Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 22 January 2022

পশ্চিমবঙ্গরে প্রাথমিক শিক্ষক দের ইনকাম ট্যাক্স!

 

ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে সকল কে কারণ দেশের উন্নতির জন্য এটি দরকার কিন্তু আমাদের দেশের এই ইনকাম ট্যাক্স ব্যবস্থা বেশ জটিল কারণ বড়ো বড়ো শিল্পপতি তাদের থেকে কম ট্যাক্স দিতে হয়। বাদ যাক এখানে লেখার বিষয়বস্তু সেটা নয়, গত ২০০০ সালের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গরে প্রাথমিক শিক্ষক দের ইনকাম ট্যাক্স এর আওতায় আসে কারণ তাদের ১৯৯৮ সালের রোপার পর বা বেতন কমিশন দেওয়ার পর থেকে তারা এই ইনকাম ট্যাক্স এর মধ্যে প্রথমে তারা নিজেরাই নিজেদের ইনকাম ট্যাক্স এর কাজ করতে পারত এবং ট্যাক্স দেওয়ার হলে নিজের কর ট্রেজারি তে জমা করে রসিদ নিয়ে ডিসবার্সিং অফিসার কে দেখালে সমস্যা থাকত না। কিন্তু সমস্যা দেখা দিল ২০১১ সালের পর থেকে থেকে যেমন করেই হোক করের আওতায় আসার পর ট্যাক্স কাটাবে কে অফিস থেকে যদিও এটাই নিয়ম কিন্তু সে ট্যাক্স আদৌ ঠিক জায়গায় জমা পরল কিনা সেটা সে জানতে পারবে না কারণ তার কাছে কোন রসিদ বা আয় কর অফিসের কোন কাগজ নেই। কেবল গোল গোল একটা ব্যাপার, ফর্ম ১৬ সেটাও ঠিক মত পাওয়া যাবে না, আই টি আর সে তো দূরের কথা। এত গেল বর্তমান রাজ্য সরকারের সুন্দর সুন্দর ব্যবস্থার কথা আরেকটা কথা না বললেই নয়, এখন গোটা ভারত বর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক দের অবস্থা তথৈবচ, বেতন সে ভাবে বাড়ছে না, এর উপর কেন্দ্রীয় সরকারের ইনকাম ট্যাক্স আইন কর যাদের দিতে হবে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড়, দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন একটি অর্থ বর্ষে বেড়েছে, ১৮০০ x ১২ কিন্তু তাকে ইনকাম ট্যাক্স দিতে হচ্ছে ২১৬০ x ১২ অর্থাৎ দুই সরকারের উদ্দেশ্য একটাই যে কোন ভাবে বেতন কম দেওয়া। এক জন কম দিয়েছে তার চাটুকার আছে বলছে বেতন বাড়ালে আরো বেশি ইনকাম ট্যাক্স দিতে হতো। শিক্ষক কিন্তু জানে না কর হিসেবে কাটা টাকা টা আদৌ সঠিক জায়গায় জমা পড়েছে কিনা কারণ কোন কাগজ পত্র নেই বা রসিদ নেই। কি দারুন ব্যবস্থা তাই না। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...