Anulekhon.blogspot.com

Sunday, 23 January 2022

শিক্ষা আর প্রতিষ্ঠানে নয়, পাড়ায় শিক্ষা।



 শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১ বছর ১০ মাস হলো বিদ্যালয়  রেশনের দোকানে পরিনত হয়েছে। আসলে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সব হবে কিন্তু কিছুতেই বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন করানো হবে না। মেলা খেলা, বিভিন্ন অনুষ্ঠান উৎসব সব হবে কিন্তু বিদ্যালয় খোলা যাবে না। অজুহাত সামনে হাজির করোনা, সরকার পোষিত সংগঠনের শিক্ষক দের জন্যে ভীষণ ভালো খবর কারণ বসে বসে বেতন পাচ্ছেন কিছু করতে হচ্ছে। তৃণমূল দলের শিক্ষক বা নেতার বাড়ির সাথে কিম্বা মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে সে তো বিরাট নেত্রী। এরা কেউ কেটা, এরা এমন শিক্ষক ভাবুন আজ ২৩/১ এরা স্কুলে হাজির নেই, এরা নাকি শিক্ষক পাড়ায় গিয়ে পড়াবে। এদের বসে বেতন পেলেই হলো, বিদ্যালয় খোলা থাকলে ক্লাসে যেতে চায় না, পড়ানো সেতো দূরের কথা। যদিও ক্লাসে যায় মোবাইল নিয়ে ফেসবুকে ব্যস্ত বা অন্য কিছুতে ব্যস্ত হয়ে পরে। একজন ছাত্র বা ছাত্রী কে বলে দেয় সে অন্য ছাত্র ছাত্রী দের কাজ দেখে নেয় পড়া নেয়। এই শিক্ষক কুল পাড়ায় গিয়ে পড়াবে। বিদ্যালয় খোলা থাকলে দেরিতে এসে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরে। এত ছাত্র আমি পড়াতে পারব না বলে অফিসে এসে বসে থাকে, তারা নাকি পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ছাত্র দের পড়ানোর দায়িত্ব নেবে। পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়, আসলে এই সরকারের ইচ্ছা নেই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকুক সরকার চাইছে যাতে এই প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ করে দেওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গে এই প্রাথমিক বিদ্যালয় বেশি সে গুলো কমিয়ে আনা যায় তত ভালো তাতে শিক্ষক কম লাগে, টাকা খরচ করতে হবে না। মিড ডে মিল থেকে সব বন্ধ যেমন গত বছর পোশাকের টাকা কেবল প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিতে ভর্তি ছাত্র ছাত্রী দের দেওয়া হয়েছে। অথচ বয়স অনুযায়ী প্রতি টি শ্রেণিতে নতুন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করা হয়েছে তারা পেল না। বিদ্যালয় খুলে দিলেই মিড ডে মিলের খরচ বাড়ে আর বন্ধ থাকলে কমে কারণ ওখানে কাটমানি কম কেবল ভাতা আর শ্রী আর রাস্তা তৈরির ওখানে কাটমানি বেশি। একশ দিনের কাজ কাটমানি বেশি। শিক্ষায় খরচ করে লাভ নেই, লেখা পড়া শিখে চাকরি চাইবে, বর্তমান দুই সরকারের নিয়োগের ব্যাপারে অনীহা প্রচণ্ড পাঁচ ছয় হাজার টাকার মাসে দিয়ে যদি কাজ হয়ে যায়। আর দলের কর্মী তথা চোরের দালাল গুলো কে ঐ টাকা দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার জন্য নিয়োগ দেওয়া। সেখানেও তোলা বা ঘুষ আছে ঐ রেশনের আধার কার্ডের লিংক করা। রেশন ব্যবস্থা কে ধ্বংস করতে উঠে পরে লেগেছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের সরকার ঠিক সেই রকম ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করতে উঠে পরে লেগেছে প্রায় দু বছর হতে চলল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে আর এখন পাড়ায় শিক্ষালয় নামে শিক্ষা কে ধ্বংস করতে চাইছে। আসুন সকলে মিলে প্রতিবাদে সামিল হই, শিক্ষা এ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষা বা অন লাইন শিক্ষা বন্ধ করতে এখন থেকে প্রতিবাদ না করলে এই সরকার একটা প্রজন্ম কে মুর্খ করে তুলবে। করোনার অজুহাতে বাচ্চাদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রতিদিন একটা করে শ্রেণি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যায় না এসব চিন্তা ভাবনা নেই, একটা অবাস্তব চিন্তা ভাবনা পাড়ায় শিক্ষালয়। পাড়ায় শিক্ষালয় নাকি বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে করা যাবে কিন্তু বিদ্যালয় খোলা যাবে না। ছাত্র ছাত্রীরা খোলা আকাশের নিচে বসবে, প্রসাব পায়খানা করতেও বিদ্যালয়ে প্রবেশের অনুমতি নেই। আমার জানা নেই কার মাথা থেকে এইসব উদ্ভট বুদ্ধি এলো, পশ্চিমবঙ্গরে শিক্ষা মন্ত্রী সে তো শিক্ষা জানে না, সব দিদি জানে। আরেকটা বিষয় বলছে পাড়ার শিক্ষায় অন্য স্কুলের বাচ্চাদের আসতে দিতে হবে। আমি জানি না এটা কি কেবল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য নয়! গাঁজা খোর প্রশাসন জানে না এমন অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে যেখানে সারা ব্লক থেকে এমনকি অন্য ব্লক থেকেও ছাত্র ছাত্রী আসে, কেবল বিদ্যালয়ের সুনামের জন্যে বা সাথে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে বলে তারা কেন অন্য বিদ্যালয়ের পাড়ায় শিক্ষা নিতে যাবে। আবার অনেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী আছে তারা কোথায় যাবে? যে সব প্রাথমিক ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা বেশি সেখানে প্রতিদিন একটা করে শ্রেণির  পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা যেত। এই সব কথা এরা শুনবেন না, যেমন করে হোক এই তুঘলকি সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে, মাটিতে বসে রোদ জল মাথায় নিয়ে করতে হবে। সত্যিই আজব রাজার দেশে আমরা বাস করছি। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...