পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকার, সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার সলিল সমাধি চাইছেন। যাতে করে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে এবং তার জায়গায় বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা বেশি করে প্রসার ঘটবে।
আছে যা খুশি তাই সিলেবাস, প্রাক প্রাথমিকের ছেলেরা, কেজি ওয়ানে বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি যে সব বই পড়ত, আর এখানে কুড়ি পাতার কুটুম কাটাম আর মজারু। আগে ঐ বয়সে এই প্রাথমিকে ছেলে রা প্রথম শ্রেণীতে বাংলা অঙ্ক ইংরেজি পড়ত, প্রথম আর দ্বিতীয় শ্রেণির আমার বই, সেখানে ভালো করে দেখলে দেখতে পাবেন, বাংলা অঙ্ক ইংরেজি শেখাবার মতো ধারাবাহিকতা নেই, শেখার মতো কিছু নেই, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ইংরেজি গ্রামের ছেলে মেয়ে রা নিজেরা একটা গল্পও পড়তে পারে না। আমার পরিবেশ ওটা একটা বই! এসব কারণে অনেক ছাত্র ছাত্রী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ছে, আর এই পরিস্থিতির জন্য গ্রামের অনেক সরকারি বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে বা বন্ধ হবার মুখে। এরকম পরিস্থিতিতে প্রতি বছর গরমে সময় নিয়ম করে ছুটি ঘোষণা করা, অদ্ভুত ভাবে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে আসবে, ছাত্র দের ছুটি, আমি জানি না কত জন অভিভাবক এবং কত জন শিক্ষক এই ব্যবস্থা মেনে নিচ্ছেন! আগষ্টের প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয় পর্ব মূল্যায়ন, শিক্ষকরা বই গুলো পড়াবেন কখন? আমি একজন শিক্ষক আমি এই অস্বাভাবিক ছুটি ঘোষণা মেনে নিতে পারছি না। আমি লক্ষ্য করেছি কিছু শিক্ষক প্রতিনিয়ত এই রকম ছুটি পেতে উৎসুক, তারা এই ৫৮ দিনের ছুটিতে বিদ্যালয়ে যাতে না আসতে হয় তার জন্য নেট ঘেঁটে সরকারি আদেশ খুঁজে যাচ্ছে। আমি চাই ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসুক যেমন সকালে বিদ্যালয় হচ্ছিল হোক, পড়াশোনা চালু থাক, আর যে সময়ে গরমের ছুটি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেই সময় গরমের ছুটি দেওয়া হোক, বিদ্যালয়ের মি ডে মিল সুস্থ ভাবে চলার ব্যবস্থা করা হোক, অনেক ছাত্র ছাত্রী বিদ্যালয়ে মি ডে মিল খায়, তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে না কি? যে সব শিক্ষক আমার সঙ্গে একমত তারা প্রতিবাদে এগিয়ে আসুন, শিক্ষা নিয়ে সরকারের এই খাম খেয়িলি পনা বন্ধ হোক। শিক্ষা ব্যবস্থা কে বাঁচাতে যারা আমার সাথে একমত তারা আসুন আমরা সকলে প্রতিবাদ করি।
No comments:
Post a Comment