Anulekhon.blogspot.com

Saturday, 19 June 2021

আবার বাংলা ভাগ।


 জানা নেই বাঙালির জাতি আর কবে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে। খলজির বাংলা আক্রমণ লক্ষ্ণণ সেনের পতন, সেই যে বাঙালি জাতির পতনের শুরু তা আজও অব্যাহত। দুশো বছরের ব্রিটিশ রাজত্ব সেটাও এই বাংলা তথা বাঙালির তিক্ত অভিজ্ঞতা। অনেক লড়াই আন্দোলন হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গেছে ব্রিটিশ কে তাড়নোর জন্য। বাংলা মাায়ের দামাল ছেলের দল হাসতে হাসতে ফাঁসির দড়ি গলায় পরে মৃত্যু বরণ করেছে। সে সব আজ অতীত, বাঙালি ভুলে গেছে সে সব রক্তে তাদের সে পূর্ব পুরুষের অনুপস্থিত বেশ দেখা যাচ্ছে কারণ তারা যে ভীরু কা সেটা বোঝা যাচ্ছে সেই ১৯৪৬ সালের পর থেকে নিজেদের সর্বস্ব খুইয়েছে এই দেশ স্বাধীন করার জন্য। কত গুলো ক্ষমতা লোভী কংগ্রেসি ( গান্ধী, নেহেরু, জিন্না, শ্যমাপ্রসাদ মুখার্জি) অরোও বেশ কিছু ছিল যাদের স্বার্থে ধর্মের নামে বাংলা ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। সে অভিজ্ঞতা ওপার বাংলা থেকে ভিটে মাটি ছেড়ে যারা এসেছে তারা এখনও জানে, এপার বাংলার মানুষের কাছে তারা বোঝা আবার ওপার বাংলাতেও তাদের ঠাঁই নেই তাহলে এরা যাবে কোথায়? আসলে তা কিছু মানুষ ক্ষমতা আর অর্থের লোভে এই বাঙালি জাতি টা কে ধ্বংস করে দিতে চাইছে সেই স্বাধীনতার সময় থেকে আর বাঙালি সে সব মেনে নিয়ে দিব্যি ঘর বাড়ি ছেড়ে যাযাবর জাতিতে পরিনত হয়ে যাচ্ছে। যেমন এখন আরাকানের রোহিঙ্গা জাতি, মায়ানমার সরকার চীনের সাথে মিলে তাদের দেশ ছাড়া করেছে কারণ মায়ানমারের ঐ অংশে চীন ঘাঁটি তৈরি করবে না হলে ভারত কে জব্দ করা যাবেনা। এক কথায় সহজে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভারতে আসার সহজ রাস্তা ওটা। বর্তমান ভারত সরকার চীনের এই আগ্রাসন কে হাতিয়ার করে বলছেন যে পশ্চিমবঙ্গরে উপরের অংশ কে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলাদা করে দেওয়া হবে। ওটাকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিনত করতে হবে, না হলে চীন পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি দিয়ে উত্তর পূর্বের রাজ্য গুলির যোগাযোগের রাস্তা যাকে চিকেন নেক বলে। চীন নাকি চাইছে ঐ চিকেন নেক দখল করে নিতে যাতে ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমার একটি সাধারণ প্রশ্ন দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭৫ বছর হতে চলল এই ৭৫ বছর ধরে কোন অসুবিধা হলো না, বিজেপি যেই দিল্লিতে ক্ষমতায় এল আর সমস্যা দেখা দিয়েছে। কেন আজ চীন নেপাল শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ সব কটি প্রতিবেশী দেশ ভারত বিদ্বেষী হয়ে গেল? কে জবাব দেবে? আসলে তা নয় শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী এই দলের লক্ষ্য যেমন করে হোক প্রতিবাদী এই বাঙালি জাতি কে ধ্বংস করা। আর বর্তমান রাজ্য সরকারের ক্ষমতা নেই, একে আটকানোর কারণ একটাই বিভিন্ন ধরনের কেলেঙ্কারি, একের পর এক কেলেঙ্কারি ত্রিফলা বাতি, সারদা, নারদা, রোজভ্যালি, এম পি এস গ্রীনারী আরও অনেক আপাতত নতুন যোগ হয়েছে কোভিড19 এর ওষুধ আর ভ্যাকসিন এছাড়া তো ছিলই গোরু কয়লা আরও অনেক কিছু। বাঙালি জাতির লজ্জা এই সরকার। দিল্লিতে যারা বসে আছে জানেন কিছু বললেই সি বি আই তদন্ত লেগে যাবে। আগা পাছতলা চোর চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী কেন্দ্রও কম যায় না, দুটোতেই মিথ্যা কথায় ডক্টরেট করেছে। মিথ্যার জন্য যদি নোবেল থাকত এদের দুজন কে যৌথ ভাবে দেওয়া যেত। বলবেন তাহলে ভোটে জেতে কেন? দু টাকা কেজি চাল পাওয়ার জন্য লাইন। বাড়ির সকলে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করে তারা সবাই দু টাকা কিলো চাল আনে, কত বি পি এল শিক্ষক আছে কেউ জানে না। এনে দশ থেকে পনেরো টাকায় গরীব মানুষ কে বিক্রি করে দেয়। আরও নানা উপঢৌকন আছে, সেদিনের মদ মাংস খাওয়া, আর ভোটের নামে প্রহসন ।
যাহোক যত দিন না বাঙালি সেই ১৯৪৭ পরের অবস্থায় ফেরত যাবে ততদিন এই সরকার থাকবে। আর এই দুই চোর ডাকাত চিটিংবাজ নিজের এবং পরিবারের জন্য টাকার পাহাড় জমাবে। আমার তো মনে হয় আপামর বাঙালির এটা ইচ্ছা দেখতে চাইছে সেই ব্রিটিশ সরকার কেমন ছিল? কারণ তাদের পা চাটা গুলো আবার ক্ষমতায় এসেছে। জানা নেই বাঙালির জাতি হিসেবে আবার কবে এদের হুঁশ ফিরবে, আবার কবে দেখা যাবে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন। জেগে ওঠো বাঙালি জাতি জেগে উঠে দেখ তোমার ঘর ভাঙ্গার জন্য আবার এসেছে ইংরেজের পা চাটারা আর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী দল। ঘরে ঘরে তৈরি হও জোট বেঁধে এগিয়ে চল দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই করতে। আবার জণ্ম নিক ক্ষুদিরাম রাসবিহারি বোস, সুভাষ চন্দ্র বসু, এগিয়ে এসো আর ঘুমিয়ে থেকো না। জাত পাত ধর্ম ভুলে যাও সকলে প্রতিবাদে প্রতিরোধে এগিয়ে এসো না হলে কিন্তু ঐ রোহিঙ্গার মত যাযাবর জাতি হয়ে থাকতে হবে। 

No comments:

Post a Comment

বাঙালি ও বর্তমান ভারত।

 (ছবিটি নেট থেকে নেওয়া, একটি স্ক্রিনশট।) স্বাধীনতার পূর্বে ভারত কীরকম ছিল, ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর কেমন হয়েছে। কেন ভারত ভাগ করা হয়েছিল সে ...