Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 9 December 2020

দুযারে দুযারে সরকার একটি মজার ব্যাপার। ।

 



পশ্চিমবঙ্গে এখন এক মজার ব্যাপার হচ্ছে, দুযারে দুযারে সরকার। এ যেন সেই রেল মন্ত্রী থাকা সময় থেকে যে ভাবে বেকার ছেলে মেয়ে দের চাকরি দেওয়ার নামে ফর্ম বিলি করা হয় ঠিক সেই রকম। সেই যে ফর্ম বিলি শুরু করা হয়েছিল সে চাকরি কোন দিন হয় নি। রাজ্যে ক্ষমতায় এসে কয়েকটি চাকরির পরীক্ষা করা হয়েছে। এমন ভাবে সে সব নোটিফিকেশণ হয়েছে যাতে কেস করতে পারে। সে কোন নির্বাচন হোক ভুরি ভুরি চাকরির ঘোষণা করা হয়েছে কিন্তু চাকরি অধরা তাই বলে চাকরি হয় নি অবশ্যই হয়েছে ঘুষ দিতে পারলেই চাকরি, তখন শিক্ষা গত যোগ্যতার প্রমাণ দেখাতে হবে না। এস এস সি, টেট গ্রুপ ডি সব ক্ষেত্রেই এক ব্যবস্থা। চাকরি হয়েছে সিভিক পুলিশ বর্তমানে দশ হাজার টাকা বেতন পুলিশের সব কাজ করে দেয়, এমন কি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পুলিশের কাজও করে ওরা মোরে মোরে থাকলে রাস্তা জ্যাম হবেই। আরেকটা বড়ো কাজ করে হাইওয়েতে  গাড়ি দাঁড় করিয়ে টাকা তোলার কাজ। এতো গেলো একটা দিক আরেকটা দিক দিদি কিছু দিন আগেই বলেছিলেন দশ কোটি মানুষের রেশনের ব্যবস্থা তিনি করে দিলেন। রাজ্যে এখন অনেক গরীব মানুষের রেশন কার্ড নেই। আবেদনের পর পর আবেদন করেও কিছু সুরাহা হয়নি। সব মানুষের রেশন তো দূরের কথা। আবেদন করতে হবে আবেদন করা আবেদন করার জন্য, কিছু দিন পরেই সে সব কাগজপত্র হারিয়ে যায় আর সে সব উদ্ধার করা শিবের অসাধ্য ব্যপার। এই হচ্ছে দশ কোটি মানুষের রেশন কার্ড বা রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা। আরেকটা কথা না বলে পারছি না, বর্তমানে সব অফিস কাছারি আদালত খুলে দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু বিদ্যালয় নৈব নৈব চ শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাক কোন নির্দিষ্ট আদেশ নেই পড়ানোর। ওদিকেে হোয়টস এ্যাপ গ্রুপ আছে অভিভাবক দের নিয়ে সে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় আশি শতাংশ ছাত্র ছাত্রী যুক্ত কিন্তু নির্দেশ নেই পড়ানোর কেবল কয়েকটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সামান্যতম ভাবে পড়ানোর কাজ করে যাচ্ছেন। অনায়াসে নির্দেশ দেওয়া যায় ঐ গ্রুপে প্রতিদিন     বইয়ের একটি নির্দিষ্ট পাতা পড়ানোর, বা অল্প ছাত্র ছাত্রী নিয়ে বিদ্যালয় পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা প্রতিদিন দু বেলা দুটি করে শ্রেণির ছাত্র ছাত্রী আসবে। বিদ্যালয় খুলে দিলে অসুবিধা আছে সরকারি বিদ্যালয় গুলো চালু হলে বেসরকারি বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী যাবে কীভাবে? আবার এর মধ্যে শুরু করেছে ভর্তির প্রক্রিয়া একটা খবর জেনে নিন, সিঙ্গুরের নামে কাটে এরকম দুটি বিদ্যালয় আছে একটা ছেলেদের একটা মেয়েদের। তাদের মধ্যে মেয়েদের বিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সব ছাত্রী ভর্তির আবেদন করবেন তাদের লটারি করা হবে। গত বছরের অভিজ্ঞতা হচ্ছে বিদ্যালয়ের পিছনে বাড়ি সেও বাদ পরে ছিল। এবারেও বাদ পরে যেতে পারে কোথায় যাবে কেন পঞ্চায়েত প্রধানের বাসিন্দা শংসাপত্র আনতে, সে আগে পঞ্চায়েতের ট্যাক্স নেবেন তার পর কেবল ট্যাক্স হলে হতো তার সাথে উপরি দিতে হবে তবে ঐ শংসাপত্র পাওয়া যাবে। পাশাপাশি দুটো বিদ্যালয়ের দু রকম নিয়ম দারুণ এই হচ্ছে দুযারে দুযারে সরকারের নমুনা। এই ভর্তি নিয়ে কত রকম হবে তার ঠিক নেই, তার উপর আবার নাকি দশ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হবে তার জন্য সরকারের অফিসার গন বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করছেন। কোথাও কোথাও কেবল আবেদন পত্র তৈরি করা হচ্ছে কোথাও কোথাও হাতে হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে কার্ড। এতো ঐ ভোটের আগে আরেকটা ভাঁওতা বাজি কারণ দশ কোটি মানুষের মধ্যেই পঞ্চাশ লক্ষ মানুষের চিকিৎসার খরচ দিতে সরকারের বছরের খরচ সরকারের বাজেট বরাদ্দ থেকে বেশি এমনকি দেশের বাজেট বরাদ্দ অত টাকা কিনা জানি না। আসলে মানুষ কে ধোঁকা দিয়ে আবার ক্ষমতা দখল করতে মরিয়া চেষ্টা করা। যাতে আবার লুটে পুটে খেতে পারে, কাটমানি তোলাবাজি চালিয়ে ৭৫ % আর ২৫% করে ভাগ করে নেওয়া যায়। অন্য কিছু না কেবল বলুন কেন চাকরি প্রার্থী বেকার যুবক যুবতী প্যানেল হওয়া সত্ত্বেও অনশনে বসতে হবে। আর অনশনে বসে এক সন্তান সম্ভব মা তার গর্ভের সন্তান কে হারাবেন। উনি তো তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন তিন মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার, উনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রতি বছর ১০%শতাংশ হারে প্যারা টিচার দের স্থায়ী ভাবে নিয়োগ করে দেবেন। এখন রাজ্যের এত প্যারা টিচার বেতন দেওয়ার জন্য আন্দোলন করছে কেন? উনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বছরে দু কোটি বেকার কে চাকরি দেওয়ার। উনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার সাথে সাথে ডি এ দেবেন তাহলে দেনা কেন? উল্টে ১৫% বাড়ি ভাড়া ভাতা কমিয়ে ১২% করে দেন পে কমিশনের নামে ভাঁওতা বাজি। সিঙ্গুরে ৪০০ একর জমি ফেরত দিয়ে বাকি ৬০০ একরে কারখানা করে দেবেন আজ দশ বছরে উনি কটা কারখানা করেছেন। ডানলপ, দৈনিক বসুমতি, জেসপ ইত্যাদি উনি অধিগ্রহণ করে চালাবেন বলে ছিলেন কটা কারখানা অধিগ্রহণ করেছেন। উল্টে বাংলার একমাত্র গাড়ি তৈরির কারখানা হিন্দু স্থান মোটর বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমি চাই দুয়ারে দুয়ারে সরকার যাক, সারদা, রোজভ্যালির সহ বিভিন্ন চিটফাণ্ডের টাকা ফেরত দিতে। কোথায় গেল অশোক সেন কমিশনের জন্য বরাদ্দ করা টাকা। দারুণ রাজ্য চলছে, মাস্ক দেব ট্যাব দেব ক্লাব কে টাকা দেব পুজো করতে টাকা দেব, দু টাকা কিলো চাল পাঁচ কিলোর বদলে দু কেজি করে দেব,। আরেকটা প্রতিশ্রুতি উনি দিয়ে ছিলেন শান্তি ফিরিয়ে আনবেন। ভোটের সময় অশান্তি বন্ধ করে দেবেন, তাহলে উনি ক্ষমতায় থাকা কালীন যত যত গুলো নির্বাচন হয়েছে সব কটাতেই অশান্তি আর মানুষ খুন হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ইতিহাসে যা হয় নি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেটা হয়েছে। একজন প্রিসাইডিং অফিসার খুন হয়েছেন। মদ খেয়ে বোমা বন্দুক নিয়ে হামলা ছাড়া আর কিছুই হয়নি উনি এবং ওনার দলের চুনপুঁটি নেতারা নির্বাচনে জয়ী হতে মানুষ কে ভয় দেখিয়ে জোর করে নির্বাচনে জিতে এসেছে কারণ কাটমানির জন্যে একশ দিনের টাকা বাড়ি করে দেওয়ার টাকা রাস্তা করার টাকা উনি ঠিক বলছেন এত রাস্তা আগে হয় নি। এত টাকা আগে আসেনি কেবল ঠিকাদার দের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার জন্য। যদি সব টাকা টা রাস্তা তৈরির জন্য ব্যবহার করা হতো তবে রাস্তা গুলো তৈরি হবার দুবছরের মধ্যে নষ্ট হয়ে যেত না। আমি তো দেখলাম সিঙ্গুর থেকে বড়া পর্যন্ত পিচ রাস্তা তৈরি করা হয়েছে, বোর্ডে দেওয়া হয়েছে মোরাম সোলিং আসলে বাম আমলে যে মোরাম দেওয়া রাস্তা ছিল সেটাই মোরাম সোলিং নতুন করে হয়নি। কারণ একটাই ঐ কাটমানি পিচ সেত জায়গায় জায়গায় উঠে চলে গেছে ঢালাই যেখানে দেওয়া হয়েছে সেটাও জায়গায় জায়গায় গর্তে পরিণত হয়েছে। কেবল যে ঐ রাস্তা ঐ ভাবে করা হয়েছে তা নয় যেখানে পূর্ববর্তী সরকারের আমলে মোরাম সোলিং ছিল, সেখানেই মোরাম সোলিং না দিয়ে কেবল পাথর আর পিচ দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে, তাহলে মোরাম সোলিং এর টাকা টা কোথায় গেল? কেন নেতাদের পকেটে আর এই কারণেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেরেও জোর করে পঞ্চায়েত দখল করা হয়েছে। দিদি আপনি  বাংলার মানুষ কে দারুণ ধোঁকা দিতে পারেন। আপনার তুলনা আপনি সত্যি আপনার জবাব নেই। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...