যারা হায়দরাবাদ কাণ্ডে অভিযুক্ত চার অপরাধীর বিচার না করে অর্থাৎ প্রমাণ না করে কেবল পুলিশের কথা অনুযায়ী তাদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে দিয়ে ছিলেন, এবং পুলিশ সেই চার জন কে অকূলস্থলে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করার জন্য পুলিশ কে ধন্যবাদ দিচ্ছেন, বলছেন ধর্ষণ করা বা ধর্ষণ করে জ্বালিয়ে দেওয়া ব্যক্তি দের, সঠিক শাস্তি হয়েছে। আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করছি দীর্ঘ দিন ধরে চলা ঊন্নাও কাণ্ডে তারা চুপ, ঊন্নায়ের নির্যাতিতার পুরো পরিবার আইনজীবী এবং নির্যাতিতা কে দুদিন আগে আগুন দিয়ে দেওয়া হয় আজ সে মারা গেছে। একজন ফেসবুক বন্ধু কে এর প্রতিবাদ করতে দেখলাম না, কারণ কি এর পিছনে মহা বাহুবলি আছে না দিল্লির শাসক দলের যোগ আছে বলে। আমার মনে হয় শাস্তি বা বিচার সকলের জন্য সমান হওয়ার কথা। আমি কোন নির্যাতন বা অপরাধ কে সমর্থন করি না, কিন্তু শাস্তি বা বিচার দুরকম হবে কেন? সোশাল মিডিয়ায় যারা সরব ঊন্নাও কাণ্ডে তারা চুপ তাহলে দেখা যাচ্ছে টাকা আর লোকবল থাকলে বিচার ব্যবস্থা কে নিজের ইচ্ছে মত পরিবর্তন করা যাবে। পশ্চিমবঙ্গের পার্কষ্ট্রীট মধ্যম গ্রাম এই মধ্যম গ্রামে মেয়ে টিকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কয়েক দিন আগে আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে কোন কেউ ধরা পড়েনি।
এটা
এটা পশ্চিমবঙ্গের মালদহের ঘটনা, পুলিশ নিশ্চয়ই তদন্ত করে সঠিক অপরাধী কে ধরে শাস্তি দেবেন, এই আশা রাখি। আমি কখনোই চাই না কোনো নিরপরাধ মানুষ শাস্তি পাক। মনে আছে ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের কথা তার ফাঁসির আগে পর্যন্ত সে বলে গেছে যে সে অপরাধী নয়। পার্কষ্ট্রীট কাণ্ডেও প্রথমে আসল অপরাধী ধরা পড়ে নি ভুল লোক কে ধরা হয়েছিল। হায়দরাবাদ পুলিশের সে রকম কোন ভুল হয়ে গেল না তো! সোশ্যাল মিডিয়া অনেকেই সমর্থন করে বাহবা দিচ্ছেন আমি এই ভাবে বিচার বা হত্যার পক্ষে সমর্থন করতে পারছি না। আর এই ঘটনার জন্য পুলিশ যদি বাহবা পায় রাষ্ট্র যদি কোন তদন্ত না করে এই পুলিশ অফিসার কে ক্লিনচিট দেয়, তাহলে এর পর আরও বড় বিপদ ধর্ষণ হলে অভিযুক্ত কে না ধরে যাকে খুশি তুলে এনে অপরাধী বলে চালিয়ে দিয়ে, গুলি করে মেরে দেবে, মরবে কিছু গরীব মানুষ। তাই যারা আনন্দ করছে তাদের আরেক বার ভাবতে বলছি।
No comments:
Post a Comment