Anulekhon.blogspot.com

Friday, 1 January 2021

বাম আমলের একটা প্রচলিত কথা ছিল, পঞ্চায়েতের ঝাড়ুদারও প্রাথমিকের শিক্ষক দের মিটিং ডাকে।


 বাম আমলের শেষের দিকে একটা কথা প্রচলিত হয়ে গিয়েছিল, যে পঞ্চায়েতের ঝাড়ুদারও প্রাথমিকের শিক্ষক দের মিটিং ডাকে । এখনও সে অবস্থা বদলায় নি, কারণ বামেদের শেষের দিকের কাজের রেশ ধরে এই সরকার চলছে, তাই পরিবর্তন হয়েছে ঠিক কিন্তু সরকারের ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়নি। এখন আবার নয়া ব্যযবস্থা, কোন সরকারী জিও G. O লাগে না, কেবল হোয়াটস এ্যাপ করে দিলেন হবে। কত রকম কাজ যুক্ত করা হয়েছে, পোশাক দেবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী দায় শিক্ষকের, এই করোনা কালেও প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীর বাড়ির ফোন নম্বর, এবং ঠিকানা দিয়েও, আজ ২০২০ সালের পোশাক দেওয়া শেষ হয়েও হয়নি। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা কেউ কেউ নেয় নি কারণ তারা অন্য   বিদ্যালয়ে চলে গেছে, সে. বিদ্যালয়ের পোশাক আলাদা এবার দায় কার কেন শিক্ষকের। মাইনরিটি ছাত্র ছাত্রী একশ শতাংশ আবেদন কেন করেনি দায়িত্ব শিক্ষকের। সব থেকে বেশি ব্যপার এই মি ডে মিল, এখানে আগে ছিল মি ডে মিল সুপার ভাইজার এখন সে রকম দু জন এসে হাজির হয়েছেন। একজন বি ডিও অফিসে থাকেন, তিনি নিজে কে বি ডি ও এস ডিও বা আরো কিছু ভেবে ফেলেছেন। শিক্ষক দের সাথে কথা বার্তা ব্যবহার শুনে মনে হবে তিনি বিরাট জ্ঞানী শিক্ষক কুল মানুষ নয়। পারলে ধরে ফাঁসি দিয়ে দেবেন, আর বর্তমানে আরেক জন তিনিও কম যান না, যখন তখন যা পারেন হোয়াটস এ্যাপের মাধ্যমে দিয়ে বলে দেন এখুনি চাই হায়র অথরিটি বলেছে। কে এই হায়ার অথরিটি ঐ বিডিওর অফিসে বসে থাকা লোক টি, কোন সরকারী জিও নেই, যেমন এই গত কাল সন্ধ্যায় একটি আদেশ দিলেন ইউ বি আই ব্যাঙ্কে যাদের মি ডে মিলের এ্য্যকাউন্ট আছে তারা   ব্যাঙ্কের বই এর প্রথম পাতা ছবি তুলে মেইল করে পাঠাবেন, ৩/১/২০২১ এর মধ্যে। কারণ ইউ বি আই ব্যাঙ্ক. পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক হয়ে গেছে, তাই, ভাবুন এতো মাস মানে গত বছর এপ্রিল থেকে এই পরিবর্তন হয়েছে মি ডে মিলের টাকা দিতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এই তিন দিনের মধ্যে তার ভেতরে এক দিন রবিবার না দিলে টাকা দেওয়া যাবে না। যথারীতি ব্যাঙ্কে যাওয়াা এবার উল্টো অভিজ্ঞতা ব্যাঙ্কতো কোন রকম পাসবুক পরিবর্তন করে দিলেন না, প্রথম পাতায় ওসব কথা আর বলে কাজ নেই বললেন আপনার অফিসার কে পাঠিয়ে দিন বলে দিচ্ছি। শিক্ষক মশাই কি করেন বলে দেওয়া হয়েছে ঐ গেটের সামনে আই এফ এস সি নম্বর মারা হয়েছে আপনি ছবি তুলে নিনি। এ্যাকাউন্ট নম্বরে কোন পরিবর্তন করা হয়নি। এই আই এফ সি  নম্বর টি সব  এ্যাকাউন্টের এক এবং অন লাইন সার্চ করে পাওয়া যাবে, না ঐ যে.    হায়ার অথরিটির আদেশ, সেই হায়ার অথরিটি কে যত বার ফোন করি ফোন সুইচ অফ, যাহোক ছুটির দিন তো মেইল পৌঁচ্ছে কিনা বুঝতে পারছি না, না পেরে হোয়াটস এ্যাপ করে, লিখলাম ফোন সুইচ অফ করে রেখেছেন। আমরা কি মানুষ নয়, ব্যস আর যায় কোথায়? তিনি ফোন করে বলতে লাগলেন বাড়িতে তাঁর বিপদ আমাকে পরিস্থিতি বুঝে হোয়াটস এ্যাপ ম্যাসেজ করা উচিত ছিল। কেন লিখেছি আমরা কি অমানুষ? তিনি যে ভাবে আমাকে ধমকালেন চমকালেন তাতেও আমার মনে হচ্ছে আমি ম্যাসেজ করে কত অন্যায় করে ফেলেছি। উনি বড়ো অফিসার আমি ওনার অধীনে কাজ করা একজন শিক্ষক, আমি ওনাকে হোয়াটস এ্যাপ করে খুব ভালো কাজ করিনি। এর পর হয় তো কোন দিন বলবে ক্যাশবুক করেনি কেন? ঐ ব্যাঙ্ক আজ দশ মাস হলো পাস বই আপডেট করতে পারা যায় নি। ও সব শুনতে ওই রকম বড়ো অফিসারের বয়ে গেছে, দায় তো শিক্ষকের, এরকম অফিসারের কাছে আমার মতো শিক্ষক মানুষ নন। পারলে ধরে ফাঁসি দিয়ে দেন? এটাও ঠিক টাকা না দিলে বন্ধ থাকবে ঐ চাল আলু দেওয়া। কারণ নিজের টাকায় কীর্তন গাওয়ার অভ্যাস ছিল সেটা ছেড়ে দিয়েছি। কারণ ২০১১ সালের মিড ডে মিলের তিন মাসের টাকা নিজের থেকে দিতে হয়েছে। এই সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথম তিন মাস টাকা দেয় নি ১১৩৩৪ টাকা দেনা শোধ করতে হয়েছে। কেবল আমাকে নয় গোটা ব্লকের শিক্ষক দের। কি ভাল না, একদম বাম আমলের শেষের দিকের শেষ দু তিন বছর ধরে যা হয়েছে আজ প্রায় দশ বছর ধরে সেই ধারাবাহিক ভাবে চলে আসছে বরং বেড়েেছে, তখন তবুও একটা কাগজ পত্র থাকত তাতে একটা G. O নম্বর থাকত এখন তো একটা ফোন বা হোয়াটস এ্যাপ, আবার সেটা এক পক্ষ অন্য পক্ষ তথা শিক্ষক দের কিছু বলার অধিকার নেই। যা বলবে তাই সাথে সাথে দিতেই হবে না হলে, এই যে ফোন করে ধমক চমক। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...