দেশ জুড়ে তীব্র আন্দোলনের ফলে কিছুটা হলেও পিছু হটল কেন্দ্র সরকার। বলা হয়েছে ১৯৭১ এর আগে যারা আছেন তাদের বাবার জণ্ম শংসাপত্র না হলেও চলবে কেবল স্থানীয় লোকজনের সাক্ষ ও কোন স্থানীয় কতৃপক্ষ দ্বারা দেওয়া বাসিন্দা শংসাপত্র হলেও হবে। বন্ধু এই আইন রোধ করার জন্য আরও তীব্র প্রতিবাদ ও আন্দোলনের প্রয়োজন, আসুন বামপন্থী আন্দোলনে সামিল হয়ে, এই আন্দোলন কে আরও শক্তিশালী করে তুলি ঐ ঢোল কাঁসি বাজিয়ে আর মিথ্যে কথা বলে মানুষ কে বিভ্রান্ত করার পথ ছাড়ুন। আমি বুঝতে পারছি না চোর চিটিংবাজ আর মিথ্যে বাদীর দলে এত লোক হয় কি করে? আর এই সব মিথ্যাবাদী কে বিশ্বাস নেই, আসামের মানুষ কেও একই কথা বলে তাদের ভোটে জিতে সরকার তৈরি করে এখন সেই সব গরীব খেটে খাওয়া মানুষ বিপদে পড়েছে। আমরা জানতাম যাদের ভোট দেওয়ার অধিকার আছে তারাই নাগরিক, এখন বলছেন না তারা নাগরিক নয়। ভোট দেওয়ার সময়ে তারা নাগরিক আর যেই সরকার হয়ে গেছে তখন তারা নাগরিক নয়। মিথ্যাবাদীর চোর চিটিংবাজের দল দেশ টাকে বড় বড় ব্যবসায়ী তথা বিদেশিদের কাছে বিক্রি করে দিতে চাইছে। দেশের অর্ধেক মানুষ খেতে পায় না। সেই দেশে কোটি কোটি টাকা খরচ করে দেশের ভোট দেওয়া এবং দীর্ঘ দিন ধরে বাস করা নাগরিক কে বে নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করে তাদের ডিটেনশন নামক নয়া জেল খানায় কয়েদ করে রেখে কাদের ভালো করতে চাইছে। আসুন এসবের বিরুদ্ধে আমরা গর্জে উঠি সঠিক পথে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করি। দেশের সম্পদ নষ্ট করে নয়, ঐ সম্পদ আমার আপনার কারও ব্যক্তিগত নয়।
Anulekhon.blogspot.com
Friday, 20 December 2019
Wednesday, 11 December 2019
ইতিহাসে পড়েছি রাজারা মজা পেতে এ খেলা চালু করে ছিল।এই খেলার নাম মরণ খেলা।
আমি প্রথমেই বলে রাখি খবরটি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে বেড়িয়ে ছিল। এখন তো রাজনৈতিক দল গুলোর প্রচারের একটা বড়ো মাধ্যম ফেসবুক। আমি যতই চোর ডাকাত মিথ্যাবাদী দলের সমর্থক বা চোর কে চোর বলার সাহস নেই, একটু খানি ভাগ পাবার পদ পাবার লোভে যারা এক ফুল থেকে আরেক ফুলে নাম লেখাছেন বা ভোট দিচ্ছেন তারা কেউ আমাকে বন্ধুত্ব অনুরোধ পাঠাবেন না। আজ এই মাত্র একটা পোষ্ট দেখলাম বিজেপির কোনো সমর্থক পোস্ট করেছেন আমি নামটা দিলাম না। সেই একই কথা বাম আমলে নেতাদের অত্যাচার দিদি দূর করবেন বলে ক্ষমতায় এসে সেই একই কাজ করে যাচ্ছেন, অতএব বিজেপি ভালো আরে বিজেপি কী ভালো করছে যে চোর ডাকাত গুলো কে জেলে দেবে বলে ছিল এখন তারা দলের সম্পদ। আর পশিমবঙ্গের বর্তমান শাসক দল সে তো চোর ধাপ্পাবাজ আর চরম মিথ্যাবাদীর দল। বামফ্রন্ট সরকারের শেষের দিকে সি পি আই এম দলে কিছু দাদা এলাকায় এলাকায় দাদা গিরি যে করেনি তা নয়। বর্তমানে তাদের অনেকেই এখন দলে নেই, কারণ বামেরাও এক সময় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে এসেছে, তবে সেটা উন্নয়ন রাস্তায় অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেনি। কোনো নেতা কে বলতে শোনা যায় নি পুলিশ কে বোম মারার কথা কেউ প্রকাশ্যে বলে নি সি পি আই এম কর্মী কে পায়ের তল দিয়ে মেরে দিয়েছি, অমুক তুই কোন ছোট কংগ্রেস নেতা, তোকে মেরে দিতে এক মিনিট লাগবে না। সেই এখন বিজেপির সম্পদ। আপনি বা আপনারা ভাবতে শিখুন বর্তমান শাসক দলের এরকম সম্পদ আরও আছে, কারণ দলনেত্রী বলে ছিলেন তিনি গুণ্ডা কন্ট্রোল করেন। আর এরা এমন নেতা জনগণের সাথে মিশতে পারে না। এতো ভালো কাজ করেছেন যে জনগণের টাকায় সামনে পেছনে পাহারাদার থাকে বা দেহ রক্ষী বাহিনী নিয়ে ঘুরে বেড়ায় জনগণ শত হস্ত ধুরে থাকে অথচ এরা নেতা কোটি কোটি টাকা কমানোর জন্য এরা নেতা আর সেই টাকা থেকে কুকুর কে খেতে দেবার মতো করে এক টুকরো ভাগারের মাংস মদ দিয়ে মানুষ কে যুদ্ধে নামিয়ে দেয় আর নিজে দেহ রক্ষী নিয়ে ঘোরে আর মজা দেখে তোরা সব মারা মারি করে মর। আগে রোমান বা ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে মারণ খেলা বা মরণ খেলা হোত যতক্ষণ না এক জন মরত সে খেলা থামত না। কখনো বাঘের সঙ্গে কখনো মানুষে মানুষে এই লড়াই হোত আর রাজা আর তার সাঙ্গ পাঙ্গরা দেখে মজা পেত, এখনও একই বর্তমান শাসক ও সে কেন্দ্রীয় সরকার হোক আর বর্তমান রাজ্য সরকার এরা একই জনগণ মরলে এদের আনন্দ হয়। সবার সামনে তো আর আনন্দ করতে পারে না। লুকিয়ে করে, আর কেন্দ্রীয় দল বি জে পি সেতো চরম মিথ্যাবাদী এবং বাঙালি জাতি বিদ্বেষী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আর সরাষ্ট্র মন্ত্রী আর আমার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এতো মিথ্যা কথা বলে যে বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলেছেন। সেই রকম একটা বিষয় হলো এই দিদি কে বল আপনি যত বারই ফোন করুন দিদির সাঙ্গ পাঙ্গরা ধরে নানা ক্যুইরি করে গুষ্টির ঠিকানা নিয়ে তবে ছাড়বে। আসলে এই প্রকল্পের মাথা পি কে, কেউ আবার পি কে সিনেমা ভাববেন না। এই পি কে হোল প্রশান্ত কুমার পাঁচ শ কোটি টাকার কর্মী। বাঙালি ভাবুন ভাবতে শিখুন একটা রাজনৈতিক দল কোটি কোটি টাকা খরচ করে লোক পুষেছে ভোটে জেতার জন্য এই টাকা কোথায় থেকে কে দেবে কেউ জানে না। আর এই জন্যই ভোটের পর আলু পিঁয়াজ চাল ডাল সবের দাম বাড়তে বাধ্য। এরপর বণিক কূল দেশ চালাবে আর নেতারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে, আপনার আমার মধ্যে মরণ খেলা চালু করবে মজা নেবার জন্য। এই খেলা এখন এই সব রাজনৈতিক দল বা সংগঠন এমন কৌশল অবলম্বন করতে শুরু করেছে কখনও ধর্মের নামে কখনও ভোটে জেতার নামে। কারণ ছলে বলে কৌশলে যেমন করে হোক এদের ক্ষমতা দখল করতে হবে। আর কোটি কোটি টাকা কাট মানি তোলা আর চুরি করতে হবে ব্যবসায়ী দের থেকে টাকা নিয়ে দেশটা কে দেশের সম্পদ কে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। এরাই এক সময় ইংরেজ দের দালাল ছিল। আমি ভেবে পাই না এখন এই সব চোর চিটিংবাজ জেল ফেরত আসামী কুল কি করে ভোট পায়। মানুষ এদের ভোট দেয় কি করে? আমার তো মনে হয় বাঙালি জাতি আজ আর সেই মানসিকতা নেই, যেটা নিয়ে এক সময় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করত। কারণ বাঙালি জাতি স্বত্ত্বায় এখন বিভিন্ন জাতির সংমিশ্রণ ঘটেছে। বাঙালি জাতি তাই ক্রমশ পিছনে হাঁটছে, অশিক্ষা কুশিক্ষা আজ ভরে গেছে, ভালো মন্দ বোধ বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছে বাঙালি। কোথায় বাঙালির বার ভুঁইয়া, দাপট কোথায় মাষ্টার দা সূর্য সেন, কোথায় রাসবিহারী বসু নেতাজি সুভাষ এরা আমাদের পূর্ব সুরি সে কথা আজ আমাদের জোর করে ভুলিয়ে দিচ্ছে। বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করার জন্য নানা কৌশল নিচ্ছে এই সব ধান্ধা বাজের দল, না হলে বিহারের মানুষ আজ রাজ্যের ভোট জেতার উপদেষ্টা ভাবা যায় ভাবুন ভাবতে শিখুন এখনও সময় আছে। ডিটেশন ক্যাম্প কিন্তু পশ্চিমবঙ্গেও তৈরি করা হয়েছে। ভাবুন এদের কথায় নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মরবেন না আগামী দিনে নিজের বেকার ছেলে ভাই বোন যাতে একটা কাজ পায় ও সম্মান জনক ভাবে কিছু করে খেতে পারে, কলেজে ভর্তির জন্য গুণ্ডা বাহিনী যাতে না বলে দিদি কন্যশ্রীর পঁচিশ হাজার টাকা দিয়েছে ওই টাকা দিয়ে ভর্তি হতে হবে। আর যদি টাকা না মায়ের গহনা বিক্রি করে ওদের দিলে তবেই কলেজে ভর্তি হতে পারবি, যখন তোলা বা ঘুষ নেওয়া শেষ তখন নাটক করতে নেত্রী কলকাতার কোন কলেজ গেটে হাজির হবেন ক্যামেরা নিয়ে যাতে দালাল মিডিয়া বেশি করে দেখাতে পারে।
দিল্লির শাসক দলের কয়েক জন মন্ত্রী দেশ টাকে পৈতৃক সম্পত্তি ভেবে নিয়েছেন।
বাংলার তথা বাঙালি কে বোকা বানানো সহজ। কিছু বাঙালি আছে যারা এখনো পর্যন্ত বুঝতে পারছে না, কী দিন আসছে তাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। দিল্লির কিছু মন্ত্রী নেতা দেশটা কে নিজের পৈতৃক সম্পত্তি ভেবে নিয়েছেন। কাকে দেশে থাকতে দেবে কাকে থাকতে দেবে না সেটা এরা আইন করে ঠিক করে ফেলেছে। আসলে এটা বাঙালি জাতি বিদ্বেষী বিল বা আইন এটাই অনেকেই আছেন বুঝতে চাইছেন না। আজ আসামের বাঙালিরা এই কালা আইনের কবলে পড়ে জ্বলে পুড়ে মরছে, এখানে ক্ষমতাসীন শাসক দল বলছেন আমরা CAB বা NRC করতে দেব না। অনেকেই ভাবছেন এ রাজ্যে NRC হবে না, তাহলে ডিটেশন ক্যাম্প কেন তৈরি করে দিচ্ছেন। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল আর দিল্লির শাসক দল দুই দলের নেতা মন্ত্রী চরম মিথ্যাবাদী, এদের বিশ্বাস করলে ঠকতে হবে, যেমন আসামের মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। অনেক ফেসবুকে লিখেছেন আসামের ব্যাপারটা আলাদা, কোন টাই আলদা নয় আপনাকে বা আপনার পরিবারের কাউকে শরণার্থী হিসেবে ডিটেশন ক্যাম্পে ছ বছর বন্দি করে রাখা হবে। কোন রকম সুযোগ থাকবে না, এবার আপনার বাড়ির লোকজন আবেদন করতে পারবেন ছ বছর পর নাগরিকত্ব পাবার জন্য উপযুক্ত কাগজ পত্র জমা দিতে হবে। যদি না পারেন তবে আপনার সারা জীবন কেটে যাবে ঐ ডিটেশন ক্যাম্পে। বাঙালি ভাব জাতি হিসেবে জেগে ওঠো এই বাঙালি জাতি বিদ্বেষী নেতা মন্ত্রী দের আর পশ্চিমবঙ্গের চোর কাটমানি খোর বাট পার নেতা দের কথা ভুলে নিজের জাতির ক্ষতি করবেন না। এই গুজরাতি আর মারোয়ারির দল চির কাল বাঙালি জাতি বিদ্বেষী এরা মহান নেতা তথা আপনার আমার বাপ জাতির জনক গান্ধী সুভাষ চন্দ্র বসু কে দেখতে পারত না। সেই একই রকম আছে এরা বিভিন্ন রাজ্য থেকে এরা বাঙালি তাড়াতে উঠে পড়ে লেগেছে। অন্যান্য রাজ্যে শুরু করেছে বিশেষ করে উত্তর প্রদেশে, আসামে তো হয়েছে, এরা জানে বাঙালি জাতি যদি এক থাকে তাহলে এরা দেশ টা কে বিক্রি করে দিতে পারবে না। দেশের সম্পদ লুট করে নিজেদের সম্পদ বাড়াতে পারবে না। দেখছেন না আদানি, আম্বানি, নীরব মোদী, ললিত মোদী এরা কারা এদের মধ্যে কয়েক জন দেশ লুটে বিদেশে পালিয়ে গেছে। আমাদের রাজ্যে সারদা নারদা আর কাটমানি আর তোলাবাজ খেলা মেলার উৎসবের সরকার সি বি আই এর ভয়ে এদের সাথে গটআপ গেম খেলছে। রাজীব কুমার কে নিয়ে রাজনীতি, আবার শুরু হবে আগামী দিনে। আসুন আমরা আবার সেই সুদিন ফিরিয়ে আনি চৌঁত্রিশ বছর রাজ্য সরকার পরিচালনার পরও কেউ জেলে যায়নি। CAB নিয়ে আসাম আর ত্রিপুরার আন্দোলন কে দেখে শিখি। আগামী দিনে আরও জোরদার আন্দোলন শুরু করি। তোমাদের সঙ্গে আমিও আছি, আরেকটা ব্যক্তি গত আবেদন যারা আমার এই লেখা পড়ে মনে করবেন ভুল লিখেছি, আমার সন্দেহ তারা সঠিক বাঙালি কিনা। আর অরাজনৈতিক বলে কিছু হয় না।
Sunday, 8 December 2019
GST নিয়ে প্রতারণা করছে ব্যবসায়ীরা।
প্রথম এই কাঁচা বিল নিয়ে লিখি বিদ্যালয়ের পুরস্কার দেওয়ার জন্য উমা ভ্যারাইটি ষ্টোর্স থেকে 84 পিস স্টিলের থালা নেওয়া হয়েছিল। সেদিন সব টাকা দেওয়া হয়নি তাই পাকা বিল হয়নি, আজ যখন টাকা মিটিয়ে পাকা রসিদ করে দিল তখন সেটা 28/11/19 এবং ঐ 3708 টাকার উপর কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের 6%+6%=12% মোট 444 টাকা GST নিয়ে বিল হল 3708 +444 =4152 । আমার মনে একটা প্রশ্ন তাহলে প্রথম যে দাম সে নিয়ে ছিল সেটা কি GST বা ট্যাক্স ছাড়া। এই বিক্রেতা কি GST না দিয়ে ঐ বাসন পত্র নিয়ে এসেছেন, বা GST দিয়ে কিনে এনে বিনা GST +লাভ রেখে বিক্রি করছেন। যদি না হয় তবে এই বিক্রেতা মানুষ কে ঠকিয়ে GST উপর GST নিচ্ছে।
বিষয় টা আমার ঠিক জানা নেই যদি কেউ বলে দেন, কারণ এখন GST কোন জিনিসের উপর লেখা থাকে না GST ছাড়া দাম কত, বা GST নিয়ে দাম কত? মানুষ ঠকাবার দারুণ পণ্থা, বিষয়টি নিয়ে আমার ব্লগে কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন, আশা করি উত্তর পাব। সব শেষে, যারা এই অধমের আবল তাবল লেখা পড়ছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
Friday, 6 December 2019
ঊন্নাও কাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়া চুপ কেন?
যারা হায়দরাবাদ কাণ্ডে অভিযুক্ত চার অপরাধীর বিচার না করে অর্থাৎ প্রমাণ না করে কেবল পুলিশের কথা অনুযায়ী তাদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে দিয়ে ছিলেন, এবং পুলিশ সেই চার জন কে অকূলস্থলে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করার জন্য পুলিশ কে ধন্যবাদ দিচ্ছেন, বলছেন ধর্ষণ করা বা ধর্ষণ করে জ্বালিয়ে দেওয়া ব্যক্তি দের, সঠিক শাস্তি হয়েছে। আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করছি দীর্ঘ দিন ধরে চলা ঊন্নাও কাণ্ডে তারা চুপ, ঊন্নায়ের নির্যাতিতার পুরো পরিবার আইনজীবী এবং নির্যাতিতা কে দুদিন আগে আগুন দিয়ে দেওয়া হয় আজ সে মারা গেছে। একজন ফেসবুক বন্ধু কে এর প্রতিবাদ করতে দেখলাম না, কারণ কি এর পিছনে মহা বাহুবলি আছে না দিল্লির শাসক দলের যোগ আছে বলে। আমার মনে হয় শাস্তি বা বিচার সকলের জন্য সমান হওয়ার কথা। আমি কোন নির্যাতন বা অপরাধ কে সমর্থন করি না, কিন্তু শাস্তি বা বিচার দুরকম হবে কেন? সোশাল মিডিয়ায় যারা সরব ঊন্নাও কাণ্ডে তারা চুপ তাহলে দেখা যাচ্ছে টাকা আর লোকবল থাকলে বিচার ব্যবস্থা কে নিজের ইচ্ছে মত পরিবর্তন করা যাবে। পশ্চিমবঙ্গের পার্কষ্ট্রীট মধ্যম গ্রাম এই মধ্যম গ্রামে মেয়ে টিকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কয়েক দিন আগে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে কোন কেউ ধরা পড়েনি।
এটা
এটা পশ্চিমবঙ্গের মালদহের ঘটনা, পুলিশ নিশ্চয়ই তদন্ত করে সঠিক অপরাধী কে ধরে শাস্তি দেবেন, এই আশা রাখি। আমি কখনোই চাই না কোনো নিরপরাধ মানুষ শাস্তি পাক। মনে আছে ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের কথা তার ফাঁসির আগে পর্যন্ত সে বলে গেছে যে সে অপরাধী নয়। পার্কষ্ট্রীট কাণ্ডেও প্রথমে আসল অপরাধী ধরা পড়ে নি ভুল লোক কে ধরা হয়েছিল। হায়দরাবাদ পুলিশের সে রকম কোন ভুল হয়ে গেল না তো! সোশ্যাল মিডিয়া অনেকেই সমর্থন করে বাহবা দিচ্ছেন আমি এই ভাবে বিচার বা হত্যার পক্ষে সমর্থন করতে পারছি না। আর এই ঘটনার জন্য পুলিশ যদি বাহবা পায় রাষ্ট্র যদি কোন তদন্ত না করে এই পুলিশ অফিসার কে ক্লিনচিট দেয়, তাহলে এর পর আরও বড় বিপদ ধর্ষণ হলে অভিযুক্ত কে না ধরে যাকে খুশি তুলে এনে অপরাধী বলে চালিয়ে দিয়ে, গুলি করে মেরে দেবে, মরবে কিছু গরীব মানুষ। তাই যারা আনন্দ করছে তাদের আরেক বার ভাবতে বলছি।
Thursday, 5 December 2019
টাকার জন্য ক্ষমতা, বা টাকার জোরে ক্ষমতা ভীষণ ক্ষতি কর।
মানুষের জীবন জীবিকা আজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, কত গুলো লোভী স্বার্থ পর মুনাফা খোর চোর গুণ্ডা ক্ষমতা লোভী আজ দেশ এবং এই রাজ্য টা দখল করে বসে আছে। খুনি গুণ্ডা ডাকাত সকলে মিলে আজ দেশ এবং রাজ্য টা কে শোষণ করে যাচ্ছে। জানি না এই সব নেতা মন্ত্রী আর কত টাকা চাই তবে ক্ষমতার লোভ যাবে। কাটমানি লুট মানি তোলা বাজি অনেকে তো টাকার পাহাড় বানিয়ে ফেলেছে, তাদের চৌদ্দ পুরুষ কেন আঠাশ পুরুষ বসে খাবে, আগে ভাঙা ঝড়ঝড়ে মোটরবাইক বা সাইকেল নিয়ে ঘুরত এখন বাড়ির সামনে অনেক দামী চার চাকার গাড়ি। ভাঙা টালির চালা এখন প্রাসাদ বললে কম বলা হবে, এর পরেও লোভ যাচ্ছে না, সাধারণ মানুষ কে ভয় দেখিয়ে, তাদের কাজের জায়গায় গুলো কে ধ্বংস করে দিয়ে জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে বর্তমান শাসক দল। কখনও আধার কার্ড কখনো রেশন কার্ড কখনো ভোটার কার্ড আবার এন আর সি এই নিয়ে সাধারণ মানুষ কে ব্যস্ত করে রাখা। আর ভুরি ভুরি মিথ্যা কথা বলা মুখে বলছে আমি এন আর সি করতে দেব না। অথচ ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করতে জমি দিচ্ছে, ওই অত বড় ক্যাম্প হচ্ছে 110 জন বন্দি রাখতে, সাধারণ মানুষ কে আর কত বোকা বানাবে, বাংলার কিছু যুবক যুবতী এবং কিছু সাধারণ মানুষ মদ আর ভাগারের মাংস খাওয়ার লোভে এবং কাট মানি তোলাবাজির ভাগ পেতে এই সব সমর্থন করে যাচ্ছে। আমার তো মনে এরা সেই ব্রিটিশ শাসনের সময়ের পা চাটার দল। মানুষ না খেয়ে মরছে, কাজ নেই, চাকরির জন্য অনশন করতে হচ্ছে, বেতন পাবার জন্য ধর্ণা বা অনশন করতে হচ্ছে তবুও মানুষ একে ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনছে। কিছু দালাল মিডিয়া এদের কু কীর্তি গুলো কে নানা ভাবে চাপা দিয়ে প্রচার করছে। মানুষের জীবনের সমস্যা গুলো সব অন্ধকারে। আমি বুঝতে পারছি না আর কতো টাকা এবং কত মানুষ মরলে এরা ক্ষমতা থেকে যাবে। মানুষের জীবন জীবিকা বাঁচাতে সত্যিই আজ এখুনি এদের ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়া দরকার। আর কত কোটি টাকা নিজের এ্যাকাউন্টে জমলে তবে এই ক্ষমতার লোভ যাবে। সব মানুষ শেষ হয়ে গেলে টাকার এতো লোভ। আমার তো মনে হচ্ছে এখন পর্যন্ত যত কোটি টাকা করে নিয়েছে তাতে চৌদ্দ পুরুষ নয় আঠাশ পুরুষ বসে খাবে। টাকা তো অনেক জমানো হয়েছে আর কত চাই, সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষমতা থেকে যান। মানুষ কে খেয়ে পড়ে শান্তিতে থাকতে দিন, আবার দশ বছর আগের পশ্চিমবঙ্গ ফিরিয়ে দিন। টাকার জন্য ক্ষমতা দখল করা দরকার ছিল হয়েছে, এবার দয়া করে রেহাই দিন ক্ষমতা ছাড়ুন, আপনার যেমন ভাই ভাইপো দের জন্য কোটি কোটি টাকার প্রয়োজন ছিলো সারা রাজ্যে ওরকম অনেক ভাই ভাইপো রা আজ কোটি কোটি টাকার মালিক আপনার আর্শীবাদে। সাধারণ মানুষ ও বেকার এবং চাকরি জীব প্রত্যেক মানুষের জীবন যাপন আজ দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এর আগে বাম বা কংগ্রেস সরকার পরিচালনা করেছে এত দূর্নীতি এত মন্ত্রী সাংসদ জেল খাটে নি। সারা বিশ্বে বাঙালির মাথা হেঁট হয়ে গেল।আর কেন্দ্রীয় সরকার যিনি আচ্ছা দিন আনবেন বলে বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্ষমতায় এলেন, এখন তিনি পকোড়া ভাজতে বলছেন। আপনি চপ ভাজতে বলছেন সাইকেল সারার দোকান করতে বলছেন মুড়ি ভাজতে বলছেন, একবার ভেবে দেখেছেন কে কিনবে মানুষের কাছে টাকা নেই, কারণ কেন্দ্র আর রাজ্যের করুণায় এই রাজ্যের কর্মী কুল সর্ব নিম্ন দেড় হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে। (মি ডে মিলের রান্না করার কর্মী) অথচ খেলা মেলা উৎসব অনুদান সব করার জন্য টাকা আছে কেবল বেতন দেওয়ার টাকা নেই। দাবি করলেই নানা অত্যাচার, বেতন বাড়ানোর জন্য আর কত দিন অনশন করবে বলুন। ওরা তো ভেবেছ রোজ রোজ না খেয়ে মরার থেকে অনশন করে মরা ভালো। প্রতি দিন যে ভাবে বেকার বাড়ছে, দেশে এখন গত 45 বছরের পর বেকার সংখ্যা বেশি, ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেশি। আর ও কিছু মানুষ কে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী করে বেকার আর ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়াতে চাইছে। আর কতো কোটি টাকার মালিক হলে তবেই ক্ষমতা ছাড়বেন এই সব অর্থ পিপাসু মানুষ গুলো।
Wednesday, 4 December 2019
মেশিন বা যন্ত্র দিয়ে ধান কাটা বিলাসিতা নয় কি!
আমাদের রাজ্য জনসংখ্যার বিচারে মনে হয় ভারতের মধ্য দ্বিতীয়।এই ধান কাটার মেশিন দিয়ে কাজ ভাবতে হবে ভাবতে শিখতে হবে যে রাজ্যে অধিকাংশ মানুষ দিন মুজুরি পেশা। দিন দিনমজুর বাড়ছে। একশ দিনের কাজ এখন প্রায় বন্ধের মুখে। কাজ চাই কাজ নেই, সরকারি চাকরির জন্য অনশন করতে হচ্ছে। বেকার ছেলে তারা কোনো রকমে ধার দেনা করে একটা অটো নয়ত টোট কিনে চালাচ্ছে, কখনও যাত্রী হয় কখনও হয় না। বর্তমানে দেশের সঙ্গে এই রাজ্যে বেকার মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। সেখানে দাঁড়িয়ে যন্ত্র দিয়ে কাজ বিলাসিতা নয় কি? বলবেন আপনি যন্ত্রের বিরোধীতা করছেন, কাজের লোক যখন পাওয়া যায় না, তখন কি হবে? আমি যন্ত্রের বিরোধীতা করছি না, কেবল ভাবতে বলছি, যে রাজ্যে এতো দিন মজুর, এবং দিন দিন বাড়ছে, সে খানে এ রকম ধান কাটার মেশিন দিয়ে কাজ করা কিছু মানুষ কে কাজ থেকে বঞ্চিত করা নয় কি? এ একটা দিক আরেকটা দিক ভাবতে অনুরোধ করছি, এভাবে ধান কাটার ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খড় পাওয়া যায় না, যে গুলো গো খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়, যারা গরু পোষেন তাদের গো খাদ্য যোগার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক গরীব মানুষ খড় দিয়ে ঘরের চাল বা ঘর ছাইতে কাজে লাগান, তারাও দামের জন্য ঘর ছাইতে পারবে না। এ যেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মহেশ গল্প হয়ে যাচ্ছে। গরুর খাবার যোগাতে না পেরে চাল থেকে খড় টেনে দিত, এখন সেই চালেও খড় নেই, তাই আমাদের মতো এই জন বহুল রাজ্যে মেশিন বা যন্ত্রে ধান কাটা মনে হয় বিলাসিতা
Sunday, 1 December 2019
মিডিয়াও আজ মুনাফার শিখরে।
খবরের কাগজ দূর দর্শন আর যে সব সোশাল মিডিয়া বা অন লাইন খবরের কাগজ পত্র চ্যানেল সর্বত্র এসব খবর থাকে না, দেখাও না। ওই সব মিডিয়াতে গরীব মানুষের দাবি চাকরি হীন বেকারের দাবি, নিয়ে যে দল বা যারা প্রতি নিয়ত লড়াই করে চলেছে সে সব খবর ঐ সব মিডিয়াতে স্থান নেই। থাকলেও দূরবীন দিয়ে দেখতে হবে। মানুষের প্রতি দিনের জীবন যন্ত্রণা জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি আর চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যা করা যুবকের খবর, চাকরি তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি হয় নি অনশন করতে বাধ্য হচ্ছেন। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে প্রতি মুহূর্তে আন্দোলনে নামতে হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা নেতা মন্ত্রীরা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। মুনাফা খোর ব্যবসায়ী দের শোষণে জর্জরিত শ্রমিক সমাজ
, জনগণের করের টাকা আজ লুট হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার কৃষক ফসলের দাম না পেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছেন। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি চাকরির মিথ্যা চাকরির মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে বেকার ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলা হচ্ছে। সত্যি যদি চাকরি দিত তাহলে ঐ টাকায় কয়েক বছর বেতন দেওয়া হয়ে যেত। সরকার পরিবর্তনের পর পর মানুষ শুনেছে চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারি, নেতা মন্ত্রী সাংসদ জেল হাজতে গেছে। এসবের পরও ঐ সব মিডিয়াতে চটক দারি প্রচার করে মানুষ কে বিভ্রান্ত করে চোর তোলা বাজি দাঙ্গা বাজের দল যাতে ভোট পায় তার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমি তো বুঝতে পারছি না সাধারণ মানুষ কি করে এই এরকম একটা চোর চিটিংবাজ দল কে ভোট দিয়ে জিতিয়ে দিচ্ছে। একটা দল দিল্লিতে বসে মানুষের নাভিঃশ্বাস তুলে দিয়েছে। আর রাজ্যের কথা নাই বা বললাম চোর চোর চিন্তা গুলো একবার এ দল তো আরেক বার ও করছে। সাধারণ মানুষ কে ভয় দেখিয়ে সামান্য উপহার উপঢৌকন দিয়ে ভোটে নির্বাচিত হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। আজ আমাদের রাজ্যে তথা গোটা দেশে অরাজকতা চলছে। চটক দারি প্রচার করে ঐ মিডিয়া গুলো আরও বিভ্রান্ত করে দিচ্ছে, মানুষের ভালো মন্দ বিচার বোধ হারিয়ে গেছে, মিডিয়ার চটক দার প্রচারে। চোর কে ভোট দিয়ে বসে থাকছে। বাম আমলে এত চোর ছিল না, অনেক তদন্ত কমিশন হোল বাম নেতারা কেউ জেলে গেল না। ওই সব মিডিয়াতে এসব খবর একবারও প্রচার পেল না। সাধারণ মানুষ কে বিভ্রান্ত করে মানুষের দুঃখের কারণ আজ ঐ সব মিডিয়া ও আজ মুনাফার শিখরে।
Subscribe to:
Posts (Atom)
বাঙালি ও বর্তমান ভারত।
(ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...

-
সরস্বতী পুজোর পদ্ধতি, পরপর যা করতে হবে।১)আচমন ২)বিষ্ণু স্মরণ ৩)স্বত্ত্বি বাচন ৪) স্বত্ত্বি সূক্ত ৫) সাক্ষ্য মন্ত্র ৬) বরণ ৭) সংকল্প ৮) স...
-
আমি এর আগে একটি ব্লগে লিখেছি, দুর্গা যষ্টী পূজার মন্ত্র ।এখানে বলি আমি পণ্ডিত নই, বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে, আর দু একজন ব্রাহ্মণের সাথে কাজ ...
-
ছবি টি কীসের বা কোন প্রাণীর নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। মানুষের প্রথম পোষ মানা প্রথম প্রাণী, হয়তো অনেকেই পড়ে বলবেন এবার নতুন কী এতো আমরা স...