আজ কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মদিনে আমার পক্ষ থেকে জানাই অন্তরের প্রণাম। আমি বাঙালি আমি চাই আপনি আবার আমাদের মধ্যে ফিরে আসুন, কারণ বাঙালি আজ বিপন্ন, খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আপনার মৃত্যুর ছ বছর পর দেশ স্বাধীন হয়েছে। খুব দুঃখের বিষয় হচ্ছে, ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন বাংলা ভাগ করার জন্য যে উদ্যোগ নিয়ে ছিল, সেই বঙ্গ ভঙ্গ বন্ধ করতে আপনি রাস্তায় নেমে "বাংলার মাটি বাংলার বায়ু বাংলার ফল বাংলার জল এক হউক হে ভগবান "গান গেয়ে সকলের হাতে রাখি পড়িয়ে ছিলেন। আপনার সোনার বাংলা ভাগ হয়ে স্বাধীনতা এসেছে, কয়েক লক্ষ বাঙালি হিন্দু জাতি তাদের জণ্ম ভিটে মাটি ছেড়ে এপার বাংলায় চলে এসেছে।এপার বাংলায় তারা আজ বাঙাল জাতি, এখানে এসেও সুস্থ ভাবে বাঁচবে তার নিশ্চয়তা নেই। এপার বাংলার তথা কথিত শিক্ষিত মানুষ পর্যন্ত বাঙাল তাড়াতে উঠে পড়ে লাগে, কী দূর্দশা ঐ সব মানুষের কল্পনা করতে পারবে না। বাংলা ভাগ করে ছিল কারা তার মধ্যে ছিল আপনি যাকে মহান আত্মা বলে ছিলেন, সেই গান্ধী আর নেহরু নামক দেশদ্রোহী বাঙালি বিদ্বেষী, স্বাধীনতার পর থেকে যারা এখনো ভিটে মাটি ছেড়ে আসেনি তাদের উপর চলছে, দূর্বিসহ অত্যাচার বাঙালি হিন্দু জাতি আর যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে তার জন্য দেশ ভাগ সেটাতে তারা সফল। আপনার কালান্তর নামে একটি লেখা পড়ে ছিলাম, সেখানে একটা কথা ছিল, ভারত বর্ষে অনেক জাতি এসেছে তারা ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে মিলে গেছে, কিন্তু এই ইসলাম ধর্মের লোক তথা মুসলিম জাতি ধর্ম নামক একটা বেড়া দিয়ে রেখেছে তারা ভারতীয় হতে পারল না। নজরুলের কথায় জাতের নামে বজ্জাতি চলছে। বাংলার এই তথাকথিত মুসলমান সবাই প্রকৃত বা জণ্ম সূত্রে মুসলমান নয়, এদের কোন না কোন পূর্ব পুরুষ হিন্দু ছিলেন। আপনি যদি আর ছ টা বছর পর মারা যেতেন তবে আপনি মনে হয়, এসব দেখে সহ্য করতে পারতেন না। বাঙালি কে আবার স্বাধীনতার লড়াই শুরু করতে হবে, এই সব বজ্জাত দের বিরুদ্ধে, এপার বাংলায় বেশ কিছু মানবতা বাদী লোক আছে, তারা ভোটের জন্য ধর্ম নিরপেক্ষ সাজে, জাতি দাঙ্গা হয়তো করতে দেয় না, কিন্তু এমন ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে চলেছে এপার বাংলাও অচিরেই ওপার বাংলার মতো অবস্থা হবে। স্বাধীনতার সংগ্রামে বাংলা মায়ের দামাল ছেলে দল এখন আর নেই, সেই জন্য এই অবস্থা। আপনি চীনে গিয়ে ছিলেন, সেই চীন কিন্তু এই সব ধর্ম ( ইসলাম) পালন করতে দেয় না, তারা প্রতি মুহূর্তে নজর রাখে যাতে করে ধর্ম মাথা চারা না দেয়। এটাও ঠিক ধর্ম পালন এক রকম আর ধর্মান্ধতা আরেক রকম, ধর্মের নামে আরেক জনের সম্পদ লুট করা সেটা কেমন ধর্ম। বাংলাদেশ এখন যা রোজের ঘটনা, এখন নেটের যুগ খবর মূহুর্তে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সব মূর্খ ধর্মান্ধ মুসলমান গুলো জানেও না, যে বাংলা ভাষায় লেখা খবর অটোমেটিক ইংরেজি তে অনুবাদ করে পড়া যায়। বাঙালির দূর্দিনে আপনাদের মতো বেশ কিছু মানুষ কে আবার দরকার হয়ে পড়েছে, যারা আবার বাংলা কে স্বাধীনতার দ্বিতীয় লড়াই করতে উৎসাহিত করবে। আমার আবেদন যেখানে থাকুন আসুন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল সুকান্ত এদের অভাব সেই সঙ্গে অভাব বাংলা মায়ের দামাল ছেলে সুভাষচন্দ্র বোসের।তোমার লেখা " ওরা কাজ করে" এই শ্রমিকের আজ বড়ো দূর্দিন কেউ পাশে নেই। তোমাদের মতো মহাপুরুষের আজ বড়ো অভাব। বাঙালি আজ বড়ো অসহায় ।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।
উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment