Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 8 April 2020

করোনা ও লকডাউন গরীবের কাছে শাঁখের করাত।

করোনার জন্য লকডাউন দেশের তথা রাজ্যের গরীব খেটে খাওয়া মানুষের কাছে শাঁখের করাত। লকডাউন কাজ কর্ম নেই ।বিশেষ করে যারা ঠিকে কাজ করত ছোট খাটো কল কারখানা পরের বাড়ি ঝি এর কাজ এমন কি যারা প্রাইভেট টিউশন পড়াত তাদের মাঠে ঘাটে কাজ টোট অটো চালক যারা ঐ গুলো ঋণ করে কিনেছে ।এখন আয় পুরোপুরি বন্ধ, এদের কারো কারো কাছে সরকারি সাহায্য পৌঁছেছে কিন্তু সকলের কাছে নয়। সরকারের ঘোষণা আছে, রেশনের জিনিস দেবার এই ধরনের মানুষ যাদের রেশন কার্ড নেই তারাও রেশন পাবে কিন্তু বাস্তবে তা নেই, শাসক দলের কিছু নেতা কর্মীরা এই রকম বেশ কিছু মানুষ কে বঞ্চিত করে রেখেছে। এতো সেই বাম  আমলের শেষের দিকে যেটা হতো সেটা প্রকৃত গরীব প্রান্তিক মানুষ না খেয়ে মরল কি বাঁচল দেখার দরকার নেই ওরা বিরোধী আর এখানে একেবারেই দেখার লোক নেই  কোথায় যাবে কিভাবে যাবে সব লকডাউন হাতে টাকা নেই যে খাবার কিনে মজুত করবে ।খাদ্য মজুত সে তো ধনী দের ব্যপার কিন্তু এদের মত মানুষ যা অনেক কষ্টে ধার দেনা করে কিছু কিনে রেখে ছিল তা এই দু সপ্তাহে শেষ এবার কি হরিমোটর জল খাও কচু শাক সেদ্ধ করে খাও না হলে মর। আমি এরকম জানি দু বছর আগে রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করা হলেও জোটে নি কার্ড আবার এই লকডাউনের বিশেষ স্লিপ পাওয়ার তালিকায় নাম নেই । (সিঙ্গুর পলতাগড়ের দাস পাড়ার আর বিরোধী অমল ব্যানার্জি তার বিধবা দিদি কিছু নেই ) ও লোকের বাড়ি বাসন মেঝে বা ঝি গিরি করে খায় এরকম মেয়ে ষাট বছর পার তার না আছে বার্ধক্য ভাতা না আছে বিধবা ভাতা ঐ একটা কারণ বিরোধী দল কে ভোট দেয় জানে । যা বাম আমলে শেষের দিকে হতো তা এখন হচ্ছে তাহলে এই পরিবর্তন করে কি লাভ হলো ।আমি তাহলে বলতে পারি এই লকডাউন কেবল বড়ো লোক তথা ধনীদের জন্যে ।আবার শুনছি লকডাউন বাড়বে তাহলে এদের মতো মানুষ আর বাঁচবে যদিও কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারের কাছে এই সব গরীব মানুষের কোনো দাম নেই তাহলে এই লকডাউন কেন? তুলে নেওয়া হোক এই লকডাউন এরা  না খেয়ে অন্তত মরবে না। করোনা প্রতিরোধ করতে যে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দরকার সেটা এরা খেতে না পেলে থাকবে না ।একে তো ঐ উপায়ে দু বেলা জোটে না যা একবেলা খেয়ে বেঁচে থাকা তাও বন্ধ ,আবার লকডাউন তুলে নিলে করোনায় আক্রান্ত হবার ভয় আর না খেয়ে এদের এমনই মরার দশা আর ঐ করোনা আর এদের বাঁচাতে দেবেন না ।পাবলিক কত সাহায্য করে বাঁচিয়ে রাখতে পারে ।যারা বলছেন লকডাউন বাড়ানো হোক তাদের ঘরে খাবার মজুত আছে, তারা অমানবিক এই সরকারের ছোট খাটো নেতা কর্মী এরাই বলবে লকডাউন থাক কারণ মানুষ না খেয়ে থাকলে এরা হাত তালি দেয় ।আনন্দ হয় লড়ি করে বাজি ফাটাতে ফাটাতে মদ খেয়ে নৃত্য করতে করতে মৃতদেহ সৎকার করতে যায়। এদের আনন্দ ধরে না ,মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব নেই মানবিকতা নেই তারাই আজ নেতা এদের বেশির ভাগ বামপন্থী বাম কর্মী ছিল ।এখন শাসক দলের নেতা । তাই করোনা জন্য লকডাউন এদের কাছে শাঁখের করাত  ঘর থেকে বের হলে করোনা আক্রান্ত হবার ভয় আর ঘরে বসে থাকলে না খেয়ে মরার ভয় । আর করোনা আক্রান্ত হলে ঠিক মতো চিকিৎসা ও হবে না। বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে এই সব মানুষ আমার সরকারের কাছে একান্ত অনুরোধ দয়া করে এদের মানুষ বলে ভাবুন আপনার কর্মী দের রাজনীতি করা বন্ধ করতে বলুন খাবারের ব্যবস্থা করুন না হলে কাল থেকে লকডাউন তুলে নিন ট্রেন বাস চলতে দিন হকার দের হকরি করে খেতে দিন। কারণ এরা এমনই মারা যাবে না খেতে পেয়ে  আর যদি সরকারের বা আপনার নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য হয় বিরোধী দের হাতে না মেরে ভাতে মারব একবেলা খেতে পেত তাও যাতে না তার ব্যবস্থাপনা সরকার করে দিয়েছে ।বাকি টা আমরা করে দেব ।


No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...