Anulekhon.blogspot.com

Friday, 21 January 2022

রেশন নিয়ে প্রহসন ।


 এক সময়ে বর্তমান সরকারের এক মাত্র নেত্রী বিরোধী ছিলেন যত্র তত্র আধার কার্ডের ব্যবহার করা নিয়ে। তিনি বলেও ছিলেন সব কিছুতেই আধার কার্ড নয়, নেত্রী ক্ষমতায় আসার সব কিছু ভুলে গেছেন। মনে পড়ছে না, এই কারণেই আজ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতি মাসে স্ব পরিবারে ফুড কর্পোরেশনের অফিসে লম্বা লাইন পড়ে যাচ্ছে আধার কার্ডের সংযুক্তি নিয়ে। অদ্ভুত ব্যপার কারণ, আধার কার্ডের সংযুক্তির পর এক মাস বা দু মাস রেশন তোলার পর হঠাৎ করেই আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেশন দেওয়া। কারণ একটাই রেশন কার্ডের সাথে আধার সংযুক্তি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে, রেশন নিতে গিয়ে লাল দেখাচ্ছে। আবার সেই মানুষ জন কোথায় যাবে ফুড অফিসে লাইন দিচ্ছে। সারাদিন সপরিবারে লাইন দিয়ে যখন অফিসারের কাছে গিয়ে পৌঁছে গেলেন দেখা যাচ্ছে লিংক নেই, বা সার্ভার ডাউন বা অন্য কিছু দেখাতে শুরু করেছে। সে দিনের মত ইতি টেনে আবার পরের দিন ছুটছে, এ সেই ভিক্ষারি থেকেও খারাপ অবস্থা গরীব মানুষের, কারণ সরকারি ওয়েব সাইট বা সার্ভার ওখানে কাজ করা ভগবানের অসাধ্য। বললেই একটা কথা আছে সারা পশ্চিমবঙ্গরে সর্বত্র কাজ চলছে তাই এই অবস্থা। আরে গুগল বা এ্যামাজন বা অন্য কোন বেসরকারি ওয়েব সাইট বা সার্ভার বিশ্বের কোটি কোটি লোক সার্চ করে সাথে সাথে সব কাজ করা যায়। কিন্তু সরকারের সে কেন্দ্রীয় হোক আর রাজ্যের সব দাদার বাবা। আর ঐ আধার লিংক না হলে আর রেশনের জিনিস পত্র দেবে না, কোন ব্যক্তির যে মাস গুলো ঘুরে ঘুরে আধার লিংক করতে পারল না সে সেই মাস গুলো আর রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও রেশন পেল না, তাহলে তার ঐ এক মাসের বা দু মাসের বরাদ্দ গেল কোথায়! আর এই রকম সারা রাজ্যে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ মানুষের সাথে হচ্ছে। আবার একটা বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে চার পাঁচ মাস আঙুলের ছাপ দিয়ে রেশন নেওয়ার পর, সার্ভার বা রেশন দোকান বলে দিচ্ছে এ কার্ড আপনার নয়। অন্য লোকের আবার তাকে নতুন করে আবেদন করতে হচ্ছে নতুন রেশন কার্ড পাওয়ার জন্য। দেখা যাচ্ছে ছিল SPHH হয়ে গেছে RKYS বা উল্টো টা। রেশনের দূর্নীতি বন্ধ করতে গিয়ে আরো বেশি করে ঘাবলা হচ্ছে না তো! 

সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কাছে আমার আবেদন, আপনি পারেন আপনার এই হয়রানি বন্ধ করতে। আন্দোলনে নামুন, জোর দার আন্দোলন না হলে আপনার পাওনা খাদ্য সুরক্ষার রেশনের জিনিস পত্র, ভুতের পেট ভর্তি হবে। যদি সেটা না চান তাহলে এখুনি এই হয়রানি বন্ধের জন্য রাস্তায় নামুন। জ্যোতি বসুর সেই বিখ্যাত কথাটা মনে পড়ছে না, মানুষ শেষ কথা বলে, মানুষ ইতিহাস রচনা করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছেন না, এখন বিভিন্ন জায়গায় নেতা দের চোর বলে তাড়া করছে। প্রতিবাদ করুন না হলে এ হয়রানি বন্ধ হবে না। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...