Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 11 December 2019

দিল্লির শাসক দলের কয়েক জন মন্ত্রী দেশ টাকে পৈতৃক সম্পত্তি ভেবে নিয়েছেন।

বাংলার তথা বাঙালি কে বোকা বানানো সহজ। কিছু বাঙালি আছে যারা এখনো পর্যন্ত বুঝতে পারছে না, কী দিন আসছে তাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। দিল্লির কিছু মন্ত্রী নেতা দেশটা কে নিজের পৈতৃক সম্পত্তি ভেবে নিয়েছেন। কাকে দেশে থাকতে দেবে কাকে থাকতে দেবে না সেটা এরা আইন করে ঠিক করে ফেলেছে। আসলে এটা বাঙালি জাতি বিদ্বেষী বিল বা আইন এটাই অনেকেই আছেন বুঝতে চাইছেন না। আজ আসামের বাঙালিরা এই কালা আইনের কবলে পড়ে জ্বলে পুড়ে মরছে, এখানে ক্ষমতাসীন শাসক দল বলছেন আমরা CAB বা NRC করতে দেব না। অনেকেই ভাবছেন এ রাজ্যে NRC হবে না, তাহলে ডিটেশন ক্যাম্প কেন তৈরি করে দিচ্ছেন। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল আর দিল্লির শাসক দল দুই দলের নেতা মন্ত্রী চরম মিথ্যাবাদী, এদের বিশ্বাস করলে ঠকতে হবে, যেমন আসামের মানুষ আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। অনেক ফেসবুকে লিখেছেন আসামের ব্যাপারটা আলাদা, কোন টাই আলদা নয় আপনাকে বা আপনার পরিবারের কাউকে শরণার্থী হিসেবে ডিটেশন ক্যাম্পে ছ বছর বন্দি করে রাখা হবে। কোন রকম সুযোগ থাকবে না, এবার আপনার বাড়ির লোকজন আবেদন করতে পারবেন ছ বছর পর নাগরিকত্ব পাবার জন্য উপযুক্ত কাগজ পত্র জমা দিতে হবে। যদি না পারেন তবে আপনার সারা জীবন কেটে যাবে ঐ ডিটেশন ক্যাম্পে। বাঙালি ভাব জাতি হিসেবে জেগে ওঠো এই বাঙালি জাতি বিদ্বেষী নেতা মন্ত্রী দের আর পশ্চিমবঙ্গের চোর কাটমানি খোর বাট পার নেতা দের কথা ভুলে নিজের জাতির ক্ষতি করবেন না। এই গুজরাতি আর মারোয়ারির দল চির কাল বাঙালি জাতি বিদ্বেষী এরা মহান নেতা তথা আপনার আমার বাপ জাতির জনক গান্ধী সুভাষ চন্দ্র বসু কে দেখতে পারত না। সেই একই রকম আছে এরা বিভিন্ন রাজ্য থেকে এরা বাঙালি তাড়াতে উঠে পড়ে লেগেছে। অন্যান্য রাজ্যে শুরু করেছে বিশেষ করে উত্তর প্রদেশে, আসামে তো হয়েছে, এরা জানে বাঙালি জাতি যদি এক থাকে তাহলে এরা দেশ টা কে বিক্রি করে দিতে পারবে না। দেশের সম্পদ লুট করে নিজেদের সম্পদ বাড়াতে পারবে না। দেখছেন না আদানি, আম্বানি, নীরব মোদী, ললিত মোদী এরা কারা এদের মধ্যে কয়েক জন দেশ লুটে বিদেশে পালিয়ে গেছে। আমাদের রাজ্যে সারদা নারদা আর কাটমানি আর তোলাবাজ খেলা মেলার উৎসবের সরকার সি বি আই এর ভয়ে এদের সাথে গটআপ গেম খেলছে। রাজীব কুমার কে নিয়ে রাজনীতি, আবার শুরু হবে আগামী দিনে। আসুন আমরা আবার সেই সুদিন ফিরিয়ে আনি চৌঁত্রিশ বছর রাজ্য সরকার পরিচালনার পরও কেউ জেলে যায়নি। CAB নিয়ে আসাম আর ত্রিপুরার আন্দোলন কে দেখে শিখি। আগামী দিনে আরও জোরদার আন্দোলন শুরু করি। তোমাদের সঙ্গে আমিও আছি, আরেকটা ব্যক্তি গত আবেদন যারা আমার এই লেখা পড়ে মনে করবেন ভুল লিখেছি, আমার সন্দেহ তারা সঠিক বাঙালি কিনা। আর অরাজনৈতিক বলে কিছু হয় না।


No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...