Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 11 December 2019

ইতিহাসে পড়েছি রাজারা মজা পেতে এ খেলা চালু করে ছিল।এই খেলার নাম মরণ খেলা।

আমি প্রথমেই বলে রাখি খবরটি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে বেড়িয়ে ছিল। এখন তো রাজনৈতিক দল গুলোর প্রচারের একটা বড়ো মাধ্যম ফেসবুক। আমি যতই চোর ডাকাত মিথ্যাবাদী দলের সমর্থক বা চোর কে চোর বলার সাহস নেই, একটু খানি ভাগ পাবার পদ পাবার লোভে যারা এক ফুল থেকে আরেক ফুলে নাম লেখাছেন বা ভোট দিচ্ছেন তারা কেউ আমাকে বন্ধুত্ব অনুরোধ পাঠাবেন না। আজ এই মাত্র একটা পোষ্ট দেখলাম বিজেপির কোনো সমর্থক পোস্ট করেছেন আমি নামটা দিলাম না। সেই একই কথা বাম আমলে নেতাদের অত্যাচার দিদি দূর করবেন বলে ক্ষমতায় এসে সেই একই কাজ করে যাচ্ছেন, অতএব বিজেপি ভালো আরে বিজেপি কী ভালো করছে যে চোর ডাকাত গুলো কে জেলে দেবে বলে ছিল এখন তারা দলের সম্পদ। আর পশিমবঙ্গের বর্তমান শাসক দল সে তো চোর ধাপ্পাবাজ আর চরম মিথ্যাবাদীর দল। বামফ্রন্ট সরকারের শেষের দিকে সি পি আই এম দলে কিছু দাদা এলাকায় এলাকায় দাদা গিরি যে করেনি তা নয়। বর্তমানে তাদের অনেকেই এখন দলে নেই, কারণ বামেরাও এক সময় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে এসেছে, তবে সেটা উন্নয়ন রাস্তায় অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেনি। কোনো নেতা কে বলতে শোনা যায় নি পুলিশ কে বোম মারার কথা কেউ প্রকাশ্যে বলে নি সি পি আই এম কর্মী কে পায়ের তল দিয়ে মেরে দিয়েছি, অমুক তুই কোন ছোট কংগ্রেস নেতা, তোকে মেরে দিতে এক মিনিট লাগবে না। সেই এখন বিজেপির সম্পদ। আপনি বা আপনারা ভাবতে শিখুন বর্তমান শাসক দলের এরকম সম্পদ আরও আছে, কারণ দলনেত্রী বলে ছিলেন তিনি গুণ্ডা কন্ট্রোল করেন। আর এরা এমন নেতা জনগণের সাথে মিশতে পারে না। এতো ভালো কাজ করেছেন যে জনগণের টাকায় সামনে পেছনে পাহারাদার থাকে বা দেহ রক্ষী বাহিনী নিয়ে ঘুরে বেড়ায় জনগণ শত হস্ত ধুরে থাকে অথচ এরা নেতা কোটি কোটি টাকা কমানোর জন্য এরা নেতা আর সেই টাকা থেকে কুকুর কে খেতে দেবার মতো করে এক টুকরো ভাগারের মাংস মদ দিয়ে মানুষ কে যুদ্ধে নামিয়ে দেয় আর নিজে দেহ রক্ষী নিয়ে ঘোরে আর মজা দেখে তোরা সব মারা মারি করে মর। আগে রোমান বা ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে মারণ খেলা বা মরণ খেলা হোত যতক্ষণ না এক জন মরত সে খেলা থামত না। কখনো বাঘের সঙ্গে কখনো মানুষে মানুষে এই লড়াই হোত আর রাজা আর তার সাঙ্গ পাঙ্গরা দেখে মজা পেত, এখনও একই বর্তমান শাসক ও সে কেন্দ্রীয় সরকার হোক আর বর্তমান রাজ্য সরকার এরা একই জনগণ মরলে এদের আনন্দ হয়। সবার সামনে তো আর আনন্দ করতে পারে না। লুকিয়ে করে, আর কেন্দ্রীয় দল বি জে পি সেতো চরম মিথ্যাবাদী এবং বাঙালি জাতি বিদ্বেষী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আর সরাষ্ট্র মন্ত্রী আর আমার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এতো মিথ্যা কথা বলে যে বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলেছেন। সেই রকম একটা বিষয় হলো এই দিদি কে বল আপনি যত বারই ফোন করুন দিদির সাঙ্গ পাঙ্গরা ধরে নানা ক্যুইরি করে গুষ্টির ঠিকানা নিয়ে তবে ছাড়বে। আসলে এই প্রকল্পের মাথা পি কে, কেউ আবার পি কে সিনেমা ভাববেন না। এই পি কে হোল প্রশান্ত কুমার পাঁচ শ কোটি টাকার কর্মী। বাঙালি ভাবুন ভাবতে শিখুন একটা রাজনৈতিক দল কোটি কোটি টাকা খরচ করে লোক পুষেছে ভোটে জেতার জন্য এই টাকা কোথায় থেকে কে দেবে কেউ জানে না। আর এই জন্যই ভোটের পর আলু পিঁয়াজ চাল ডাল সবের দাম বাড়তে বাধ্য। এরপর বণিক কূল দেশ চালাবে আর নেতারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে, আপনার আমার মধ্যে মরণ খেলা চালু করবে মজা নেবার জন্য। এই খেলা এখন এই সব রাজনৈতিক দল বা সংগঠন এমন কৌশল অবলম্বন করতে শুরু করেছে কখনও ধর্মের নামে কখনও ভোটে জেতার নামে। কারণ ছলে বলে কৌশলে যেমন করে হোক এদের ক্ষমতা দখল করতে হবে। আর কোটি কোটি টাকা কাট মানি তোলা আর চুরি করতে হবে ব্যবসায়ী দের থেকে টাকা নিয়ে দেশটা কে দেশের সম্পদ কে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। এরাই এক সময় ইংরেজ দের দালাল ছিল। আমি ভেবে পাই না এখন এই সব চোর চিটিংবাজ জেল ফেরত আসামী কুল কি করে ভোট পায়। মানুষ এদের ভোট দেয় কি করে? আমার তো মনে হয় বাঙালি জাতি আজ আর সেই মানসিকতা নেই, যেটা নিয়ে এক সময় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করত। কারণ বাঙালি জাতি স্বত্ত্বায় এখন বিভিন্ন জাতির সংমিশ্রণ ঘটেছে। বাঙালি জাতি তাই ক্রমশ পিছনে হাঁটছে, অশিক্ষা কুশিক্ষা আজ ভরে গেছে, ভালো মন্দ বোধ বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছে বাঙালি। কোথায় বাঙালির বার ভুঁইয়া, দাপট কোথায় মাষ্টার দা সূর্য সেন, কোথায় রাসবিহারী বসু নেতাজি সুভাষ এরা আমাদের পূর্ব সুরি সে কথা আজ আমাদের জোর করে ভুলিয়ে দিচ্ছে। বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করার জন্য নানা কৌশল নিচ্ছে এই সব ধান্ধা বাজের দল, না হলে বিহারের মানুষ আজ রাজ্যের ভোট জেতার উপদেষ্টা ভাবা যায় ভাবুন ভাবতে শিখুন এখনও সময় আছে। ডিটেশন ক্যাম্প কিন্তু পশ্চিমবঙ্গেও তৈরি করা হয়েছে। ভাবুন এদের কথায় নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মরবেন না আগামী দিনে নিজের বেকার ছেলে ভাই বোন যাতে একটা কাজ পায় ও সম্মান জনক ভাবে কিছু করে খেতে পারে, কলেজে ভর্তির জন্য গুণ্ডা বাহিনী যাতে না বলে দিদি কন্যশ্রীর পঁচিশ হাজার টাকা দিয়েছে ওই টাকা দিয়ে ভর্তি হতে হবে। আর যদি টাকা না মায়ের গহনা বিক্রি করে ওদের দিলে তবেই কলেজে ভর্তি হতে পারবি, যখন তোলা বা ঘুষ নেওয়া শেষ তখন নাটক করতে নেত্রী কলকাতার কোন কলেজ গেটে হাজির হবেন ক্যামেরা নিয়ে যাতে দালাল মিডিয়া বেশি করে দেখাতে পারে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...