আজকের মোবাইল ও নেটের যুগে শিক্ষা ব্যবস্থা কে আমরা সেই পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি নি ।যাতে ঘরে বসেও ছাত্র ছাত্রীরা শিখতে পারে। সিলেবাস কে অন লাইন প্রোগ্রামে এনে শিক্ষা মূলক গ্যাজেটের মাধ্যমে অব্যশই শেখানো যায়, সব বিষয়ে পারা যাবে না। কিছু টা অন্তত করা যেত সমস্যাও আছে কারণ এই হত দরিদ্র দেশে সকলের বাড়িতে কম্পিউটার নেই ব্রডব্যান্ড নেট নেই । এই নেই রাজ্যে ঐ ঘণ্টা বাজানো প্রদীপ জ্বালান ছাড়া গতিও নেই ।যে দেশে এই হেল্থ এমার্জেন্সির সময় চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই। 130 কোটি জনগণের সু চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই । আজ এই সময়ে কার করোনা হয়েছে আর কার হয় নি সমীক্ষা করার জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। বাইরে বা বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করতে লাগবে 4500 টাকা সেখানে দাঁড়িয়ে মুর্তি বানান 3000 হাজার কোটি টাকা রাম মন্দির তৈরি করা হবে। কয়েক কোটি টাকা দিয়ে তার প্রস্তুতি চলছে ।মন্দির বলতে মনে পড়ে গেল ভারতের বিখ্যাত মন্দির তিরুপতি যে দিন লকডাউন হোল সেদিনও তার প্রণামী পড়ে ছিল ২.৪০ কোটি টাকা। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও প্রায় কোটি টাকা। এই দেশের আর কি হবে আধ পেটা না খেয়ে থাকা মানুষ গুলোর ঐ থালা কাঁসর ঘণ্টা বাজাতে হবে আর প্রদীপ জ্বালিয়ে বাজি ফাটিয়ে রোগ ভুলে থাকতে হবে। সাধারণ মানুষ মরলে এতএত আনন্দ হয় আমার জানা ছিল না। বুঝতে পারছি লকডাউন ছাড়া গতি নেই মানুষ খাবে কি? রোগ টি হলে চিকিৎসা করাবে কোথায়?? ডাক্তারা তাদের প্রয়োজনীয় কিটস পাচ্ছে না। সে সব লক্ষ নেই, আর এই লকডাউন উঠে গেলে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাজ যাবার ভয়। কাজ থাকবে না যা যে টুকু করে খাচ্ছিল তাও বন্ধ হয়ে যাবে। এ রকম একটা দেশে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা বাড়িতে বাড়িতে কম্পিউটার বা শিক্ষা গ্যাজেট আশা করা দূরাশা ছাড়া কিছু না। যে খানে সরকার বড়ো বড়ো শিল্প পতি দের ব্যাঙ্ক ঋণ দিয়ে বলে শোধ করতে হবে না।আর গরীবের বেলায় ঘণ্টা কাঁসর থালা আর মোমবাতি জ্বালিয়ে মজা করে মন্ত্রীর ভাষায় জাতীয় সংহতি প্রকাশ করা। সেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান আর খাদ্য এসব কথার কথা। আমরা নাকি বিশ্বের সেরা আর পাঁচটা দেশের সমান হতে যাচ্ছি ,যে দেশের জামা কাপড় বিদেশ তথা বাংলাদেশের থেকে না এলে ল্যংটো থাকতে হবে ।চীন থেকে কাঁচা মাল না এলে ওষুধ থেকে আরম করে নিত্য দিনের ব্যবহার করা জিনিস পত্র তৈরি হবে না। একটা সুঁচ সেটাও চীনের কাল যে বাজি গুলো ফাটানো হলো তার মশলার মূল উপাদান আসে চীন থেকে ।রান্নায় যে রসুন টা দিচ্ছেন সেটাও আসে ঐ চীন থেকে। আমরা টিঁকে আছি চীনের জন্য। যাক বাদ কাল থেকে সব চার্জার টর্চ ব্যবহার বন্ধ করে দেবেন। যাহোক বাদ দিন ওসব বিষয়ে দেশের বড়ো বড়ো নেতা মন্ত্রীরা ভাববেন। আচ্ছা অনেকেই শুনলাম পি এম এর বা মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে টাকা দান করেছেন ।আরও করছেন,, দেখলাম 100 কোটি 150 কোটি সব বড়ো বড়ো দান পড়ছে। টাকা গুলো সরাসরি গরীব মানুষের চিকিৎসার জন্য ব্যয় করলে খুব ভাল হতো কারণ ওটাকা আদানি আর আম্বানির ঋণ মুকুব করতে কাজে লাগবে। না হলে ইয়েস ব্যাঙ্কের ঐ ক্ষতি পুরন হবে কি করে? পুরীর মন্দিরের টাকা আবার আমাদের রাজ্যের কৃষক দের ধান কেনার টাকা সবই তো ঐ ইয়েস ব্যাঙ্কে জমা ছিল। দেশে যতখন না একজন নেতা মন্ত্রী সত্যি কথা বলবে এবং সঠিক পরিকল্পনা না করে এই ভাবে চলবে তত দেশের শিক্ষার মান এরকম হবে শিক্ষা থাকবে তাতে শিখবে না কিছু কেবল অশিক্ষা কু শিক্ষা পাবে। এই জন্যই দেশের মানুষ মারা গেলে বাতি জ্বালান হবে। বাজি ফাটানো হবে, ফানুস ওড়ানো হবে । যত লোক গুলো কে মজা ও আনন্দে ভুলিয়ে রাখা যায়। দরকার কি শিক্ষার দরকার কি স্বাস্থ্যের । দরকার নেই খাদ্যের আনন্দে থাকুন যার টাকা আছে সে মানুষ বাকিরা অমানুষ। সকলকে দেখতে মানুষের মতো কিন্তু মানুষ বলা যাবে না। একটাই কারণ সকলে কোটি কোটি টাকার মালিক নয়। খালি পেটে বিনা শিক্ষায় বিনা চিকিৎসায় আনন্দে থাকুন ঘন্টা কাঁসর থালা বাজাও আর মোমবাতি জ্বালিয়ে বাজি ফাটিয়ে আনন্দ করে নাও। ফানুস ওড়াও মানুষ হওয়া যাবে না।
Anulekhon.blogspot.com
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...
No comments:
Post a Comment