Anulekhon.blogspot.com

Friday, 18 December 2020

দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু করেছে পাঞ্জাব এবার বাঙালি জাগো।


 জানি না আমার লেখা কত জন পড়বেন, কারণ আমি এর আগে অনেক বার লিখেছি, বাংলার শাসক দলের হাল নিয়ে, বাংলার এই শাসক আর দিল্লির শাসক একটি দল দুটি নাম। উপরে উপরে আদায়  কাঁচ কলায়, আর ভেতরে ভেতরে গলায় গলায় ভাব দুটোই সমান। যদি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এমন ফল দেখা যায় যে বিজেপির কিছু বিধায়ক দরকার, সরকার তৈরি করতে তখনই মজার ব্যাপার ঘটবে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সমর্থন করে সরকার করবে বিজেপি একটাই শর্ত দিদি হবেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঙালি বেকার যুবক যুবতী এবং প্যারা টিচার, শিক্ষা বন্ধু, আরও যে এ রকম কর্মী আছেন এবং সর্বোপরি    রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ সরকারি কর্মচারী, যারা প্রতি নিয়ত বঞ্চিত, এবং তুই তোকারি শুনতে অভ্যস্ত তারা, আর বাংলার কৃষক খেটে খাওয়া মানুষ যারা মাসে দু কেজি দু টাকা কিলো চাল ভিক্ষা পান।এই সব মানুষ একবার ভাবুন আপনার মুখের কাছে কুকুর কে যেমন এক টুকরো রুটি ছুঁঁড়ে দেয় সে রকম এক টুকরো রুটি ছুঁঁড়ে দিয়ে, বলছেন এই নে দিলাম আর ঘেউ ঘেউ করবি না। যেন মনে হচ্ছে তিনি তার ইনকাম থেকে আপনাকে এবং শ্রমজীবী মানুষ কে
দয়ার দান দিচ্ছেন। আর নেতা মন্ত্রী বিধায়কদের দিকে তাকিয়ে দেখুন, 280 টাকার দিন মজুর আজ 280 কোটি টাকার মালিক। কি নেই তার কেবল 75% আর 25% এর ভাগ করে নিতে পারলেই হবে। আমি জানি কিছু সরকারি অফিসার যেমন এস ডি ও /বিডিও, থানার পুলিশ, বিশেষ করে সিভিক পুলিশ টাকার পাহাড় করে তুলেছে। আপনার যদি মনে হয় এগুলো ঠিক আছে, তাহলে আপনি তো নিজের পরিবারের সাথে বেইমানি করে চলেছেন, আপনার বাড়ির বেকার ছেলেটা একটা চাকরির রাস্তায় বসে অনশন করছে, আর আপনি টাকার জন্য নিজের বিবেক মনুষ্যত্ব বিক্রি করে দিচ্ছেন। সামনে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচন ভাবুন একবার আপামোর জনগণের অভিশাপ আর্তনাদ খিদের জ্বালায় ছটফট করা ঐ শিশুর মুখটা, বা আধপেটা খেয়ে ঘুমতে যাওয়া মানুষ গুলোর, তাকিয়ে দেখুন সেই সব অসহায় মানুষের পাশে সামান্য হলেও কারা সাহায্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আসুন সবাই মিলে আমাদের বাংলা কে রক্ষা করি দিল্লির হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যেই কৃষক তার অধিকার বুঝে নিতে লড়াই করছে। আমাদের রাজ্যের বেকার এবং কম বেতনের যে সব কর্মী একটু সণ্মাণ জনক বেতনের জন্যে এই শীতের রাতে কলকাতায় রাত জাগছে, সেই সব মানুষদের পাশে থেকে লড়াই করি। আন্দোলন এক মাত্র পথ যা এই অপশাসন থেকে মুক্তি দেবে। আর দেখুন কারা আপনার ভাল চায়, চোরের দল না চোর কে দলে নিয়ে সাধু বানানোর দল। আমরা কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের শাসক দল কে বর্জন করে বাম দিকে ফিরে আসি। কেন সে কথা অনেকেই লিখেছেন বলছেন অন্তত বছর বছর এস এস সি, পি এস সি, বি সি এস প্রাথমিক নিয়োগ, প্রক্রিয়া কে সচল রাখতে। আমরাও ঐ কৃষক দের বাংলার বুকে আন্দোলন শুরু করি, কারণ মুক্তি চাই মুক্তি, চোর ডাকাতের হাত থেকে মুক্তি, দিদির থেকে মুক্তি পেতে যারা বিজেপি বিজেপি করছেন তাদের বলছি বিজেপি দেশটা আদানি, আম্বানি কে বিক্রি করে দিতে চাইছেন, আর বাংলায় ক্ষমতায় এলে বাংলা টা ঐ দুজন কে বেচে দেবে। আর নয় অনেক হল এবার আবার বাম দিকে নজর দিন। 

No comments:

Post a Comment

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার সরকারি দপ্তরে শেষ চেষ্টা।

উপরের ছবি টা একটা স্কীনশট নেওয়া ছবি। ছবি টি সম্পর্কে কিছু কথা বলি তার পর অন্য কিছু কথা লেখা যাবে। ছবির দুটি অংশ উপরের অংশ একজন শিক্ষক যিনি ...