Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 31 December 2020

সাহসী ছাত্র ছাত্রী দের আমার কুর্নিশ।


 এখানে এই ছবিটি একটি ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া, এখানে এক দল সাহসী ছাত্র ছাত্রী, শাসক দলের মিছিলের পাশে দাঁড়িয়ে, শ্লোগান দিচ্ছে, ওয়ান টু থ্রি ফোর, তৃণমূলের সব চোর। চাল চোর, ত্রিপল চোর, কাটমানি খোর, তৃণমূলের সব চোর। আমি একজন শিক্ষক, ওদের এই সাহস আর স্পর্ধা কে কুর্নিশ জানাই, যে কথা অনেক শিক্ষিত মানুষ বলতে পারেন না। চোরের দল থেকে চোর হয়ে যায়, অধ্যাপক থেকে উকিল সবাই। মিথ্যার ফুলঝুড়ি ছোটে, ভুল বকে মানুষ কে বিভ্রান্ত করে তবুও সেই সব মহান শিক্ষিত মানুষ চুপ করে থাকে। সেই বাংলায় দাঁঁড়িয়ে তোদের মত ছাত্র ছাত্রীর এই সাহস কে প্রশংসা করে ছোট করতে চাই না। আমি তোদের কুর্নিশ করি, তোদের হাত ধরেই আসে মুক্তি সেই স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকেই স্বাধীনচেতা, স্পট বাদী প্রতিবাদী ছাত্র ছাত্রীদের হাত ধরে আসুক এই ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি। মিথ্যার ফুলঝুড়ি আর চুরি এবং সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সমগ্র ভারতের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, বাঙালির মাথা   হেঁঁট হয়ে যাচ্ছে। এই সব ভদ্র চোরে দের কোন হুঁশ নেই, চোরের দলের নেতা কর্মী মন্ত্রী এদের গলার জোর এবং ক্ষমতার জোরে বিচার ব্যবস্থা কে চুপ করিয়ে রাখা এদের কাজ। সাধারণ ভোটার কি করে কেউ ছিঁচকে চোর ধরে পেটায় আর এই সব ভদ্র ডাকাত কে ভোট দিয়ে জিততে সাহায্য করে। যাতে আরো বেশি করে চুরি করতে পারে, ২০০ টাকা মজুরি পেত সেরকম নেতা আজ ২০০ কোটি টাকার মালিক। সত্যিই আমরা সেই বাঙালি ভাবতে লজ্জা লাগে, যে বাঙালি একদিন গোটা ভারত কে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে সশস্ত্র বিপ্লবে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিল, মাস্টার দা সূর্য সেন, বিনয় বাদল দিনেশ ক্ষুদিরাম বোস সুভাষচন্দ্র বোস আরও অনেক বলে শেষ করা যাবে না। সেই বাঙালি আজ চোর ডাকাতের সেবা করছে,আর চোর তাড়িয়ে চরম মিথ্যাবাদী বাঙালি বিদ্বেষী এক দল লোক কে ডেকে আনতে চলেছে এই বাংলায়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তোদের এই সাহস আমাকে মুগ্ধ করে দিয়েছে। আজ মনে হচ্ছে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ছাত্র দলের গান কবিতার স্তবক গুলো কতটা প্রাসঙ্গিক, তোরা ভালো থাকিস। 

Tuesday, 29 December 2020

বাংলায় আজও মিজাফরেরা আছে ।


 ভারত বর্ষ এখন কালো ইংরেজদের দখলে, এদের হাত থেকে মুক্তি পেতে মানুষের লড়াই চলছে। দেশের অন্নদাতারা  দিল্লির হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বসে আছে। কারণ তাদের চাষ করা এবং চাষ করে ফসল বিক্রি করার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এক কালা কানুন তৈরি করে, এর বিরুদ্ধে সারা দেশে অন্ননদাতারা আজ পথে নেমে আন্দোলন করছে। দিল্লির দুই ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ দুই ব্যক্তি নিজেকে সর্ব শক্তিমান ভেবে নিয়ে দেশের খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষক কে মানুষ বলে মনে করে না। এত বড়ো অসভ্য অভদ্র মানুষ যাদের মানুষ বললে. রাস্তার  সারমেয়র দল লজ্জা পায়। এহেন অসভ্য জানোয়ার গুলো কে বাংলায় ডেকে আনছে এক দল বাঙালি এই বাঙালির দল বা লোক গুলো হলো আজকের মিরজাফরের দল। অমিত শাহ আর মোদী চরম বাংলা বিদ্বেষী মুখে একদম গদগদ অন্তরে অন্তরে জ্বলে ওঠে কারণ একটা দেশের স্বাধীনতা. আন্দোলন এখান থেকে শুরু হয়েছিল। ওরা মানে গুজরাতিরা সব সময়ে ইংরেজ দের দালালি করে গেছে। অনেকেই বলবেন কেন গান্ধীজি, গান্ধীর ভূমিকা অনেকেই জানেন না সে কারণেই বলেন তিনি সব সময় চাইতেন ওখান কার মারোয়ার ব্যবসায়ীরা যাতে ইংরেজের সাথে সমান ভাবে ব্যবসা করার সুযোগ পায়। সেই কারণেই ডাণ্ডি না  ঠাণ্ডি অভিযান। অনেকেই জানেন না অসহযোগ আন্দোলন প্রথম শুরু করে হয়েছিল এই বাংলা ভাগ কে কেন্দ্র করে সেটা গান্ধী সারা ভারতে করার জন্য আহ্বান জানান, কিন্তু অসহযোগ আন্দোলন যখন চরম পর্যায়ে ইংরেজ সরকার আন্দোলন কিছুতেই থামাতে পারছে না, সেই সময়ে একটি ছোট ঘটনা ( চৌরিচোরা থানায় আগুন) দেওয়া কে কেন্দ্র করে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। উনি নানা রকম ভাবে ইংরেজ কে সাহায্য করে গেছেন, ধর্মের নামে দেশ ভাগের পক্ষে ছিলেন কি না জানি না, তবে বাংলা আর পাঞ্জাব ভাগে ওনার ভালো লেগেছে। বিশেষ করে তৎকালীন উত্তর ভারতের কিছু কংগ্রেস নেতার কারণ বাঙালি জাতির আন্দোলন সে সশস্ত্র হোক কিংবা যে কোন বিষয়ে গান্ধীজি দেখেছেন, তার সাথে পাঞ্জাব ছিল, ইংরেজ মনে মনে প্রাণে চাইত ভারতের এই দুটি জাতি কে ধ্বংস করে দিতে। আগুনে ঘি দিয়ে স্বাধীনতার দেওয়ার সময় গদির লোভে মুসলিম লীগ আর হিন্দু মহাসভার নেতারা ধর্মের নামে ভারত ভাগ করে ছিলেন। সেই হিন্দু মহাসভার একটা প্রতিষ্ঠান পরে নাম হয় আর এস এস আর এদের ক্ষমতা শীল দল হচ্ছে বিজেপি। এরা জানে বাঙালি জাতির ঐক্য ভেঙে দিতে পারে তাহলে তারা আবার গোটা ভারত কে লুট করে খেতে পারবে। ব্যবসার নামে, শিক্ষিত বাঙালি জানে বর্তমানে যে আঠাশ জন ব্যবসায়ী, ব্যবসা করার নামে ঋণ নিয়ে শোধ না করে বিদেশে চলে গেছেন, তার মধ্যে ২৪ জন গুজরাতি সেই সব টাকা জন গনের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে আদায় করছে এই গুজরাতি সরকার। এখন দিল্লির সরকার ভারতের সরকার নয় গুজরাতি সরকার, যে সরকার তার রাজ্যের ব্যবসায়ী কে ঋণ দেয় সেই টাকা পার্টি  ফাণ্ডে আসে, চলে নানা বিঞ্জাপন, কিছু দিন পর ঋণ মাপ করে দেওয়া হয়। আর যাতে এই গুজরাতি ব্যবসায়ীর দল ঠিক ভাবে লেবার পায় সেই কারণেই এন আর সি সি এএ ইত্যাদি করে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ কে ডিটেশন ক্যাম্প করে রেখে দেওয়া সেখান থেকে শ্রমিক যাবে কম মজুরি বা বিনা পয়সার চাকর। যেমন গুজরাতে ট্রাম্প আসার আগে যা পাঁচিল তুলে ঢেকে দিতে হয়েছে। আমি জানি না বাঙালির ভাগ্যে কী আছে একদল চোর তোলা   বাজ আর একটা চরম মিথ্যাবাদী অর্থলোভী ক্ষমতালোভী মহিলার জন্য আজ বাঙালি অন্দরে প্রবেশ করতে পারছে এই রকম, দুই অসভ্য শাসক, যারা খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কে মানুষ বলে মনে করে না। এরা ক্ষমতার দম্ভে এতটাই অন্ধ হয়ে গেছে, সেটা বোঝা গেছে এই মহামারীর সময়ে কর্পোরেটের বা ধনীর দালাল এই শয়তান আজ ক্ষমতায় আরে সব যদি দেশের মানুষের ভালোর জন্য করে থাকিস তাহলে নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে ঘুরিস কেন? মানুষের উপকার করলে ভয় কীসের, আসলে নিজের আখের গোছানো এদের লক্ষ, বাংলার দিদি এবং ভাইপো এবং তাদের দলের নেতা মন্ত্রীরা মানুষের এতো ভালো করেছে মানুষের সাথে মিশতে ভয় পায়, নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে ঘোরে দেখ আমি কত বড়ো নেতা। একটা বিষয়ে ভেবে পাই না, কোন মহে মানুষ এই চোরে দের মিছিলে হাঁঁটে, ছি: ছি:। বাঙালির লজ্জা এই দিদি আর তার দলের লোক জন একটাও যদি ভালো হতো বলা যেত সব কটা চোর এবং এখন চুরি করে সি বি আই তদন্ত থেকে বাঁঁচতে দাদার মানে মোদী আর ভারতের সব থেকে শয়তান ব্যক্তি বাঙালি বিদ্বেষী অমিত শাহর পিছনে পিছনে ঘুরছে। আমি খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ গুলো কে বলছি যদি ক্রীতদাসে পরিনত না হতে চাও আবার সেই ভুট্টা মাইলো এবং কুত্তার মতো ছুঁঁড়ে দেওয়া কটি বাসি রুটি না বা যবের আটা না খেতে চাও তাহলে এই দিদি আর মোদী কে বাংলা থেকে হঠাও। 

Monday, 21 December 2020

শিক্ষা আজ কাঁচের ঘরে বন্দি।


 আজ দেশ মহামারীর সম্মুখীন সমগ্র দেশের সাথে পশ্চিমবঙ্গগে এই মহামারী হানা দিয়েেছে আজ থেকে নয় মাস আগে। চার ঘন্টার নোটিশে বন্ধ হয়ে গেছে গোটা দেশ, অর্থাৎ লক ডাউন, দিদি অবশ্য তার এক সপ্তাহ আগে স্ককু কলেজ বন্ধ করে রাখার নোটিশ দিয়ে ছিলেন। সেই বন্ধ হয়ে গেছে আর সরকারের কোন আদেশ নেই, খোলার বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার, আন লক পর্ব শুরু হয়েছে, সব খুলে দেওয়া হচ্ছে কেবল বিদ্যালয় খোলার প্রয়োজন নেই। সরকারি কোন পরিকল্পনা নেই, খোলার সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে বেসরকারি বিদ্যালয় বাড়বে। এর মধ্যেই বিভিন্ন কর্ম কাণ্ড চলছে বিদ্যালয় গুলো মাসে মাসে মিড ডে মিল এর চাল আলু বিতরণে করা। আর বাংলা শিক্ষা পোর্টাল যে    ওয়েভ সাইট টি প্রোভাইড করে  যে কোম্পানি তার চরণে শত কোটি প্রণাম, সত্যিই শিক্ষক জব্দ করার জন্য ওটা বানান হয়েছে। অদ্ভুত একটা ব্যাপার হচ্ছে এখন, বিদ্যালয়ের শেষ শ্রেণীটির কেবল টি, সি আউট করা যাবে, অন্য শ্রেণির নয় এদের ধারণা বিদ্যালয় থেকে কেবল শেষ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা টিসি নেয় অন্য কোন শ্রেণির ছাত্র ছাত্রী নিতে পারে না! আবার শুনলাম বিভিন্ন জেলা বিভিন্ন ভাবে খুলছে এই সাইট উত্তর ২৪পরগনার এক শিক্ষক বলছেন ওনার জেলায় টি সি আউট এবং টি সি ইন দুটোই হচ্ছে। আমার জানা নেই এরকম হয় কিনা? একই ওয়েভ সাইট দুই জেলায় দু রকম কাজ। ডিসেম্বর মাসে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করার জন্য বলা হয়েছে, কিন্তু ঐ সাইটে নাম নথিভুক্ত করা যাবে না। এই সাইট যারা নিয়ন্ত্রণ করেন একটা অদ্ভুত ব্যপার সেদিন দেখলাম মায়ের নাম উধাও কিভাবে হলো বোঝা যাচ্ছে না। কারণ মায়েে নাম বাধ্যতামূলক দিতেই হবে না হলে সেভ করা যায় না। সেই মায়ের নাম বা বাবার নাম ওখানে নেই, আসলে ঐ শিক্ষক কে জব্দ করতে হবে তার একটা ব্যবস্থা, কাঁচের ঘরে বসে আর কাজ নেই কেবল ফন্দি আঁটছে কি করে শিক্ষক দের জব্দ করা যায়। 
এবার আসুন বই এর কথায়, বলা হচ্ছে গত ২০২০ সালের বাংলার শিক্ষা পোর্টালের ছাত্র সংখ্যা দেখে বই দেওয়া হবে। অর্থাৎ গত ২০২০ জানুয়ারি তে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিতে যত জন ভর্তি হয়ে ছিল ঠিক তত গুলো বই দেওয়া হবে এবারও, আর প্রথম শ্রেণীর ক্ষেত্রেও একই এবার দু এক বা তার চেয়ে বেশি ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হলে বই পাওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে কাঁচের ঘরের বেশি বুদ্ধিমান লোক গুলো বলছেন ছাত্র তো কমে বাড়ে কি করে? এমন কিছু বিদ্যালয় আছে যেখানে বেসরকারি স্কুল থেকে এসে প্রাক প্রাথমিক ও প্রথম ও অন্যান্য শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। ঐ ছাত্র ছাত্রী দের বাড়তি বই দেওয়া যাবে না। কারণ তারা মানে কাঁচের ঘরের বুদ্ধিমান লোক গুলোর বক্তব্য বেসরকারি বিদ্যালয় হয় কি করে সরকার এত সুযোগ দিচ্ছে। দারুণ বুদ্ধিমান কারণ টা আমি একটু বলি ওখানে তিন বছরে ভর্তি করা হয়, নার্সারি, কেজি ওয়ান, কেজি টু, কোথাও চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত আছে আসুন সিঙ্গুর ব্লকে দেখে যাবেন। এই চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত যে বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়ানো সেখানে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে বেসরকারি বই এর পাশাপাশি সরকারি বইও পড়ানো হয়। বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসে অভিভাবকরা। এই বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা পাশের উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি ভর্তি হতে পারে, কিন্তু পাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী দের লটারি করে ভর্তি করা হয়। এই সব বিদ্যালয় তৈরি হয়েছে, সরকারি ভুল শিক্ষা নীতির কারণে, ১) এক দিন কম হলে প্রাক প্রাথমিক বা অন্য শ্রেণিতে ভর্তি করা যাবে না। (কেবল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বাদে) বাবা মা কে দিন দেখে ছেলে মেয়ে জণ্ম দিতে হবে, তারিখটা যেন ৩১/ ১২ হয়। ২) বই, প্রাক প্রাথমিকের কাটুম কুটুম আর মজারু, যাতে পড়ার বা শেখার মত কিছু নেই, আর আমার বই ওতো ফালতু না আছে ঐ বয়স অনুযায়ী বাংলা না আছে অঙ্ক, যে ইংরেজি আছে শেখার বা শেখানোর মতো নয়। কেজি টু থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে  যে বই তারা পড়ে অর্থাৎ আমার  বই ওর থেকে ভালো কিছু   শিখে আসে কেজি টুতে। তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণীর জন্য অঙ্ক বাাংলা    ইংরেজি, যেভাবে ইংরেজি তৃতীয় শ্রেণিতে আছে ও এই গ্রামের অর্ধেকের বেশির ভাগ ছাত্র ছাত্রী পড়তে পারে না, কারণ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে সে ভাবে ইংরেজি পড়ানোর ব্যবস্থা নেই তাই। এতো গেলো বই এর পর    আছে শিক্ষক দের পড়ানোর আন্তরিকতার অভাব সব. শিক্ষক চায় প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিতে পড়াতে কারণ কিছু পড়ানোর নেই মূল্যায়ন করতে হবে না। এই লক ডাউনে আন লক ডাউনে কত জন প্রাথমিক শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন খোঁজ নিয়ে দেখুন, আর কত জন হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপে আছেন এবং ছাত্র  দের একটা পাতা পড়ানোর জন্য ঐ গ্রুপে দিয়েছেন। তাদের একটাই কথা সরকারি আদেশ নেই। তাহলে তিন নম্বর কারণটা বুঝতে পারছেন আপনাদের কাঁচের ঘরে বসে থেকে শিক্ষা পরিচাালনা। আর বলেছেন না এতো কিছু দিচ্ছে  সরকার  ঠিক কথা, ২০২০ সালের পোশাক এখনও অনেক বিদ্যালয়ে পৌঁছয় নি অথচ চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা অন্য উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গেছে। কাঁচের ঘরে বসে শিক্ষা নীতি বানালেে যা হয়। রাজ্যের সব খুলে দেওয়া হচ্ছে কেবল বিদ্যালয় বাদে। বলুন তো রাজনৈতিক দল গুলো মিটিং মিছিল করতে পারেন অর্ধেক নেতা ও সমর্থকদের মুখে মাস্ক নেই, দূরত্ব মানা নেই। কেবল বিদ্যালয়় খুললে করোনা  যাবেে ।আসলে পরিকল্পনার অভাব, কারণ মিড ডে মিল বসে না খাওয়ার ব্যবস্থা করে যেমন দেওয়া হচ্ছে দিয়ে, ছাাত্র ছাত্রী সংখ্যা অনুযায়ী দুবেলা বিদ্যালয় খোলা যায়। আসলে শিিক্ষা আজ কাঁচের ঘরে বন্দি হয়ে আছে। সেখান থেকে নির্দেশ ঐ ওয়েভ সাইট যে প্রধান শিক্ষকের মরা বাপ শশ্মান থেকে উঠে এসেও খুলতেে পারে না। সে রকম একটা সাইট   করে এই করুণ ঐ করুন নির্দেশ দেন। আসলে ও গুলো প্রধান শিক্ষক কে জব্দ করার জন্য তৈরি করা বা আদেশ  দেন। জানেন বেশির ভাগ প্রধান শিক্ষক নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির লোক এরা বামপন্থী এদের জব্দ করতে হবে। আর যারা ছাাত্র ছাত্রী দের সাথে যোগাযোগ রাখতে চান না, হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপে আসতে চান , এমনকি মিড ডে মিল বিলির করার জন্য বিদ্যালয়ে আসেন না তারা    তৃণমূল শিক্ষা সেলের সদস্য সেই কারণেই তাদের পড়ানোর আদেশ দেন না। এই জন্যেই বেশ কিছু বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা কমে যাচ্ছে। একদম ঠিক বলেছেন, আর  যে বিদ্যালয়ে বাড়ছে জেনে রাখুন সেখানে একজনও ঐ বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাস করে এরকম শিক্ষক আছেন, সেই কারণেই তার চেষ্টার ত্রুটি  নেই আর ঐ সব বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষার প্রসার চাইলে শিক্ষা কে কাঁচের ঘরে বন্দি করে রাখবেন না। 

Saturday, 19 December 2020

পুলিশ সাধারণ মানুষের জন্য!


 আমি জানি না আমার লেখা কত জন পড়বেন, তাদের মনে প্রশ্ন হতেই পারে, শিরোনাম এক আর ছবি ফোনের। আজকের লেখাটা এই হারানো বা চুরি যাওয়া ফোন ফিরে পেতে পুলিশের ভূমিকা। যদিও আজ কাল পুলিশ বেশি ব্যস্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলেই, তাদের লাঠিপেটা করা বিরোধী দলের নেতা কর্মী দের মিথ্যযা মামলা দেওয়া। সাধারণ মানুষ কে ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া, যাতে মানুষ পুলিশ কে ভয় পায়। আমি ইতিহাসে পড়েছি ইংরেজ আমলে পুলিশের এই ভূমিকা ছিল, এবং দেশ স্বাধীন হবার পরও এই রাজ্যের পুলিশ জনগণের উপর নানা অত্যাচার করত। কারণ আমি ছোট বেলায় শুনেছি, মা তার শিশু কে ঘুম পারাবার জন্য একটা গান গাইত, এবং মাঝে মাঝে বলত ঘুমিয়ে পড় না হলে পুলিশ আসবে। বাচ্চা না খেতে চাইলে বলত এখুনি পুলিশ আসবে তোকে ধরে নিয়ে যাবে। বর্তমানে এই রকম হয়ে যাচ্ছে পুলিশের ভূমিকা, ইংরেজ আমলেও ঘুষ দিয়ে কাজ করাতে হতো। এখনও সে অভ্যাস আছে কারণ ইংরেজ শাসনের শুরু হয়েছিল এই বাংলা থেকে সেই কারণেই অভ্যাসটা যায়নি। 
এবার আসি ঐ ফোনের কথায়, গত 25/11 / 2020 তারিখ বিকেলে , ছোট ছেলেটি ফোনটি নিয়ে বেড়িয়ে ছিল, সন্ধ্যার মধ্যে সে ফোনটি হারিয়ে বাড়ি আসে। সন্ধ্যা বেলায় আমি পাড়ার এক জন কে নিয়ে থানায় যাই, G. D করার জন্য, এবার গিয়ে আমার খুব ভালো লাগলো, দেড় ঘণ্টা পরে আমার ডাক আসে, শুরু হয় জিজ্ঞাসা কেন কি করতে বলার পর শুনি আপনি ফোন চান না সিম। একটা বিশেষ ফর্ম পূরণ করতে বলেন, সেই ফর্ম টি দুবার তিন বার বলার পর খুঁজে বের করে দেন। সেটা পূরণ করে জমা দিতে আরও আধ ঘণ্টা। সেখানে আমার আরেকটা নম্বর নেওয়া হয়, খুঁজে পেলে জানাবেন বলে। যাহোক আজ পর্যন্ত কিছু জানি না, আদৌ কিছু করেছেন কি না? আবার আজ আরেক জন বন্ধু শুনে বললেন ও দামি খুঁজে পেলেও পুলিশ ফেরত দেবে না। তিনি এটাও বলেন I.M.E. I নম্বর দিয়ে পুলিশ অনায়াসে ও খুঁজে ফেলতে পারে। আর ডাইরি বা ঐ ফর্মে ঐ I.M.E I নম্বর লেখা বাধ্যতামূলক। আর কিছু লিখলাম না, পুলিশ তো, ঐ বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা আর পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ ঘা। আবার বাংলার পুলিশ, সত্যি মানুষের জন্য কত কাজ করেন। কারণ মাঝে মাঝে ঐ ডিউটি অফিসারের কথা গুলো শুন ছিলাম দেড় দু ঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম তো, নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছিল। কমসে কম সেই জন্যই মনে হয় দাঁড়িয়ে থাকা টা ঐ শাস্তি হিসেবে দিলেন। ভাগ্যিস কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকা বা অন্য কোন শাস্তি দেন নি। থানার নাম টা দিলাম না, এমনিতেই বর্তমান পুলিশ কে আমি ভীষণ ভয় করি। কখন কি করে দেবে জানি না। ধন্যবাদ সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। 

Friday, 18 December 2020

দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু করেছে পাঞ্জাব এবার বাঙালি জাগো।


 জানি না আমার লেখা কত জন পড়বেন, কারণ আমি এর আগে অনেক বার লিখেছি, বাংলার শাসক দলের হাল নিয়ে, বাংলার এই শাসক আর দিল্লির শাসক একটি দল দুটি নাম। উপরে উপরে আদায়  কাঁচ কলায়, আর ভেতরে ভেতরে গলায় গলায় ভাব দুটোই সমান। যদি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এমন ফল দেখা যায় যে বিজেপির কিছু বিধায়ক দরকার, সরকার তৈরি করতে তখনই মজার ব্যাপার ঘটবে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সমর্থন করে সরকার করবে বিজেপি একটাই শর্ত দিদি হবেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঙালি বেকার যুবক যুবতী এবং প্যারা টিচার, শিক্ষা বন্ধু, আরও যে এ রকম কর্মী আছেন এবং সর্বোপরি    রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ সরকারি কর্মচারী, যারা প্রতি নিয়ত বঞ্চিত, এবং তুই তোকারি শুনতে অভ্যস্ত তারা, আর বাংলার কৃষক খেটে খাওয়া মানুষ যারা মাসে দু কেজি দু টাকা কিলো চাল ভিক্ষা পান।এই সব মানুষ একবার ভাবুন আপনার মুখের কাছে কুকুর কে যেমন এক টুকরো রুটি ছুঁঁড়ে দেয় সে রকম এক টুকরো রুটি ছুঁঁড়ে দিয়ে, বলছেন এই নে দিলাম আর ঘেউ ঘেউ করবি না। যেন মনে হচ্ছে তিনি তার ইনকাম থেকে আপনাকে এবং শ্রমজীবী মানুষ কে
দয়ার দান দিচ্ছেন। আর নেতা মন্ত্রী বিধায়কদের দিকে তাকিয়ে দেখুন, 280 টাকার দিন মজুর আজ 280 কোটি টাকার মালিক। কি নেই তার কেবল 75% আর 25% এর ভাগ করে নিতে পারলেই হবে। আমি জানি কিছু সরকারি অফিসার যেমন এস ডি ও /বিডিও, থানার পুলিশ, বিশেষ করে সিভিক পুলিশ টাকার পাহাড় করে তুলেছে। আপনার যদি মনে হয় এগুলো ঠিক আছে, তাহলে আপনি তো নিজের পরিবারের সাথে বেইমানি করে চলেছেন, আপনার বাড়ির বেকার ছেলেটা একটা চাকরির রাস্তায় বসে অনশন করছে, আর আপনি টাকার জন্য নিজের বিবেক মনুষ্যত্ব বিক্রি করে দিচ্ছেন। সামনে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচন ভাবুন একবার আপামোর জনগণের অভিশাপ আর্তনাদ খিদের জ্বালায় ছটফট করা ঐ শিশুর মুখটা, বা আধপেটা খেয়ে ঘুমতে যাওয়া মানুষ গুলোর, তাকিয়ে দেখুন সেই সব অসহায় মানুষের পাশে সামান্য হলেও কারা সাহায্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আসুন সবাই মিলে আমাদের বাংলা কে রক্ষা করি দিল্লির হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যেই কৃষক তার অধিকার বুঝে নিতে লড়াই করছে। আমাদের রাজ্যের বেকার এবং কম বেতনের যে সব কর্মী একটু সণ্মাণ জনক বেতনের জন্যে এই শীতের রাতে কলকাতায় রাত জাগছে, সেই সব মানুষদের পাশে থেকে লড়াই করি। আন্দোলন এক মাত্র পথ যা এই অপশাসন থেকে মুক্তি দেবে। আর দেখুন কারা আপনার ভাল চায়, চোরের দল না চোর কে দলে নিয়ে সাধু বানানোর দল। আমরা কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের শাসক দল কে বর্জন করে বাম দিকে ফিরে আসি। কেন সে কথা অনেকেই লিখেছেন বলছেন অন্তত বছর বছর এস এস সি, পি এস সি, বি সি এস প্রাথমিক নিয়োগ, প্রক্রিয়া কে সচল রাখতে। আমরাও ঐ কৃষক দের বাংলার বুকে আন্দোলন শুরু করি, কারণ মুক্তি চাই মুক্তি, চোর ডাকাতের হাত থেকে মুক্তি, দিদির থেকে মুক্তি পেতে যারা বিজেপি বিজেপি করছেন তাদের বলছি বিজেপি দেশটা আদানি, আম্বানি কে বিক্রি করে দিতে চাইছেন, আর বাংলায় ক্ষমতায় এলে বাংলা টা ঐ দুজন কে বেচে দেবে। আর নয় অনেক হল এবার আবার বাম দিকে নজর দিন। 

Thursday, 17 December 2020

নাটকের যবনিকা পাত হোল।


 মেদিনীপুরের একটি শহরে যে নাটক গত কয়েক মাস ধরে চলে আসছে মনে হচ্ছে তার যবনিকা পাত আসন্ন। নাটক চলছিলো মনে হচ্ছে শেষের দিকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নাটক   সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এই চোরে দের বিরুদ্ধে আপামর জনসাধারণের আরও বেশি বেশি করে আন্দোলন করতে হবে। কারণ 2021 সালের মে মাসে 2006 সালে রাজ্য শুরু     হওয়া মা - মাটি - মানুষ যাত্রা পালার যবনিকা পাত ঘটাতেই হবে। রাজ্যের বেকার যুবক যুবতী পার্শ্ব শিক্ষক, অর্থাৎ চুক্তির ভিত্তিতে কাজ পাওয়া যে সব বেকার যুবক যুবতী। যারা 2009 থেকে 2011 পর্যন্ত মিথ্যা কথায় বিশ্বাস করে প্রতারিত হয়ে ছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই দ্বিধা গ্রস্থ হয়ে যাচ্ছে, অনেকেই দাদার দল কে ক্ষমতায় আনার কথা বলে যাচ্ছে। সেই সব শিক্ষিত যুবক যুবতী দের, নিজেদের শিক্ষা দিয়ে বিচার করতে হবে। দাদার দল কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা দখল করে আছে। বছরে দু কোটি বেকারের চাকরি দেওয়ার কথা, ছ বছরে 12 কোটি, দেখছি উল্টটো টা। স্বাধীনতার 45 বছরের মধ্যে দেশে বেকারের সংখ্যা সব থেকে বেশি। এখন এই মহামারীতে কয়েক লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার, সরকারি সংস্থা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে। আরও বেকার বাড়ছে, ত্রিরিপু রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পরেই 10323 জন কর্মরত শিক্ষকের চাকরি চলে গেছে। সব থেকে বড়ো বিষয় বর্তমান শাসক দলটাই বিজেপি হয়ে যাবে। বিজেপি কে ক্ষমতায় আনতে দিদি সাহায্য করবেন। কারণ ভোটের শেষে যদি জোট বেঁধে সরকার হয় তবে দিদি দলবল নিয়ে যোগ দেবেন এবং আবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। সেই কারণেই বাংলার, বেকার যুবক যুবতী যারা আজ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন চাকরির দাবি করছেন। কারণ চাকরির পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেও চাকরি হয় নি। তাদের মধ্যে যারা ভাবছেন, দিদি কে তাড়িিয়ে দাদা কে মানে বিজেপি কে ক্ষমতায় আনার চিন্তা করছেন। একবার ভাবুন এই দুই দলের কেবল প্রতিশ্রতি দিতে পারে। চাকরি বা নিয়োগের নাম গন্ধ নেই, একবার 2011 আগের কথা ভেবে দেখুন প্রতি বছর নিয়ম করে এস এস সি, পি এস সি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরিতে নিয়োগ করা হতো, আর আজ লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও চাকরি নেই। নিজের এবং আপমোর খেটে খাওয়া বাঙালির স্বার্থে বামপন্থী দের ফিরিয়ে আনতে   ঝাঁপিয়ে পডুন। এখন থেকেই বুথে  বাড়ি বাড়ি যে যার পরিচিত সকল মানুষের সাথে কথা বলে বোঝান কারণ আপনারা যে আন্দোলন করছেন সেটা কোন তথাকথিত দালাল ঘুষখোর মিডিয়া দেখাবে না। সে কারণেই আপনার ভালোর জন্যই বামেদের ফিরিয়ে আনুন এবং নিজের স্বার্থে প্রচার করতে শুরু করে দিন। কেবল সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়। আসুন আমরা সবাই মিলে আগামী 2021 আবার 1977 বানাই। 

Wednesday, 16 December 2020

দাদার দল বাংলায় ক্ষমতা পেলে 75 লক্ষ চাকরি দেবে।


 দাদার দিল্লি দখল করার আগে কি বলে ছিলেন, 15 লক্ষ টাকা প্রতিটি ভারতবাসীর ব্যাঙ্ক একাউন্টটে ঢুকবে। সবাই পেয়েছে, আবার প্রতি বছর দু কোটি বেকার যুবক যুবতী চাকরি পাবে। এই ছ বছরে 12 কোটি বেকার ছেলে মেয়েরা কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি পেয়েছেন। তাহলে দেশের বেকারের সংখ্যা স্বাধীনতার 45 পর সব থেকে বেশি কেন? ছাড়ুন দাদার দু কোটি দিদির দু লক্ষ, দিদির তো তুলনা নেই, এই দশ বছরের মধ্যে তিনি 20 লক্ষ বেকার কেন, তার হিসাব অনুযায়ী প্রতি বুথে গড়ে 174 জন বেকারের চাকরি হয়ে গেছে। তবুও প্রতিদিনই দেখছি কলকাতার রাজ পথে বেকার ছেলে মেয়েরা আন্দোলন করছে, অনশন করছে, আর দিদির ইংরেজ আমলের সেই পুলিশ এই শীতের রাতে জল কামান দিয়ে লাঠি পেটা করে তুলে দিচ্ছেন। এখন আবার দুযারে দুযারে সরকার কি হচ্ছে দেখছে সব এবং ভীড় বাড়ছে। সরকার যদি   পাঁচ বছরে তিরিশ বছরের কাজ করে দেয় তাহলে এত লাইন কিসের। কান পেতে শুনন ওখানে কেবল স্বাবাস্থ্য সাথী হচ্ছে না, রেশন কার্ড, বাংলার আবাস যোজনা থেকে সব কিছুর ফর্ম পূরণ করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই আজ মাননীয়ার বক্তব্য ফর্ম পূরণ করলেই পরিষেবা পাওয়া যাবে এমন টা নাও হতে পারে। কারণ উনি বুঝতে পারছেন মানুষ তার নাটক ধরে ফেলছে। আসুন এই দুই নাটক মঞ্চস্থ কারি দল কে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করে। বাঙালি কে আবার তাদের হারানো মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে বাম দিকে ফিরে যাই। 

Tuesday, 15 December 2020

কালা ইংরেজের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন।


 দিল্লির কনকনে ঠান্ডায়, আজ পনেরো দিন কৃষক কুল বসে আছে কালা কানুন রদ করতে হবে। দাবি নিয়ে এতই অমানুষ জানোয়ার সরকারের মাথায় বসে আছে এদের মানুষ বললে, মানুষ এই শব্দের অবমাননা করা হয়। বিশেষ করে দুই গুজরাতি অমিত শাহ, এটা সব থেকে বদ মাইশ, তার সাথে আছে পৃথিবীর সব থেকে বড়ো মিথ্যাবাদী নরেন্দ্র মোদী। দেশের সব বেসরকারি সংস্থার মালিক কে বেচে দাও, সরকারি বলে কিছু থাকবে না। সে প্রতিরক্ষাষা    বিষয়ে কারখানা, হোক আর যোগাযোগ ব্যযবস্থা সব চাই আদানি আর আম্বানির কি করে কিনবে আপনার আমার করের টাকা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে। তার পর ঐ ঋণ মুকুব করে দেওয়া হবে, আম্বানি ইচ্ছা মত শ্রমিক নিয়োগ বা ছাঁটাই করবে। গরীব খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কে আরো গরীবির দিকে ঠেলে দেবে। আর গরীবি ঢাকা দিতে কোটি কোটি টাকা দিয়ে পাঁচিল তুলে দেওয়া হবে। দেশের সব মানুষ কে এই দুই অমানুষ বোকা ভেবেছে। ভোটের আগে এই আম্বানি আদানিরা কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। এই মহামারীর সময়ে কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার ভেবে ছিল কৃষি ক্ষেত্রে এই দুই পুঁজি পতির হাতে তুলে দেবে। চুক্তি চাষ, এই দুই কর্পোরেট নিজের ইচ্ছে মত জমি লিজ নিয়ে চাষ করে সেই ফসল সাধারণ মানুষের কাছে চড়াা দামে বিক্রি করে মুনাফা করবে। কারণ সরকার আগে কৃষি     পণ্যের একটা দাম ঠিক করে দিত সে আইনও পাল্টানো হয়ে গেছে। অর্থাৎ চাষিদের কাছ থেকে কম দামে কিনে বিক্রি হবে। চড়া দামে, সাধারণ মানুষ কিনে খাবেন, আর সরকারের এই দুই দালাল বা. ফড়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমেছেন। পাঞ্জাব হরিয়ানা রাজস্থানের কৃষক কুল সামিল হয়েছেন। শুরু করেছে আদানি ও আম্বানির বিরুদ্ধে লড়াই, ওদের মল, তেলের পাম্প এবং উৎপাদিত নানা দ্রব্য বয়কট করা শুরু করেছে। কারণ তারা বুঝতে পারছে দেশের আসল দুই কালা ইংরেজে এই দুজন যারা দেশের গরীব মানুষ কে মানুষ বলে মনে করছে না ।কুত্তার মতো ব্যবহার করে। বাঙালি কবে জাগবে, বাংলার বুকেও এরকম সরকার চলছে, বেকার যুবক যুবতি থেকে সাধারণ মানুষ আজ চরম কষ্টের  মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করছে। কৃষক দের অবস্থা তথৈবচ, শ্রমিক আজ কাজ হারা, মাসে দু কিলো চাল, এমন লোক রেশন পান তারা ঐ চাল তুলে বেশি দামে বিক্রি গরীব মানুষের কাছে বিক্রি করেন। চোখের সামনে চুরি, কাটমানি তবুও কিছু কিছু মানুষের কাছে এটাই স্বাভাবিক। চোর কে সমর্থন করে যাও, না চোরের দালাল বিজেপি, দেশের মানুষের দুঃঃ দুর্দশার মূল কারণ ঐ বিজেপি, বাম আমলে কিছু না হোক মানুষের কাছে টাকা আয় করার একটা সুযোগ ছিল। এখন মানুষের পাশে সরকার নেই, আছে চোরে দের পাশে যে যত বেশি চুরি করতে পারে সে তত বড় নেতা। এখনও বেশ কিছু মানুষ বলছেন বাম নয় বিজেপি জানি না কি দেখছেন ঐ কালা ইংরেজের মধ্যে যারা প্রতি নিয়ত খেটে খাওয়া গরীব মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। আমি প্রতিটি যুবক যুবতী, দিন মজুর শ্রমিক দের বলছি বাম আমলের কথা চিন্তা করতে থাকুন সব থেকে কম দামের চাল ছিল 14 টাকা এখন সেই চাল 32 টাকা কিলো। আর নাই বললাম, আসুন আমরা সবাই এই সরকারের বিরুদ্ধে. দিল্লির কৃষক আন্দোলনের মত এরাজ্যে শুরু করি। 

Saturday, 12 December 2020

দুঃখিত মনে দিদি মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিতে চান!


 পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্ররধা আমাদের মুখ্যযমন্ত্রী যদিও তার দলের লোক বা নেতারা যা ভাবেন তিনি তৃণমূল নেতা কর্মীদের মুখ্যমন্ত্রী আপমোর পশ্চিমবঙ্গ বাসীর মুখ্যমন্ত্রী নন। তিনি আজ বনগাঁর গোপাল নগরে একটি সভায় বলেছেন। আমি এতো কাজ করে দিয়েছি যা সারা দেশে হয় নি। ১০ কোটি মানুষের মধ্যে সাড়ে ৯ কোটি মানুষ কোন না কোন জিনিস পেয়েছে। একদম ঠিক কথা দিদি। যার বাবার চারচাকা কেনার ক্ষমতা আছে তাকেও একটা সাইকেল দিয়েছেন কিন্তু নবম শ্রেণীতে উঠলে কিন্তু ওর থেকে যে নীচে আরও নটা শ্রেরেণি গরীব ছাত্র ছাত্রীদের দু থেকে তিন কিলোমিটার পায়ে হেঁটে মাধ্যমিক স্ককুলে পড়তে আসতে হয়, সে খোঁজ রাখেন। দিদি আপনি তো বলেছেন পাঁচ বছরে তিরিশ বছরের কাজ করে দিয়েছেন তাহলে আবার দুযারে দুযারে সরকার যাওয়ার কি প্রয়োজন ছিল এটা তো আমার কাছে অন্য কিছু গন্ধ পাচ্ছি। আবার দেখলাম আপনি মি ডে মিল রাঁধুনী দের ডেটা চেয়েছেন উৎকর্ষ বাংলার নামে। সেখানে তাদের বাবার নাম লিখতে হবে, বাপের বাড়ির ঠিকানা লিখতে হবে। এতো এন পি আর এর তথ্য দিদি মেয়েদের জণ্ম স্থানের ঠিকানা জানতে হবে। আপনি তো মিনিটে মিনিটে মিথ্যযা বলে মানুষ কে ঠকিয়ে  ক্ষমতা দখল করে    কাঁড়ি    কাঁড়ি। আপনি একবার একটা হিসেবে দিলেন যে হিসেবে প্রতিটি বুথ এলাকায় ১৮৪ জন বেকার ছেলে মেয়ে কাজ পেয়েেছ। অথচ দেখুন বেকার ছেলে মেয়েরা আজ রাস্তায় বসে আছে একটা চাকরির জন্য আপনি বলছেন আমাকে প্লাকেড দেখিয়ে লাভ নেই। আপনার সরকার দুযারে দুযারে গিয়ে তাহলে কি করছে। আপনি ভালো নাটক মঞ্চস্থ করতে পারেন, আপনি যদি.  সত্যিই এন আর সির এবং বর্তমান কৃষি বিলের বিরোধী হন তাহলে বিধানসভা ডেকে আইন পাশ করছেন না কেন, যে এই রাজ্যযে এই সব কালা কানুন লাগু করা হবে না। যেমন কেরলের বাম সরকার করেছে, আসলে আপনি লোক দেখানো নাটক ভালো জানেন আর ছোট বড়ো জ্ঞান নেই তুই তোকিরি করেন ওটা. মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা হতে পারে না। আপনি আসলে ভাইপো ভাইঝি দের টাকার পাহাড় থেকে ৭৫% ভাগ পাবার জন্যে ক্ষমতা চান। দিদি আপনি নাটক না করে. সত্যিই. পদত্যাগ করুন রাজ্য টা বাঁচুক। তবে দেখবেন ভোটের সময় মদ মাংস খেয়ে মানুষ কে মেরে ভয় দেখিয়ে ভোট যেন না হয়। আপনার তো অভিযোগ ছিল বাম আমলে এগুলো হতো তাহলে আপনি এসে সেগুলো বন্ধ হলো কোথায় আরো বেশি বেশি করে হচ্ছে। এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনী আগে বুথে যাচ্ছে তাদের মদ মাংস খাইয়ে আপনার ভাই সকল আনন্দে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে। দিদি আপনার কাছে একটাই অনুরোধ ২০০৯ সালের নির্বাচনের মত বিধানসভা নির্বাচন করে দেখান। আপনি দিদি পদ ত্যযা করে রাজ্যটা কে  বাঁচান। 

Wednesday, 9 December 2020

দুযারে দুযারে সরকার একটি মজার ব্যাপার। ।

 



পশ্চিমবঙ্গে এখন এক মজার ব্যাপার হচ্ছে, দুযারে দুযারে সরকার। এ যেন সেই রেল মন্ত্রী থাকা সময় থেকে যে ভাবে বেকার ছেলে মেয়ে দের চাকরি দেওয়ার নামে ফর্ম বিলি করা হয় ঠিক সেই রকম। সেই যে ফর্ম বিলি শুরু করা হয়েছিল সে চাকরি কোন দিন হয় নি। রাজ্যে ক্ষমতায় এসে কয়েকটি চাকরির পরীক্ষা করা হয়েছে। এমন ভাবে সে সব নোটিফিকেশণ হয়েছে যাতে কেস করতে পারে। সে কোন নির্বাচন হোক ভুরি ভুরি চাকরির ঘোষণা করা হয়েছে কিন্তু চাকরি অধরা তাই বলে চাকরি হয় নি অবশ্যই হয়েছে ঘুষ দিতে পারলেই চাকরি, তখন শিক্ষা গত যোগ্যতার প্রমাণ দেখাতে হবে না। এস এস সি, টেট গ্রুপ ডি সব ক্ষেত্রেই এক ব্যবস্থা। চাকরি হয়েছে সিভিক পুলিশ বর্তমানে দশ হাজার টাকা বেতন পুলিশের সব কাজ করে দেয়, এমন কি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশের কাজও করে ওরা মোরে মোরে থাকলে রাস্তা জ্যাম হবেই। আরেকটা বড়ো কাজ করে হাইওয়েতে  গাড়ি দাঁড় করিয়ে টাকা তোলার কাজ। এতো গেলো একটা দিক আরেকটা দিক দিদি কিছু দিন আগেই বলেছিলেন দশ কোটি মানুষের রেশনের ব্যবস্থা তিনি করে দিলেন। রাজ্যে এখন অনেক গরীব মানুষের রেশন কার্ড নেই। আবেদনের পর পর আবেদন করেও কিছু সুরাহা হয়নি। সব মানুষের রেশন তো দূরের কথা। আবেদন করতে হবে আবেদন করা আবেদন করার জন্য, কিছু দিন পরেই সে সব কাগজপত্র হারিয়ে যায় আর সে সব উদ্ধার করা শিবের অসাধ্য ব্যপার। এই হচ্ছে দশ কোটি মানুষের রেশন কার্ড বা রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা। আরেকটা কথা না বলে পারছি না, বর্তমানে সব অফিস কাছারি আদালত খুলে দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু বিদ্যালয় নৈব নৈব চ শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাক কোন নির্দিষ্ট আদেশ নেই পড়ানোর। ওদিকেে হোয়টস এ্যাপ গ্রুপ আছে অভিভাবক দের নিয়ে সে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় আশি শতাংশ ছাত্র ছাত্রী যুক্ত কিন্তু নির্দেশ নেই পড়ানোর কেবল কয়েকটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সামান্যতম ভাবে পড়ানোর কাজ করে যাচ্ছেন। অনায়াসে নির্দেশ দেওয়া যায় ঐ গ্রুপে প্রতিদিন     বইয়ের একটি নির্দিষ্ট পাতা পড়ানোর, বা অল্প ছাত্র ছাত্রী নিয়ে বিদ্যালয় পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা প্রতিদিন দু বেলা দুটি করে শ্রেণির ছাত্র ছাত্রী আসবে। বিদ্যালয় খুলে দিলে অসুবিধা আছে সরকারি বিদ্যালয় গুলো চালু হলে বেসরকারি বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী যাবে কীভাবে? আবার এর মধ্যে শুরু করেছে ভর্তির প্রক্রিয়া একটা খবর জেনে নিন, সিঙ্গুরের নামে কাটে এরকম দুটি বিদ্যালয় আছে একটা ছেলেদের একটা মেয়েদের। তাদের মধ্যে মেয়েদের বিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সব ছাত্রী ভর্তির আবেদন করবেন তাদের লটারি করা হবে। গত বছরের অভিজ্ঞতা হচ্ছে বিদ্যালয়ের পিছনে বাড়ি সেও বাদ পরে ছিল। এবারেও বাদ পরে যেতে পারে কোথায় যাবে কেন পঞ্চায়েত প্রধানের বাসিন্দা শংসাপত্র আনতে, সে আগে পঞ্চায়েতের ট্যাক্স নেবেন তার পর কেবল ট্যাক্স হলে হতো তার সাথে উপরি দিতে হবে তবে ঐ শংসাপত্র পাওয়া যাবে। পাশাপাশি দুটো বিদ্যালয়ের দু রকম নিয়ম দারুণ এই হচ্ছে দুযারে দুযারে সরকারের নমুনা। এই ভর্তি নিয়ে কত রকম হবে তার ঠিক নেই, তার উপর আবার নাকি দশ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হবে তার জন্য সরকারের অফিসার গন বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করছেন। কোথাও কোথাও কেবল আবেদন পত্র তৈরি করা হচ্ছে কোথাও কোথাও হাতে হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে কার্ড। এতো ঐ ভোটের আগে আরেকটা ভাঁওতা বাজি কারণ দশ কোটি মানুষের মধ্যেই পঞ্চাশ লক্ষ মানুষের চিকিৎসার খরচ দিতে সরকারের বছরের খরচ সরকারের বাজেট বরাদ্দ থেকে বেশি এমনকি দেশের বাজেট বরাদ্দ অত টাকা কিনা জানি না। আসলে মানুষ কে ধোঁকা দিয়ে আবার ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া চেষ্টা করা। যাতে আবার লুটে পুটে খেতে পারে, কাটমানি তোলাবাজি চালিয়ে ৭৫ % আর ২৫% করে ভাগ করে নেওয়া যায়। অন্য কিছু না কেবল বলুন কেন চাকরি প্রার্থী বেকার যুবক যুবতী প্যানেল হওয়া সত্ত্বেও অনশনে বসতে হবে। আর অনশনে বসে এক সন্তান সম্ভব মা তার গর্ভের সন্তান কে হারাবেন। উনি তো তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন তিন মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার, উনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রতি বছর ১০%শতাংশ হারে প্যারা টিচার দের স্থায়ী ভাবে নিয়োগ করে দেবেন। এখন রাজ্যের এত প্যারা টিচার বেতন দেওয়ার জন্য আন্দোলন করছে কেন? উনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বছরে দু কোটি বেকার কে চাকরি দেওয়ার। উনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার সাথে সাথে ডি এ দেবেন তাহলে দেনা কেন? উল্টে ১৫% বাড়ি ভাড়া ভাতা কমিয়ে ১২% করে দেন পে কমিশনের নামে ভাঁওতা বাজি। সিঙ্গুরে ৪০০ একর জমি ফেরত দিয়ে বাকি ৬০০ একরে কারখানা করে দেবেন আজ দশ বছরে উনি কটা কারখানা করেছেন। ডানলপ, দৈনিক বসুমতি, জেসপ ইত্যাদি উনি অধিগ্রহণ করে চালাবেন বলে ছিলেন কটা কারখানা অধিগ্রহণ করেছেন। উল্টে বাংলার একমাত্র গাড়ি তৈরির কারখানা হিন্দু স্থান মোটর বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি চাই দুয়ারে দুয়ারে সরকার যাক, সারদা, রোজভ্যালির সহ বিভিন্ন চিটফাণ্ডের টাকা ফেরত দিতে। কোথায় গেল অশোক সেন কমিশনের জন্য বরাদ্দ করা টাকা। দারুণ রাজ্য চলছে, মাস্ক দেব ট্যাব দেব ক্লাব কে টাকা দেব পুজো করতে টাকা দেব, দু টাকা কিলো চাল পাঁচ কিলোর বদলে দু কেজি করে দেব,। আরেকটা প্রতিশ্রুতি উনি দিয়ে ছিলেন শান্তি ফিরিয়ে আনবেন। ভোটের সময় অশান্তি বন্ধ করে দেবেন, তাহলে উনি ক্ষমতায় থাকা কালীন যত যত গুলো নির্বাচন হয়েছে সব কটাতেই অশান্তি আর মানুষ খুন হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ইতিহাসে যা হয় নি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেটা হয়েছে। একজন প্রিসাইডিং অফিসার খুন হয়েছেন। মদ খেয়ে বোমা বন্দুক নিয়ে হামলা ছাড়া আর কিছুই হয়নি উনি এবং ওনার দলের চুনপুঁটি নেতারা নির্বাচনে জয়ী হতে মানুষ কে ভয় দেখিয়ে জোর করে নির্বাচনে জিতে এসেছে কারণ কাটমানির জন্যে একশ দিনের টাকা বাড়ি করে দেওয়ার টাকা রাস্তা করার টাকা উনি ঠিক বলছেন এত রাস্তা আগে হয় নি। এত টাকা আগে আসেনি কেবল ঠিকাদার দের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার জন্য। যদি সব টাকা টা রাস্তা তৈরির জন্য ব্যবহার করা হতো তবে রাস্তা গুলো তৈরি হবার দুবছরের মধ্যে নষ্ট হয়ে যেত না। আমি তো দেখলাম সিঙ্গুর থেকে বড়া পর্যন্ত পিচ রাস্তা তৈরি করা হয়েছে, বোর্ডে দেওয়া হয়েছে মোরাম সোলিং আসলে বাম আমলে যে মোরাম দেওয়া রাস্তা ছিল সেটাই মোরাম সোলিং নতুন করে হয়নি। কারণ একটাই ঐ কাটমানি পিচ সেত জায়গায় জায়গায় উঠে চলে গেছে ঢালাই যেখানে দেওয়া হয়েছে সেটাও জায়গায় জায়গায় গর্তে পরিণত হয়েছে। কেবল যে ঐ রাস্তা ঐ ভাবে করা হয়েছে তা নয় যেখানে পূর্ববর্তী সরকারের আমলে মোরাম সোলিং ছিল, সেখানেই মোরাম সোলিং না দিয়ে কেবল পাথর আর পিচ দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে, তাহলে মোরাম সোলিং এর টাকা টা কোথায় গেল? কেন নেতাদের পকেটে আর এই কারণেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরেও জোর করে পঞ্চায়েত দখল করা হয়েছে। দিদি আপনি  বাংলার মানুষ কে দারুণ ধোঁকা দিতে পারেন। আপনার তুলনা আপনি সত্যি আপনার জবাব নেই। 

Tuesday, 8 December 2020

পুরুষের অধিকার।

 


আজ এমন একটা জাতির কথা লিখবো যৌন মিলনের ক্ষেত্রে এদের মেয়েরা উদার কিনা জানি না তবে এদের নিয়ম অদ্ভুত। পূর্ব ভারতের মায়ানমার সংলগ্ন এলাকায় বাস করে এই জাতি এদের বাড়িতে মেয়ে হলে বাবা কে বিয়ে করতে হবে, মা হবে তার সতীন আর ছেলে হলে প্রথম যৌন মিলনের জন্য মা কে চাই, অর্থাৎ অদ্ভুত নিয়ম। মা হবে ছেলের এবং বাবার বৌ এটা প্রথম দিকে তার পর অন্য বাড়িতে যদি কোন বাবা তার মেয়ে কে বিয়ে দেন তবে সেই ছেলে বৌ পাবে। সেক্ষেত্রে বাসর ঘরে মা ঢুকে থাকবে সাত দিন ছেলে তাকে ঐ নতুন বৌয়ের সামনে করবে অর্থাৎ দেখাতে হবে ছেলে নপংসুক নয় করতে পারে। তার পর মা ঐ নতুন বৌ কে তৈরি করে ছেলে কে দেবেন এবং ছেলে তখন তাকে করবে। এই ভাবে সাত দিন বা দশ দিন কাটাতে হবে তার পর মা ছাড়া পাবেন ছেলের কাছ থেকে। আর যদি মেয়ে হয় তাকে বারো বছর বয়সে প্রথম করবে বাবা এখানেও মা সাহায্য করবে তার বাবাকে মেয়ে কে শিখিয়ে দেবেন কীভাবে শুতে হবে এবং বাবার সাথে  মেয়ের  মিলনে সাহায্য করার জন্য। আবার যদি প্রথমে মেয়ে হয় এবং তার পর ছেলে এবং বাবার দ্বিতীয় বৌ অর্থাৎ তার দিদি কে আগে করবে তার ভাই তার পর বাবা। এদের সম্পর্ক তাই খুব জটিল কে যে কার ছেলে কে কার বৌ ঠিক থাকে না। পুরুষ শাসিত সমাজ মেয়ে দের উপর পুরুষের সব রকম অধিকার আরেকটা নিয়ম এদের আছে, বাড়িতে কোন পুরুষ অতিথি এসেছে এবং তিনি রাতে থাকেন তখন বৌ এর দায়িত্ব ওনার যৌন সুখ দেওয়া, অর্থাৎ যদি একজন মহিলা হন, তবে সেই রাতের জন্য দুজন কে নিয়ে শুতে হবে, এবং আগে অতিথি তার সাথে যৌন মিলন করবে তার পর তার স্বামী তাকে করবে। এই কারনেই মেয়ে হলে বাইরে বিয়ে না দিয়ে নিজের বাবা কে বিয়ে করতে হবে। এবার কোন বাবার অনেক গুলো মানে মেয়ের ও মেয়ে হলে এবং তিনি বৃদ্ধ হলে তবে অন্য পুরুষের সাথে তার বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে। কি রকম জটিল নিয়ম তাই না। পুরুষ তার অধিকার বজায় রাখতে এবং নিজের যৌন সুখ বজায় রাখতে এই নিয়ম করে রেখেছে। 

জোর করে মিলন।

 আজব দেশ এই ভারত কত রকম জাতের বাস উত্তর ভারতের একটি জাতির লোকে দের যৌন মিলনের একটা অদ্ভুত নিয়ম আছে। পুরুষ সে রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে যদি সে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তবে রাস্তার পাশে যে কোন ঘরে ঢুকে পড়ে সেখানে যে মহিলা থাকবে তার সাথে মিলনে রত হবেন। মহিলা যে অবস্থায় থাক ঐ মূহুর্তে তাকে শান্ত করতে হবে। মহিলার কোন আপত্তি চলবে না, স্বামী ছেলে যেই থাকুক ঐ ব্যক্তির সাথে সঙ্গমের জন্য লিপ্ত হবেন। এরকম একটা ঘটনা বলি ছামিয়া ঐ জাতির একটা মেয়ে, সে রাস্তা থেকে একটু দূরে একটি বাড়িতে থাকেন সব কাঠের তৈরি বাড়ি এবং সুন্দর করে সাজানো। লখিয়া নামে এক ব্যক্তি তার বাবা তার এখনও বিয়ে হয় নি। বিয়ের ও অদ্ভুত সুন্দর নিয়ম আছে এদের মেয়ে কে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় আর বিয়ের পর ছেলেটি মেয়ের বাড়িতে এসে থাকে। ওর বাবাও ঐ ভাবে এই বাড়িতে এসেছে, ছামিয়া কে কেউ তুলে নিয়ে যায় নি। কারণ ও একটু লুকিয়ে লুকিয়ে থাকে পাছে রাস্তা দিয়ে বা কোন পুরুষ বিয়ে না করে কেবল ঐ মিলনের জন্যে আসে। ওর বাবাও বেড়তে দেন না, কিন্তু একদিন সত্যি একটা ছেলে জোর করে ওদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে ছামিয়া কে করবে কারণ সে উত্তেজিত, ওর বাবা বলে আমার কোন মেয়ে নেই আমি একা থাকি তুমি বাবা অন্য জায়গায় যাও, সে শোনবার পাত্র নয়। বলে আমি দেখেছি যে এই বাড়িতে এক জন আছে ।দেবেন না তো আমি দেখেছি কি করা যায়, বলে রাতে এসে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করে নেয়। ছামিয়ার বরকে দেখতেও ভালো ছামিয়াও সুন্দরী দু দিন পর ছেলেটি তার বৌকে নিয়ে এ বাড়িতে আসে এবং ওর বাবার সামনে ওর সাথে মিলনে রত হয়। তবে লখিয়ার মত ছামিয়ার বরও ওকে লুকিয়ে রাখাত যাতে অন্য পুরুষের কাছে ওকে শুতে না হয়

Saturday, 5 December 2020

সারদা নিয়ে নতুন খেলা।

গত ২০১৩ সাল থেকে চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারির শিরোনামে আসে সারদা কেলেঙ্কারি এছাড়াও আরও কিছু চিটফাণ্ড সংস্থার নাম, শাসক দলের বিরুদ্ধে ওঠে অভিযোগ, একাধিক নেতা মন্ত্রী সাংসদ জেলে যায় বর্তমানে জামিনে মুক্ত। সারদার টাকা কাজে লাগিয়ে বর্তমান শাসক ক্ষমতা দখল করেছে সেটাও কিছু দিন আগে বলেছেন এই চিটিংবাজ সেন। আর আজ আবার একটা খবর তিনি নাকি চিঠি লিখেছেন মাননীয়ার কাছে আর দাদামনির কাছে তাতে নাকি আছে বর্তমান বিরোধী দলের সব থেকে যিনি লড়াই আন্দোলনের সামনের সারিতে আছেন, সেই সুজন চক্রবর্তী ও অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নাম। চিটিংবাজ সেন, আপনি ভুলে গেলেন সাংসদ কুনাল ঘোষ এর সেই চিৎকার গুলো যত বার তাঁকে কোর্টে আনা হয়েছে ততবার তিনি চিৎকার করে একটি নাম বলতেন আর পুলিশ প্রিজন ভ্যানের বডিতে জোরে জোরে আঘাত করে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে যেত, সেই নামটা আছে তো! নাকি সাহস নেই, দেখছেন না, জেল খেটে আজ আবার ভালো পদে আসীন হয়েছেন। আসলে কিছু না এটা ভোটের আগে গটআপ গেম এই দুজনের নাম নিলে মানুষ আর বিরোধিতা করবে না। চোর তোলাবাজ চিটিংবাজ কাটমানি খোর শাসক ছাড়া পেয়ে যাবে আবার ক শাসনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে, মিথ্যা অভিযোগে নন্দকুমারের ফাঁসি দিয়ে ছিল ইংরেজ শাসক। কেবল নন্দকুমারের কে কেন অনেক নন্দকুমারের মৃত্যু এভাবেই হয়েছিল। সত্যিই পুলিশ প্রশাসন তোমার খুরে খুরে শতকোটি প্রণাম তোমারাই পার মানুষ কে জীবন্ত শবে পরিবর্তন করতে। দেখছ বাংলার যুব সমাজ, কৃষক, শ্রমিক সকলের দূর্দশা কেউ পাশে দাঁড়ানোর নেই, সরকার সে কেবল ভিক্ষা দিতে প্রস্তুত। ছিঃ চিটিংবাজ সেন ছিঃ আসল নাম না বলতে পেরে এত দিন পর আবার জেগে ওঠে খবরের শিরোনাম হতে চান। আপনি বেঁচে থাকুন দেখতে পাবেন সত্যের জয় একদিন হবেই, মানুষ ফিরে পাবে তাদের অধিকার, বঞ্চিত শোষিত নিপীড়িত মানুষের হাহাকার নিস্ফল হবার নয়। কয়েক লক্ষ মানুষের আর্তনাদ চোখের জল অভিশাপ কখনো বৃথা যাবে না। আপনার মত মানুষেরা যতই চেষ্টা করে যান, আবার সেই দিন আসছে অত্যাচারিত নিপীড়িত অবহেলিত মানুষ আবার জাগছে। বুঝে নিতে তাদের রক্ত ঘামে ভেজা, বাবা কাকা ভাই বোনের রক্তে রঞ্জিত লাল পতাকা হাতে তোমরা যতই চেষ্টা কর থামাতে পরবে না।



Friday, 4 December 2020

দিদি দিল্লির কৃষক আন্দোলন সমর্থন করার জন্য নেতা পাঠালেন।


দিদি আপনার তুলনা আপনি নিজেই, এত সুন্দর শিখলেন কোথা থেকে, রাজ্যের কৃষকরা ধান বিক্রি করতে না পেরে বলছে ধানের বস্তা ফেলে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করতে চলেছে। আর আপনি দেখছেন দেশের সব থেকে বড়ো কৃষক বিদ্রোহ বা আন্দোলন চলছে অমনি চলে গেলেন, ভুলে গেলেন ২০১৪ সালের আইনের কথা তাকে আবার ২০১৭ সালে সংশোধন করে দিয়েছেন যাতে কর্পোরেট সংস্থা কৃষি বিপণনে ঢুকতে পারে। আপনার ঐ আইনের বলে কিছু কৃষক কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে আলুর চিপস তৈরি করার আলু চাষ করে বিপাকে পড়ে ছিল। আবার ২৪ পরগনার ক্যাপসিকাম চাষ করে বিপাকে পড়েছেন বলে খবর। আপনার সরকার সব করছে কেবল এ বছর কৃষকের ধান সহায়ক মূল্য দিয়ে কিনছে না। আর দিদি ওখানে কিন্তু একটু বেশি বেশি লাল ঝাণ্ডার লোক আছে, দেখতে পাচ্ছেন নিশ্চয়ই, তবে কম দেখছেন কারণ কি জানেন, পশ্চিমবঙ্গের দালাল চ্যযানে গুলো আপনার এবং মেদিনীপুর ঐ নায়কের নাটক দেখাতে ব্যস্ত কখন দেখাবে বলুন অনলাইন অনেক সংবাদ সংস্থা সব আপনার দাদার পা চাটারা ভর্তি করে দিয়েছেন অনেক টাকা আছে আপনার আপনার দলের, মনে রাখবেন ওখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হান্ননা মোল্লা নামে এক বাম কৃষক নেতা, যার নামে মোদি সরকার কেস করেছে। আপনার দাদা তো দেখছেন না যাদের জেলে ভরবে বলে ছিল তাদের দলে ভরে নিয়েেছে। আরেকটা বড়ো বাধা দিদি আসছে আগামী ৮ /১২ /2020 কৃষক নেতারা ভারত বনধ এর ডাক দিয়েছে আপনি তো আবার বনধ বিরোধী তাই না। শুনলাম আপনি কৃষক দের সাথে কথা বলেছেনে ফোনে সেখানে সিঙ্গুর আন্দোলনের কথা তাদের মনে করিয়ে   দিচ্ছেন ঐ সময়ে আপনি কিন্তু ঘন ঘন বাংলা বনধ ডাকতেন যাহোক ভুলে যাওয়া আপনার অধিকার। আপনি অনেক কথাই ভুলে গেছেন খুব ভালো কিন্তু মানুষ মনে রেখেছে। সিঙ্গুর আজ শ্মশাণ দিদি না হচ্ছে চাষ না হলো কারখানা আপনি আনন্দে আছেন। আপনি ভালো ম্যাজিক জানেন সিঙ্গুরের জমিতে সর্ষে ছড়িয়ে গেলেন আর বিধানসভায় বললেন ভালো ধান হয়েেছ। ঐ যে ক্ষমতায় আসার জন্যে কত প্রতিশ্রুতি সব ভুলে গুলে খেয়ে ফেলেছেন। ভোট এলেই কল্পতরু ভোটে জিতে গেলেন ব্যস আর পায় তখন হিসেব মিলিয়ে    নিচ্ছেন ৭৫% আর ২৫% এর আপনার টাকা চাই জনগন মরুক কোটি কোটি টাকা ঐ তো চাকরি দেওয়ার কথা ছিল বছরের পর বছর দেননি যেই তারা আন্দোলন করছে তাদের পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে তুলে দিচ্ছেন। সত্যিই আপনার আর দাদার জুড়ি মেলা ভার। ওপরে লোক দেখানো একে অপরের বিরুদ্ধে আর ভেতরে ভেতরে গলায় গলায় ভাব। দিদি একটা কথা বলছি আপনি রাজ্যের মানুষ কে বিজেপির হাতে তুলে দেবেন না। কারণ আপনারা চোর এটা সর্বজন জানে, আর সেই চোর ডাকাত গুলো বাঁচতে বিজেপি তে যাচ্ছে, আপনি ক্ষমতা   ছাড়ুন রাজ্যযে মানুষ কে শান্তি তে থাকতে দিন। অনেকে তো টাকা করেছেন আর কেন বাংলার মানুষ কে কষ্ট   আপনার দয়া করুন আপনি সরে   দাঁড়ান দিদি, আপনার ভাই, ভাইপো দের ভোটের সময় একটু শান্তি বজায় রাখতে বলুন মানুষ যেন শান্তিতে ভোট দিতে পারেন তার ব্যযবস্থাপনা করে দিন। আপনার কাছে করজোড়েে প্রার্থনা দিদি একুশের ভোট শান্তি পূর্ণ হতে দিন। আপনি সরে গিয়ে বাংলা কে তথা বাঙালি যুব সমাজ কে বাঁঁচাতে দিন। বামপন্থীরা ক্ষমতায় আসুক আপনি মিথ্যা কথা বলা বন্ধ করুন। নাটক বন্ধ করে দিন, চ্যানেল গুলো কে মুক্তি দিন দিদি তাহলেই বিজেপি আসবে না। 

Tuesday, 1 December 2020

দেশের অন্নদাতারা, দালাল মিডিয়ার সাথে কথা বলতে নারাজ।


 



বাঁদিকের কালো কোর্ট পরা ব্যক্তিটি আগের দিন জি নিউজ এর বুম নিয়ে আগের দিন খবর করতে গিয়ে ছিল, কিন্তু কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে তার চ্যানেল সঠিক খবর করেনি। কৃষক আন্দোলনের নেতারা এই সব দালাল মিডিয়ার সাথে কোনো কথা বলছেন না। তাড়িয়ে দিচ্ছেন, সেই কারণে ঐ ব্যক্তি জি নিউজ এর অন্য একটি চ্যানেল এর বুম নিয়ে গিয়ে ছিল খবর করতে কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব চিনতে পারে এবং ওখান থেকে ভাগিয়ে বা তাড়িয়ে দেয়, এবং সরাসরি বলছেন দালাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে বাঙালি কেও ভাবতে হবে, বাংলার অনেক দালাল আছে, বামেদের এতো আন্দোলন এই মহামারীর সময় মানুষের পাশে থাকার খবর নাম মাত্র দেখিয়ে এখন এক মেদিনীপুরের নাটক মঞ্চস্থ করা নেতার দু মাস ধরে চলা নাটক দেখাতে ব্যস্ত। কিছু দিন আগে কেবল সুশান্ত সিং রাজপুত হচ্ছিল, এখন মেদিনীপুরের ঐ নেতার নাটক দেখাতে ব্যস্ত। দারুণ একটা বিষয় পেয়েছে, সত্যি আমাদের রাজ্যেটা কোথায় গেছে বিজ্ঞাপন আর টাকার লোভে মিডিয়া বিক্রি হচ্ছে, এটা শুরু হয়েছে গত ২০০৬ সাল থেকে। এদের জন্য রাজ্য টা আজ শ্মশান হয়েছে, শিল্প নেই, কাজ নেই, দিনের পর দিন বেকার বাড়ছে, শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা আজ রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে ওসব বাদ দালাল মিডিয়ায় কেবল নাটক চলছে। 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...