Anulekhon.blogspot.com

Tuesday, 29 December 2020

বাংলায় আজও মিজাফরেরা আছে ।


 ভারত বর্ষ এখন কালো ইংরেজদের দখলে, এদের হাত থেকে মুক্তি পেতে মানুষের লড়াই চলছে। দেশের অন্নদাতারা  দিল্লির হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বসে আছে। কারণ তাদের চাষ করা এবং চাষ করে ফসল বিক্রি করার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এক কালা কানুন তৈরি করে, এর বিরুদ্ধে সারা দেশে অন্ননদাতারা আজ পথে নেমে আন্দোলন করছে। দিল্লির দুই ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ দুই ব্যক্তি নিজেকে সর্ব শক্তিমান ভেবে নিয়ে দেশের খেটে খাওয়া মানুষ, কৃষক কে মানুষ বলে মনে করে না। এত বড়ো অসভ্য অভদ্র মানুষ যাদের মানুষ বললে. রাস্তার  সারমেয়র দল লজ্জা পায়। এহেন অসভ্য জানোয়ার গুলো কে বাংলায় ডেকে আনছে এক দল বাঙালি এই বাঙালির দল বা লোক গুলো হলো আজকের মিরজাফরের দল। অমিত শাহ আর মোদী চরম বাংলা বিদ্বেষী মুখে একদম গদগদ অন্তরে অন্তরে জ্বলে ওঠে কারণ একটা দেশের স্বাধীনতা. আন্দোলন এখান থেকে শুরু হয়েছিল। ওরা মানে গুজরাতিরা সব সময়ে ইংরেজ দের দালালি করে গেছে। অনেকেই বলবেন কেন গান্ধীজি, গান্ধীর ভূমিকা অনেকেই জানেন না সে কারণেই বলেন তিনি সব সময় চাইতেন ওখান কার মারোয়ার ব্যবসায়ীরা যাতে ইংরেজের সাথে সমান ভাবে ব্যবসা করার সুযোগ পায়। সেই কারণেই ডাণ্ডি না  ঠাণ্ডি অভিযান। অনেকেই জানেন না অসহযোগ আন্দোলন প্রথম শুরু করে হয়েছিল এই বাংলা ভাগ কে কেন্দ্র করে সেটা গান্ধী সারা ভারতে করার জন্য আহ্বান জানান, কিন্তু অসহযোগ আন্দোলন যখন চরম পর্যায়ে ইংরেজ সরকার আন্দোলন কিছুতেই থামাতে পারছে না, সেই সময়ে একটি ছোট ঘটনা ( চৌরিচোরা থানায় আগুন) দেওয়া কে কেন্দ্র করে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। উনি নানা রকম ভাবে ইংরেজ কে সাহায্য করে গেছেন, ধর্মের নামে দেশ ভাগের পক্ষে ছিলেন কি না জানি না, তবে বাংলা আর পাঞ্জাব ভাগে ওনার ভালো লেগেছে। বিশেষ করে তৎকালীন উত্তর ভারতের কিছু কংগ্রেস নেতার কারণ বাঙালি জাতির আন্দোলন সে সশস্ত্র হোক কিংবা যে কোন বিষয়ে গান্ধীজি দেখেছেন, তার সাথে পাঞ্জাব ছিল, ইংরেজ মনে মনে প্রাণে চাইত ভারতের এই দুটি জাতি কে ধ্বংস করে দিতে। আগুনে ঘি দিয়ে স্বাধীনতার দেওয়ার সময় গদির লোভে মুসলিম লীগ আর হিন্দু মহাসভার নেতারা ধর্মের নামে ভারত ভাগ করে ছিলেন। সেই হিন্দু মহাসভার একটা প্রতিষ্ঠান পরে নাম হয় আর এস এস আর এদের ক্ষমতা শীল দল হচ্ছে বিজেপি। এরা জানে বাঙালি জাতির ঐক্য ভেঙে দিতে পারে তাহলে তারা আবার গোটা ভারত কে লুট করে খেতে পারবে। ব্যবসার নামে, শিক্ষিত বাঙালি জানে বর্তমানে যে আঠাশ জন ব্যবসায়ী, ব্যবসা করার নামে ঋণ নিয়ে শোধ না করে বিদেশে চলে গেছেন, তার মধ্যে ২৪ জন গুজরাতি সেই সব টাকা জন গনের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে আদায় করছে এই গুজরাতি সরকার। এখন দিল্লির সরকার ভারতের সরকার নয় গুজরাতি সরকার, যে সরকার তার রাজ্যের ব্যবসায়ী কে ঋণ দেয় সেই টাকা পার্টি  ফাণ্ডে আসে, চলে নানা বিঞ্জাপন, কিছু দিন পর ঋণ মাপ করে দেওয়া হয়। আর যাতে এই গুজরাতি ব্যবসায়ীর দল ঠিক ভাবে লেবার পায় সেই কারণেই এন আর সি সি এএ ইত্যাদি করে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ কে ডিটেশন ক্যাম্প করে রেখে দেওয়া সেখান থেকে শ্রমিক যাবে কম মজুরি বা বিনা পয়সার চাকর। যেমন গুজরাতে ট্রাম্প আসার আগে যা পাঁচিল তুলে ঢেকে দিতে হয়েছে। আমি জানি না বাঙালির ভাগ্যে কী আছে একদল চোর তোলা   বাজ আর একটা চরম মিথ্যাবাদী অর্থলোভী ক্ষমতালোভী মহিলার জন্য আজ বাঙালি অন্দরে প্রবেশ করতে পারছে এই রকম, দুই অসভ্য শাসক, যারা খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কে মানুষ বলে মনে করে না। এরা ক্ষমতার দম্ভে এতটাই অন্ধ হয়ে গেছে, সেটা বোঝা গেছে এই মহামারীর সময়ে কর্পোরেটের বা ধনীর দালাল এই শয়তান আজ ক্ষমতায় আরে সব যদি দেশের মানুষের ভালোর জন্য করে থাকিস তাহলে নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে ঘুরিস কেন? মানুষের উপকার করলে ভয় কীসের, আসলে নিজের আখের গোছানো এদের লক্ষ, বাংলার দিদি এবং ভাইপো এবং তাদের দলের নেতা মন্ত্রীরা মানুষের এতো ভালো করেছে মানুষের সাথে মিশতে ভয় পায়, নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে ঘোরে দেখ আমি কত বড়ো নেতা। একটা বিষয়ে ভেবে পাই না, কোন মহে মানুষ এই চোরে দের মিছিলে হাঁঁটে, ছি: ছি:। বাঙালির লজ্জা এই দিদি আর তার দলের লোক জন একটাও যদি ভালো হতো বলা যেত সব কটা চোর এবং এখন চুরি করে সি বি আই তদন্ত থেকে বাঁঁচতে দাদার মানে মোদী আর ভারতের সব থেকে শয়তান ব্যক্তি বাঙালি বিদ্বেষী অমিত শাহর পিছনে পিছনে ঘুরছে। আমি খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ গুলো কে বলছি যদি ক্রীতদাসে পরিনত না হতে চাও আবার সেই ভুট্টা মাইলো এবং কুত্তার মতো ছুঁঁড়ে দেওয়া কটি বাসি রুটি না বা যবের আটা না খেতে চাও তাহলে এই দিদি আর মোদী কে বাংলা থেকে হঠাও। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...