Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 2 January 2021

প্রতি নির্বাচনের আগে এই বিজ্ঞাপন দেখে মনে ভোট আসছে।


 প্রতিটি নির্বাচনের আগে এই রকম বিভিন্ন প্রকার কাজ বা উন্নয়নের বিজ্ঞাপন দেখে আসছি, সত্যি বলছি যদি এই কাজ এবং নিয়োগের বিজ্ঞাপন যদি সত্যি সব হতো, তাহলে আজ বাংলা  সত্যিই সোনার বাংলায় পরিনত হয়ে যেত। একজনও বেকার থাকত না। বাঙালি গত দশ বছরের মধ্যে যত রকম নির্বাচন হয়েছে প্রতিটি সময় খবরের কাগজ ভর্তি বিজ্ঞাপন দেখেছে। সবাই বলবেন কেন কাজ হয়নি, হ্যাঁ হয়েছে, শাসক দলের বেশ কিছু নেতা কর্মীদের দেখলেই বোঝা যাবে, এই দশ বছরে বাংলা সোনার বাংলা হয়েেছে। আমি গত ২০১৭ সাল থেকে ডিজিটাল রেশন কার্ড   পাওয়ার জন্য আবেদন জমা করেছি, অফিস থেকে বার বার বলা হয়েছে আপনার আবেদন হারিয়ে গেছে আবার করুন। গত বছর ২০২০ সালের পুজোর আগে একই ঘটনা ঘটে, একটা বিষয় ভাবার আছে হারিয়ে ফেলছে আমাকে করতে হবে মিসিং ডাইরি না হলে আবেদন করা যাবে না। যাহোক বারবার যোগাযোগ করার পর গত ডিসেম্বরে ঐ মিসিং ডাইরি ছাড়া আমার আবেদন আবার জমা করতে পেরেছি, জানা নেই কি হবে? আদৌ কোন কাজ হবে কিনা? আমি তো প্রায় দিনই দেখি আমার মতো একশ দুশো লোক প্রতি দিন রেশন কার্ড পাওয়ার জন্য বা সংশোধন করতে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সব ডিজিটাল অন লাইন কিন্তু অত বড়ো লাইন পরছে। এর পর অর্ধেক দিন সার্ভার ডাউন থাকে। বিদ্যালয়ের অতিরিক্ত শ্রেণি কক্ষ তার প্রথম শর্ত প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষক দের টি এম সি হতে হবে, তবে পাবে না হলে অনেক শর্ত জুড়ে দেওয়া হবে। বিদ্যালয়টির নীচে ঘর করার জায়গা চাই। আর ও অনেক কিছু আছে ওসব কথা অনেকে বার লিখেছি, তবে একটা বিষয় না লিখে পারলাম না দিদি এতো ভালো ভালো কাজ করে চলেছেন, তবুও তার দলের ছোট বড়ো মাঝারি নেতারা বিজেপি তে যোগ দিচ্ছে। কারণ যত কাজ তত কাটমানি, থুরি উপরি ইনকাম। কোন ব্যবসা চাকরি বা কাজ না করে কোটি কোটি টাকার মালিক। রাজনীতি করা এখন একটা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে এই মহান মানুষরা সাধারণ মানুষের কথা এরা ভাবেই না। জানে গরীব মানুষ কে সামান্য কিছু দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া যায় এই রাজনীতি করে। যদি সত্যি সমাজ সেবা করার জন্য রাজনীতি হতো তাহলে এত দল থাকত না। আর আজ এ দল কাল ও করত না নেতারা, যে দলে থাকলে বেশি টাকা উপার্জন করতে পারে সেই দলে নাম লেখায়। এদের একটু লজ্জা বোধ নেই একটা দলের প্রতীক নিয়ে জিতে গেল, যে দলকে মানুষ ভোট না দিয়ে তাঁকে ভোট দিয়ে জিততে সাহায্য  করল, তিনি সেই ভোটারদের সাথে বেইমানি করে যে দল কে, ভোটে মানুষ বয়কট করেছে সেখানে নাম লেখালেন। ভালো মানুষ তো তাই এসব করে, আনন্দ পান, ঐ মাথায় অক্সিজেন কম যাওয়া নেতা, কখন পুলিশ কে বোম মারতে বলছেন, কখনও উন্নয়ন কে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকছে, কখনও চড়াম চড়াম দেবেন। কে বলছে নারকেল মুড়ি খাওয়াতে, যাহোক জনগণ সত্যিই বোকা , দু টাকার মদ খাইয়ে আর ভাগারের মাংস খাইয়ে ভোট নেওয়া, সাধারণ মানুষের মধ্যে দু এক টাকা  বিলিয়ে দিয়ে, দাঙ্গা লাগিয়ে দেওয়া ।যাহোক আরো বেশি বেশি করে ভোট দিয়ে দিদি কে জিতিয়েে আনতে হবে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...