওয়া ওকে আর কোন কাজে মিটিং মিছিলে বলো না, ও ব্রাহ্মণ পূজো করে, গায়ে পৈতে আছে, তাহলে ওকে দলে নেওয়া যাবে না। এই সব চিন্তা ভাবনা সেই মধ্যে যুগীয় বামেদের চিন্তা সেই বামপন্থা বা সমাজ তন্ত্র ভারত বর্ষের আসবে না, ইসলাম ধর্মের নামাজ যে পড়ে তাকেও মর্যাদা দিতে হবে, আমি জানি আপনারা অনেক দিন আগে আপনাদের দলের একজন হজ করতে গিয়ে ছিল তাকে বাধা দেননি, কিন্তু একজন কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে ছিল বলে তাকে সর্তক করে ছিলেন। আপনারা যদি সত্যি সংসদীয় গনতন্ত্রে বিশ্বাস করেন তবে এই সব ত্যাগ করে সমাজের সর্ব স্তরের মানুষের সাথে আগে মিশতে শিখুন, কারণ মিডিয়া থেকে আরম্ভ করে সকলে বলছে বামেদের ভোট পেয়ে বিজেপি এই রাজ্যে এতো গুলো আসন পেয়েছে, আপনারাও বুঝতে পারছেন। একটা উদাহরণ দিই হুগলি লোক সভা আসনে গতবারে বাম প্রার্থী ভোট পেয়ে ছিল চার লক্ষের বেশি, এবার পেয়েছে এক লক্ষ কত, তাহলে ঐ তিন লক্ষ ভোট কোথায় গেল, নিশ্চয়ই তৃণমূল কে দেয় নি। রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে হলে ভাবুন আর এই ক'বছরে নিজেদের পালটান।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment