Anulekhon.blogspot.com
Sunday, 23 January 2022
রেশন ব্যবস্থা কে সত্যিই প্রহসন পরিনত করেছে এই সরকার ।
খাদ্য দফতর ভুয়ো রেশন কার্ড ধরেছে কী রকম সেটা যে সব ব্যক্তি রেশন কার্ড নিয়ে রেশন দোকানে গেলেন এবং আঙুলের ছাপ দিতে গিয়ে দেখা গেল লাল দেখা যাচ্ছে তিনি নাকি ভুয়ো রেশন কার্ড ধারি। এই রকম রেশন কার্ড বাতিল করা হবে, এগুলো ভুয়ো রেশন কার্ড। সত্যিই ভেবে পাচ্ছে না কীভাবে রেশন ব্যবস্থা কে তুলে দেবে, এমন অনেক মানুষ আছে যারা চার পাঁচ বছর ঘুরে ঘুরে আবেদন পর পর আবেদন করে রেশন কার্ড পেলেন, তাকে কী করা হল তার বাড়ি থেকে তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রেশন দোকানের সাথে যুুক্ত করা হলো। যাহোক আধার লিংক করে কার্ড চালু করা হলো। কিন্তু তার পর রেশন দোকানে গিয়ে আঙুলের ছাপ দিতে গিয়ে লাল না নীল কী দেখা গেল মানে সে ভুয়ো রেশন কার্ড ধারী। এর আগেও বলেছি আবার বলছি এবার সময় এসেছে নেতার বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান। না হলে এই প্রহসন বন্ধ করা যাবে না। কারণ ফুড কর্পোরেশন অফিসে যারা বসে আছে সব শাসক দলের লোক এক জনও সরকারি কর্মী নয়। এরা খোঁজ নিয়ে রাখে কারা বিরোধী আর ঐখানে বসে বসে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় কে রেশন পাবে আর কে পাবে না। প্রতিবাদ করতে ভুলে গেলেন প্রতিবাদ করুন প্রতিবাদ না করলে, আপনি এবং আপনার পরিবার কে বলে দেওয়া হবে আপনি পশ্চিমবঙ্গে থাকতে পারবে না। কারণ ভোটের অধিকার নেই, সেসব ঐ নেতার পকেটের লোক যারা কাটমানির ৭৫% এর ভাগ পায় তারা। এই দলের প্রতিটি লোক ঐ কাটমানি তোলাবাজির ভাগ পায় ।দেখলেন হলদিয়ার একটি বিখ্যাত ব্যাটারি তৈরির কারখানা তোলাবাজের দৌরাত্বে বন্ধ হয়ে গেল। সে ভাবেই এরা আপনার সব অধিকার থেকে বঞ্চিত করে দেবে। আবার এটাও ঠিক ভিক্ষা নেওয়া মানে পাঁচ হাজার টাকা মাসে পাওয়ার জন্য নেতার বাড়িতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। কি চান সুস্থ ভাবে বাঁচতে না ভিক্ষারি হয়ে নেতার পা চাটতে। প্রতিবাদ করুন, প্রতিবাদ।
শিক্ষা আর প্রতিষ্ঠানে নয়, পাড়ায় শিক্ষা।
Saturday, 22 January 2022
পশ্চিমবঙ্গরে প্রাথমিক শিক্ষক দের ইনকাম ট্যাক্স!
ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে সকল কে কারণ দেশের উন্নতির জন্য এটি দরকার কিন্তু আমাদের দেশের এই ইনকাম ট্যাক্স ব্যবস্থা বেশ জটিল কারণ বড়ো বড়ো শিল্পপতি তাদের থেকে কম ট্যাক্স দিতে হয়। বাদ যাক এখানে লেখার বিষয়বস্তু সেটা নয়, গত ২০০০ সালের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গরে প্রাথমিক শিক্ষক দের ইনকাম ট্যাক্স এর আওতায় আসে কারণ তাদের ১৯৯৮ সালের রোপার পর বা বেতন কমিশন দেওয়ার পর থেকে তারা এই ইনকাম ট্যাক্স এর মধ্যে প্রথমে তারা নিজেরাই নিজেদের ইনকাম ট্যাক্স এর কাজ করতে পারত এবং ট্যাক্স দেওয়ার হলে নিজের কর ট্রেজারি তে জমা করে রসিদ নিয়ে ডিসবার্সিং অফিসার কে দেখালে সমস্যা থাকত না। কিন্তু সমস্যা দেখা দিল ২০১১ সালের পর থেকে থেকে যেমন করেই হোক করের আওতায় আসার পর ট্যাক্স কাটাবে কে অফিস থেকে যদিও এটাই নিয়ম কিন্তু সে ট্যাক্স আদৌ ঠিক জায়গায় জমা পরল কিনা সেটা সে জানতে পারবে না কারণ তার কাছে কোন রসিদ বা আয় কর অফিসের কোন কাগজ নেই। কেবল গোল গোল একটা ব্যাপার, ফর্ম ১৬ সেটাও ঠিক মত পাওয়া যাবে না, আই টি আর সে তো দূরের কথা। এত গেল বর্তমান রাজ্য সরকারের সুন্দর সুন্দর ব্যবস্থার কথা আরেকটা কথা না বললেই নয়, এখন গোটা ভারত বর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক দের অবস্থা তথৈবচ, বেতন সে ভাবে বাড়ছে না, এর উপর কেন্দ্রীয় সরকারের ইনকাম ট্যাক্স আইন কর যাদের দিতে হবে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড়, দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন একটি অর্থ বর্ষে বেড়েছে, ১৮০০ x ১২ কিন্তু তাকে ইনকাম ট্যাক্স দিতে হচ্ছে ২১৬০ x ১২ অর্থাৎ দুই সরকারের উদ্দেশ্য একটাই যে কোন ভাবে বেতন কম দেওয়া। এক জন কম দিয়েছে তার চাটুকার আছে বলছে বেতন বাড়ালে আরো বেশি ইনকাম ট্যাক্স দিতে হতো। শিক্ষক কিন্তু জানে না কর হিসেবে কাটা টাকা টা আদৌ সঠিক জায়গায় জমা পড়েছে কিনা কারণ কোন কাগজ পত্র নেই বা রসিদ নেই। কি দারুন ব্যবস্থা তাই না।
কোন তলানিতে এসে ঠেকেছে বাঙালির মূল্যবোধ!
পশ্চিমবঙ্গরে বর্তমানে শিক্ষার হার ৭৪ % সর্বভারতীয় হিসেবে এবং শিক্ষিত রাজ্য হিসেবে ২০ তম। শিক্ষায় প্রথম রাজ্যটি হলো কেরল, স্কুল কলেজ বর্তমানে বন্ধ তাতে শিক্ষার হার কমছে না। এটাই বর্তমানে কিছু লোকের গাত্র দাহ যাতে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে মুষ্ঠিমেয় কিছু মানুষের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয় তার জন্য করোনা নামক এক অজুহাত দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে। করোনার অজুহাতে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এমনকি কলেজ পর্যন্ত বন্ধ। আর লেখা পড়া শিখে লাভ নেই, রাজ্যের কোথাও কোন কাজ নেই কেবল শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ানোর ছাড়া আর কিছু নয়। ওর থেকে অশিক্ষা কুশিক্ষা যত বাড়বে তত লাভ, না হলে মাতাল চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী এদের কে স্যার বলে ডাকবে কে। সত্যিই বাঙালি জাতির এত অধপতন ভাবা যায়, চোর ডাকাত চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী কে স্যার, ম্যাডাম বলে সম্বোধন করতে হচ্ছে। একবার ভাবুন যে ছেলে টি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে WBCS বা IAS অফিসার হয়ে চাকরি করছে। সে একজন অর্ধ শিক্ষিত অশিক্ষিত চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী কে স্যার বলে সম্বোধন করছে। আবার ঐ রকম এম এল এ তাকে তুই তোকারি করে কথা বলছে, ভাবা যায় না বাঙালি সংস্কৃতি কত অধপতন হয়ে গেছে। আরেকটা দিক আই পি এস বা WBCS অফিসারদের অবস্থা সে জানে চোর তোলাবাজ মিথ্যাবাদী চিটিংবাজ কিন্তু বাস্তবে দেখা হলেই স্যালুট করতে হচ্ছে বা তাকে পাহারা দিতে হচ্ছে। বর্তমান শিক্ষার হাল কি কারণ অনেক শিক্ষিত মানুষ আছেন যারা এই চোর ডাকাত চিটিংবাজ দের সণ্মানীয় করে তুলেছে। নিজের লেখা পড়া শিখে বেকার চাকরি পাচ্ছে না যাতে অন্য বেকার যুবক যুবতী চাকরি না পায় তার ব্যবস্থাপনা পাকা করতে এই রকম একটা চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী কে সমর্থন করে যাচ্ছে সামান্য কিছু টাকার জন্য। সামান্য কিছু চুরি বা তোলাবাজির টাকার ভাগ বাটোয়ারার জন্য শিক্ষিত বাঙালি সমাজ আজ চোর কে চোর বলতে ভুলে গেছে। বাঙালি জাতির মধ্যে এরকম মানুষ বেশি ছিল বলেই ইংরেজ বাংলা কে প্রথম দখল করে ছিল এবং তার পরে ধীরে ধীরে গোটা ভারত তাদের দখলে আসে। বাঙালি জাতি আজ সত্যিই মেরুদন্ড হীন হয়ে গেছে, চোর কে স্যার বা মহাশয় বলে সম্বোধন করছে। কোন তলানি তে এসে ঠেকেছে বাঙালির মূল্যবোধ।
Friday, 21 January 2022
রেশন নিয়ে প্রহসন ।
এক সময়ে বর্তমান সরকারের এক মাত্র নেত্রী বিরোধী ছিলেন যত্র তত্র আধার কার্ডের ব্যবহার করা নিয়ে। তিনি বলেও ছিলেন সব কিছুতেই আধার কার্ড নয়, নেত্রী ক্ষমতায় আসার সব কিছু ভুলে গেছেন। মনে পড়ছে না, এই কারণেই আজ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতি মাসে স্ব পরিবারে ফুড কর্পোরেশনের অফিসে লম্বা লাইন পড়ে যাচ্ছে আধার কার্ডের সংযুক্তি নিয়ে। অদ্ভুত ব্যপার কারণ, আধার কার্ডের সংযুক্তির পর এক মাস বা দু মাস রেশন তোলার পর হঠাৎ করেই আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেশন দেওয়া। কারণ একটাই রেশন কার্ডের সাথে আধার সংযুক্তি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে, রেশন নিতে গিয়ে লাল দেখাচ্ছে। আবার সেই মানুষ জন কোথায় যাবে ফুড অফিসে লাইন দিচ্ছে। সারাদিন সপরিবারে লাইন দিয়ে যখন অফিসারের কাছে গিয়ে পৌঁছে গেলেন দেখা যাচ্ছে লিংক নেই, বা সার্ভার ডাউন বা অন্য কিছু দেখাতে শুরু করেছে। সে দিনের মত ইতি টেনে আবার পরের দিন ছুটছে, এ সেই ভিক্ষারি থেকেও খারাপ অবস্থা গরীব মানুষের, কারণ সরকারি ওয়েব সাইট বা সার্ভার ওখানে কাজ করা ভগবানের অসাধ্য। বললেই একটা কথা আছে সারা পশ্চিমবঙ্গরে সর্বত্র কাজ চলছে তাই এই অবস্থা। আরে গুগল বা এ্যামাজন বা অন্য কোন বেসরকারি ওয়েব সাইট বা সার্ভার বিশ্বের কোটি কোটি লোক সার্চ করে সাথে সাথে সব কাজ করা যায়। কিন্তু সরকারের সে কেন্দ্রীয় হোক আর রাজ্যের সব দাদার বাবা। আর ঐ আধার লিংক না হলে আর রেশনের জিনিস পত্র দেবে না, কোন ব্যক্তির যে মাস গুলো ঘুরে ঘুরে আধার লিংক করতে পারল না সে সেই মাস গুলো আর রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও রেশন পেল না, তাহলে তার ঐ এক মাসের বা দু মাসের বরাদ্দ গেল কোথায়! আর এই রকম সারা রাজ্যে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ মানুষের সাথে হচ্ছে। আবার একটা বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে চার পাঁচ মাস আঙুলের ছাপ দিয়ে রেশন নেওয়ার পর, সার্ভার বা রেশন দোকান বলে দিচ্ছে এ কার্ড আপনার নয়। অন্য লোকের আবার তাকে নতুন করে আবেদন করতে হচ্ছে নতুন রেশন কার্ড পাওয়ার জন্য। দেখা যাচ্ছে ছিল SPHH হয়ে গেছে RKYS বা উল্টো টা। রেশনের দূর্নীতি বন্ধ করতে গিয়ে আরো বেশি করে ঘাবলা হচ্ছে না তো!
Thursday, 20 January 2022
বুদ্ধিমান করোনা ভাইরাস ।
করোনা ভাইরাস ভীষণ বুদ্ধিমান, তার ভ্রমণ সুচী খুব ভালো। এখন সে বিভিন্ন জায়গায় সপ্তাহে দুদিন বা একদিন করে যাচ্ছে। যেমন বারাপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার, সিঙ্গুরে মঙ্গলবার, কারণ সিঙ্গুর বাজার সোমবার এমনই বন্ধ থাকে এবার করোনার জন্যে মঙ্গলবার বন্ধ থাকছে তাও আবার সিঙ্গুর এক নং পঞ্চায়েত এলাকায়। বর্ধমান শহরে শুনে এলাম ঐরকম সপ্তাহে দু দিন বন্ধ কারন ঐ দু দিন করোনা ওখানে থাকবে। আরও কত গুলো জায়গা আছে সেখানে করোনা মোটেই যাবে না। মদের দোকানে, মেলা, সভা সমিতি, বিয়ের অনুষ্ঠানে ২০০ জনের বেশি লোক হলে তবে যাবে। শিক্ষায় ভীষণ আড়ি স্কুল খোলা হলেই বলেছে পড়তে যাবে। কিন্তু বাচ্চারা মেলায়, ট্রেনে বাসে, কোন অনুষ্ঠান বাড়িতে যাক ওদের ধরবে না, স্কুল খুলে দিলেই ধরবে। করোনা খুব বুদ্ধিমান. কারণ না পড়েই করোনা তৃতীয় শ্রেণিতে উঠে গেছে। বুদ্ধিমান করোনা ভাইরাস ট্রেন কম চলাচল করলে ভীড় বেশি হলে কিছু করবে না। ট্রেন বেশি চলাচল করে ভীড় কম হলেই ট্রেনে উঠবে। বাজারে এই ধরুন সরকারের কাজ যেমন প্রতি মাসে রেশন কার্ডে আধার লিঙ্কের লাইনে, করোনা হবে না। করোনা ভাইরাসের এত বুদ্ধি যে, বলে শেষ করা যাবে না। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।স্কুলটা বন্ধ রাখতে বলবেন কারণ গ্রামের চাষির বেটা অফিসার হলে তাহলে বড় লোকের নাদুস নুদুস ছেলে টি পিছিয়ে পড়তে পারে যে।
Wednesday, 5 January 2022
পাঞ্জাবের কৃষক দের ধন্যবাদ নিউ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রধান কে সেখানে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য।
আজ পাঞ্জাবের কৃষক এবং জন সাধারণ বুঝিয়ে দিলেন ভারতে নিউ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির স্থান নেই। ইংরেজ চলে গেছে কিন্তু তাদের প্রতিনিধি রেখে গেছে এই গুজরাতি দের। ৩৮ না ৩৯ জন ঋণ খেলাপির মধ্যে ৩৭ জন গুজরাতি আর দুজন ব্যবসায়ী মিলে দেশের সমস্ত সম্পদ কিনে নিচ্ছে, ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে কিছু দিন পর ঋণ মুকুব করে দেওয়া হচ্ছে। দারুণ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যেমন ভারতের মানুষকে শোষণ করে টাকার পাহাড় করে দেশে নিয়ে যেত এরা তাই করছে। দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছে, কেউ কেউ বিদেশে সম্পত্তি কিনছে। যেন দেশটা স্বাধীন হয়ে ছিল এই সব লুটেরা দের জন্য। সত্তর বছর ধরে দেশের যা সম্পদ ছিল তার ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ এখন এদের দখলে। মোবাইল নেট ওয়ার্ক দিয়ে দেখুন, সরকারি ব্যবস্থা কে ধ্বংস করতে এই গুজরাতি লুটেরা প্রথম বিনামূল্যে সিম কার্ড কম খরচে ইন্টারনেট কত সুবিধা আর এখন সরকারি ব্যবস্থা প্রায় উঠে এসেছে লাফিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে এমন দাম বাড়িয়েছে প্রতি মাসে রিচার্জ করা কষ্ট কর। ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে উঠে পরে লেগেছে এই ব্যবসায়ীদের দল, যাতে গরীব মানুষের জমান টাকায় ফুর্তি করতে, আর কিছু দিন পর ব্যাঙ্কে লালবাতি জ্বেলে পালিয়ে যাবে। দারুণ মজার ব্যাপার, রেল চলে যাচ্ছে এদের হাতে, কৃষি চলে গিয়েছিল অনেক কষ্টে প্রায় সাতশ কৃষকের প্রাণের বিনিময়ে কৃষকরা তাদের অধিকার ধরে রাখতে পেরেছে। সরকারি ব্যবস্থা ওষুধের কারখানা বা কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিয়ে বেসরকারি হাতে তুলে দিয়েছে ফল স্বরূপ ওষুধের দাম এক লাফে ৫০% বেড়ে গেছে। আমাদের রাজ্যে এক জন বসে এই রকম ইংরেজ বসে আছে তার আবার লুটে খাওয়া অন্য রকম কেবল সরকারি প্রকল্প ঘোষণা করে দেওয়া আর বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে সেই প্রকল্পের নামে লুটেরা বাহিনী কে টাকা দেওয়া সেই টাকার ভাগ বাটোয়ারা আছে ২৫% ৭৫% এটা একদম ঘোষিত। ঋণের বোঝায় জড় জড়িত বাঙালি জনগণ আর এই কোটি কোটি টাকা ঋণ শোধ করতে জনগণের উপর করের বোঝা চাপছে বাড়ছে জিনিস পত্রের দাম। মানুষ খুশি বিনামূল্যে মাসে দু কেজি চাল আর গমে, পাঁচশ টাকা লক্ষী ভাণ্ডারের টাকা পেয়ে। দু কেজি চাল যখন ফুরিয়ে যাচ্ছে বাজার থেকে চাল কিনতে হচ্ছে দাম শুনে চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যাচ্ছে। রান্নার তেল, জ্বালানি গ্যাস, আনাজ, ডাল ইত্যাদি কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে। দারুণ উন্নয়ন হচ্ছে, ২৮ টাকার মহুয়া মদ, আর ১০৫ টাকার পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে। আর এই পেট্রোল যাতে বেশি বিক্রি করতে পারে সে কারণেই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া, আস্তে আস্তে ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে পুরো বন্ধ করে দেওয়া হবে ট্রেন চলাচল। যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে, আর খুলবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ একটাই করে হোক সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া না হলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলবে কি করে? টাকা থাকলে পড়াশোনা না হলে নয়, সেই ইংরেজ আমলের প্রথম দিক জমিদারি শিক্ষা ব্যবস্থা। বাঙালি কিন্তু পারল না বাংলা থেকে এই ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কে তাড়াতে ।এই দেখুন নিউ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রধান কিছুতেই, আম্বানির এক চেটিয়া ইন্টারনেট ব্যবসা কমে যায় চায় না সে কারণেই একটি বেদেশি কোম্পানি কে কিছুতেই আসতে দেওয়া হচ্ছে না। এই খবর টি পড়ে দেখুন ।
Sunday, 2 January 2022
১০০ টাকা চুরি করলে জেল হবে ১০০ কোটি টাকা চুরি করলে মন্ত্রী হবে।
বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি, একশ টাকা চুরি করলে জেলে যেতে হবে, আর একশ কোটি টাকা চুরি করলে মন্ত্রী হওয়া যাবে। পশ্চিমবঙ্গে এখন একশ কোটির চোর বেশি আছে, একশ টাকার চোর আছে, যেমন কালকেই হরিপালে তিন টি দোকানের তালা ভেঙে বা ছাউনি খুলে, চুরি হয়েছে। দোকান গুলো আবার থানা লাগোয়া। কয়েক জন বাসিন্দা বলছেন একটি দোকানে আট শ টাকা চুরি হয়েছে। সেই কারণেই বলা, এত কম টাকা চুরি করলে জেলে যেতে হবে। একশ, দেড় শ কোটি টাকা চুরি করলে মন্ত্রী হবে, জেলে যেতে হবে না। এত ভাল ব্যবস্থা করা আছে এর পরেও চুরি একটু কেবল ডাকাত দলের সাথে পতাকা নিয়ে ঘুরতে পারলেই কেল্লাফতে, টাকাই টাকা কত রকম ভাবে চুরি করতে হয় শিখিয়ে পড়িয়ে নেবে কেবল ভাগ দিতে হবে এই আর কি। আরেকটা উপায় আছে ঋণ নিয়ে শোধ না করা, তবে ঋণ হতে হবে ২৫ থেকে ১০০ হাজার কোটি টাকা তাহলেই ঋণ মুকুব করে দেওয়া হবে, না হলে দেশ ছেড়ে পালাবার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। কিন্তু ২৫০০ টাকা ঋণ নিলে ব্যাঙ্ক ভিটে মাটি চাঁটি করে ছেড়ে দেবে। দারুণ দেশ ভক্তি, দেশটা স্বাধীন হয়েছে তো!
Saturday, 1 January 2022
ভারতের সব রাজ্যের কর্মীদের ডি এ বাড়ে। পশ্চিমবঙ্গ নেই ।
গত ২০১১ সালের আগে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা নিয়ে প্রতিশ্রুতি যে দিন কেন্দ্রীয় সরকার ডি এ ঘোষণা করবে সে দিন থেকেই দিয়ে দেওয়া হবে। ক্ষমতা এলে দেখবেন পে কমিশন গঠন করে সব পাওনা মিটিয়ে দিতে দেরি হবে না। আজ পৃথিবীর সেরা মিথ্যাবাদী রাজ্যের ক্ষমতায়, ভুলে গেছে প্রতিশ্রুতি পে কমিশন সে আর বলে কথা নেই, যত সিনিয়র কর্মী বা শিক্ষক এবং পেনশন প্রাপক কে কীভাবে বঞ্চনা করতে হবে তার পে কমিশন। এই প্রথম সরকারি কর্মী ও শিক্ষক দের পে কমিশন হলো এরিয়া বা বকেয়া এবং ডি এ ছাড়া। এম মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ যে নিজে এবং পরিবারের লোকজন কীভাবে রাজ্যের জনগণের টাকা লুঠ করবে সেটা ভালো রকম জানে কেবল রাজ্যের মানুষ কে পাঁচশ হাজার টাকা ভিক্ষা দাও দুয়ারে সরকার চিটিংবাজ, নিজের এবং পারিষদ দের বছর বছর বেতন বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। কেবল কর্মীদের ডি এ দেওয়ার টাকা নেই, খেলা মেলা, উৎসব সব চলে কেবল বেতন দেওয়ার টাকা নেই। মিড ডে মিলের রান্নার কাজ করে তাদের বেতন, এবং আশা কর্মী দের বেতন, বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা কর্মী এমনকি যারা প্রতি ভোটে ভোট লুঠ করার জন্য নিয়োজিত সেই সিভিক পুলিশ তাদেরও অবস্থা ভালো নেই। সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা পে কমিশনের আগের ৫৬% বাকি আর পে কমিশনের পর নতুন হারে সেখানে বাকি ৪০%। ডি এ না দিয়ে কি প্রমাণ করতে চাইছেন এই রাজ্যে জিনিস পত্রের দাম কম আছে। এই ডি এ না দেওয়ার ফলে মানুষের হাতে টাকার জোগান কমে গেছে, অর্ধেক মজুরি তে মানুষ কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। বাজার অর্থনীততে টাকার যোগান কম সে জন্য ছোট ছোট ব্যবসা দার দের বিক্রি আজ তলানিতে এসে ঠেকে গেছে। পাঁচ শ টাকা ভিক্ষা দিয়ে বাজার চাঙ্গা করা যায়! ভারতের প্রায় সব রাজ্যের সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডি এ দিচ্ছে কেবল পশ্চিমবঙ্গ বাদে। খেলা মেলা পুজোর করার টাকা, চুরির তদন্ত আটকাতে এবং বিগত পে কমিশনের বকেয়া ডি এ না দেওয়ার বা প্রতিটি ক্ষেত্রেই সুপ্রীম কোর্টে মামলা দায়ের করে রেখেছে রাজ্য সরকার কেবল সরকারি কর্মী সহ শিক্ষক দের ডি এ দেবার টাকা নেই। দারুণ সরকার চলছে।
আজব রাজার আজব কাণ্ড।
রবি ঠাকুরের একটা গল্প পড়ে ছিলাম, হবু রাজা গবু মন্ত্রী। শেষের পরিনতী আমরা জানি। বর্তমানে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শাসক দলের দিকে তাকিয়ে দেখুন ঠিক সেই অবস্থা। গত নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি নবম দশম একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে আসার অনুমতি পায়। বেশ ভালো কথা সরকারের শিক্ষার দিকে নজর পড়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ ১৯ মাস বন্ধ। হঠাৎ করে হুগলি জেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ থেকে আদেশ আসে ১ লা জানুয়ারি থেকে ৭ ই জানুয়ারি থেকে, প্রতি দিন শিক্ষক দের বিদ্যালয়ে হাজির থাকতে হবে। কী কী করনীয় তারও ফিরিস্তি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটা বিষয় আছে, ছাত্র ছাত্রী দের অবজার্ভার ভেশসন। কী আজব কাণ্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী নেই আজ প্রায় ১৯ মাস, তার আবার নজরদারি। আরেকটা বিষয় আছে, কী সেটা মডেল এ্যক্টিভিটি টাস্ক দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন চলছে, সেটা জানতে হবে অভিভাবক দের কাছে। এটাই ভালো শিক্ষা ব্যবস্থা এটা প্রমাণ করতে হবে, শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে আসবে ঐ এ্যক্টিভিটি টাস্ক শিক্ষা ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে, যাতে স্কুল না খুলতে হয়।ইতিমধ্যে জানুয়ারি মাসের মডেল এ্যক্টিভিটি টাস্ক দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে সে গুলো প্রিন্ট করে ঐ ১ লা জানুয়ারি থেকে ৭ ই জানুয়ারির মধ্যে দিতে হবে। কেমন আজগুবি ব্যাপার এখন ছাত্র ছাত্রীরা নতুন বই হাতে পেল না অথচ মডেল এ্যক্টিভিটি টাস্ক দিতে হবে। এই ভাবে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করতে আর কি লাগে? যদি প্রতিদিন একটা করে শ্রেণি নিয়ে ও সব শিক্ষক দের নিয়ে বিদ্যালয় খোলা থাকত তবুও ছাত্র ছাত্রী দের বিদ্যালয়ে আসার অভ্যাস থাকত ওসব করলে করোনা হয়ে যাবে। মেলার পর মেলা হয় পৌরসভা, বড়দিন পালন। হাজার হাজার লোক জমায়েত করে ট্রেনে ভীড়ের শেষ নেই কারণ ট্রেনের সংখ্যা কম। আর কেবল করোনা ভাইরাস বলেছে স্কুল খুললেই আমি ধরব। আবার বলছেন মিড ডে মিলের সামগ্রী অভিভাবক দের দিতে হবে। আশ্চর্যের বিষয় হল সিঙ্গুর ব্লকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেওয়ার জন্য চাল সহ অন্যান্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। এখনও জানুয়ারি মাসের চাল ও সামগ্রী কেনার টাকাও আসেনি। দেওয়ার দিন ঘোষণা করা হয়ে গেছে। ১ লা জানুয়ারি থেকে ৭ ই জানুয়ারি মধ্যে এই সামগ্রী দিতে হবে। কী কেমন ভাবছেন রবি ঠাকুরের হবু রাজা গবু মন্ত্রীর কথা মনে পড়ছে না। এর মধ্যে একটা বিষয় পরিষ্কার শিক্ষক দের বিদ্যালয়ে আনতে তবে সেটা কেবল মাত্র প্রধান শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দের। প্রাথমিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কোন মূল্য নেই, কারণ তারা কেবল খেটে যায় কোনো পাওনা গণডা নেই। দীর্ঘ ৭ বছর হলো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ। আজব রাজার গজব কাণ্ড।
হরিপাল মেলার ছবি গুলো দেখে নিন। আর ভাবুন অর্ধেক লোকজন মাস্ক পরে নি।
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...