Anulekhon.blogspot.com

Monday, 21 December 2020

শিক্ষা আজ কাঁচের ঘরে বন্দি।


 আজ দেশ মহামারীর সম্মুখীন সমগ্র দেশের সাথে পশ্চিমবঙ্গগে এই মহামারী হানা দিয়েেছে আজ থেকে নয় মাস আগে। চার ঘন্টার নোটিশে বন্ধ হয়ে গেছে গোটা দেশ, অর্থাৎ লক ডাউন, দিদি অবশ্য তার এক সপ্তাহ আগে স্ককু কলেজ বন্ধ করে রাখার নোটিশ দিয়ে ছিলেন। সেই বন্ধ হয়ে গেছে আর সরকারের কোন আদেশ নেই, খোলার বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার, আন লক পর্ব শুরু হয়েছে, সব খুলে দেওয়া হচ্ছে কেবল বিদ্যালয় খোলার প্রয়োজন নেই। সরকারি কোন পরিকল্পনা নেই, খোলার সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে বেসরকারি বিদ্যালয় বাড়বে। এর মধ্যেই বিভিন্ন কর্ম কাণ্ড চলছে বিদ্যালয় গুলো মাসে মাসে মিড ডে মিল এর চাল আলু বিতরণে করা। আর বাংলা শিক্ষা পোর্টাল যে    ওয়েভ সাইট টি প্রোভাইড করে  যে কোম্পানি তার চরণে শত কোটি প্রণাম, সত্যিই শিক্ষক জব্দ করার জন্য ওটা বানান হয়েছে। অদ্ভুত একটা ব্যাপার হচ্ছে এখন, বিদ্যালয়ের শেষ শ্রেণীটির কেবল টি, সি আউট করা যাবে, অন্য শ্রেণির নয় এদের ধারণা বিদ্যালয় থেকে কেবল শেষ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা টিসি নেয় অন্য কোন শ্রেণির ছাত্র ছাত্রী নিতে পারে না! আবার শুনলাম বিভিন্ন জেলা বিভিন্ন ভাবে খুলছে এই সাইট উত্তর ২৪পরগনার এক শিক্ষক বলছেন ওনার জেলায় টি সি আউট এবং টি সি ইন দুটোই হচ্ছে। আমার জানা নেই এরকম হয় কিনা? একই ওয়েভ সাইট দুই জেলায় দু রকম কাজ। ডিসেম্বর মাসে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করার জন্য বলা হয়েছে, কিন্তু ঐ সাইটে নাম নথিভুক্ত করা যাবে না। এই সাইট যারা নিয়ন্ত্রণ করেন একটা অদ্ভুত ব্যপার সেদিন দেখলাম মায়ের নাম উধাও কিভাবে হলো বোঝা যাচ্ছে না। কারণ মায়েে নাম বাধ্যতামূলক দিতেই হবে না হলে সেভ করা যায় না। সেই মায়ের নাম বা বাবার নাম ওখানে নেই, আসলে ঐ শিক্ষক কে জব্দ করতে হবে তার একটা ব্যবস্থা, কাঁচের ঘরে বসে আর কাজ নেই কেবল ফন্দি আঁটছে কি করে শিক্ষক দের জব্দ করা যায়। 
এবার আসুন বই এর কথায়, বলা হচ্ছে গত ২০২০ সালের বাংলার শিক্ষা পোর্টালের ছাত্র সংখ্যা দেখে বই দেওয়া হবে। অর্থাৎ গত ২০২০ জানুয়ারি তে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিতে যত জন ভর্তি হয়ে ছিল ঠিক তত গুলো বই দেওয়া হবে এবারও, আর প্রথম শ্রেণীর ক্ষেত্রেও একই এবার দু এক বা তার চেয়ে বেশি ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হলে বই পাওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে কাঁচের ঘরের বেশি বুদ্ধিমান লোক গুলো বলছেন ছাত্র তো কমে বাড়ে কি করে? এমন কিছু বিদ্যালয় আছে যেখানে বেসরকারি স্কুল থেকে এসে প্রাক প্রাথমিক ও প্রথম ও অন্যান্য শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। ঐ ছাত্র ছাত্রী দের বাড়তি বই দেওয়া যাবে না। কারণ তারা মানে কাঁচের ঘরের বুদ্ধিমান লোক গুলোর বক্তব্য বেসরকারি বিদ্যালয় হয় কি করে সরকার এত সুযোগ দিচ্ছে। দারুণ বুদ্ধিমান কারণ টা আমি একটু বলি ওখানে তিন বছরে ভর্তি করা হয়, নার্সারি, কেজি ওয়ান, কেজি টু, কোথাও চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত আছে আসুন সিঙ্গুর ব্লকে দেখে যাবেন। এই চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত যে বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়ানো সেখানে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে বেসরকারি বই এর পাশাপাশি সরকারি বইও পড়ানো হয়। বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসে অভিভাবকরা। এই বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা পাশের উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি ভর্তি হতে পারে, কিন্তু পাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী দের লটারি করে ভর্তি করা হয়। এই সব বিদ্যালয় তৈরি হয়েছে, সরকারি ভুল শিক্ষা নীতির কারণে, ১) এক দিন কম হলে প্রাক প্রাথমিক বা অন্য শ্রেণিতে ভর্তি করা যাবে না। (কেবল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বাদে) বাবা মা কে দিন দেখে ছেলে মেয়ে জণ্ম দিতে হবে, তারিখটা যেন ৩১/ ১২ হয়। ২) বই, প্রাক প্রাথমিকের কাটুম কুটুম আর মজারু, যাতে পড়ার বা শেখার মত কিছু নেই, আর আমার বই ওতো ফালতু না আছে ঐ বয়স অনুযায়ী বাংলা না আছে অঙ্ক, যে ইংরেজি আছে শেখার বা শেখানোর মতো নয়। কেজি টু থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে  যে বই তারা পড়ে অর্থাৎ আমার  বই ওর থেকে ভালো কিছু   শিখে আসে কেজি টুতে। তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণীর জন্য অঙ্ক বাাংলা    ইংরেজি, যেভাবে ইংরেজি তৃতীয় শ্রেণিতে আছে ও এই গ্রামের অর্ধেকের বেশির ভাগ ছাত্র ছাত্রী পড়তে পারে না, কারণ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে সে ভাবে ইংরেজি পড়ানোর ব্যবস্থা নেই তাই। এতো গেলো বই এর পর    আছে শিক্ষক দের পড়ানোর আন্তরিকতার অভাব সব. শিক্ষক চায় প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিতে পড়াতে কারণ কিছু পড়ানোর নেই মূল্যায়ন করতে হবে না। এই লক ডাউনে আন লক ডাউনে কত জন প্রাথমিক শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন খোঁজ নিয়ে দেখুন, আর কত জন হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপে আছেন এবং ছাত্র  দের একটা পাতা পড়ানোর জন্য ঐ গ্রুপে দিয়েছেন। তাদের একটাই কথা সরকারি আদেশ নেই। তাহলে তিন নম্বর কারণটা বুঝতে পারছেন আপনাদের কাঁচের ঘরে বসে থেকে শিক্ষা পরিচাালনা। আর বলেছেন না এতো কিছু দিচ্ছে  সরকার  ঠিক কথা, ২০২০ সালের পোশাক এখনও অনেক বিদ্যালয়ে পৌঁছয় নি অথচ চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা অন্য উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গেছে। কাঁচের ঘরে বসে শিক্ষা নীতি বানালেে যা হয়। রাজ্যের সব খুলে দেওয়া হচ্ছে কেবল বিদ্যালয় বাদে। বলুন তো রাজনৈতিক দল গুলো মিটিং মিছিল করতে পারেন অর্ধেক নেতা ও সমর্থকদের মুখে মাস্ক নেই, দূরত্ব মানা নেই। কেবল বিদ্যালয়় খুললে করোনা  যাবেে ।আসলে পরিকল্পনার অভাব, কারণ মিড ডে মিল বসে না খাওয়ার ব্যবস্থা করে যেমন দেওয়া হচ্ছে দিয়ে, ছাাত্র ছাত্রী সংখ্যা অনুযায়ী দুবেলা বিদ্যালয় খোলা যায়। আসলে শিিক্ষা আজ কাঁচের ঘরে বন্দি হয়ে আছে। সেখান থেকে নির্দেশ ঐ ওয়েভ সাইট যে প্রধান শিক্ষকের মরা বাপ শশ্মান থেকে উঠে এসেও খুলতেে পারে না। সে রকম একটা সাইট   করে এই করুণ ঐ করুন নির্দেশ দেন। আসলে ও গুলো প্রধান শিক্ষক কে জব্দ করার জন্য তৈরি করা বা আদেশ  দেন। জানেন বেশির ভাগ প্রধান শিক্ষক নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির লোক এরা বামপন্থী এদের জব্দ করতে হবে। আর যারা ছাাত্র ছাত্রী দের সাথে যোগাযোগ রাখতে চান না, হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপে আসতে চান , এমনকি মিড ডে মিল বিলির করার জন্য বিদ্যালয়ে আসেন না তারা    তৃণমূল শিক্ষা সেলের সদস্য সেই কারণেই তাদের পড়ানোর আদেশ দেন না। এই জন্যেই বেশ কিছু বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা কমে যাচ্ছে। একদম ঠিক বলেছেন, আর  যে বিদ্যালয়ে বাড়ছে জেনে রাখুন সেখানে একজনও ঐ বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাস করে এরকম শিক্ষক আছেন, সেই কারণেই তার চেষ্টার ত্রুটি  নেই আর ঐ সব বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষার প্রসার চাইলে শিক্ষা কে কাঁচের ঘরে বন্দি করে রাখবেন না। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...