Anulekhon.blogspot.com

Monday, 20 May 2019

বাংলায় দক্ষ যজ্ঞ শেষ হলো।

গত ১১/৪/১৯ থেকে শুরু হয়ে ১৯/৫/১৯ পর্যন্ত গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে শেষ হলো লোক সভা ভোট। অনেকে বলবেন গোটা পশ্চিম বঙ্গের সব জায়গায় গণ্ডগোল হয়েছে, আমিও জানি পশ্চিমবঙ্গের সব জায়গায় গণ্ডগোল হয়েছে এটা বলা যাবে না। আবার এটাও বলা যাবে না, একেবারে প্রথম থেকে শান্তিতে ভোট দিয়েছেন মানুষ, প্রথম দফায় দেখেছি গাড়ি ভাঙচুর বোমা বাজি মার ধোর ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে না দেওয়া। ছাপ্পা ভোট সাত দফার একটি দফাও বাধ ছিল না যে দফায় গণ্ডগোল হয় নি। মানুষ খুনও হয়েছে, সবেতেই গণ্ডগোলের মুলে শাসক দল, তারা এতো উন্নয়ন করেছে, তার ঠেলায় মানুষ তাদের ভোট দেবেন এই ভরসা না রেখে নিজের দলের লোক তথা খেটে খাওয়া মানুষ কে মদ মাংস খাইয়ে বোমা পিস্তল বন্দুক ধরিয়ে যুদ্ধে নামিয়ে দিয়েছে। গত কালকের ভাট পাড়ার বিধান সভার উপ নির্বাচন বুঝিয়ে দিয়েছে যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক আমরা আছি, বোমাবাজি করার জন্য যেন মনে হচ্ছে যুদ্ধ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে সত্যি একদিন যুদ্ধ হবে, এই বোমাবাজির মূল নায়কদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের কারণ আমাদের মত অনেক মানুষ আছে যারা পশ্চিমবঙ্গ কে বিহার হতে দিতে রাজি নন, তাদের যুদ্ধ কারণ ঐ শয়তান যারা পশ্চিমবঙ্গের তথা বাঙালি সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে, আর এই সব কু কর্ম কারী দের যে সব রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রী মদত দিয়ে যাচ্ছে, তাদের শেষ পরিণতি ভীষণ খারাপ, কারণ মানুষের সব দিন সমান যায় না। তিনশ থেকে সাড়ে তিন শ বছরের মোঘল সাম্রাজ্য ও প্রায় দুশো বছরের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন ঘটে ছিল। আঠাশ বছরের কংগ্রেস ও ৩৪ বছরের বাম শাসন সরে গিয়ে ছিল, বর্তমান শাসক দল বামেদের শেষ দিকে অতি বাম ও অন্যান্য অশুভ শক্তি কে নিয়ে বামফ্রন্ট সরকারের শেষ দিকে অত্যাচার করে বলছিল বামেদের কাজ।সাধারণ মানুষ সেসব মিথ্যে কথা বিশ্বাস করে নিয়ে রাজ্যে যাতে শান্তি ফেরে তার জন্য এই মিথ্যে বাদি ডাকাত দল কে ক্ষমতায় এনেছে, এরা পুরোনো স্বভাব ছাড়তে পারছে না। আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম যখন সীমান্তে বা অন্য কোথাও আমাদের সেনাবাহিনী কোনো ভালো কাজ করে তখন আমরা গর্বিত বোধ করি, আর এই সেনাবাহিনীর জওয়ান যখন আমার পাড়ায় বা আমাদের রাজ্যে ভোট করাতে আসে তখন  আমরা রেগে গিয়ে যা খুশি তাই বলে দিই, তাদের অপমান করি প্রয়োজনে বোমা নিয়ে যুদ্ধ করি, যেমন কাল ভাট পাড়ায় দেখলাম, একজন জওয়ান আহত হলো বোমার আঘাতে, সত্যিই আমরা সেই বাঙালি আছি! আমরা ভোট টা কে উৎসব হিসেবে নিতে পারছি না, কারণ একটাই কিছু লোভী নেতা মন্ত্রী তারা আমাদের সুস্থ চিন্তা কে তার স্বার্থে বিপথে চালনা করে নিয়ে যাচ্ছে। যে নিত্য দিন মদ খায় মানুষ কে ঠকায় সারদা নারদা টাকা চুরি করে ভোটে দাঁড়ায় সেও জ্ঞান দেয়,  বাঙালি জাতি আর কত নীচে নামবে। আর যে জন সে তো হয় বিহার থেকে না হলে অন্য রাজ্যের বাসীন্দা, সে এই রাজ্যের সংস্কৃতি বোঝে না। মানুষ কে ঠকানো ভয় দেখানো তোলা তুলে এদের পেট চলে, আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কত রক্ত ঝড়বে, সে এখন থেকে বোঝা যাচ্ছে, বাংলায় আর মনে হয় শান্তি পূর্ণ নির্বাচন হবে না। পশ্চিমবঙ্গ  দশ বছর আগের বিহারে পরিনত হয়েছে। সব থেকে বড় কথা পশ্চিমবঙ্গের সরকার বা প্রশাসন চায় না এখানে শান্তি পূর্ণ নির্বাচন করতে, মানুষ মরলে তার আনন্দ হয়, না হলে হনুব্রত কে উৎসাহ দিয়ে আসে, দস্যু রাণী ফুলন দেবী মানুষ খুন করে এতো আনন্দ পায়, সেই কারণেই এই রাজ্যে মদ বন্ধ করবে না আর ভোটে অশান্তি বন্ধ হবে না। মদের এমন মহিমা মদ খেয়ে সেনা বাহিনীর জওয়ান  স্কুলের ছাদ থেকে পড়ে আহত হন। মদ খেয়ে গাল গলা ফুলে উঠেছে চোখ বড় বড় বেড়িয়ে আসছে সে ভোটে দাঁড়াচ্ছে, বাঙালির মান সম্মান কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...