Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 8 April 2020

মুখ থুবরে পড়েছে পুঁজিবাদ।

এই করোনা ভাইরাস আক্রমণ প্রমাণ করে দিতে পেরেছে  ,পুঁজিবাদ অচল । কারন পুঁজিবাদ বিশ্বাস করে ভোগবিলাসিতা যে সব জায়গায় থেকে কোন লাভ আসে না। সে গুলো বন্ধ যেমন স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ নেই, সরকারি ভাবে তো নেই যা আছে তা অপ্রতুল বিমা করা থাকলে চিকিৎসা হবে নয় তো ভাগ গরীব মানুষের কথা এরা ভাবেই না ।গরীব শ্রম জীবি মানুষ নিজেদের শ্রম দিয়ে বিশাল অট্টালিকা বানায়। থাকে কারা সেই শ্রমিক না ।ধনীর বাস সে খানে শিল্প কারখানা আজ বিলাস সামগ্রি তৈরি তে ব্যস্ত। এই সব অত্যাধুনিক বিলাস সামগ্রিক তৈরি করে শ্রমিক সে থাকে অনাহারে আর ঐ বিলাস সামগ্রী বেচে মুনাফার পাহাড়ে বসে আরাম আর আয়েস করে মালিক ।স্বাস্থ্য শিক্ষা গবেষণায় বিনিয়োগ থাকে না সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকে না ।সরকারের সব যায় ঐ পুঁজি পতি দের হাতে, আর ঐ সব পুঁজি পতি বা শিল্পপতিরা তাদের মুনাফার উপযোগী এবং বাজারের চাহিদা অনুযায়ী জিনিস তৈরি করে। সে ওষুধ হোক আর অন্য প্রয়োজনীয় জিনিস ,সেই জন্যই আজ আমেরিকা তথা USA কে ভারতের কাছে হাত পাততে হয় হাইড্রক্লোক্যুইনের জন্য, এবং ভারত সরকার কে হুমকি দিয়ে বলতে হয় না দিলে দেখে নেব ।
ওখানেও গরীব মানুষের কাছে টাকা নেই  কারণ যেটা সঞ্চয় নেই  আমাদের দেশের সরকার ও ঐ পুঁজি বাদ কে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ,নানা অছিলায় সরকার পরিচালিত সংস্থা বন্ধ করে দিতে চাইছেন এবং সমস্ত কিছু বেসরকারি পুঁজি পতির হাতে তুলে দিতে চাইছে মানুষ যাতে সরকারি সংস্থায় সঞ্চয় ননা করে সেই জন্য ক্রমশ সুদের হার কমিয়ে আনা হচ্ছে। সল্প সঞ্চয়ে আজ মানুষের উৎসাহ নেই,, পুঁজি বাদের লক্ষ এটা মানুষ তার ভবিষ্যতের কথা না ভেবে সমস্ত অর্থ দিয়ে বিলাস দ্রব্য ক্রয় করুক। আজ এই করোনা ভাইরাস দেখিয়ে দিয়েছে পুঁজি সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা দরকার সকল মানুষের সমান অধিকার থাকা দরকার। পুঁজি বাদীরা গরীব খেটে খাওয়া মানুষ কে কখনো মানুষ বলে মনে করে না । আমাদের দেশেও বর্তমান সরকার সেই পথেই চলছে ।সব বেচে দাও বেসরকারি করে দাও  ।আজ বিশ্বের বড়ো বড়ো পুঁজি বাদী রাষ্ট্রের দিকে লক্ষ্য করে দেখুন করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করতে তাদের নাভি শ্বাস উঠেছে  ওদিকে চীন যে দেশে প্রথম এই রোগ দেখা দিয়েছিল তারা আজ প্রায় এই রোগ থেকে মুক্ত হয়েছে ।সকল মানুষ কে সাথে নিয়ে এর প্রতিরোধ করতে পেরেছে, এছাড়া রাশিয়া কিউবা প্রভৃতি সমাজতান্ত্রিক দেশ আজ এই করোনা কে আটকে রেখেছে  কোরিয়ার দিকে দেখলেও একই কথা প্রযোজ্য ।কারণ এখানে সব কিছু সরকারের অধীনে সরকার নিয়ন্ত্রণ করে । আমরা কেউ শুনছি না এই সব দেশের লকডাউনে মানুষ খেতে পায়নি বলে, এটাও শুনিনি কোন মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি বলে ।কারণ এ সব দেশে স্বাস্থ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সেই জন্যই রাতারাতি হাসপাতালে নির্মাণ হয়েছে ।আলাদা করে রাখতে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে । আর আমার দেশ স্বাস্থ্য পরীক্ষা এখনও শুরু করে নি কেবল ঘরে বন্দি করে রেখেছে । আর ঘন্টা বাজাও থালা বাজাও ভুখা পেটে শুয়ে মোমবাতি জ্বালাও আজ দেশের 70 থেকে 80 শতাংশ মানুষ ভাল করে খেতে পাচ্ছে না ।তারা রোগ প্রতিরোধ করবে কি করে ? হাসপাতাল গুলোয় যাও সঠিক চিকিৎসা নেই ,ডাক্তার দের এই রোগ চিকিৎসার করার জন্য সঠিক সরঞ্জাম নেই ( PPE ) নেই । রোগ পরীক্ষার কিটস নেই  রোগ অর্থাৎ করোনা ভভাইরাস আছে কিনা পরীক্ষা করার মতো সরঞ্জাম নেই । বর্তমান সরকার আজ দশ বছরে একটাও হাসপাতাল তৈরি করে নি  ।মূর্তি তৈরি করা হয়েছে  কোটি কোটি টাকা খরচ করে, শিবের মূর্তি রামের মূর্তি মন্দির হবে। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তি। আর কোটি কোটি টাকা ধনী শিল্প পতি দের ঋণ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তারা ঋণ নিয়ে শোধ না করে বিদেশে পালিয়ে গেছে । আবার তাদের ঋণ ছাড় দিতে আপৎ কালীন ফাণ্ড রির্জাভ ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে । সেই কারণেই গোমুত্র খেলে রোগ চলে যাবে, আর যত রকম ভাবে পারে মানুষ কে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে ।এই লকডাউন উঠে গেলে বোঝা যাবে আসল চেহারা, আবার লকডাউন বেশি দিন থাকলে অনেক মানুষ না খেয়ে মারা যাবে ।কারণ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আজ একরকম কাল একরকম  চালের দাম এখনই 40 থেকে 50 টাকা হয়েছে ।আনাজ পাওয়া যাচ্ছে না  ।মানুষ শাক পাতা শেদ্ধ করে খাচ্ছে রেশনের নাম করে জালিয়তি চলছে কাগজ গুলো ভরে যাচ্ছে বড়ো বড়ো ঘোষণায় আর বাস্তব অন্য রকম এই সময় দাঁড়িয়ে যারা দীর্ঘ দিন আবেদন করে রেশন কার্ড পায় নি তারা গরীব মানুষ হলেও এমনকি পরের বাড়ি ঝি এর কাজ করে খেলেও তার এই রেশন পাওয়ার অধিকার নেই  কারণ আবেদন করেও তার রেশন কার্ড আসেনি । আর ঐ বিশেষ সিলিপ না দিচ্ছে সেখানেও তাদের নাম নেই, অর্থাৎ কাগজে কলমে সবাই খাবার পাচ্ছে দেখা যাচ্ছে কেবল যারা তৃণমূল বা বি জে পি কে ভোট দেয় তাদের নাম আছে বা ঐ কার্ড না থাকলে স্লিপ দেওয়া হয়েছে ।সেই জন্যই বলছি এই লক ডাউন চললে এরা মারা যাবে না খেয়ে আর লকডাউন উঠে গেলে সেখানে ভয় করোনা ভাইরাস ।আর এরা আক্রান্ত হবে বেশি না খেয়ে খেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে  আর মরবে বেশি ।আবার কাজ চলে যাওয়ার ভয় আছে যে যা কাজ করে দিনে 200 টাকা এনেও আধ পেটা খেয়ে চলছিল এখন তা বন্ধ পরে খুললে তাকে কাজে নেবে কিনা সন্দেহ ।অর্থাৎ গরীব মানুষের কাছে এই লকডাউন একটা বড়ো অভিশাপ ।এর মুল কারণ ঐ পুঁজিবাদ । আমার দেশ তথা রাজ্যেও এক শ্রেণীর মানুষ না খেটে গরীব মানুষ কে ঠকিয়ে জাল জোয়চ্চুরি করে কোটি কোটি টাকার মালিক ।পুঁজিবাদের একটাই লক্ষ্য গরীব মানুষ মরুক  কিন্তু এই ভাইরাস গরীব বড় লোক  দেখে শরীরে প্রবেশ করবে না। সেই জন্যই পুঁজি বাদ শেষ কথা বলে না। কুক্ষিগত পুঁজি আজ আর মানুষের প্রয়োজনে কাজ করছে না ।আর মুষ্ঠি মেয়ে মানুষ বেঁচে থাকতে পারে কিন্তু ঐ পুঁজি আরও বাড়াতে হলে শ্রমিক দরকার হয়। পুঁজিবাদ কখনো এই শ্রমিকদের কথা ভাবে না । তারা চায় ক্রেতা আর উচ্চ তর বাজার । সেই বাজার আজ ধ্বংসের পথে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মানুষ আর গাড়ি কিনবে না। আর বিলাস বহুল বাংলো বা বাড়ি ফ্লাট কেউ কিনবে না। পুঁজিবাদ আজ ধ্বংসের পথে। বিশ্বের ঐ বড়ো বড়ো পুঁজিবাদী রাষ্ট্র গুলোর দিকে তাকিয়ে দেখে বোঝা যাচ্ছে পুঁজি বাদ শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ ।

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...