Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 31 December 2020

সাহসী ছাত্র ছাত্রী দের আমার কুর্নিশ।


 এখানে এই ছবিটি একটি ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া, এখানে এক দল সাহসী ছাত্র ছাত্রী, শাসক দলের মিছিলের পাশে দাঁড়িয়ে, শ্লোগান দিচ্ছে, ওয়ান টু থ্রি ফোর, তৃণমূলের সব চোর। চাল চোর, ত্রিপল চোর, কাটমানি খোর, তৃণমূলের সব চোর। আমি একজন শিক্ষক, ওদের এই সাহস আর স্পর্ধা কে কুর্নিশ জানাই, যে কথা অনেক শিক্ষিত মানুষ বলতে পারেন না। চোরের দল থেকে চোর হয়ে যায়, অধ্যাপক থেকে উকিল সবাই। মিথ্যার ফুলঝুড়ি ছোটে, ভুল বকে মানুষ কে বিভ্রান্ত করে তবুও সেই সব মহান শিক্ষিত মানুষ চুপ করে থাকে। সেই বাংলায় দাঁঁড়িয়ে তোদের মত ছাত্র ছাত্রীর এই সাহস কে প্রশংসা করে ছোট করতে চাই না। আমি তোদের কুর্নিশ করি, তোদের হাত ধরেই আসে মুক্তি সেই স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকেই স্বাধীনচেতা, স্পট বাদী প্রতিবাদী ছাত্র ছাত্রীদের হাত ধরে আসুক এই ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি। মিথ্যার ফুলঝুড়ি আর চুরি এবং সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সমগ্র ভারতের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, বাঙালির মাথা   হেঁঁট হয়ে যাচ্ছে। এই সব ভদ্র চোরে দের কোন হুঁশ নেই, চোরের দলের নেতা কর্মী মন্ত্রী এদের গলার জোর এবং ক্ষমতার জোরে বিচার ব্যবস্থা কে চুপ করিয়ে রাখা এদের কাজ। সাধারণ ভোটার কি করে কেউ ছিঁচকে চোর ধরে পেটায় আর এই সব ভদ্র ডাকাত কে ভোট দিয়ে জিততে সাহায্য করে। যাতে আরো বেশি করে চুরি করতে পারে, ২০০ টাকা মজুরি পেত সেরকম নেতা আজ ২০০ কোটি টাকার মালিক। সত্যিই আমরা সেই বাঙালি ভাবতে লজ্জা লাগে, যে বাঙালি একদিন গোটা ভারত কে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে সশস্ত্র বিপ্লবে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিল, মাস্টার দা সূর্য সেন, বিনয় বাদল দিনেশ ক্ষুদিরাম বোস সুভাষচন্দ্র বোস আরও অনেক বলে শেষ করা যাবে না। সেই বাঙালি আজ চোর ডাকাতের সেবা করছে,আর চোর তাড়িয়ে চরম মিথ্যাবাদী বাঙালি বিদ্বেষী এক দল লোক কে ডেকে আনতে চলেছে এই বাংলায়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তোদের এই সাহস আমাকে মুগ্ধ করে দিয়েছে। আজ মনে হচ্ছে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ছাত্র দলের গান কবিতার স্তবক গুলো কতটা প্রাসঙ্গিক, তোরা ভালো থাকিস। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...