Anulekhon.blogspot.com

Wednesday, 30 June 2021

যে দিকে তাকিয়ে দেখি সেখানেই ভুয়ো বা ফেক।


 পশ্চিমবঙ্গ এখন ভুয়ো বা ফেকের রাজত্ব, যে দিকে তাকিয়ে দেখি সেখানেই ভুয়ো বা ফেক । যদিও এই ভুয়ো বা ফেক আজ থেকে শুরু নয়। সেই ২০০৬ সাল থেকে চলে আসা একটা নিয়ম হয়ে গেছে, একের পর এক মিথ্যা কথা কে বারবার বলে সেটা কে সত্যিই করা এই রাজ্যে বারবার ফিরে আসছে। সিঙ্গুর থেকে ন্যানো তাড়াতে পর্দার আড়ালে খেয়ে ছাব্বিশ দিনের অনশন। আবার নন্দীগ্রামে চটি পরা পুলিশ, বা ফেক পুলিশ পাঠান এসব, ফেক মাওবাদী তৈরি করে রাজ্যে মাওবাদী হাজির করা। আরও কতকি আছে, বাংলার ঐতিহ্য এবং ইতিহাস কে পাল্টে দেবার জন্য এই সব কাণ্ড। আর বর্তমানে তো ফেক ভুয়োর রাজত্ব চলছে আর কোথায় কে ভুয়ো আছে কে জানে।



 






এই সব অন লাইন সংবাদ পত্র থেকে নেওয়া ছবি এবং খবর গুলো দেখে তো মনে হচ্ছে এ বঙ্গে আর কোন কিছুই আসল নেই সব ফেক বা ভুয়ো। 

আরও দুটি খবরের ছবি দিলাম তবে এগুলো নতুন না এগুলো হামেশাই ঘটেছে এবং ঘটবেও কারণ একটাই সরকারি উদাসীনতা। 






কেন সরকার উদাসীনতা বললাম কারণ এগুলো সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত করলে বছরের পর বছর লেগে যায় আসতে। কারণ একটাই অফিসে লোক নেই, আবার লোক থাকলেও কাজ হয় না। 

Tuesday, 29 June 2021

করোনা ভাইরাস হলে কি হবে তার বুদ্ধি আছে।



 করোনা ভাইরাস টা মোটেও খুব খারাপ নয়, বুঝে শুনে আসে। সে যেমন স্কুল তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেই বাচ্চা দের ধরবে। আবার ট্রেন চলাচল করলে বিশেষ করে গরীব মানুষ ট্রেন চাপলেই ধরবে। এটাও ঠিক জাল ভ্যাকসিন মানে পাউডার গোলা জলই হোক আর অন্য কিছু শাসক দলের লোক ইঞ্জেক্ট করে থাকে তাহলে সে ধরবে না। করোনা কেও অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত করা গেছে এটাই গুরু বল। কেবল যদি গরীব মানুষের আয় উপায়ের জন্য অনুপ্রাণিত করা যেত এবং একটু জিনিস পত্র দাম কমানোর জন্য অনুপ্রাণিত করা যেত তাহলে খুব ভালো হত। এখন যা পরিস্থিতি না খেয়ে মরার থেকে করোনায় মরা ভালো এই অবস্থা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ গুলোর কিছু করার নেই করোনা অনুপ্রাণিত করতে পারল না। না হলে ট্রেন চলাচল শুরু করা যেত কি আর করা যাবে না খেয়ে মর, না হলে জালি ভ্যাকসিন নিয়ে মরো না শাসক দলের দাদাদের তেল মাখিয়ে যদি কিছু যোগার করতে পার দেখ সে জাল হোক আর হোক, চুরি করা হোক বা বাটপারি ৭৫% এর হোক বা ২৫% একটা কিছু হলেই চলবে। এই করোনার কিন্তু রোস বোধ আছে বলেছে উপনির্বাচন হোক আমি আটকাব না। আমি সেই পূজো বাদ দিয়ে যাব, তার আগে তৃতীয় ঢেউ দেব না, দ্বিতীয় থেকে ক্রমে কমে যাব। অনুপ্রেরণার পূজো ভালো হবে। যাতে এবার পুজোর সরকারি চাঁদাটা ৫০ হাজারের বদলে ১ লক্ষ টাকা হতে পারে। পুজোর আগে করোনা আসবে না আমি বলছি না এই অনলাইন সংবাদ পত্র বলছে।


কী বিশ্বাস হল করোনার বুদ্ধি আছে কিনা? করোনা জানে সামনে উপনির্বাচন করতে হবে এবং আরও কত গুলো রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন আছে, এবং বাংলার বড়ো উৎসব দুর্গা পুজো আছে, সরকারি চাঁদা দেওয়ার ব্যাপার আছে। আমি চাই খবরটা সত্যি হোক। খুব ভালো খবর তাই না। 


Sunday, 27 June 2021

লক ডাউনে স্কুল বন্ধ শিক্ষক কুল কে কি দায়ী করা যায়!

 


আজ প্রায় ষোল মাস সমস্ত রকম সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কারণ করোনা ভাইরাস, সরকার লক ডাউন ঘোষণা করেন এবং লক ডাউনের পর সব আনলক হয় কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাদে। এমনকি পড়ানোর কোন গাইড লাইন ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ কারন করোনা ভাইরাস বলেছে শিশুদের মেলা যাওয়া অনুষ্ঠান বাড়িতে যাওয়া একসাথে খেলা করা মোবাইল গেম খেলা সব কিছু করতে পারে কিন্তু বিদ্যালয় খুলে দিলেই আমি ধরব।

আসলে সরকার আদৌ চান শিশুরা কিছু শিখুক না, তাহলে নিশ্চয়ই একটি পরিকল্পনা করে বিদ্যালয় খোলা যেত, শিক্ষকরা বাড়িতে বসে বেতন নিত না। আমার মনে হয় না সব শিক্ষক বাড়িতে বসে কাজ না করে না পড়িয়ে বেতন চান। এমন অনেক শিক্ষক আছেন যারা এই লক ডাউনেও বিভিন্ন ভাবে ছাত্র ছাত্রী দের কিছু হলেও পাঠ দানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হতো তারা সংখ্যায় কম, আমি জানি এই রাজ্যে কয়েক হাজার শিক্ষক প্রথম আন লক থেকেই দাবি করে আসছেন কোভিড বিধি মেনে বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক। শিক্ষক কে শিক্ষা অঙ্গনে শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়া হোক, কিন্তু কে শোনে কার কথা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এই যে সব শিক্ষক কোভিড বিধি মেনে স্কুল খুলে দিতে বলছেন, তাদের কথা শোনার মত লোক নেই এবং এই সরকারের মন নেই। যেমন দেশের সরকার তেমন রাজ্যের সরকার শিক্ষা নিয়ে কোন কথা তারা শুনতে রাজি নন। এই ভাবে চলতে থাকলে গ্রামের অনেক বিদ্যালয় উঠে যাবে ছাত্র থাকবে না। বেসরকারী বিদ্যালয়ের রমরমা বাড়ব। যিনি ফেসবুকে নারী কথা নামক পেজে এই টা পোস্ট করেছেন তিনি একবার সরকারের কাছে দাবি করুন বিদ্যালয় খুলে দিতে। আমি জানি না যিনি পোস্ট করেছেন যারা সমর্থন করেছেন, তার কোন বাচ্চা বিদ্যালয়ে পড়ে কিনা যদি পড়ে তবে খোলার পর নিয়মিত সে যেন বিদ্যালয়ে আসে।



যারা এই পোস্ট করছেন বা লাইক কমেন্টে এই পোস্ট কে সাধুবাদ দিয়ে সমর্থন করে যাচ্ছেন। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন লকডাউন স্কুল বন্ধ সব এই সরকারের আমলে ঘটছে বা ঘটে চলেছে, আপনারা তো সুযোগ পেলেন সরকার বদল করার করলেন না কেন? দোষটা কী শিক্ষকের আপনার পোস্ট পড়ে মনে হয় দোষ শিক্ষকের, আপনাদের কাছে বাম ভালো নয় কেন্দ্রের দাদা রাজ্যের দিদি ভালো তাদের ভোট দিয়ে জয়ি করবেন আর আশা করবেন সব এরা পাল্টে দেবে। আপনি বা আপনারা চান না পরিস্থিতি বদলে যাক, মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক, নিজের দোষ টা অপরের উপর চাপিয়ে মজা পাচ্ছেন। 


আরেকটা কথা না বলে পারছি না, যিনি বা যারা শিক্ষক দের বেতন বন্ধ করে দিতে বলছেন বা অর্ধেক করে দিতে বলছেন তাদের একটা খবর দিয়ে রাখি আবার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে নিশ্চয়ই আপনাদের মধ্যে কেউ আবেদন করবেন মনে করুন শিক্ষক হয়ে গেলেন। বিদ্যালয়ে গিয়ে কেবল মোবাইল ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন, তখন ঠিক এই দাবি অন্য কেউ করল সহ্য করতে পারবেন তো, না ঐ যে শিক্ষক দের বেতন বাড়াতে উস্তি নামক শিক্ষক দের মত রাস্তায় ধর্ণা দেবেন আর বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী দের পড়ানোর কথা ভুলে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকবেন আর এই লক ডাউনে ছাত্র ছাত্রী বই এর সাথে সর্ম্পক রাখতে একটু ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হলে সরকারের আদেশ খুঁজবেন বলবেন লকডাউন ছুটির আদেশ আছে পড়ানোর আদেশ তো আমাকে দেয় নি কেন হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপে থাকব। তাই বলছি অপরের বেতন বন্ধের দাবিতে সরব না হয়ে, সরকার যাতে সুস্থ পরিকল্পনা করে কোভিড বিধি মেনে বিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যবস্থা করে সেই দাবি করুন। শিক্ষাঙ্গন শিশু দের ফিরিয়ে দেওয়া হোক এটা হোক আমাদের দাবি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।

Friday, 25 June 2021

চুরি ডাকাতি তে বাধা পেলে, চোর ডাকাতেরা মানুষ মারে।


প্রথম এই খবর পড়লাম, তাতে আমি অবাক হই নি অবশ্যই কারণ ইনি ঐ চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী দলের সাংসদ। ইনি সমর্থন করেন মানে বেশি করে চুরি করতে উৎসাহিত করেন। চোরের দলে থাকা মানেই তাকে চুরি করতে উৎসাহ দেওয়া এবং চুরি কে সমর্থন করা। কিন্তু যে খবর টি করা হয়েছে তাতে আমিও আতঙ্কিত কারণ গত ২ /৬/২১ হুগলি জেলার সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত বারুইপাড়া পলতাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের বারুইপাড়া রাখাল বিদ্যাপীঠে এই রকম একটি ক্যাম্পে আমিও কোভ্যাকসিন নিয়ে এসেছি। আমার কাছে ঐ রকম একটা কাগজ আছে, ৩/৬/২১ তারিখে একটি ম্যাসেজ পেয়েছি কিন্তু কোন সার্টিফিকেট আসেনি। জানা নেই এরা কী শরীরে ইঞ্জেক্ট করে দিল। প্রথমে তো ফিরিয়ে দিয়ে ছিল তার পর আবার যাওয়ার পর দুই শাসক দলের ছোট নেতা নিজেদের মধ্যে কি সব আলোচনা করে নিয়ে তারপর আমার ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হল। জানা নেই কি হয়েছে এখন পর্যন্ত সার্টিফিকেট আসেনি, আর এখন অন লাইন সংবাদ পত্র বা অফ লাইন সংবাদ পত্র থেকে যা খবর পাচ্ছি তাতে একটা ভয় কাজ করতে শুরু করেছে। অন লাইন সংবাদ পত্র থেকে নেওয়া আরও কিছু ছবি এখানে দিলাম শিরোনাম গুলো দেখুন তাহলেই বোঝা যাবে।






আমাদের মত সাধারণ মানুষের জীবনের কি কোন দাম নেই এই সব চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী দলের কাছে। সাধারণ মানুষ তো নাকি ঢেলে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে তার পরও তাদের জীবন নিয়ে এই খেলা কেন? কী বলবেন চুরি এবং এই চিটিংবাজির তদন্ত চলছে, কে তদন্ত করছে সেই আরেক জন চোর বা ডাকাত আর শাস্তি সে তো স্বপ্ন। কারণ বিচার এদেশে নেই, বিচার ব্যবস্থা এই সব চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী ধাপ্পাবাজ দের দখলে যা বলে দেবেন সেটাই রায় হবে এবং সেই রকম শাস্তি অর্থাৎ চোরের ইচ্ছা অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা।মানুষের জীবন নিয়ে ছেলে খেলা, এটা পশ্চিমের কোন দেশ হলে মেয়র হোক আর বড়ো অফিসার হোক এতখন জেলে থাকত। আর পশ্চিমবঙ্গে এই চোরে দের কাছে মানুষের জীবনের কোন দাম নেই একেতো কোভিড19 আতঙ্ক, আর এর উপর লক ডাউন মানে গন পরিবহণ আর স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা। খেটে খাওয়া মানুষের রুটি রুজি বন্ধ, কর্ম হীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, অভাবে অনেকেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। এত সব করেও এই চোর ডাকাত চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী দের আশা মিটছে না কারণ একটাই মানুষ যত অশিক্ষিত হবে মদ, ভাগারের মাংস খেয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মরবে এবং ভিক্ষার লোভে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়ে আসবে এখন তো আবার এমন হয়েছে ভোট দিতে পারেন না, ভোট না হলেও জয় কেউ আটকাতে পারে না। বাঙালির এতটা অধঃপতন, ভাবা যায় না। আমরা সেই বাঙালি আছি তো নিজের বিবেকের কাছে একবার প্রশ্ন করে দেখুন না কি উত্তর মেলে। মনে হচ্ছে মানুষের মত দেখতে কত গুলো পশু আমরা ছিঃ বাঙালি ছিঃ। 

Thursday, 24 June 2021

ছোট চোর কে পুলিশ ধরে, বড়ো চোর হলে থাকে ঘরে।

 

ছবি খবর সব অন লাইন সংবাদ পত্র আনন্দ বাজার পত্রিকা থেকে নেওয়া ।

খবর পড়ে যা বুঝলাম ছেলেটি ছোট থেকেই চুরি কে পেশা করে তুলেছে। লেখা পড়া জানা শিক্ষিত ছেলে খবর অনুযায়ী এম এ পাশ। এখন কার দিনে এই ছোট খাটো চুরি করে কেউ ধরা পরে। চুরির পাঠশালায় ভর্তি হয় নি, তাই এই ছোট চুরি ডাকাতি করতে গেছে, এসব চুরি করে বা ডাকাতি করে কত টাকা পাবি সব থেকে বেশি হলে মানে যদি ব্যাঙ্ক লুট করে থাকিস তাহলে কোটি টাকা, এর থেকে বেশি পারবি না। কিন্তু চোরের পাঠশালায় নাম লেখালে ৭৫% ভাগ পেতিস, কেবল ২৫% দিতে হতো, তাহলেই কেল্লা ফতে কে ধরে পুলিশ জামাই আদর করে ডেকে নিয়ে চেয়ারম্যান বানিয়ে দিত, নিদেন পক্ষে পঞ্চায়েত সদস্য হলেও আজ ধরা পরার ভয় ছিল না। কত টাকা কত প্রকল্প, একবার গিয়ে চোরের পাঠশালায় একটা চেয়ার দখল করে বসে যাওয়া। আচ্ছা আচ্ছা শিক্ষিত চোর আছে, কল্পনা করতে পারা যায় না। কীভাবে চুরি করতে হয় না জেনে এরকম ছোট চোর হয়, পাঠশালা থাকতে। আগে ছিল চিটফাণ্ড এখন তো, সব চিট ফাণ্ড বন্ধ সব কর্মকর্তা জেলে, এখন এই কারণে সব ধরণের শ্রী আছে সাথী আছে তার পর একশ দিনের কাজ আছে, মারা গেলে টাকা, আবার এখন তো ভ্যাকসিন যুক্ত হয়েছে। এরকম ছোট খাটো চুরি করে জেলে যাওয়া মোটেই ভালো না, বড়ো বড়ো চুরি কোটি কোটি টাকা তাহলে পুলিশ কী সি বি আই থেকে যেই ধরুক জেলে যেতে হবে না, খালি একটু অভিনয় করতে হবে হাঁপানির দেখবি হাসপাতালে যত্ন কাকে বলে রাজার হালে রাখবে মিডিয়া হেভিওয়েট বানিয়ে ছেড়ে দেবে, চ্যালা চামুণ্ডা ভরে যাবে কেবল চুরির টাকা ঐ যে ৭৫% ওখান থেকে একটু ২০ টাকার পাউচ এবং ভাগারের মাংস খাইয়ে দিলে আর যায় কোথায়। চার পাশে চ্যালা চামুণ্ডা মাছির মত ভনভন করবে, তারপরে বিধায়ক, মানুষ নাচতে নাচতে ভোট দিয়ে আসবে, বিডিও পায়ে হাত দিয়ে পারলে সটাঙ্গে প্রণাম করে পা চেটে দেবে। আদালত বলবে গৃহ বন্দি থাকবে জেলে যেতে হবে না মজাই মজা, কি ভুল করলি বল দেখি ছোট হয়ে! 

Sunday, 20 June 2021

Where is the Human RightsCommission? Where is humanity?

 Today is World Refugee Day. World Refugee Day will be observed on 20th June every year as decided by the United Nations General Assembly on 4th December 2000.



 Due to civil war or other reasons in different countries of the world, people are constantly forced to cross the borders of their own country and take refuge in other countries to save their lives.  Children and old women are risking their lives to live in a healthy way.  The sea river is not an obstacle for them, now there are about 75 in the world.  3 million refugees are living or taking refuge in different countries.  About 45% of Syrians are refugees living in other countries in search of survival.  The largest refugee population is 32,9000 in a place called Dadayab on the outskirts of Kenya (Daadaab).  Currently, Rohingya refugees from Arakan, Myanmar are living in different parts of Bangladesh and India.  The government of our country is now forcibly evicting Bengalis by setting up refugee camps under the name of NRC.  Assam is an example of 19 lakh Bengalis today without homes, they have been identified as foreigners.  The NRC has now started in different states again some people will be refugees, saying citizenship will be given.  Except for the people of Islam, there is no hell in Assam for almost ten years now. Nineteen lakh people have been kept like animals in a few camps.  The present government does not recognize that they have the right to survive.  Or they cry for the people of the patriotic country, I think the people of the forest will be ashamed to say their people.  The ruler is only sitting to plunder the wealth of the country for the rich.  Ordinary poor people are the only people who vote, now it is better to be ridiculed in the name of voting.  Power can be seized and plundered in any way possible.  If the poor people do more, there are police, there is army, beat and imprison big government officials, the justice system is now a farce, if there is no money, there will be no justice, hanging, the least punishment is life imprisonment.  



This punishment is not only for the poor, no matter how much you steal, do not rob the people of their money, tell them to kill or be a murderer, if the leader is a minister, the officer will bow with his hands and feet.  The poor and the weak have no right to live, two kinds of people have the right to live, one is rich or the other has strength and has strength, arm strength and if the leader is a minister, whatever the police force will provide security.  In this system of governance, people do not have the right to live, they do not have the right to work and live in peace.  Thieves, robbers, cheaters, liars have to be saluted, nothing can be said even if they see injustice in front of their eyes, the democratic system of India has now turned into a riot.  Bengalis do not have the right to vote, and even if they can vote, the bribe-takers are ready to figure out how to manipulate them.  Human rights, humanity are all biblical now because most of the rulers in the world today do not consider ordinary people to be human beings.  If not for the leaders of India, the peasants have been protesting in Delhi for almost a year now. Whoever is in the government seems to be indifferent.  If crores of rupees could be given to the party fund, then it could be seen.  Thousands of revolutionaries laid down their lives for such an India.

কোথায় মানবাধিকার কমিশন? কোথায় মানবতা?


 আজ বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবস ( world refugees day) ২০০০ সালের ৪ ঠা ডিসেম্বর রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় ঠিক করে প্রতি বছর ২০ শে জুন বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবস পালন করা হবে।


বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গৃহ যুদ্ধ বা অন্যান্য কারণে মানুষ নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে প্রতিনিয়ত নিজের দেশের সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। বাচ্চা বুড়ো মহিলা সকলে মিলে নিজের জীবন বিপন্ন করে সুস্থ ভাবে বাঁচতে অজানার উদ্দেশ্য পারি দিচ্ছে। সাগর নদী তাদের কাছে যেন কোন বাধা নয়, এখন বিশ্বে প্রায় ৬৫. ৩ মিলিয়ন উদ্বাস্তু বিভিন্ন দেশে বাস করছে বা আশ্রয় নিয়েছে। সিরিয়ার প্রায় ৪৫% শতাংশ মানুষ বাঁচার তাগিদে অন্য দেশে বাস করছে উদ্বাস্তু হয়ে। সব থেকে বেশি উদ্বাস্তু বাস করে কেনিয়ার উপকণ্ঠে (Daadaab) দাদয়াব নামক স্থানে 32, 9000 মানুষ। বর্তমানে মায়ানমারের আরাকানের রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করতে আরম্ভ করেছে। আমাদের দেশের সরকার বর্তমানে জোর করে NRC নাম করে উদ্বাস্তু ক্যাম্প করে বাঙালি উচ্ছেদে মেতেছে। আসাম তার উদাহরণ ১৯ লক্ষ্য বাঙালি আজ ঘর ছাড়া, তাদের বিদেশি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আবার বর্তমানে বিভিন্ন রাজ্যে শুরু করেছে NRC আবার কিছু মানুষ উদ্বাস্তু হবে, বলা হচ্ছে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ইসলামের ধর্মের মানুষ দের বাদে বাকি দের কিন্তু আসামে আজ প্রায় দশ বছর হতে চলল কোন হেল দোল নেই উনিশ লক্ষ মানুষ কে কয়েকটি ক্যাম্পে পশুর মত রাখা হয়েছে। ওরা যে মানুষ ওদেও বেঁচে থাকার অধিকার আছে, বর্তমান সরকার সেটা স্বীকার করে না। এরা নাকি দেশ ভক্ত দেশের মানুষের জন্য এদের প্রাণ কাঁদে, আমার তো মনে হয় এদের মানুষ বললে বনের পশু গুলো লজ্জা পাবে। শাসক কেবল ধনী দের জন্য দেশের সম্পদ লুট করতে বসে আছে। কেবল ভোটের সময় সাধারণ গরীব মানুষ গুলো মানুষ, এখন তো আরও ভাল হয়েছে ভোটের নামে প্রহসন চলছে। যত রকম ভাবে পারে ক্ষমতায় দখল করে লুট করে খাওয়া যায়। গরীব মানুষ বেশি কিছু করলে পুলিশ আছে, সেনা বাহিনী আছে বড় বড় সরকারি অফিসার মার আর জেলে রাখ, বিচার ব্যবস্থা সেতো এখন প্রহসন টাকা থাকলে বিচার পাবে না হলে, ফাঁসি, সব থেকে কম শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এই শাস্তি কিন্তু কেবল গরীবের জন্য না হলে যতই চুরি কর, জনগণের টাকা লুঠ করে নাও খুন করতে বল বা খূনি হও নেতা মন্ত্রী হলে, অফিসার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করবে। গরীব এবং দুর্বল মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই, দুই ধরনের মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার আছে এক ধনী বা যার অর্থ বল আছে আর বাহুবল আছে, বাহুবলি এবং নেতা মন্ত্রী হলে যতই যা কর পুলিশ সেনা বাহিনী নিরাপত্তা দেবে। এই শাসন ব্যবস্থা, মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই, কাজ করে দু বেলা দু মুঠো খেয়ে শান্তিতে বেঁচে থাকবে তার অধিকার নেই। চোর ডাকাত চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী দের সেলাম ঠুকতে হবে, চোখের সামনে অন্যায় দেখেও কিছু বলা যাবে না, ভারতের গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা সে তো এখন গ্যাঁড়াতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। বাংলা তো ভোট দেবার অধিকার নেই, আর ভোট দিতে পারলেও তার পরেও কি করে কারচুপি করা যায় তার জন্যে তৈরি আছে ঘুষখোরের দল। মানুষের অধিকার, মানবতা এসব এখন পুঁথিগত কথা কারণ বর্তমান বিশ্বের বেশিরভাগ শাসক সাধারণ মানুষ কে মানুষ বলে মনে করেন না। ভারতের নেতারা তো একদম নয় তা না হলে আজ প্রায় এক বছর হতে চলল দিল্লিতে কৃষকরা আন্দোলন করছে, যিনি সরকারে বসে আছেন তিনি নির্বিকার কি অদ্ভুত মনে হচ্ছে যারা আন্দোলন করছে করুক ওরা আবার মানুষ নাকি ওদের দাবি মেনে নিতে হবে। কোটি কোটি টাকা পার্টি ফাণ্ডে দিতে পরলে তাহলে দেখা যেত। ছিঃ ছিঃ এরকম ভারত এর জন্য হাজার হাজার বিপ্লবী তাদের জীবন বিসর্জন দিয়ে ছিল। 

Saturday, 19 June 2021

আবার বাংলা ভাগ।


 জানা নেই বাঙালির জাতি আর কবে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে। খলজির বাংলা আক্রমণ লক্ষ্ণণ সেনের পতন, সেই যে বাঙালি জাতির পতনের শুরু তা আজও অব্যাহত। দুশো বছরের ব্রিটিশ রাজত্ব সেটাও এই বাংলা তথা বাঙালির তিক্ত অভিজ্ঞতা। অনেক লড়াই আন্দোলন হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গেছে ব্রিটিশ কে তাড়নোর জন্য। বাংলা মাায়ের দামাল ছেলের দল হাসতে হাসতে ফাঁসির দড়ি গলায় পরে মৃত্যু বরণ করেছে। সে সব আজ অতীত, বাঙালি ভুলে গেছে সে সব রক্তে তাদের সে পূর্ব পুরুষের অনুপস্থিত বেশ দেখা যাচ্ছে কারণ তারা যে ভীরু কা সেটা বোঝা যাচ্ছে সেই ১৯৪৬ সালের পর থেকে নিজেদের সর্বস্ব খুইয়েছে এই দেশ স্বাধীন করার জন্য। কত গুলো ক্ষমতা লোভী কংগ্রেসি ( গান্ধী, নেহেরু, জিন্না, শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জি) অরোও বেশ কিছু ছিল যাদের স্বার্থে ধর্মের নামে বাংলা ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। সে অভিজ্ঞতা ওপার বাংলা থেকে ভিটে মাটি ছেড়ে যারা এসেছে তারা এখনও জানে, এপার বাংলার মানুষের কাছে তারা বোঝা আবার ওপার বাংলাতেও তাদের ঠাঁই নেই তাহলে এরা যাবে কোথায়? আসলে তা কিছু মানুষ ক্ষমতা আর অর্থের লোভে এই বাঙালি জাতি টা কে ধ্বংস করে দিতে চাইছে সেই স্বাধীনতার সময় থেকে আর বাঙালি সে সব মেনে নিয়ে দিব্যি ঘর বাড়ি ছেড়ে যাযাবর জাতিতে পরিনত হয়ে যাচ্ছে। যেমন এখন আরাকানের রোহিঙ্গা জাতি, মায়ানমার সরকার চীনের সাথে মিলে তাদের দেশ ছাড়া করেছে কারণ মায়ানমারের ঐ অংশে চীন ঘাঁটি তৈরি করবে না হলে ভারত কে জব্দ করা যাবেনা। এক কথায় সহজে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভারতে আসার সহজ রাস্তা ওটা। বর্তমান ভারত সরকার চীনের এই আগ্রাসন কে হাতিয়ার করে বলছেন যে পশ্চিমবঙ্গরে উপরের অংশ কে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলাদা করে দেওয়া হবে। ওটাকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিনত করতে হবে, না হলে চীন পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি দিয়ে উত্তর পূর্বের রাজ্য গুলির যোগাযোগের রাস্তা যাকে চিকেন নেক বলে। চীন নাকি চাইছে ঐ চিকেন নেক দখল করে নিতে যাতে ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমার একটি সাধারণ প্রশ্ন দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭৫ বছর হতে চলল এই ৭৫ বছর ধরে কোন অসুবিধা হলো না, বিজেপি যেই দিল্লিতে ক্ষমতায় এল আর সমস্যা দেখা দিয়েছে। কেন আজ চীন নেপাল শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ সব কটি প্রতিবেশী দেশ ভারত বিদ্বেষী হয়ে গেল? কে জবাব দেবে? আসলে তা নয় শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী এই দলের লক্ষ্য যেমন করে হোক প্রতিবাদী এই বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করা। আর বর্তমান রাজ্য সরকারের ক্ষমতা নেই, একে আটকানোর কারণ একটাই বিভিন্ন ধরনের কেলেঙ্কারি, একের পর এক কেলেঙ্কারি ত্রিফলা বাতি, সারদা, নারদা, রোজভ্যালি, এম পি এস গ্রীনারী আরও অনেক আপাতত নতুন যোগ হয়েছে কোভিড19 এর ওষুধ আর ভ্যাকসিন এছাড়া তো ছিলই গোরু কয়লা আরও অনেক কিছু। বাঙালি জাতির লজ্জা এই সরকার। দিল্লিতে যারা বসে আছে জানেন কিছু বললেই সি বি আই তদন্ত লেগে যাবে। আগা পাছতলা চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী কেন্দ্রও কম যায় না, দুটোতেই মিথ্যা কথায় ডক্টরেট করেছে। মিথ্যার জন্য যদি নোবেল থাকত এদের দুজন কে যৌথ ভাবে দেওয়া যেত। বলবেন তাহলে ভোটে জেতে কেন? দু টাকা কেজি চাল পাওয়ার জন্য লাইন। বাড়ির সকলে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করে তারা সবাই দু টাকা কিলো চাল আনে, কত বি পি এল শিক্ষক আছে কেউ জানে না। এনে দশ থেকে পনেরো টাকায় গরীব মানুষ কে বিক্রি করে দেয়। আরও নানা উপঢৌকন আছে, সেদিনের মদ মাংস খাওয়া, আর ভোটের নামে প্রহসন ।
যাহোক যত দিন না বাঙালি সেই ১৯৪৭ পরের অবস্থায় ফেরত যাবে ততদিন এই সরকার থাকবে। আর এই দুই চোর ডাকাত চিটিংবাজ নিজের এবং পরিবারের জন্য টাকার পাহাড় জমাবে। আমার তো মনে হয় আপামর বাঙালির এটা ইচ্ছা দেখতে চাইছে সেই ব্রিটিশ সরকার কেমন ছিল? কারণ তাদের পা চাটা গুলো আবার ক্ষমতায় এসেছে। জানা নেই বাঙালির জাতি হিসেবে আবার কবে এদের হুঁশ ফিরবে, আবার কবে দেখা যাবে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন। জেগে ওঠো বাঙালি জাতি জেগে উঠে দেখ তোমার ঘর ভাঙ্গার জন্য আবার এসেছে ইংরেজের পা চাটারা আর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী দল। ঘরে ঘরে তৈরি হও জোট বেঁধে এগিয়ে চল দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই করতে। আবার জণ্ম নিক ক্ষুদিরাম রাসবিহারি বোস, সুভাষ চন্দ্র বসু, এগিয়ে এসো আর ঘুমিয়ে থেকো না। জাত পাত ধর্ম ভুলে যাও সকলে প্রতিবাদে প্রতিরোধে এগিয়ে এসো না হলে কিন্তু ঐ রোহিঙ্গার মত যাযাবর জাতি হয়ে থাকতে হবে। 

Friday, 18 June 2021

পশ্চিমবঙ্গে এখন প্রেম পিরিতি চলছে। ।

 




সত্যি কী বিচিত্র এই বাঙালি জাতি, কে কার সাথে প্রেমের নামে শারীরিক সম্পর্ক আছে। কে মা হবে, কে বাবা হবে, কোথায় কবে কীভাবে? এসব নিয়ে ব্যস্ত কি আনন্দ তাই না, অপরের গপসি শোনার জন্য আমরা খুব বেশি উৎসুক। ভেবে পাচ্ছি না এরা বাঙালি নিজের চরিত্র বিকিয়ে দিয়ে ঘরে বৌ থাকতে পরের বৌ নিয়ে ছিঃ ছিঃ এরা আবার হেভি ওয়েট সেলিব্রিটি কত রকম তকমা। সমাজ টা কে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে একবার ভাবছে না। খবরের চ্যানেল গুলোও তেমনি একবারও ভাবে বাড়িতে বসে যারা এই গুলো দেখছে তাদের পাশে মা বাবা ভাই বোন থাকতে, প্রেমিক প্রেমিকা নির্লজ্জ বেহায়া হতে পারে, কিন্তু তাই বলে সমস্ত বাঙালি জাতি বেহায়া নির্লজ্জ ভাবা উচিত নয়। সমগ্র বাঙালি এদের মত চরিহীন নয়, এদের চরিত্রের ঠিক নেই, বলে আপামর বাঙালিকে সেটা শেখাতে হবে।

বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের যা অবস্থা সেখানে দৃষ্টি নেই, সেগুলো দেখতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গের অর্ধেক বেশি মানুষ আজ বেকার কাজ একবেলা কোনো রকম খেতে পারে একবেলা পায় না। গন পরিবহণ বন্ধ রেখে বাকি সব কিছু খোলা। খেটে খাওয়া মানুষ সকালে ঘুম থেকে উঠে তার চিন্তা দিন টা চলবে কি করে? দুযারে রেশন সে তো শাসক দলের নেতা কর্মী দের হাতে, অর্ধেক গরীব মানুষের রেশন কার্ড নেই, বছরের পর বছর আবেদন করা সত্ত্বেও জোটে নি রেশন কার্ড। যদি কোন নেতার দয়া হয় সে দু টাকা কিলো চাল এনে দশ টাকায় বিক্রি করে তবে গরীব মানুষ কিনে নিয়ে খায়। জিনিস পত্রের দাম লাগাম ছাড়া। কিছু দিন এ ভাবে চললে চুরি ডাকাতি খুন খারাপি বাড়বে বই কমবে না। গত কাল সিঙ্গুরে সিংহেরভেরী গ্রামের ভিতরে এক ব্যক্তিকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সামান্য একটু সোনার গয়নার জন্য। এ বাড়বে বৈ কমবে না, সরকার ব্যস্ত এখন কীভাবে লুট করা যায় সেই দিক, করোনায় মেডিক্যাল কীটস থেকে ওষুধ কেলেঙ্কারি সবই হচ্ছে। কেমন তদন্ত হচ্ছে যে চোর তাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চোর ধরার জন্য। কী ভালো ব্যবস্থা না। মানুষ তো এই কারণেই ভোট দিয়েছে না, চুরি করুক তাতে কি, একটু ভিক্ষা পেলে হবে। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন ।আমি জানি না কত জন পড়বেন, তবুও যত জন পড়বেন অনন্ত নিজে কে পাল্টান চোর ডাকাত কেন্দ্রের বাটপার কে একদম সমর্থন করবেন না। 

Saturday, 12 June 2021

নির্বাচনের পর সাধারণ নির্বাচকের কোন দাম নেই। ।


 পশ্চিমবঙ্গ চোরে দের দল বদল এটা লেগেছিল থাকবেও, একবার এ ফুল তো আরেকবার ও ফুল। পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি হয়ে গেছে দল বদলের। যার যখন যেমন মনে হচ্ছে সে সে রকম দল বদল করে নিচ্ছে, একবার ভাবুন সেই সব মানুষদের কথা যারা গত এপ্রিল মাস ভর সরকার বিরোধী ভোট দিয়ে এদের জিতিয়ে এনেছে। অনেক চোর চিটিংবাজ অবশ্য শাসক দলের হয়ে জয় লাভ করেছে। আজ যিনি দল বদল করলেন সেই বিধানসভার ভোটার গন কিন্তু সরকার বিরোধী ভোট দিয়ে ছিল সে কারণেই জয় লাভ করে ছিলেন উনি, তাদের ভোটের কোন দাম নেই, আজ তারা সকলেই শাসক দলের। আমার এই বিষয়ে খুব অবাক লাগে ঐ সব এলাকার ভোটার দের কথা ভেবে ভোট দিলেন এদল কে আর এক মাসের মধ্যে পাল্টে হয়ে গেলেন। যার বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে ছিলেন তার পক্ষে, খুব ভালো তাই না। আসলে পশ্চিমবঙ্গ এই দল বদল আরও দীর্ঘ হবে। একদিন আসবে বিজেপি তৃণমূল একটা দলে পরিণত হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের এটা একটা কৌশল বিজেপি কে তুলে ধরতে হবে সে কারণেই তারা ভোটের আগে দল বদল করে বিজেপি তে গেছে। এখন ভোট মিটে গিয়েছে আবার ফিরে আসছে। এক সময় এমন হবে, বিধানসভায় বিরোধী দল বলে কিছু থাকবে না, থাকলেও নামে থাকবে, কারণ আর এস এস দ্বারা পরিচালিত এই বঙ্গের শাসক দল। আর এস এস দেখেছে বি জে পি কে ক্ষমতায় আনতে হলে তৃণমূল নেত্রী কে দরকার কারণ নেত্রী থাকলে রাজ্যে আর এস এস তার শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে না হলে এই রাজ্যে আর এস এস বাড়বে না। আর এস এস না বাড়লে বি জে পি বাড়বে না, সর্ব ভারতীয় ক্ষেত্রে একটি কথা তারা প্রচার করতে শুরু করেছে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই, আর এস এস এটি কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তার কারণ মোদী ও শাহের উপর মানুষের আস্থা কমছে এটা তারা বুঝতে পারছে সে কারণেই বিকল্প তৃণমূল এবং তার নেত্রী যিনি কৌশলে পশ্চিমবঙ্গে আর এস এসের ক্যাম্প খুলতে সাহায্য করে যাচ্ছেন, এবং বিশেষ করে কম্যুনিস্ট দের একেবারে শেষ পর্যায়ে নিয়ে চলে গেছেন। আর এস এস এটাই চায়, কারণ তারা স্বাধীনতার আগে থেকেই দেখে আসছে তাদের প্রধান বিরোধী হচ্ছেকম্যুনিস্টরা। এই কম্যুনিস্টদের যদি আটকে রাখা না হয় তাহলে কোন মতেই হিন্দু রাষ্ট্র গঠন মোটেই সম্ভব নয়, এই কারণেই তারা পশ্চিমবঙ্গরে মুখ্যমন্ত্রী কে সর্ব ভারতীয় করে তুলতে মরিয়া। আর এস এস দেখেছে কম্যুনিস্টদের দমিয়ে বা আটকিয়ে রাখতে পারে আধা ফ্যাসিস্ট তথা স্বৈরাচারী এই শাসক। আর এই কারণেই দল বদল, এক সময় দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দল বলে কিছু নেই,। আর এস এস সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব হচ্ছে এই রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নির্বাচন কে মানুষের রায় কে মর্যাদা দেওয়া এই মর্যাদা দিতে গেলে একটা কাজ খুব জরুরী, ভোটের মেশিন বা পঞ্চায়েতের ব্যালট বাক্স জমা দেওয়ার পর ঐ দিন ভোর থেকেই গননা শুরু করা। ফলাফল পরে ঘোষণা করা হবে কিন্তু গননা ঐ রাতেই শুরু করে দিতে হবে, যদি কমিশন এটা করতে পারে তাহলে অনেকটাই আটকানো যাবে ভোটের কারচুপি এবং নির্বাচনের নামে প্রহসন। 

Monday, 7 June 2021

ভোট বড়ো বালাই, মানুষের জীবন নিয়েও খেলা।


 সামনেই উত্তর প্রদেশের নির্বাচন তার পরেই ২০২৪ শে লোক সভা ভোট আবার শুরু করেছে জুমলা বাজি, দিদি যেমন বলে ছিল ৫ ই জুন থেকে সকলে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন, জুন মাস পর্যন্ত কার্ড থাক আর না প্রত্যেকেই রেশন পাবে দুয়ারে রেশন। চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে মনে হয়েছিল প্রতি টি ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে চাকরি দিয়ে দেওয়া হবে। এবার দাদাও শুরু করে দিয়েছে, আগামী ২১ শে জুন থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকল কে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।আসলে এটা বলল না বামপন্থী ছাত্র পরিষদের মামলা এবং আন্দোলনের জন্য এই ঘোষণা। ৮০ কোটি মানুষ কে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছিলো সেটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার জানা নেই, দাদা যে ৮০ কোটি মানুষের বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছেন সেটা কি বাংলা কে বাদ দিয়ে? আসলে মানুষ কে বোকা বানান খুব সহজ যেমন রেশন দিচ্ছেন, দাদা আরেক কাঠি সরেস কেন জানেন, ঐ যে মি ডে মিল দেওয়া হচ্ছে ওটাই ওনার ৮০ কোটি মানুষের রেশনের মধ্যে ওটাও আছে, কি সুন্দর তাই না, আর রেশন কার্ড থাকলে সামান্য কিছু পাচ্ছেন। আই সি ডি এসের বাচ্চা দের দেওয়া হচ্ছে সব কিছু মিলিয়ে আশি কোটি। আর দিদি সে তো সকল কে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিচ্ছে আপনি লাইন দেবেন যদি আপনার এলাকার তৃণমূল নেতার সুপারিশ থাকে তাহলে আপনি ভ্যাকসিন পাবেন না হলে এখন নয় পরে আসবেন এখন আপনাদের দেওয়া হচ্ছে না। কারণ সুপারিশ না হলে জেনে গেছেন আপনি ওনার দলের ভোটার নন, ভ্যাকসিন আপনার জন্যে বরাদ্দ নয়। আপনার ভ্যাকসিন না হলেও চলবে কিন্তু শাসক দলের সকলের দরকার। ভোট বড়ো বালাই দাদা ভোট এলে বড় বড় ঘোষণা ভোট মিটে গেল ব্যস আর পায় কে পাঁচ বছর এখন লুটে পুটে খাও। আর মাঝে মাঝে জন সাধারণ নামক কুকুর গুলো কে ছুঁড়ে দাও ভোট এলে বেশি দাও মদ মাংস খাওয়াও পাঁচ শ বা হাজার টাকা দাও ঠিক ভোটের বৈতরীনি পার হয়ে গেছে। যতই চুরি করি, জেল খাটি, খুন করলেও ভোটে নির্বাচিত হবই। আছে গর্ধভ জনগণ, আছে ঘুষ খাওয়া অফিস আছে কমিশন আর আছে মদ মাংস খাওয়ার দল। ভোট দেবতা তোমাকে ধন্যবাদ, তোমার চরণে শত কোটি প্রণাম। 

করোনা কেড়ে নিচ্ছে শিক্ষা, খাদ্য, কর্ম আরও কতকি? ।


 এ বছরের মত বন্ধ হয়ে গেল মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক, মানুষের মতামত নাকি তাই। আমার জানা নেই, এর রহস্য কি জানি না। কারণ গত বছর লক ডাউনের মধ্যেই কিছু কিছু পরীক্ষা করা হচ্ছে। এবার সে সব বন্ধ, বন্ধ WBCS, PSC, SSC প্রাথমিকের নিয়োগ, ও মন্ত্রী বলেছেন SSC কি দুর্গাপুজো প্রতি বছর হবে। নিজে চাকরি টা বাম আমলে পেয়েছেন, আর বর্তমানে বেকার ছেলে মেয়েরা লেখা পড়া শিখে চাকরি পাক সেটা ওনার ভালো লাগে না। চাকরি কি ছেলের হাতের মোওয়া এসব ভোটে জেতার পর মনে হচ্ছে। আর ভোটের আগের প্রতিশ্রুতি গুলো এত চাকরির বিজ্ঞাপন গুলো কোথায় সব! একটা প্রজন্ম শেষ হয়ে গেল ঘরে ঘরে বসে, মেধা আজ ধূলায় লূটায় টাকার জোরে চাকরি সেখানে কি আশা করা যায়। আজ যদি মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা যে যার স্কুলে নেওয়া হয় তাহলে ক্ষতি হয়ে যেত। কেবল শিক্ষক অন্য স্কুলের থাকত, না এই দুটো বড় পরীক্ষা নিলেই, বাকি থাকা চাকরির পরীক্ষা গুলো নিতে হবে, ট্রেন চলাচল শুরু করতে হবে। জানা নেই বাঙালি এই ধ্বংস দেখেও আর কতদিন চুপ করে থাকবে? করোনার নামে শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করে দিচ্ছে ক্ষমতা শীল দল। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সে তো কবেই ধ্বংস করে দিয়েছেন, নীল সাদা রং করে সুপার স্পেশাল হাসপাতাল করে। এখন কোন রুগী এমারজেন্সি তে নিয়ে গেলে দুটো ভিটামিন ক্যাপসুল দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে বলছে আর আসতে হবে না। এখানে করোনা রুগী এই মাত্র মারা গেছে।  কেবল কীভাবে লুটে পুটে খাবে তার পরিকল্পনা করতে ব্যাস্ত। কোথায় লুট নেই, ওষুধ, ভ্যাকসিন, খাদ্য, ত্রাণ, চাকরির নামে টাকা সব কিছুই আজ লুট কয়লা, প্রতিটি সরকারি প্রকল্পের টাকা আজ লুট করে কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে এই দলের নেতা কর্মীরা। কারো কোন প্রতিবাদ নেই, মানুষ আজ ভিক্ষারি কয়েক কোটি বেকার ছেলে মেয়ে একটা চাকরির জন্য অনশন কেউ কেউ অন্যান্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে একটা কাজের জন্য। আত্মহত্যা করছে। এত বড়ো অমানবিক সরকার, ব্রিটিশ সরকার থেকেও জঘন্য। পরীক্ষা নেওয়ার ইচ্ছে থাকলে সুস্থ পরিকল্পনা করে অবশ্যই পরীক্ষা নেওয়া যেত। যে যার স্কুলে পরীক্ষা নেওয়া যেত না কীভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা যায।

এক শ্রেণীর মানুষ একে সমর্থন করে যাচ্ছে কেবল কিছু টাকার জন্য না খেটে ঘরে বসে টাকা উপার্জনের জন্য যে ভাবে হোক টাকা আসলেই হোল। ছিঃ ছিঃ এই আমরা বাঙালি, এই আমরা বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দের উত্তরসূরী। 

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...