ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকে এক টা কথা প্রচলিত ছিল। বাংলা বাঙালি আজ যা ভাবে ভারত বাসী তার পরে ভাবে, আমার উপরে শিরোনামে যা দেওয়া হয়েছে সেটা দেখে বুঝুন মহারাষ্ট্র আগে ভেবে কাজ করেও ফেলেছে, আমরা পরে ভাবছি, জানি না আছে কিনা, যদি থাকে তবে তারা সক্রিয় নয়। আমরা বাঙালি বলে একটা সংগঠন আছে, তারা মাঝে মাঝে বিভিন্ন প্রচার করে কিন্তু প্রতিনিয়ত তাদের প্রচার আন্দোলন নেই, অথচ বিভিন্ন সময়ে বাঙালি আক্রান্ত হচ্ছেন। একটা বিষয় যদি দেখা যায় শিব সেনা মারাঠা দের বিষয়ে প্রতি নিয়ত লড়াই করে। আমাদের রাজ্যের বাঙালি জাতি বাঙালির উপর অত্যাচার করে, এখনও তারা এক জাতি এটা ভাবতেই শেখে নি। যারা প্রকৃত বাঙালি তারা তাদের স্ব-জাতির উন্নতি দেখতে পারে না। বিপদে সাহায্য করা দূরের কথা উল্টে বিপদে ফেলে দিতে কুন্ঠাবোধ করে না। যারা অন্য কোন দেশ বা রাজ্য থেকে এই বাংলায় এসে বাংলায় বাস করছেন। বাংলা ভাষায় কথা বলছেন, তারা নিজেদের দের জাতি সত্বা বজায় রেখে চলে সে ধর্মের মাধ্যমে হোক আর যে কোন ভাবে হোক, তারা এক হয়ে একে অপরের সাথে মিলে মিশে বাস করে বিপদে সাহায্য করে, আমরা বাঙালি জাতি স্বাধীনতার পর থেকে প্রতি নিয়ত পিছিয়ে পড়ছি, অন্য রাজ্যে চাকরির পরীক্ষা দিতে গিয়ে বিতাড়িত হচ্ছি, আমাদের কে কেবল ভোট দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের রাজ্যের নেতা মন্ত্রী তারা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত, বাঙালি জাতি যত পিছিয়ে পড়ছে তাদের তত আনন্দ, বিশেষ ধর্মের মানুষ কে তোলাই এদের কাজ সে পরোক্ষ হোক আর প্রত্যক্ষ হোক। আপনি আমি কোনো কারণে এদের পাড়ার মধ্যে কোনো কাজে যান বলবে বাঙালি এসেছে, নিজে বাংলা ভাষায় কথা বলছে, বাংলায় বাস করছে, তবু তিনি বলেন বাঙালি এসেছে, অর্থাৎ হিন্দু এসেছে। এর থেকেও আমরা শিক্ষা নিই না, বাড়তে বাড়তে এখন এই রাজ্যের এরা আমাদের থেকে বেশি। আমি কেন আপনাদের ও জানা আছে, কলকাতার বা তার আস পাশে কত জন প্রকৃত বাঙালি আছে? বাংলা ভাষায় কথা বলে বলে বাঙালি এরকম ধরলে সবাই বাঙালি, কিন্তু প্রকৃত বাঙালিরা কত, একটু খেয়াল করে দেখুন শতাংশ বিচারে কুড়ি থেকে ত্রিশ জন, তাও হয় তো বস্তি এলাকা ধরে। বাঙালি ক্রমশ কলকাতা বা তার আশপাশের কয়েকটি জেলা ছেড়ে ক্রমশ পিছিয়ে আসছে, সংখ্যা কমছে, এখন এই রাজ্যে বাঙালি হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। কারণ তারা জণ্ম নিয়ন্ত্রণ মানে বা তাদের মানতে বাধ্য করা হয়, আর অন্য দিকে এক বিশেষ ধর্মের মানুষ ছারপোকার মতো বংশ বিস্তার করে যত চাষের জমি বাস্তু বানিয়ে ফেলেছে। সরকারের কোন লক্ষ্য নেই, কারণ ভোট বড়ো বালাই, ওরা ধর্ম পালন করবে, ধর্মের দোহাই দিয়ে বংশ বিস্তার করতে দোষ নেই, পাঁচ থেকে পঁচিশ টা বিয়ে ত্রিশ চল্লিশ জন ছেলে মেয়ে খেতে পেল আর না পেল দুঃখ নেই। আমরা যদি আমাদের ধর্ম নিয়ে কিছু বলি বা করি মজার ব্যাপার তখন সরকার বা এই রাজ্যের কয়েকটি রাজনৈতিক দল রে রে করে পড়ে, সাম্প্রদায়িক কথা বলছিস। দেখবেন এই সব অবাঙালীরা একটা কথা বলে, বাঙালি কুঁড়ে জাত, কাজ করতে পারে না, কাজ করতে চায় না। আমি জানি না সত্যিই কি বাঙালি জাতি কুঁড়ে কাজ করতে চায় না, নাকি এসব বলে নিজের রাজ্যের লোক এনে কাজ দেওয়ার ফন্দি, আরেক টা বিষয় লক্ষ্য করে দেখুন, এই সব অবাঙালী দের এই রাজ্যে সংগঠন আছে, রাজপুত ক্ষত্রিয় দের সংগঠন, আবার মাড়োয়ারি সোসাইটি, আরো অনেক সংঠন আছে, তাদের কোন বাধা নেই, কাজ করতে কেবল মাত্র বাঙালি জাতি যখন একত্রিত হয়ে একটি জাতি সত্বায় পরিনত হতে চাইছে, তখন অনেকেই বলতে শুরু করলেন, আবার বাঙালি বিহারী কেন, আমরা সকলে ভারতীয়। আমি মনে করি আমরা সবাই ভারতীয় সেটা কি কেবল বাঙালি জাতির জন্য প্রযোজ্য ভারতের অন্য কোন রাজ্য বাসীর জন্যে নয়! আমার মনে হয় না, তাহলে অন্য রাজ্যের মানুষ বাঙালি তাড়াতে উঠে পড়ে লাগত না। সেই জন্যই আমি চাই বাঙালি জাতির আলাদা ভাবে একটি সংগঠন যে খানে কেবল যে প্রকৃত অর্থে বাঙালি তিনি থাকবেন। আমরা বাঙালি বলে যে সংগঠন টি আছে, তাদের উচিত আরও বেশি করে প্রচার করা না হলে সংগঠন বাড়ে না। আসুন সকলে মিলে আমরা এক হই নিজেদের জাতি সত্বা কে বাঁচিয়ে রাখতে।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment