আজ প্রায় ষোল মাস সমস্ত রকম সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কারণ করোনা ভাইরাস, সরকার লক ডাউন ঘোষণা করেন এবং লক ডাউনের পর সব আনলক হয় কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাদে। এমনকি পড়ানোর কোন গাইড লাইন ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ কারন করোনা ভাইরাস বলেছে শিশুদের মেলা যাওয়া অনুষ্ঠান বাড়িতে যাওয়া একসাথে খেলা করা মোবাইল গেম খেলা সব কিছু করতে পারে কিন্তু বিদ্যালয় খুলে দিলেই আমি ধরব।
আসলে সরকার আদৌ চান শিশুরা কিছু শিখুক না, তাহলে নিশ্চয়ই একটি পরিকল্পনা করে বিদ্যালয় খোলা যেত, শিক্ষকরা বাড়িতে বসে বেতন নিত না। আমার মনে হয় না সব শিক্ষক বাড়িতে বসে কাজ না করে না পড়িয়ে বেতন চান। এমন অনেক শিক্ষক আছেন যারা এই লক ডাউনেও বিভিন্ন ভাবে ছাত্র ছাত্রী দের কিছু হলেও পাঠ দানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হতো তারা সংখ্যায় কম, আমি জানি এই রাজ্যে কয়েক হাজার শিক্ষক প্রথম আন লক থেকেই দাবি করে আসছেন কোভিড বিধি মেনে বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক। শিক্ষক কে শিক্ষা অঙ্গনে শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়া হোক, কিন্তু কে শোনে কার কথা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এই যে সব শিক্ষক কোভিড বিধি মেনে স্কুল খুলে দিতে বলছেন, তাদের কথা শোনার মত লোক নেই এবং এই সরকারের মন নেই। যেমন দেশের সরকার তেমন রাজ্যের সরকার শিক্ষা নিয়ে কোন কথা তারা শুনতে রাজি নন। এই ভাবে চলতে থাকলে গ্রামের অনেক বিদ্যালয় উঠে যাবে ছাত্র থাকবে না। বেসরকারী বিদ্যালয়ের রমরমা বাড়ব। যিনি ফেসবুকে নারী কথা নামক পেজে এই টা পোস্ট করেছেন তিনি একবার সরকারের কাছে দাবি করুন বিদ্যালয় খুলে দিতে। আমি জানি না যিনি পোস্ট করেছেন যারা সমর্থন করেছেন, তার কোন বাচ্চা বিদ্যালয়ে পড়ে কিনা যদি পড়ে তবে খোলার পর নিয়মিত সে যেন বিদ্যালয়ে আসে।
যারা এই পোস্ট করছেন বা লাইক কমেন্টে এই পোস্ট কে সাধুবাদ দিয়ে সমর্থন করে যাচ্ছেন। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন লকডাউন স্কুল বন্ধ সব এই সরকারের আমলে ঘটছে বা ঘটে চলেছে, আপনারা তো সুযোগ পেলেন সরকার বদল করার করলেন না কেন? দোষটা কী শিক্ষকের আপনার পোস্ট পড়ে মনে হয় দোষ শিক্ষকের, আপনাদের কাছে বাম ভালো নয় কেন্দ্রের দাদা রাজ্যের দিদি ভালো তাদের ভোট দিয়ে জয়ি করবেন আর আশা করবেন সব এরা পাল্টে দেবে। আপনি বা আপনারা চান না পরিস্থিতি বদলে যাক, মানুষ শান্তিতে বসবাস করুক, নিজের দোষ টা অপরের উপর চাপিয়ে মজা পাচ্ছেন।
আরেকটা কথা না বলে পারছি না, যিনি বা যারা শিক্ষক দের বেতন বন্ধ করে দিতে বলছেন বা অর্ধেক করে দিতে বলছেন তাদের একটা খবর দিয়ে রাখি আবার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে নিশ্চয়ই আপনাদের মধ্যে কেউ আবেদন করবেন মনে করুন শিক্ষক হয়ে গেলেন। বিদ্যালয়ে গিয়ে কেবল মোবাইল ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন, তখন ঠিক এই দাবি অন্য কেউ করল সহ্য করতে পারবেন তো, না ঐ যে শিক্ষক দের বেতন বাড়াতে উস্তি নামক শিক্ষক দের মত রাস্তায় ধর্ণা দেবেন আর বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী দের পড়ানোর কথা ভুলে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকবেন আর এই লক ডাউনে ছাত্র ছাত্রী বই এর সাথে সর্ম্পক রাখতে একটু ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হলে সরকারের আদেশ খুঁজবেন বলবেন লকডাউন ছুটির আদেশ আছে পড়ানোর আদেশ তো আমাকে দেয় নি কেন হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপে থাকব। তাই বলছি অপরের বেতন বন্ধের দাবিতে সরব না হয়ে, সরকার যাতে সুস্থ পরিকল্পনা করে কোভিড বিধি মেনে বিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যবস্থা করে সেই দাবি করুন। শিক্ষাঙ্গন শিশু দের ফিরিয়ে দেওয়া হোক এটা হোক আমাদের দাবি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।
No comments:
Post a Comment