আজ বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবস ( world refugees day) ২০০০ সালের ৪ ঠা ডিসেম্বর রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় ঠিক করে প্রতি বছর ২০ শে জুন বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবস পালন করা হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গৃহ যুদ্ধ বা অন্যান্য কারণে মানুষ নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে প্রতিনিয়ত নিজের দেশের সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। বাচ্চা বুড়ো মহিলা সকলে মিলে নিজের জীবন বিপন্ন করে সুস্থ ভাবে বাঁচতে অজানার উদ্দেশ্য পারি দিচ্ছে। সাগর নদী তাদের কাছে যেন কোন বাধা নয়, এখন বিশ্বে প্রায় ৬৫. ৩ মিলিয়ন উদ্বাস্তু বিভিন্ন দেশে বাস করছে বা আশ্রয় নিয়েছে। সিরিয়ার প্রায় ৪৫% শতাংশ মানুষ বাঁচার তাগিদে অন্য দেশে বাস করছে উদ্বাস্তু হয়ে। সব থেকে বেশি উদ্বাস্তু বাস করে কেনিয়ার উপকণ্ঠে (Daadaab) দাদয়াব নামক স্থানে 32, 9000 মানুষ। বর্তমানে মায়ানমারের আরাকানের রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করতে আরম্ভ করেছে। আমাদের দেশের সরকার বর্তমানে জোর করে NRC নাম করে উদ্বাস্তু ক্যাম্প করে বাঙালি উচ্ছেদে মেতেছে। আসাম তার উদাহরণ ১৯ লক্ষ্য বাঙালি আজ ঘর ছাড়া, তাদের বিদেশি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আবার বর্তমানে বিভিন্ন রাজ্যে শুরু করেছে NRC আবার কিছু মানুষ উদ্বাস্তু হবে, বলা হচ্ছে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ইসলামের ধর্মের মানুষ দের বাদে বাকি দের কিন্তু আসামে আজ প্রায় দশ বছর হতে চলল কোন হেল দোল নেই উনিশ লক্ষ মানুষ কে কয়েকটি ক্যাম্পে পশুর মত রাখা হয়েছে। ওরা যে মানুষ ওদেও বেঁচে থাকার অধিকার আছে, বর্তমান সরকার সেটা স্বীকার করে না। এরা নাকি দেশ ভক্ত দেশের মানুষের জন্য এদের প্রাণ কাঁদে, আমার তো মনে হয় এদের মানুষ বললে বনের পশু গুলো লজ্জা পাবে। শাসক কেবল ধনী দের জন্য দেশের সম্পদ লুট করতে বসে আছে। কেবল ভোটের সময় সাধারণ গরীব মানুষ গুলো মানুষ, এখন তো আরও ভাল হয়েছে ভোটের নামে প্রহসন চলছে। যত রকম ভাবে পারে ক্ষমতায় দখল করে লুট করে খাওয়া যায়। গরীব মানুষ বেশি কিছু করলে পুলিশ আছে, সেনা বাহিনী আছে বড় বড় সরকারি অফিসার মার আর জেলে রাখ, বিচার ব্যবস্থা সেতো এখন প্রহসন টাকা থাকলে বিচার পাবে না হলে, ফাঁসি, সব থেকে কম শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এই শাস্তি কিন্তু কেবল গরীবের জন্য না হলে যতই চুরি কর, জনগণের টাকা লুঠ করে নাও খুন করতে বল বা খূনি হও নেতা মন্ত্রী হলে, অফিসার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করবে। গরীব এবং দুর্বল মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই, দুই ধরনের মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার আছে এক ধনী বা যার অর্থ বল আছে আর বাহুবল আছে, বাহুবলি এবং নেতা মন্ত্রী হলে যতই যা কর পুলিশ সেনা বাহিনী নিরাপত্তা দেবে। এই শাসন ব্যবস্থা, মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই, কাজ করে দু বেলা দু মুঠো খেয়ে শান্তিতে বেঁচে থাকবে তার অধিকার নেই। চোর ডাকাত চিটিংবাজ মিথ্যাবাদী দের সেলাম ঠুকতে হবে, চোখের সামনে অন্যায় দেখেও কিছু বলা যাবে না, ভারতের গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা সে তো এখন গ্যাঁড়াতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। বাংলা তো ভোট দেবার অধিকার নেই, আর ভোট দিতে পারলেও তার পরেও কি করে কারচুপি করা যায় তার জন্যে তৈরি আছে ঘুষখোরের দল। মানুষের অধিকার, মানবতা এসব এখন পুঁথিগত কথা কারণ বর্তমান বিশ্বের বেশিরভাগ শাসক সাধারণ মানুষ কে মানুষ বলে মনে করেন না। ভারতের নেতারা তো একদম নয় তা না হলে আজ প্রায় এক বছর হতে চলল দিল্লিতে কৃষকরা আন্দোলন করছে, যিনি সরকারে বসে আছেন তিনি নির্বিকার কি অদ্ভুত মনে হচ্ছে যারা আন্দোলন করছে করুক ওরা আবার মানুষ নাকি ওদের দাবি মেনে নিতে হবে। কোটি কোটি টাকা পার্টি ফাণ্ডে দিতে পরলে তাহলে দেখা যেত। ছিঃ ছিঃ এরকম ভারত এর জন্য হাজার হাজার বিপ্লবী তাদের জীবন বিসর্জন দিয়ে ছিল।
No comments:
Post a Comment