Anulekhon.blogspot.com

Thursday, 30 April 2020

এই মে দিবসে সকল শ্রমিকের দূর্দিন কেটে নতুন সূর্য উঠুক।

আগামী কাল মে দিবস সকল শ্রমিকের দূর্দিন কেটে যাক নতুন সূর্য উঠুক ।আসুক নতুন সকাল, সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আটকে পরা পরিযায়ী শ্রমিক তার পরিবারের কাছে ফিরে আসুক। না খেয়ে রাস্তা হেঁটে এসে যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই। আর যেন মৃত্যু না দেখতে হয়। সকলে সুস্থ থাকুন, অন্ধ কালা সরকারের কানে পৌঁছে যাক ক্ষুধার্ত শ্রমিকের আর্তনাদ। আসুন সকলে মিলে প্রতিবাদে সামিল হই। এখন একটা কথা মিডিয়ার মাধ্যমে জেনে ভাল লাগছে যে এদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেবার ব্যবস্থা করা হবে। বিশেষ করে যারা দিল্লি তে আছে। কারণ দিল্লির ঐ আম না জাম পার্টির যিনি প্রধান বা মুখ্যমন্ত্রী তাকে এই পরিস্থিতিতে মানুষ বলে মনে হচ্ছে না। আবার এদিকে আরেকটা খবর পড়লাম জাহাজে করে উপমহাদেশে আটকে থাকা ভারতীয় দের ফিরিয়ে আনা হবে।
তাহলে এরা যদি সেনা বাহিনীর জাহাজে অন্য দেশের থেকে দেশে আসতে পারে। তাহলে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে এদের ফেরানো যাবে না কেন? সব দিক থেকে আওয়াজ উঠুক হয় এদের ফিরে আসার ব্যবস্থা করা হোক, নয় তো সেই রাজ্য সরকার ওদের দায়িত্ব নিক কেরল সরকারের মতো। 

Monday, 27 April 2020

এই লক ডাউনে M DM এর চাল আলু বিতরণে স্থানীয় শিক্ষক দের ভূমিকা।

আমি সরকার কে ধন্যবাদ জানাই, এই সময়ে বিদ্যালয়ের মাধ্যমে MDM এর চাল আলু  বিতরণ করার জন্য। সত্যিই সাধু বাদ পাবার যোগ্য অনেক বাড়িতে এই সময়ে মানুষ কর্মহীন যে কোন ভাবে তাদের অল্প হলেও এই সাহায্যে কাজে আসবে, এই প্রকল্প রূপায়ণে বাধ সাধছে কতিপয় স্থানীয় শিক্ষক। যারা ট্রেনে বাসে শিক্ষকতা করতে যান। তাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। আবার যার নিজস্ব যান বাহন নেই একদমই ট্রেন বাসের উপর নির্ভরশীল। সেরকম শিক্ষকদের যাওয়া অসম্ভব তাহলে কি হবে? এই কঠিন পরিস্থিতিতে সরকারের এই সুন্দর উদ্যোগ মাঠে মারা যাবে। কিছু স্থানীয় শিক্ষক সে যে কেউ হতে পারে তারা এই প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাবে, দেখা যাচ্ছে কিছু শিক্ষকের বিদ্যালয়ের কাছে বাড়ি তবুও তিনি যাচ্ছে না। এই সব শিক্ষক দের বিরুদ্ধে প্রশাসন কে ব্যবস্থা নিতে হবে। হয় তাদের ঐ দিন গুলোর বেতন কেটে নিয়ে ত্রাণ তহবিলে নিতে হবে। কারণ তিনি বাড়ির বিভিন্ন প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন, আর বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে তার শরীর খারাপ করে যাচ্ছে, বা বলছেন করোনা হয়ে যাবে। আজ এদের জন্য সরকারের এই সুন্দর উদ্যোগ নষ্ট হতে বসেছে। না আছে ছাত্রদের খবর দেওয়া না আছে অন্য সহযোগিতা, বিদ্যালয়ে গিয়ে এই চাল আলু মানুষ কে দিলে করোনা হয়ে যাবে। আর নিজের বাড়ির বিভিন্ন প্রয়োজনে দিনে চার বার বাইরে চলে যাচ্ছে তখন করোনা হবে। আমার মতে এদের ঐ অনুপস্থিতর অর্থাৎ MDM দেবার জন্যে নির্ধারিত দিন গুলি তে হাজির না হওয়ার জন্য অবশ্যই বেতন। কেটে নেওয়া বা অন্য কোন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, না হলে সরকারের এত সুন্দর চিন্তা আগামী দিনে পরিচালনা করা সত্যিই কঠিন হয়ে পরবে। আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই লেখাটা লিখলাম। 

Saturday, 25 April 2020

" প্রচেষ্টা" প্রকল্প সরকারের ভালো উদ্যোগ। এই প্রকল্পের আবেদনের নথিতে রেশন কার্ড!

বর্তমান অবস্থায় দাঁড়িয়ে এই প্রকল্পের জন্য সরকার কে ধন্যবাদ, কিন্তু প্রশ্ন কতজন লোক পাবে বঞ্চিত থেকে যাবে কয়েক লক্ষ মানুষ। যাদের রেশন কার্ড নেই, আর আবেদন করেও যারা রেশন কার্ড পায় নি। পাবে কারা সরকার পক্ষের ভোট ব্যাংক যারা, কারণ তারা মানুষ বাকি মানুষ মানুষ নয়। ঐ যে আশি হাজার টাকার বাইক নিয়ে দু টাকা কিলো চাল আনতে যান। বঞ্চিত করা হচ্ছে কাদের যারা গরীব মানুষ সত্যি কারের প্রাপক, এদের বেশির ভাগ টাই বামপন্থী ভোটার। এখন পাড়ার ভাই আর ভাইপো দের ভয়ে বি জে পি তে গেছে অনেকেই। পুরাতন রেশন কার্ড অনেক জায়গায় রেশন ডিলারের মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে তারা নিয়ে রেখেছে বা হারিয়ে গেছে। পুরাতন রেশন কার্ডের আবেদন পত্রের রিসিভ তাতে কারো নাম নেই, আছে নম্বর এবার যারা রেশন ডিলারের মাধ্যমে আবেদন করেছেন বছর পাঁচেক বা বছর দুয়েক আগে। রেশন ডিলারের কাছে রিসিভ আনতে যাচ্ছেন যেহেতু নাম নেই কোন টা কার চেনার উপায় নেই। এবার বুঝে নিনি এরা না পেল রেশন না পেল প্রচেষ্টার টাকা। এরকম লক্ষ লক্ষ মানুষ আছেন যারা আবেদনের যোগ্য কিন্তু আবেদন করতে পারবেন না। ঐ রেশন কার্ড সাথে দিতে। সত্যিই দিদি আপনি রাজনীতি ভালো পারেন, তার উপর এক জন নন বেঙ্গলি হেড স্যার রেখেছেন। বাঙালি জাতির ঐক্য আজ ধ্বংস হয়ে গেল। গরীব মানুষের অর্ধেক পেটে লাথি মেরে, পেটে তালাচাবি দিয়ে ঘরে বসে থাকবে। কারণ আপনি মাইক নিয়ে প্রচার করতে বেড়িয়েছেন, ঘরে থাকুন আমি আপনাদের জন্য আমার সাধ্য মতো চেষ্টা করছি। একদম ঠিক তবে সব মানুষের জন্য নয়। কেবল আপনার ভাই ভাইপো ভাইঝি দের জন্য, যারা ভোটের সময় আপনাকে যেমন করে হোক জিতিয়ে আনতে পারবে তাদের জন্য। আপনি বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন, এই মুহুর্তে কত টাকা খরচ করে, ওটা বন্ধ করা যাবে না। সামনে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে আপনাকে জিততে হবে। তাই কি সুন্দর প্রকল্প যদিও হাজার টাকা কিন্তু মদ আর ভাগারের মাংসের পয়সা হয়ে যাবে। ওই কেন্দ্রের দাদা আর আপনি দুজনের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই, উনি তো বলেই দিচ্ছেন থালা বাজাও ঘন্টা বাজাও মোমবাতি জ্বালাও কেউ মারা গেলে যা করে তাই আর কি জানেন যে যত লোক করোনায় মারা যাবে, না খেয়ে মারা যাবে তার থেকে বেশি। আপনি আরেকটা ব্যবস্থা ভালো করেছেন, করোনার লক্ষণ আছে পরীক্ষা করা যাবে না। আপনার অনুমতি আসতে আসতে রুগী মারা গেল, এবার ঐ হাসপাতালের ডাক্তার নার্সরা আক্রান্ত হতে আরম্ভ করল। তারা স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হলেন। হাসপাতাল বন্ধ, যারা সাধারণ রুগী তাদের আর ডাক্তার দেখাবার প্রয়োজন নেই। ঐ যে ঘরে ঢুকে থাক রোগের চিকিৎসা করাটাও বন্ধ, পেটে তালাচাবি। এই যে কার্টুন দিলাম এখানে বেশির ভাগ গরীবের এখন এই অবস্থা। কার্টুন সংগৃহীত।
আপনি আবার রাজনৈতিক গুরু নিয়োগ করেছেন কেন? দিদি আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন আপনি 10 কোটি বাঙালির মুখ্যমন্ত্রী তো! আমি বুঝতে পারছি না, কারণ হাজার হাজার বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক অন্য রাজ্যে আটকে আছে। তারা বাড়ি ফিরতে চায়। আপনি ও দাদার মতো কত গুলো ধনী বড়ো লোক যারা বেড়াতে গিয়ে আটকে পরেছিল তাদের আর কিছু ছাত্র ছাত্রী কে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে দিলেন। খুব ভালো কাজ ভালো লাগলো, ঐ যে দাদা প্লেনে করে বিদেশ থেকে বড়ো লোক ধনী ব্যক্তি দের ফিরিয়ে আনলেন সাথে করোনা ফ্রি। আমাদের রাজ্যের এক আমলার ছেলেও তো ইংল্যান্ড থেকে ফিরে ছিল। তবে মিডিয়ায় তার নাম আর ছবি প্রকাশ করা ঠিক হয় নি। যাহোক আপনি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। গরীব মানুষ মরুক আপনার ভাই ভাইপো ভাইঝি দের বেঁচে থাকা খুব প্রয়োজন না হলে ক্ষমতায় আসাবেন কি করে? কারা কাট মানি যোগাবে। আরেকটা কথা দিদি। দাদা কি ঐ জনধন জোযনায় পাঁচ শ টাকা দিয়েছে, সেখানে ও কিছু কিছু জায়গায় দাদার ভাই ভাইপো ভাইঝি রা টাকা তোলার পর  দু শো টাকা কেটে তিন শ টাকা দিচ্ছে। সত্যিই বাঙালি জাতি কোথায় গেছে। আপনি ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আপনি আমারও মুখ্যমন্ত্রী। আপনি না মনে করলে কি হবে আমি মনে করি। সর্বশেষে আমার প্রণাম নেবেন কেমন। 

Monday, 20 April 2020

প্রশাসন না দুঃশাসন চলছে বোঝা যাচ্ছে না।

আজ করোনা ভাইরাস যখন দেশে এসে হাজির, কিছু বড়ো লোক আমলা ব্যবসায়ী ধনী ব্যক্তি প্লেন চেপে বিদেশ গেছেন। আবার জাহাজে করে জিনিস পত্র এনেছেন এদেশে বিক্রি করার জন্য। সঙ্গে উপহার এনেছেন করোনা ভাইরাস দেশ তথা হাজার হাজার গরীব মানুষ কে বিনামূল্যে উপহার দেবেন বলে। কেন্দ্রীয় সরকার বলুন আর রাজ্য সকলেই বড়ো লোক তথা ধনী দের পেছনে ছুটে যাচ্ছে। তাদের কীভাবে উদ্ধার করে আনাতে হবে তার ব্যবস্থাপনা করছে। আর হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক যারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে আছে এমনকি দিল্লির যমুনা সেতুর নীচে তাদের দিন কাটছে। খালি বড়ো বড়ো ঘোষণা এক জন তো থালা বাজাও ঘন্টা বাজাও মোমবাতি জ্বালাও করে গেছে। ঘোষণা আছে পাঁচ কেজি চাল আমার রাজ্যও ঘোষণা করা হয়েছে পাচ্ছে কত 2 কেজি। কারণ নতুন অঙ্ক 5 + 5 =  ২ কেজি হয়। ভাবছেন গরীব মানুষ পাচ্ছে নৈব নৈব চ। কোথাও যদি 10 জন পায় তার মধ্যে বড়ো জোর 4 জন গরীব মানুষ। বাকি শাশক দলের নেতা কর্মীরা। কেউ কেউ ঐ চাল এনে দিব্যি গরীব মানুষ কে বিক্রি করে দিচ্ছে। দিদির নির্দেশ আছে চাল বিলি করতে হবে। কি করে তারও উপায় আছে চাল চুরি করতে হবে। সেই জন্যই 5+5= 2 কেজি হয়ে যাচ্ছে। আর রোগের পরীক্ষা সে কথা আর বলতে হবে না। কার যে রোগ আছে আর কার শরীরে নেই সে ভগবান জানেন। আর বর্তমানে ভগবান তো নিদ্রা গেছেন কারণ সমস্ত মন্দির বন্ধ আর এখন বিজ্ঞান লড়াই করছে। কীভাবে এই মারণ ভাইরাস কে প্রতিরোধ করা যায়। আমাদের দেশেই উদাহরন আছে কেরল রাজ্য মুখে বড়ো বড়ো কথা নয় সত্যিই লকডাউন করে মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া থেকে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া করছে। ওই রাজ্যে তো ফেব্রুয়ারি মাসে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের রাজ্যের সরকার কেবল বিজ্ঞাপন দিতে ব্যস্ত। ঐ ছবি ছাপতে আর বিজ্ঞাপন দিতে টাকা লাগে না। সারদার টাকা এখনও আছে। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, এই চোর ডাকাত চিটিংবাজ দের সাপোর্টার বা সমর্থক আছে। যারা সমর্থন করে তারা প্রত্যেকেই চোর তোলাবাজ না হলে লুটের ভাগ পায়। মিথ্যাবাদীর দল আমার তো মনে হয় জীবনে কোন দিন সত্যি কথা বলে নি। পুলিশ ও অন্যান্য অফিসার দের অনেকেই এই সরকার কে সমর্থন করে কারণ কাটমানির ভাগ ভালো রকম পায়। ডি এ না দিলেও পুষিয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার ওখানে যারা আছে তাদের পশু বললে পশুরাও লজ্জা পায়, দেখবেন অনেক পশুর মধ্যেও মমত্ব বোধ থাকে এদের মধ্যে তাও নেই। বিশেষ করে হিন্দি ভাষা ভাষি আর তার সাথে জুটেছে দুই গুজরাটি বাঙালি জাতি বিদ্বেষী হিসেবে খ্যাত এই গুজরাটির দল। আজ বলে নয় সেই ব্রিটিশ আমল থেকে, যাক সে কথা পরে এখন এই লকডাউন মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে পারে না। অথচ নাকি দেশের খাদ্য ভাণ্ডার পূর্ণ অভাব নেই কেবল অভাব মানসিকতার। রাজ্যের চোরের রানী, নিজের কেউ নেই তাও কোটি কোটি টাকা টাকা চাই, দেশের যিনি মাথায় তার তাই কিন্তু কোটি কোটি টাকা চাই। প্রচার চাই বিজ্ঞাপন চাই। মানুষ মরুক গরীব মানুষ ও তো মানুষের মতো দেখতে মানুষ নাকি। এই যে উত্তর প্রদেশের ছবি দেখে নিনি দুধ রাস্তায় ঢেলে দিয়েছে একদিকে কুকুরে খাচ্ছে আর এক দিকে নিজের বাচ্চা কে খাওয়ানোর জন্য, তুলছে।
এ যেন বিজন ভট্টাচার্যের নবান্ন নাটকের একটি দৃশ্য । রাধিকার ডাস্টবিন থেকে কুকুরের সাথে ভাত ভাগ করে খাওয়ার দৃশ্য ।আর আমার রাজ্যও দেখুন ক্ষুধার্ত মানুষ খাদ্যের জন্য রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ।
আর রেশনের কথা আগে বলেছি এখন এই মাত্র এক চেনা জানা ভদ্রলোক ফোন করে বলে 2018 সালে রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কার্ড আসেনি আর পুরনো কার্ডেও মাল দিচ্ছে না ।ভদ্র মহিলা একা থাকনে এই লকডাউন কেউ সাহায্য করেনি। এই রকম বহু কেস আছে খালি মুখে  বড়ো বড়ো কথা আর বিজ্ঞাপনের খেলায় জগৎ অন্ধকার । আর এক দিকে শুরু হয়েছে পুলিশের মার বিস্কুট কিনতে বেড়িয়ে পুলিশের মারে মৃত্যু ।আবার উল্টো টাও আছে, পুলিশকে  মার হিন্দি বলয়ে এই ভাবেই অনেক গরীব মানুষ কে কেবল পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে ।আর না খেয়ে মারা যাওয়া সেটা আবার কোন ব্যাপার না কি । যেমন কালকে মহারাষ্ট্রের ঘটনা গন পিটুনি।
দুই সাধু কে পিটিয়ে মারা হল ।খুব বিপদজনক দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এরপর এই ক্ষুধার্ত মানুষ প্রশাসন কে মানবে না । শুরু হবে বাঁচার লড়াই  তৈরি হবে উগ্রপন্থী ।কোটি কোটি টাকা খরচ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের দেশে নেতা মন্ত্রী দের ঘুরে বেড়ায় তার একটাই কারণ এরা মিথ্যাবাদী ,চোর আর সাধারণ মানুষ কে মেরে ফেলা এদের কাজ।  ভোট দিস আর নাই দিস আমি কারচুপি করে ঠিক জিতে যাব ।
সেদিন আর বেশি দূরে নেই যে দিন নেতা মন্ত্রী ও ঐ সব সরকারি আমলা প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে ।
কিসের জন্য এই লকডাউন করোনা ভাইরাস রোখার জন্য, তাহলে পরীক্ষা করে দেখতে হবে কার আছে না আছে ছে। যা আছে তাই দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা দরকার, যেমন দাদা তেমন দিদি একটা হসপিটাল তৈরি করেনি, খালি নীল সাদা রং করে সুপার স্পেশাল নাম দেওয়া হয়েছে। আর দাদা সে তো মূর্তি বানাতে ব্যস্ত।কার করোনা আছে না আছে পরীক্ষা না করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবার হাসপাতালের ডাক্তারা পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে পরছেন। হসপিটাল বন্ধ, সাধারণ রুগীর দল যাবে কোথায়? আগে শুনতাম বাংলা আগে করে তারপর ভারত। এখন উল্টো কেরল রাজ্যের কাজ দেখেও বাংলা শেখে না। ঐ কে একজন ডাক্তার আছে কুকুরের ডায়লিলিস না কি করে লোক টা কে দেখলেই মনে হয় গুণ্ডা, আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করছিলাম বর্তমান শাসক দলের নেতাদের দেখলেই মনে হয় মাস্তান গুণ্ড যেমন চেহারা তেমন পোষাক আশাক। আজ পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খারাপের দিকে খালি রোগের পরীক্ষা করা হয় নি বলে। কেবল লক ডাউন নয়, চাই পরীক্ষা আর বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া। পুলিশ ও সেনা বাহিনীর মাধ্যমে, কারণ শাসক দলের নেতা কর্মীরা সব চোর তোলা বাজ সরকারি চাল নিয়ে দিদির ছাপ মেরে বিলি করে গর্বের বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। রাজ্যে কোষাগারে টাকা নেই, তাহলে এই বিজ্ঞাপন দিতে টাকা আসে কোথা থেকে? আমি আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি, মানুষ মরতে বসেছে সেখানেও চুরি ধাপ্পা। এটা বাঙালি জাতি হিসেবে ভাবতে ঘৃনা হচ্ছে, তবে এই ধরনের বাঙালি ছিল যারা ইংরেজ দের গোলামী করত। আর ক্ষুদিরাম প্রফুল্ল চাকি দের ধরিয়ে দিতে কুণ্ঠা বোধ করত না। এদের পশুর সাথে তুলনা করলে পশুও লজ্জা পাবে। চারপাশে মানুষ যখন মরছে সেই মৃত্যু নিয়েও মিথ্যে কথা বলে যাচ্ছে। মানুষ না খেয়ে ঘরে বন্দি মেরে ধরে ঘরে ঢুকিয়ে দে। আরে খেতে দিতে হবে না, চোর ডাকাত আর গরীবের মানুষের রক্ত চুষে খাওয়ার দল ক্ষমতায়। খালি ক্ষমতা চাই, লুটপাট করে খেতে চাই, বয়স তো হোল। এবার তো থাম তা নয়। যাদের শ্রমের জন্য এই সভ্যতা দাঁড়িয়ে আছে তারাই আজ বঞ্চিত অবহেলিত। কোথায় যমুনা সেতুর নীচে কোথায় স্টেশনে শুয়ে রাত কাটছে। তাদের উপর কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে, এদের ফিরিয়ে আনার কোন উদ্যোগ নেই, এদের ফিরিয়ে এনে সঠিক পরীক্ষা করে ঘরে ফিরিয়ে দিই না ওসব হবে না। ওরা মানুষ নয়, আর হিন্দি ভাষা ভাষির মানুষ আবার যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে তো কথাই নেই, এই সব মানুষ ওদের কাছে মানুষ না। আসলে নিজেরা তো পশুর অধম খালি ভদ্র পোষাক পরে লেখা পড়া করে ভালো বাড়িতে থেকে গাড়ি করে ঘুরে বেড়ালে সে মানুষ আমার মতে সে মানুষ নয় যত ক্ষণ না সে গরীব দুঃখি মানুষ কে মানুষ বলে মনে করছে। ঐ সব মানুষের সামনে গিয়ে ভাল ভাল কথা আর পিছনে বাঁশ দেওয়ার ব্যবস্থা। আমি এমন দেখেছি মুখে মারিতং জগৎ যেই তাকে সাহায্য করতে বলা হলো নানা অজুহাত। যেমন বর্তমান রামকৃষ্ণ মিশন বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরা কারা এরা বিবেকানন্দের আদর্শ এদের কাছে ব্যবসা। যে বিবেকানন্দ আর্তের সেবা করতে গিয়ে নিজের জীবন বিপন্ন করে তুলেছিলেন। আমরা পড়েছি প্লেগ মহামারীর সময় তিনি ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিলেন। কারণ পরাধীন ভারতে ভারতীয় দের চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা ছিল না। রাস্তায় পড়ে থাকাত প্লেগ রুগী স্বামী জি তাদের তুলে এনে সেবা শ্রশ্রুষা করতেন। আর বর্তমানে ঐ বেলুড় মঠের মহারাজ রাজনীতি করছেন, প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী যাবেন কোটি কোটি টাকা চাঁদা আসবে। তা ছাড়া আরও নানা ধরনের ব্যবসা করে টাকা করতে হবে। ব্যাঙ্ক ব্যালান্স করতে হবে। যে আদর্শ নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠ ও মিশন তৈরি করে ছিলেন। আজ তারা আদর্শ চ্যূত। এখনো গরীব খেটে খাওয়া এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ প্রত্যেকে বর্তমান শাসকের কাছে মানুষ নয়। এরা সেই ইংরেজের গোলামী করা এবং দালাল শ্রেণীর বংশধর, মানুষ কে কষ্ট দিয়ে এরা আনন্দ করে। কেউ সামনে কেউ পেছনে, এই যে M DM এর চাল দেওয়া হয়েছে, কোথাও পোকা ধরা কোথাও ভালো। শাসক দলের শিক্ষক যারা সরাসরি এই সরকার কে সমর্থন করে এবং ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে, যারা লিখল বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়া হোক, অবশ্যই নিজেদের বাদে। কারণ 30000 পর্যন্ত বেতন বাদ দিতে বলেছে। এই অঙ্কের বেতন শিক্ষা সেলের শিক্ষকরা পায় বেশি। এই রকম এক শিক্ষক ( রাজেশ মণ্ডল) বিদ্যালয়ের কাছে থাকে মানে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তবুও ছাত্র দের চাল দিতে আসেনি। কি ভাল না, এদের কথা শুনে দেখবেন মনে  হবে পৃথিবীর সব জানে। সব কিছুতেই নিজের স্বার্থ ছাড়া এক পা চলে না। বর্তমান শাসক তো এরকম তাই না, মেকি মানব দরদী। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজ নিজ দাায়িত্বে। অসুস্থ হলে নিজেই ডাক্তার, কারণ ডাক্তারা সব ঐ যে  একটা ঘরে স্বেেচ্ছায় বন্দী।

Monday, 13 April 2020

নব বর্ষ ১৪২৭ এর শুভা গমনে সকল পাঠক কে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।

সিদ্ধিদাতার আর্শীবাদে সকল অশুভ দূর হোক, আসুক নব সকাল। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে থেকে মানুষ বেড়িয়ে আসুক, এই  আমার প্রার্থনা, সকলে সুস্থ থাকুন সকল পেটে ভাত জুটুক, সকল হাতে কাজ, এই মহামারী যাদের কেড়ে নিল, তারা আর ফিরে আসবে না। যারা আছে তারা ভালো থাকুক, আসুন সকলে মিলে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াই। আগামী দিনে  পূর্ব দিগন্তে উঠুক নতুন সূর্য। বিদ্রোহী কবির ভাষায়, তারি পদরজ অঞ্জলি করি ' মাথায় লইব তুলি, সকলের সাথে পথে চলি যার পায়ে লাগিয়াছে ধূলি!
আজ নিখিলের বেদনা-আর্ত  পীড়িতের মাখি' খুন,
লালে লাল হ'য়ে উদিছে নবীন প্রভাতের নবারুণ! 

Sunday, 12 April 2020

ইনি(Animesh maji) কি সত্যি বামপন্থী না বামেদের বদনাম করার জন্য এটা একটা নতুন পণ্থা।

আমার মনে হয় ইনি(Animesh Maji) বামপন্থী নন। বামপন্থীদের বদনাম করার চেষ্টা করার এটা একটা নতুন পণ্থা, এটা একটা নতুন কৌশল, এরকম অনেকেই ফেসবুকে এই পোস্ট করছে এবং টাকা বা ডলার বাড়িতে পৌঁছে গেছে তার ভিডিও ফুটেজ দেওয়া হচ্ছে। সকল কে এই ব্লগের মাধ্যমে সতর্ক করছি। এখন বিভিন্ন ধরনের ফ্রড বা দালাল বা কেপমার ঘুরে বেড়াচ্ছে, এইভাবে মানুষ কে ঠকানোর জন্য। সবথেকে আমার আশ্চর্য লাগছে সব কটা পোস্ট করা হয়েছে west bengal CPIM এই নামে। আবার কেউ কেউ পাশে গনশক্তি লেখা দিয়েছে। প্রোফাইল দেখে দেখালাম দু চার টে বামপন্থী দের মিছিল বা সভার ভিডিও ফুটেজ আছ। সেই জন্যই আমার প্রশ্ন এরা সত্যিই বামপন্থী! কারণ আমি জানি বামপন্থীরা কখনো মানুষ কে ঠাকায় না মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয় না। যেটা হবার নয় সেটা তারা বলে না, আমি নিজে একজন বামপন্থী সমর্থক এবং এই পরিস্থিতিতে যথা সাধ্য সাহায্য করছি, কিন্তু কখনোই নিজের সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে নয়। আমি আমার প্রিয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এরা বামপন্থী কিনা সেটা সবাই কে জানান আর যদি ফেক এ্যাকাউন্ট করে ফেসবুকে এই ভাবে প্রচার করতে থাকে তাহলে আমার প্রিয় দলের ক্ষতি অবশ্যই হবে। কারণ আমি জানি বি জে পির আই টি সেল খুব সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে এই রাজ্যে বামপন্থী দের বদনাম করার জন্য। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং এই সব জালিয়াত ফেরব বাজ দের কাছ থেকে দূরে থাকুন। এই কঠিন সময়ে বামপণ্থা ছাড়া বিকল্প নেই, বেশি দূর যেতে হবে না। আমাদের দেশে কেরলের দিকে তাকিয়ে দেখুন বুঝতে পারবেন কেন বামপণ্থা বা বামফ্রন্ট কে এই রাজ্যে আবার দরকার। আসুন আমরা সবাই মিলে এই অশুভ শক্তি কে পরাস্ত করে পশ্চিমবঙ্গে আবার বামেদের ফিরিয়ে আনি। ফেরাতে হাল ফিরুক লাল। কাস্তে দিয়ে  ঘাস কাটো এবার /গরু হবে পগার পার।

Wednesday, 8 April 2020

করোনা ও লকডাউন গরীবের কাছে শাঁখের করাত।

করোনার জন্য লকডাউন দেশের তথা রাজ্যের গরীব খেটে খাওয়া মানুষের কাছে শাঁখের করাত। লকডাউন কাজ কর্ম নেই ।বিশেষ করে যারা ঠিকে কাজ করত ছোট খাটো কল কারখানা পরের বাড়ি ঝি এর কাজ এমন কি যারা প্রাইভেট টিউশন পড়াত তাদের মাঠে ঘাটে কাজ টোট অটো চালক যারা ঐ গুলো ঋণ করে কিনেছে ।এখন আয় পুরোপুরি বন্ধ, এদের কারো কারো কাছে সরকারি সাহায্য পৌঁছেছে কিন্তু সকলের কাছে নয়। সরকারের ঘোষণা আছে, রেশনের জিনিস দেবার এই ধরনের মানুষ যাদের রেশন কার্ড নেই তারাও রেশন পাবে কিন্তু বাস্তবে তা নেই, শাসক দলের কিছু নেতা কর্মীরা এই রকম বেশ কিছু মানুষ কে বঞ্চিত করে রেখেছে। এতো সেই বাম  আমলের শেষের দিকে যেটা হতো সেটা প্রকৃত গরীব প্রান্তিক মানুষ না খেয়ে মরল কি বাঁচল দেখার দরকার নেই ওরা বিরোধী আর এখানে একেবারেই দেখার লোক নেই  কোথায় যাবে কিভাবে যাবে সব লকডাউন হাতে টাকা নেই যে খাবার কিনে মজুত করবে ।খাদ্য মজুত সে তো ধনী দের ব্যপার কিন্তু এদের মত মানুষ যা অনেক কষ্টে ধার দেনা করে কিছু কিনে রেখে ছিল তা এই দু সপ্তাহে শেষ এবার কি হরিমোটর জল খাও কচু শাক সেদ্ধ করে খাও না হলে মর। আমি এরকম জানি দু বছর আগে রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করা হলেও জোটে নি কার্ড আবার এই লকডাউনের বিশেষ স্লিপ পাওয়ার তালিকায় নাম নেই । (সিঙ্গুর পলতাগড়ের দাস পাড়ার আর বিরোধী অমল ব্যানার্জি তার বিধবা দিদি কিছু নেই ) ও লোকের বাড়ি বাসন মেঝে বা ঝি গিরি করে খায় এরকম মেয়ে ষাট বছর পার তার না আছে বার্ধক্য ভাতা না আছে বিধবা ভাতা ঐ একটা কারণ বিরোধী দল কে ভোট দেয় জানে । যা বাম আমলে শেষের দিকে হতো তা এখন হচ্ছে তাহলে এই পরিবর্তন করে কি লাভ হলো ।আমি তাহলে বলতে পারি এই লকডাউন কেবল বড়ো লোক তথা ধনীদের জন্যে ।আবার শুনছি লকডাউন বাড়বে তাহলে এদের মতো মানুষ আর বাঁচবে যদিও কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারের কাছে এই সব গরীব মানুষের কোনো দাম নেই তাহলে এই লকডাউন কেন? তুলে নেওয়া হোক এই লকডাউন এরা  না খেয়ে অন্তত মরবে না। করোনা প্রতিরোধ করতে যে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দরকার সেটা এরা খেতে না পেলে থাকবে না ।একে তো ঐ উপায়ে দু বেলা জোটে না যা একবেলা খেয়ে বেঁচে থাকা তাও বন্ধ ,আবার লকডাউন তুলে নিলে করোনায় আক্রান্ত হবার ভয় আর না খেয়ে এদের এমনই মরার দশা আর ঐ করোনা আর এদের বাঁচাতে দেবেন না ।পাবলিক কত সাহায্য করে বাঁচিয়ে রাখতে পারে ।যারা বলছেন লকডাউন বাড়ানো হোক তাদের ঘরে খাবার মজুত আছে, তারা অমানবিক এই সরকারের ছোট খাটো নেতা কর্মী এরাই বলবে লকডাউন থাক কারণ মানুষ না খেয়ে থাকলে এরা হাত তালি দেয় ।আনন্দ হয় লড়ি করে বাজি ফাটাতে ফাটাতে মদ খেয়ে নৃত্য করতে করতে মৃতদেহ সৎকার করতে যায়। এদের আনন্দ ধরে না ,মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব নেই মানবিকতা নেই তারাই আজ নেতা এদের বেশির ভাগ বামপন্থী বাম কর্মী ছিল ।এখন শাসক দলের নেতা । তাই করোনা জন্য লকডাউন এদের কাছে শাঁখের করাত  ঘর থেকে বের হলে করোনা আক্রান্ত হবার ভয় আর ঘরে বসে থাকলে না খেয়ে মরার ভয় । আর করোনা আক্রান্ত হলে ঠিক মতো চিকিৎসা ও হবে না। বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে এই সব মানুষ আমার সরকারের কাছে একান্ত অনুরোধ দয়া করে এদের মানুষ বলে ভাবুন আপনার কর্মী দের রাজনীতি করা বন্ধ করতে বলুন খাবারের ব্যবস্থা করুন না হলে কাল থেকে লকডাউন তুলে নিন ট্রেন বাস চলতে দিন হকার দের হকরি করে খেতে দিন। কারণ এরা এমনই মারা যাবে না খেতে পেয়ে  আর যদি সরকারের বা আপনার নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য হয় বিরোধী দের হাতে না মেরে ভাতে মারব একবেলা খেতে পেত তাও যাতে না তার ব্যবস্থাপনা সরকার করে দিয়েছে ।বাকি টা আমরা করে দেব ।


মুখ থুবরে পড়েছে পুঁজিবাদ।

এই করোনা ভাইরাস আক্রমণ প্রমাণ করে দিতে পেরেছে  ,পুঁজিবাদ অচল । কারন পুঁজিবাদ বিশ্বাস করে ভোগবিলাসিতা যে সব জায়গায় থেকে কোন লাভ আসে না। সে গুলো বন্ধ যেমন স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ নেই, সরকারি ভাবে তো নেই যা আছে তা অপ্রতুল বিমা করা থাকলে চিকিৎসা হবে নয় তো ভাগ গরীব মানুষের কথা এরা ভাবেই না ।গরীব শ্রম জীবি মানুষ নিজেদের শ্রম দিয়ে বিশাল অট্টালিকা বানায়। থাকে কারা সেই শ্রমিক না ।ধনীর বাস সে খানে শিল্প কারখানা আজ বিলাস সামগ্রি তৈরি তে ব্যস্ত। এই সব অত্যাধুনিক বিলাস সামগ্রিক তৈরি করে শ্রমিক সে থাকে অনাহারে আর ঐ বিলাস সামগ্রী বেচে মুনাফার পাহাড়ে বসে আরাম আর আয়েস করে মালিক ।স্বাস্থ্য শিক্ষা গবেষণায় বিনিয়োগ থাকে না সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকে না ।সরকারের সব যায় ঐ পুঁজি পতি দের হাতে, আর ঐ সব পুঁজি পতি বা শিল্পপতিরা তাদের মুনাফার উপযোগী এবং বাজারের চাহিদা অনুযায়ী জিনিস তৈরি করে। সে ওষুধ হোক আর অন্য প্রয়োজনীয় জিনিস ,সেই জন্যই আজ আমেরিকা তথা USA কে ভারতের কাছে হাত পাততে হয় হাইড্রক্লোক্যুইনের জন্য, এবং ভারত সরকার কে হুমকি দিয়ে বলতে হয় না দিলে দেখে নেব ।
ওখানেও গরীব মানুষের কাছে টাকা নেই  কারণ যেটা সঞ্চয় নেই  আমাদের দেশের সরকার ও ঐ পুঁজি বাদ কে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ,নানা অছিলায় সরকার পরিচালিত সংস্থা বন্ধ করে দিতে চাইছেন এবং সমস্ত কিছু বেসরকারি পুঁজি পতির হাতে তুলে দিতে চাইছে মানুষ যাতে সরকারি সংস্থায় সঞ্চয় ননা করে সেই জন্য ক্রমশ সুদের হার কমিয়ে আনা হচ্ছে। সল্প সঞ্চয়ে আজ মানুষের উৎসাহ নেই,, পুঁজি বাদের লক্ষ এটা মানুষ তার ভবিষ্যতের কথা না ভেবে সমস্ত অর্থ দিয়ে বিলাস দ্রব্য ক্রয় করুক। আজ এই করোনা ভাইরাস দেখিয়ে দিয়েছে পুঁজি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা দরকার সকল মানুষের সমান অধিকার থাকা দরকার। পুঁজি বাদীরা গরীব খেটে খাওয়া মানুষ কে কখনো মানুষ বলে মনে করে না । আমাদের দেশেও বর্তমান সরকার সেই পথেই চলছে ।সব বেচে দাও বেসরকারি করে দাও  ।আজ বিশ্বের বড়ো বড়ো পুঁজি বাদী রাষ্ট্রের দিকে লক্ষ্য করে দেখুন করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করতে তাদের নাভি শ্বাস উঠেছে  ওদিকে চীন যে দেশে প্রথম এই রোগ দেখা দিয়েছিল তারা আজ প্রায় এই রোগ থেকে মুক্ত হয়েছে ।সকল মানুষ কে সাথে নিয়ে এর প্রতিরোধ করতে পেরেছে, এছাড়া রাশিয়া কিউবা প্রভৃতি সমাজতান্ত্রিক দেশ আজ এই করোনা কে আটকে রেখেছে  কোরিয়ার দিকে দেখলেও একই কথা প্রযোজ্য ।কারণ এখানে সব কিছু সরকারের অধীনে সরকার নিয়ন্ত্রণ করে । আমরা কেউ শুনছি না এই সব দেশের লকডাউনে মানুষ খেতে পায়নি বলে, এটাও শুনিনি কোন মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি বলে ।কারণ এ সব দেশে স্বাস্থ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সেই জন্যই রাতারাতি হাসপাতালে নির্মাণ হয়েছে ।আলাদা করে রাখতে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে । আর আমার দেশ স্বাস্থ্য পরীক্ষা এখনও শুরু করে নি কেবল ঘরে বন্দি করে রেখেছে । আর ঘন্টা বাজাও থালা বাজাও ভুখা পেটে শুয়ে মোমবাতি জ্বালাও আজ দেশের 70 থেকে 80 শতাংশ মানুষ ভাল করে খেতে পাচ্ছে না ।তারা রোগ প্রতিরোধ করবে কি করে ? হাসপাতাল গুলোয় যাও সঠিক চিকিৎসা নেই ,ডাক্তার দের এই রোগ চিকিৎসার করার জন্য সঠিক সরঞ্জাম নেই ( PPE ) নেই । রোগ পরীক্ষার কিটস নেই  রোগ অর্থাৎ করোনা ভভাইরাস আছে কিনা পরীক্ষা করার মতো সরঞ্জাম নেই । বর্তমান সরকার আজ দশ বছরে একটাও হাসপাতাল তৈরি করে নি  ।মূর্তি তৈরি করা হয়েছে  কোটি কোটি টাকা খরচ করে, শিবের মূর্তি রামের মূর্তি মন্দির হবে। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তি। আর কোটি কোটি টাকা ধনী শিল্প পতি দের ঋণ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তারা ঋণ নিয়ে শোধ না করে বিদেশে পালিয়ে গেছে । আবার তাদের ঋণ ছাড় দিতে আপৎ কালীন ফাণ্ড রির্জাভ ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে । সেই কারণেই গোমুত্র খেলে রোগ চলে যাবে, আর যত রকম ভাবে পারে মানুষ কে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে ।এই লকডাউন উঠে গেলে বোঝা যাবে আসল চেহারা, আবার লকডাউন বেশি দিন থাকলে অনেক মানুষ না খেয়ে মারা যাবে ।কারণ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আজ একরকম কাল একরকম  চালের দাম এখনই 40 থেকে 50 টাকা হয়েছে ।আনাজ পাওয়া যাচ্ছে না  ।মানুষ শাক পাতা শেদ্ধ করে খাচ্ছে রেশনের নাম করে জালিয়তি চলছে কাগজ গুলো ভরে যাচ্ছে বড়ো বড়ো ঘোষণায় আর বাস্তব অন্য রকম এই সময় দাঁড়িয়ে যারা দীর্ঘ দিন আবেদন করে রেশন কার্ড পায় নি তারা গরীব মানুষ হলেও এমনকি পরের বাড়ি ঝি এর কাজ করে খেলেও তার এই রেশন পাওয়ার অধিকার নেই  কারণ আবেদন করেও তার রেশন কার্ড আসেনি । আর ঐ বিশেষ সিলিপ না দিচ্ছে সেখানেও তাদের নাম নেই, অর্থাৎ কাগজে কলমে সবাই খাবার পাচ্ছে দেখা যাচ্ছে কেবল যারা তৃণমূল বা বি জে পি কে ভোট দেয় তাদের নাম আছে বা ঐ কার্ড না থাকলে স্লিপ দেওয়া হয়েছে ।সেই জন্যই বলছি এই লক ডাউন চললে এরা মারা যাবে না খেয়ে আর লকডাউন উঠে গেলে সেখানে ভয় করোনা ভাইরাস ।আর এরা আক্রান্ত হবে বেশি না খেয়ে খেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে  আর মরবে বেশি ।আবার কাজ চলে যাওয়ার ভয় আছে যে যা কাজ করে দিনে 200 টাকা এনেও আধ পেটা খেয়ে চলছিল এখন তা বন্ধ পরে খুললে তাকে কাজে নেবে কিনা সন্দেহ ।অর্থাৎ গরীব মানুষের কাছে এই লকডাউন একটা বড়ো অভিশাপ ।এর মুল কারণ ঐ পুঁজিবাদ । আমার দেশ তথা রাজ্যেও এক শ্রেণীর মানুষ না খেটে গরীব মানুষ কে ঠকিয়ে জাল জোয়চ্চুরি করে কোটি কোটি টাকার মালিক ।পুঁজিবাদের একটাই লক্ষ্য গরীব মানুষ মরুক  কিন্তু এই ভাইরাস গরীব বড় লোক  দেখে শরীরে প্রবেশ করবে না। সেই জন্যই পুঁজি বাদ শেষ কথা বলে না। কুক্ষিগত পুঁজি আজ আর মানুষের প্রয়োজনে কাজ করছে না ।আর মুষ্ঠি মেয়ে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে কিন্তু ঐ পুঁজি আরও বাড়াতে হলে শ্রমিক দরকার হয়। পুঁজিবাদ কখনো এই শ্রমিকদের কথা ভাবে না । তারা চায় ক্রেতা আর উচ্চ তর বাজার । সেই বাজার আজ ধ্বংসের পথে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মানুষ আর গাড়ি কিনবে না। আর বিলাস বহুল বাংলো বা বাড়ি ফ্লাট কেউ কিনবে না। পুঁজিবাদ আজ ধ্বংসের পথে। বিশ্বের ঐ বড়ো বড়ো পুঁজিবাদী রাষ্ট্র গুলোর দিকে তাকিয়ে দেখে বোঝা যাচ্ছে পুঁজি বাদ শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ ।

Monday, 6 April 2020

ফানুস ওড়াও মানুষ হয়ও না।

আজকের মোবাইল ও নেটের যুগে শিক্ষা ব্যবস্থা কে আমরা সেই পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি নি ।যাতে ঘরে বসেও ছাত্র ছাত্রীরা শিখতে পারে। সিলেবাস কে অন লাইন প্রোগ্রামে এনে শিক্ষা মূলক গ্যাজেটের মাধ্যমে অব্যশই শেখানো যায়, সব বিষয়ে পারা যাবে না। কিছু টা অন্তত করা যেত  সমস্যাও আছে কারণ এই হত দরিদ্র দেশে সকলের বাড়িতে কম্পিউটার নেই ব্রডব্যান্ড নেট নেই । এই নেই রাজ্যে ঐ ঘণ্টা বাজানো প্রদীপ জ্বালান ছাড়া গতিও নেই ।যে দেশে এই হেল্থ এমার্জেন্সির সময় চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই। 130 কোটি জনগণের সু চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই । আজ এই সময়ে কার করোনা হয়েছে আর কার হয় নি সমীক্ষা করার জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। বাইরে বা বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করতে লাগবে 4500 টাকা সেখানে দাঁড়িয়ে মুর্তি বানান  3000 হাজার কোটি টাকা রাম মন্দির তৈরি করা হবে। কয়েক কোটি টাকা দিয়ে তার প্রস্তুতি চলছে ।মন্দির বলতে মনে পড়ে গেল ভারতের বিখ্যাত মন্দির তিরুপতি যে দিন লকডাউন হোল সেদিনও তার প্রণামী পড়ে ছিল ২.৪০ কোটি টাকা। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও প্রায় কোটি টাকা। এই দেশের আর কি হবে আধ পেটা না খেয়ে থাকা মানুষ গুলোর ঐ থালা কাঁসর ঘণ্টা বাজাতে হবে আর প্রদীপ জ্বালিয়ে বাজি ফাটিয়ে রোগ ভুলে থাকতে হবে। সাধারণ মানুষ মরলে এতএত আনন্দ হয় আমার জানা ছিল না। বুঝতে পারছি লকডাউন ছাড়া গতি নেই মানুষ খাবে কি? রোগ টি হলে চিকিৎসা করাবে কোথায়?? ডাক্তারা তাদের প্রয়োজনীয় কিটস পাচ্ছে না। সে সব লক্ষ নেই, আর এই লকডাউন উঠে গেলে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাজ যাবার ভয়। কাজ থাকবে না যা যে টুকু করে খাচ্ছিল তাও বন্ধ হয়ে যাবে। এ রকম একটা দেশে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা বাড়িতে বাড়িতে কম্পিউটার বা শিক্ষা গ্যাজেট আশা করা দূরাশা ছাড়া কিছু না। যে খানে সরকার বড়ো বড়ো শিল্প পতি দের ব্যাঙ্ক ঋণ দিয়ে বলে শোধ করতে হবে না।আর গরীবের বেলায় ঘণ্টা কাঁসর থালা আর মোমবাতি জ্বালিয়ে মজা করে মন্ত্রীর ভাষায় জাতীয় সংহতি প্রকাশ করা। সেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান আর খাদ্য এসব কথার কথা। আমরা নাকি বিশ্বের সেরা আর পাঁচটা দেশের সমান হতে যাচ্ছি ,যে দেশের জামা কাপড় বিদেশ তথা বাংলাদেশের থেকে না এলে ল্যংটো থাকতে হবে ।চীন থেকে কাঁচা মাল না এলে ওষুধ থেকে আরম করে নিত্য দিনের ব্যবহার করা জিনিস পত্র তৈরি হবে না। একটা সুঁচ সেটাও চীনের কাল যে বাজি গুলো ফাটানো হলো তার মশলার মূল উপাদান আসে চীন থেকে ।রান্নায় যে রসুন টা দিচ্ছেন সেটাও আসে ঐ চীন থেকে। আমরা টিঁকে আছি চীনের জন্য। যাক বাদ কাল থেকে সব চার্জার টর্চ ব্যবহার বন্ধ করে দেবেন। যাহোক বাদ দিন ওসব বিষয়ে দেশের বড়ো বড়ো নেতা মন্ত্রীরা ভাববেন। আচ্ছা অনেকেই শুনলাম পি এম এর বা মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে টাকা দান করেছেন ।আরও করছেন,, দেখলাম 100 কোটি 150 কোটি সব বড়ো বড়ো  দান পড়ছে। টাকা গুলো সরাসরি গরীব মানুষের চিকিৎসার জন্য ব্যয় করলে খুব ভাল হতো কারণ ওটাকা আদানি আর আম্বানির ঋণ মুকুব করতে কাজে লাগবে। না হলে ইয়েস ব্যাঙ্কের ঐ ক্ষতি পুরন হবে কি করে? পুরীর মন্দিরের টাকা আবার আমাদের রাজ্যের কৃষক দের ধান কেনার টাকা সবই তো ঐ ইয়েস ব্যাঙ্কে জমা ছিল। দেশে যতখন না একজন নেতা মন্ত্রী সত্যি কথা বলবে এবং সঠিক পরিকল্পনা না করে এই ভাবে চলবে তত দেশের শিক্ষার মান এরকম হবে শিক্ষা থাকবে তাতে শিখবে না কিছু কেবল অশিক্ষা কু শিক্ষা পাবে। এই জন্যই দেশের মানুষ মারা গেলে বাতি জ্বালান হবে। বাজি ফাটানো হবে, ফানুস ওড়ানো হবে । যত লোক গুলো কে মজা ও আনন্দে ভুলিয়ে রাখা যায়। দরকার কি শিক্ষার দরকার কি স্বাস্থ্যের । দরকার নেই খাদ্যের আনন্দে থাকুন যার টাকা আছে সে মানুষ বাকিরা অমানুষ। সকলকে দেখতে মানুষের মতো কিন্তু মানুষ বলা যাবে না। একটাই কারণ সকলে কোটি কোটি টাকার মালিক নয়। খালি পেটে বিনা শিক্ষায় বিনা চিকিৎসায় আনন্দে থাকুন ঘন্টা কাঁসর থালা বাজাও আর মোমবাতি জ্বালিয়ে বাজি ফাটিয়ে আনন্দ করে নাও। ফানুস ওড়াও মানুষ হওয়া যাবে না। 

Sunday, 5 April 2020

প্রধানমন্ত্রী কে আমার বিনম্র প্রণাম এবার আপনি মানুষ কে দিগম্বর নৃত্য করতে বলুন।

সণ্মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি এবার মানুষ কে দিগম্বর নৃত্য করতে বলুন।একদিন দুপুরে রাস্তার উপর দিগম্বর নৃত্য পরিবেশন করতে বলুন । দেখবেন মানুষ তাই করবে আজ আমার বাড়ির চার পাশে যা দেখলাম রাত 9 টা থেকে 9.30 মিনিট পর্যন্ত আলো নিভে গেল ফানুস উড়ল বাজি পুরল একটা বাজির কি আওয়াজ মনে হল। অকাল দীপা বলি হল  মানুষ যে এতো অশিক্ষিত আমি আজ ভাল ভাবে প্রত্যক্ষ করলাম ।মনে হচ্ছে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি দের সণ্মাণ জানান হোল এই আতস বাজি পুড়িয়ে শাঁখ বাজিয়ে। কি আনন্দ না হচ্ছে মানুষ মরছে আপনার তো আনন্দ হয় মানুষ মারা গেলে লোক সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সেই জন্যই বলছি আপনি একদিন এই বিষয়ে দিগম্বর নৃত্য পরিবেশন করতে বলুন। কি এই দিগম্বর নৃত্য বলছি আমি বিজয় গুপ্তের  মনসা মঙ্গল কাব্যে পড়ে ছিলাম ।শিব কন্যা মনসার বিয়ে হবে জরৎকারু মুনির সাথে দুর্গার কথায় নারদ মুনি সকল কে নিমন্ত্রণ করে এসেছে । অনেক মুনি ঋষি বরযাত্রী এসেছে তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। শিব তো ভাঙ খেয়ে শ্মশানে পরে আছে এদিকে শিবের কাছে খবর গেল নিমন্ত্রণ খেতে লোক জন এসেছে যা খাদ্য আছে তাতে অত লোকজন খাওয়ানো যাবে না। মুনি ঋষি দের এবং দেবতা দের খাওয়ানোর পর খাবার কম পড়েছে। এখন ও দেবীরা বাকি ঐ খাবারে আর কুলোয় না। কি করা যাবে মা দুর্গা ভাবছে এমন সময় শিবের কাছে খবর করা হয়েছে । সে তো গাঁজা ভাঙ খেয়ে চুর সম্পুর্ন উলঙ্গ হয়ে দেবী দের মাঝে নৃত্য শুরু করেছে ।দেবীরা সব লজ্জায় অধঃবদন হয়ে পালিয়ে গেছে ।আর এই নৃত্য কে দিগম্বর নৃত্য বলে । আপনি এই দিগম্বর নৃত্য পরিবেশন করতে বলুন দুপুরের চড়া রোদে পিচ বা রাস্তার উপর এই দিগম্বর নৃত্য পরিবেশন করতে বলুন একটা অভিনব হবে। কেন আগেই প্রচার করা হচ্ছে গরমে এই ভাইরাস মারা যায়। কি অবৈজ্ঞানিক প্রচার একবার ভাবেই না বাইরের তাপ 35 ডিগ্রি কিন্তু মানব শরীরের তাপ মাত্রা 94 ডিগ্রি এই তাপ মাত্রায় মানুষের শরীরের মধ্যে বেঁচে থাকে ।আর বাইরে 35 ডিগ্রি তাপে মারা যাবে ভাইরাস আবার মারা যায় সে তো অর্দ্ধমৃত না জীব না জড় ।মানুষের শরীরের বা জীব দেহের সংস্পর্শে এসে জীবিত হয়। শেষে বলি আমি আলোও নেভাই নি বাতিও জ্বালানি ।আমি অশিক্ষিত হতে পারিনি । কুসংস্কার আমাদের দেশের অভিশাপ তবুও মানুষ যাচ্ছে তাতে মারা যাওয়া মানুষ কে অসম্মান করা হচ্ছে না কি! 

মোবাইল নেট দেওয়ার নামে প্রতারণা।

উপরের ঐ লোগো আমার তৈরি জিও লেখার চেষ্টা করেছি। এই কোম্পানি যখন প্রথম বাজারে মানে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবসা করতে এল, ফ্রিতে সিম অবশ্য অনেকেই এক দেড় শ টাকা দিয়ে কিনেছেন সকলে ফ্রি পায় নি। সস্তা নেট পাওয়া যাবে 249 টাকা 84 দিন ফ্রি কল আর 1.5 জি বি নেট এ গেল প্রথম কথা তার পর এল যারা একশ টাকা অতিরিক্ত দেবেন তারা প্রাইম মেম্বার তারা এই সুবিধা পাবেন। এবার বাকি কোম্পানি গুলো প্রতিযোগিতায় পারছে না। বলে না প্রথম প্রথম ন করা তাই হোল তার পর 349 টাকা হোল এরপর 399 টাকা হয়ে গেল। আর দিন সংখ্যা 84 দিনের বদলে কমে 56 দিন হয়ে গেল। কি মজার ব্যাপার না, আর নেট 1.5 জিবি থাকল কিন্তু স্পিড কমিয়ে প্রতিদিন 500 MB দেওয়া হয় কিনা সন্দেহ, কিন্তু  এক থেকে দু ঘন্টা নেট করতে না করতে SMS চলে আসে আপনার রোজকার 1. 5 মধ্যে 50% শেষ করে ফেলেছেন। অথচ আপনার উপরের মোবাইল এর ডান বাঁ কোনে যেখানে নেটের স্পিড দেখায় সেখানে 0.7  KB  কখনো 00 KB বড়ো জোর যদি কপাল ভালো হয় তবে 20 থেকে 30 KB পাবেন এতেই সন্ধ্যার পর SMS চলে এলো আপনি 90% ব্যবহার করে ফেলেছেন। ভাবার বিষয় আমি যতটুকু জানি 1000 KB তে এক MB আর এই রকম 1000 MB তে এক GB তাহলে কি পেলেন বলুন, ভারত সরকারের এখন কার নেতা মন্ত্রীরা যেমন মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ সেই রকম তাকে ক্ষমতায় যারা নিয়ে এসেছে তারা তো চিটিংবাজ হবেই। শুধু যে জিও এই কাজ করছে তা নয় সব সংস্থা AIRTEL Vodafone সবাই করছে। অনেকেই বলছেন

সরকারের সংস্থা সরকার তাকে বেচে দিল কে বলছে তুলে দিল আর বহু কর্মী কে ছাঁটাই করা হচ্ছে। কি করে ওরা টাকা নেই, কিন্তু যে টুকু পরিষেবা দেওয়ার কথা এই সরকারের সংস্থার কর্মী কুল তাও দিচ্ছে না। কাজ করে না চুপ করে বসে থাকে, ব্রডব্যান্ড পরিষেবা আছে চাইতে যাও বলা হবে আমাদের অত তার নেই আমরা দিতে পারব না। এর পর আছে মোবাইল কানেকশন নেটওয়ার্ক আছে ফোন করা যাবে সর্বত্র কিন্তু নেট সার্চ করতে হলে দাড়ি পেকে যাবে। অথচ শুনবেন এদের টাওয়ার ভাড়া নিয়ে বাকিরা চালায়। এই BSNL আবার নতুন করে 4G দিচ্ছে যদিও মোবাইল দেখাচ্ছে এজ এদের কেমন আপনি কথা বলতে হলে আলাদা টাকা সেই টাকার বা সিম কার্ডের ভ্যালিডিটি বাড়াবার জন্য আলাদা টাকা আবার নেট করতে আলাদা তিন টি বিষয়ে এক সাথে চাইলে যা টাকা দিতে হবে, তা অনেক বেশি। এবার নেট সে ঐ জিও ফোনের স্পীডের থেকে আরো কম আপনি বিরক্ত হবেনি হবেন কিছু করা যাবে না। আপনাকে বলা হবে 198 টাকায় 2GB বা 54 দিন। আর 56 টাকায় 1.5 GB 14 দিন আপনি আনন্দে টাকা রিচার্জ করে দিলেন কেবল নেট করার জন্য 198 টাকা 2GB  করে 54  দিন। নেট করছেন স্শীড 0.0 KB বড়ো জোর হলে 10  থেকে 13 KB স্পীড অর্থাৎ সারাদিনে হয়ত 500 KB নেট দিয়ে আপনার 2GB দিনের নেট শেষ। অর্থাৎ মোবাইল কোম্পানি গুলো মানুষ কে ঠেকাতে পারলে বাঁচে কারণ কেউ প্রতিবাদ করে না। আর যে খানে সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী সহ সব নেতা মন্ত্রী সাধারণ মানুষ কে ঠকিয়ে মিথ্যা কথা বলে ক্ষমতা দখল করে কোটি কোটি টাকা আয় করে নিজেদের সম্পদ বাড়ায়। সাধারণ মানুষ সেখানে গরু ছাগল হবে না তো কি হবে? আজ ভারতের জনগণের এমন অবস্থা কেউ নেই যে তাদের এই সব ধূর্ত চিটিংবাজ দের হাত থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাই সাধারণ মানুষের কাছে আমার অনুরোধ প্রতিটি ভোট এলে যে দল ক্ষমতায় থাকে তাকে ভোট না দিয়ে পাল্টে দেওয়া প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর পাল্টে দেওয়া।


Saturday, 4 April 2020

প্রদীপ মোমবাতি হ্যারিকেন লম্ফ জ্বালান, ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে না তো।


কি মনে হয় আমি সকলকে মনে করিয়ে দিচ্ছি, কেন ঐ শিরোনাম দিলাম। মনে পরে দাদা 22/3/2020 রবিবার সকলে বিকেল বেলা থালা কাঁসর ঘন্টা বাজানোর কথা। সত্যই কি অভিনব চিন্তা। তার পরে কি দেখতে পেলাম লক ডাউন লক্ষ লক্ষ গরীব মানুষ যারা বাইরে কোথাও কাজ করতে গিয়ে ছিল। তাদের মাথার ছাদ চলে গেল আয় চলে গেল, পেটের ভাত যোগান বন্ধ হয়ে গেল। তারা কি করল কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে আরম করে দিল। এদের বাড়ি ফেরানোর কোন ব্যবস্থা নেই কারণ এরা গরীব ভিক্ষুক শ্রমিকের দল। এই শ্রমিকদের একটা দল যখন উত্তর প্রদেশে পৌঁছাল, উত্তর প্রদেশ সরকার আর এক ধাপ উপরে উঠে গিয়ে এদের গায়ে কীটনাশক স্প্রে করে শুদ্ধ করতে আরম করে দিল। এসব দেখে আমরা যারা সাধারণ মানুষ এই বাংলায় থাকি তারা অনেকেই হাততালি দিয়েছেন। এরা না খেয়ে বা আধ পেটা খেয়ে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি পৌঁছে কি লাভ হোল কীটনাশক স্প্রে করার ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে গেল। এদের খাবার দেওয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করা নৈব নৈব চ, কারণ এরা গরীব এরা মানুষ নয়, এরা শ্রমিক এরা মানুষ নয়, দেখে ছিলেন কাগজে বা টিভিতে দেখেছেন ডোনাল্ট ট্রাম্প গুজরাতে যাবেন যে রাস্তা দিয়ে যাবেন তার পাশের বস্তি এলাকা কয়েক কোটি টাকা খরচ করে পাঁচিল গেঁথে দেওয়া হল। তার পরও পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দু হাত তুলে এই দলটিকে সমর্থন করে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার গরীবের শত্রু এরা গরীব মানুষ কে মানুষ বলে মনে করেন না ।আপনি আজ নয় মিনিট বাতি জ্বেলে থাকবেন এতে জাতীয় সংহতি প্রকাশ করা হবে ।আর গরীব মানুষ খালি পেটে শুতে যাবে মানুষ হয়ে যাদের মানুষের প্রতি সামান্য দয়া মায়া নেই ।তাকে কি মানুষ বলা যায় ।আপনি আজ নয় মিনিট আলো বন্ধ করে প্রদীপ মোমবাতি জ্বালিয়ে রইলেন কাল দেখবেন ঘোষণা করা হবে ।NTPC তাদের কিছু ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে রাখবে কারণ কয়লা ঘাটতি এর পর শুনবেন NTPC বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে আদানি বা আম্বানী কে কি ভাবে না সরকার তাকে ঋণ দিয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা ।এর পর শুনে নেবেন ঐ ব্যাঙ্ক উঠে যাচ্ছে ।কারণ ঐ টাকা ঐ শিল্প পতিরা শোধ করেনি না করে বিদেশে চলে গেছে । আপনি জাতীয় সংহতি দেখিয়ে বাতি জ্বেলেছেন। এবার দেখবেন ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম মধ্যবিত্ত আর প্রান্তিক মানুষের বাড়িতে প্রদীপ মোমবাতি হ্যারিকেন লম্ফ আবার ফিরে আসছে কেরোসিন তেল ঐ শিল্প পতি বিক্রি করবে 100 টাকা লিটার ।খুব খুশি তাই না কারণ আপনি পেটের খিদে পেটে চেপে অন্ধকারে থেকে তখন অভ্যস্ত হয়ে গেছেন এবার আপনার ঠাঁই ছাগল গোরুর মতো ডিটেশন ক্যাম্প আপনার যতই 15 বা 20 রকম কার্ড থাক আপনি বিদেশী ।খুব সাবধানে থাকবেন আর বুঝে শুনে এ সব দল কে তার কিছু টা দোসর পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকার কে ক্ষমতায় নিয়ে আসবেন। এরা চরম ধাপ্পাবাজ মুখে বলে এক আর করে আরেক, প্রতারণা এদের পরম ধর্ম টাকা লুঠ এদের ধ্যান জ্ঞান গরীব আর মধ্যবিত্ত কে পিষে মেরে ফেলতে পারলে এরা বাঁচে। ধনীর টাকা বারুক আর আমি রাজনীতি করে আমার 14 গোষ্ঠী সারা জীবন বসে বসে খাবে তার জন্য কোটি কোটি টাকা যেমন করে হোক আমার চাই। না হলে ভোটে দাঁড়াবার জন্য এত মারামারি কেন। ভাবুন এরা যদি জনগণের কথা ভাবত তাহলে ঐ কালা কানুন CAA বাতিল বলে ঘোষণা করে দিত। বলে দিত NPR হবে না। আমার মনে হয় ঐ দুজনের গায়ে মানুষের চামরা নেই বা মানুষের রূপ ধারী পশু। পশুর মায়া দয়া আছে তারাও প্রভু ভক্ত এরা তার থেকে অধম এদের ঐ নামে ডাকলে পশু লজ্জা পাবে। আর মিথ্যে কথা এতো বলে ভাবা যাবে না সেই জন্যই দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরতে হয়। জানে আমরা মানুষের ভালো করব না। ঐ মুষ্ঠিমেয় কয়েক জন ধনীর আর আমার পরিবারের সম্পদ টাকা করতে ক্ষমতা দখল করেছি। মানুষ কে এরা ভয় পায় সেই জন্যই এদের পিছনে পিছনে দেহরক্ষী কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয় নিজের সুরক্ষার জন্য।

ফেসবুক বন্ধুদের জন্য আপনারা প্রোফাইল দেখে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠান।


আমার ফেসবুকে বন্ধুর সংখ্যা 2781 জন। আরও 219 টা অনুরোধ আছে যারা পাঠাচ্ছেন আমার প্রোফাইল দেখে পাঠান ।আমার এই ব্লগের মাধ্যমে সব পাবেন এবং সব লেখাটা পড়ে মন্তব্য করবেন । উত্তর পেতে ব্লগে দেখবেন ।


এরপর ও অনুরোধ আসছে ফেসবুক এখন যেহেতু রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকদের বন্ধু থাকে বেশি আমিও একটা রাজনৈতিক দলের সমর্থক বিশেষ করে বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাস করি । অনেকেই আমাকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠাচ্ছেন ,আমার প্রোফাইল না দেখে । এমন সব প্রশ্ন করছেন যে গুলোর উত্তর দেওয়া আমার কাজ না ।
এবার থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি উত্তর গুলো এই ব্লগের মাধ্যমে দেব ।এখানে প্রশ্ন করেছেন ওনার তিন টি প্রশ্নের উত্তর আমি একটা উত্তরে দিয়েছি । প্রশ্ন বেশিরভাগ মানুষ করেন সাঁইবাড়ি বিজন সেতু নন্দী গ্রামের নানুর এরকম কয়েকটি বা আরও কয়েকটি ঘটনার কথা আমি যতদূর জানি সাঁইবাড়ি ঘটে ছিল নকশাল পিরিয়ডে তখন বাংলায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। এটা আমার উত্তর না আমি উত্তর দিয়েছি যা সেটা আবার লিখছি  সাঁইবাড়ি, বিজন সেতু নানুর সহ নানা ঘটনার তদন্ত করার জন্য বর্তমান সরকার 11টা না 12 টা তদন্ত কমিটি গঠন করে ছিল। তারা কি রিপোর্ট জমা করেছে বর্তমান সরকারের কাছে আছে। জবাব পেতে বা কি হয়েছে জানতে আর টি আই করে জেনে নেওয়া বা নিজে যখন ঐ সরকারের সমর্থক তাহলে আমার থেকে বেশি জানেন । এই প্রশ্নের জবাব নিশ্চয়ই বর্তমান সরকার বা তার কর্মীরা দেবেন, এছাড়াও আমার কিছু প্রশ্ন আছে, জ্ঞানেশ্বরী, নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর, এছাড়া সারদা রোজভ্যালি, এম পি এস গ্রীনারি সহ আরও চিটফাণ্ড ও নারদার সিবিআই তদন্তের কি হোলো? কারা জেলে গেলে কত জন টাকা ফেরত পেল? উনি নীচে একটা নাম দিয়ে বলেছেন খুনের তদন্তে কি হোলো? আমি কত গুলো নাম জানি যেমন কি সাম মাহাতো প্রাথমিক শিক্ষক শ্রেণি কক্ষে ঢুকে ছাত্র দের সামনে খুন করা হয়েছিল। শালকু সোরেন যার মৃতদেহ তার মা কে ছুঁতে দেওয়া হয়নি। কিছু দিন আগে বর্ধমানের দু বামপন্থী কর্মী প্রদীপ তা ও আরেক জন এই মুহূর্তে নাম মনে পড়ছে না ।যাদের রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। তালিকা অনেক দীর্ঘ ,আমি জানি না অপরাধীরা শাস্তি পেল কিনা। আর এসব প্রশ্নের উত্তর দেবেন বর্তমান সরকার এবং তাদের যারা সমর্থন করেন তারা কেন এখন তাপসী মালিকের বাবা চিৎকার করে বলছেন ।আমার মেয়েকে সি পি আই এম খুন করে নি । উত্তর আপনার দেওয়ার কথা ।আরেকটা কথা যারা আমাকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠাচ্ছেন তারা আমার প্রোফাইল দেখুন  ।তার পর পাঠান আর এই ব্লগের পুরো লেখাটা পড়ে মন্তব্য করতে অনুরোধ করছি ।আমার কাছে দাদা দিদি দুজনেই সমান। আমি চোর জোচ্চর মিথ্যাবাদী নয় তাই এগুলো কে আমি সমর্থন করি না। আমি মনে করি চোরের দলে থাকলেই সে চোর। তাছাড়া এটা একটা প্রবাদ বাক্য, যে চোরের দলে থাকলেই সে চুরি না করে তাহলেও সে চোর কারণ সে ঐ চুরি করতে সাহায্য করছে ।আবার বলছি যারা সব লেখা না পড়ে এ রকম প্রশ্ন করবেন তাদের উত্তর আমি এই ব্লগের মাধ্যমে দেব । আমাকে যারা ফেসবুক বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠান তাদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ দয়া করে আমার প্রোফাইল দেখুন, তারপর অনুরোধ পাঠান আপত্তি নেই। আজ ১/৬/2021 প্রহ্লাদ নস্কর নামে এক বয়স্ক মানুষ আমার ফেসবুক বন্ধু এমন একটা পোস্ট দিয়েছেন সেটা দেখে মনে হলো উনি আমাকে গালি দিচ্ছেন। আবার বলছি আমি চোর কে চোর বলতে ভয় পাই না। আপনি বর্তমান শাসক দলের সমর্থক বেশ বয়স হয়েছে কিন্তু যে ভাষার ব্যবহার করেছেন তাতেই আপনার বংশ পরিচয় এবং আপনি কেন ঐ রকম একটা চোরের দল করেন সেটা বোঝা গেল। যাহোক আপনাকে আমি ব্লক করে দিলাম। আর এই রকম যারা আছেন তাদের বলছি দয়া করে আমাকে ব্লক করে দিন। প্রহ্লাদ বাবুর পোস্ট ছিল যারা সরকারের সমালোচনা করে পোস্ট করছে তারা বেজণ্মা। চোর কে ডাকতে কে মিথ্যাবাদী কে মিথ্যাবাদী বলা মানুষ গুলো এদের কাছে বেজণ্মা তো বটেই। 

Friday, 3 April 2020

অন্নপূর্ণা পূজা, মায়ের কাছে প্রার্থনা।

কি হোলো মা এ বছর তোমার পুজো কোথাও বন্ধ হোল কোথাও নম নম করে হোল ।কারণ একটাই বিশ্ব জুড়ে মহামারী যাতে আমার দেশ আমার রাজ্যও বাদ নেই ।মানুষ আজ বড়ো অসহায় মা গো ছোট্ট যাকে চোখে দেখা যায় না। অনুবীক্ষণযন্ত্র দিয়ে দেখতে হয় এ রকমই একটা অর্ধ মৃত অর্থাৎ না জীব না জড় জীবনের সংস্পর্শে এসে জীবিত হয় । তার আক্রমণে মানুষ আজ দিশা হারা । বছর বছর তোর পুজো হয় হাজার হাজার কোথাও লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পুজো হয় ।আজ তুমি মা বুঝিয়ে ঐ টাকায় হাসপাতাল করলে গবেষণা কেন্দ্র করলে এই মহামারীর জন্য আজ ঘরে বন্দি হয়ে থাকতে হতো না । সত্যই তুমি মা আজ শিক্ষা দিলে মন্দির মসজিদ মূর্তি না বানিয়ে ভালো আধুনিক ঔষধ তৈরির কারখানা বা গবেষণা গার তৈরি করা হলে অনেক মানুষ বেঁচে যেত। আজ তুমি মা আরেকটা শিক্ষা দিয়ে দিলে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কে ভোট এলেই মদ মাংস খেয়ে যাদের জন্য মারা মারি করে সেই কোটিপতি নেতারা আজ আর তাদের পাশে নেই ।গোরু ছাগলের মত অবস্থা তাদের এর মধ্যে যারা সত্যিকারের মানুষের পাশে আছে তাদের সীমিত আয় দিয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে । তুমি তো অন্নপূর্ণা তোমার প্রাসাদে বা তোমার পুজো করলে কেউ না খেয়ে থাকে না ।তাহলে আজ এত মানুষের খাদ্য নেই কেন ?কারা খেল মা এদের  খাবার ? পুজো করতে গিয়ে পাপ যদি হয় তবে সেটা কি এই গরীব মানুষ গুলো করল। আচ্ছা মা নেতা মন্ত্রী রা এতো ঘোষণা করছে এত সাহায্য অত সাহায্য কিন্তু আমি সকালে দেখলাম সবার জন্য নয়। কেন এটাও কি এদের পাপ?? তাহলে দেখছি যত পাপ গরীব মানুষের ঠিক,
এদের ঠকান যায় অথচ দেখ মা এদের পরিশ্রমের জন্য সভ্যতা টিকে আছে । এরা কাজ করে বলে আমার বাড়ি তৈরি হয়, আমার ঘরে আলো জ্বলে ,মাথায় ফ্যান ঘোরে গাড়ি চলে। মা এই যে তোর এদের প্রতি এতো দয়া তুমি মা চিন্তা করো না এবছর যাক আসছে বছর এরা যদি না খেয়ে মরে না যায়। তাহলে ধুমধাম করে পূজো হবে, সব ভুলে যাবে আজ দশমী অন্তিম দিন চিন্তা নেই  এবছর না হয় গ্যালন গ্যালন মদ খাওয়া হোল না । আসছে বছর অবশ্যই হবে । নাচা গানা খানা পিনা সব । কি অসম্ভব শক্তি ঐ না জীব না জড় ভাইরাসের সবাই কে ঘরে বন্দি করে দিল ।গাড়ি ঘোড়া কলকারখানা সব বন্ধ কত লোক বেকার হবে কিন্তু ঐ যে ভারতের কোন মন্দির আছে যেখানে দিনে কোটি কোটি টাকা প্রনামি পরে আবার কে যেন গুরু আছে যার নামে ঈশ্বর বৃত্তি তুলে রাখতে হয়। ওসবে ঘাটতি হবে না, আর দরগা আছে মসজিদ আছে সর্বত্র লক্ষ লক্ষ টাকা আসবে কেবল গরীব মানুষের কাজ কর্ম থাকবে না ।কারণ ওরা পাপী ওদের পাপে এই অবস্থা তাই না । আজ তো মা গো আমরা স্বাধীন দেশে বাস করি বিদেশীরা নেই ,তবুও মা গো আজ দেশ টা বিক্রি হয় যাচ্ছে। ধনীরা কিনে নিচ্ছে, সব তোর দয়া মা গো আজ সন্ন্যাসী গৃহ পরিবার হীন লোকের প্রতি  তোর কত দয়া তারা কোটি কোটি টাকা করে বসে আছে ,আর ঐ টুকু যাকে চোখে দেখা যায় না এই রকম একটা ভাইরাস যখন ঘর বন্দী করে দিল। তখন সবার মুখে অন্ন নেই মা এমন কি তাদের নিজেদের বাড়িতে ফেরারও অধিকার নেই ।আর মা কত পরীক্ষা দিতে হবে মা গরীব মানুষ গুলো কে? যারা তোর পুজো বেশি উৎসাহি তারা আজ নেই নিজের বাড়িতে আবার দুবেলা খাবার জুটছে না। এটা ভোট পূজোর সময় হলে খুব ভালো হতো তুমি এক কাজ কর তাড়াতাড়ি ভোট পুজো এনে দিও মা এ গরীব মানুষের কথা মনে পড়বে ।আবার মা গো শুনছি এ আবার এক ধর্মের লোকে দের হবে আর অন্য ধর্মের লোকজনের হবে না ।তোর মা কি লীলা মা জমায়েত সর্বত্র হোল, দোষ হোল কাদের ।জয় মা জগৎ জননী আজ দশমী আজ তোর পুজা মা তোমার কাছে একটাই প্রার্থনা সব মানুষের মুখে অন্ন দে মা জয় মা অন্নপূর্ণা । সকলে ভালো থাকবেন লেখার ভুল ত্রুটি মার্জনা করে দেবেন। কাউকে আঘাত করে এ লেখা নয় । মায়ের কাছে প্রার্থনা সবার মুখে অন্ন দিন। শুভ বিজয়া  ।

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...