
আজ করোনা ভাইরাস যখন দেশে এসে হাজির, কিছু বড়ো লোক আমলা ব্যবসায়ী ধনী ব্যক্তি প্লেন চেপে বিদেশ গেছেন। আবার জাহাজে করে জিনিস পত্র এনেছেন এদেশে বিক্রি করার জন্য। সঙ্গে উপহার এনেছেন করোনা ভাইরাস দেশ তথা হাজার হাজার গরীব মানুষ কে বিনামূল্যে উপহার দেবেন বলে। কেন্দ্রীয় সরকার বলুন আর রাজ্য সকলেই বড়ো লোক তথা ধনী দের পেছনে ছুটে যাচ্ছে। তাদের কীভাবে উদ্ধার করে আনাতে হবে তার ব্যবস্থাপনা করছে। আর হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক যারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে আছে এমনকি দিল্লির যমুনা সেতুর নীচে তাদের দিন কাটছে। খালি বড়ো বড়ো ঘোষণা এক জন তো থালা বাজাও ঘন্টা বাজাও মোমবাতি জ্বালাও করে গেছে। ঘোষণা আছে পাঁচ কেজি চাল আমার রাজ্যও ঘোষণা করা হয়েছে পাচ্ছে কত 2 কেজি। কারণ নতুন অঙ্ক 5 + 5 = ২ কেজি হয়। ভাবছেন গরীব মানুষ পাচ্ছে নৈব নৈব চ। কোথাও যদি 10 জন পায় তার মধ্যে বড়ো জোর 4 জন গরীব মানুষ। বাকি শাশক দলের নেতা কর্মীরা। কেউ কেউ ঐ চাল এনে দিব্যি গরীব মানুষ কে বিক্রি করে দিচ্ছে। দিদির নির্দেশ আছে চাল বিলি করতে হবে। কি করে তারও উপায় আছে চাল চুরি করতে হবে। সেই জন্যই 5+5= 2 কেজি হয়ে যাচ্ছে। আর রোগের পরীক্ষা সে কথা আর বলতে হবে না। কার যে রোগ আছে আর কার শরীরে নেই সে ভগবান জানেন। আর বর্তমানে ভগবান তো নিদ্রা গেছেন কারণ সমস্ত মন্দির বন্ধ আর এখন বিজ্ঞান লড়াই করছে। কীভাবে এই মারণ ভাইরাস কে প্রতিরোধ করা যায়। আমাদের দেশেই উদাহরন আছে কেরল রাজ্য মুখে বড়ো বড়ো কথা নয় সত্যিই লকডাউন করে মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া থেকে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া করছে। ওই রাজ্যে তো ফেব্রুয়ারি মাসে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের রাজ্যের সরকার কেবল বিজ্ঞাপন দিতে ব্যস্ত। ঐ ছবি ছাপতে আর বিজ্ঞাপন দিতে টাকা লাগে না। সারদার টাকা এখনও আছে। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, এই চোর ডাকাত চিটিংবাজ দের সাপোর্টার বা সমর্থক আছে। যারা সমর্থন করে তারা প্রত্যেকেই চোর তোলাবাজ না হলে লুটের ভাগ পায়। মিথ্যাবাদীর দল আমার তো মনে হয় জীবনে কোন দিন সত্যি কথা বলে নি। পুলিশ ও অন্যান্য অফিসার দের অনেকেই এই সরকার কে সমর্থন করে কারণ কাটমানির ভাগ ভালো রকম পায়। ডি এ না দিলেও পুষিয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার ওখানে যারা আছে তাদের পশু বললে পশুরাও লজ্জা পায়, দেখবেন অনেক পশুর মধ্যেও মমত্ব বোধ থাকে এদের মধ্যে তাও নেই। বিশেষ করে হিন্দি ভাষা ভাষি আর তার সাথে জুটেছে দুই গুজরাটি বাঙালি জাতি বিদ্বেষী হিসেবে খ্যাত এই গুজরাটির দল। আজ বলে নয় সেই ব্রিটিশ আমল থেকে, যাক সে কথা পরে এখন এই লকডাউন মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে পারে না। অথচ নাকি দেশের খাদ্য ভাণ্ডার পূর্ণ অভাব নেই কেবল অভাব মানসিকতার। রাজ্যের চোরের রানী, নিজের কেউ নেই তাও কোটি কোটি টাকা টাকা চাই, দেশের যিনি মাথায় তার তাই কিন্তু কোটি কোটি টাকা চাই। প্রচার চাই বিজ্ঞাপন চাই। মানুষ মরুক গরীব মানুষ ও তো মানুষের মতো দেখতে মানুষ নাকি। এই যে উত্তর প্রদেশের ছবি দেখে নিনি দুধ রাস্তায় ঢেলে দিয়েছে একদিকে কুকুরে খাচ্ছে আর এক দিকে নিজের বাচ্চা কে খাওয়ানোর জন্য, তুলছে।

এ যেন বিজন ভট্টাচার্যের নবান্ন নাটকের একটি দৃশ্য । রাধিকার ডাস্টবিন থেকে কুকুরের সাথে ভাত ভাগ করে খাওয়ার দৃশ্য ।আর আমার রাজ্যও দেখুন ক্ষুধার্ত মানুষ খাদ্যের জন্য রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ।
আর রেশনের কথা আগে বলেছি এখন এই মাত্র এক চেনা জানা ভদ্রলোক ফোন করে বলে 2018 সালে রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কার্ড আসেনি আর পুরনো কার্ডেও মাল দিচ্ছে না ।ভদ্র মহিলা একা থাকনে এই লকডাউন কেউ সাহায্য করেনি। এই রকম বহু কেস আছে খালি মুখে বড়ো বড়ো কথা আর বিজ্ঞাপনের খেলায় জগৎ অন্ধকার । আর এক দিকে শুরু হয়েছে পুলিশের মার বিস্কুট কিনতে বেড়িয়ে পুলিশের মারে মৃত্যু ।আবার উল্টো টাও আছে, পুলিশকে মার হিন্দি বলয়ে এই ভাবেই অনেক গরীব মানুষ কে কেবল পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে ।আর না খেয়ে মারা যাওয়া সেটা আবার কোন ব্যাপার না কি । যেমন কালকে মহারাষ্ট্রের ঘটনা গন পিটুনি।
দুই সাধু কে পিটিয়ে মারা হল ।খুব বিপদজনক দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এরপর এই ক্ষুধার্ত মানুষ প্রশাসন কে মানবে না । শুরু হবে বাঁচার লড়াই তৈরি হবে উগ্রপন্থী ।কোটি কোটি টাকা খরচ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের দেশে নেতা মন্ত্রী দের ঘুরে বেড়ায় তার একটাই কারণ এরা মিথ্যাবাদী ,চোর আর সাধারণ মানুষ কে মেরে ফেলা এদের কাজ। ভোট দিস আর নাই দিস আমি কারচুপি করে ঠিক জিতে যাব ।
সেদিন আর বেশি দূরে নেই যে দিন নেতা মন্ত্রী ও ঐ সব সরকারি আমলা প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে ।
কিসের জন্য এই লকডাউন করোনা ভাইরাস রোখার জন্য, তাহলে পরীক্ষা করে দেখতে হবে কার আছে না আছে ছে। যা আছে তাই দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা দরকার, যেমন দাদা তেমন দিদি একটা হসপিটাল তৈরি করেনি, খালি নীল সাদা রং করে সুপার স্পেশাল নাম দেওয়া হয়েছে। আর দাদা সে তো মূর্তি বানাতে ব্যস্ত।কার করোনা আছে না আছে পরীক্ষা না করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবার হাসপাতালের ডাক্তারা পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে পরছেন। হসপিটাল বন্ধ, সাধারণ রুগীর দল যাবে কোথায়? আগে শুনতাম বাংলা আগে করে তারপর ভারত। এখন উল্টো কেরল রাজ্যের কাজ দেখেও বাংলা শেখে না। ঐ কে একজন ডাক্তার আছে কুকুরের ডায়লিলিস না কি করে লোক টা কে দেখলেই মনে হয় গুণ্ডা, আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করছিলাম বর্তমান শাসক দলের নেতাদের দেখলেই মনে হয় মাস্তান গুণ্ড যেমন চেহারা তেমন পোষাক আশাক। আজ পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খারাপের দিকে খালি রোগের পরীক্ষা করা হয় নি বলে। কেবল লক ডাউন নয়, চাই পরীক্ষা আর বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া। পুলিশ ও সেনা বাহিনীর মাধ্যমে, কারণ শাসক দলের নেতা কর্মীরা সব চোর তোলা বাজ সরকারি চাল নিয়ে দিদির ছাপ মেরে বিলি করে গর্বের বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। রাজ্যে কোষাগারে টাকা নেই, তাহলে এই বিজ্ঞাপন দিতে টাকা আসে কোথা থেকে? আমি আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি, মানুষ মরতে বসেছে সেখানেও চুরি ধাপ্পা। এটা বাঙালি জাতি হিসেবে ভাবতে ঘৃনা হচ্ছে, তবে এই ধরনের বাঙালি ছিল যারা ইংরেজ দের গোলামী করত। আর ক্ষুদিরাম প্রফুল্ল চাকি দের ধরিয়ে দিতে কুণ্ঠা বোধ করত না। এদের পশুর সাথে তুলনা করলে পশুও লজ্জা পাবে। চারপাশে মানুষ যখন মরছে সেই মৃত্যু নিয়েও মিথ্যে কথা বলে যাচ্ছে। মানুষ না খেয়ে ঘরে বন্দি মেরে ধরে ঘরে ঢুকিয়ে দে। আরে খেতে দিতে হবে না, চোর ডাকাত আর গরীবের মানুষের রক্ত চুষে খাওয়ার দল ক্ষমতায়। খালি ক্ষমতা চাই, লুটপাট করে খেতে চাই, বয়স তো হোল। এবার তো থাম তা নয়। যাদের শ্রমের জন্য এই সভ্যতা দাঁড়িয়ে আছে তারাই আজ বঞ্চিত অবহেলিত। কোথায় যমুনা সেতুর নীচে কোথায় স্টেশনে শুয়ে রাত কাটছে। তাদের উপর কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে, এদের ফিরিয়ে আনার কোন উদ্যোগ নেই, এদের ফিরিয়ে এনে সঠিক পরীক্ষা করে ঘরে ফিরিয়ে দিই না ওসব হবে না। ওরা মানুষ নয়, আর হিন্দি ভাষা ভাষির মানুষ আবার যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে তো কথাই নেই, এই সব মানুষ ওদের কাছে মানুষ না। আসলে নিজেরা তো পশুর অধম খালি ভদ্র পোষাক পরে লেখা পড়া করে ভালো বাড়িতে থেকে গাড়ি করে ঘুরে বেড়ালে সে মানুষ আমার মতে সে মানুষ নয় যত ক্ষণ না সে গরীব দুঃখি মানুষ কে মানুষ বলে মনে করছে। ঐ সব মানুষের সামনে গিয়ে ভাল ভাল কথা আর পিছনে বাঁশ দেওয়ার ব্যবস্থা। আমি এমন দেখেছি মুখে মারিতং জগৎ যেই তাকে সাহায্য করতে বলা হলো নানা অজুহাত। যেমন বর্তমান রামকৃষ্ণ মিশন বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরা কারা এরা বিবেকানন্দের আদর্শ এদের কাছে ব্যবসা। যে বিবেকানন্দ আর্তের সেবা করতে গিয়ে নিজের জীবন বিপন্ন করে তুলেছিলেন। আমরা পড়েছি প্লেগ মহামারীর সময় তিনি ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিলেন। কারণ পরাধীন ভারতে ভারতীয় দের চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা ছিল না। রাস্তায় পড়ে থাকাত প্লেগ রুগী স্বামী জি তাদের তুলে এনে সেবা শ্রশ্রুষা করতেন। আর বর্তমানে ঐ বেলুড় মঠের মহারাজ রাজনীতি করছেন, প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী যাবেন কোটি কোটি টাকা চাঁদা আসবে। তা ছাড়া আরও নানা ধরনের ব্যবসা করে টাকা করতে হবে। ব্যাঙ্ক ব্যালান্স করতে হবে। যে আদর্শ নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠ ও মিশন তৈরি করে ছিলেন। আজ তারা আদর্শ চ্যূত। এখনো গরীব খেটে খাওয়া এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ প্রত্যেকে বর্তমান শাসকের কাছে মানুষ নয়। এরা সেই ইংরেজের গোলামী করা এবং দালাল শ্রেণীর বংশধর, মানুষ কে কষ্ট দিয়ে এরা আনন্দ করে। কেউ সামনে কেউ পেছনে, এই যে M DM এর চাল দেওয়া হয়েছে, কোথাও পোকা ধরা কোথাও ভালো। শাসক দলের শিক্ষক যারা সরাসরি এই সরকার কে সমর্থন করে এবং ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে, যারা লিখল বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়া হোক, অবশ্যই নিজেদের বাদে। কারণ 30000 পর্যন্ত বেতন বাদ দিতে বলেছে। এই অঙ্কের বেতন শিক্ষা সেলের শিক্ষকরা পায় বেশি। এই রকম এক শিক্ষক ( রাজেশ মণ্ডল) বিদ্যালয়ের কাছে থাকে মানে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তবুও ছাত্র দের চাল দিতে আসেনি। কি ভাল না, এদের কথা শুনে দেখবেন মনে হবে পৃথিবীর সব জানে। সব কিছুতেই নিজের স্বার্থ ছাড়া এক পা চলে না। বর্তমান শাসক তো এরকম তাই না, মেকি মানব দরদী। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজ নিজ দাায়িত্বে। অসুস্থ হলে নিজেই ডাক্তার, কারণ ডাক্তারা সব ঐ যে একটা ঘরে স্বেেচ্ছায় বন্দী।